মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসায় ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানো হবে!

<div style="text-align: justify;">মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের ৭২তম নাকাবা দিবস বা বিপর্যয় দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwrvy7Lu-pkch7lfoQbC40m1WMS4lFhuha5SybZVG2D0XD1cJMKEzSTaYX1909UPxeIUJpP-sNqMr8zibcjnfcZBexjG1qrwp6tt-omg_7jd__sjr7MURnwC2wJwV6OwzN7ec2ZRkPZak/s1600/IMG_20200515_214411.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="555" data-original-width="992" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwrvy7Lu-pkch7lfoQbC40m1WMS4lFhuha5SybZVG2D0XD1cJMKEzSTaYX1909UPxeIUJpP-sNqMr8zibcjnfcZBexjG1qrwp6tt-omg_7jd__sjr7MURnwC2wJwV6OwzN7ec2ZRkPZak/s1600-rw/IMG_20200515_214411.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের চলমান আন্দোলন সংগ্রাম কখনোই থামবে না যতদিন না পর্যন্ত মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদে এবং ফিলিস্তিনের রাজধানী বায়তুল মোকাদ্দাস বা জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি পতাকা না উড়ানো হয়।</div><div style="text-align: justify;">তিনি হুশিয়ার করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি পশ্চিমতীরের কোনো একটি অংশ দখলকৃত ভূমির সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে তিনি তেলআবিবের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করে দেবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, দখলদার ইসরাইলের নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং বিদ্বেষী নীতি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিন সরকার জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সঠিক কর্মপন্থা অবলম্বন করবে এবং ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভূমি থেকে দখলদারদের না তাড়ানো পর্যন্ত প্রতিরোধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।</div><div style="text-align: justify;">প্রসঙ্গত, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ইসরাইলের সংসদ নেসেটে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। ওই বিলে জর্দান উপত্যকা, ডেড সি’র উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমতীরকে ইসরাইলের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিলিস্তিন জুড়ে এই পরিকল্পনার নিন্দা চলছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">—<b><i>সূত্রঃ</i></b> <b><i>সময়টিভি</i></b></div>

মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসায় ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানো হবে!

মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের ৭২তম...

Read more »

