বড়পীর শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রা.) এর লিখিত চিঠির আলোকে সূফিতত্ত্ব

<div style="text-align: justify;">প্রিয় বন্ধু আমার,</div><div style="text-align: justify;">(শাইখ জিলানি রা. ও সূফিত্বকে বুঝতে হলে তার চিঠি পড়তে হবে)</div><div style="text-align: justify;">-----</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় বন্ধু আমার,</div><div style="text-align: justify;">তোমার হৃদয় চকচকে আয়না। পলিশ করা। ধূলা পড়ে পড়ে এই আয়নার উপরে পর্দা তৈরি হয়ে যায়। তোমাকে অবশ্যই এ আয়না পরিষ্কার করে রাখতে হবে, কারণ এ আয়নার উদ্দেশ্য হল খোদায়ি রহস্যগুলোকে প্রতিফলিত করা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“আল্লাহ্ সব আকাশ ও সব জমিনের নূর।(১)” যখন আল্লাহ্’র পক্ষ থেকে আলো তোমার হৃদয়ের জায়গাগুলোকে ঝকমকিয়ে দিবে, তখনি তোমার হৃদয়ের বাতি উঠবে জ্বলে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হৃদয়ের বাতি “একটা ফানুসে/ কাচের বাক্সে আছে। আর সেই কাচ যেন জ্বলজ্বলে এক নক্ষত্র(১)”  আর ওই হৃদয়ের ভেতরে ঐশী আবিষ্কারের বজ্র-পথ। এ বজ্র-পথ ধরে বিজলি আছড়ে পড়ে। তোমার এই বজ্র-পথ বিজলি-মেঘের আলোয় ভরপুর হয়ে উঠবে, যখন তুমি বুঝতে পারবে, ওই গাছ আছে “না পূর্বদিকে, না পশ্চিম দিকে, জ্বলে ওঠে বরকতপূর্ণ যাইতুন গাছ(১)” এই আয়াত।</div><div style="text-align: justify;">আবিষ্কারের গাছের গায়ে আছড়ে পড়বে তখন বজ্র। এত পরিচ্ছন্ন! এত পবিত্র! এত স্বচ্ছ্ব, যে, “ সেই জ্বালানিকে কোন আগুন স্পর্শ করতে পারে না।(১)”</div><div style="text-align: justify;">তখন জ্ঞানের প্রদীপ নিজ থেকে জ্বলে ওঠে।</div><div style="text-align: justify;">কীভাবে এটা নিভে থাকবে, যখন আল্লাহ্’র রহস্যগুলোর নূর এর উপর চমকে উঠবে?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি শুধু ঐশী রহস্যের আলো ওই বাতির উপর ঝলকে ওঠে, রাতের ওই রহস্য-আকাশ হাজারো তারায় ঝকমকিয়ে উঠবে “এবং তারা দেখে তোমরা পথ খুঁজে পাও (২)” </div><div style="text-align: justify;">শোনো, তারারা আমাদের পথ দেখায় না। পথ দেখায় খোদায়ি আলো। কারণ, আল্লাহ্ নিচের “আসমান তারার সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন (৩)”।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি শুধু খোদায়ি রহস্যের আলো তোমার হৃদয়ের আয়নায় ঝলকায়, তখনি তোমার ভেতরের সত্ত্বা জ্বলে উঠবে। তারপরই বাকী সবকিছু আসবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসতে পারে একসাথে পুরোটাই। অথবা আসতে পারে একটু একটু করে। কিন্তু আসবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিছু বিষয় তুমি ইতোমধ্যে জানো। কিছু বিষয় আমি এখানে বলব।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পড়ো,</div><div style="text-align: justify;">শোনো, </div><div style="text-align: justify;">বোঝার চেষ্টা করো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অচেতনতা হল অন্ধকার আকাশ। এই অন্ধকার আকাশ আলোকিত হবে খোদায়ি উপস্থিতিতে। পূর্ণিমার চাঁদে আছে প্রশান্তি আর সৌন্দর্য। এই পূর্ণ চাঁদ দিগন্তের আড়াল থেকে উদিত হবে তোমার আকাশ তারায় আলোকিত হবার পরই। চাঁদ ফেলবে “আলোর উপর আলো (৪)”, উঠতেই থাকবে তোমার আকাশের উপরে, আরো উপরে। ওই চাঁদ তার তাকদিরে লেখা স্তরগুলো পেরিয়ে যেতে থাকবে, যেমনটা আল্লাহ্, “ তার আপন কক্ষপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন (৫)” তারপর সে পূর্ণচন্দ্রই হবে, তোমার মধ্যগগনে প্রতাপের জোছনা ছড়াবে। সরিয়ে দিবে লক্ষ্যহীনতার যত্ত অন্ধকার, তার সবটুকুকে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“(কসম) রাতের, যখন তা স্থির থাকে (৬)” “(কসম) সকালের প্রতাপশালী আলোর (৭)” তোমার অবচেতনার রাত অবশেষে ভোরের দেখাও পাবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তখন তুমি স্মৃতি মনে পড়ার সুঘ্রাণে বিভোর হবে আর “সকালের প্রথম ক্ষণে তওবা(৮)” করবে। এই তওবা হবে তোমার অতীতের সারাটা জীবন অচেতনতায় কাটানোর আফসোস। সারাটা জীবন ঘুমে কাটানোর আফসোস।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সকাল বেলার বুলবুলির গান শুনবে তখন তুমি। শুনবে, তারা বলছে,  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“তাদের অভ্যাস ছিল রাতে ঘুমানোর কিন্তু অল্প, আর সকালের প্রথম প্রহরে তাদের (পাওয়া যেতো) ক্ষমাপ্রার্থনায়। (৯)”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা আপন আলোর পথ দেখান। (১০)”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তখন তুমি ঐশী কারণের দিগন্তে দেখতে পাবে, ভেতরের জ্ঞানের সূর্য উদিত হচ্ছে। এটা তোমার একান্তই নিজের সূর্য। কারণ তুমিই সে জন, “যাকে আল্লাহ্ পথ দেখান” এবং যারা “আছে সরল সঠিক পথে” এবং তাদের মধ্যে নয় “যারা ভুলে ডুবে আছে। (১১)” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর তুমি ওই রহস্য বুঝতে পারবে যে, “ সূর্যকে চাঁদ ধরে ফেলতে দেয়া হয়নি। না রাত পারে দিনকে অতিক্রম করতে। সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে আবর্তমান।(১২)”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চূড়ান্তে, সবগুলো গিঁট খুলে যাবে। খুলে যাবে জট সেসব নিদর্শনের সহায়তায় “যেসব নিদর্শন আল্লাহ্ মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন, আর আল্লাহ্ সবকিছুকে সবচে ভাল জানেন।(১৩)”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উঠে যাবে পর্দা। ভেঙে যাবে খোলস। বেরিয়ে আসবে রুক্ষের অন্তরালে থাকা কোমল। সত্য তার চেহারা থেকে সরাবে অবগুণ্ঠন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর এই সব শুরু হবে তোমার হৃদয়ের আয়না পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে। সেই আয়নায় ঠিকরে উঠবে আলো, যদি তুমি চাও।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি তুমি চাও তার জন্য। তার কাছে। তার সাথে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-</div><div style="text-align: justify;">টিকা:</div><div style="text-align: justify;">১. সূরা নূর, ৩৫</div><div style="text-align: justify;">২. সূরা নাহল, ১৬</div><div style="text-align: justify;">৩. সূরা সাফফাত, ৬</div><div style="text-align: justify;">৪. সূরা নূর, ৩৫</div><div style="text-align: justify;">৫. সূরা ইয়া-সিন, ৩৯</div><div style="text-align: justify;">৬. সূরা দোহা, ২</div><div style="text-align: justify;">৭. সূরা দোহা, ১</div><div style="text-align: justify;">৮. সূরা আল ই ইমরান, ১৭</div><div style="text-align: justify;">৯. সূরা যারিয়াত, ১৭-১৮</div><div style="text-align: justify;">১০. সূরা ‍নূর, ৩৫</div><div style="text-align: justify;">১১. সূরা আ’রাফ, ১৭৮</div><div style="text-align: justify;">১২. সূরা ইয়া-সিন, ৪০</div><div style="text-align: justify;">১৩. সূরা নূর, ৩৫</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইংরেজি করেছেন: শাইখ তোসুন বায়রাক আল-জেররাহি আল-হালভেতি</div>

বড়পীর শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রা.) এর লিখিত চিঠির আলোকে সূফিতত্ত্ব

প্রিয় বন্ধু আমার, (শাইখ জিলানি রা. ও সূফিত্বকে বুঝতে হলে তার চিঠি পড়তে হবে) ----- প্রিয় বন্ধু আমার, তোমার হৃদয় চকচকে আয়না। পলিশ করা। ধূলা পড়...

