হুযুর পাক (ﷺ) ২০ রাকাত তারাবীহ আদায় করেছেন

<div style="text-align: justify;">হুযুর পাক (ﷺ) ২০ রাকাত তারাবীহ আদায় করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">========  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১) স্বয়ং আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২০ রাকাত তারাবীর নামায পড়েছেন। এ বিষয়ে সহীহ সনদে হাদীছ শরীফ আছে। মুছান্নাফে আবী শায়বা কিতাবে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদীছ শরীফে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ২০ রাকাত তারাবীর নামাযের বর্ণনা রয়েছে। বাতিল ফির্কা লা’মাযহাবীরা সে হাদীছকে জাল বলে। যদিও পৃথিবীর কোন মুহাদ্দিছ তা জাল বলেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ثنا أبو الحسن علي بن محمد بن أحمد القصري الشيخ الصالح حدثنا عبد الرحمن بن عبد المؤمن العبد الصالح ني محمد بن حميد الرازي حدثنا عمر بن هارون حدثنا إبراهيم بن الحناز عن عبد الرحمن عن عبد الملك بن عتيك عن جابر بن عبد الله قال: خرج النبي صلى الله عليه وسلم ذات ليلة في رمضان فصلى بالناس أربعة وعشرين ركعة وأوتر بثلاثة</div><div style="text-align: justify;">অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে এক রাতে বের হলেন এবং সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের নিয়ে ২৪ রাকাত নামায ও ৩ রাকাত বিতির নামায পড়লেন। (তারীখে জুরজান ৩১৭ পৃষ্ঠা: হাদীছ নম্বর ৫৫৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীছ থেকে যা বোঝা গেলো, রমাদ্বান শরীফ মাসের রাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ রাকাত ঈশার নামায এরপর ২০ রাকাত তারাবীর নামায পড়েছেন। অর্থাৎ (৪+২০) = ২৪।</div><div style="text-align: justify;">২) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">حدثنا أبو الفضل عبيد الله بن عبد الرحمن الزهري , نا محمد بن هارون بن حميد الرازي , نا إبراهيم بن المختار , عن عبد الرحمن بن عطاء , عن ابن عتيك , عن جابر , أن النبي صلى الله عليه وسلم «خرج ليلة في رمضان فصلى بالناس أربعة وعشرين ركعة» .</div><div style="text-align: justify;">وحدثنا ابن حيويه , عن ابن المجلد , وزاد: وأوتر بثلاث</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থ: হযরত আবুল ফদ্বল আবদিল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান যুহরী, মুহম্মদ ইবনে হারুন ইবনে হুমাইদ রাজী, ইবরাহীম ইবনে মুখতার, আব্দুর রহমান ইননে আতা, ইবনে আতিক রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে এক রাতে বের হলেন এবং সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের নিয়ে ২৪ রাকাত নামায ও ৩ রাকাত বিতির নামায পড়লেন।”</div><div style="text-align: justify;">(দলীল: তাসি মিনাল মিসিখাতুল বাগদাদীয়া ১/২২৯ : হাদীছ নং ২২৩</div><div style="text-align: justify;">লেখক: হযরত ইবনে তহির সালফী রহমতুল্লাহি আলাইহি</div><div style="text-align: justify;">শামেলা অনলাইন ভার্সন লিংক http://shamela.ws/browse.php/book-30082/page-29)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূতরাং হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ২০ রাকাত তারাবীহর নামায প্রমাণিত।</div><div style="text-align: justify;">২০ রাকাত তারাবীহ পড়া সুন্নত :</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে মধ্যে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে তারাবী পড়েছেন। কত রাকাত পড়েছেন তা সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে কোন সহীহ সূত্রে জানা যায় না। তবে হযরত উমর রা. এর খেলাফতকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ রাকাত তারাবী পড়া হয়ে আসছে। এ দীর্ঘ সময় কোথাও আট রাকাত পড়ার প্রচলন ছিল না। উম্মতের এ অবিচ্ছিন্ন কর্মধারাই প্রমাণ করে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে সাহাবায়ে কেরাম বিশ রাকাতের