দ্বীন প্রচারে ইমাম শামিল দাগেস্তানী (রাহ.) এর অবদান

<div style="text-align: justify;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMM-7T032LpSPkZJU46ZJ7qGIa4gfUhiHjH8fYQa06mo0EelesYGJ74lf0iB96V7ew0jDS4JihzPWLlnnORpGQyvl62Y4j0fzNHgw8QirRDHzy5lLu717_ShHsPd5dy_zlR_7WYNHmgNg/s1600/IMG_ORG_1596470147552.jpeg" imageanchor="1"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="696" height="640" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMM-7T032LpSPkZJU46ZJ7qGIa4gfUhiHjH8fYQa06mo0EelesYGJ74lf0iB96V7ew0jDS4JihzPWLlnnORpGQyvl62Y4j0fzNHgw8QirRDHzy5lLu717_ShHsPd5dy_zlR_7WYNHmgNg/s1600-rw/IMG_ORG_1596470147552.jpeg" width="464"></a></div><br><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম শামিল দাগেস্তানী রাহ. যে গ্রামেই যেতেন সেই গ্রামেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতেন। তিনি নিজ হাতে ছাত্র বাছাই করতেন। তাদের সম্পূর্ণ আর্থিক দায়িত্বও নিয়ে নিতেন। তিনি শতভাগ নিশ্চিত করতেন যে, এরা ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যূৎপত্তি অর্জন করবে। তিনি তাঁর জীবনের যে দুই যুগ রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত ছিলেন এবং স্বদেশকে রক্ষা করছিলেন, সেই সময়টাতেও শিক্ষাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন নিজ এলাকাগুলোতে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী একজন আলিমে রাব্বানি ছিলেন এবং একজন সত্যিকারের সুফি ছিলেন। শত শত বছর ধরে উলামায়ে কেরাম বলে আসছিলেন, "যে তাসাউফ (আত্মশুদ্ধি চর্চা) চর্চা করে কিন্তু ফিকহ (ইসলামী আইনশাস্ত্র) পড়ে না সে বিপথগামী হবে, আর যে ফিকহ পড়ে কিন্তু তাসাউফ চর্চা করে না সে উগ্রবাদী জালিম হবে।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যারা আল্লাহ পাককে চেনার দাবি করেন এবং যারা প্রভাবশালী তাদের উচিত ইমাম শামিলদের মত মহামানবদের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া৷ তাদের উচিত ছাত্রদের আর্থিক দায়িত্ব নেয়া যারা দ্বীন জানতে চায় এবং আলিম হতে চায়। তাদের উচিত শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করা এবং আধুনিক স্টেন্ডার্ডে কাজ করা। নারী- পুরুষ সবার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাদের উচিত সামাজিক কাজে যুক্ত হওয়া। যুবকদের জন্য ক্লাব গড়া। পথশিশুদের জন্য বিনিয়োগ করা যেন তারা গুলিতে নিহত না হয় অথবা জেলে বন্দী না হয় ড্রাগ বিজনেসের কারণে। প্রত্যেকটি মসজিদ এবং প্রতিটি কমিউনিটির উচিত বয়স্কদের জন্য দ্বীন শেখার ব্যবস্থা করা। প্রত্যেক পীরের উচিত তার মুরিদদেরকে জ্ঞানার্জনে উৎসাহীত করা। প্রত্যেক মুরিদের জন্য আবশ্যক ফরজ হুকুম আহকামগুলো অন্তত স্থানীয় উলামায়ে কেরামের কাছে শিক্ষা করা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শুধুমাত্র মিলাদুন্নবী ﷺ উদযাপন, আওলিয়াগণের মাজারে গিয়ে ওরস পালন বছরে একবার এটা যথেষ্ট নয়। বিশেষত যেই সময়ে আমরা বসবাস করছি। মুত্তাকি বা আহলে হকদেরকে তাঁদের অনুসরণের মাধ্যমে এবং দাওয়াতের কাজের মাধ্যমেই মূলতঃ তাঁদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। হুজুর নবী করিম ﷺ বলেন, "নিশ্চয়ই আমি এবং তারা যারা আমাকে অনুসরণ করে তারা আহবান করে ও দাওয়াত দেয় আল্লাহর দিকে।" </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মূলঃ শায়খ মুহাম্মদ আসলাম। </div><div style="text-align: justify;">অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারি</div>

দ্বীন প্রচারে ইমাম শামিল দাগেস্তানী (রাহ.) এর অবদান

ইমাম শামিল দাগেস্তানী রাহ. যে গ্রামেই যেতেন সেই গ্রামেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতেন। তিনি নিজ হাতে ছাত্র বাছাই করতেন। তাদের সম্পূর্ণ আর্থিক দায়...