Read more »

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

<p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। আফজালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি’ অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।" - (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">তাহাজ্জুদের নামায অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ হলেন তারা, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এটি একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ইবাদত। তাহাজ্জুদের নফল নামাজকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন এবং সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে।</p><h2 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 22px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 32px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাজ‌ কি?</strong></h2><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">তাহাজ্জুদ (تهجد‎‎) অর্থ ঘুম থেকে জাগা। তাহাজ্জুদ নামাজ‌ বা রাতের নামাজ হচ্ছে একটি নফল ইবাদত, ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী।</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকেন নি। তবে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটা সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না।</p><h2 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 22px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 32px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাজ‌ পড়ার নিয়ম:</strong></h2><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">তাহাজ্জুদ একটি নফল ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতেন। তিনি কখনো ৪ রাকাত, কখনো ৮ রাকাত এবং কখনো ১২ রাকাত পড়েছিলেন। কিন্তু কেউ যদি এ নামাজ ২ রাকাত আদায় করেন, তাহলেও তার তাহাজ্জুদ আদায় হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত নামাজ পড়ে নেয়, সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী।"</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারও কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।</p><h3 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 20px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 30px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">নিয়ম:</strong></h3><ul style="margin: 0px 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 14px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 24px; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।</li><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">অতঃপর ছানা পড়া।</li><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">সুরা ফাতেহা পড়া।</li><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া।</li><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা।</li><li style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।</li></ul><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">এভাবে দুই দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। (বিঃদ্রঃ– যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে)।</p><h3 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 20px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 30px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাযের নিয়ত:</strong></h3><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: right;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر</strong></p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">অর্থ: দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি... <br style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।</p><h3 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 20px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 30px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাযের সময়:</strong></h3><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মুল সময় মুলত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।</p><h3 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 20px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 30px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাযের ওয়াক্ত:</strong></h3><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">ইশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। কুরআনে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাকীদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া। তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময় এই যে, এশার নামাযের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। নবী (সাঃ) কখনো মধ্য রাতে, কখনো তার কিছু আগে অথবা পরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে-ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক আয়াত পড়তেন। তারপর মেসওয়াক ও অযু করে নামায পড়তেন।</p><h2 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 22px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 32px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন:</strong></h2><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের জন্য ওঠে কুরআনের এ আয়াতসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। - (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: right;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ</strong></p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">উচ্চারণ: </strong>রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুবহানাকা ফাক্বিনা ‘আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিআই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্‌ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার।’</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">অর্থ:</strong> ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন:-</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: right;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ،<br style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،<br style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ</strong></p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">উচ্চারণ:</strong> আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।’ (বুখারি)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">অর্থ:</strong> ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই, আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের নুর। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের মালিক, আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য। (পরকালে) আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য। আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার (প্রেরিত) নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য।</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপর ঈমান আনলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই রুজু করলাম, আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার আগের-পরের প্রকাশ্য ও গোপন সব পাপ/অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক। আপনি ব্যতিত সত্য কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই অথবা আপনি ব্যতিত (ইবাদতের উপযুক্ত) অন্য কেউ নেই।’</p><h2 style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 22px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; line-height: 32px; font-weight: 500; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased;">তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফযীলত:</strong></h2><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে।</p><blockquote style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 14px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; display: block; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word;">"তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৭-১৮)।</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; display: block; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word;">আল কুরআনের সূরা আল মুজাম্মিল এ উল্লেখ করা হয়েছে "অবশ্য রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা জিকর একেবারে যথার্থ।"</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; display: block; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word;">সূরা আল ফুরকান-এর ৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে "আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।"</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; display: block; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word;">"তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুলত্রুটির ক্ষমাপ্রার্থী"। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ১৭)</p></blockquote><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী। (আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">রাসুল (সাঃ) বলেন, আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন। অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে। (আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">রাসুল (সাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামায দাউদ (আঃ) এর নামায। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতেন তৃতীয় ভাগে নামাযে দাঁড়াতেন আর ৬ষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব-নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজ হিসাব কামনা করে, তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। শ্রেষ্ঠতম মুফাসিসরে কোরআন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (র.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে সহজ হিসাব কামনা করে, তার উচিত হবে আল্লাহ যেন তাকে রাত্রির অন্ধকারে সেজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় পান। তার মধ্যে পরকালের চিন্তা ও রহমতের প্রত্যাশাও থাকা দরকার। (তাফসিরে কুরতুবি, মা’আরেফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)</p><p style="margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; border: 0px; font-size: 15px; vertical-align: baseline; outline: none; text-size-adjust: none; -webkit-tap-highlight-color: rgba(0, 0, 0, 0); text-rendering: auto; -webkit-font-smoothing: antialiased; position: relative; line-height: 26px; color: rgb(59, 59, 59); overflow-wrap: break-word; font-family: sans-serif, Helvetica, Arial, Georgia; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।</p>

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। আফজালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি’ অর্থাৎ ফর...

Read more »

সালাত/নামায ভঙ্গের ১৯ টি কারণ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> নামায ভঙ্গের ১৯ টি কারণ</div> <div style="text-align: justify;"> 🖋Ashraful Hasan Qadri</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১. নামাজে অশুদ্ধ পড়া।  নামাজের ভেতর কিরাতে যদি এমন পরিবর্তন হয়, যার ফলে কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে, আবার তা আদায় করা ওয়াজিব হবে। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী : ১/৬৩৩-৬৩৪, ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৮০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৩৪৪)।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২.  নামাজের ভেতর কথা বলা। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।</div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল ﷺ নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ </div> <div style="text-align: justify;"> (মুসলিম : ৫৩৭)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩.  কোনো লোককে সালাম দেওয়া। নামাজরত অবস্থায় কোনো লোককে সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;">  (ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৯২, আল বাহরুর রায়েক ২/১২০)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৪.  সালামের উত্তর দেওয়া। নামাজরত অবস্থায় কারো সালামের উত্তর দেওয়া নামাজ ভঙ্গকারী কাজ। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল ﷺ আমাকে তাঁর একটি কাজে পাঠিয়েছেন, আমি গেলাম ও কাজটি সেরে ফিরে এলাম। অতঃপর নবী করিম ﷺ -কে সালাম করলাম। তিনি জবাব দেননি। এতে আমার মনে এমন খটকা লাগল, যা আল্লাহই ভালো জানেন। আমি মনে মনে বললাম, সম্ভবত আমি বিলম্বে আসার কারণে নবী ﷺ আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনি জবাব দিলেন না। ফলে আমার মনে প্রথমবারের চেয়েও অধিক খটকা লাগল। (নামাজ শেষে) আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম। এবার তিনি সালামের জবাব দিলেন ও বললেন, ‘নামাজে ছিলাম বলে তোমার সালামের জবাব দিতে পারিনি। তিনি তখন তাঁর বাহনের পিঠে কিবলা থেকে অন্য মুখে ছিলেন।’ </div> <div style="text-align: justify;"> (বুখারি : ১২১৭)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৫. উহ্-আহ্ শব্দ করা। নামাজরত অবস্থায় কোনো ব্যথা কিংবা দুঃখের কারণে উহ্-আহ্ শব্দ করলে নামাজ ভেঙে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> (আদ্দুররুল মুখতার ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক ২/৪, মারাকিল ফালাহ ১/১২১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৬.  বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। অপ্রয়োজনে কাশি দেওয়ার দ্বারাও নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/৬১৮, মারাকিল ফালাহ ১/১২১, আল বাহরুর রায়েক ২/৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৭.  আমলে কাসির করা। ফিকাহবিদরা আমলে কাসিরের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। তার মধ্যে বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য মত হলো, কোনো মুসল্লি এমন কাজে লিপ্ত হওয়া, যার কারণে দূর থেকে কেউ দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্মে যে ওই ব্যক্তি নামাজরত নয়। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত ৩/৪৮৫, ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬২৪-৬২৫, বায়েউস সানায়ে ১/২৪১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৮. বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা। দুনিয়াবি কোনো বিপদ-আপদ কিংবা দুঃখের কারণে শব্দ করে কাঁদলে নামাজ ভেঙে যায়।  </div> <div style="text-align: justify;"> (হাশিয়াতু তাহতাবি ১/৩২৫, ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৯, নূরুল ইজাহ, পৃ. ৬৮)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৯.  তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলিয়া থাকা। নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে তার নামাজ হবে না। তাই যদি কোনো ব্যক্তির গেঞ্জি, শার্ট বা প্যান্ট নাভির নিচ থেকে রুকু সিজদার সময় সরে গিয়ে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় এভাবে অতিবাহিত হয়, তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতওয়ায়ে শামী ১/২৭৩, কাফি ১/২৩৮, মাওয়াহিবুল জলীল ১/৩৯৮, মুগনিল মুহতাজ ১/১৮৮, হাশিয়াতুত তাহতাবি ১/৩৩৭)</div> <div style="text-align: justify;">     </div> <div style="text-align: justify;"> নারীদের মাথাও সতর। কোনো কারণে মাথার ওড়না সরে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। নবী পাক ﷺ ইরশাদ করেছেন,  ‘কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী ওড়না ছাড়া নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তার নামাজ কবুল করেন না।’ </div> <div style="text-align: justify;"> (আবু দাউদ : ৬৪১, তিরমিজি : ৩৭৭, ইবনে মাজাহ : ৬৫৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১০. মুক্তাদি ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা (ভুল সংশোধন) লওয়া। যেমন—ইমাম সাহেব কিরাতে ভুল করছেন, সঙ্গে সঙ্গে নামাজের বাইরের কোনো লোক লোকমা দিলে তা গ্রহণ করা। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬২২, ফাতাওয়ায়ে আলগীরী ১/৯৮)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১১. সুসংবাদ বা দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়া। সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া দুনিয়াবি কথার শামিল, তাই এর দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক ২/২)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১২. নাপাক জায়গায় সেজদা করা। নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া জরুরি। অর্থাৎ নামাজ পড়ার সময় নামাজি ব্যক্তির শরীর যেসব জায়গা স্পর্শ করে, সে জায়গাগুলো পবিত্র হওয়া, যা নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত। তাই নাপাক বা অপবিত্র জায়গায় সেজদা করলে নামাজ ভেঙে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> (বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৫, আল বাহরুর রায়েক ২/৩৭, তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৯৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৩. কিবলার দিক থেকে সিনা ঘুুরে যাওয়া। কোনো কারণে কিবলার দিক থেকে সিনা (বুক) ঘুরে গেলে নামাজ ভেঙে যায়। তবে যানবাহনে নামাজের ক্ষেত্রে মাসআলা ভিন্ন।  </div> <div style="text-align: justify;"> (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #১৪. নামাজে কোরআন শরিফ দেখে পড়া। নামাজরত অবস্থায় কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়লে নামাজ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (মারাকিল ফালাহ ১/১২৪, হাশিয়াতুত তাহতাবি ১/৩৩৬)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৫. নামাজে শব্দ করে হাসা। নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে ওজুসহ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (কানযুদ্দাকায়েক ১/১৪০)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৬. নামাজে সাংসারিক কোনো বিষয় প্রার্থনা করা। নামাজরত সাংসারিক/দুনিয়াবি কোনো দোয়া করলে হানাফি মাজহাব মতে নামাজ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক ২/৩)। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৭. হাঁঁচির জবাব দেওয়া। নামাজরত অবস্থায় কারো হাঁঁচির (উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললে) উত্তর দেওয়া কথা বলার নামান্তর। এর দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়। </div> <div style="text-align: justify;"> (ফাতাওয়ায়ে শামী ২/১১৭)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৮. নামাজে খাওয়া ও পান করা। নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যায়। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৯. ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো। মুক্তাদির পায়ের গোড়ালি ইমামের আগে চলে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। তবে যদি (দুজনের জামাতে নামাজের ক্ষেত্রে) মুক্তাদি ইমামের পায়ের গোড়ালির পেছনেই দাঁড়ায়, কিন্তু তিনি লম্বা হওয়ার কারণে তাঁর সিজদা ইমাম সাহেবকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে তাঁর নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। </div> <div style="text-align: justify;"> (বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫৯, আল মাবসুত লিস সারাখসি ১/৪৩)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রসিদ্ধ এই ১৯টি ছাড়াও নামাজ ভঙ্গ হওয়ার আরো কারণ আছে। যেমন—কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারীর পাশে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ইমামের আগে কোনো রোকন আদায় করে ফেলা, ইচ্ছাকৃত ওজু ভাঙার মতো কোনো কাজ করে ফেলা, পাগল, মাতাল কিংবা অচেতন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নামাজ ভঙ্গের কারণ।</div> </div>