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী রাঃ

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmUfgMF2Zg3FyRYp1tjehkryFOTUyZo4uBnGNLk5H_8y2a6aA_i49UQyRnfvWf92abvwcB6FqUAF3WfpbMGIlk-8LtICdJEJp3Zn9ptDO48kd8jrIHXopdyZoDrr15zJyvDCaq6tDiKMk/s1600/FB_IMG_1589450670530.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="741" data-original-width="720" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmUfgMF2Zg3FyRYp1tjehkryFOTUyZo4uBnGNLk5H_8y2a6aA_i49UQyRnfvWf92abvwcB6FqUAF3WfpbMGIlk-8LtICdJEJp3Zn9ptDO48kd8jrIHXopdyZoDrr15zJyvDCaq6tDiKMk/s400-rw/FB_IMG_1589450670530.jpg" width="387" /></a></div> <br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br id="docs-internal-guid-9bf94273-7fff-3074-4120-79aab1cfc638" /> <br /> <span style="font-family: "times" , "times new roman" , serif;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br id="docs-internal-guid-b359ab26-7fff-c6d7-8141-9fce691072b2" /><br /><span style="font-size: large;"><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী : একটি সংক্ষিপ্ত সংকলন</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">🖋 আবু সাঈদ নয়ন</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কবি, সাহিত্যিকদের একটি চিরজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজ-নিজ গোত্র, জাতি বা সম্প্রদায়ের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা তাদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর তাদের একটি চিরজাত উদ্দেশ্যে হচ্ছে, কবিতা বা সাহিত্যের মাধ্যমে স্ব-সম্প্রদায়, জাতিকে জাগিয়ে তোলা, অনুপ্রাণিত করা। ইসলামের চতুর্থ খলিফা মাওলা আলী যখন বাংলা কবিতায় স্বতন্ত্র বিষয় হয়ে উঠলেন তখন বাঙালি-মুসলমান জীর্ণশীর্ণ কাঁথা গায়ে জড়িয়ে কালঘুমে ডুবন্ত। আর সেজন্যই আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পূর্বে যত কবি, সাহিত্যিক মাওলা আলীকে বিষয় হিসেবে নিয়েছেন প্রত্যেকেই মাওলা আলীর খায়বার বিজয়, জুলফিকার ইত্যাদিকেই একমাত্র প্রকরণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। খায়বার বিজয়ে শেরে খোদার অসাধারণ শক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং জুলফিকার তরবারির ঐতিহাসিকতা কাব্যের রঙে রঞ্জিত করে বাঙালি-মুসলমান সাহিত্যিকবৃন্দ স্ব-সম্প্রদায়কে কালঘুম থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেছিলেন। আর এ চেষ্টার ফাঁকে যে, মাওলা আলীর সমগ্রজীবনের মহত্ত্ব, প্রজ্ঞাপ্রণালী এবং মানবিক জীবনবোধ তাঁদের কাব্যের বিষয় হয়ে উঠেনি তা ভেবে আফসোস না করে উপায় নেই। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বাংলা গদ্যে মাওলা আলীর চর্চা কতটুকু হয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে বলা যায় না। ‘সংস্কৃত কথা’ গ্রন্থের লেখক কাজী মোতাহার হোসেন হযরত আলীর ব্যাপারে একটি খসড়া তৈরি করছিলেন। কিন্তু কবি কায়কোবাদ যেভাবে গাউসে পাকের জীবনী রচনায় হাত দেবার পূর্বে তাঁর পীর সাহেবের সাথে হায়াতের মেয়াদ অকালে ফুরিয়ে না-যাবার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন সেভাবে কারো সাথে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় খসড়া সম্পূর্ণ করার পূর্বেই ইন্তেকাল করলেন। তবে, যতটুকু লিখেছেন ততটুকু তাঁর রচনাবলীতে সংযুক্ত আছে। কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনায় ১৯৬৮ সালে সাহিত্যিক আবুল ফজল “হযরত আলী” শিরোনামে যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন সেটিই এখনো পর্যন্ত বাংলা গদ্যে লিখিত মাওলা আলীকে নিয়ে শ্রেষ্ঠতম কাজ। এ গ্রন্থে মাওলা আলীর জীবনের বিভিন্ন অংশকে খণ্ড-খণ্ড  করে যেভাবে পাঠকসমীপে হাজির করা হয়েছে তা খুবই গুরুত্ববহ। আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশনায় গ্রন্থটি এখনো পাওয়া যায়। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আলাওল থেকে শুরু করে আব্দুল মান্নান সৈয়দ পর্যন্ত প্রায় সকল বাঘা-বাঘা বাঙালি-মুসলিম সাহিত্যিকের রচনাসমগ্রে মাওলা আলীর উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তবে স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে বাংলা কাব্যে তাঁর পদচারণা উনিশ শতকের পূর্বে ঘটেনি। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি-মুসলমান কবি হিসেবে ধর্তব্য দাদ আলীর কবিতা থেকে আরম্ভ করে সর্বশেষ আল-মাহমুদ তক প্রায়-প্রতিজন প্রভাবশালী বাঙালি-মুসলমান কবির রচনায় স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবেই হাজির হয়েছেন তিনি। তবে, পরিস্থিতি অনুকূলে না-থাকায় এখানে আমরা মাত্র চারজন কবির কাব্য হাজির করার সুযোগ পাবো। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">১. কাজী নজরুল ইসলাম: নজরুল ইসলাম ব্যক্তিকে বিষয় হিসেবে নিয়ে যত কবিতা, পদ্য লিখেছেন প্রতিটিতেই তাঁর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো, তাঁদের জীবনের বিভিন্ন উপকথা পদ্যে অলঙ্করণের মধ্য দিয়ে বাঙালি-মুসলমানদের জীবনবোধ জাগিয়ে তোলা। মাওলা আলীকে নিয়ে কাজী নজরুল যে একমাত্র সঙ্গীতখানা রচনা করেছেন তাতেও উক্ত উদ্দেশ্যের ব্যত্যয় ঘটেনি। “খয়বর জয়ী আলী হাইদার”কে কতটা প্রাণোচ্ছলতায় সঙ্গীতে প্রকাশ করতে পেরেছেন নজরুল তা-ই আমরা দেখবো। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"খয়বর-জয়ী আলী হাইদার, জাগো জাগো আরবার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দুধারী জুলফিকার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">এস শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে কর কর হুঁশিয়ার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল-বোর্জের চূড়া গুড়া-করা গোর্জ আবার হানো,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বেহেশতী সাকী, এ মৃত-জাতিরে আবে কওসর দানো,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আজি বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ্, </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দাও তারে নব কুয়ত ও জোশ্,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">এস নিরাশার মরুধূলি উড়ায়ে দুল্ দুল্ আস্ওয়ার।" </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">২. ফররুখ আহমদ: হযরত আলীকে নিয়ে বাংলা ভাষায় দীর্ঘতম কবিতাটি লিখেছেন কবি ফররুখ আহমদ। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ফররুখ রচনাবলীতে সাত পৃষ্ঠা জুড়ে বিস্তৃত এ কবিতাও ‘খায়বার-জয়ী আলী হায়দর’র শক্তিমত্তা, প্রাণাবেগের বিবরণে উচ্ছলিত। তবে আশার বাণী হলো, মাওলা আলীর জীবনের মহত্ত্ব ও মানবিকবোধেরও বিচ্ছুরণ কিছু ঘটেছে এখানে। আর এজন্যই, হযরত আলীকে নিয়ে রচিত এ কবিতাটি পড়ে যে কোনো শ্রেণির পাঠকের তৃপ্তির পূর্ণতা জেগে উঠতে বাধ্য। আমরা আ-নখ-শির পুরো কবিতাটি চয়নের দুঃসাহস দেখাতে পারছি না, কেবল দু’টি অংশ তুলে ধরছি। ফররুখ আহমদ কি জানতেন যে, তিনি নিজেই অবচেতনে দু’টি অংশে পুরো কবিতার মর্মশাঁস পুঞ্জীভূত করে রেখেছেন? </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"সে কী তূরন্ত দুরন্ত-গতি মরুতে ঝড়ের বেগে!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জড়পিণ্ড এ বিয়াবানে বুঝি আগুন উঠেছে জেগে  </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হাজার ঘোড়ার খুরের আঘাতে লক্ষ উলকা জ্বলে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দিগকাওসের বাঁকা রেখা উড়ে চলে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তীরের মতন বেগে  স‘রে যায় পদতলে মরুভূমি,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শহীদের খুনে মরণ তূফান জীবনের মৌসুমী …</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তারি সাথে ঘন চমকায় হাতে দুধারী জুলফিকার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">নিমেষে সূর্য ছিঁড়ছে শাণিত অস্ত্রে আঁধি-প্রাকার</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চমকে জুলফিকার</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জেহাদের মাঠ চাষ ক’রে তার মেঘে উঠে হুংকার …</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে মহামানব! তুমি শুধু নও বীর তলওয়ারধারী</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">অসংযমের উপর হেনেছ সত্যের তরবারী,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কোন মলিনতা করেনি তোমার চিত্ত কলুষ কভু</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লাকে ছাড়া আর কারু তুমি মানো নাই তব প্রভু</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাঁর নির্দেশ মাথা পেতে নিয়ে তব অলঙ্ঘ শির,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">সবার উপরে র’য়েছে ঊর্ধ্বে সব পাপ-গোলামীর। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লার পথে জানি তুমি শুধু ধরিয়াছো তরবারি,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চির-সংযমী ভুলেও কখনো হওনি অত্যাচারী,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কাফেরের থুথু সারা মুখে নিয়ে নাও নাই প্রতিশোধ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লার দাস দমন ক’রেছে সব অন্যায় ক্রোধ। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ফেরেশতাদের ঊর্ধ্বে তুলেছে তোমারি সে মানবতা</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে সুফী সাধক ! তাই জিনিয়াছ নভঃ দুর্লংঘতা! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্রজ্ঞাপূর্ণ মহানগরের হে বিরাট শাহীদ্বার!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাছাওফের যে নূরানী ঈলমে তনুমন একাকার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তার নিভৃত ইংগিত পেয়ে নলবনে উঠে সুর</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শামাদানে জ্বলে প্রেমের শিখায় বেদনা যে অবগাহী</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কোটি মুসলিম পেয়েছে ফিরিয়া চিত্তের বাদশাহী! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">মহানগরের হে শাহী দরজা ! তোমার আকাশ খোলা! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">সম্মুখ দিয়ে পার হ’য়ে যায় হূরের চতুর্দোলা</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে নূর পিয়াসী! কে রাখে তার খবর?</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্-আহাদের সন্ধানে তার নাই তিল অবসর!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লা’র কাছে ক’রেছে সে তার পূর্ণ সমর্থন,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাই সে মানে না অত্যাচারীর, জালিমের বন্ধন,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাই মরুপাটে রুদ্ধ কপাট ডাকে যবে খায়বার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">অমনি সূর্য ঝলসে তোমার দু’ধারী জুলফিকার।" </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">৩. বে-নজীর আহমদ: মাওলা আলীর বিষয়ে সর্বাধিক, ৩টি কবিতা লিখেছেন কবি বে-নজীর আহমদ। দুইটি ‘জুলফিকার’ শিরোনামে, আরেকটি ‘শেরে খোদা’ নামে। বে-নজীরের কাছে খায়বার-জয়ী আলী হায়দারই একমাত্র কাব্যাঙ্কিত হয়েছে; মাওলা আলীর জ্ঞান-প্রজ্ঞা, জীবনের মহত্ত্ব নিয়ে তিনি একেবারেই নীরব। কারণ কি? তিনি সন্ত্রাস ছিলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ধরা পড়ে বৃটিশ কারাগারে জেলও খেঁটেছেন। এমন একজন কবির কাছে ‘খায়বার-জয়ী’ আলীই যে প্রাধান্য পাবে তা সহজেই অনুমেয়। ‘শেরে খোদা’ কবিতার শেষাংশ তুলে দিচ্ছি:  </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"শেরে খোদা আজ তোমারে জানাই আমাদের ফরিয়াদ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শেরের বাচ্চা ফেরু বনে গেছে ভুলে গেছে লহু স্বাদ।</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ভুলে গেছে তার জোয়ানী জাদিদ শহীদের সুধা সাধ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ভুলে গেছে তার জঙ্গী জাহান তশবীর জয়-নাদ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ঝাণ্ডার নয়া স্বাদ। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জিন্দারা আজ বান্দারে সেবে জিন্দেগী বরবাদ।</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শেরে খোদা আজ তোমারে জানাই আমাদের ফরিয়াদ।"</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">৪. আব্দুল মান্নান সৈয়দ: বাঙালি-মুসলমানের মধ্যে আব্দুল মান্নান সৈয়দকে একমাত্র কবি মনে করি, যিনি মাওলা আলীর জীবনের মহত্ত্ব এবং মানবিকবোধকে তাঁর শক্তিমত্তা, হায়দারী হাঁকের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। এবং এজন্যই বাংলা ভাষায় মাওলা আলীর চর্চায় আব্দুল মান্নান সৈয়দকে আমি বিশেষ মনে করি এবং তাঁর কবিতাটিকে মাওলা আলীর ব্যাপারে ‘সম্পূর্ণ’ বলে বিবেচিত করি। কবিতাটির আপাদমস্তক তুলে দিচ্ছি। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"যোদ্ধা-কবি একইসঙ্গে, একই সঙ্গে রৌদ্রে-জোৎস্নায়</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্লাবিত তোমার আত্মা। ভাতৃরক্তে রাঙা পৃথিবীতে</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চেষ্টা করেছিলে তুমি অফুরান শান্তি এনে দিতে</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">যে-ব্যর্থতা ভরে আছে লাবণ্য ও মহৎ আভায়। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আবুজরের সঙ্গেও গিয়েছিলে রাবজায় তুমি ;</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">উসমানকে বাঁচাতেও পাঠিয়েছিলে নিজেরেই পুত্রকে ;-</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দরদী সেবক তুমি। অবিচল সুখে, শোকে। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বহু বিপরীতে গড়া তোমার আশ্চর্য মনোভূমি। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্রজ্ঞার শহরে যিনি প্রদীপিত এক সিংহদ্বার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">মৃত্যু তাঁকে কি করবে? - তাঁকে আরো করেছে অবার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">খায়বরের যুদ্ধজয়ী, আসাদুল্লাহ, জ্ঞানেরও সম্রাট,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">একই সঙ্গে যোদ্ধা-কবি : কালোত্তর, মহান, বিরাট। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">রসুলের চারিত্রের রঙে রঞ্জিত বিশাল দিল্ –</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আজ তাঁর প্রশংসায় ভরপুর সমস্ত নিখিল।"</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বিশেষত: নজরুলের সঙ্গীতে ব্যবহৃত ‘দুধারী জুলফিকার’ শব্দগুচ্ছটি যে ফররুখ ঋণ নিয়ে তাঁর কাব্যের শ্রী বৃদ্ধির জন্যে বারংবার ব্যবহার করেছেন তা সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়ানো সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস, নজরুলই বাংলা সাহিত্যে জুলফিকারের পূর্বে ‘দুধারী’ বিশেষণটির জন্মদাতা, এবং এক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস যে অবিনাশী নয় সেটাও আমি বলছি না। মাওলা আলীর জ্ঞান নিয়ে একটি অতিখ্যাত হাদিসের ‘আলিয়্যুন বাবু-হা’ অংশটির অত্যন্ত চমকপ্রদ অনুবাদ করেছেন ফররুখ আহমদ : “প্রজ্ঞাপূর্ণ মহানগরের হে বিরাট শাহীদ্বার”। আব্দুল মান্নান সৈয়দ ফররুখের হুবহু অনুকরণ থেকে বাঁচতেই সম্ভবত কিঞ্চিৎ মার্জনা করে অনুবাদ করেছেন এভাবে : “প্রজ্ঞার শহরে যিনি প্রদীপিত এক সিংহদ্বার”। উভয়ের অনুবাদে ‘প্রজ্ঞা’ শব্দটি অত্যন্ত লক্ষ্যণীয়; আমরা কিন্তু হরহামেশা এ হাদিসের অনুবাদে ‘জ্ঞান’ শব্দটি ব্যবহার করি, এটি যথাযথ নয়। ‘প্রজ্ঞা’ও যে একেবারে পূর্ণাঙ্গ অর্থ বহন করে তা আমি বলছি না, কিন্তু তা অর্থ এবং ভাবের তুলনায় ‘জ্ঞান’ থেকে অনেক-অনেক নিকটবর্তী। সবশেষে নজরুল, ফররুখ সব ছাপিয়ে আব্দুল মান্নান সৈয়দের দু’টি পঙক্তিই আমার হৃদয়ে কামড় দ্যায়:</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #073763; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">খায়বরের যুদ্ধজয়ী, আসাদুল্লাহ, জ্ঞানেরও সম্রাট,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #073763; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">একই সঙ্গে যোদ্ধা-কবি : কালোত্তর, মহান, বিরাট। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span></div>

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী রাঃ

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী : একটি সংক্ষিপ্ত সংকলন 🖋 আবু সাঈদ নয়ন কবি, সাহিত্যিকদের একটি চিরজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজ-নিজ গোত্...

Read more »

কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি?