তালিমই পেয়েছেন। সামনে আমরা এর প্রমাণসমূহ তুলে ধরছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ১ নং দলীল: মারফূ হাদীস</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আবী শায়বা রহ. বলেন, আমাদের নিকট ইয়াযীদ ইবনে হারূন বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে ইবরাহীম ইবনে উসমান জানিয়েছেন হাকামের সূত্রে, তিনি মিকসামের সূত্রে হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে বিশ রাকাত তারাবী ও বেতের পড়তেন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৭৭৪; তাবারানী আল কাবীর, হাদীস নং ১২১০২; আল আওসাত, হাদীস নং ৭৯৮; বায়হাকী, ১/৪৯৬</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসটির সনদে আবূ শায়বা ইবরাহীম ইবনে উসমান আছেন, তিনি যয়ীফ বা দূর্বল। এ কারণে বায়হাকীসহ অনেকেই এই হাদীসকে যয়ীফ বলেছেন। সনদের বিবেচনায় হাদীসটি যয়ীফ হলেও এর সমর্থনে সাহাবী ও তাবেয়ীগণের যুগ থেকে এ হাদীস অনুসারে চলে আসা অবিচ্ছিন্ন আমল রয়েছে। এমন যয়ীফ হাদীস শুধু আমলযোগ্যই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা মুতাওয়াতির বা অসংখ্য সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মানোত্তীর্ণ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ২ নং দলীল: হযরত উমর রা. এর কর্মপন্থা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত উমর রা.এর উদ্যোগে ২০ রাকাত তারাবীর ব্যবস্থা সম্পর্কে মোট সাতটি বর্ণনা পাওয়া যায়। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. ইয়াযীদ ইবনে খুসায়ফার বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রা. বলেছেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. এর আমলে সাহাবায়ে কেরাম রমযান মাসে বিশ রাকাত পড়তেন। (বায়হাকী , আসসুনানুল কুবরা ২/৪৯৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসের চারটি সনদ রয়েছে। যথা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. আস্ সুনানুল কুবরা বাইহাকী এর বর্ণনা (হাদীস নং ৪৮০১):</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ সনদটিকে যারা সহীহ বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. ইমাম নববী, আল মাজমু (৪/৩২)</div><div style="text-align: justify;">২. ইমাম ওলী উদ্দিন ইরাকী, তারহুত তাসরীব (৩/ ৯৭)</div><div style="text-align: justify;">৩. ইমাম বদরুদ্দীন আইনী, উমদাতুল কারী (৭/১৭৮) ও আল-বিনায়া (২/৫৫১)</div><div style="text-align: justify;">৪. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, আল-হাভী ২/৭৪</div><div style="text-align: justify;">৫. জহীর আহসান নিমাভী, আসারুস সুনান পৃষ্ঠা ৩৯৩ (২০২)</div><div style="text-align: justify;">৬. শিহাবুদ্দীন ক্বাসতাল্লানী রহ. ‘ইরশাদুস সারী’ ৩/ ৪২৬</div><div style="text-align: justify;">৭. আল্লামা আব্দুল হাই লখনভী রহ. ‘তুহফাতুল আখয়ার’ পৃষ্ঠা ১০৩</div><div style="text-align: justify;">৮. সিদ্দিক হাসান কিন্নাউজী ‘আওনুল বারী’ ৩/৩৭৮ (২/৮৬১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. মারিফাতুস সুনান বাইহাকী এর বর্ণনা (হাদীস নং ৫৪০৯):</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ সনদটিকে যারা সহীহ বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. ইমাম নববী, খুলাসাতুল আহকাম ১/৫৭৬ গ্রন্থে</div><div style="text-align: justify;">২. ইমাম জামালুদ্দীন যায়লায়ী, নসবুর রায়া ২/১৫৪ গ্রন্থে</div><div style="text-align: justify;">৩. ইমাম তকী উদ্দিন সুবকী শরহুল মিনহাজ গ্রন্থে। তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/ ৪৪</div><div style="text-align: justify;">৪. মুল্লা আলী ক্বারী, শরহুল মুআত্তা ও মিরকাতুল মাফাতিহ ৩/৯৭২ গ্রন্থে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. মুসনাদু আলি ইবনুল জা‘আদ এর বর্ণনা (হাদীস নং ২৯২৬) :</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বর্ণনা বিলকুল