Read more »

কলেমা তাইয়্যিবাকে শিরকী বাক্য বলার জবাব

<div style="text-align: justify;">কলেমা তাইয়্যিবা নিয়ে ইদানিং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন সহীহ ধোঁকাবাজ সম্প্রদায়ের তথাকথিত আলেমরা।</div><div style="text-align: justify;">তারা বলে থাকেন যে, কলেমা তৈয়্যব একসাথে লিখলে তা শির্ক হবে!! তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন আল্লাহর পাশে প্রিয় নবী (ﷺ) নাম মোবারক লিখলে তা শির্ক হবে, তাই "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু" এর নিচে "মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ) লিখতে হবে!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তারা নাকি কোরআন হাদিসের কোথাও পবিত্র এই কলেমা একসাথে লেখা খুঁজেই পান না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই পবিত্র হাদিস শরীফ থেকে কিছু দলিল পেশ করছি, যাতে করে সাধারণ মানুষ সহীহ ধোঁকাবাজদের সহীহ ধোঁকা থেকে নিজেদের ঈমান-আমল হেফাজত করতে পারেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>দলিল নং ১</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তাঁর পিতা হযরত বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবু যার ও তাঁর চাচাতো ভাই নুআঈম রাসূল (ﷺ)-এর খোঁজে বের হলেন। আমিও তাঁদের সাথে ছিলাম। আর রাসূল (ﷺ) তখন পাহাড়ের আড়ালে ছিলেন। রাসূল (ﷺ)-কে পেয়ে আবু যার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমরা আপনার নিকট এসেছি আপনি কি বলেন তা শুনতে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আমি বলি – "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)। অতঃপর আবু যার ও তাঁর সঙ্গী তাঁর উপর ঈমান আনলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসটির সনদ নিয়ে কোন মুহাদ্দিস সমালোচনা করেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, আল-ইসাবা ফি তামিযিস সাহাবা, ৬/৩৬৫ পৃ:, ক্রমিক. ৮৮০৯} হাদিসটির সনদ সহীহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ২</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাবেয়ী আবু মিযলায (রাঃ) তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর ঝান্ডা ছিল কালো এবং পতাকা ছিল সাদা রঙের। এই পতাকায় লেখা ছিল "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: তাবারানী, আল-মুজামুল আওসাত, ১/৭৭ পৃ:, হা নং ২১৯, ইমাম হাইছামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৫/৩২১ পৃ:, হা নং ৯৬৩৯, আখলাকুননবী, আবুশ শাইখ আল আসবাহানী, ২/৪১৬ পৃ:, হা নং ৪২৪। হাদিসটির সনদ সহীহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৩</b><br></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর আংটির পাথরটি ছিল আবিসিনিয়া এলাকার। আর তার উপর লেখা ছিল, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)। উপরের প্রথম লাইন 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ', দ্বিতীয় লাইন 'মুহাম্মদ', তৃতীয় লাইন 'রাসূলুল্লাহ'।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: আবুল শাইখ আল আসবাহানী, আখলাকুননবী, ২/২৮২-২৮৩ পৃ:, হা নং ৩৩৫। হাদিসটির সনদ সহীহ।</div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৪</b><br></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, মিরাজের রাত্রে আমি বেহেশতে প্রবেশের প্রাক্কালে তার দুপাশে স্বর্ণাক্ষরে লেখা ৩ টি লাইন দেখতে পেলাম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. আমরা যা ভালো কর্ম পেশ করছি তা পেয়েছি, আর যা খেয়েছি তা থেকে উপকৃত হয়েছি, যা ছেড়ে এসেছি সে ব্যাপারে তা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩. উম্মত হলো গুনাহগার আর রব হলেন ক্ষমাশীল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ৩/৪২৯ পৃ:, হা নং ৫৩১৬, ইমাম সুবকী, তবাকাতুশ শাফিয়্যাহ, ১/১৫০ পৃ:, ইমাম সুয়ূতী, জামেউস সগীর, ১/৩৯৮ পৃ:, হা নং ৬৮০৮} এই হাদিসটির সনদ সহীহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৫</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, হযরত