<div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: red;"><strong>জিজ্ঞাসা–<span style="color: purple;">২০২</span>:</strong></span> কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি? আমি বুঝব কিভাবে যে, আমার আর কাজা নামাজ পড়তে হবে না?</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: green;"><strong>জবাব:</strong></span> <span style="color: #333399;"><em><strong>এক- </strong></em></span><span style="color: teal;"><em>প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই,</em></span> মনে রাখতে হবে, শরিয়তে নামায কাযা করার বিধান থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করা কবিরা গুনাহ। হাদিস শরিফে এসেছে,</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: center;"> <span style="color: #003300;"><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">عن أم أيمن أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تترك الصلاة متعمدا فإنه من ترك الصلاة متعمدا فقد برئت منه ذمة الله ورسوله</span></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">উম্মে আইমান রাযি.হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেন,তোমরা ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করো না। কেননা যে ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ করে,আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার থেকে জিম্মা মুক্ত হয়ে যান। </span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">(মুসনাদে আহমদ,হাদিস নং ২৭৩৬৪)</span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: #003366;"><strong><em>দুই-</em></strong></span> তবে কোনো ব্যক্তি কোনো কারণে কোনো ওয়াক্তের নামায আদায় না করলে তা কাযা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: blue;"><em>প্রথম মূলনীতি হলো,</em></span> যখনই কাযা নামাযের কথা মনে পড়বে তখনই পড়ে নিবে। এ সম্পর্কে হাদিসের  বাণী-<br /><span style="color: #003300;">عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّ إِذَا ذَكَرَهَا، لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ فإن الله يقول {‏وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي‏}‏</span><br />আনাস ইবনু মালিক রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, যদি কেউ কোনো নামাযের কথা ভুলে যায়, তাহলে যখনই স্মরণ হবে, তখন তাকে তা আদায় করতে হবে। এ ব্যতীত সে নামাযের অন্য কোনো কাফ্ফারা নেই। কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন, <span style="color: #003300;">{‏وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي‏}</span> আমাকে স্মরণের উদ্দেশে নামায কায়েম কর। </span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">(মুসলিম, হাদিস নং  ৬৮৪)</span></em></span></div> <div style="background-color: white; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey; font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><i><br /></i></span></div> <div style="background-color: white; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: grey;"><i><br /></i></span><em style="color: #333333;"><span style="color: blue;">দ্বিতীয় মূলনীতি হলো, </span></em><span style="color: #333333;">ছুটে যাওয়া নামায পরবর্তী নামায পড়ার আগে পড়ে নিবে। অর্থাৎ ফজর ছুটে গেলে ঘুম থেকে উঠার পরপরই অথবা যোহরের আগে, যোহর ছুটে গেলে আসরের আগে, আসর ছুটে গেলে মাগরিবের আগে, মাগরিব ছুটে গেলে এশার আগে এভাবে নামায পড়ে নিবে। এ প্রসঙ্গে হাদীসের বাণী-</span><br /><span style="color: #003300;">عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، جَاءَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ بَعْدَ مَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَجَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كِدْتُ أُصَلِّي الْعَصْرَ حَتَّى كَادَتِ الشَّمْسُ تَغْرُبُ‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُهَا ‏”‏‏.‏ فَقُمْنَا إِلَى بُطْحَانَ، فَتَوَضَّأَ لِلصَّلاَةِ، وَتَوَضَّأْنَا لَهَا فَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ مَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهَا الْمَغْرِبَ‏.‏</span><br /><span style="color: #333333;">জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাযি. হতে বর্ণিত, খন্দকের দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ওমর ইবনু খাত্তাব রাযি. এসে কুরাইশ গোত্রীয় কাফিরদের ভৎর্সনা করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এখনও আসরের নামায আদায় করতে পারি নি, এমন কি সূর্য অস্ত যায় যায় অবস্থা। রাসূল ﷺ বললেন, আল্লাহর শপথ! আমিও তা আদায় করিনি। অতঃপর আমরা উঠে বুতহানের দিকে গেলাম। সেখানে তিনি নামাযের জন্য উযূ করলেন এবং আমরাও উযূ করলাম; অতঃপর সূর্য ডুবে গেলে আসরের নামায আদায় করেন, অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করেন। </span></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">(বুখারী, হাদিস নং ৫৯৬)</span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><span style="color: blue;"><em>তৃতীয় মূলনীতি হল,</em></span> যদি কারো পাঁচ ওয়াক্তের বেশী কাযা হয়ে যায় – সেটা কয়েক দিন কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও হতে পারে-তাহলে তার উচিত কাযা নামাযগুলো একটা অনুমান করে কোন নামায কত ওয়াক্ত কাযা হয়েছে তা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর একে একে তা আদায় করবে। যত দ্রুত এবং যত বেশি সম্ভব এই কাযাগুলো আদায় করতে হবে। প্রতি ওয়াক্তে কয়েক ওয়াক্তের কাযা আদায় করলেও ভালো। এ ছাড়া সুবিধামতো সময়ে যখন যে নামাযের কাযা আদায়ের সুযোগ হয় আদায় করা যাবে। তবে প্রতি ওয়াক্তে ওই ওয়াক্তের কাযা আদায় করলে হিসাব রাখা সহজ। এভাবে আদায়কৃত নামায আনুমানিক হিসাব থেকে কমতে থাকবে। এ নিয়মে ছুটে যাওয়া নামায আদায় হয়ে গেলে ভালো। নতুবা জীবনের শেষ মুহূর্তে অবশিষ্ট নামাযের ফিদয়া দেয়ার ওসিয়ত করতে হবে।</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div class="editable_textarea ansDecoP" id="paragraph_126127" style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">এ অবস্থায় কাযা নামায আদায়ের নিয়ম এই যে, সে যে ওয়াক্তের কাযা আদায় করতে চাইবে সে ওয়াক্তের নিয়ত করবে যে, অমুক ওয়াক্তের সবচেয়ে প্রথম বা শেষ নামায আদায় করছি। যেমন- কাযা হওয়া নামাযের মধ্যে ফজরের নামাযের কাযা আদায় করতে চাই। তাহলে নিয়ত করবে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা আছে, তার সবচেয়ে প্রথম অথবা শেষটা আদায় করছি। এভাবে আদায় করবে যাতে সকল কাযা নামায পুরো হয়ে যায়।</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">এভাবে বাকি নামায আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশাও এভাবে আদায় করবে।</span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">উল্লেখ্য, সুন্নাত নামাযের কাযা করা যায় না, কেবল ফরজ ও বেতরের নামাযের কাযা করার সুযোগ থাকে।<span style="color: grey;"><em> </em></span></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">(আদ্দুররুল মুখতার, সাঈদ, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৬৮; ফাতাওয়া দারুল উলুম, জাকারিয়া, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ৩৩২)</span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333; margin-bottom: 10px; text-align: justify;"> <span style="color: grey;"><em><span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></em></span></div> <div style="background-color: white; color: #333333;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">والله اعلم بالصواب</span></div>

কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি?

জিজ্ঞাসা– ২০২ :  কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি? আমি বুঝব কিভাবে যে, আমার আর কাজা নামাজ পড়তে হবে না? জবাব:   এক-  প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, ...

Read more »

নশ্বর পৃথিবী

<div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">নশ্বর পৃথিবী</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এশার নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছি৷ সূরা ফাতিহার পর মনের অজান্তেই একটি সূরা মিলালাম, যার নাম সূরাতুল যিলযাল৷ আট আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট একটি মাদানী সূরা৷ যখন তিলাওয়াত শুরু করলাম তখন শরীরে হঠাৎ ই একটা অজানা ভীতির শিহরণ জাগরিত হল৷ প্রান্তসীমায় ক্ষান্তকর্মের ডাক অনুভূত হল৷ কঠিন হৃদয় যেন মোমের ন্যায় বিগলিত, অন্ধকারে পূর্ণ আত্মা যেন পুরোটাই শূন্য, লোভাতুর চাহনী যেন আজ দৃষ্টিকটুর পাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অপূর্ব সুন্দর এই পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকার পূর্ণ স্বাদ, বাসনা, আকাংখা আমার হৃদয়পটে অঙ্কিত হয়ে আছে৷ চাইলেও আমি তা দূর করতে পারছি না৷ সময়ের গতিপথে, স্রোতের অনুকূলে, প্রতিযোগীতার অন্তরালে কতই না স্বপ্নবীজ বুনে পরকালের কথা বেমালুম হয়ে গিয়েছি৷ অস্থায়ী রাজ্যে সফলতার বিপরীতে চিরস্থায়ী স্বর্গরাজ্যকে গুরুত্বহীন করে রেখেছি৷ ব্রহ্মাণ্ডের আবর্তনে বিজ্ঞানের মোহে পড়ে ঐশী বাণীকে কতই না তুচ্ছজ্ঞান করেছি অথচ যেটা ছিল আসমানি কিতাবের প্রতিবিম্ব মাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">মহান রবের দিকনির্দেশিকা পবিত্র কুরআনের হুকুম-আহকাম ত্যাগ করে আজ মানবরচিত বাণীতে আমার কর্ণকুহর পরিপূর্ণ, হৃদাঙ্গনে সেটার আবাদ করে তুলছি দিনের পর দিন৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আবশ্যিক (ফরজ) বিষয় পরিত্যাগ করে আজ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের বিষয়গুলোর প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছি খুব বেশি৷ সামান্য বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের উত্থান যেন পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, উদার হৃদয় যেন আজ হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকারের আবাসভূমি৷ সুন্দর হৃদয় পরিণত হয়েছে কুৎসিত কাঁটাযুক্ত বিষবৃক্ষে৷ যেটা ছিল এই বাহ্যিক রূপে-গুণে পরিপূর্ণ সুন্দর ধরণীর কদাকার চাহনীর কলুষিত আত্মার প্রতিধ্বনি মাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এত শত লোভ-লালসা, আকাংখার উপাদানে ভরা অস্থায়ী জমিন যখন আমাকে অস্বিকার করবে, আমার ধনদৌলতকে পিষ্ট করে দিবে, আমার বসবাসের অট্টালিকাকে ভূ-গর্ভে বিলিন করে দিবে৷ এত চিত্তাকর্ষণ গাছ-গাছালি, তরুলতা, নদী-নালা, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত প্রভৃতি যখন ধূলির ন্যায় উড়তে থাকবে৷ শিঙ্গায় ফুঁৎকারের ধ্বনি যখন প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, সেই সময়টা (কেয়ামত) কতটা ভয়ংকরী ও বিভৎসময়ী চেহারায় রূপ নিবে সেটা কি আমি একটিবারের জন্যও ভেবে দেখেছি? চিন্তা করার ফুসরত পেয়েছি কখনো এসব নিয়ে? নাকি শুধু ছুটছি আর ছুটছি অস্থায়ী সফলতার পিছনে!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কথায় কর্মে মানুষের অন্তরে আঘাত করা, কারো অধিকার খর্ব করা, সামান্য অজুহাতে স্রষ্টার বিধান লংঘন করা এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ সেদিন (কিয়ামতের দিন) পৃথিবী তার কলিজার টুকরা বিশালাকার স্বর্ণ খন্ডের আকারে উদগীরণ করে দেবে৷ তখন যে ব্যক্তি ধন-সম্পদের জন্যে কাউকে হত্যা করেছিল সে তা দেখে বলবে, এর জন্যেই কি আমি এতবড় অপরাধ করেছিলাম? যে ব্যক্তি অর্থের কারনে আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল সে বলবে, এর জন্যেই কি আমি এ কাণ্ড করেছিলাম? চুরির কারনে যার হাত কাটা হয়েছিল সে বলবে, এর জন্যেই কি আমি নিজের হাত হারিয়েছিলাম? অতঃপর কেউ এসব স্বর্ণখণ্ডের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করবে না৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">"সেদিন যে কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করবে সে তার প্রতিদান পাবে আর যে কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করবে সেও তার প্রতিদান পাবে৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এসব ভাবনা চিন্তার আদলে আমার হৃদয় যখন অন্তঃসারশূন্য, অন্ধকার গুহায় নিমজ্জিত৷ তখন সেই পাপে কলুষিত দেহযষ্টি নিয়ে, অনুতপ্ত হৃদয়ে নামাজান্তে প্রভুর দরবারে একটাই মিনতি করলাম-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">"কত স্বপ্ন করেছি লালন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পরিত্যাগ করেছি শত বিধান,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কোন মুখে আমি চাহিব ক্ষমা</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পুণ্যবিনা জীবন এই শূন্য অভিধান৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">প্রভু হে নতশিরে মিনতি দরবারে তোমার,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অস্থায়ী ভুবনে কষ্টে যাতনা পেতে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">রাজি হাজারবার</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তবু যেন পরকালে বিদ্যুৎবেগে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পুলসিরাত হই পার৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">★তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তাফসীরে কানযুল ঈমান</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তআফসীরে মাআরেফুল কুরআন।</span></div>