সহীহ। কারণ, এ বর্ণনায় ইমাম আলী ইবনুল জা‘দ ও সাহাবী সায়েব ইবনে ইয়াযীদ এর মাঝে মাত্র দুইজন রাবী। ইবনু আবি যীব ও ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা। উভয়ে সহীহ বুখারী ও মুসলিম এর রাবী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. কিতাবুস সিয়াম ফিরয়াবী এর বর্ণনা: (হাদীস নং ১৭৬) :</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসের সনদও সহীহ। এতে তামীম ইবনু মুনতাসির ছাড়া বাকী সকলেই সহীহ বুখারী ও মুসলিম এর রাবী। আর তামীম ইবনুল মুনতাসিরও সিকা ও নির্ভরযোগ্য। দেখুন, তাকরীবুত তাহযীব; মাশিখাতুন নাসাঈ ১/৮৪; তারিখুল ইসলাম যাহাবী ৫/১০৯৫</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. ইবনু আবি যুবাবের বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হারিছ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবু যুবাব বর্ণনা করেছেন সাইব রা. থেকে। তিনি বলেছেন, উমর রা.এর যুগে কিয়ামে রমযান বা তারাবীহ ছিল ২৩ রাকআত।-মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক : ৭৭৩৩</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এর সনদে হারিছ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবু যুবাব আছেন। ইবনে হিব্বান ও হাকেম তার হাদীসকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩. আবুল আলিয়ার বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবুল আলিয়া বর্ণনা করেছেন, উমর রা. উবাই রা.কে রমযানে লোকদের নিয়ে নামায পড়তে আদেশ দিলেন এবং একথা বললেন যে, লোকেরা দিনভর রোযা রাখে, তারা সুন্দর ভাবে কুরআন পড়তেও পারে না। তাই যদি আপনি রাত্রে তাদের সামনে কুরআন পড়তেন। তিনি তখন বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! একাজ তো ইতিপূর্বে হয় নি। তিনি বললেন, আমি তা জানি। তবে এটা একটা উত্তম কাজ হবে। এরপর উবাই রা. লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত পড়লেন। -আলমুখতারা : ১১৬১, এ হাদীসের সনদ হাসান।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল আনসারীর বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল আনসারী বর্ণনা করেছেন, হযরত উমর রা. জনৈক সাহাবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাহাবীদের নিয়ে বিশ রাকাত পড়তে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৭৬৪। এ বর্ণাটি ‘মুনকাতি’ বা সূত্র-বিচ্ছিন্ন হলেও সনদ সহীহ ও গ্রহণযোগ্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৫. তাবেয়ী আব্দুল আযীয ইবনে রুফাই’র বর্ণনা :</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আব্দুল আযীয ইবনে রুফাই বলেন, হযরত উবাই ইবনে কাব রা. রমযানে মদীনা শরীফে লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত পড়তেন এবং তিন রাকাত বেতের পড়তেন। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৭৬৬।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসটিও ‘মুনকাতি’ বা মুরসাল তথা সূত্র বিচ্ছিন্ন। কিন্তু তার উস্তাদগণের মধ্যে দুর্বল কেউ নেই। তাছাড়া তিনি একা নন। তার মতো আরো তিনজন একই সাক্ষ্য দিচ্ছেন। অধিকন্তু এগুলো পূর্বোল্লিখিত অবিচ্ছিন্ন ও সহীহ সূত্রে বর্ণিত হাদীসটির অতিরিক্ত সাক্ষী ও সমর্থক। তাই এতে কোন অসুবিধা নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৬. তাবেয়ী ইয়াযীদ ইবনে রূমানের বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইয়াযীদ ইবনে রূমান র. বলেন, হযরত উমর রা. এর যুগে লোকেরা রমযান মাসে ২৩ রাকাত নামায পড়তেন। -মুয়াত্তা মালেক : ৪০। এটিও মুনকাতি’ বা মুরসাল। তবে গ্রহণযোগ্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৭. তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে কাব আল কুরাযীর বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুহাম্মদ ইবনে কাব র. বলেন, হযরত উমর রা. এর যুগে রমযানে লোকেরা বিশ রাকাত পড়তেন। তাতে তারা দীর্ঘ কেরাত পড়তেন এবং তিন রাকাত বেতের পড়তেন। -ইবনে নসর মারওয়াযী, কিয়ামুল লায়ল, পৃষ্ঠা ৯১</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ৩ নং দলীল : হযরত আলী রা. এর কর্মপন্থা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২০ রাকাত তারাবীর ক্ষেত্রে হযরত আলী রা. হযরত উমর রা.