সালাত/নামায ভঙ্গের ১৯ টি কারণ

নামায ভঙ্গের ১৯ টি কারণ 🖋Ashraful Hasan Qadri ১. নামাজে অশুদ্ধ পড়া।  নামাজের ভেতর কিরাতে যদি এমন পরিবর্তন হয়, যার ফলে কোরআনের অর্থ ...

Read more »

নাস্তিক বিনোদন - Atheist Entertainment.

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8GTLsLEnN6SSYvi_1F0JrSEKW83AzPfzxBnO4dbSNnB5OGhGiezEq63Sj2DO_gRdKQfnzr_Ra6-aOYqsSpZD31yI12vElx43Bp6aal6FxTY1tng2pWBEAPHTmNCqiIPBEvnjs8FM57AY/s1600/FB_IMG_15875758756711409.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="720" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8GTLsLEnN6SSYvi_1F0JrSEKW83AzPfzxBnO4dbSNnB5OGhGiezEq63Sj2DO_gRdKQfnzr_Ra6-aOYqsSpZD31yI12vElx43Bp6aal6FxTY1tng2pWBEAPHTmNCqiIPBEvnjs8FM57AY/s320-rw/FB_IMG_15875758756711409.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgdcdXy9CULH4yqtZej91zz4zfX8qZt_eexbPYjz2ggyGm9ufpNUXZnZ8DJNBVALFcAV4dLZbn6vZkp44kmaHBgyGwtQRJ1FxcBTkatZnzVEDpEgY_Pwxd_9lS0wQweLQMbNwXzSJygTsw/s1600/FB_IMG_15875761010743100.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgdcdXy9CULH4yqtZej91zz4zfX8qZt_eexbPYjz2ggyGm9ufpNUXZnZ8DJNBVALFcAV4dLZbn6vZkp44kmaHBgyGwtQRJ1FxcBTkatZnzVEDpEgY_Pwxd_9lS0wQweLQMbNwXzSJygTsw/s320-rw/FB_IMG_15875761010743100.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc6oWZnN5Cy84OpHwdbo7Is8oqP8pvbWbe1XgE8rBwXPj11d9b0ABrw4l9ICett2RLN5fyeXzzEuQHdQJHO6qX-341_PAsjp-51e67mr_Zq8EbPqyQA5l3s11_KWR76H1mPr4k3jvBb6s/s1600/FB_IMG_15875761061163777.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="694" data-original-width="720" height="308" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc6oWZnN5Cy84OpHwdbo7Is8oqP8pvbWbe1XgE8rBwXPj11d9b0ABrw4l9ICett2RLN5fyeXzzEuQHdQJHO6qX-341_PAsjp-51e67mr_Zq8EbPqyQA5l3s11_KWR76H1mPr4k3jvBb6s/s320-rw/FB_IMG_15875761061163777.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjrBo0iUwwg6gKE6R4j0SnK9QlDI_VgllZj8h-v1aOXRtUWB2n9IYiJP1pdcJ628onrNhiVS3HRZ_3CUcfXDzK6X1OixuZ_wnlAydhTRTP4QgR_txPbnrG_2pghVR0MDi1cf_ETeChl0yY/s1600/FB_IMG_15875761790852460.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjrBo0iUwwg6gKE6R4j0SnK9QlDI_VgllZj8h-v1aOXRtUWB2n9IYiJP1pdcJ628onrNhiVS3HRZ_3CUcfXDzK6X1OixuZ_wnlAydhTRTP4QgR_txPbnrG_2pghVR0MDi1cf_ETeChl0yY/s320-rw/FB_IMG_15875761790852460.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEit1KiXgnKKaOEO1wb5QYfvrdnKrJh8SH-bldUZ5kSRUgBnz8XJqQygo5ukLsm-_w39aH76BnRba9cc1zlUwGTl5HYiFY_pEGCthjrqjM2Pa4SbKKrB31wNnWJiHptIpgoCwx4bh7NWBbs/s1600/FB_IMG_15875762414314096.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEit1KiXgnKKaOEO1wb5QYfvrdnKrJh8SH-bldUZ5kSRUgBnz8XJqQygo5ukLsm-_w39aH76BnRba9cc1zlUwGTl5HYiFY_pEGCthjrqjM2Pa4SbKKrB31wNnWJiHptIpgoCwx4bh7NWBbs/s320-rw/FB_IMG_15875762414314096.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikAKDQM9gaIcuTDT0IhjUf3oFglnVSEXdkPJx9o5avs2J6787imVmK_h3ynXyWmC41gF-KLZpzt3J8VIRDW6aDAMZrTyzmrS2I3im7Jd79csBQ-fi7mCOPG16Vgw1ODV3Tvg-_0ElFMOU/s1600/FB_IMG_15875762532667630.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="707" data-original-width="720" height="314" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikAKDQM9gaIcuTDT0IhjUf3oFglnVSEXdkPJx9o5avs2J6787imVmK_h3ynXyWmC41gF-KLZpzt3J8VIRDW6aDAMZrTyzmrS2I3im7Jd79csBQ-fi7mCOPG16Vgw1ODV3Tvg-_0ElFMOU/s320-rw/FB_IMG_15875762532667630.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjjs2AnIWBCx88v8hY-Ngm4ScbFBX3gwrG24Is8B65Ym9Xv9fk4k8Ut7qS9pHR-VdExb-ceYofvT5RvkB7b-JcGFhe_dmsU8TpXWBXn7IUONMopATgudJMsVRxJlZXd2ua14Qnbf5wd5T8/s1600/FB_IMG_15875762693384954.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjjs2AnIWBCx88v8hY-Ngm4ScbFBX3gwrG24Is8B65Ym9Xv9fk4k8Ut7qS9pHR-VdExb-ceYofvT5RvkB7b-JcGFhe_dmsU8TpXWBXn7IUONMopATgudJMsVRxJlZXd2ua14Qnbf5wd5T8/s320-rw/FB_IMG_15875762693384954.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgno754UtI8sOzQnlC7XnVyf4B_EMHYodc4NI_0lUpxHwPjKIP1vHnkEKZ1g9ab7Ds8YeiHOLCoffrsvW1QkoHcsGNn5CrDJCjUmZrsYt3eivGB0jU9tlXSiR8WP5SA5m2Rgrb17eNXh1A/s1600/FB_IMG_15875762934445545.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgno754UtI8sOzQnlC7XnVyf4B_EMHYodc4NI_0lUpxHwPjKIP1vHnkEKZ1g9ab7Ds8YeiHOLCoffrsvW1QkoHcsGNn5CrDJCjUmZrsYt3eivGB0jU9tlXSiR8WP5SA5m2Rgrb17eNXh1A/s320-rw/FB_IMG_15875762934445545.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIcX1wDCKGdRpcZCI4dGnIvWuv0uLnaoL5W1oFxkRvdlNw7kQM5f8D95kxwZyKZaEi-VxMajQK1DiaywneQCKPL4fXt8KmouHrNBfWAnHLjf8f6DIWW1eTr-wGMyR2SRLsehf5iaANBs0/s1600/FB_IMG_15875764435841087.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIcX1wDCKGdRpcZCI4dGnIvWuv0uLnaoL5W1oFxkRvdlNw7kQM5f8D95kxwZyKZaEi-VxMajQK1DiaywneQCKPL4fXt8KmouHrNBfWAnHLjf8f6DIWW1eTr-wGMyR2SRLsehf5iaANBs0/s320-rw/FB_IMG_15875764435841087.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhyuxGkbwy_ikBsbT1o0eItV9-Mgrs9WvL6Oic6ClzuUbV6T4Q17qoafUXGIhFcE3W3QKPIy6hHZtkmxxjqInQdKWe2dZ8PF1rTC6eTEbF25I_GOgCLl7ufiZLjFUxDyuOtvkY2EXJ2TAY/s1600/FB_IMG_15875764755798076.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhyuxGkbwy_ikBsbT1o0eItV9-Mgrs9WvL6Oic6ClzuUbV6T4Q17qoafUXGIhFcE3W3QKPIy6hHZtkmxxjqInQdKWe2dZ8PF1rTC6eTEbF25I_GOgCLl7ufiZLjFUxDyuOtvkY2EXJ2TAY/s320-rw/FB_IMG_15875764755798076.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoiEvzSmcMdcgs0m3YvdIYHc0jWt5XLXKm1KxpypHEpUfP1n3pHqsHavC2-M3frbib-Zeb9F3qNjSP8lgyZr6aseneKuTEhkz0p9XCR1y3ciUFJzxQAlYnEFKQoeMdc2ei0oX80hpx0V4/s1600/FB_IMG_15875765453878058.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="660" data-original-width="720" height="293" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoiEvzSmcMdcgs0m3YvdIYHc0jWt5XLXKm1KxpypHEpUfP1n3pHqsHavC2-M3frbib-Zeb9F3qNjSP8lgyZr6aseneKuTEhkz0p9XCR1y3ciUFJzxQAlYnEFKQoeMdc2ei0oX80hpx0V4/s320-rw/FB_IMG_15875765453878058.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhIzrwdh9Gv949qn7j7Wz1RNYcM73Qhcc9PlYrfyrlTB6BXaJLMXYusnVYhEtDXwgY01xU97xc1gyryGXtKJMJb26315ttDASAiZBOptpXXaLe437gDAj6G8UCb4n1hkC1m7UNOJ6chDUM/s1600/FB_IMG_15875765891406958.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhIzrwdh9Gv949qn7j7Wz1RNYcM73Qhcc9PlYrfyrlTB6BXaJLMXYusnVYhEtDXwgY01xU97xc1gyryGXtKJMJb26315ttDASAiZBOptpXXaLe437gDAj6G8UCb4n1hkC1m7UNOJ6chDUM/s320-rw/FB_IMG_15875765891406958.jpg" width="256" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgyMB3bATgQ348H0ifXpfPHpcbT3_1MWlGjNjOo9pRYB1GE5eztndgQo-CU7qccAoKzxU4d7T2A5Qy1Q7GxxftnG2Ve5qH5Lm2LZJuPnaMaVTC5miCvBnNr0InIXv4k9pmttOmWAKiN4kQ/s1600/FB_IMG_15875766717934957.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgyMB3bATgQ348H0ifXpfPHpcbT3_1MWlGjNjOo9pRYB1GE5eztndgQo-CU7qccAoKzxU4d7T2A5Qy1Q7GxxftnG2Ve5qH5Lm2LZJuPnaMaVTC5miCvBnNr0InIXv4k9pmttOmWAKiN4kQ/s320-rw/FB_IMG_15875766717934957.