নশ্বর পৃথিবী

নশ্বর পৃথিবী ✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন এশার নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছি৷ সূরা ফাতিহার পর মনের অজান্তেই একটি সূরা মিলালাম, যার নাম সূরাতুল যি...

Read more »

রেকর্ড পরিমান সংক্রমনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ২০হাজার | কোভিড-১৯ রিপোর্ট

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><u>নিজস্ব প্রতিবেদকঃ</u></b> দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ২৯৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২০২ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৫ জনে।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjSQr9RDNc8B3eAL0zXzBC1oECx5P5OlNmSO-l3_sWaPPJkZXaAiQiMOdA2nx2bTCyN8uUV_L_I21Ej4iyrTaPmmn2JdNuX9vM0Jy5dJo1OxSXddbejcQiaBUvuUKAe6C5fXChvDwzQdaR0/s1600/PicsArt_05-15-02.57.05.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="885" data-original-width="1600" height="220" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjSQr9RDNc8B3eAL0zXzBC1oECx5P5OlNmSO-l3_sWaPPJkZXaAiQiMOdA2nx2bTCyN8uUV_L_I21Ej4iyrTaPmmn2JdNuX9vM0Jy5dJo1OxSXddbejcQiaBUvuUKAe6C5fXChvDwzQdaR0/s400-rw/PicsArt_05-15-02.57.05.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও নয় হাজার ৫৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ৫৮২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৬০ হাজার ৫১২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ২০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৮-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৯ জন। আগের ২৪ ঘণ্টায়ও সুস্থ রোগী ছিলেন, যা গতকালের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়নি। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৮২ জন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের সাতজন পুরুষ ও আটজন নারী। বয়সের দিক থেকে একজন অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, আটজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, তিনজন ষাটোর্ধ্ব এবং দুজন ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সোয়া ৪৫ লাখ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ। তবে ১৭ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অবশ্য প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মানুষকে ঘরে রাখার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদ এবং দোকানপাট-শপিংমলও।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_200515_145518_703.sdoc--></div>

রেকর্ড পরিমান সংক্রমনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ২০হাজার | কোভিড-১৯ রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ২৯৮ জন মারা গেছেন। একই...

Read more »

কোভিড-১৯ আফ্রিকায় সংক্রমিত হতে পারে ২০ কোটি মানুষ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <u style="font-weight: bold;">আন্তর্জাতিক ডেস্ক:</u> <span style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px;">জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আফ্রিকায় দেড় লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সাম্প্রতিক এক মডেলিং গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা অনুসারে, এ মহাদেশে ২০ কোটির বেশি মানুষ সংক্রমণের শিকার হতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjXB3AGFr1GkEOLkEhX6PLGTMFgTI4awqOeP1qDR3HoLRfP_VXrZYmK6NE7pV8Exsq0rBg8bNbS2V7eYLlhFqsn03ZRQ0EUDnr47HMob339PaPFF68OJKitSoYOf2xUfKNCnA7GWv8wwVbn/s1600/PicsArt_05-15-02.40.18.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="1600" height="225" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjXB3AGFr1GkEOLkEhX6PLGTMFgTI4awqOeP1qDR3HoLRfP_VXrZYmK6NE7pV8Exsq0rBg8bNbS2V7eYLlhFqsn03ZRQ0EUDnr47HMob339PaPFF68OJKitSoYOf2xUfKNCnA7GWv8wwVbn/s400-rw/PicsArt_05-15-02.40.18.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; margin-bottom: 16px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> এ গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ আজ শুক্রবার 'বিএমজে গ্লোবাল হেলথ' সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের তুলনায় আফ্রিকায় সংক্রমণের হার কম হতে পারে। এখানে মৃত্যু ও জটিল পরিস্থিতিও তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।</div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; margin-bottom: 16px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> গবেষণা নিবন্ধের লেখকেরা বলেন, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে আমাদের মডেল সমস্যার মাত্রার দিকে ইঙ্গিত করে।</div> <div class="common_google_ads in_article_ad remove_bg" style="background: none rgb(255, 255, 255); border-bottom: none; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 20px; margin: 16px 0px; outline: 0px; overflow: hidden; padding: 2px 0px 24px; position: relative; text-align: justify;"> </div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; margin-bottom: 16px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অফিসের বিশেষজ্ঞরা আঞ্চলিক পর্যায়ে ৪৭ টি দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ এবং সংক্রমণের সম্ভাব্য হারের মডেল করেছেন। এতে জিবুতি, মিসর, লিবিয়া, মরক্কো, সোমালিয়া, সুদান ও তিউনিসিয়া বাদ পড়েছে।</div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; margin-bottom: 16px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> মডেল অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ বা ২২ শতাংশ মানুষ সংক্রমণের শিকার হবে, যাদের স্বল্প উপসর্গ বা কোনো উপসর্গ থাকবে না। ৪৬ লাখ মানুষের জন্য হাসপাতালের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, প্রায় ৮৮ শতাংশ মানুষ জানতে পারবে না যে তাদের ভাইরাস রয়েছে।</div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> গবেষকেরা আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোকে দ্রুত স্বাস্থ্যখাতে সেবার সক্ষমতা বাড়াতে, বিশেষত প্রাথমিক হাসপাতালগুলোতে সেবার অবকাঠামোর বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।</div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="background-color: white; font-family: Kiron, SolaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; overflow: hidden; padding: 0px; text-align: justify;"> তথ্য সূত্র: প্রথম আলো।</div> </div>

কোভিড-১৯ আফ্রিকায় সংক্রমিত হতে পারে ২০ কোটি মানুষ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:   জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আফ্রিকায় দেড় লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ...

Read more »

