দান সদকাহ করার আদব

<div><p><b><span style="border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [<a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14">Download</a>]</span></b></p><div class="separator" style="clear: both;"><div dir="ltr"><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;" target="_blank"><span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><img border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" height="331" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/w640-h331-rw/1000017281.jpg" width="640" /></span></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br style="background-color: white;" /></div></b></div></div></div><div>দান সদকাহ করার আদবঃ</div><div>১. হালাল সম্পদ থেকে দান করা।(সহীহ মুসলিমঃ২২৪)</div><div>২. প্রতিদিন সামান্য হলেও দান করা।</div><div>(সহীহ বুখারীঃ১৩৫১)</div><div>৩. নিকটাত্মীয়দের থেকে দান শুরু করা।</div><div>(সহীহ বুখারীঃ১৪২৬)</div><div>৪. এমন গোপনে দান করা যেন, ডান হাতে দান করলে বাম হাতে টের না পায়।(সহীহ বুখারীঃ ৬৬০)</div><div>৫. দান করে কাউকে খোঁটা না দেওয়া।</div><div>(সহীহ্ মুসলিমঃ১০৬)</div>

দান সদকাহ করার আদব

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [ Download ] দান সদকাহ করার আদবঃ ১. হালাল সম্পদ থেকে দান করা।(সহীহ মুসলিমঃ২২৪) ২. প্রতিদিন সামান্য হলেও দা...

Read more »

আলী (রা.) এর মদ্যপান নিয়ে আবু দাউদের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য?

