ছেলেটা ওদের সাথে মিশে খারাপ হয়ে গেল! বাহ, ছেলেটা দাওয়াতে ইসলামীর কাফেলা থেকে এসে মাশাআল্লাহ অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। নামাজ-কালাম পড়ে এখন!
হ্যা, এরকম কথা আমরা প্রায়ই সিনিয়রদের কাছ থেকে শুনি। এর পিছনের রহস্যটা হচ্ছে পরিবেশ, সাহচর্য। আর এটা নিয়েই আজকে কথা বলতে চলেছি। পরিবেশই আপনাকে পরিবর্তন করবে। এর প্রভাব মানুষের ওপর অনেক বেশি।
পরিবেশ আপনাকে সমাজের নিকৃষ্ট মানুষে পরিণত করতে পারে! আবার এই পরিবেশ আপনাকে একজন উত্তম মানুষ বানিয়ে দিতে পারে। আমাদের প্রিয় আক্বা ﷺ ইরশাদ করেন, "প্রত্যেক নবজাতক মুসলিম হয়ে জন্ম নেয়। তারপর সে বাবা-মা এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অগ্নি পূজারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।" [সহিহ মুসলিম, বুক নং- ৩৩, হাদীস- ৬৪২৬]
এখান থেকেই আন্দাজ করা যায় মানুষকে পরিবেশ কতটা প্রভাবিত করতে পারে। একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া স্টুডেন্ট যতটা সহজভাবে দ্বীনের ওপর আমল করতে পারে, একজন জেনারেল স্টুডেন্ট এর জন্য দ্বীনের ওপর আমল (বিশেষ করে লিবাস) করাটা একটু কষ্ট হয়ে যায়। এবং এটাও পরিবেশর কারণেই।
তাছাড়া আই.এস, জঙ্গি এসব হ্যাশট্যাগ তো আছেই। অবশ্য প্রিয় আক্বার ﷺ আশেকরা এসবের পরোয়া করে না। সাহাবায়ে কেরামদের জীবনি পড়লে অনেকটা মোটিভেশান পাওয়া যায়। তারা হাজারও কষ্ট পাওয়া সত্বেও দ্বীনের ওপর অটল ছিলেন।
যাইহোক আমার আলোচনার মূল উদ্দেশ্য পরিবেশ ও সাহচর্য। আপনি যদি দ্বীনের ওপর আমল করে সফল হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই উত্তম পরিবেশ গ্রহণ করতে হবে। আপনি যখন উত্তম সাহচর্য গ্রহণ করবেন তখন অটোমেটিক আপনি পরিবর্তন হয়ে যাবেন।
হয়তো আপনার অজান্তেই এটা হয়ে যাবে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
স্বাধীন আহমেদ