রাজশাহী।
২৬-২৭ রজব শবে মিরাজে দু'দিন চলে উরস- স্মরণ সম্মেলন।
দু'জনের।
প্রথমজন গাউসে পাক জিলানী র.'র সরাসরি নাতি, সেইসূত্রে খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতি র.'র ভাস্তে, সাইয়িদ আবদুল কুদ্দুস শাহ মাখদুম র.
দ্বিতীয়জন তারই পরিবারের প্রায় ৬-৯ প্রজন্ম পর বাগদাদ আসা আরেক প্রদীপ সাইয়িদ নূর শাহ র.
এখানে নরবলি হতো।
মানুষকে যূপপ্রস্তরে শিরশ্ছেদ করা হতো স্রেফ 'দেবতা'র জন্য। নিয়মিত। নিম্নবর্ণের মানুষ।
হজরতের হুজরা শরিফে এর আগে কখনো ঢুকিনি। সাহস হয়নি। তাকওয়া আদব সব মনে হয় গেছে। এবার হুজরা শরিফে ঢুকে চার রাকাত পড়ে ফেললাম।
কাছেই বিখ্যাত বরেন্দ্র মিউজিয়মে হাজার হাজার মূর্তি, অজস্র ঘটনার উল্লেখ, কিন্তু শাহ মাখদুমের নাম গন্ধটাও নাই।
অথচ তিনি মানবতার মুক্তিদূত। শ্রেণীজিঞ্জিরে আজন্ম আবদ্ধ মানুষকে পাথরের উপর বলি দেয়ার হাজারো বছরের পশ্বাধমত্ব থেকে রক্ষা করেছেন। যুদ্ধ করেছেন, করেছেন খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা, সুশাসন, মমতার নিশ্চয়তা।
হয়েছেন মহান সূফি হিসেবে সারা জাহানের প্রখ্যাত।
তারপর? ছোট্ট কক্ষে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন।
কী যে শান্তি তাঁর চত্বরে! সব সময়। প্রতিবার। নবীবংশের প্রদীপ। হাসানি, হুসাইনি।
তার নাম গন্ধটা ইতিহাসের পাতা বা মিউজিয়ামের দেয়াল ও খাতায় স্থান পায় না। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় আছে।
অবশ্য, আমাদের হৃদয়ই চিরকাল যথেষ্ট ছিল।