এর সিদ্ধান্তই বহাল রেখে ছিলেন। আলী রা. থেকে এক্ষেত্রে দুটি বর্ণনা পাওয়া যায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. সুলামীর বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ আব্দুর রহমান সুলামী র. হযরত আলী রা. সম্পর্কে বলেন, তিনি রমযানে হাফেজদেরকে ডাকলেন এবং তাদের একজনকে লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত পড়তে নির্দেশ দিলেন। তিনি বলেন, আলী রা. নিজে তাদের নিয়ে বেতের পড়তেন। -সুনানে বায়হাকী ২/৪৯৬-৪৯৭</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসটির সনদ যঈফ। তবে এর সমর্থক একাধিক বর্ণনা রয়েছে, সেগুলোর দ্বারা এটিও শক্তিশালী হয়। এ কারণেই হয়তো হাফেজ ইবনে তায়মিয়া রহ. ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’ গ্রন্থে (২/২২৪) ও যাহাবী রহ. ‘আল মুনতাকা’ গ্রন্থে (৫৪২) হাদীসটিকে দলিলরূপে পেশ করেছেন এবং এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, হযরত আলী রা. তারাবীর জামাত, রাকাত-সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর রা. এর নীতিই অনুসরণ করেছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. আবুল হাসনার বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবুল হাসনা বলেন, আলী রা. রমযানে জনৈক ব্যক্তিকে আদেশ দিয়েছিলেন লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত পড়তে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৭৬৩</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু সাদ আল বাক্কালের কারণে এটাকে বাইহাকী রহ. যঈফ বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে বাক্কালের সমর্থক রয়েছেন আমর ইবনে কায়স। দেখুন, মুসান্নাফু ইবনে আবি শায়বা হাদীস নং ৭৭৬৩। তাই তো বাইহাকী রহ. এ দুটি বর্ণনার পূর্বে আবু খসীব ও শুতাইর ইবনে শাকাল এর বর্ণনা উল্লেখ করে লিখেছেন, এ দুটি বর্ণনা সামনের (সুলামী ও আবুল হাসনার) বর্ণনা দুটিকে শক্তি জোগায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ৪ নং দলীল : সাহাবায়ে কেরামের ইজমা বা ঐক্যমত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে আব্দুল বার রহ. লিখেছেন, বিশ রাকাত তারাবীই হযরত উবাই ইবনে কাব রা. থেকে বিশুদ্ধরূপে প্রমাণিত। সাহাবীগণের এক্ষেত্রে কোন দ্বিমত ছিল না। -আল ইসতিযকার ৫/১৫৭</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ৫ নং দলীল : মারফুয়ে হুকমী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন, তারাবী সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হযরত উমর রা. অনুমান করে নিজের পক্ষ থেকে এটা নির্ধারণ করেননি। এ ক্ষেত্রে তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবন করেননি। তিনি তাঁর নিকট বিদ্যমান ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রাপ্ত কোন নির্দেশনার ভিত্তিতেই এই আদেশ প্রদান করেছেন। -আল ইখতিয়ার লি তালীল মুখতার ১/৭০</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আট রাকাতের দলিল পর্যালোচনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আট রাকাতের পক্ষে তিনটি দলিল পেশ করা হয়:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ১ নং দলিল: আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত ১১ রাকাতের হাদীস</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আবূ সালামা র. হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞেস করলেন, রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায কিরূপ হতো? তিনি বললেন, রমযান ও রমযানের বাইরে তিনি এগারো রাকাতের বেশী পড়তেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন। এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে তুমি জিজ্ঞেস করো না। এরপর চার রাকাত পড়তেন। এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে তুমি জিজ্ঞেস করো না। এর পর তিন রাকাত পড়তেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যে বেতের পড়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়েন? তিনি বললেন, আয়েশা! আমার চোখ ঘুমায় বটে, তবে আমার কল্ব জাগ্রত থাকে। -সহীহ বুখারী হাদীস নং ১১৪৭</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসটি অনেকেই ৮ রাকাত তারাবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দলিল হিসাবে উপস্থাপন করে থাকে। কিন্তু প্রথম কথা হচ্ছে, খোদ সহীহ বুখারীতেই ৮ রাকাত থেকে অধিক রাকাত পড়ার কথাও রয়েছে। যেমন, হযরত ইবনে আব্বাস রা. বর্ণিত আছে যে, রাসূল সা. রাতে ঘুম থেকে উঠে ১২ রাকাত পড়েছেন তারপর বিতর পড়েছেন এবং সুবহে সাদিক হওয়ার পর দু রাকাত ফজরের সুন্নত পড়েছেন। (দেখুন সহীহ বুখারী হাদীস নং ৯৯২, তাওহীদ পাবলিকেশন্স)। এ হাদীসে এশা ও ফজরের সুন্নত এবং বিতর ছাড়া ১২ রাকাত পড়ার কথা রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তদ্রুপ সহীহ বুখারীতেই হযরত আয়েশা রা. থেকে ফজরের সুন্নত ছাড়া (১১৭০ নং হাদীসে) ১৩ রাকাত ও (১১৩৮ নং) হাদীসে ১১ রাকাত পড়ার কথা রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর দ্বতীয় কথা হচ্ছে, আসলে এ হাদীসটি তাহাজ্জুদ সম্পর্কে; তারাবী সম্পর্কে নয়। এটিকে তারাবী সম্পর্কে মনে করা ভুল। কারণ:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. এ হাদীসে সেই নামাযের কথা বলা হয়েছে যা রমযান ও অন্য সময় পড়া হতো, অথচ তারাবী রমযান ছাড়া অন্য সময় পড়া হয় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. এই নামায চার রাকাত, চার রাকাত ও তিন রাকাত পড়া হয়েছিল। লা-মাযহাবী আলেম মোবারকপুরী তার তিরমিযী শরীফের ভাষ্যগ্রন্থে বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চার রাকাত এক সালামে পড়া হয়েছিল, এমনিভাবে তিন রাকাতও এক সালামে। অথচ তারাবী দুরাকাত করে পড়া হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. এই নামায যদি তারাবী সম্পর্কে হতো, তবে ফকীহগণের কেউ না কেউ এগারো রাকাতের মত পোষণ করতেন। অথচ তাদের কেউই অনুরূপ মত পোষণ করেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. মুহাদ্দিসগণও এই হাদীসকে তারাবীর ক্ষেত্রে নয়, তাহাজ্জুদের ক্ষেত্রেই মনে করতেন। ইমাম মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইমাম মালেক, আব্দুর রাযযাক, দারিমী, আবূ আওয়ানা ও ইবনে খুযায়মা র. প্রমুখ সকলেই এই হাদীসকে তাহাজ্জুদ অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন; তারাবী বা কিয়ামে রামাযান অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুহাদ্দিসগণের মধ্যে শুধু ইমাম বুখারী র. এ হাদীস তারাবী ও তাহাজ্জুদ উভয় অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। ইমাম বুখারীর নীতি সকলের জানা। তিনি সামান্য সম্পর্কের কারণেই হাদীস পুনরুল্লেখ করেন। তিনি একথাও বুঝিয়ে থাকতে পারেন, রমযানে তারাবী পড়া হলেও শেষে তাহাজ্জুদও পড়ে নেয়া উচিৎ ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বুখারী র. নিজেও ৮ রাকাতের বেশি তারাবী পড়ে শেষরাতে উঠে আবার তাহাজ্জুদ পড়তেন। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. সনদসহ উল্লেখ করেছেন যে, রমযানের প্রথম রাতে ইমাম বুখারী রহ. এর নিকট তার সাঙ্গীরা সমবেত হত। তিনি তাদেরকে নিয়ে তারাবীহ পড়তেন। প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত তেলাওয়াত করতেন। এভাবে কুরআন খতম করতেন। এরপর শেষ রাতে কুরআন পড়তেন। এ সময় প্রতি তিন রাতে এক খতম করতেন। দিনের বেলা প্রতিদিন এক খতম পড়তেন। ইফতারের সময় খতম শেষ হত। (দেখুন: হাদয়ুস সারী ১/৪৮১; শুআবুল ঈমান ২০৫৮, তারিখে বাগদাদ ২/১২, তাবাকাতুল হানাবিলা ১/২৭৬, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তাবাকাতুশ শাফিইয়্যাতিল কুবরা ২/২২৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লক্ষ করুন, তিনি তারাবীহতে কুরআন খতম করতেন এবং প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত তেলাওয়াত করতেন। সে হিসাবে তারাবীহতে কুরআন খতম করতে হলে তারাবীর রাকাত সংখ্যা অবশ্যই ৮ রাকাতের অনেক বেশি হতে হবে। কেননা কুরআনের আয়াত সংখ্যা বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী ৬২৩৬ টি। আর ৮ রাকাত তারাবীহতে প্রতি রাকতে ২০ আয়াত করে পড়া হলে ৩০ দিনে পড়া হয় মাত্র ৪৮০০ টি। এতে কুরআন খতম হয় না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঙ. এই হাদীস তারাবী সম্পর্কে হলে সাহাবায়ে কেরামের পক্ষে বিশ রাকাত পড়া আদৌ সম্ভব ছিল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, তাঁর সুন্নত ও আদর্শের প্রতি তাঁদের চেয়ে অধিক মহব্বত আর কারো হতে পারে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চ. খোদ হযরত আয়েশা রা.ও মনে করতেন না এই হাদীস তারাবী সম্পর্কে। অন্যথায় তাঁর চোখের সামনে ৪০টি বছর মসজিদে নববীতে তাঁরই হুজরার পাশে এভাবে সুন্নতের পরিপন্থী কাজ করা হবে, আর তিনি প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকবেন- তা হতে পারে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ছ. এ হাদীস তারাবী সম্পর্কে হলে লা-মাযহাবী আলেম শাওকানী সাহেব কেন বলবেন, তারাবীর রাকাত সংখ্যা সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীস নেই? দেখুন, নায়লুল আওতার ৩/৬৬। নওয়াব সিদ্দিক হাসান সাহেব ও ইবনে তায়মিয়া রহ.ও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন। দেখুন ‘আল ইনতিকাদুর রাজীহ পৃষ্ঠা ৬১; মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/২৭২</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ২ নং দলিল : হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. ইমামতের ঘটনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রমযানে তার ঘরের মহিলাদের নিয়ে আট রাকাত পড়েছেন। (মুসনাদে আহমদ ২১০৯৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অনুরূপ আবূ ইয়ালায় বর্ণিত হযরত জাবির রা. এর হাদীস, উবাই ইবনে কাব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গত রাতে : তার উদ্দেশ্য হলো রমযানে- আমার থেকে একটি ব্যাপার ঘটে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই! সেটা কি? তিনি বললেন,আমার ঘরের নারীরা বললো যে, আমরা তো কুরআন পড়তে পারি না (অর্থাৎ আমাদের কুরআন মুখস্থ নেই)। তাই আমরাও তোমার পেছনে নামায পড়বো। আমি তাদের নিয়ে আট রাকাত পড়লাম। এবং পরে বেতেরও পড়লাম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দেখুন, মুসনাদে আবূ ইয়ালা ১৭৯৫; কিয়ামুল লাইল মুহাম্মদ ইবনে নাসর পৃষ্ঠা ৯০, আওসাত তাবারানী ৩৭৩১। সকলে একই সনদে বা সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু এই হাদীস যয়ীফ, এটি প্রমাণযোগ্য নয়। কারণ:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. এর সনদে ঈসা ইবনে জারিয়া আছেন, তিনি যয়ীফ। তার হাদীস প্রমাণযোগ্য নয়। (দেখুন, আলবানী সাহেবের ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিস্ যঈফা’ হাদীস নং ৬২৬৪ ও ৬৭২২; ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিস্ সহীহা’ হাদীস নং ১৭৬০ ও ৬৮৭৩)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. এ হাদীসের কোথাও তারাবীর কথা নেই। সুতরাং এর দ্বারা আট রাকাত তারাবী প্রমাণ করার চেষ্টা হবে ব্যর্থ চেষ্টা । মহিলাদের নিয়ে ঘরে নামায পড়া থেকে তাহাজ্জুদ পড়ার কথাই সাধারণভাবে বুঝে আসে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. তারাবী সংক্রান্ত ঘটনা হওয়া তো দূরের কথা, এটাকে রমযানের ঘটনা প্রমাণিত করাও মুশকিল। কারণ এই হাদীসে ঈসা ইবনে জারিয়া কখনও রমযানে আসার কথা বলেছেন; কখনও বলেছেন, তার উদ্দেশ্য হলো রমযানে; আবার কখনও তিনি রমযানের প্রসঙ্গই বাদ দিয়ে দিয়েছেন। এতে করে তার স্মৃতিশক্তির দুর্বলতাই বেশী করে প্রমাণিত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. হাদীসটি