ছরকারে আলা হযরত (র.)

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVswCkHn-h33vtCG9FmoGqFQtnxmKmOYYSqYvcNzXwn1Efnd_19ByO5UcM5_MMxnr4PtR-HxswU9khH5A3IgyAf6HHPIlpeDmCXvGtClvmPlw1XzlrMfqbaZ42cawCu75A7HyJ-rJk7g4/s1600/FB_IMG_1602602011163.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="884" data-original-width="900" height="314" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVswCkHn-h33vtCG9FmoGqFQtnxmKmOYYSqYvcNzXwn1Efnd_19ByO5UcM5_MMxnr4PtR-HxswU9khH5A3IgyAf6HHPIlpeDmCXvGtClvmPlw1XzlrMfqbaZ42cawCu75A7HyJ-rJk7g4/s1600-rw/FB_IMG_1602602011163.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>।। ছরকারে আলা হযরত (র)।।</div><div>             -মুহাম্মদ শাওয়াল হোসাইন</div><div><br></div><div>আকাবির নিয়ে আজকাল কেউ পড়াশোনা করে নাকি?</div><div>দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত সকলে দিয়ে যায় ঢের ফাঁকি।</div><div><br></div><div>আলা হযরত কোন সে সত্ত্বা বলে যাব আজ ঢের</div><div>ঈমানের মূল নবীজীর প্রেম, শিখেছি যবর যের।</div><div><br></div><div>এই প্রজন্ম জানুক তাঁরে নবীর (দ) প্রেমিক তাই</div><div>তাঁর দেয়া মতে হবে জাগরণ আওয়াজ শুনতে পাই।</div><div><br></div><div>চৌদ্দ শতক শেষে,</div><div>মুজাদ্দিদের আগমন ঘটে প্রভুর নির্দেশে।</div><div><br></div><div>ভারতের বুকে বেরেলি শরিফ আলোকিত আজ ভবে</div><div>অমাবস্যায় পুর্ণিমা পেয়ে পুলকিত হয় সবে।</div><div><br></div><div>চৌদ্দ শতকে ধরার গগনে উদিল কোন সে রবি</div><div>আলা হযরত নাম যে তাঁর জগৎ শ্রেষ্ঠ কবি।</div><div><br></div><div>জ্ঞানের বিচারে প্রেমের মিযানে সেরাদের সেরা তিনি</div><div>ঈমানের পথে তাঁর দেয়া মতে সকলেই হবে ঝনী।</div><div><br></div><div>নবীজীর (দ) প্রতি সুগভীর প্রেম, প্রেমময় আহ্বান</div><div>তাইতো জগতে শ্রেষ্ঠ ইমাম আহমাদ রেজা খাঁন (র)।</div><div><br></div><div>ছিয়াত্তোর্ধ বিষয়ে ছিলেন সদা বিচরণ কারী</div><div>লিখার ভুবনে কিংবদন্তি শাশ্বত সুর তাঁরি।</div><div><br></div><div>আকিদার যত ভুল শত শত, নিরসন করে যান</div><div>জ্ঞানের গগনে সূর্য ছিলেন আহমাদ রেজা খাঁন (র)।</div><div><br></div><div>কাব্য লিখার উৎস তাঁর কুরা'ন- হাদীস হতে</div><div>প্রতিটি ছত্র হয়তো কুরা'ন নয়তো হাদীস মতে।</div><div><br></div><div>কলমে ইমাম ফুটিয়েছে কত নব্য কুসুম কলি</div><div>ভাবনায় তাঁর সদা প্রাঞ্জল মদিনার অলিগলি।</div><div><br></div><div>ছত্রে ছত্রে কাব্যে,ছন্দে ছিল এশকের জ্যোতি</div><div>ধরা কোনে কোনে ছড়িয়ে পড়েছে সেই এশকের দ্যুতি।</div><div><br></div><div>প্রেমের ছন্দ পড়ে আনন্দ পেতে দিল উপহার</div><div>"হাদায়েকে বখশিশ"আশেকের হৃদয়ের খাবার।</div><div><br></div><div>জীবন ব্যপীয়া উম্মাহর তরে ছিল যত নসিহত</div><div>জীবন যুদ্ধে ভেবে দেখ সখা, আছে কোন হাকীকত।</div><div><br></div><div>রাসুলে খোদার (দ) নুরানী তনুর বন্দনা করে যায়</div><div>তবুও নিজেরে অধম বলিল নবীর (দ) প্রশংসায়।</div><div><br></div><div>মদিনাওয়ালার প্রেম সাগরে ডুবে ছিল আজীবন</div><div>কামনায় তাঁর ছিল বারবার সেই নুরানী চরণ।</div><div><br></div><div>নবীজীর প্রেমে নিঃশেষে তিনি করবে জীবন দান</div><div>কাব্য কিতাবে অংকিত হলো সেই বাণী সুমহান।</div><div><br></div><div>অন্তর তাঁর খুলে দেখ যদি দুই পাশে দুই লেখা</div><div>এক পাশে প্রভু অন্য প্রান্তে নবীজীর (দ) নাম আঁকা।</div><div><br></div><div>নামের পূর্বে শত বিশেষণে আনন্দ নেই তাঁর</div><div>"আব্দে রাসুল (দ)"এই বিশেষণে খুশি ছিল বারবার।</div>