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj53dTAqb1W4aFc8ANx3utfT6xOqhgme7tlZh7D_ttEQOkc7MEsL8dRI3m5A2SVEREMI60omKHcSDBfYFIC3WKanaiZ43H8TCkfdi2xRqTEmRGwXBwCSwL-S2NBxKkcuK46HXsCxgNuDRI/s1600/FB_IMG_15875767220602382.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj53dTAqb1W4aFc8ANx3utfT6xOqhgme7tlZh7D_ttEQOkc7MEsL8dRI3m5A2SVEREMI60omKHcSDBfYFIC3WKanaiZ43H8TCkfdi2xRqTEmRGwXBwCSwL-S2NBxKkcuK46HXsCxgNuDRI/s320-rw/FB_IMG_15875767220602382.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXEeE_02mLVbHInqOhgUedNubF3f4S4rI7ksDj4Ckp7TZgxDJAm4lH0tGgD1lfs__LIzXtjepFEOmvngzmtKaM803xCnCHciMak1rbUD1sqzs1iqRyfgzvJbEjEupkpKKgzM11EeHUHps/s1600/FB_IMG_15875767444386186.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXEeE_02mLVbHInqOhgUedNubF3f4S4rI7ksDj4Ckp7TZgxDJAm4lH0tGgD1lfs__LIzXtjepFEOmvngzmtKaM803xCnCHciMak1rbUD1sqzs1iqRyfgzvJbEjEupkpKKgzM11EeHUHps/s320-rw/FB_IMG_15875767444386186.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLBapEFEwBHVFpj3Xj5rW7JXHVWg6yYEI7ftbF6uWsLJLZeHxbyXr8MJ8cYNINaVz513YKhxvVJM_Jq2Tslo-_u4aB5M3Q6uNkb1LzAHvuqMw_Q_HFKAo5mqHq3EL90nCVq2NCbZOio9g/s1600/FB_IMG_15875767996198225.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLBapEFEwBHVFpj3Xj5rW7JXHVWg6yYEI7ftbF6uWsLJLZeHxbyXr8MJ8cYNINaVz513YKhxvVJM_Jq2Tslo-_u4aB5M3Q6uNkb1LzAHvuqMw_Q_HFKAo5mqHq3EL90nCVq2NCbZOio9g/s320-rw/FB_IMG_15875767996198225.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgk0VhU15AG7SID5XYZpn3gXr1Xqsy-yuFGwtzLiVQWjCaii-r3umaAvCeCLeSi1YDyTcoZFZGGLHCwKrk8FXucY2_L236jcWQGnx75MpV3rqWsQr6dx9rNFjj9OMhYJPmLXhP-jlvEIHw/s1600/FB_IMG_15875768071974557.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgk0VhU15AG7SID5XYZpn3gXr1Xqsy-yuFGwtzLiVQWjCaii-r3umaAvCeCLeSi1YDyTcoZFZGGLHCwKrk8FXucY2_L236jcWQGnx75MpV3rqWsQr6dx9rNFjj9OMhYJPmLXhP-jlvEIHw/s320-rw/FB_IMG_15875768071974557.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_gBiclpjTbBlIH8693puEFImEoqhteu4sMQD-fwdZU7I08wnZt1Li6eZolJtDqJ5CiVT9OumZhmSPjb7t5buSPVmTXoFNZFzQFCRak290i07f7M9V7gansojhYV1fGxjUUQHiyfuGFUg/s1600/FB_IMG_15875768224636969.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_gBiclpjTbBlIH8693puEFImEoqhteu4sMQD-fwdZU7I08wnZt1Li6eZolJtDqJ5CiVT9OumZhmSPjb7t5buSPVmTXoFNZFzQFCRak290i07f7M9V7gansojhYV1fGxjUUQHiyfuGFUg/s320-rw/FB_IMG_15875768224636969.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLoSzKCCl2S4fYzyMKlB79aXdNeJnCj1TJklbl6eGOFRo3MbdT_St_Rnpv4hR1wc2W3kE24q-Uuygp5FLxTJndlu9hBF6EpieLWvJnULlXdHSQ1PWdZO1JJsi6BLeLiQbYM70yYSR1mVY/s1600/FB_IMG_15875768657757046.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLoSzKCCl2S4fYzyMKlB79aXdNeJnCj1TJklbl6eGOFRo3MbdT_St_Rnpv4hR1wc2W3kE24q-Uuygp5FLxTJndlu9hBF6EpieLWvJnULlXdHSQ1PWdZO1JJsi6BLeLiQbYM70yYSR1mVY/s320-rw/FB_IMG_15875768657757046.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikJi0MjUgAHbQ_NDSSCigTjGjuKIV4GLmcCSSGSlwGBc_22ksN51nCTesu18pDRfy6BApljFHfTkgvmQoXvoMHx0iMnvaToiQZg048vCaGygTecrGvKbbrJeKiY-GOcOF0oPgQPeuT9VI/s1600/FB_IMG_15875769169286880.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="527" data-original-width="720" height="234" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikJi0MjUgAHbQ_NDSSCigTjGjuKIV4GLmcCSSGSlwGBc_22ksN51nCTesu18pDRfy6BApljFHfTkgvmQoXvoMHx0iMnvaToiQZg048vCaGygTecrGvKbbrJeKiY-GOcOF0oPgQPeuT9VI/s320-rw/FB_IMG_15875769169286880.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6dpIXERbSgdy4XxEVEcrKcqYJw2LUpAnpeWl9P60UF8LC4TJU5-_hVG5P1s3a1TnHshpdp8WDGyuTquUvGVyqIXPuf5Ih8Y_AqsmymMAyErnSg3WmLFMNbtKYYhOeS6ecrAQqEjFD8PU/s1600/FB_IMG_15875769253932106.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6dpIXERbSgdy4XxEVEcrKcqYJw2LUpAnpeWl9P60UF8LC4TJU5-_hVG5P1s3a1TnHshpdp8WDGyuTquUvGVyqIXPuf5Ih8Y_AqsmymMAyErnSg3WmLFMNbtKYYhOeS6ecrAQqEjFD8PU/s320-rw/FB_IMG_15875769253932106.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjEYvFbyxmLWMHQle0lb9C5B0qU2VNG0rqo6PuCNaP-LUC5VC_Yg3IPpGTTFD6lpUfNmJ99a8b10aU4bnP1kOFcv8c3fplsUCKt9fd3TuLWhPVmVf3XcB61W_5DqebL3-ibT8RzfTg89Uo/s1600/FB_IMG_15875769953481423.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjEYvFbyxmLWMHQle0lb9C5B0qU2VNG0rqo6PuCNaP-LUC5VC_Yg3IPpGTTFD6lpUfNmJ99a8b10aU4bnP1kOFcv8c3fplsUCKt9fd3TuLWhPVmVf3XcB61W_5DqebL3-ibT8RzfTg89Uo/s320-rw/FB_IMG_15875769953481423.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDLYKHzn95XW0Z8p4eGTPDBKOKwq8H4YDe7YK5Hg6FrGskmH0dYWgnDJDicCFbi_bPuDCDcvBFvGYw0zYpg6Yv1Wz5H9TUBytjTKnRllOdDeAgx2STL_5sQkXLn-9IDXroVGnocWgIGbs/s1600/FB_IMG_15875771297554896.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="568" data-original-width="720" height="252" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDLYKHzn95XW0Z8p4eGTPDBKOKwq8H4YDe7YK5Hg6FrGskmH0dYWgnDJDicCFbi_bPuDCDcvBFvGYw0zYpg6Yv1Wz5H9TUBytjTKnRllOdDeAgx2STL_5sQkXLn-9IDXroVGnocWgIGbs/s320-rw/FB_IMG_15875771297554896.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhEr9UJ5l6M4NopVZyOPVUte5E5yYiCJuCjhWv3XJKqOFUKUQ0sHej9AvK1udUqknWe5B5GNhC_BJCD2J5mbhdiUoE1erH7w0X04eTmlFkD_KRXpVSIm0TGHXEs1iM-k07VXY-Bf6X4p4/s1600/FB_IMG_15875772043368648.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhEr9UJ5l6M4NopVZyOPVUte5E5yYiCJuCjhWv3XJKqOFUKUQ0sHej9AvK1udUqknWe5B5GNhC_BJCD2J5mbhdiUoE1erH7w0X04eTmlFkD_KRXpVSIm0TGHXEs1iM-k07VXY-Bf6X4p4/s320-rw/FB_IMG_15875772043368648.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhVT88A8DFk_hQeJmIKlHeZbHFYoSwyUNLeXtqTlC4JTN5wUSVWtTvanubgpyHzjQcBXsOaxKmVne93KGsscj9MgIijJc2WW-vSbGWQAG9LHWW-7oX2-_B7flWQ-HQ1SeDo14UK6nERgPc/s1600/FB_IMG_15875772626985527.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="446" data-original-width="720" height="198" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhVT88A8DFk_hQeJmIKlHeZbHFYoSwyUNLeXtqTlC4JTN5wUSVWtTvanubgpyHzjQcBXsOaxKmVne93KGsscj9MgIijJc2WW-vSbGWQAG9LHWW-7oX2-_B7flWQ-HQ1SeDo14UK6nERgPc/s320-rw/FB_IMG_15875772626985527.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_RSYXbuk2XfrtAFe5Tpt6eLwUVWWX5m1WNhDkWLjAY10Kq4UgCqosYbWIr1EttqhXS8yV8SpWl1CFngwI1g4nBDlH6NEGcAYFk9jMHOE2k3dNdS9_RxM-bPK9g0LgdGqPCiLUf2snv0U/s1600/FB_IMG_15875772767355894.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="565" data-original-width="720" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_RSYXbuk2XfrtAFe5Tpt6eLwUVWWX5m1WNhDkWLjAY10Kq4UgCqosYbWIr1EttqhXS8yV8SpWl1CFngwI1g4nBDlH6NEGcAYFk9jMHOE2k3dNdS9_RxM-bPK9g0LgdGqPCiLUf2snv0U/s320-rw/FB_IMG_15875772767355894.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi94GNYOJQZuYF-OV9qNCNP4bqE_2vbbXUAKc9AHXQ_JOLI_dMCDuqRqgL5ziF86r7iPW7GoH4WmQm_676SwdFfbfNLJhvQAH0jE8_Edvk0RnDcKIR6VMFihoy_bHuqQH2b8pUbw13lVZ4/s1600/FB_IMG_15875773398611885.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="720" height="224" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi94GNYOJQZuYF-OV9qNCNP4bqE_2vbbXUAKc9AHXQ_JOLI_dMCDuqRqgL5ziF86r7iPW7GoH4WmQm_676SwdFfbfNLJhvQAH0jE8_Edvk0RnDcKIR6VMFihoy_bHuqQH2b8pUbw13lVZ4/s320-rw/FB_IMG_15875773398611885.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg23UZ4V-jTu3to2gRzYQQmX5TQWRuXKb1-dVao4RgdRHCZIUY9cWVlmHqyti4RBhe_LuAu6DmKzQKPYiZIKSCfEqqhj74BadIg1I65AfuWgtd09nlxqGnPT7nTzNfrrEsHiIRb3nISyrI/s1600/FB_IMG_15875773799926927.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="502" data-original-width="720" height="223" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg23UZ4V-jTu3to2gRzYQQmX5TQWRuXKb1-dVao4RgdRHCZIUY9cWVlmHqyti4RBhe_LuAu6DmKzQKPYiZIKSCfEqqhj74BadIg1I65AfuWgtd09nlxqGnPT7nTzNfrrEsHiIRb3nISyrI/s320-rw/FB_IMG_15875773799926927.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh-XD_dvoLtZnK-yaAn8QigoJsTfqfpuKeOPU0Tt9mdquvfhQ7L24_C2wjjpgEVRs7bVWLPfkhwJpO23mS6bIhHRr7d1lKZPgHKuS10p3zpAfCuvNid2BMzVsv2IMZ2zuxjTejc2BSZsQ/s1600/FB_IMG_15876119692405738.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgh-XD_dvoLtZnK-yaAn8QigoJsTfqfpuKeOPU0Tt9mdquvfhQ7L24_C2wjjpgEVRs7bVWLPfkhwJpO23mS6bIhHRr7d1lKZPgHKuS10p3zpAfCuvNid2BMzVsv2IMZ2zuxjTejc2BSZsQ/s320-rw/FB_IMG_15876119692405738.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-W217Kg_gh9buR6WBa-f75gOjNz7nTb_eBMIduFpJJJ5WUT670IvbN3ccWr3-QqsxmwX4YW9K9_KGfFwFJir97yW9GorqgfNENXDgcCXzwHp0QMAyGW4wm3eNV7-DaCdsFQIaZgLryZ0/s1600/FB_IMG_15876121040379498.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-W217Kg_gh9buR6WBa-f75gOjNz7nTb_eBMIduFpJJJ5WUT670IvbN3ccWr3-QqsxmwX4YW9K9_KGfFwFJir97yW9GorqgfNENXDgcCXzwHp0QMAyGW4wm3eNV7-DaCdsFQIaZgLryZ0/s320-rw/FB_IMG_15876121040379498.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhf1P87fMuHDdM2o7U2LQwO277EzUxOFlZkbN8ZX3q2EHjaZbQj26cevBlOlD7iDvBzEHXSH0EcbjgWXE_ResPIxV_ez97BiGajqP2HWhV6d5z8__hjHro0JLR5Y6HUvTlLiOUASiGcLnk/s1600/FB_IMG_15876121196195622.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhf1P87fMuHDdM2o7U2LQwO277EzUxOFlZkbN8ZX3q2EHjaZbQj26cevBlOlD7iDvBzEHXSH0EcbjgWXE_ResPIxV_ez97BiGajqP2HWhV6d5z8__hjHro0JLR5Y6HUvTlLiOUASiGcLnk/s320-rw/FB_IMG_15876121196195622.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhj7geFXxY6eMpl4IvlCWdWCyMyK81HMDcNux90gM3v-X3SXfnPn3sbl3GyzH_M55fjatuASMWN-T_GTMKMRCPo90r2hF0aDpbjqWRshcjIImv22W8_lGDGZbHX-NnJjGdrPH420gkfOvQ/s1600/FB_IMG_15876121366398507.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="443" data-original-width="712" height="199" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhj7geFXxY6eMpl4IvlCWdWCyMyK81HMDcNux90gM3v-X3SXfnPn3sbl3GyzH_M55fjatuASMWN-T_GTMKMRCPo90r2hF0aDpbjqWRshcjIImv22W8_lGDGZbHX-NnJjGdrPH420gkfOvQ/s320-rw/FB_IMG_15876121366398507.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKpEK9o3fjfkCkfzNMGVad0HjI8yzE_LRv3viSVLIBcMAEW4wMVIjqnNvUXODEqPaGgPNltZ2uQvYPrO78KEwJV__C8NCAJVCFaaVM4b9Zq7JzqqEGWfzRyxKxbqkzOiBEjYrpOBii9eQ/s1600/FB_IMG_15876121584533519.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKpEK9o3fjfkCkfzNMGVad0HjI8yzE_LRv3viSVLIBcMAEW4wMVIjqnNvUXODEqPaGgPNltZ2uQvYPrO78KEwJV__C8NCAJVCFaaVM4b9Zq7JzqqEGWfzRyxKxbqkzOiBEjYrpOBii9eQ/s320-rw/FB_IMG_15876121584533519.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrqjo5cEv6MM1fkWvOO4vuOTp2cOJ_taG3hajSkrYuSqNSVf0wnvMegPc-xavtP8lhyXApnTuau6SIJfgvHoVVVAMA4m8TzJZzMHqrfGnuIrkRVtNbVnxf1RMD0V2SlFP3_7SGrJqWjfg/s1600/FB_IMG_15876122041767756.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrqjo5cEv6MM1fkWvOO4vuOTp2cOJ_taG3hajSkrYuSqNSVf0wnvMegPc-xavtP8lhyXApnTuau6SIJfgvHoVVVAMA4m8TzJZzMHqrfGnuIrkRVtNbVnxf1RMD0V2SlFP3_7SGrJqWjfg/s320-rw/FB_IMG_15876122041767756.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPv4RA4B_8766C7ZwDZcmOeYf1VF9du87OHYyinbEEmZqk0NzZe5JnZWP5YTF1Oqdjoc0MTQMFY9AyqNIoC0h-aAMNm_1uD9CqzoZ05AQYggiGOkZ0jxXlwZ6m2mDMM2PeIAck41w8sVA/s1600/FB_IMG_15876122121906868.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPv4RA4B_8766C7ZwDZcmOeYf1VF9du87OHYyinbEEmZqk0NzZe5JnZWP5YTF1Oqdjoc0MTQMFY9AyqNIoC0h-aAMNm_1uD9CqzoZ05AQYggiGOkZ0jxXlwZ6m2mDMM2PeIAck41w8sVA/s320-rw/FB_IMG_15876122121906868.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZpJc4gyHTNWBcq4lEpml7n7-edcOA_peYLLSZR4vCyEV0dfqCqk2vuY4KoGr3Eu0luJQuJJIdvf5De7jFTb9gTnxVTuUdJq1sNQwhRup2BRh8CMdMpnwwwTuM1SMQ_stgaZl3R2_f1Q4/s1600/FB_IMG_15876122407167991.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZpJc4gyHTNWBcq4lEpml7n7-edcOA_peYLLSZR4vCyEV0dfqCqk2vuY4KoGr3Eu0luJQuJJIdvf5De7jFTb9gTnxVTuUdJq1sNQwhRup2BRh8CMdMpnwwwTuM1SMQ_stgaZl3R2_f1Q4/s320-rw/FB_IMG_15876122407167991.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIDNnqXwYEAixxFfcpP60qfO-ld4ED9a5nrGHZdU9M5y-HUxVBT0CCJH4eeurjv-KN2pIrgPKTL9ySlja4y_CcDTdXXkghJgtgMRrOkzbszRQK67UQRrIXnRfFHSy8RZVzz0sxMlojsog/s1600/FB_IMG_15876122583347658.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="712" data-original-width="712" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIDNnqXwYEAixxFfcpP60qfO-ld4ED9a5nrGHZdU9M5y-HUxVBT0CCJH4eeurjv-KN2pIrgPKTL9ySlja4y_CcDTdXXkghJgtgMRrOkzbszRQK67UQRrIXnRfFHSy8RZVzz0sxMlojsog/s320-rw/FB_IMG_15876122583347658.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihuFn3ytlwtmy7115RwUfVfxYbMN9FBX2tfF3L3T00IiYEyXsoDayNDTKpn-UgZuNbv-5oV6jaQeQJJQZ4V4TlzKYIVI5NJ18ORSXBp43MVgSlpzfP4q5h_LbPreohqJ6QBi61poqMdZE/s1600/FB_IMG_15876123288790555.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihuFn3ytlwtmy7115RwUfVfxYbMN9FBX2tfF3L3T00IiYEyXsoDayNDTKpn-UgZuNbv-5oV6jaQeQJJQZ4V4TlzKYIVI5NJ18ORSXBp43MVgSlpzfP4q5h_LbPreohqJ6QBi61poqMdZE/s320-rw/FB_IMG_15876123288790555.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi7ovNZuJPDQuSFfUkERSqO0fcz1aXaKFGEV7b8BFFJLRhQGepMgbnEmBxjxfOTz_3F0i3HEymcMO-TTI19FrhIdk7yjsnmXgkgLZ87hb_zLuBct8iSxCuWZVs2xwP0FX6lflpoxSqK7yQ/s1600/FB_IMG_15876123985060332.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi7ovNZuJPDQuSFfUkERSqO0fcz1aXaKFGEV7b8BFFJLRhQGepMgbnEmBxjxfOTz_3F0i3HEymcMO-TTI19FrhIdk7yjsnmXgkgLZ87hb_zLuBct8iSxCuWZVs2xwP0FX6lflpoxSqK7yQ/s320-rw/FB_IMG_15876123985060332.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiFNJlP1sI0T32dAwcdEJrOouPi_luy5VWyKq0q-wkgGp3UyWqHEXAIW67W1u4vXT3BwmL1CHU905G6GBK8YqJ70QTNhkyZ-OG-563FI2MuioJfZWQjP56HQk5IP1lfnB2zCKdhmeZsfBc/s1600/FB_IMG_15876124191857357.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="559" data-original-width="712" height="251" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiFNJlP1sI0T32dAwcdEJrOouPi_luy5VWyKq0q-wkgGp3UyWqHEXAIW67W1u4vXT3BwmL1CHU905G6GBK8YqJ70QTNhkyZ-OG-563FI2MuioJfZWQjP56HQk5IP1lfnB2zCKdhmeZsfBc/s320-rw/FB_IMG_15876124191857357.jpg" width="320" /></a></div> <br />