যে প্রমাণযোগ্য নয় তার একটি প্রমাণ এও হতে পারে, এটি সহীহ হয়ে থাকলে হযরত উমর রা. এর আমলে হযরত উবাই রা. যখন তারাবীর ইমাম হলেন, তখন তিনি আট রাকাতই পড়াতেন। অথচ পেছনে বহু সূত্রে আমরা প্রমাণ করে এসেছি, তিনি বিশ রাকাতই পড়িয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">• ৩ নং দলিল : হযরত জাবির রা. এর বর্ণনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত জাবির রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে রমযানে আট রাকাত ও বেতের পড়লেন। পরের রাতে আমরা মসজিদে সমবেত হলাম এবং আশা করলাম তিনি বেরিয়ে আমাদের কাছে আসবেন। কিন্তু সকাল পর্যন্ত আমরা মসজিদে (অপেক্ষা করতেই) থাকলাম। (অর্থাৎ তিনি আর বের হননি)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীসটিও যয়ীফ, প্রমাণযোগ্য নয়। কারণ:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. এর সনদেও ঐ পূর্বোক্ত ঈসা ইবনে জারিয়া আছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. তাছাড়া এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, এটা কেবল এক রাতের ঘটনা ছিল।</div>

হুযুর পাক (ﷺ) ২০ রাকাত তারাবীহ আদায় করেছেন

হুযুর পাক (ﷺ) ২০ রাকাত তারাবীহ আদায় করেছেন। ========   ১) স্বয়ং আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২০ রাকা...

Read more »

কিতাবঃ ইকামতের মাসআলা.pdf

<div class="separator" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh86eMymBwdtYUd5DAA2mU8tK02QQj-1Ptt6j_5ndBGkM_852PvGtwr0o1oFpBJ4_AIc0cPLGz7urTJ33NrPlY0Un4KMoQu6Hv5avhELc-7RxpmFOKnny-nC4O_JtE-BsxCLVTY3x_7OMo/s1600/Ekamate%252C+Raiusddin10.jpg" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><img border="0" data-original-height="1211" data-original-width="1600" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh86eMymBwdtYUd5DAA2mU8tK02QQj-1Ptt6j_5ndBGkM_852PvGtwr0o1oFpBJ4_AIc0cPLGz7urTJ33NrPlY0Un4KMoQu6Hv5avhELc-7RxpmFOKnny-nC4O_JtE-BsxCLVTY3x_7OMo/s320-rw/Ekamate%252C+Raiusddin10.jpg" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="320"></a></div><div class="separator" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; clear: both; text-align: center;"><button class="btn" style="-webkit-appearance: none; border-radius: 0px; background-color: rgb(159, 197, 232);"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: rgb(76, 17, 48);"><b style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><a href="https://drive.google.com/open?id=1yzztTRrj_msBou6pUdmTD0k4uxUghjvb" target="_blank" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important; margin-left: 0px !important; margin-right: 0px !important;"> Download</a></b></span></button></div><div><button class="btn" style="-webkit-appearance: none; border-radius: 0px; background-color: rgb(159, 197, 232);"><br></button></div><b style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; text-align: center;"></b>

কিতাবঃ ইকামতের মাসআলা.pdf

 Download

Read more »

সালাম ও মুসাফার ফাযিলাত

<div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); text-align: center;"><div style="font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; text-align: justify;"><b style="color: rgb(153, 0, 0); font-family: "trebuchet ms", sans-serif; font-size: large; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 242, 204);">🌼সালাম ও মুসাফার ফাযিলাত🌼</b></div><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><div style="text-align: justify;"><font color="#990000" face="trebuchet ms, sans-serif" size="4"><b><br></b></font></div></span><div