কাযী শুরাইহ- এর বিচারকার্য

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYGJXyS1Rt3ibqy9cb50HjIP_8I3Kfvsb4cXVSlGnCJorHIbupsVRwpVvntbjOIVGBTdcU7VHMqW-Xrwgezn-81ghqlRGEpNFqr4DboOWOmpR6ENR4ZeuH-6c5lCjg38SIuC0_VJlz5Fw/s1600/54.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="382" data-original-width="500" height="305" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYGJXyS1Rt3ibqy9cb50HjIP_8I3Kfvsb4cXVSlGnCJorHIbupsVRwpVvntbjOIVGBTdcU7VHMqW-Xrwgezn-81ghqlRGEpNFqr4DboOWOmpR6ENR4ZeuH-6c5lCjg38SIuC0_VJlz5Fw/s400-rw/54.jpg" width="400" /></a></div> <br /> <br /> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">কাযী শুরাইহ বিন হারেছ আল-কিন্দী ইসলামের ইতিহাসে ন্যায়পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা ও অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী এক অনন্যসাধারণ বিচারপতি ছিলেন। তিনি একাধারে ওমর, ওছমান, আলী এবং মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর শাসনামলে বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ৬০ বছর যাবৎ বিচারকার্য পরিচালনার পর ৭৮ হিজরী সনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার নিরপেক্ষ বিচারের দীপ্তিমান ইতিহাস সর্বকালেই মানবজাতিকে প্রেরণা জুগিয়ে থাকে। নিম্নে তার দু’টি ঘটনা বিবৃত হ’ল-</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">[১]</span></span><span style="box-sizing: border-box; color: red;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;"> </span></span>ইসলামের ২য় খলীফা ওমর (রাঃ) একদা এক ব্যক্তির নিকট থেকে ভালভাবে দেখেশুনে একটি ঘোড়া ক্রয় করলেন। অতঃপর ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করে স্বীয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’লেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে লাগল।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ওমর (রাঃ) কালবিলম্ব না করে সরাসরি বিক্রেতার নিকটে ফিরে এলেন এবং তাকে বললেন, তুমি তোমার ঘোড়া ফিরিয়ে নাও, এটা ত্রুটিযুক্ত।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">বিক্রেতা বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! আমি ঘোড়াটি ফেরত নিব না, কেননা আপনি তা সুস্থ ও সবল অবস্থাতেই আমার নিকট থেকে ক্রয় করেছেন।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ওমর (রাঃ) বললেন, ঠিক আছে, তাহ’লে তোমার মাঝে ও আমার মাঝে একজন বিচারক নির্ধারণ করা হোক।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">বিক্রেতা বললেন, ঠিক আছে, কাযী শুরাইহ আমাদের মাঝে ফায়ছালা করবেন।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ঘটনার বর্ণনাকারী শা‘বী বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: blue;">তারা উভয়েই শুরাইহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’লেন এবং তার নিকটে পৌঁছে তাকে প্রকৃত ঘটনা বিবৃত করলেন। কাযী শুরাইহ ঘোড়ার মালিকের অভিযোগ শ্রবণ করে ওমর (রাঃ)-কে বললেন, আপনি কি ঘোড়াটিকে সবল ও সুস্থ অবস্থায় কিনেছিলেন? ওমর (রাঃ) বললেন, জি হ্যাঁ। বুদ্ধিমত্তা ও ন্যায়পরায়ণতার মূর্ত প্রতীক কাযী শুরাইহ ঘোষণা করলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি যা ক্রয় করেছেন তা গ্রহণ করে সন্তুষ্ট হৌন অথবা যে অবস্থায় ঘোড়াটিকে গ্রহণ করেছিলেন সে অবস্থায় ফেরত প্রদান করুন। হতচকিত খলীফা মুগ্ধ দৃষ্টিতে কাযী শুরাইহের দিকে তাকিয়ে বললেন, হ্যাঁ! এটাই তো ন্যায়বিচার। হে বিচারপতি! আপনি কুফায় গমন করুন। আমি আপনাকে কুফার প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দান করলাম।</span> </span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">[আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়াহ ৯/২৫]</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">[২] </span></span>৪র্থ খলীফা আলী (রাঃ) একদিন বাজারে গিয়ে দেখেন, জনৈক খৃষ্টান লোক একটা লোহার বর্ম বিক্রি করছে। <span style="box-sizing: border-box; color: #993366;">আলী (রাঃ)</span> তৎক্ষণাৎ বর্মটি চিনে ফেললেন এবং বললেন, এ বর্ম তো আমার। চল, আদালতে তোমার ও আমার মধ্যে ফায়ছালা হবে। সেসময় ঐ আদালতের বিচারক ছিলেন কাযী শুরাইহ। তিনি যখন আমীরুল মুমিনীনকে আসতে দেখলেন, তখন তাঁর বসার স্থান থেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং আলী (রাঃ)-কে নিজ স্থানে বসিয়ে তিনি তাঁর পাশে বসলেন।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">আলী (রাঃ) বিচারপতি শুরাইহকে বললেন, এই ব্যক্তির সাথে আমার বিরোধ মিটিয়ে দিন। শুরাইহ বললেন, আমীরুল মুমিনীন! আপনার বক্তব্য কি? <span style="box-sizing: border-box; color: black;">আলী বললেন, </span>এই বর্মটি আমার। অনেক দিন হ’ল এটি হারিয়ে গেছে। আমি তা বিক্রয় করিনি, দানও করিনি।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">শুরাইহ বললেন, ওহে খৃষ্টান! আমীরুল মুমিনীন যা বলছেন, সে ব্যাপারে তুমি কী বলতে চাও? সে বলল, আমি আমীরুল মুমিনীনকে মিথ্যাবাদিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করছি না, তবে বর্মটি আমারই। শুরাইহ বললেন, বর্মটিতো এই ব্যক্তির দখলে রয়েছে। কোন প্রমাণ ছাড়া তার কাছ থেকে সেটা নেয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে কি?</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">আলী (রাঃ) হেসে ফেললেন এবং বললেন, শুরাইহ ঠিকই বলেছেন। আমার নিকট তো কোন প্রমাণ নেই। নিরুপায় শুরাইহ খৃষ্টানের পক্ষেই রায় দিলেন এবং সে বর্মটি গ্রহণ করে রওয়ানা হ’ল। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে সে আবার ফিরে এল এবং বলল, আমি সাক্ষী দিচ্ছি যে, এটাই নবীদের বিধান ও শিক্ষা। আমীরুল মুমিনীন নিজের দাবী বিচারকের সামনে পেশ করেছেন, আর বিচারক তার বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন। আল্লাহ্‌র কসম, হে আমীরুল মুমিনীন! এটা আপনারই বর্ম। আমি এটা আপনার কাছে বিক্রয় করেছিলাম। পরে তা আপনার মেটে রঙের উটটির উপর থেকে ছিটকে পড়ে গেলে আমি ওটা তুলে নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা:) আল্লাহর রাসূল।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">আলী (রাঃ) বললেন, তুমি যখন মুসলমান হয়ে গেলে, তখন এ বর্ম এখন থেকে তোমার। অতঃপর আলী (রাঃ) তাকে ভাল দেখে একটা ঘোড়াও উপহার দিলেন এবং তাতে চড়িয়ে তাকে বিদায় দিলেন।</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ইমাম শা‘বী বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: blue;">আমি পরবর্তীকালে এই নওমুসলমানকে নাহরাওয়ানের যুদ্ধে খারেজীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে দেখেছি। অপর বর্ণনায় শা‘বী বলেন, আলী (রাঃ) এছাড়া তার জন্য দু’হাযার দিরহাম ভাতাও নির্ধারণ করে দেন। অবশেষে এই ব্যক্তি ছিফফীনের যুদ্ধে আলী (রাঃ)-এর পক্ষে লড়াই করে শহীদ হন।</span> </span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;">[বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা ১০/১৩৬ হা/২০২৫২, ১০/১৩৬; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ৮/৫]</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><br /></span></div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px; text-align: justify;"> <span style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">শিক্ষা:</span></span></span></h2> <ol style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-size: 15px; margin-bottom: 26px; padding: 0px;"> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;"> ন্যায়বিচার মানবতাকে সমুন্নত করে।</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;"> </span>আল্লাহর আইনের সামনে রাজা-প্রজা সকলে সমান।</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ক্ষমাশীল আচরণ দিয়ে মানব হৃদয় জয় করা যায়।</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">বিচারপতিকে বিচক্ষণ, মহৎ ও সৎসাহসী হ’তে হয়।</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;"><span style="font-family: Verdana, sans-serif;">ইসলামী খেলাফতে মুসলিম-অমুসলিম সকলের নাগরিক অধিকার সমান</span></li> </ol>

কাযী শুরাইহ- এর বিচারকার্য

কাযী শুরাইহ বিন হারেছ আল-কিন্দী ইসলামের ইতিহাসে ন্যায়পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা ও অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী এক অনন্যসাধারণ বিচারপতি ছিলেন। ত...

Read more »

মেডিটেশনঃ মোহাসাবা বা আত্মপর্যালোচনা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> #মোহাসাবা_বা_আত্মপর্যালোচনা </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তরিকতের একটা গুরুত্বপূর্ণ টার্ম #মোহাসাবা আমাদের অনেকের কাছে অজানা। এটা হলো #আত্মপর্যালোচনা অর্থাৎ আজ সারাদিন কি কি করলাম তার অনুসন্ধান চালানো! এ আমল আহলে তরিকত থেকে গায়েরে তরিকত,  মুসলমান থেকে অমুসলমান  পযন্ত সকলের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তিরমিজি শরীফের একটি হাদীসে  হুযূর বলেছেন– ‘বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে মৃত্যু আসার আগেই নিজের বিচার করে নেয়।"। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #মোহাসাবা_করার_প্রক্রিয়া_কেমন? </div> <div style="text-align: justify;"> সাধারণত আমাদের  মন মস্তিষ্ক  বড় চঞ্চল।  সুতরাং আত্মপর্যালোচনা করতে গেলেই,  সর্বোচ্চ দুই মিনিট /তিন মিনিট পরেই আমাদের মনে ধারনা আসে "এনাফ",  অনেকক্ষন হয়ে গেছে।  পুরো দিনের হিসাব নেয়া শেষ।  বাস্তবে সামান্য কিছু সময় পার হয়েছে।  এবং হিসাব নিকাশ কিছুই হয় নি৷  কিন্তু মন বিদ্রোহ করছে যে! এইজন্য মোহাসাবার দুটি ফেস আছে। #এক_হলো সকাল থেকে রাত পযন্ত দেখা, #দুই_হলো রাত থেকে পিছনে ফিরে ফিরে সকাল পযন্ত দেখা। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #এক, প্রথমেই নুন্যতম পনেরো  মিনিট সময় বরাদ্দ করে নিতে হবে ( এই পনেরো  মিনিট আমি ভাবনা চিন্তা আত্মপর্যালোচনা করতেই থাকবো -যতই মনে হোক না কেন সব কিছু বোঝা শেষ - ভাবা শেষ -দেখা শেষ) ।  এখন  সকাল থেকে ঘড়ির কাটা ধরে ধরে ভাবতে থাকি। সকাল ছয়টার সময় কি করেছি?  সাতটার সময়ে কি করেছি?  এই ভাবে ৮-৯-১০-১১ টার সময় কিকি করা হয়েছে দেখি। এটা শুধুই দেখা,  এই দেখার সময়ে জাজমেন্টাল হলে হবে না।  অন্যকোনো ভাবনায়  সুইস করা যাবে না শুধু ভিডিও দেখার মতো দেখে যেতে হবে।  খারাপ কিছু ধরা পড়বে (এটাই স্বাভাবিক),  কিন্তু সেই খারাবি নিয়ে টেনশন করা যাবে না।  এটাও চ্যলেঞ্জ যে, দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে লাস্ট ১৬/১৭ঘন্টা রিভিউ করতে হবে (বাকি সাত আট ঘন্টা তো ঘুমিয়ে পার করে দিন)। ৮-৯-১০-১১-১২ এভাবে ঘুরতে ঘুরতে হয়তো দুপুর ১টা বা ২টা পরে টার পরে আবার দেখলেন ব্রেন কাজ  করছে না।   তাহলে এখন সাইড পাল্টে নিন। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;">  #দ্বিতীয় ফেস শুরু করি। এখন (ধরি রাত ১১ টা) প্রথমে লাস্ট এক ঘন্টা কি কি করেছি দেখি অর্থাৎ ১১টা থেকে ১০টা পযন্ত কি কি করেছি। তারপর পর ১০ টা থেকে ৯ টা পযন্ত দেখি। তারপর ৯টা থেকে ৮ টা, ৮ টা থেকে ৭ টা,  ৭ টা থেকে ৬ টা, ৬ টা থেকে ৫ টা - এভাবে রিভিউ করতে থাকি।  এই দুই ফেসে রিভিউ করা শেষ হলে,  এখন আইডেন্টিটিফাই করি- কোথায় কোথায় সময় চুরি হলো, কে চুরি করলো,  কিভাবে চুরি করলো ইত্যাদি।   কোথায় কোথায় আমল চুরি হলো।  কোথায় কোথায় সওয়াব চুরি হলো। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;">  সঠিক  ম্যানেজমেন্ট আজ পযন্ত কেউ তরিকতের রাস্তায় অগ্রসর হতে পারে নি বা কোনও রাস্তায় উন্নতি সাধন করতে পারে নি ।সেই জন্য  অন্তত দুই মাস একটানা প্রায় প্রতিদিন  পনেরো মিনিট স্থির করে,  ডাবল ফেসে (সকাল থেকে সামনের দিকে এগিয়ে  + রাত থেকে নিচের দিকে নেমে)  মোহাসাবা করার পরেই এর সঠিক স্পন্দন বা ফয়েজ আমরা পেতে শুরু করবো। তখন সাত আট মিনিটেই পুরো টা সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ।  আল্লাহ আমাদের সহায়ক হোন। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> নোটঃ অভ্যস্ত হয়ে গেলে দিনের যে কোনও সময়ে বা ঘুম থেকে ওঠার তিন চার ঘন্টা পর থেকেই পাচ মিনিটের মোহাসাবা করে নেয়া যায়। এতে দিনের টাইম ম্যানেজমেন্ট এ গ্যাপ থাকে না। সারাদিন  সচ্চ ভাবে পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ।। আর একটা কথা,  অনেক সময়েই নফস ধোকা দিয়ে বলবে, হাতে সময় নেই, বিশ্বাস করুন নফস মিথ্যা বলছে। বরং পাচ মিনিটের মোহাসাবাতে পাচ /ছয় ঘন্টার সময় সাশ্রয় হবে। আবার, কোনও এক সকালে আগের দিনের সম্পুর্ন ভিডিও টি  মনের কম্পিউটারে রিপ্লে করা নেয়া যায়। অর্থাৎ,  এটা আমল করার জন্য সুনির্দিষ্ট টাইম নাই। বরং যখনই সময় পাওয়া যাবে -করে নিতে হবে।</div> </div>

