পার্লারে মেয়েদের চুল কাটার শরয়ী বিধান কী?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div style="text-align: justify;"> প্রশ্নঃ- আজকাল পার্লারে মেয়েরা যেভাবে চুল কাটে যেমন সামনে ছোট ছোট করে, কিংবা ইউ কাট, ভি কাট, লেয়ার কাট এজাতীয় সকল স্টাইলে চুল কাটার ব্যাপারে শরয়ী কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা? আর এভাবে চুল কাটার দ্বারা মূলত সৌন্দর্য ও বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে শরয়ী বিধান কী হবে?</div> <div style="text-align: justify;"> 🖋Salma Ahmed Essa</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উত্তরঃ- বাস্তবতা হল, ইউ কাট, ভি কাট, লেয়ার কাট ইত্যাদি স্টাইলে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে, এসব স্টাইল মুসলিম সমাজের নারীদের মাঝে ফ্যাশন হিসেবে ব্যপকহারে অনুপ্রবেশ করেছে; এর কারণে এসব স্টাইল জায়েয হয়ে যাবে না। কেননা ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। (আবু দাউদ- ৪০৩১)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> অপর হাদীসে এসেছে,</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا، لَا تَشَبَّهُوا بِاليَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> যে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য বা মিল রেখে চলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (তিরমিযী- ২৬৯৫)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আর মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করা, যেমন সামনের চুল ছোট করা এবং অন্যগুলো রেখে দেওয়া– এটি ‘কুযা’ এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে সাব্যস্ত হাদীসে এসেছে যে, তিনি বলেন, نهى رسول الله ﷺ عن القزع রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী- ৫৯২১, মুসলিম- ২১২০)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> তাছাড়া এধরণের এই চুল কাটার কারণে মহিলাদেরকে পুরুষের মত মনে হয়।  আর মহিলাদের পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ নাজায়েয। ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ مِنْ الرِّجَالِ، وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنْ النِّسَاءِ ، وَقَالَ: أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলুল্লাহ ﷺ ওই পুরুষদের লানত করেছেন, যারা মহিলাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে। এবং ওই মহিলাদের লানত করেছেন, যারা পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে৷ এবং তিনি আরও বলেন, তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও। (বুখারী- ৫৮৮৫)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আর যেহেতু এভাবে চুল কাটা বেদ্বীন ও বিধর্মীদের বৈশিষ্ট্য; কোন রুচিশীল, সুষ্ঠ চরিত্রের মানুষের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই কোন মুসলামানের এ শ্রেণীর লোকেদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> দ্বীতিয়ত হলো-  মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: red;">১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা চুল লম্বা রাখতেন। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: blue;">২. এ পরিমাণ ছোট করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000;">৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। </span>অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরিতবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে, তবে তা পুরুষের সাথে সাদৃশ্য নাহয় মত। (সহীহ বুখারী- ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী- ১/১০৩; সহীহ মুসলিম- ১/১৪৮)</div> </div> </div>

পার্লারে মেয়েদের চুল কাটার শরয়ী বিধান কী?

প্রশ্নঃ- আজকাল পার্লারে মেয়েরা যেভাবে চুল কাটে যেমন সামনে ছোট ছোট করে, কিংবা ইউ কাট, ভি কাট, লেয়ার কাট এজাতীয় সকল স্টাইলে চুল কাটার ব্যাপ...

Read more »