নাস্তিক বিনোদন - Atheist Entertainment.

Read more »

১০০০ সুন্নাতসমূহ

দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ১০০০ সুন্নাতসমূহঃ-<br /> <br /> ১ম পর্ব-<br /> <br /> ঘুম থেকে জেগে উঠাঃ-<br /> <br /> ১। নিজ হাত দ্বারা চেহারা থেকে ঘুমের ভাব দূর করা। ১<br /> <br /> ২ । ঘুম থেকে জেগে উঠার দো’আ পাঠ করা-<br /> <br />  الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ<br /> <br /> উচ্চারণঃ- আলহামদুলিল্লাহিল লাযি আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা, ওয়া ইলাইহিন নুশুর।<br /> <br /> অর্থঃ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের মৃত্যুর (ঘুমের) পর জীবন দান করেছেন এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন।’ ২<br /> <br /> ৩। মিসওয়াক করা। ৩<br /> <br /> ৪ । দুই হাত তিনবার ধৌত করা। ৪<br /> <br /> ৫। নাকে তিনবার পানি দেয়া। ৫<br /> <br />  ________________________<br />  ১. আল বুখারী, হাদীস ১৮৩।<br /> <br />  ২. আল বুখারী, হাদীস ৬৩১২।<br /> <br />  ৩. আল বুখারী, হাদীস ২৪৫। মুসলিম, হাদীস ২৫৫।<br /> <br />  ৪. আল বুখারী, হাদীস ৩২৯৫, মুসলিম হাদীস ২৪৫।<br /> <br />  ৫. মুসলিম হা/২৭৮।<br /> <br /> চলবে......<br /> ইনশা আল্লাহ।

১০০০ সুন্নাতসমূহ

দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ১০০০ সুন্নাতসমূহঃ- ১ম পর্ব- ঘুম থেকে জেগে উঠাঃ- ১। নিজ হাত দ্বারা চেহারা থেকে ঘুমের ভাব দূর করা। ১ ২ । ঘুম ...

Read more »

রমজানে ও রোজায় সাহাবিদের কান্ড পড়ুন আর উপভোগ করু

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> রমজানে ও রোজায় সাহাবিদের কান্ড পড়ুন আর উপভোগ করুন 😊</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> 🖋মাহমুদ হাসান</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ “তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ কাল রেখা হতে সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” তখন সওম পালন করতে ইচ্ছুক লোকেরা একটা কান্ড করে বসলেন। নিজেদের দুই পায়ে একটি কাল এবং একটি সাদা সুতলি বেঁধে নিতেন এবং সাদা কাল এই দু’টির মধ্যে পার্থক্য না দেখা পর্যন্ত তাঁরা পানাহার করতে থাকতেন। 😀</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> আদী ইব্‌নু হাতিম (রাঃ) আরো সহজ বুদ্ধি করলেন। তিনি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিলেন। এবং রশি দুটিকে বালিশের নিচে রেখে দিলেন। রাতে তিনি এগুলোর দিকে বারবার তাকাতে থাকতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি এ'দুয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারছিলেন না। ভোর হয়ে গেলেও 😀।  সকালেই আল্লাহ্‌র রসূল ﷺ-এর নিকট গিয়ে এ বিষয় বললেন। তিনি বুঝিয়ে বললেনঃ "এতো (কাল রেখা বলতে) রাতের আঁধার এবং (সাদা রেখা বলতে) দিনের আলো।" সাদা কালো রশি না। 😀 (বুখারী ১৯১৭, ১৯১৬)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> এ তো গেল সেহরি নিয়ে। ইফতার নিয়েও এমন মজার ঘটনা আছে। কোন এক সফরে কয়েকজন সাহাবী নবী ﷺ এর সঙ্গে ছিলেন। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - নবী ﷺ এক ব্যক্তিকে বললেনঃ সওয়ারী হতে নেমে আমার জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সূর্য এখনো অস্ত যায়নি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তিনি বললেনঃ সওয়ারী হতে নেমে আমার জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সূর্য এখনো ডুবেনি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তৃতীবারের মত বললেনঃ সওয়ারী হতে নামো এবং আমার জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> অতঃপর সে সাওয়ারী হতে নেমে ছাতু গুলিয়ে আনলে তিনি তা পান করলেন এবং হাতের ইঙ্গিতে বললেনঃ যখন দেখবে রাত এদিক হতে (পূর্বদিক) ঘনিয়ে আসছে তখন বুঝবে, সওম পালনকারী ব্যক্তির ইফতারের সময় হয়েছে। (বুখারী ১৯৪১)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> সম্ভবত সাহাবীর কষ্ট হচ্ছিল 😀। মায়াজাল্লাহ।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> রমজানে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যাপারেও মজার ঘটনা আছে। এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তিনি ﷺ বললেনঃ তোমার কি হয়েছে?</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - আমি সায়িম অবস্থায় আমার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - কোন ক্রীতদাস তুমি মুক্ত করতে পারবে কি? </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - সে বলল, না। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তুমি কি একাধারে দু’মাস সওম পালন করতে পারবে? </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - সে বলল, না। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - এরপর তিনি বললেনঃ ষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে কি? </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - না। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> এ অবস্থায় উপস্থিত সবাই থেমে গেলেন। এ সময় নবী ﷺ এর কাছে এক আরাক পেশ করা হল যাতে খেজুর ছিল। ‘আরাক হল ঝুড়ি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - নবী ﷺ বললেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - সে বলল, আমি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - এগুলো নিয়ে সদাকাহ করে দাও। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমার চাইতেও বেশি অভাবগ্রস্থকে সদাকাহ করব? আল্লাহ্‌র শপথ, মাদীনার উভয় লাবা অর্থাৎ উভয় প্রান্তের মধ্যে আমার পরিবারের চেয়ে অভাবগ্রস্থ কেউ নেই। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - আল্লাহ্‌র রাসূল ﷺ হেসে উঠলেন এবং তাঁর দাঁত (আইনয়াব) দেখা গেল। অতঃপর তিনি বললেনঃ এগুলো তোমার পরিবারকে খাওয়াও ❤। (বুখারী ১৯৩৬)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> এটাই ছিল সাহাবীর শাস্তি। 😀 আমার নবি ﷺ থেকে যিনি যেভাবে পেরেছেন বিধানগুলো সহজ করে নিয়েছেন। কিন্তু সাবধান, সামর্থবানদের জন্য কিন্তু নিজ পরিবারকে খাওয়ালে চলবে না 😀</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> এবার দেখুন এর বিপরীত আরেকটি ঘটনা।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;">  </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইব্‌নুল ‘আস (রাঃ) প্রতিদিন রোজা রাখতেন। আবার সারারাত নামাজ পড়তেন। এ ঘটনা শুনে রাসুল ﷺ তাকে বললেনঃ </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - হে ‘আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত সালাত আদায় করে থাকো। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহ্‌র রসূল! </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সওম পালন করো আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ‘আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বললেন, আমি এর চেয়েও কঠোর ‘আমল করতে সক্ষম। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> তখন তাকে আরও কঠিন ‘আমলের অনুমতি দেয়া হল।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - আবার বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আরো বেশী শক্তি রাখি। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তিনি ﷺ বললেনঃ তবে আল্লাহ্‌র নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম পালন করো, এর হতে বেশী করতে যেয়ো না। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - আল্লাহ্‌র নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম কেমন? </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> - তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> আব্দুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নবী ﷺ প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম ! 😀 (বুখারী, ১৯৭৫)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> নবি ﷺ যেটা বলেন সেটাই শরিয়ত। সাহাবী না পারছেন আর এত কষ্ট করতেন। না পারছেন রাসুলের স্বীকৃতিকে ফেলে দিতে 😀। যদিও তাঁর উপর এটা আবশ্যক হয়ে যায়নি।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> সাহাবায়ে আজমাইনের পাগলামি এমন ছিল যে, নবি ﷺ যা করবেন, সাহাবীরাও সেটা করবেন তো করবেনই। যেভাবেই হোক। এমন একটা মাজার ঘটনা দেখুন। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> রাসুল ﷺ সওমে বিসাল করতেন। সওমে বিসাল হচ্ছে না খেয়ে একটানা রোজা। দিনের পর দিন। সাহাবীরা দেখলেন, নবি ﷺ এভাবে রোজা রাখছেন। আমরা কি দোষ করলাম, আমরাও এভাবেই রোজা থাকবো। রাসুল ﷺ নিষেধ করলেন। এরুপ করোনা। তোমরা পারবে না। তবুও সাহাবীরা নাছোড়বান্দা। সাহাবীরা সওমে বিসাল করা হতে বিরত থাকল না। তখন তিনি তাদেরকে নিয়ে দিনের পর দিন (লাগাতার) সওমে বিসাল করতে থাকলেন। দু'দিনে তাঁদের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল 😀। দূর্বল হয়ে পড়লেন। ইতিমধ্যে শওয়ালের চাঁদ দেখা গেল। সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। নবিজী ﷺ ইরশাদ করলেন, "আল্লাহর কসম! যদি  মাস দীর্ঘায়িত হতো, তবে আমি এমনভাবে সওমে বিসাল করতাম যার ফলে সীমালঙ্ঘনকারীগণ সওমে বিসাল করা ছেড়ে দিত।" এটা ছিল তাঁদের শাস্তি 😀। আয়েশা রাঃ বলেন- তিনি দয়াপরবশ হয়ে তোমাদেরকে সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> বুখারীর ১৯৬১-১৯৬৭ পর্যন্ত ৭ টি হাদিস এবং মুসলিমের কয়েকটি হাদিসে সওমে বিসালের বহু হাদিস এসেছে। হাদিসগুসমূহে এ শব্দগুলো ঘুরে ফিরে লক্ষ্যণীয়-</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> لست كاحد منكم - আমি তোমাদের কারো মত নই</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> كست كهيئتكم - আমি তোমাদের মত নই</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> لست متْلكم - আমি তোমাদের অনুরূপ নই</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> ايكم متْلى - তোমাদের মধ্যে কে আছ আমার মত</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> মাসয়ালাঃ আমরা কেউই রাসুলে আকরাম ﷺ এর মত নই। আমাদের মত বলার কোন সুযোগ নেই। তিনি মানুষের মধ্যেই দুনিয়ায় এসেছেন। তিনি মানুষ ছিলেন, কিন্তু আমাদের মত না। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> তবে দেখুন সুরা ইয়াছিন, ১৫ নং আয়াত। "" কাফেররা (নবিদের) বলতো, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ। রহমান কিছুই অবতীর্ণ করেন নি। তোমরা নিরেট মিথ্যুক (মিথ্যা বলছো)।" এবার দেখুন, সুরা কাহাফের সে পরিচিত আয়াত। "আপনি বলুন, আমি তো তোমাদের মত (সুরতে) একজন মানুষ, তবে আমার উপর ওহী নাযিল হয়। তোমাদের ইলাহ একমাত্র আল্লাহ।"</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> আয়াত দুটি দেখলে যে কেউ পরিষ্কার বুঝতে পারবে। কাফেররা তাদের মত মনে করছে, তারা বলে আপনার উপর ওহী আসেনা। সুতরাং আপনি বলে দিন, ঠিক আছে, আমি তোমাদের মত। তবে আমার উপর ওহী নাযিল হয়।" এটা এজন্য যে, তিনি আল্লাহ ও হবেন না, ফেরেশতা ও না। তিনি তো মানুষ। হাদিস সমূহ বলে, তিনি কারো মত নন। তাছাড়া, 'আপনি বলুন' বলে এখানে রাসুলের জন্য খাস করা হয়েছে। আমাদের মত বলার সুযোগ আমাদের নেই। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> তবু, এ নিয়ে যদি সন্দেহ থাকে তবে সুরা হুজরতের সে আয়াতটি স্বরণ করুন (আয়াত ২) "হে ইমানদারগণ! নবির কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করো না। তোমরা পরষ্পরের সাথে যে ভাবে কথা বল তাঁর সাথে (শানে) সেভাবে কথা বলো না। কারণ, এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে অথচ তোমরা টেরও পাবে না।"</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> ভালবাসা হবে সাহাবিদের মত। পাগলামি ও হবে তাঁদের মতই। </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px; text-align: justify;"> রমজানুল মুবারকের শুভেচ্ছা! 😍</div> </div>