মেডিটেশনঃ মোহাসাবা বা আত্মপর্যালোচনা

#মোহাসাবা_বা_আত্মপর্যালোচনা  তরিকতের একটা গুরুত্বপূর্ণ টার্ম #মোহাসাবা আমাদের অনেকের কাছে অজানা। এটা হলো #আত্মপর্যালোচনা অর্থাৎ আজ সার...

Read more »

মেডিটেশনঃ কাদেরিয়া সিলসিলার এক বিশেষ জিকির এবং জিকিরের মাধ্যমে উর্ধোরহন এবং নিম্নে প্রত্যাবর্তনঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> গৃহে বন্দি হয়ে বোর হওয়ার দরকার নেই। আসুন কোয়ালিটি টাইম পাস করি। মেডিটেশন করি।</div> <div style="text-align: justify;"> কাদেরিয়া সিলসিলার এক বিশেষ জিকির এবং জিকিরের মাধ্যমে উর্ধোরহন এবং নিম্নে প্রত্যাবর্তনঃ</div> <div style="text-align: justify;"> #আল্লাহু_সামিয়ুন,</div> <div style="text-align: justify;"> #আল্লাহু_বাশিরুন,</div> <div style="text-align: justify;"> #আল্লাহু_আলেমুন,</div> <div style="text-align: justify;"> #আল্লাহু_কাদেরুন</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হ্যা, এই চারটি জিকিরের সাহায্যে এটা করা হয়। খানকাহ তে হলে দলবদ্ধ ভাবেই হয়। এখানে চারটি মাকাম আছে । প্রথম উর্ধোরহন নাভি -কপাল,দ্বিতীয় উর্ধোরহন কপাল-চতুর্থ আসমান, তৃতীয় উর্ধোরহন চতুর্থ আসমান - সপ্তম আসমান, চতুর্থউর্ধোরহন সপ্তম আসমান- আরশ ।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ আল্লাহু_সামিয়ুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ নাভি থেকে কপাল পযন্ত উর্ধোরহন করলেন, আল্লাহু_বাশিরুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ কপাল থেকে চতুর্থ আসমান , আল্লাহু_আলেমুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ চতুর্থ আসমান থেকে সপ্তম আসমান, আল্লাহু_কাদেরুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ সপ্তম আসমান থেকে আরশ । এখন আপনার রুহ কে কিছুক্ষন সেই নৈকট্যের মাকামে রেখে দিন ।রুহ কে ঘোরাঘুরি করতে দিন । কিছুটা সময় পরে -</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহু_কাদেরুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ আরশ থেকে সপ্তম আসমানে নেমে আসছে,আল্লাহু_আলেমুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ সপ্তম আসমান থেকে চতুর্থ আসমানে নেমে আসছে, আল্লাহু_বাশিরুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ চতুর্থ আসমান থেকে কপাল পযন্ত নেমে আসছে , আল্লাহু_সামিয়ুন পড়তে পড়তে অনুভব করুন আপনার রুহ কপয়াল থেকে নাভিতে নেমে আসছে ।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পুরো প্রক্রিয়াটা কয়েকবার রিপিট করুন। উপরে উঠুন, আবার নিচে নেমে আসুন। নির্জনে বসে অন্তত পনেরো /বিশ মিনিট এই প্রক্রিয়া মোড়াকাবা চালিয়ে যান।ধারাবাহিকতা থাকলে ইনশা আল্লাহ অনন্ত প্রশান্তি এবং নৈকট্য হাসিল হবে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> নোটঃ আল্লাহু সামিয়ুন আল্লাহ সর্বশ্রোতা, আল্লাহু বাসিরুন আল্লাহ সর্বদ্রষ্টা,আল্লাহু আলেমুন আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, আল্লাহু কাদিরুন আল্লাহ সর্বশক্তিমান । এখানে অর্থের দিকে খেয়াল না রাখলে কোনও ক্ষতি নেই।</div> </div>

মেডিটেশনঃ কাদেরিয়া সিলসিলার এক বিশেষ জিকির এবং জিকিরের মাধ্যমে উর্ধোরহন এবং নিম্নে প্রত্যাবর্তনঃ

গৃহে বন্দি হয়ে বোর হওয়ার দরকার নেই। আসুন কোয়ালিটি টাইম পাস করি। মেডিটেশন করি। কাদেরিয়া সিলসিলার এক বিশেষ জিকির এবং জিকিরের মাধ্যমে উর্ধো...

Read more »