আদম (আঃ) যখন অপ্রত্যাশিতভাবে (ইজতেহাদি) ভুল করলেন তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, হে পরওয়ারদিগার! হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উসিলায় আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি মুহাম্মদ (ﷺ)-কে কিভাবে চিনেছো ? জবাবে আদম (আঃ) আরজ করলেন, হে আল্লাহ! আপনি স্বীয় কুদরতি হাত দ্বারা আমাকে সৃষ্টি করে আমার দেহের অভ্যন্তরে যখন আত্মা প্রবেশ করিয়ে ছিলেন, তখন আমি মাথা তুলে আপনার আরশের পায়ায় লেখা দেখেছিলাম, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)। আমি বুঝতে পারলাম, আপনি আপন নামের সাথে এমন একটি নাম মিলিয়ে রেখেছেন যেটি সমগ্ৰ সৃষ্টি জগতে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে আদম (আঃ) তুমি সত্য বলেছো। নিশ্চয় ঐ নাম সমগ্ৰ জাহানে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। যেহেতু তুমি সেই নাম নিয়েই আমার কাছে প্রার্থনা করেছ, সেহেতু আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। যদি মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন, আমি তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম হাকেম নিশাপুরী, আল মুস্তাদরাক, ২/৪৮৬ পৃ:, হা নং ৪২২৮, ইমাম হাকেম বলেন, হাদিসটির সনদ সহীহ, ইমাম তাবরানী, মু'জামুল আওসাত, ৬/৩১৩ হা নং ৬৫০২, ইমাম তাবরানী, মু'জামুস সগীর, ২/১৮২ পৃ:, হা নং ৯৯২, ইমাম ইবনে হাজার নুরুদ্দীন হায়সামী, মাযমাউদ যাওয়াইদ, ৮/২৫৩ পৃ:, ইমাম সুয়ূতী, খাসায়েসুল কুবরা, ১/১২ পৃ:, হা নং ১২, ইমাম ইবনে কাসীর, বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ১/১৮ পৃ:, ইমাম কাস্তাল্লানী</div><div style="text-align: justify;">, মাওয়াহিবুল ল্লাদুনীয়া, ১/৮২ পৃ:, ইমাম সুয়ূতী, তাফসীরে দুররে মানসুর, ১/১৪২ পৃ:, ইমাম বায়হাক্বী, দালায়েলুল নবুয়ত, ৫/৪৮৯ পৃ:, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী, নশরত্তীব, ২৮ পৃ:}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরো অসংখ্য কিতাবে এই হাদিস শরীফটি উল্লেখ করা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৬</b><br></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, জান্নাতের দরজায় লিখা আছে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম খতিবে বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, ৮/৩৮৭ পৃ:, ক্রমিক. ৩৮৭২, ইমাম আদি, আল-কামিল, ৭/২২৮ পৃ:, ক্রমিক. ১৬১৬, ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ২/২৫৭ পৃ:, হা নং ৩১৯৫} হাদিসটির সনদ সহীহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৭</b><br></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে আসাকীর (রাঃ) হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি মিরাজের রাতে আরশে লিখা দেখেছি, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" (ﷺ)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম সুয়ূতী, আদদুররুল মানসূর, ৫/২১৯ পৃ:, ইবনে আসাকীর, তারিখে দামেস্ক, ৩৯/৫১ পৃ:}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b style="font-family: sans-serif;">দলিল নং ৮</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম মুসলিম (রাঃ) সহীহ মুসলিম শরীফে একটি শিরোনাম কায়েম করেন। তা হলো, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে হত্যা করবে না যতক্ষণ না সে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" বলবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ১/৫১ পৃ:}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাহলে কি ইমাম মুসলিম (রাঃ) এই কলেমা সহীহ মুসলিম শরীফে লিখে শির্ক করেছেন ?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমার কাছে এই বিষয়ে আরো ১৮ টি সহীহ হাদিস মজুদ আছে।</div>

কলেমা তাইয়্যিবাকে শিরকী বাক্য বলার জবাব

কলেমা তাইয়্যিবা নিয়ে ইদানিং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন সহীহ ধোঁকাবাজ সম্প্রদায়ের তথাকথিত আলেমরা। তারা বলে থাকেন যে, কলেমা তৈয়্যব একসাথে ল...