রমজানে ও রোজায় সাহাবিদের কান্ড পড়ুন আর উপভোগ করু

রমজানে ও রোজায় সাহাবিদের কান্ড পড়ুন আর উপভোগ করুন 😊 🖋মাহমুদ হাসান যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ “তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ কাল রেখা হতে সা...

Read more »

উমর (رضي الله عنه) ২০ রাকাত সহ তারাবীহের জামাত চালু করেন

<div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); text-align: center;"><div style="text-align: justify;"><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">উমর  (رضي الله عنه) ২০ রাকাত  সহ তারাবীহের জামাত চালু করেন ও অন্যান্য সাহাবীগণের সমর্থন</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">প্রিয় পাঠক বৃন্দ ! নাবী কারীম আলইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম নিজের জাহিরী জিবনে শুধু দুই অথবা তিন দিন জামাতের সহিত তারাবীহের নামাজ পড়িয়েছেন। তার পর যাহাতে উক্ত নামাজ উম্মতের প্রতি ফরজ না হয়ে যায় তিনি তারাবীহ্ জামাত সহকারে পাঠ করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর হাযরাত আবু বাক্কার সিদ্দিক রাদীআল্লাহু আনহুর ইন্তেকাল পর্যন্ত সাহাবাহগন একাকি তারাবীহ্ আদা করতে থাকেন। কিন্তু যখন গভীর চিন্তাবিদ ও ইসলাম দুনিয়ার দ্বিতীয় খালিফা হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু খেলাফতের মসনদে আরোহন করলেন, তিনি এই ভেবে যে, নাবী কারীম আলইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম যে কারনে তারাবীহের জামাত ছেড়ে দিয়েছিলেন তা এখন আর সম্ভব নয়। কারণ নাবী পাক আলইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম-এর ইন্তেকালের সঙ্গে সঙ্গে ওহী আসা বন্ধো হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন করে আর কোনো ইবাদত ফরজ হতে পারে না। তাই তিনি পুনরায় তারাবীহের নামাজ জামাতের সহিত চালু করেন। এবং যেহেতু নাবী পাক আলইহিস সালাম তারাবীহ্ জামাতের সহিত পুরো মাস আদায় করেননি তাই তিনি পুরো মাস জামাত সহকারে তারাবীহ্ চালু করে তাকে نعمت البدعة  অর্থাৎ ! সুন্দর বিদ্আত বা বিদ্আতে হাসানা বলে আখ্যায়িত করেছেন। হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর উক্ত কর্মকে বিনা মতবিরোধে ও বিবাদে সমস্ত সাহাবা কেরাম, তাবেয়িনে এজাম, মুফাস্সিরীন, মোহাদ্দেসীন, মুহাক্কেকীন, মুজতাহেদীন ও সমস্ত বিশ্বস্ত উলামায়ে কেরাম রাহমাতুল্লাহ্ আলাইহিম আজমাঈন মেনে নিয়েছেন এবং আজ পর্যন্ত দৃঢ় ভাবে তা বাস্তবায়ন করে আসছেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> *উল্লেখ থাকে যে, হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু পুনরায় বিশ রাকাতের সহিতই তারাবীহ্ জামাত চালু করেন আট রাকায়াতের সহিত না। যে বিষয়ে সমস্ত মোহাদ্দেসীন ও মুফাস্সেরীন একমত।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">উপরোক্ত মন্তব্যের প্রমান নিম্নে প্রদত্ত হল,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن عبد الرحمٰن بن عبد القادرى انه قال خَرَجْتُ مع عمر بن الخطاب رضى الله عنه ليلة فى رمضان الى المسجد فاذا الناس اذا راع متفر قون يُصَلِى الرجال لنفسه و يصلى الرجل فيصلى بصلاته الر هط فقال عمر انى ارىٰ لو جمعت هو لا ء على قارى واحدٍ لكان امثل ثم عزم فجمعهم على ابى بن كعب ثم خرجت معه ليلة اخرىٰ و الناس يصلون بصلاة قاريهم قال عمر رضى الله عنه نعمت البدعة هذه </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه البخار باب فضل من قام رمضان و اللفظ له، ومالك فى المؤطا كتاب الصلوة فى رمضان وابن خزيمة فى صحيحه وعبدالرزاق فى المصنف والبيهقى فى السنن الكبرى)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত আব্দুর রাহমান বিন আব্দুল কারী রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর সহিত রমজান মাসের এক রাত্রে মসজিদের দিকে বের হলাম। ( লক্ষ্য করলাম ) মুসলমানগন বিচ্ছিন্ন ভাবে নামাজে মগ্নো রয়েছেন। কেউ একাই নামাজ পড়ছেন আবার কিছু সংখ্যাক  লোক কোনো এক ব্যক্তির পিছনে নামাজে মাশগুল রয়েছেন। যা প্রত্যক্ষ করে হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু বলেন, আমি ভাবছি, যদি আমি এই সমস্ত ব্যাক্তিদের একজন ইমামের পিছনে একত্রিত করতে পারতাম তাহলে খুব ভালো হত। অতঃপর উক্ত উদ্দেশ্যে মনস্থির করে তিনি সমস্ত লোকদেরকে হাযরাত উবাই বিন কাআব রাদীআল্লাহু আনহুর পিছনে ও ইমামত্বে একত্রিত করলেন। অন্য এক রাত্রে যখন আমি তাঁর সহিত মসজিদের দিকে বের হই (আমরা  লক্ষ্য করলাম) সমস্ত ব্যাক্তিগন তাদের একজন ইমামের পিছনে নামাজে মগ্নো আছেন। যা প্রত্যক্ষ করে হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু বলে উঠেন, نعمت البدعة هذهٖ অর্থাৎ ! কি সুন্দর বিদ্আত এটা !</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( বোখারী শরীফ প্রথম খন্ড হাদীস নং ২০১০,, মোআত্তা ইমামে মালিক হাদীস নং ২৪৬,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">সহীহ্ ইবনে খোজাইমা হাদীস নং ১৫৫,, সুনানে কুবরা ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ৪৯৬,,) </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن يزيد بن رومان انه كان الناس يقومون فى زمان عمر بن الخطاب فى رمضان بثلاث و عشرين ركعة (رواه مالك فى المؤطا و البيهقى فى السنن الكبرى والعسقلانى فى فتح البارى واسناد الحديث صحيح)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত ইয়াজিদ বিন রুমান রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর খেলাফত কালে মুসলমানগন তেইশ রাকাত ( বিশ রাকাত তারাবীহ্ ও তিন রাকাত বিত্র)-এর জামাত কায়েম করতেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( মুআত্তা ইমাম মালিক শরীফ হাদীস নং ২৪৮ কিতাবুস সালাত ফি রামজান,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">সুনানুল কুবরা বাইহাকী শরীফ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ৪৯৬,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">ফাতহুল বারী শারহিল বোখারী শরীফ ৪র্র্থ খন্ড পৃষ্টা নং ২৫৩,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">শোয়াবুল ইমান শরীফ হাদীস নং ৩২৭০,, )</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> হাযরাত ইমাম আবদুল্লাহ্ বিন আহমাদ  বিন কুদামা বলেন,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">وهذا كلاجماع (المغنى جلد اول ص-»456)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- বিশ রাকাত সহকারে তারাবীহ্ আদায় করার উপর সাহাবাগনের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।    </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(আল মুগনী প্রথম খন্ড পৃষ্টা নং ৪৫৬ ) </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن يحي بن سعيد ان عمر بن الخطاب امر رجلا يصلى بهم عشرين ركعة</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه ابن ابى شيبه المصنف باب كم يصلى فى رمضان من ركعةٍ)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত ইয়াহ্য়া বিন সাঈদ রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নিশ্চয়ই হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু এক ব্যক্তিকে ( উবাই বিন কাআবকে ) লোকেদের বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ পড়ানোর আদেশ প্রদান করলেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা শরীফ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ১৬৩, হাদীস নং ৭৭৬৪,, )</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن السائب بن يزيد قال كنا نقوم فى عهد عمر بعشرين ركعة والو تر </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه البیهقى فى معرفةُ السنن واسناده صحيح)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত সাঈব বিন ইয়াজিদ রাদীআল্লাহু আনহু বলেন, আমরা ( সাহাবা ও তাবেয়ীগন )  হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর খেলাফত কালে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও ( তিন ) রাকায়াত বিত্র আদায় করতাম।