ছরকারে আলা হযরত (র.)

।। ছরকারে আলা হযরত (র)।।              -মুহাম্মদ শাওয়াল হোসাইন আকাবির নিয়ে আজকাল কেউ পড়াশোনা করে নাকি? দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত সকলে দিয়ে যায...

Read more »

আলা হযরত (রহ.) নবীপ্রেমের অমর সাহিত্য ভান্ডার

<div style="text-align: justify;"><b><i><u>সালামে মুস্তাফা নবী প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত</u></i></b></div><div style="text-align: justify;">★মুস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম, </div><div style="text-align: justify;">শময়ে বজমে হেদায়াত পে লাখো সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ-মুস্তফা (বাছাইকৃত) যিনি রহমতের প্রাণ, তাঁর সকাসে লক্ষ সালাম; </div><div style="text-align: justify;">লক্ষ সালাম নিবেদন করছি যিনি হেদায়াতের আসরের আলোকবর্তিকা।</div><div style="text-align: justify;">★মুহরে ছরখে নবুয়্যত পে লাখো সালাম, </div><div style="text-align: justify;">গুলে বাগে রেসালাত পে লাখো সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ- নবুয়্যতের আকাশের সূর্যের প্রতি আলোকোজ্জ্বল দরূদ বর্ষিত হোক, নিবেদন করছি রেসালাতের বাগিচার পুষ্পের প্রতি লক্ষ সালাম। </div><div style="text-align: justify;">★শাহরে ইয়ারে হরম তাজেদারে হেরম,</div><div style="text-align: justify;">নও বাহরে শাফায়াত পে লাখো সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ- বেহেশতের বাদশা, কা'বার সম্রাট, শাফায়াতের সূচনাকারীর প্রতি লক্ষ সালাম। </div><div style="text-align: justify;">★শবে আসরা কি দুলহা পে দায়েম দরূদ, </div><div style="text-align: justify;">নওশাহে বজমে জান্নাত পে সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ-মি'রাজ রাতের দুলহার প্রতি অনন্ত দরুদ, বেহেশতী জলসার মধ্যমণি (শ্রেষ্ঠজন)-এর প্রতি রইলো লক্ষ সালাম। </div><div style="text-align: justify;">★নূরে 'আইনে লতাফত পে আলফত দরুদ,</div><div style="text-align: justify;">যিবও যইনে নাযাফত পে লাখো সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ-আপাদমস্তক সূক্ষ্ম নূরানী সত্তার প্রতি পবিত্রতম দরুদ। পরিচ্ছন্নতার সৌন্দর্যকে লক্ষ সালাম জানাই।</div><div style="text-align: justify;">★জিসকে যেরে লেওয়া আদমও মন সেওয়া,</div><div style="text-align: justify;">উস্ সজায়ে সিয়াদাত পে লাখো সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ-হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং অপর সকলে যাঁরই পতাকাতলে,  কর্তৃত্বের সেই যোগ্যতার প্রতি লক্ষ সালাম। </div><div style="text-align: justify;">#সালামে মুস্তফা ইমাম আহমদ রেযা বেরেলবী (রহ) এর নবী প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সালামে মুস্তফায় ১৬০ টি শের আছে, যে শের গুলা পাঠ করলে বুঝা যায় নবী প্রেম কি জিনিস। আর ইমাম আহমদ রেযা বেরেলবী রহ,. শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল কুরআনুল কারীমের উর্দু বঙ্গানুবাদ কানযুল ঈমান, বর্তমানে এটার অনুবাদ বাহির হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">#হানাফি ফিক্বহের সবচেয়ে বড় ফাতাওয়ার কিতাব </div><div style="text-align: justify;">"আল-আত্বউন নাবাবীয়্যাহ ফি ফাতাওয়ায়ে রেযভীয়্যাহ" ৩০ খন্ডে, ২১০০০ পৃষ্ঠা,  যেখানে প্রায় ১২০০০ হাজার হাদিস সন্নিবেশিত হয়েছে। হাদীসের  কিতাবও লিখেছেন ৪খন্ডে।</div><div style="text-align: justify;">ইমাম আহমদ রেযা বেরেলবী রহ,. একজন নিজেই একটি বিশ্বকোষ,  যার প্রতিটি লেখনী ছিল নবী প্রেমের উপর, আর বাতিলের জন্য একটি বুলেট।  </div><div style="text-align: justify;">#আজ  ইমাম আহমদ রেযা বেরেলবী রহ ১০২ তম উফাত শরীফ। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, আল্লাহ তায়ালা যেন উনার দারাজাত বৃদ্ধি করে দেন এবং আমাদেরকে উনার রুহানী ফুয়ূযাত দান করেন। "আমিন"</div><div style="text-align: justify;">#খাকছার,</div><div style="text-align: justify;">Tuhinur Rahman Shahjahan</div>