<div style="text-align: justify;">বিষয়: আবু দাউদের হাদিস নিয়ে কিছু কথা!</div><div style="text-align: justify;">কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আকিব</div><div style="text-align: justify;">অনলাইন এক্টিভিস্ট, বাংলাদেশ। </div><div style="text-align: justify;">সুনানে আবু দাউদের হাদিস:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যাদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে (সনদ):</div><div style="text-align: justify;">মুসাদ্দাদ–ইয়াহিয়া–সুফিয়ান–আতা ইবনে সায়েব–আবু আব্দুর রহমান সুলামী রাহিমাহুমুল্লাহ–মাওলায়ে কায়েনাত মাওলা আলী রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মূল ভাষ্য:</div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত: এক আনসারী ব্যক্তি তাঁকে এবং আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-কে দাওয়াত করলেন। তাতে মদ হারাম হবার পূর্বে উভয়ই মদ্যপান করলেন। অতঃপর আলী (রা.) মাগরিব নামাজের ইমামতি করলেন এবং পাঠ করলেন (কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন)। তারপর তাতে উলট-পালট করে ফেললেন। তাৎক্ষণিক এ আয়াতটি নাজিল হলো: হে ইমানদারগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না' (সুনানে আবু দাউদ, ৩৬৭৩)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস দিয়ে শেরে খোদা মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক মদ পানের পক্ষে একচেটিয়া দলিল দেয়া হয়েছে। হুকুমের ক্ষেত্রে এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা একদম স্পষ্ট করা হয় নি। এ যেন অনেকটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা! </div><div style="text-align: justify;">ব্যাপারটা 'দুধ কা দুধ পানি কা পানি'র মত পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যেই মূলত আমি গুনাহগারের এই লেখাটা। এ লেখা থেকে 'ডেটল শিউর' জানা যাবে, হাদিসটির সনদে কোন বর্ণনাকারীকে নিয়ে 'কী কথা' আছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি উপরোক্ত হাদিসের সনদটার দিকে একটু তাকাই, তাহলে দেখতে পাই, এতে বর্ণনাকারী হিসেবে একজন 'সুফিয়ান' আছেন। তিনি বর্ণনা করেছেন উস্তাদ আতা ইবনে সায়েব থেকে। আর ইলমে হাদিসে প্রসিদ্ধ 'সুফিয়ান' আছে মোট দু'জন। এক, সুফিয়ান সাওরী, অন্যজন সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা। দু'জনেই আবার প্রাগুক্ত আতা ইবনে সায়েবেরই শাগরেদ। মানে, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন এ দুই সুফিয়ান। প্রথমজনের ব্যাপারে হাদিস বিশেষজ্ঞদের সার্বজনীন অভিমত হচ্ছে, 'আতা ইবনে সায়েব থেকে সুফিয়ান সাওরীর হাদিস সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য'। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আবু দাউদের এই সনদে যেই 'সুফিয়ান' আছেন, তিনি কি সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য খ্যাত সে-ই 'সুফিয়ান' সাওরী, না অপর 'সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'। ব্যাপারটা দ্রুত স্পষ্ট করা দরকার। তার আগে বলে রাখি, আবু দাউদের মূল কিতাবে 'সুফিয়ান' বলতে বাস্তবে কোন সুফিয়ানকে বোঝানো করা হয়েছে, তা ইমাম আবু দাউদ নিজ কলমে স্পষ্ট করে যান নি। সেজন্য যেটুকু আমাদের সামনে স্পষ্ট হবে, সেটুকু হয়ত শুধুমাত্র আবু দাউদেরই কোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে, নয়ত অন্যকোনো টিকা বা তাহকীক থেকে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক্ষেত্রে, মুবারকপুরীর মত বেশ ক'জন সালাফি ঘরানার আলেমের আধুনিক টিকা ও ব্যাখ্যাগ্রন্থে উক্ত সনদের 'সুফিয়ান' হিসেবে 'সুফিয়ান সাওরী'র নামই উল্লেখ করা আছে। তার বিপরীতে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.)-এর জগৎবিখ্যাত শিষ্য, সুফি, মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে রাসলান (রহ.) লিখিত আবু দাউদের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থে এসেছে, 'এই সুফিয়ান বলতে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা— সুফিয়ান সাওরী উদ্দিষ্ট নন'। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একদিকে, আধুনিক ও সালাফি ঘরানার কিছু আলেমের মন্তব্য, অন্যদিকে ছয়শত বছর আগেকার প্রাচীন, প্রসিদ্ধ ইমাম ইবনে রাসলানের বক্তব্য— সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কোনটা মানবেন? যারা সালফে সালেহীনের প্রতি নির্ভর করেন, তারা সন্দেহাতীতভাবে একথাই বলবেন, 'আতা ইবনে সায়েব থেকে এখানকার বর্ণনাকারী সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য 'সুফিয়ান সাওরী' নন; বরং তিনি সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'। কারণ, তা আল্লামা ইবনে রাসলান নিজ বক্তব্যে স্পষ্ট করে গেছেন। আবু দাউদের এই বর্ণনাকারী 'সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'— এটাই পাকা সিদ্ধান্ত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এবার প্রশ্ন থাকতে পারে, আতা ইবনে সায়েব থেকে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার এই হাদিস কতটুক গ্রহণযোগ্য হবে? অপরদিকের নির্ভরযোগ্য সুফিয়ান সাওরীর 'মদপান না করা'র হাদিসের বিপরীতে দাঁড়িপাল্লায় এটা কতটুক ভারী হতে পারে? (মদপান না করার হাদিসটি ইমাম হাকেম তাঁর মুস্তাদরাক গ্রন্থে সুফিয়ান সাওরী থেকে সর্বাধিক বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসমাউর রিজালের কিতাব অন্বেষণ করলে দেখা যায়, আতা ইবনে সায়েব থেকে 'সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'র বর্ণনা ইমাম হুমাইদী ছাড়া আর কেউ হুজ্জত হিসেবে গ্রহণ করেন নি। আতা ইবনে সায়েব থেকে যে সাতজনের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য বলে ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে 'সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'র নাম নেই। সে হিসেবে আতা ইবনে সায়েব থেকে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার এই বর্ণনা অগ্রহণযোগ্য। উপরের আলোচনা থেকে দুটি জিনিস প্রমাণিত।</div><div style="text-align: justify;">১. আবু দাউদের বর্ণনায় সুফিয়ান বলতে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা উদ্দেশ্য।</div><div style="text-align: justify;">২. আতা ইবনে সায়েব থেকে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার বর্ণনা মুহাদ্দিসগণের হুজ্জত নয়; বিধায় আবু দাউদের ঐ সনদের ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণ কথা বলেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে জগৎবিখ্যাত হাদিস বিশেষজ্ঞ ইমাম মুনজিরীর বক্তব্যটাই প্রণিধানযোগ্য। নিজ সংকলন 'মুখতাসার আবু দাউদ'-এ মদ্যপান করা না করা সম্পর্কিত হাদিসগুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন: "এই হাদিসগুলোর সনদের মধ্যে ভিন্নতা হচ্ছে, সেগুলো আতা ইবনে সায়েব থেকে সুফিয়ান সাওরী এবং আবু জাফর রাজী 'মুসনাদ' সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, ইবরাহিম ইবনে তাহমান এবং দাউদ ইবনে জিবরিকান— এ ৩ জন 'ইরসাল' করেছেন, অর্থাৎ 'মুরসাল' সূত্রে বর্ণনা করেছেন"। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বুঝা গেল, ইমাম মুনজিরীর মতে, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার বর্ণনা অর্থাৎ, আবু দাউদের এই হাদীসটি 'মুরসাল' এবং তার বিপরীতে ইমাম হাকেমের 'মুসতাদরাক' গ্রন্থে সুফিয়ান সাওরীর সূত্রে বর্ণিত সেই হাদিসটি 'মুসনাদ'— যেখানে মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিয়াল্লাহু আনহু'র মদপান ও ইমামতির কথা নেই। সেই হিসেবে 'মুরসাল' বর্ণনার বিপরীতে 'মুসনাদ' হাদীস গ্রহণ করাই উসুলে হাদিসের নীতি। সুতরাং মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ পান করেন নি, এটাই উসুলে হাদিসের নীতির আলোকে প্রমাণিত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এবার সালাফি ঘরানার লেখকদের তথ্য বিকৃতির 'ভয়ংকর চিত্র' দেখুন। ইমাম মুনজিরী যে সুফিয়ান সাওরীর বর্ণনাকে 'মুসনাদ' বলে অভিহিত করেছেন, যার দ্বারা মাওলা আলী শেরে খোদা আলী মর্তুজা রাদিয়াল্লাহু আনহু'র মদ পান না করা প্রমাণিত হয়; সেই সুফিয়ান সাওরীর বর্ণনাটাকে ইমাম মুনজিরীর রেফারেন্স দিয়েই তারা 'মুসনাদে'র পরিবর্তে উল্টো 'মুরসাল' উল্লেখ করেছে। এবং সুফিয়ান সাওরীর বর্ণনাটাকে 'মুরসাল' বলা মানে, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু'র মদ পান না করার হাদিসকে দুর্বল প্রমাণ করা। এটাকে দুর্বল প্রমাণ করতে পারলেই তার বিপরীতে মদ পান করার হাদীসটা 'অটোমেটিক গ্রহণযোগ্য' হয়ে উঠবে!</div><div style="text-align: justify;">মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ পান করেছেন, একথা প্রমাণ করার জন্য মুবারকপুরী গংরা আবু দাউদের হাদিস নিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে দুটি হাস্যকর খেয়ানত করেছে। </div><div style="text-align: justify;">১. 'সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা'কে 'সুফিয়ান সাওরী' বলে চালিয়ে দিয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">২. সুফিয়ান সাওরীর যে বর্ণনাকে ইমাম মুনজিরী 'মুসনাদ' বলেছেন, সে-ই বর্ণনাকে তারা 'মুরসাল' সাজিয়ে উল্লেখ করেছে। তাও আবার ইমাম মুনজিরীর তথ্যটা বিকৃত করে!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই খেয়ানতের ফলাফল সুস্পষ্ট:</div><div style="text-align: justify;">১. মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান না করা সংক্রান্ত সুফিয়ান সাওরীর সর্বাধিক সহি ( اصح ) স্বীকৃত হাদিসকে 'দুর্বল' বানানো।</div><div style="text-align: justify;">২. এবং তার বিপরীতে মদ পান করা সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে 'অটোমেটিক গ্রহণযোগ্য' করে তোলা।</div><div style="text-align: justify;">এটাও সালাফীদের একটা ষড়যন্ত্র নয় তো! هذا ما عندي و العلم عند الله</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: যুগে যুগে শিয়াদের হাতে যেমন সাহাবায়ে কেরামের সম্মান আক্রান্ত হয়েছে, অনুরূপভাবে খারেজী-সালাফীরা আবহমান কাল ধরে আহলে বাইতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।</div>

আলী (রা.) এর মদ্যপান নিয়ে আবু দাউদের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য?