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( মারেফাতুস সুনান ৪র্থ খন্ড পৃষ্টা নং ২০৭ )</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن عبد العزيز بن رفيع قال كان ابى بن كعب يصلى بالناس فى رمضان بالمدينةِ عشرين ركعةً و يوتربثلاث</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> (رواه ابن ابى شيبه فى المصنف باب كم يصلى فى رمضان من ركعةٍ)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত আব্দুল আজীজ বিন রাফীই কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন হাযরাত উবাই হিন কাআব ( যাকে হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু তারাবীহের ইমাম নিযুক্ত করেছিলেন) রমজান মাসে মদিনা শরীফে লোকদের বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকাত বিতর পড়াতেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ১৬৩, হাদীস নং ৭৭৬৬,)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن السائب بن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعةً</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه البیهقى فى السنن الكبرى ومعرفهُ السنن و الاثار وقال الامام جعفر بن محمد الفريابى اسناده ورجاله ثقات) </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত সাঈব বিন ইয়াজিদ রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসলমানগন হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর খেলাফত কালে রমজান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ কায়েম করতেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> ইমাম জাফার বিন মোহাম্মাদ ফিরইয়াবী রাহমাতুল্লাহ্ আলাই বলেন, উক্ত হাদীস-এর সনদ ও বর্ণনাকারীগন সহীহ্।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( বাইহাকী সুনানুল কুবরা শরীফ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ৪৯৬ হাদীস নং ৪৩৯৩ মাক্কি,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার ৪র্থ খন্ড পৃষ্টা নং ২০৭,, কিতাবুস সিয়াম প্রথম খন্ড পৃষ্টা নং ১৭৬,, )</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن السائب بن يزيد قال كنا ننصرف من القيام على عهد عمر رضى الله عنه وقد دنافروع الفجر و كان القيام على عهد عمر رضى الله عنه ثلاثة وعشرين ركعةً</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه عبد الرزاق فى المصنف)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাযরাত সাঈব বিন ইয়াজিদ রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উমার রাদীআল্লাহু আনহুর জামানায় তারাবীহ্ নামাজ হতে ফজর নামাজের কাছাকাছি অবকাশ পেতাম। এবং হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর খেলাফত কালে ( বিতর সহ ) তেইশ রাকায়াত তারাবীহ্ কায়েম করা হত।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(মুসান্নফ আব্দুর রাজ্জাক শরীফ ৪র্থ খন্ড পৃষ্টা নং ২৬১ হাদীস নং ৭৭৩৩,,)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">عن الحسن ان عمر بن الخطاب رضى الله عنه جمع الناس على ابى بن كعب فكان يصلى بهم عشرين ركعةً</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">(رواه ابن ابى شيبه فى المصنف)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> অর্থাৎ :- হাজরাত হাসান বাসরী রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নিশ্চই হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু মুসলমানদের তারাবীহের জন্য হাযরাত উবাই বিন কাআব-এর পিছনে একত্রিত করলেন। অতএব তিনি তাদের কে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ পড়াতেন।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">( মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ১৬৩,, তালখীসুল হাবীর লি আসকালানী ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ২১ হাদীস নং ৫৪০,,</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">সিয়ারো আলামিন নোবলায়ে প্রথম খন্ড পৃষ্টা নং ৪০০,,)</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"> </font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">প্রিয় পাঠক বৃন্দ! উপরুক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা দিবালোকের ন্যায় পরিস্কার ও প্রমাণিত যে, হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু পুনরায় তারাবীহ্ জামাত চালু করার সময় বিশ রাকাতই চালু করেছেন ও পরক্ষনে বিশ রাকায়াতই বাস্তবায়ন হয়েছে। এবং তিনার উক্ত কর্মকে সমস্ত সাহাবাগন মেনে নিয়ে তার উপর দৃঢ় ভাবে আমল করেছেন। তাদের মধ্যে অবশ্যয় সেই সাহাবাগনও উপস্থিত ছিলেন যারা নবী পাক আলাইহিস সালাম-এর পিছনে দুই বা তিন দিন জামাতের সহিত তারাবীহ্ আদায় করেছেন। যদি হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহুর বিশ  রাকায়াতের সহিত তারাবীহ্ সহীহ্ ও সুন্নাত না হত তাহলে সাহাবাগন তা কখনও হতে দিতেন না আর না বিস রাকায়াতকে বাস্তবায়ন করতেন বরং সবাই বিশ রাকায়াতের বিরোধিতা করে তা ছেড়ে দিতেন। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামগনের বাধা দেওয়া বা বিরধিতা করা কোনো হাদীস থেকে প্রমানিত নয়। বরং তিনার যুগে ও তিনার পর অন্যান্য খোলাফায়ে রাশেদীন ও তাবেয়ীগনের যুগেও  তিনার চালু করা বিশ রাকায়াত তারাবীহের উপর দৃঢ় ভাবে আমল করা প্রমানিত যা আমি আগামি অধ্যায়ে প্রমান করব ইনশাআল্লহ্। এবার কেউ যদি বলে যে, হাযরাত উমার কে আমরা কেনো মানব ? অথবা হাযরাত উমার সুন্নাতের খেলাফ ভুল করে  বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ পড়িয়েছেন ( নাউজুবিল্লাহ) আমাদের কাছে তা ভরসাযোগ্য ও আমলযোগ্য না। তাহলে আমি তাদেরকে বলবো, কি আপনারা হাযরাত উসমান ও হাযরাত আলী রাদীআল্লাহু আনহুমা ও সাহাবাগন অপেক্ষা বেশি জ্ঞানী ও হাদিস বুঝেন ? হাযরাত উমার রাদীআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ যদি ভুল হত তাহলে কি সাহাবাগন বিনা বিরোধিতায় তা মেনে নিতেন ? ইহাছাড়াও যারা উক্ত হাদীস সমূহ কে মানতে রাজি নয় তাদেরকে গোটা মাস জামাতের সহিত তারাবীহ্ আদায় করা উচিত নয় কারণ নাবী পাক আলাহিস স্বালাত ওয়াস সালাম গোটা মাস তারাবীহ্ জামাতের সহিত আদায় করেননি। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সকলকে শরিয়তের আহ্কাম সম্বন্ধে বোঝার তৌফিক দান করুক ! আমীন বেজাহে সাইয়্যেদিল মুরসালীন আলাহিস স্বালাত ওয়াত তাসলীম।</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif"><br></font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">লেখক:-মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী</font></div><div style=""><font face="Open Sans, sans-serif">প্রিন্সিপাল:-শুকানদিঘী জামিয়া নুরিয়া ও হিফজুল কোরান মাদ্রাসা</font></div></div></div>

উমর (رضي الله عنه) ২০ রাকাত সহ তারাবীহের জামাত চালু করেন

উমর  (رضي الله عنه) ২০ রাকাত  সহ তারাবীহের জামাত চালু করেন ও অন্যান্য সাহাবীগণের সমর্থন   প্রিয় পাঠক বৃন্দ ! নাবী কারীম আলইহিস স্বালাত ওয়াস ...

Read more »