আলা হযরত (রহ.) নবীপ্রেমের অমর সাহিত্য ভান্ডার

সালামে মুস্তাফা নবী প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ★মুস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম,  শময়ে বজমে হেদায়াত পে লাখো সালাম।  #অর্থঃ-মুস্তফা (বাছাইক...

Read more »

আলা হজরত: ইসলামিক এবং বৈজ্ঞানিক ভাবদ্বারার এক মিশ্রণ || গোলাম শাফিউল আলম মাহিন

<p> তার কথা যতই শুনেছি অবাক হয়েছি,</p> তার লেখা যতই পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি,<br /> তার নাতের ছন্দে সম্মোহনে ডুবেছি,<br /> রাত জেগে কন্ঠহীন মুখে গুণ গুন করেছি।<br /> <br /> আলা হজরত। একটা অনুপ্রেরণার নাম। একটা আদর্শের নাম। পুরো নাম ইমাম আহমদ রেজা খান বেরেলভী। ভারতের বেরেলি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। একজন জীবন্ত ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের লাইব্রেরি। আজকের সমাজ আলা হজরতকে চিনে না। যারা চিনে তারাও কেবল একজন আলেম হিসেবেই চিনে। তাদের মনে আলা হযরতের ছবি এরকম যেন তিনি শুধু মানুষকে ফতোয়াই দেয়।<br /> <br /> <br /> বাস্তবে আলা হজরত এমন না। আলা হজরত ছিলেন একজন মানব সেবী। মানবতার সেবায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন সর্বস্ব। ইমামের যখন মৃত্যু হয় তখন জানাজার সময় একদল মানুষ এসে উপস্থিত। তারা বেরেলির নয়। সবাই শারীরিক ভাবে অসুস্থ কিংবা প্রতিবন্ধী। কেউ এদের চিনে না। জানতে চায় কারা এরা। তারা বলে, আমরা সবাই নিতান্তই অসহায় মানুষ। ইমাম আহমদ রেজা আমাদের বছরের পর বছর আমাদের ভরন পোষন করেছেন। কঠিন মানা করেছিলেন কাউকে না বলতে। তার কাছে আসতেও মানা করেছেন। আজ ইমাম চলে যাচ্ছেন। আমাদের মাথা থেকে শেষ সম্বল টুকু আজ হারিয়ে গেছে। তাই ইমামকে একটি বার দেখতে আমরা ছুটে এসেছি এখানে।<br /> <br /> আলা হজরত অসম্ভব রকমের নবী প্রেমিক ছিলেন। ইমাম একবার দাওয়াতে গেলেন। খাবারের আগে শসা খেতে দেওয়া হলো। ইমাম একটু খেয়ে আবদার করলেন আপনাদের অনুমতি থাকলে আমি এইসব শসা খেয়ে ফেলতে চাই। উপস্থিত মানুষরা ইমামের এই আচরণ দেখে অবাক। খাওয়া শেষে বের হয়ে এলে ইমাম বলেন শসা আমার নবীর প্রিয় খাবার ছিল। আজ যে শসা টি দিয়েছিল সেটা খেয়ে তেঁতু ছিল। আপনারা খেয়ে যদি ফেলে দেন তাহলে আমার নবীর অপমান হতে পারে। সেই ভয়ে আমি আহমদ রেজা সব খেয়ে ফেলেছি।<br /> <br /> আহমদ রেজা ছিলেন কৌশলী। নিজের মহত্ব দিয়ে মানুষকে সত্যের পথে আনতেন। একবার কোনো বিত্তশালী ইমামের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। তার পরনে ছিল একটা অলংকার। ইমাম সেটা হাদিয়া হিসেবে সেই লোকটির কাছথেকে চেয়ে নিলেন। আশ্চর্য হয়ে অলংকার দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। দুদিন পর সেই লোকের মেয়ের কাছে একটা চিঠি আসল। সঙ্গে ওই অলংকারটি। ইমাম চিঠিতে লিখলেন পুরুষের জন্য অলঙ্কার হারাম, তাই আপনার বাবার এই সম্বল আপনাকে ফেরত দিলাম।