বিষয়: আবু দাউদের হাদিস নিয়ে কিছু কথা! কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আকিব অনলাইন এক্টিভিস্ট, বাংলাদেশ।  সুনানে আবু দাউদের হাদিস: যাদের মাধ্যমে বর্ণিত হ...

Read more »

তিরমিজিতে বর্ণিত আলী (রা.) এর মদ্যপানের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য?

<div style="text-align: justify;">Revision in "Facebook Class" (পড়ুন এবং শেয়ার করুন) </div><div style="text-align: justify;">বিষয়: তিরমিজিতে বর্ণিত মদ্যপানের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য? </div><div style="text-align: justify;">কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আকিব </div><div style="text-align: justify;">অনলাইন এক্টিভিস্ট, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;">তিরমিজী শরীফের ঐ হাদিসটি, যাতে আলী (রা.)-এর মদ্যপানের কথা উল্লেখ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এলমে হাদিসের কষ্টিপাথরে দেখা যায়– বর্ণনাটিতে রাবিগণের সবাই নির্ভরযোগ্য। তাই ইমাম তিরমিজী অকপটে বলে দিয়েছেন– হাদিসটি হাসান সহিহ গরীব। হয়ত: ইমাম তিরমিজীর দৃষ্টিতে বর্ণনাকারীদের মধ্যে কোনো ত্রুটি ছিল না, বা থাকলেও তা চোখে পড়ে নি। কিন্তু অন্য মুহাদ্দিসগণের চোখে সেই হাদিসের বর্ণনাকারীরা দেখতে কেমন? তারা কি সকলক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য? তাদের ব্যাপারে কি মুহাদ্দিসকুলে বিন্দুমাত্রও কোনো প্রশ্ন নাই? জানতে হলে একেবারে শেষপর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এই লেখাটি। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চলুন, প্রথমে জেনে নিই, হাদিসটিতে বর্ণনাকারী হিসেবে আছেন কারা? কার কার নাম লিপিবদ্ধ আছে বর্ণনার ফিরিস্তিতে। যথাক্রমে বলতে গেলে যাঁদের নাম আসে, তারা হলেন– 'আবদ ইবনে হুমাইদ, আব্দুর রহমান ইবনে সা'দ, আবু জাফর রাজী, আতা ইবনে সায়েব, আবু আব্দুর রহমান সুলামী' এবং আলী (রা.) স্বয়ং। এ ছয়জনের মধ্যে চারজনকে নিয়ে কোনো কথাই নেই। অবশিষ্ট দু'জনকে ঘিরে আবর্তিত হবে আমাদের প্রাসঙ্গিক আলোচনা। এক, আতা ইবনে সায়েব। দুই, তাঁরই শিষ্য আবু জাফর রাজী। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রথমেই দেখব– আতা ইবনে সায়েব কে ছিলেন? বিভিন্ন কিতাব থেকে যতদূর জানা যায়– নাম তাঁর আতা ইবনে সায়েব আস সাকাফী আল কুফী। ছিলেন প্রসিদ্ধ তাবেয়ী। কুরআন সম্পর্কে যার ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য। হাদিসশাস্ত্রেও রয়েছে প্রায় সম-মর্যাদা। তবে আকারে দেখতে খুব ছোট্ট হলেও পারিপার্শ্বিক ক্রিয়ার দিক থেকে অনেক বড়, পাকা একটা শর্ত আছে। সেই শর্তটা মুহাদ্দিসগণের অনেকেই উল্লেখ করেছেন। ইমাম ইজলী (রহ.) এভাবে বলেছেন: শেষজীবনে (হাদিস) উলট-পালট করে ফেলতেন 'আতা'। সেজন্য তার থেকে যে ব্যক্তি উলট-পালটকালে শ্রবণ করেছেন, হাদিসের ক্ষেত্রে সে মুদতারাব তথা দূর্বল বর্ণনাকারী' (আল্লামা ইবনুল কাইয়্যাল- আল কাউয়াকিবুন নাইয়্যিরাত ফি মান ইখতিলাতা মিনার রুওয়াতিস সিকাত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবে প্রায় সকল মুহাদ্দিসই একসুরে বলে দিয়েছেন– প্রথমজীবনে 'আতা' হতে যেসকল হাদিস বর্ণিত, তা-ই গ্রহণযোগ্য; আর শেষজীবনেরগুলো বিনাবাক্যে প্রত্যাখ্যাত। </div><div style="text-align: justify;">তাই 'আতা'র হাদিসগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার আগে সুগভীর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যেচে দেখতে হবে– হাদিসটি কি প্রথমজীবনে বর্ণিত, না শেষজীবনে। তা নিশ্চিত হবার জন্য চিহ্নিত করতে হবে– প্রথম জীবনের বর্ণনাকারী কে, আর শেষজীবনের কে৷ সেই ভিত্তিতে প্লেইন ওয়াটারের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে উঠবে, প্রকৃতপক্ষে কোনটি কোনকালের বর্ণনা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চলুন দেখে নিই, প্রথমজীবনে 'আতা' হতে বর্ণনা করেছেন কে কে। এসম্পর্কে দুটো মন্তব্য পাওয়া যায় কিতাবাদিতে। একটি সর্বসম্মত ভিত্তিতে। অন্যটি মুহাদ্দিসকুলের অনেকের অভিমতের প্রেক্ষিতে। প্রথমটি সবচেয়ে সতর্কতামূলক এবং দ্বিতীয়টিও তার পরিপূরক হিসেবে গ্রহণীয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রথম অভিমতে পাওয়া যায়, সুফিয়ান সাওরি এবং শু'বা– 'আতা'র প্রথমজীবনে এ দু'জন ব্যক্তিই বর্ণনা করেছেন; তাই কেবল তাদেরগুলিই গ্রহণযোগ্য হবে। এক বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-কে আতা ইবনে সায়েব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: 'যারা তার নিকট হতে প্রথমজীবনে (হাদিস) শ্রবণ করেছেন, তাদেরগুলো বিশুদ্ধ হবে। আর নতুনদের মধ্যে যারা (শেষে) শ্রবণ করেছেন, তা শুধুই সারশূন্য। তার নিকট হতে প্রথমজীবনে শ্রবণ করেছেন শু'বা এবং সুফিয়ান সাওরি' (আল্লামা ইবনে আদী জুরজানী- আল কামিল ফিদ দ্বোয়াফাইর রিজাল)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর দ্বিতীয় অভিমতটি হলো এই– পূর্বোক্ত দু'জনসহ হাম্মাদ ইবনে জায়েদ এবং হাম্মাদ ইবনে সালামার নামও এতে অন্তর্ভুক্ত; মানে 'আতা' হতে তাদেরগুলোও একইসাথে গ্রহণীয়। ইমাম নাসাঈ (রহ.) বলেন: 'আতা ইবনে সায়েব হতে হাম্মাদ ইবনে যায়েদ, শু'বা, সুফিয়ান সাওরির বর্ণনা বিশুদ্ধ' (আল্লামা ইবনুল কাইয়্যাল- আল কাউয়াকিবুন নাইয়্যিরাত ফি মান ইখতিলাতা মিনার রুওয়াতিস সিকাত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্য এক বর্ণনায় আবার বহু মুহাদ্দিসের রেফারেন্সে পরিপূর্ণ চারজনের নামই উল্লিখিত হয়েছে, সেই বর্ণনাটি আরেকটু সামনে আসছে। যাইহোক, মুহাদ্দিসগণের এসকল বক্তব্যের আলোকে 'আতা' হতে কমপক্ষে দু'জন বা সর্বোচ্চ চারজন গ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারীর নাম পাওয়া যায়; এরচেয়ে বেশি পাওয়া যায় না। একারণে 'আতা'র হাদিস নিতে চাইলে এ দু'জন বা চারজন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। এর বাইরে কারো বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেলে, সেই হাদিসটি বিকৃতি বা উলট-পালটের সময়কালে বর্ণিত ধরে প্রত্যাখ্যাত মনে করতে হবে; এ ব্যাপারে ইমামগণের বক্তব্য ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এসকল বক্তব্যে আমরা দেখতে পেলাম– গ্রহণযোগ্য চারজনের তালিকায় মদ্যপান সংক্রান্ত ঐ হাদিসের বর্ণনাকারী আতারই শাগরেদ আবু জাফর রাজীর নাম কিন্তু নেই। তাহলে কি তিনি অগ্রহণযোগ্য? শেষজীবনের তথা উলট-পালটকালীন বর্ণনাকারী? তা স্পষ্টভাবে নিশ্চিত হবার আগে আমাদের আরেকটা বিষয় দেখতে হবে– অগ্রহণযোগ্যদের তালিকায় তাঁর নাম এসেছে কি-না। দেখা যায়– অগ্রহণযোগ্যদের সীমিত তালিকায় কোথাও আবু জাফর রাজীর নামটা আসে নি। এসেছে কিছু ব্যক্তিদের নাম এবং একটা শ্রেণীবিশেষের। কী করা যায়! বিপদে পড়ে গেলাম না তো?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্ণনাকারীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে মুহাদ্দিসগণের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সবার নাম সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হয় না, হয়ত সেকারণে ঐ ছোট্ট তালিকাটায় আবু জাফর রাজীর নাম আসে নি৷ তাছাড়া 'আতা'ও তো জীবনের শেষপ্রান্তে এসে, অনেকের কাছে হাদিস বর্ণনা করে বেড়িয়েছেন। উলট-পালট অবস্থা নিয়ে গিয়েছিলেন বসরা দেশেও। তার মুখ দরস থেকে সেখানেও হাদিস শুনেছে অনেকে। মুহাদ্দিসগণ কয়জনেরই বা নামোল্লেখ করবেন? তাই সংক্ষেপে কয়েকজনের নামোল্লেখ করেই ক্ষান্ত হয়েছেন। তারপর এও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, 'আতা' হতে বর্ণনা করা বসরাবাসীর সকল বর্ণনাই অগ্রহণযোগ্যের তালিকাভুক্ত। </div><div style="text-align: justify;">আমি তো আর নিজমুখে বানিয়ে রচিয়ে বলছি না। দেখুন, ইমাম উকাইলী (রহ.) কী বলছেন– 'আতা ইবনে সায়েব হতে কেবলমাত্র সেসকল হাদিসই গ্রহণযোগ্য হবে, যা শু'বা এবং সুফিয়ান সাওরির মত বর্ণনাকারীরা বর্ণনা করেছেন। তার (আতা) থেকে শ্রবণের মাধ্যমে জারির, খালেদ ইবনে আব্দুল্লাহ, ইবনে উলাইয়া, আলি ইবনে আসেম, হাম্মাদ ইবনে সালামা এবং বসরাবাসীর বর্ণিত সকল হাদিস উলট-পালটকালের পরবর্তী সময়ের পর্যায়ভুক্ত। কেননা, তিনি এদের দ্বারে গিয়েছেন জীবনের শেষপ্রান্তে। তাই এরা ও অনুরূপ যারাই উলট-পালট হবার পর বর্ণনা করেছেন, তাদের হাদিসগুলোও অগ্রহণযোগ্য' (আল্লামা ইবনুল কাইয়্যাল- আল কাউয়াকিবুন নাইয়্যিরাত ফি মান ইখতিলাতা মিনার রুওয়াতিস সিকাত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু হাতেম (রহ.)-ও একই সুরে সুর মিলিয়েছেন এই বলে: 'আতা ইবনে সায়েব হতে বসরাবাসীদের হাদিসে উলট-পালট থাকার ব্যাপারে আমার নিকট তথ্য পৌঁছেছে। কেননা, তারা আতা হতে উলট-পালটকালেই শ্রবণ করেছে' (আল্লামা ইবনুল কাইয়্যাল- আল কাউয়াকিবুন নাইয়্যিরাত ফি মান ইখতিলাতা মিনার রুওয়াতিস সিকাত)। এই কথাটা ইমাম আবু হাতেম 'আল জারহু ওয়াত তাদীল'– নামক স্বীয় গ্রন্থেও বলে গেছেন। অনুরূপ কথাটি ইমাম উকাইলী (রহ.)-এর সূত্রে অন্য কিতাবে এসেছে– 'অনুরূপ সমস্ত বসরাবাসী উলট-পালটকালেই শ্রবণ করেছে' (ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী– তাদরিবুর রাবী)। আরো এসেছে: আল্লামা ইবনুল কাত্তান (রহ.) বলেন– আতা ইবনে সায়েব হতে সমস্ত বসরাবাসীর হাদিসগুলো উলটপালট হবার পর শোনা বর্ণনাসমূহের পর্যায়ভুক্ত। কেননা, তিনি তাদের নিকট গিয়েছেন শেষজীবনে। (আল্লামা সালাহউদ্দিন আলায়ী– আল মুখতালিতীনা মায়া জিয়াদাতিল বুসীরি)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এসকল বক্তব্যের সার দাঁড়ায়– 'আতা হতে বসরাবাসীর হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়'। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এসব কথা যাকগে, অধৈর্য হবেন না। আরো চমক আছে। এবার চলুন পরের স্টেইজে। পরের আলোচনা 'আতা'রই শাগরেদ ও দ্বিতীয় বর্ণনাকারী আবু জাফর রাজীকে নিয়ে। সর্বপ্রথম জানতে হবে– কোন দেশের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আতার ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য খ্যাত সেই বসরাবাসীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তো? তাও জেনে নিন মালেকী মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় ইমাম ও মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে আব্দুল বার-এর মিষ্ট-জুবান থেকে– 'আবু জাফর রাজী। ঈসা ইবনে মাহান এবং ঈসা ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহান– দু-নামেই তিনি প্রসিদ্ধ। মূল যার বসরা দেশে। সেদেশে জন্ম তার। অবস্থান রাই নামক এলাকায়। সেখানেই বাস করতেন' (ইমাম ইবনে আব্দুল বার– আল ইস্তিগনা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বক্তব্যটা শুধু উক্ত ইমামেরই নয়। এ এক সর্বসম্মত অভিমত, যা আসমাউর রিজালের প্রায় সকল কিতাবে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আবু জাফর রাজী ছিলেন বসরাবাসী। আর ইতিপূর্বেই আমরা পেয়েছিলাম– আতা ইবনে সায়েব থেকে বসরাবাসীর বর্ণনা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অতএব মদ্যপান সংক্রান্ত তিরমিজীতে বর্ণিত বসরাবাসী আবু জাফর রাজীর বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না; কস্মিনকালেও না। </div><div style="text-align: justify;">এ গেলো, ঐ বর্ণনায় আবু জাফর রাজীর অগ্রহণযোগ্য হবার প্রথম সূত্র। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর দ্বিতীয় সূত্রটি হলো– ঐ যে শুরুতেই গ্রহণযোগ্য চারজনের নাম বলেছিলাম না! মনে আছে তো? কিতাব থেকে জেনেছিলাম যে, ঐ চারজনের বাইরে 'আতা'র অন্য কোনো শাগরেদের বর্ণনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, তারা ব্যতীত বাকী সকলেই উলট-পালট করার সময়ে শুনেছেন এবং বর্ণনা করেছেন– এই মতটা দিয়েছেন মুহাদ্দিসগণের অনেকেই (চারজনের মধ্যে দুইজনের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে এবং চারজনেরই ব্যাপারে অধিকাংশের প্রেক্ষিতে অভিমত রয়েছে– যার কথা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে)। এবার অভিমত দু'টো কিতাব থেকেই নিন– ইয়াহিয়া ইবনে মাঈন (রহ.) বলেন: শু'বা এবং সুফিয়ান সাওরি ব্যতীত যতজনই আতা ইবনে সায়েব হতে বর্ণনা করেছেন, তাদের সকলেই উলট-পালট করার (তথা জীবনের শেষ)-কালে বর্ণনা করেছেন' (আল্লামা ইবনে আদী জুরজানী- আল কামিল ফিদ দ্বোয়াফাইর রিজাল)। ইমাম জাহাবীর কিতাবেও উল্লেখ আছে– 'শু-বা এবং সুফিয়ান ব্যতীত আতা হতে যারা বর্ণনা করেছেন, সকলেই উলট-পালটকালে করেছেন' (ইমাম জাহাবী– সিয়ারু আ'লামিন নুবালা) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অনেক ইমামের রেফারেন্সে আসা নিম্নোক্ত ইবারতটি বিষয়টাকে অনেকটা স্পষ্ট করে দিয়েছে– 'আতা হতে কেবল চারজন ব্যতীত অন্যকারো হাদিস গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই চারজন হলেন: শু'বা, সুফিয়ান সাওরি, হাম্মাদ ইবনে সালামা, হাম্মাদ ইবনে যায়েদ' (আল্লামা ইবনুল কাইয়্যাল- আল কাউয়াকিবুন নাইয়্যিরাছ ফি মান ইখতিলাতা মিনার রুওয়াতিস সিকাত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ এ চারজনের বাইরে আতা হতে কারো বর্ণনাই গ্রহণযোগ্য হবে না; না আবু জাফর রাজীর, আর না অন্য কারোরই। সুতরাং এই ভিত্তিতে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, আবু জাফর রাজীর বর্ণনাটিও অগ্রহণযোগ্য। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এতসব দলিল-দস্তাবেজে প্রমাণ হবার পরও যদি কারো মনে এই প্রশ্ন জাগে যে– 'যেহেতু আতা ইবনে সায়েবের প্রথমজীবন বা শেষজীবনের বর্ণনাকারীদের তালিকায় আবু জাফর রাজীর নামটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই, তাই হতে পারে– তিনি 'মধ্যবর্তী জীবনে'র বর্ণনাকারী ছিলেন?' এ প্রশ্নেরও সুন্দর একটা জবাব আছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই ইখতিলাত বা উলট-পালটের ক্ষেত্রে বর্ণনাকারীর 'মধ্যবর্তী জীবন' বলে তৃতীয় কোনো জীবনের অস্তিত্ব নেই। কেননা, উলট-পালটকে আগে এবং পরে– এ দু'টি অংশে ভাগ করা হলে মধ্যখানে তো আর তৃতীয় কোনো জীবনাংশই অবশিষ্ট থাকে না। যদি থাকত, তাহলে নিশ্চয়ই মুহাদ্দিসগণ তা উল্লেখ করতেন; কিন্তু করেন নি। উল্লেখ করেছেন শুধু উলট-পালটের আগে এবং পরেরটাকে। </div><div style="text-align: justify;">অতএব 'মধ্যবর্তী জীবনে'র ধূয়া তোলে আতা হতে আবু জাফর রাজীর বর্ণনা গ্রহণযোগ্য সাব্যস্ত করতে চাওয়াটা শুভঙ্করে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা মাত্র!! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পরিশেষ কথা হলো, ইতিমধ্যে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে– আবু জাফর রাজী ছিলেন বসরাবাসী, আর আতা হতে বসরাবাসীর বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সেকারণেই তিরমিজীতে আবু জাফর রাজীর সূত্রে বর্ণিত হযরত আলী (রা.) কর্তৃক মদ্যপানের হাদিসটি হুকুম প্রয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য।</div>