দরসে হাদিসঃ আল্লাহর দয়া ও বান্দার পাপ গোপন রাখা

<div style="text-align: justify;">হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, <br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَاهرة أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً ، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا ، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“আঁমার উম্মতের সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হবে।তবে ঐ সকল লোককে ক্ষমা করা হবে না যারা পাপ করার পর তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দেয়।অন্যের নিকট প্রকাশ করার একটি দিক হল, কোন ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোন গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ তার পাপটা গোপন করে রাখলেন।কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের নিকট বলল,হে উমুক,জানো,রাতে আমি এই এই কাজ করেছি।সারা রাত আল্লাহ তার পাপটাকে ঢেকে রেখেছিলেন কিন্তু ভোর হলে নিজেই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি প্রকাশ করে দিল।”</div><div style="text-align: justify;">[সহীহ বুখারী,অনুচ্ছেদ: ঈমানদার ব্যক্তির নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা,হা/৫৬০৮]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>নিশ্চয়ই আমি আপনার উম্মতের ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট করে দিব, আপনাকে অসন্তুষ্ট করব না।"</div><div>-------------------------------------------------</div><div>একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনে ইবরাহীম (আঃ) এর দু'আ সম্বলিত আয়াতঃ "হে আমার প্রতিপালক। এ সকল প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সে আমার দলভুক্ত। আর যে আমার অবাধ্য হবে তুমি তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"— (সূরা ইবরাহীম ১৪ঃ ৩৬) তিলাওয়াত করেন। আর "ঈসা (আঃ) বলেছেনঃ “তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়"- (সূরা আল মায়িদাহ ৫ঃ ১১৮)। তারপর তিনি তার উভয় হাত উঠালেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আমার উম্মত, আমার উম্মত! আর কেঁদে ফেললেন।</div><div>তখন মহান আল্লাহ বললেন, হে জিবরীল! মুহাম্মাদ (ﷺ) এঁর নিকট যাও, তোমার রব তো সবই জানেন তাকে জিজ্ঞেস কর, তিনি কাঁদছেন কেন? জিবরীল (আঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছিলেন, তা তাকে অবহিত করলেন। আর আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ। তখন আল্লাহ তা'আলা বললেন, হে জিবরীল! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও এবং তাকে বল, “নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) আপনার উম্মতের ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট করে দিব, আপনাকে অসন্তুষ্ট করব না"।</div><div>▪[সহীহ মুসলিম ৩৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৩]</div><div><br></div><div>হাদীস শরীফে ইরশাদ-</div><div><br></div><div>كُلّ ابْنِ آدَمَ خَطّاءٌ وَخَيْرُ الخَطّائِينَ التّوّابُونَ.</div><div><br></div><div>প্রতিটি বনী আদম ‘খাত্তা’-বারংবার পাপকারী। তবে ‘খাইরুল খাত্তাঈন’ অর্থাৎ পাপকারীদের মধ্যে উত্তম হল তারা, যারা ‘তাওয়াবূন’ অর্থাৎ যারা বেশি বেশি তওবা করে; গোনাহ হলেই তওবা করে নেয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৯৯</div><div><br></div><div>হাদীসে কুদসীতে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন-</div><div><br></div><div>إِذَا هَمّ عَبْدِي بِحَسَنَةٍ وَلَمْ يَعْمَلْهَا، كَتَبْتُهَا لَهُ حَسَنَةً، فَإِنْ عَمِلَهَا كَتَبْتُهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ، وَإِذَا هَمّ بِسَيِّئَةٍ وَلَمْ يَعْمَلْهَا، لَمْ أَكْتُبْهَا عَلَيْهِ، فَإِنْ عَمِلَهَا كَتَبْتُهَا سَيِّئَةً وَاحِدَةً.</div><div><br></div><div>বান্দা যখন কোনো নেক কাজের ইচ্ছা করে, উক্ত নেক কাজ না করলেও (এ ইচ্ছার কারণে) একটি নেকী লেখা হয়। যদি সে নেক কাজটি করে তাহলে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত নেকী লেখা হয়। আর যখন কোনো গোনাহের ইচ্ছা করে, কিন্তু ওই পাপ কাজটি করে না; তখন (এ ইচ্ছার কারণে) কোনো গোনাহ লেখা হয় না। হাঁ, যদি ওই পাপ কাজটি করে বসে তখন মাত্র একটি পাপ লেখা হয়। -</div><div>▪সহীহ মুসলিম, হাদীস ১২৮</div><div><br></div><div>পৃথিবী-ভর্তি পাপও তিনি ক্ষমা করেন</div><div><br></div><div>(হাদীসে কুদসী) আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা বলেছেন-</div><div><br></div><div>يَا ابْنَ آدَمَ إِنّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السّمَاءِ ثُمّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ، وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ إِنّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً.</div><div><br></div><div>বনী আদম! তুমি যতক্ষণ আমাকে ডাকতে থাকবে, আমার কাছে (ক্ষমার) আশা করতে থাকবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব; কোনো পরোয়া করব না।</div><div><br></div><div>বনী আদম! তোমার পাপরাশি যদি মেঘমালা পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি ক্ষমা করে দিব; কোনো পরোয়া করব না।</div><div><br></div><div>বনী আদম! তুমি যদি পৃথিবী-ভর্তি পাপ নিয়ে আমার কাছে আস এবং শিরক থেকে মুক্ত হয়ে আমার সাথে সাক্ষাৎ কর আমি পৃথিবী-ভর্তি ক্ষমা নিয়ে তোমার সাথে সাক্ষাৎ করব।</div><div>▪জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৪০</div><div><br></div></div>