<br /> <br /> ইমাম একটা ছোট বাচ্চার সাথেই ভালো আচরণ করতেন। কোনো ভুল হলে তাদের কাছেও ক্ষমা চাইতেন। ইমাম ফতোয়া লিখতে চাননি। বাধ্য হয়েছিলেন ওই যুগের ফিৎনা থেকে বাঁচতে। সেই সময়ে যদি ইমাম ফতোয়া না লিখতেন তাহলে হয়তো আজও মুসলিম সমাজ অনেক গুমরাহির মধ্যে আচ্ছন্ন থাকতো। ইমাম কাউকে কাফের বলতে শতবার ভাবতেন। এক ব্যক্তি কুফরী করেছে। ইমাম তাকে কাফের না বলে বললেন সে কুফরী করেছে। কারণ ইমাম শুনেছিলেন সেই লোকটি মৃত্যুর আগে তওবা করেছেন, কিন্তু তথ্যপ্রমান এতটা ভরসার ছিল না। তাই ইমাম বলেছেন ওই ব্যক্তি কুফরী করেছে।<br /> <br /> ইমাম কোনো সাধারণ আলেম ছিলেন না। তিনি জগৎ বিখ্যাত জ্ঞানী ছিলেন। ভাবতে পারেন আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে ভারতের কোনো মাওলানা সংখ্যা-বিজ্ঞান, জাফর, ভগ্নাংশ, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, পাটিগণিত, লগারিদমস, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিবিদ্যা, যুক্তি, দর্শন এর মতো বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ৭০টিরও বেশি বই লিখেছেন। এমনকি অঙ্ক শাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে এক কালের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় আলীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর-কেও হার মানিয়েছেন। ইদারা তাহকীকাতে ইমাম আহমদ রেজা নামে একটি প্রকাশনী আছে করাচিতে। সেখানে ডক্টর মুহাম্মদ মালিকের লেখা একটি বই ছাপানো হয়েছে ইংরেজিতে। নাম- সায়েন্টিফিক ওয়ার্ক অভ ইমাম আহমদ রেজা। ইমাম আহমদ রেজার বৈজ্ঞানিক কর্ম।<br /> <br /> ইমামের লেখার দক্ষতা ও দ্রুততার ধারণা দিতে একটা ঘটনা বলছি।<br /> ইমাম দু'বার হজ্ব করেছেন। এটি দ্বিতীয় হজ্বের ঘটনা। স্বার্থান্বেষী এক মহল চিঠি দিল মক্কার গভর্নরের কাছে। চিঠিতে মদিনা মুনিব (দ:) এর ইলমে গায়েব (অদৃশ্য জ্ঞান) নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য উত্তর জানা ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল ইমামকে অপমান করা। যাই হোক। মক্কার গভর্নর ছিলেন শরীফ গালিব। তিনি ইমামকে প্রশ্ন গুলো দিয়ে উত্তর জানতে চাইলেন। ইমাম হজ্বে এসেছেন। বইপত্র কিছুই আনেননি। এই সমস্ত বিষয়ে রেফারেন্স খুবই জরুরী। আর রেফারেন্স এর জন্য দরকার বই। কী আর করা! উত্তর লেখা শুরু করলেন ইমাম। সময় নিলেন মাত্র ৮ ঘন্টা। উত্তর লিখলেন ১৫০ পৃষ্ঠার। একটা প্রশ্নের উত্তরেই হয়ে গেল বই। নাম- আদদৌলাতুল মাক্কীয়্যা বিল মাদ্দাতিল গায়বিয়্যা। বাংলা অর্থ- অদৃশ্য জ্ঞানে মক্কার সম্পদ।<br /> <br /> গভর্নর স্তম্ভিত। মক্কার সাবেক মুফতি শেখ সালেহ কামালকে সকলের সামনে বইটি পড়তে বললেন। একের পর এক সহীহ দলিল শুনে সকলেই অবাক। পরে গভর্নরের লাইব্রেরীতে দলিলগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। হুবহু মিলে যায়। আর বইয়ের ভাষা ছিল উচ্চমানের আরবি যা একজন ভারতীয় মানুষের জন্য লেখা অসম্ভব। এব্যাপারেও বিস্মিত সবাই।