তিরমিজিতে বর্ণিত আলী (রা.) এর মদ্যপানের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য?

Revision in "Facebook Class" (পড়ুন এবং শেয়ার করুন)  বিষয়: তিরমিজিতে বর্ণিত মদ্যপানের হাদিসটি কি গ্রহণযোগ্য?  কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আ...

Read more »

আলী (রা.) কি মদ্যপান করেছেন? ইমাম হাকেমের দৃষ্টিভঙ্গি

<div style="text-align: justify;">Revision in "Facebook Class" (কপি ও শেয়ার করুন)</div><div style="text-align: justify;">বিষয়: আলী রা. কি মদ্যপান করেছেন?: ইমাম হাকেমের দৃষ্টিভঙ্গি</div><div style="text-align: justify;">কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আকিব</div><div style="text-align: justify;">অনলাইন এক্টিভিস্ট, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;">বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে সুন্নি অঙ্গনে খুব টানাপড়েন অবস্থা দৃশ্যমান, তা আমরা সকলেই জানি। হারাম হবার প্রাক্কালে হযরত আলী (রা.) মদ্যপান করেছেন, এমন সহিহ হাদিসটি গ্রহণযোগ্য, নাকি অগ্রহণযোগ্য, তা জানার আগ্রহ মোটামুটি সবারই আছে। ইতিমধ্যে একপক্ষ জানিয়েছেন, মাওলা আলী (রা.) মদ্যপান করেন নি, অন্যপক্ষ রায় দিয়েছেন, করেছেন। উভয়পক্ষই আমার উস্তাদ এবং উস্তাদ সমতূল্য। তাই কারো প্রতি সমর্থন বা বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং উলুমুল হাদিসের একজন সত্যান্বেষী শিক্ষার্থী হিসেবে আমার স্টাডির আলোকে পাওয়া সত্যটা আমি তুলে ধরতে চাই। মানা, না মানা আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।</div><div style="text-align: justify;">নিচে দেখবেন, কিছু আরবি ইবারত এবং সরল অনুবাদ। এগুলো সরাসরি ইমাম হাকেম নিশাপুরি (রহ.) সংকলিত 'মুস্তাদরাকে হাকেম' নামক প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থটি থেকে হুবহু নেয়া। হুবহু চয়ন করলাম, কারণ সত্যটা তিনি অনেক আগেই আমাদের জানিয়ে গেছেন। ধৈর্য ধরে লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন, আশাকরি সত্য কোনটি অল্পসময়ের মধ্যেই জেনে যাবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম হাকিম নিশাপুরি (রহ.)-এর কলম:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* كتاب التفسير</div><div style="text-align: justify;">* ﴿ شان نزول اية‏‏ ‏‏لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى‏‏ ﴾ </div><div style="text-align: justify;">۞۞۞۞۞۞۞</div><div style="text-align: justify;">* অধ্যায়: তাফসির </div><div style="text-align: justify;">* পরিচ্ছেদ: {লা তাকরাবুস সালাতা ওয়া আন্তুম সুকারা- তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না}– এই আয়াতের শানে নুজুল:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> 3252- أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دُحَيْمٍ الشَّيْبَانِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ الْغِفَارِيُّ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، وَقَبِيصَةُ قَالَا‏:‏ ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ‏:‏ دَعَانَا رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ، فَحَضَرَتْ صَلَاةُ الْمَغْرِبِ، فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ فَقَرَأَ‏:‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، فَالْتَبَسَ عَلَيْهِ فَنَزَلَتْ‏:‏ لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ الْآيَةُ‏.</div><div style="text-align: justify;">হাদিস নং: ৩২৫২</div><div style="text-align: justify;">আমাদের নিকট মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে দুহাইম আশ শাইবানী বর্ণনা করেছেন: আমাদের নিকট আহমদ ইবনে হাজেম আল গিফারী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট নুয়াইম এবং কাবিসা বর্ণনা করেন: তারা দুজনেই বলেন: আমাদের নিকট সুফিয়ান সাওরি বর্ণনা করেন: আতা ইবনে সায়েব থেকে বর্ণিত: আবু আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত: হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: মদ হারাম হবার প্রাক্কালে এক আনসারী ব্যক্তি আমাদের দাওয়াত করেছিলেন। অতঃপর মাগরিব নামাজের সময় এলে একব্যক্তি (ইমামতির জন্য) সামনে অগ্রসর হলেন। অতঃপর তেলাওয়াত করলেন {কুল ইয়া আইউহাল কাফিরুন}; আর তাতে ভুল করে ফেললেন। অতঃপর নাজিল হলো {লা তাকরাবুস সালাতা ওয়া আন্তুম সুকারা হাত্তা তা'লামু মা তাকুলূন}– এ আয়াতটি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخْرِجَاهُ، وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ فَائِدَةٌ كَثِيرَةٌ وَهِيَ أَنَّ الْخَوَارِجَ تَنْسِبُ هَذَا السُّكْرَ، وَهَذِهِ الْقِرَاءَةَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ دُونَ غَيْرِهِ وَقَدْ بَرَّأَهُ اللَّهُ مِنْهَا فَإِنَّهُ رَاوِي هَذَا الْحَدِيثِ‏.</div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসটির সনদ সহিহ। তবে ইমাম বুখারি ও মুসলিম এটি বর্ণনা করেন নি। আর এতে অনেক ফায়েদা রয়েছে। তা হলো: এই মদ্যপান এবং তেলাওয়াতের বিষয়টি– যা খারেজিরা বিকৃতভাবে কেবল হযরত আলী (রা.)-এর ব্যাপারে সংযুক্ত করে দিয়েছে; অন্যের দিকে নয়। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁকে এ থেকে মুক্ত রেখেছেন। তিনি এ হাদিসে শুধুমাত্র বর্ণনাকারী হিসেবে রয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিভিন্ন সহিহ বর্ণনার মধ্যে কোনটি গ্রহণযোগ্য:</div><div style="text-align: justify;">* كتاب الأشربة:</div><div style="text-align: justify;">* ﴿ ذكر احاديث تحريم الخمر ﴾ </div><div style="text-align: justify;">۞۞۞۞۞۞۞</div><div style="text-align: justify;">* অধ্যায়: পান করা</div><div style="text-align: justify;">* পরিচ্ছেদ: মদ নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত হাদিসসমূহের বিবরণ:</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">‏7302- حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ الْحَافِظُ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ، ثَنَا سُفْيَانُ‏:‏ وَحَدَّثَنَا أَبُو زَكَرِيَّا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْبَرِيُّ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ‏:‏ ‏"‏ دَعَانَا رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَتَقَدَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَصَلَّى بِهِمُ الْمَغْرِبَ فَقَرَأَ‏:‏ ‏[‏قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ‏]‏ فَالْتَبَسَ عَلَيْهِ فِيهَا ‏"‏ فَنَزَلَتْ‏:‏ ‏[‏لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى‏]‏‏.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিস নং– ৭৩০২</div><div style="text-align: justify;">আমাদের নিকট আবু আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াকুব আল হাফিজ বর্ণনা করেছেন: আমাদের নিকট আলী ইবনে হাসান বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট আব্দুল্লাহ ইবনে ওলীদ বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট সুফিয়ান সাওরী বর্ণনা করেন। এছাড়া (ভিন্ন সনদে) আমাদের নিকট আবু জাকারিয়া ইয়াহিয়া ইবনে মুহাম্মদ আল আম্বরী বর্ণনা করেছেন: আমাদের নিকট আবু আব্দুল্লাহ আল বুশানজী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট আহমদ ইবনে হাম্বল বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট ওকী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট সুফিয়ান সাওরি বর্ণনা করেন হযরত আতা ইবনে ছায়েব থেকে। তিনি বর্ণনা করেন আবু আব্দুর রহমান আস সুলামী থেকে। হযরত আলী রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন– মদ নিষিদ্ধ হবার প্রাক্কালে এক আনসার ব্যক্তি আমাদের দাওয়াত করেছিলেন। অতঃপর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) এগিয়ে এসে মাগরিবের জামাত পড়ালেন। এরপর {কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন} পাঠ করলেন এবং তাতে ভুল করে ফেললেন। তারপর নাজিল হলো {লা তাকরাবুস সালাত ও আন্তুম সুকারা- তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না}– আয়াতটি। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‏هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخْرِجَاهُ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِيهِ عَلَى عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ مِنْ ثَلَاثَةِ أَوْجُهٍ هَذَا أَوَّلُهَا وَأَصَحُّهَا‏.</div><div style="text-align: justify;">এ হাদিসটির সনদ সহিহ। আর তা ইমাম বুখারি ও মুসলিম (রা.) বর্ণনা করেন নি। অবশ্যই আতা ইবনে সায়েব (রা.) থেকে তিনপ্রকারের সনদে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। এটি তাঁর প্রথমটি, যা সবচেয়ে বিশুদ্ধ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‏7303- وَالْوَجْهُ الثَّانِي حَدَّثَنَاهُ أَبُو زَكَرِيَّا الْعَنْبَرِيُّ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏"‏ أَنَّهُ كَانَ هُوَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَجُلٌ آخَرُ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ فَصَلَّى بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَقَرَأَ‏:‏ ‏[‏قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ‏]‏ فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ ‏[‏لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى‏]‏‏.</div><div style="text-align: justify;">হাদিস নং: ৭৩০৩</div><div style="text-align: justify;">দ্বিতীয় প্রকারের সনদের বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;">আমাদের নিকট আবু জাকারিয়া আল আম্বরি হাদিসটি বর্ণনা করেছেন: আমাদের নিকট আবু আব্দুল্লাহ আল বুশানজী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট আহমদ ইবনে হাম্বল বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট সুফিয়ান সাওরি বর্ণনা করেন: আতা ইবনে সায়েব থেকে বর্ণিত: ইবনে আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত: হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত– তিনি, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) এবং অপর ব্যক্তি মদ্যপান করছিলেন। তারপর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) তাদের জামাতের ইমামতি করলেন এবং তেলাওয়াত করলেন {কুল ইয়া আইউহাল কাফিরুন}। আর তাতে ভুল পড়লেন৷ অতঃপর নাজিল হলো {লা তাকরাবুস সালাত ওয়া আন্তুম সুকারা- তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না}– আয়াতটি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‏7304- الْوَجْهُ الثَّالِثُ حَدَّثَنَاهُ أَبُو زَكَرِيَّا الْعَنْبَرِيُّ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ، ثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، أَنْبَأَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ صَنَعَ طَعَامًا قَالَ‏:‏ ‏"‏ فَدَعَا نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ فِيهِمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَرَأَ ‏[‏قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ‏]‏ وَنَحْنُ عَابِدُونَ مَا عَبَدْتُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏[‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ‏]‏‏.</div><div style="text-align: justify;">হাদিস নং: ৭৩০৪</div><div style="text-align: justify;">তৃতীয় প্রকারের সনদের বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;">আমাদের নিকট আবু জাকারিয়া আল আম্বরি বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট আবু আব্দুল্লাহ বুশানজী বর্ণনা করেন: আমাদের নিকট মুসাদ্দাদ ইবনে মুসারহাদ বর্ণনা করেন: খালেদ ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেন: আতা ইবনে সায়েব থেকে বর্ণিত: হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) হতে বর্ণিত– একদা আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) খাবার তৈরি করলেন। তিনি বলেন: অতঃপর নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কতেক সাহাবীকে দাওয়াত করলেন, যাদের মধ্যে হযরত আলি (রা)-ও ছিলেন। অতঃপর তিনি (নামাজে) {কুল ইয়া আইউহাল কাফিরুন, লা আ'বুদু মা তা'বুদূন} আয়াতটি তেলাওয়াতের সাথেসাথে (অতিরিক্ত) {ওয়া নাহনু আবিদুনা মা তাবদূনা} পাঠ করলেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতটি নাজিল করলেন {ইয়া আইউহাল্লাজিনা আমানূ লা তাকরাবুস সালাতা ওয়া আন্তুম সুকারা হাত্তা তা'লামু মা তাকুলূন}।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‏هَذِهِ الْأَسَانِيدُ كُلُّهَا صَحِيحَةٌ وَالْحُكْمُ لِحَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ فَإِنَّهُ أَحْفَظُ مِنْ كُلِّ مَنْ رَوَاهُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ‏.</div><div style="text-align: justify;">এই সনদসমূহের প্রত্যেকটিই সহিহ। কিন্তু হুকুম চলবে সুফিয়ান সাওরির হাদিসের ভিত্তিতে। কেননা আতা ইবনে সায়েব থেকে যারাই বর্ণনা করেছেন, তাদের সকলের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক স্মরণ-শক্তিসম্পন্ন। (মুস্তাদরাকে হাকেম- ইমাম হাকেম নিশাপুরি রহ.)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় পাঠক, আমরা সুফিয়ান সাওরির সেই হাদিসটি প্রথমেই পড়েছি; যেই হাদিসটির ব্যাপারে ইমাম হাকেম (রহ.) সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন– 'এটিই সবচেয়ে বিশুদ্ধ।' তাই এর উপরই হুকুম চলবে। অর্থাৎ এর ভিত্তিতেই জানা যাবে, সেদিনকার সেই জামাতের 'ইমাম' আসলেই কে ছিলেন– হযরত আলী (রা.), নাকি আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)। কারণ এটিই গ্রহণযোগ্য বর্ণনা; অন্যগুলো নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চলুন, এবার উপরে গিয়ে তাফসির অধ্যায় থেকে চয়িত প্রথম হাদিসটায় একটু দেখে আসি, হাদিসের শব্দভান্ডারে কীসব অজানা তথ্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। দেখতে পাই, হাদিসটি আমাদের উদ্দেশ্যে দৃঢ়কণ্ঠে বলে দিচ্ছে– আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-ই ছিলেন সেই নামাজের 'ইমাম'। আলী (রা.) ছিলেন না; এক জামাতে দু'জন ইমাম থাকবেন, এটাও তো অকল্পনীয় ব্যাপার। তাছাড়া হাদিসটিতে আলী (রা.) মদ্যপান করেছেন কী, করেন নি– তাও উল্লেখ নেই। অতএব মদ্যপানের বিষয়টি সেসময় হারাম ছিল না, এই অজুহাতে চাইলেই বানিয়ে আলী (রা.)-এর প্রতি সম্পৃক্ত করে দেয়া যায় না। কেননা, এই গ্রহণযোগ্য সনদটিতে মদ্যপানের বিষয়টিই আসে নি। যা গ্রহণযোগ্য সনদে প্রমাণিতই হয় নি, তা আলী (রা.)-এর প্রতি সম্পৃক্ত করার প্রশ্নই আসে না; এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক চেতনা। আলী (রা.) মদ্যপান করেছেন, এ এমন এক রচিত কথা, যার পেছনে গ্রহণযোগ্য কোনো দলিল নেই। অতএব তিনি মদ্যপান করেছেন– এ দাবিটা কীভাবে করা সম্ভব? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য যে, হযরত আলী (রা.)-এর মদপান করা সংক্রান্ত হাদিসটি অগ্রহণযোগ্য হওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি নীতিভুক্ত কারণ রয়েছে। সর্বশ্রেণীর বিবেককুঠিরে দুর্বোধ্য হয়ে যাবার আশংকায় এবং লেখা সংক্ষেপিত করতে তাও আর উল্লেখ করা হলো না।</div><div style="text-align: justify;">‏</div>