Read more »

নবী-অলির স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত অর্জন করা কি জায়েজ ?

<div style="text-align: justify;">নবী-অলির স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত অর্জন করা কি জায়েজ ?<br></div><div style="text-align: justify;">🖋মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ রিজভী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সম্মানিত নবী-রাসূল, অলি-আউলিয়াদের স্মৃতিচিহ্ন যেমন- তাঁদের রেখে যাওয়া পান-পাত্র, টুপি, জামা, চুল, দাড়ি, ব্যবহৃত লাঠি, নামাজের মুসল্লা ইত্যাদি দ্বারা বরকত  অর্জন করার নিয়ম সেই সাহাবায়ে কেরামগণের আমল থেকে চলে আসছে। কিন্তু এখন শির্কের ফতোয়া দিয়ে সাধারণ সরলমনা মুসলমানদেরকে এসব পবিত্র বস্তু থেকে বরকত অর্জন করতে বাধা দিচ্ছে একদল সহীহ ধোঁকাবাজ গোষ্ঠী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাদের দাবি যে সম্পূর্ণ কোরআন-হাদিস বিরোধী তা আজ দলিল প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><u>দলিল নং ১</u></b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর জামার বরকতে অন্ধ পিতা হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর দৃষ্টি ফিরে এসেছিল। ইরশাদ হচ্ছে, তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও এবং এটি আমার পিতার চেহারার উপরে রেখে দাও। এতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: সূরা ইউসুফ, আয়াত ৯৩}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ২</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাবাকাতে ইবন সা'দে রয়েছে: হযরত ইবন উমর (রাঃ) নবী (ﷺ)-এর মিম্বরে হাত রাখলেন। অতঃপর তিনি তাঁর হাতকে নিজের মুখমণ্ডলের উপরে রাখলেন। এটি কেবল বরকত অর্জনের জন্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: আল-উসূলুল আরবায়া, পৃ: ২৪}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৩</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা মাহমুদী লিখেছেন, গারফী কিতাবুল ইলালে ওয়াস সুয়ালাতে লিখেছেন- হযরত আব্দুল্লাহ তাঁর পিতাকে প্রশ্ন করে ছিলেন যে, কোন ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর মিম্বর স্পর্শ করেছে তার থেকে বরকত নেয়ার জন্য অথবা চুমু দিল এবং সে এভাবে রাসূল (ﷺ)-এর রওজায়ও করলো, তাঁর উদ্দেশ্য আল্লাহর সওয়াব অর্জন করা। এমন করা জায়েজ কি না ? তিনি বললেন, এতে কোন অসুবিধা বা আপত্তি নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: ওয়াফাউল ওয়াফা, পৃ: ৪৪৩}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৪</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪ মাযহাবের ইমামগণের প্রত্যেকেই এই ধরনের বরকত নেয়াকে মুস্তাহাব বলেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহঃ) লিখেছেন, হযরত হাফিজ মাইনুল আবেদীন (রহঃ) বলেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন হযরত আবূ সাঈদ আলায়ী (রহঃ) তিনি বলেন, আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রাঃ)-এর পুরনো একটি কিতাবের অংশে ইবন নাসের এবং অন্যান্য হাফিজে হাদিসের লিখিত একটি বাণী দেখেছি, তাতে লেখা আছে যে, ইমাম আহমদ (রাঃ)-কে প্রিয় রাসূল (ﷺ)-এর রওজা ও মিম্বর চুম্বন করা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেছেন, এতে কোন অসুবিধা নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: উমদাতুল কারী, খন্ড ৪, পৃ: ৬০৭}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাহাবীগণ বরকত অর্জনের জন্য তাঁদের নিকট রাসূল (ﷺ)-এর স্মৃতিচিহ্ন-গুলো সংরক্ষণ করতেন এবং মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হতো। যেমন- হযরত মা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট রাসূল (ﷺ)-এর একটি পশমের কম্বল ছিল। তিনি কখনো কখনো জিয়ারত ও বরকতের জন্য তা বের করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৫</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ বুখারীতে এসেছে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আবু বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা (রাঃ) আমাদের সামনে রাসূল (ﷺ)-এর পশম বা জিনের কম্বল বের করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, পৃ: ৪৩৮}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৬</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস (রাঃ)-এর নিকট