<br /> <br /> আলা হযরতের ১৫০০ এর বেশি কিতাব রয়েছে। মানুষটা কেবল ২ঘন্টা ঘুমাতেন। দিন রাত শুধু লেখালেখি করতেন। ১০০ বছর আগে যখন ব্যাংক ছিল না তখনও তিনি ইসলামিক ব্যাংকের গুরুত্ব নিয়ে লিখেছেন। আফসোস! আমরা আলা হজরতকে সঠিক ভাবে প্রচার করতে পারিনি। অথচ অনেক বিধর্মীও আলা হজরতকে নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। <br /> <br /> আর বলার কি আছে! ইমামকে একবার প্রশ্ন করা হলো- হজরত! আপনি এতো লিখেন কিভাবে? ইমাম হেসেছিলেন। সুন্নতি মুচকি হাসি। বলেছিলেন- লেখা হয় কলম দিয়ে। তাই বলে কি সেই লেখা কলমের? তিনি লিখেন যিনি ধরে আছেন কলমটি। আমি আব্দুল মোস্তফা (মোস্তফা স. গোলাম) হচ্ছি একটি কলম মাত্র। আর আমাকে ধরে লিখেন আমার গাউসে পাক শেখ সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল কাদের জিলানি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনি রাদিয়াল্লাহু আনহু।<br /> <br /> এই পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলা হজরত ইমাম আহমদ রেজা খান বেরেলভী কে নিয়ে ২৩টি পিএইচডি ডিগ্রি করা হয়েছে। <br /> <br /> ইমাম আহমদ রেজা সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে এবং সব ধরনের রেফারেন্স পেতে বাংলায় মাহদী গালিব নামে একজন লেখকের বই আছে। নাম "পথিকৃৎ"।<br /> <br /> লেখক: গোলাম শাফিউল আলম মাহিন<br /> শিক্ষার্থী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা।<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiuQwpGOAVifI1YxgszUFyJvv_xzWPC5A2p9YZteCAZQpYQOOGtL1v2emw9Ulp8cT9APOSlHPe20BBp66UxujTturpy3T-N3TiigAvLFPY7oODQHZVYcgkihWdLLn18J8JifLA2imPvmDnN/s1024/dargah_e_ala_hazrat_imam_ahmed_raza_khan_by_shahbazrazvi_db2tmbc-fullview-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="530" data-original-width="1024" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiuQwpGOAVifI1YxgszUFyJvv_xzWPC5A2p9YZteCAZQpYQOOGtL1v2emw9Ulp8cT9APOSlHPe20BBp66UxujTturpy3T-N3TiigAvLFPY7oODQHZVYcgkihWdLLn18J8JifLA2imPvmDnN/s320-rw/dargah_e_ala_hazrat_imam_ahmed_raza_khan_by_shahbazrazvi_db2tmbc-fullview-01.jpeg" width="320" /></a></div><br /><!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_201013_024432_820.sdoc-->

আলা হজরত: ইসলামিক এবং বৈজ্ঞানিক ভাবদ্বারার এক মিশ্রণ || গোলাম শাফিউল আলম মাহিন

 তার কথা যতই শুনেছি অবাক হয়েছি, তার লেখা যতই পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, তার নাতের ছন্দে সম্মোহনে ডুবেছি, রাত জেগে কন্ঠহীন মুখে গুণ গুন করেছি। আ...

Read more »