আলী (রা.) কি মদ্যপান করেছেন? ইমাম হাকেমের দৃষ্টিভঙ্গি

Revision in "Facebook Class" (কপি ও শেয়ার করুন) বিষয়: আলী রা. কি মদ্যপান করেছেন?: ইমাম হাকেমের দৃষ্টিভঙ্গি কৃত: মিসবাহুল ইসলাম আকি...

Read more »

লাইলাতুল কদর রাতটি চেনার কিছু আলামত।

<div style="text-align: justify;">লাইলাতুলকদর রাতটি চেনার কিছু আলামত।</div><div style="text-align: justify;">🖋ইমরান বিন বদরী</div><div style="text-align: justify;">➖ ➖🔳➖ ➖</div><div style="text-align: justify;">নাহমাদুহু  ওয়ানূসাল্লি  আলা  রাসুলীহিল  কারীম  আম্মা  বাদ।  আমরা  জানি  রমজানের  শেষ  ১০ দিনের  বেজোড়  রাতগুলোতে  মহিমান্বিত  রজনীটি  তালাশ  করতে  হয়। যেটি  হাজার  মাসের  চেয়েও উত্তম  রাত। আর  এ  মাসগুলোকে  একত্রে  করলে প্রায়  ৮৩  বছরেরও  অধিক  সময়  হয়।  জীবনে একবার  সঠিকভাবে  রাতটি  পেয়ে  গেলে আজীবনের  সাওয়াব  যেন  পেয়েই  গেলেন। বান্দার  জন্য স্রষ্টাকর্তৃক  এরচেয়ে  বড়  অফার  আর  কী  থাকতে পারে !?  হাদীস  শরীফ  এ  লাইলাতুলকদর  রাতের কিছু  আলামত  বর্ণিত  হয়েছে। আসুন  সেগুলো  দেখে রাতটি  মিলিয়ে  নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণও হতে পারে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।  (মুত্তাফাকুন আলাইহ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔳 আর  যদি  রাতটি  পেয়েই  যান  তো  সে  রাতের একটি  বিশেষ  দোয়াও  রয়েছে  যেটা  উম্মুল  মু'মিনীন হজরত  মা  আয়িশা  সিদ্দিকা  রাদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা আনহা  লাইলাতুলক্বদর  সম্বন্ধে  জিজ্ঞাসা  করেছিলেন,  হে রাসুলুল্লাহ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি  যদি  লাইলাতুলকদর  পাই  তখন কী  করব ?  তখন  রাসূল  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম  মত  দেন, তুমি বলবে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي”</div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণঃ</div><div style="text-align: justify;"> ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন কারীম তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফু আন্নী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> অনুবাদঃ</div><div style="text-align: justify;"> ’হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন।  (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ ২/১২৬৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🤲 আল্লাহ সবাইকে যথাযথভাবে রাতটি তালাশ করার তাওফিক দান করুক।  আর অধমের জন্য দোয়ার আর্জি রইলো। ✍ ইমরান বিন বদরী।</div>

লাইলাতুল কদর রাতটি চেনার কিছু আলামত।

লাইলাতুলকদর রাতটি চেনার কিছু আলামত। 🖋ইমরান বিন বদরী ➖ ➖🔳➖ ➖ নাহমাদুহু  ওয়ানূসাল্লি  আলা  রাসুলীহিল  কারীম  আম্মা  বাদ।  আমরা  জানি  রমজানে...

Read more »