রাসূল (ﷺ)-এর না'লাইন-জুতা মোবারকদ্বয় রক্ষিত ছিল। তিনি জিয়ারত ও বরকতের উদ্দেশ্য তা বের করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস (রাঃ) আমাদের সামনে রাসূল (ﷺ)-এর খাল জড়ানো সেন্ডেল মোবারক বের করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, পৃ: ৪৩৮}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৭</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ)-এর নিকট রাসূল (ﷺ)-এর পেয়ালা মোবারক সংরক্ষিত ছিল। তিনি এই পেয়ালা দ্বারা বরকত লাভের জন্য পানি পান করাতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ বুখারীতে এসেছে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আবূ বুরদা (রাঃ) বলেন, আমাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন সালাম বলেন, আমি কি আপনাকে সেই পাত্রে পানি পান করাবো না, যাতে করে রাসূল (ﷺ) পানি পান করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, পৃ: ৮৪২}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পরবর্তীতে এই পবিত্র পেয়ালাটি উমাইয়া খলীফা দ্বিতীয় উমর হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীযের হাতে আসে। তিনি বরকতের জন্য এটি বের করে দেখাতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৮</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট রাসূল (ﷺ)-এর পবিত্র দাড়ি মোবারক সংরক্ষিত ছিল। রোগ থেকে মুক্তির জন্য এই দাড়ি মোবারকের ভেজা পানি পান করানো হতো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, খন্ড ২, পৃ: ৮৪৫}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-family: sans-serif;"><b><u>দলিল নং ৯</u></b></span><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিসের সম্রাট ইমাম বুখারী (রাঃ) ইন্তেকালের পর তাঁর দেহ মোবারক কবরে রাখার সাথে সাথে কবরের মাটি মেশক আম্বরের সুগন্ধিতে সুগন্ধ হয়ে গেল। মানুষ বরকত লাভের আশায় কবরের মাটি নিজ নিজ ঘরে নিয়ে যেতে শুরু করল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম বুখারী (রাঃ) ২৫৬ হিজরী সনে ইন্তেকাল করেছেন। তখন আব্বাসীদের শাসনামল চলছিল, চতুর্দিকে ব্যাপক জ্ঞানের প্রসার ছিল। এবং অসংখ্য মুহাদ্দিস আলেম উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কেউ ইমাম বুখারীর মাজার থেকে বরকতের জন্য মাটি নেয়াকে না জায়েজ বলেননি এবং বেদাতও বলেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম বুখারী (রাঃ)-এর মাজার থেকে বরকতের জন্য মাটি নেয়া এবং প্রিয় রাসূল (ﷺ)-এর ব্যবহৃত স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত অর্জন করা শির্ক নয়, বরং শরীয়ত সম্মত এবং বরকতের আমল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">{রেফারেন্স: আল-উসুলুল আরবায়া ফী তারদীদিল ওহাবিয়া, পৃ: ২৪-২৬}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখিত দলিলাদি দ্বারা প্রমাণ হলো যে, নবী-রাসূল এবং অলি-আউলিয়াদের স্মৃতিচিহ্ন দ্বারা বরকত অর্জন করা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ জায়েজ এবং তা শুধুমাত্র জায়েজই নয় বরং তা হচ্ছে সুন্নাতে সাহাবা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ ধোঁকাবাজরা সহীহ বুখারীর মুরিদ কিন্তু যখন বুখারী শরীফের কোন দলিল তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে  যায় তখন তারা আর বুখারীর মুরিদ থাকে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তখন পারলে তারা বুখারীকেও ৩ তালাক দেয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ ধোঁকাবাজরা মূলত মুসলমানদেরকে নবী-অলিদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। কারণ তারা ইহুদীদের এজেন্ট। ইহুদীদের নীল-নকশা বাস্তবায়ন করতেই তারা বেদাত, শির্কের ভোতা অজুহাত দিয়ে সহজ সরল ধর্ম-প্রাণ মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ ধোঁকাবাজদের সহীহ ধোঁকা থেকে রক্ষা করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#_আমিন!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div>

নবী-অলির স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত অর্জন করা কি জায়েজ ?

নবী-অলির স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত অর্জন করা কি জায়েজ ? 🖋মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ রিজভী সম্মানিত নবী-রাসূল, অলি-আউলিয়াদের স্মৃতিচিহ্ন যেমন- তাঁদের...

Read more »