আসুন মেডিটেশন করি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> গৃহে বন্দি হয়ে বোর হওয়ার দরকার নেই। আসুন কোয়ালিটি টাইম পাস করি। মেডিটেশন করি (যদিও এই পোস্ট টিও অন্যান পোস্টের মতোই রিপোস্ট)।</div> <div style="text-align: justify;"> ---------------------------</div> <div style="text-align: justify;"> #নফি_সবাত ( #লা_ইলাহা_ইল্লাল্লাহ)  জিকির করার নক্সবন্দি আকাবির গনের পদ্ধতিঃ  </div> <div style="text-align: justify;"> গোপন জিকির হিসাবে বা বাতেনী আমল হিসাবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকিরের কয়েকটি পদ্ধতি আছে।  শুধু মাত্র একটি পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা হবে।  এখানে  #লা টান টি উঠবে নাভী থেকে কপালের মধ্যখান বরাবর যেয়ে থামবে।  কপালের মধ্যখান হতে #ইলাহা ডান কাধ বরাবর নেমে,  #ইল্লাল্লাহ ডান কাধ হতে ডাইরেক্ট কলবে (বাম স্তনের দুই আংগুল নিচে হৃদ স্পন্দন অনুভূত হবার স্থানে) ধাক্কা দিবে।  </div> <div style="text-align: justify;"> নিচে ছবি আকারে দেয়া হলো,  যেন বুঝতে সুবিধা হয়। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> নফি এসবাতের জিকির দুই ভাবে করা যায়। #এক, খোলাদমে (বা দম স্বাভাবিক রেখে) কিছু সময় এই জিকির টি করা ভাল,  এতে,  নাভী থেকে লা দিয়ে টান কপালের মধ্যখানে, ইলাই ডান কাধে,  আর ইল্লাল্লাহ (কলবে) বামে -এই  জিকিরের রুট বা পথ ক্লিয়ার হয়। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #দুই, কিছু সময় রুদ্ধ রেখেও করতে হবে,  যেটা তরিকতের সালেকদের জরুরী আমল। এক্ষেত্রে লম্বা টান দিয়ে দম টেনে,  তিন-পাচ-সাত বার #লা_ইলাহা_ইল্লালাহ  জিকির টি পদ্ধতি মোতাবেক করে, দম ছেড়ে দিয়ে মনে মনে মুহাম্মাদূর রাসুলুল্লাহ সঃ বলতে হবে (সবটা ই হবে মনে মনে, জিহবা নড়াচড়া করবে না)। এরপরে কিছুক্ষন দম নিয়ে আবার পুর্বের মত লম্বা দম টান দিয়ে নিয়ে,  দম রুদ্ধ বা বন্ধ রেখে পাচ/সাত/এগারো বা সম্ভব হলে আরও একটু বেশি সংখ্যা গননা করে বেজোড় সংখ্যাতে থেমে যাবে। এক্ষেত্রে একদমে  সর্বোচ্চ একুশবার পযন্ত ট জিকির টি করার অনুমতি আছে।  তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন, কোনও ভাবেই শরীরের উপর বেকায়দা কোনও চাপ না পড়ে। এই জন্য আস্তে আস্তে সময় নিয়ে নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে অল্প করে করে জিকিরের সংখ্যা বাড়ানো উত্তম। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> জিকিরের সংখ্যা কত হওয়া বাঞ্চনীয়? </div> <div style="text-align: justify;"> গত শতাব্দী পযন্ত  বুজুর্গ গন নুন্যতম ৫০০ বার এই জিকির টি করার তালিম দিতেন।  কিন্তু বর্তমানের অতি ব্যাস্ততা থাকায় বুজুর্গ গন ১০০ বার আমল করার তাগিদ দিচ্ছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এই জিকির কখন শুরু হবে? </div> <div style="text-align: justify;"> এই জিকির লতিফায়ে নফসের(দুই ভ্রুর মধ্য খান বরাবর) আমলের পরে,  শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালেকের বা ছাত্রদের অবস্থা বুঝে প্রথমেও এই আমল দিতে পারেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এই জিকিরের ফায়দা কি? </div> <div style="text-align: justify;"> এই জিকিরের অনুশীলন করলে  অন্যান লতিফা, যেমন  কলব (বাম স্তনের দুই আংগুল নিচে), রুহ (ডান স্তনের দুই আংগুল নিচে),  সিরর (বাম স্তনের দুই আংগুল উপরে), খফি (ডান স্তনের দুই আংগুল উপরে),  আখফা (কলব -রুহ-সিরর-খফির মধ্যখানে বা বুকের মধ্যখানে), এবং লতিফায়ে নফস ( ভ্রুর মধ্য বরাবর)  একদম পরিচ্ছন্ন এবং চালু হয়ে যায়।  আর কোনও ঝামেলা থাকে না।  এহাড়া, এই জিকির অনুশীলন করলে মনের চাঞ্চল্য দুরিভুত হয়। এটা অন্তর বা মনের ওজু সাদৃশ্য। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উচ্চাকাঙ্খাঃ এই জিকির অনুশীলন করলে সুলতানুল আজগর (সমগ্র শরীরে জিকির) এর রাস্তা তৈরি হোয়। অনেক সময়ে,   অটোমেটিক সুলতানুল আসগর জারি হয়ে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (আল্লাহ আমাদের হক্কের উপর থাকার তৌফিক দান করুন)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (শেয়ার না করে,  কপি -পেস্ট এর সাহায্যে  ভালো লাগার লেখা গুলো  ছড়িয়ে দিই--ধন্যবাদ)</div> </div>

আসুন মেডিটেশন করি

গৃহে বন্দি হয়ে বোর হওয়ার দরকার নেই। আসুন কোয়ালিটি টাইম পাস করি। মেডিটেশন করি (যদিও এই পোস্ট টিও অন্যান পোস্টের মতোই রিপোস্ট)। ----------...

Read more »

মেডিটেশনঃ শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট।</div> <div style="text-align: justify;"> #পাস_আন_পাসে (শ্বাস প্রশ্বাসে) #আল্লাহু_আল্লাহ_জিকিরঃ</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #শ্বাস_প্রশ্বাসে_আল্লাহু জিকির টা অনেক সিলসিলার সালেকদের সার্বক্ষণিক আমল থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের আল্লাহু জিকিরে, প্রথমে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হু। এই ভাবে অবিরাম আল্লাহু জিকির চলতে থাকবে অবিরাম।</div> <div style="text-align: justify;"> এইটা প্রথম প্রথম চালু করা কস্টকর লাগলেও, কিছুদিন অনুশীলন করলে পাস আন পাসে আল্লাহু জিকির অনেক সহজ হয়ে যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রথমে কিছু ক্ষন নাকের ডান পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ(দুই /তিন মিনিট বা ৩০/৪০ বার)।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আবার কিছুক্ষন সমপরিমাণ (দুই /তিন মিনিট) সময় নিয়ে, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, ডান পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ।</div> <div style="text-align: justify;"> (যদি ঠান্ডার কারণে বা যেকোনো  নাকের কোনও এক পাশ বন্ধ লাগে, তবুও শুধু অনুভবে তেমনটা ধরে নিয়েই করলেই ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ,  উপরন্তু নাক ক্লিয়ার হয়ে যেতে পারে)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এরপর আবার সমপরিমাণ  (দুই/তিন মিনিট) সময়  নিয়ে নাকের দুপাশ কে এক সাথে উন্মুক্ত করে দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এরপর দোম স্বাভাবিক রেখে আল্লা-হু শব্দ কে আবার শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সিংক্রোনাইজড (একাকার) করে দিয়ে দুই/তিন মিনিট থাকা যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এই ভাবে পরপর কয়েক টা দিন  মাত ৭/৮ মিনিট করে পাস আন পাসে বা শ্বাস প্রশ্বাসে আল্লাহু জিকির করলে, জিকির টি সহজ এবং সাবলিল হয়ে যায়।তখন ইচ্ছামত চালু করে রাখা যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (শেয়ার না করে,  কপি -পেস্ট এর সাহায্যে  ভালো লাগার লেখা গুলো  ছড়িয়ে দিই--ধন্যবাদ)</div> </div>

মেডিটেশনঃ শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে

শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট। #পা...

Read more »

আল্লাহ নামের জিকির ও মেডিটেশন

<div style="text-align: justify;">শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট। </div><div style="text-align: justify;">#পাস_আন_পাসে (শ্বাস প্রশ্বাসে) #আল্লাহু_আল্লাহ_জিকিরঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#শ্বাস_প্রশ্বাসে_আল্লাহু জিকির টা অনেক সিলসিলার সালেকদের সার্বক্ষণিক আমল থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের আল্লাহু জিকিরে, প্রথমে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হু। এই ভাবে অবিরাম আল্লাহু জিকির চলতে থাকবে অবিরাম।</div><div style="text-align: justify;">এইটা প্রথম প্রথম চালু করা কস্টকর লাগলেও, কিছুদিন অনুশীলন করলে পাস আন পাসে আল্লাহু জিকির অনেক সহজ হয়ে যায়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রথমে কিছু ক্ষন নাকের ডান পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ(দুই /তিন মিনিট বা ৩০/৪০ বার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবার কিছুক্ষন সমপরিমাণ (দুই /তিন মিনিট) সময় নিয়ে, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, ডান পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ। </div><div style="text-align: justify;">(যদি ঠান্ডার কারণে বা যেকোনো  নাকের কোনও এক পাশ বন্ধ লাগে, তবুও শুধু অনুভবে তেমনটা ধরে নিয়েই করলেই ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ,  উপরন্তু নাক ক্লিয়ার হয়ে যেতে পারে)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এরপর আবার সমপরিমাণ  (দুই/তিন মিনিট) সময়  নিয়ে নাকের দুপাশ কে এক সাথে উন্মুক্ত করে দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এরপর দোম স্বাভাবিক রেখে আল্লা-হু শব্দ কে আবার শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সিংক্রোনাইজড (একাকার) করে দিয়ে দুই/তিন মিনিট থাকা যায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই ভাবে পরপর কয়েক টা দিন  মাত ৭/৮ মিনিট করে পাস আন পাসে বা শ্বাস প্রশ্বাসে আল্লাহু জিকির করলে, জিকির টি সহজ এবং সাবলিল হয়ে যায়।তখন ইচ্ছামত চালু করে রাখা যায়।</div>

আল্লাহ নামের জিকির ও মেডিটেশন

শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট।  #পাস_আ...

Read more »

মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <u><i>মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে?</i></u></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বদ নজরের প্রভাব সত্য। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- </div> <div style="text-align: justify;"> وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ </div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ –আর কাফিররা যখন উপদেশবাণী শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে, আর তারা বলে, ‘এ তো এক পাগল’।</div> <div style="text-align: justify;"> (সূরা আল-কলম, আয়াতঃ ৫১)</div> <div style="text-align: justify;"> হাফেজ ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এবং মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, (لَيُزْلِقُونَكَ) “তোমার প্রতি বদনজর দিবে।” অর্থাৎ তারা তোমাকে হিংসার প্রতিফলন ঘটিয়ে রুগী বানিয়ে দিবে যদি আল্লাহর তোমার প্রতি হেফাযত না থাকে। আয়াতটি প্রমাণ বহন করে যে, বদনজরের কুপ্রভাবের বাস্তবতা রয়েছে, আল্লাহর হুকুমে।যেমন এ ব্যাপারে হাদীসও রয়েছে। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৪/৪১০)</div> <div style="text-align: justify;"> <i><u><br /></u></i></div> <div style="text-align: justify;"> <i><u>বদ নজরে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা-</u></i></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত জিবরাইল (আলাইহিস সালাম)নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়তেন,</div> <div style="text-align: justify;"> عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ فَقَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ</div> <div style="text-align: justify;"> আবি সাঈদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ্!(দরুদ) আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন?তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (জিবরীল)বললেনঃ আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নযর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি।</div> <div style="text-align: justify;"> (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং- ৫৫১২, ইসলামিক ফাঊন্ডেশন)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <u><i>বদ নজরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।</i></u></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #প্রথম পদ্ধতি-</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যে ব্যক্তি নজর লাগিয়েছে যদি তার সম্পর্কে জানা যায়, তবে তার গোসল করা পানি নিয়ে রোগীর পিঠে ঢেলে দিবে। তাতে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে সে আরোগ্য লাভ করবে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আবু উমামা বিন সাহাল বিন হুনাইফ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা সাহাল বিন হুনাইফ মদিনার খাররার নামক উপত্যকায় গোসল করার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি গোসলের জন্য জামা খুললেন তখন তার শরীরে আমের বিন রাবীয়ার (রা.) দৃষ্টি পড়ে। যেহেতু সাহাল বিন হুনাইফ (রা.) সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন, তাই আমের দেখামাত্র বলে উঠল।আজকের মতো এমন (সুন্দর) চামড়া আমি কখনও দেখিনি; এমনকি অন্দর মহলের কুমারীদেরও না। তার এ কথা বলার সাথে সাথে সাহাল তৎক্ষণাৎ বেহুশ হয়ে পড়ে যায় এবং প্রচণ্ড আকারে রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এরপর রাসুলুল্লাহ (দরুদ) কে বিষয়টি জানানো হয় এবং বলা হল যে, সে তার মাথা উঠাতে পারছে না।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রাসুলুল্লাহ (দরুদ) জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি কারো প্রতি বদ নজরের সন্দেহ কর? উত্তরে লোকজন বলল, হ্যাঁ আমের বিন রাবীয়ার ওপর সন্দেহ হয়। এটা শুনে নবী (দরুদ) তাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার ওপর রাগাম্বিত হয়ে বললেন, কেন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজের ভাইকে হত্যা করে।তুমি তার জন্য বরকতের দু’আ কেন করনি?এখন তার জন্য গোসল কর।অতঃপর আমের নিজের হাত,চেহারা,দু’পা, দু’হাঁটু,দু’কনুই ও লুঙ্গির আভ্যন্তরীণ অংশ একটি পাত্রে ধৌত করলেন।অতঃপর সেই পানি সাহাল বিন হুনাইফের পিঠে ঢেলে দেয়া হল।এরপর সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেল।</div> <div style="text-align: justify;"> (আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> লুঙ্গির অভ্যন্তরীণ অংশ নিয়ে আলেমগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন, তা দ্বারা শরীরের অংশ বুঝানো হয়েছে। আর কেউ এটাও বলেছেন যে, এর অর্থ লজ্জাস্থান। এটাও বলা হয়েছে যে, কোমর কাজী ইবনুল আরবী বলেন, এর দ্বারা লুঙ্গির নিম্নের সংশ্লিষ্ট অংশ বুঝানো হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বদ নজরের গোসলের পদ্ধতি</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লামা ইবনে শিহাব যুহরী বলেন, গোসলের পদ্ধতি যা আমরা আমাদের উলামাদের নিকট থেকে শিখেছি তা হলো- যে ব্যক্তির পক্ষ হতে নজর লেগেছে তার সামনে এক পাত্র পানি দেয়া হবে। এরপর সেই ব্যক্তি পানি নিয়ে পাত্রে কুলি করবে। এরপর পাত্রে নিজের মুখ ধুবে। বাম হাতে ঢেলে ডান হাতের কজি ও ডান হাতে ঢেলে বাম হাতের কজি পর্যন্ত একবার করে ধৌত করবে, তারপর বাম হাত দিয়ে ডান কনুই এবং ডান হাত দিয়ে বাম কনুইয়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ে আর ডান হাতে বাম পায়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ের হাঁটু আর ডান হাতে বাম পায়ের হাঁটুতে ঢালবে। আর সব যেন পাত্রে হয়। এরপর লুঙ্গী বা পায়জামার ভেতরের অংশ পাত্রে ধৌত করবে নিচে রাখবে না। অতঃপর সকল পানি রোগীর মাথায় একবারে ঢালবে। –সুনানে কুবরা, ইমাম বাইহাকি ৯/২৫২</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এই গোসলের বিধিবদ্ধতার প্রমাণ</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নজর লাগা সত্য, আর কোনো কিছু যদি তাকদীরকে অতিক্রম করতো তবে তা বদ নজর হতো। আর তোমাদের মধ্যে কাউকে যখন (এর জন্য) গোসল করতে বলা হয় তখন সে যেন গোসল করে। -মুসলিম: ১৪/১৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২। আয়েশা (রা.) বলেন, (নবীযুগে) নজর যে ব্যক্তি লাগিয়েছে তাকে ওযু করতে বলা হতো। আর সেই ওযু করা পানি দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হতো।” –সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮০</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উল্লিখিত হাদীসদ্বয় দ্বারা নজরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য বদ নজরকারীর ওযু ও গোসল সাব্যস্ত হয়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> চিকিৎসার দ্বিতীয় পদ্ধতি:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রোগীর মাথায় হাত রেখে নিম্নের দু’আ পড়ুন-</div> <div style="text-align: justify;">  بسم الله أرقيك ولله يشفيك من كل داء يؤذيك ومن كل نفس أو عين حاسد الله يشفيك بسم الله أرقيك </div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ আল্লাহর নামে তোমায় ঝাড়-ফুক করছি। আর আল্লাহই তোমাকে কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি দিবেন। আর সকলের অনিষ্ট ও হিংসুক বদ নজরকারীর অনিষ্ট থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন। আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ছি। -সহীহ মুসলিম: ২১৮৬</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তৃতীয় পদ্ধতি:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দু’আ পড়ুনঃ</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ আল্লাহর নামে ঝাড়ছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন।</div> </div>

মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে?

মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে? বদ নজরের প্রভাব সত্য। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-  وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَا...

Read more »

শ্বাস প্রশ্বাসের জিকির ও মেডিটেশন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট। </div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> #পাস_আন_পাসে (শ্বাস প্রশ্বাসে) #আল্লাহু_আল্লাহ_জিকিরঃ</div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> #শ্বাস_প্রশ্বাসে_আল্লাহু জিকির টা অনেক সিলসিলার সালেকদের সার্বক্ষণিক আমল থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের আল্লাহু জিকিরে, প্রথমে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হু। এই ভাবে অবিরাম আল্লাহু জিকির চলতে থাকবে অবিরাম।</div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> এইটা প্রথম প্রথম চালু করা কস্টকর লাগলেও, কিছুদিন অনুশীলন করলে পাস আন পাসে আল্লাহু জিকির অনেক সহজ হয়ে যায়। </div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> প্রথমে কিছু ক্ষন নাকের ডান পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ(দুই /তিন মিনিট বা ৩০/৪০ বার)। </div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> আবার কিছুক্ষন সমপরিমাণ (দুই /তিন মিনিট) সময় নিয়ে, নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, ডান পাশ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ। </div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> (যদি ঠান্ডার কারণে বা যেকোনো  নাকের কোনও এক পাশ বন্ধ লাগে, তবুও শুধু অনুভবে তেমনটা ধরে নিয়েই করলেই ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ,  উপরন্তু নাক ক্লিয়ার হয়ে যেতে পারে)</div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> এরপর আবার সমপরিমাণ  (দুই/তিন মিনিট) সময়  নিয়ে নাকের দুপাশ কে এক সাথে উন্মুক্ত করে দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে আল্লাহ, এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হুউ। </div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> এরপর দোম স্বাভাবিক রেখে আল্লা-হু শব্দ কে আবার শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সিংক্রোনাইজড (একাকার) করে দিয়ে দুই/তিন মিনিট থাকা যায়।</div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: sans-serif; text-align: justify;"> এই ভাবে পরপর কয়েক টা দিন  মাত ৭/৮ মিনিট করে পাস আন পাসে বা শ্বাস প্রশ্বাসে আল্লাহু জিকির করলে, জিকির টি সহজ এবং সাবলিল হয়ে যায়।তখন ইচ্ছামত চালু করে রাখা যায়।</div> </div>

শ্বাস প্রশ্বাসের জিকির ও মেডিটেশন

শ্বাস প্রশ্বাসের জিকিরে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে। আসুন, অহেতুক আতংকিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর নির্ভর করি। মেডিটেশন করি। রিপোস্ট।  #প...

Read more »

মাওলানা ওমর ফারুকের ইন্তেকালে আহলে সুন্নাতের শোক | নিউজ ডেস্ক

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div style="text-align: justify;"> <b><u>স্টাফ রিপোর্টার:</u></b> পটিয়া বড়লিয়া সালামিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, পীরে তরিক্বত মাওলানা সৈয়দ ওমর ফারুকের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান দেশের শীর্ষ আলেম শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, নির্বাহী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাংগঠনিক সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল নোমানী প্রমুখ।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVFGxfW_XvGEnSN3vOrPdoabuYiGgpkFvYcj6xry3ZZaMbEaf90dyjzecKa9_bZeyr_eV4ZEGT8Mav1TJRLpV4rCEaKZbYaeYmFDD5lviKOJTtJdbr9j6E-zC5mufgqirx7Eq2tdxO9vJa/s1600/PicsArt_05-15-05.15.52.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="1600" height="225" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVFGxfW_XvGEnSN3vOrPdoabuYiGgpkFvYcj6xry3ZZaMbEaf90dyjzecKa9_bZeyr_eV4ZEGT8Mav1TJRLpV4rCEaKZbYaeYmFDD5lviKOJTtJdbr9j6E-zC5mufgqirx7Eq2tdxO9vJa/s400-rw/PicsArt_05-15-05.15.52.jpg" width="400" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> দপ্তর সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন-কন্ঠাকাকীর্ণ বৈশ্বিক এ চরম ক্রান্তিকালে তাঁর ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত । সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে তাঁর ত্যাগ এবং অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষত বাতিল মুকাবিলায় ও দিশেহারা মুসলিম সমাজের মাঝে সুন্নীয়তের দাওয়াত পৌঁছাতে, সত্যিকার দ্বীন-মাযহাবকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মরহুম ওমর ফারুক একজন সুন্নীয়তের পক্ষে বাতিল মোকাবিলায় নিরলস কর্মযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে চট্টগ্রামসহ দেশের সুন্নী অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতৃবৃন্দ মহান প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রাথর্নার পাশাপাশি উনাকে জান্নাতের আ’লা মাকাম কামনা এবং সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে।</div> <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_200515_051151_246.sdoc--></div>

মাওলানা ওমর ফারুকের ইন্তেকালে আহলে সুন্নাতের শোক | নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার: পটিয়া বড়লিয়া সালামিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, পীরে তরিক্বত মাওলানা সৈয়দ ওমর ফারুকের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বি...

Read more »