দরসে হাদিসঃ আল্লাহর দয়া ও বান্দার পাপ গোপন রাখা

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে,  كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَاهرة أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَ...

Read more »

হায়া সোফিয়া মসজিদের প্রাচীনতম ইতিহাস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> "হায়া সোফিয়া তো প্রথমে গীর্জা ছিল! খ্রিষ্টানদের চেয়ে মুসলমানদের কাছে এটি তুলনামূলক কম সময়ই ছিল, তাহলে কেন? কোন বিচারে একে মসজিদে রূপান্তর করা হলো? কামাল পাশা একে জাদুঘরে রূপান্তর করেছেন এতে ভুল কি হলো? এটা কি বেয়াইনি নয়?" অন্যান্য ধর্মের প্রতি আদালতের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত ছিল। ইত্যাদি নানান অভিযোগ ছুঁড়ে নামধামী সুশীল সমাজ আর বিকৃত ইসলামী বিদ্বেষী মিডিয়াগুলো 🤕 তারা কষ্টে জ্বলে-পুরে ছাড়খার। তাদের সব প্রশ্নের জবাব এই মসজিদের ইতিহাস ছোট্ট করে তুলে ধরছি।</div> <div style="text-align: justify;"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjKD6e5NxqUqY-VgwAfZ4cD-9sFN5p5BImU3-kU2GtNmCiY4ygicSIWzM_AuMhTP5Hz5Yums6TZKexKl3fzBJl_Lm4XT8aW4ai749_bNYTFE0yw7_m_B7r5wA0t3OP3F5aqblQAowYMDNo/s1600/IMG_ORG_1594480738521.jpeg" imageanchor="1"><img alt="" border="0" data-original-height="638" data-original-width="552" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjKD6e5NxqUqY-VgwAfZ4cD-9sFN5p5BImU3-kU2GtNmCiY4ygicSIWzM_AuMhTP5Hz5Yums6TZKexKl3fzBJl_Lm4XT8aW4ai749_bNYTFE0yw7_m_B7r5wA0t3OP3F5aqblQAowYMDNo/s1600-rw/IMG_ORG_1594480738521.jpeg" width="346" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3EytOzVj15A6PmsynfSgJipStT9HhyFmAf3_tsv0pgAWajbOQtCRxqYFAHUTvvKKuo2hxUn3a9MTCeul78HLN-9FzLhdCxYc5wrxAkFOs3ZotYtKyAHjXmjZ6gltHGTKVrDMuzYpy8fg/s1600/IMG_ORG_1594480756732.jpeg" imageanchor="1"><img alt="" border="0" data-original-height="540" data-original-width="544" height="397" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3EytOzVj15A6PmsynfSgJipStT9HhyFmAf3_tsv0pgAWajbOQtCRxqYFAHUTvvKKuo2hxUn3a9MTCeul78HLN-9FzLhdCxYc5wrxAkFOs3ZotYtKyAHjXmjZ6gltHGTKVrDMuzYpy8fg/s1600-rw/IMG_ORG_1594480756732.jpeg" width="400" /></a></div> <br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এমন ধারণা প্রচারকারী স্যাকুলারদের শান্তনা জানিয়ে উক্ত পোস্টটি কপি করলাম🥴😏</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পত্রপত্রিকায় আয়া সোফিয়ার ঘটনা পড়ে কিছু দ্বিধা তৈরি হয়েছিল‍। বর্তমান জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের গ্রাউন্ড কী? বলা হচ্ছে, আগে এটি মসজিদ ছিল‍। কিন্তু তারও আগে ছিল গির্জা‍। ইনফ্যাক্ট, এটার নির্মান হয়েছিল খ্রিষ্টীয় ধর্মের স্থাপনা হিসেবে‍। তাহলে মসজিদে থেমে যাওয়া কি এরদোয়ানের সুলতানি অভিলাষের রাষ্ট্রীয় দখলদারিত্ব? এটা যদি নায্য হয়, তবে অন্য কেউ ক্ষমতা পেলে তার আদর্শিক স্থাপনায় রূপান্তর করা কি একইরকম যুক্তিযুক্ত মনে হবে?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বিষয়টি সম্পর্কে জানতে তুরস্কে পিএইচডি গবেষক (জাহিদুল ইসলাম) ভাইয়ের সঙ্গে সকালে কথা বললাম‍। তিনি এটার ইতিহাস ও আদালতের রায় সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য জানালেন‍। আমি নিজের মতো সেগুলো উল্লেখ করছি‍।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">প্রথমত, ৫৩৭ সালে আয়া সোফিয়া গির্জা হিসেবে নির্মিত হয়েছিল‍। খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন উপভাগের অধীনে এটার কর্তৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে‍।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">দ্বিতীয়ত, অটোমান সাম্রাজ্যের ইস্তানবুল বিজয়ের পরে ফাতিহ সুলতান মেহমেদ স্থাপনাটি খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে নিজের টাকায় কিনে নেন‍। যুদ্ধজয়ী বীর মেহমেদ চাইলে বিজিত স্থাপনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় দখলে নিতে পারতেন‍। কিন্তু তিনি এটাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ক্রয় করেন‍। খ্রিষ্টান উপাসকরা এটি বিক্রি করার মাধ্যমে সমস্ত দাবি ছেড়ে দিয়েছেন‍। তুরস্কের অন্যান্য গির্জা খ্রিষ্টানদের প্রার্থনাগার হিসেবে চালু ছিল‍।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">তৃতীয়ত, ১৪৫৩ সালে ফাতিহ সুলতান মেহমেদ তার এই ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে মসজিদে রূপান্তর করেন‍। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষতিসাধন না করে নামাজের উপযোগী করতে মূর্তিগুলো সাদা কাপড়ে ঢেকে দেন‍‍। পরবর্তীতে আরও সংস্কার সাধন করেন এবং ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে উইল করেন‍। ওয়াকফ বোর্ড, সরকার বা অন্য কারও পক্ষে এটার হস্তান্তর, বিক্রয় ও পরিবর্তন নিষিদ্ধ করেন‍।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">চতুর্থত, ১৯৩৫ সালে কামাল আতাতুর্ক এখতিয়ারবহির্ভূত কর্তৃত্বে আয়া সোফিয়া মসজিদকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন‍। ব্যক্তিগত ওয়াকফ সম্পত্তিকে রাষ্ট্রীয় দখলদারিত্বে পরিবর্তন করা ছিল আতাতুর্কের সেক্যুলার গুন্ডামি‍। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">পঞ্চমত, ২০২০ সালে তুরস্কের আদালত কামাল আতাতুর্কের ওই পদক্ষেপকে বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করেছে‍।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">ষষ্ঠত, আয়া সোফিয়ার উপরে গির্জার কোনো দাবিই নেই‍। ওটার মিউচুয়াল মিমাংসা হয়ে গেছে বহু আগে‍। আর জাদুঘর বনাম মসজিদ বিতর্কেও আদালতের এসেছে‍। তুর্কি জনগণের প্রতি অন্যায়ের বিচার হয়েছে, তাদের অধিকার কায়েম হয়েছে‍।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: red;">Writer: তানিম ইশতিয়াক</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: red;">copy :Mohammed Shah J. Meshkat</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

হায়া সোফিয়া মসজিদের প্রাচীনতম ইতিহাস

"হায়া সোফিয়া তো প্রথমে গীর্জা ছিল! খ্রিষ্টানদের চেয়ে মুসলমানদের কাছে এটি তুলনামূলক কম সময়ই ছিল, তাহলে কেন? কোন বিচারে একে মসজিদে রূপা...

Read more »