class="separator" style="font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; clear: both;"><div style="text-align: justify;"></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIIuVcwZTuvTWShO8YqF1Y5iDYQMQX8a7mkLBNJszULXcZ2vGMCrD9TZCZjk1aEL3vrjy1uHuCQ2drQTc-HW7bzuDL4cX7arbTPM5AktSnz56EfkiIGMIl-Ze3sDtBLGdZcfst6HgVJCg/s1600/Untitle1d-1.png" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIIuVcwZTuvTWShO8YqF1Y5iDYQMQX8a7mkLBNJszULXcZ2vGMCrD9TZCZjk1aEL3vrjy1uHuCQ2drQTc-HW7bzuDL4cX7arbTPM5AktSnz56EfkiIGMIl-Ze3sDtBLGdZcfst6HgVJCg/s1600/Untitle1d-1.png" imageanchor="1" style="background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important;"><img border="0" data-original-height="465" data-original-width="641" height="232" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIIuVcwZTuvTWShO8YqF1Y5iDYQMQX8a7mkLBNJszULXcZ2vGMCrD9TZCZjk1aEL3vrjy1uHuCQ2drQTc-HW7bzuDL4cX7arbTPM5AktSnz56EfkiIGMIl-Ze3sDtBLGdZcfst6HgVJCg/s320-rw/Untitle1d-1.png" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="320"></a><br></a></div></div><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><div style="text-align: justify;"><font color="#990000" face="trebuchet ms, sans-serif" size="4"><b><br></b></font></div></span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦   عن ابی ھریرۃ رضی اللّٰه عنہ قال قال رسول اللّٰهﷺ لاتدخلون الجنۃ حتی تُؤْمِنُوْا وَلَاتُوْ مِنُوْاحتّٰی تحابُّوْْا اَوَلَااَدُ لَّکُمْ عَلیٰ شَیٍْ اذا فَعَلْتُمُوْہ تَحَا بَبْتُمْ؟ اَفْشُوْا السَّلاَمَ بَیْنَکُم</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ المسلم وابوداؤد والترمزی وابن ماجہ والمنذری فی  الترغیب والترھیب</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত আবু হুরাইরা রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী পাক আলাইহিস সালাত ওয়াস সালাম ইরশাদ করেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারনা যতক্ষন না ঈমান এনেছ। আর মুমিন হতে পারনা   যতক্ষন না এক অপরকে ভালোবেশেছ। আমি কি তোমাদেরকে এমন কর্মের সংবাদ প্রদান করবোনা যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে ? নিজেদের মধ্যে সালামের খুব প্রচার কর।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( মুসলিম শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্টা নং ৫৪,, তিরমিজী শরীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ৯৯ ফিস সালাম,, আবু দাউদ শরীফ হাদীস নং ৫১৯৩,, আত তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১০৩ ) </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">عن جابر قال قال رسول اللّٰه ﷺالسلام قبل الکلام</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ البیھقی والترمزی)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত জাবির রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী করীম আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেন, কথা বার্তার পূর্বে সালাম।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( তিরমিজী শরীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ৯৯ বাবুল ইস্তেজান,, বাইহাকী,, সুনানুল কুবরা )</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>عن البراء رضی اللّٰهﷺ قال افشواالسلام تسلموا </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ ابن حبّان فی صحیحہ والمنذری فی التر غیب والترھیب)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত বারাআ রাদীআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নাবী পাক আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেন, সালামের প্রচার কর তোমরা শান্তিতে থাকবে।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( সাহীহ ইবনে হাব্বান হাদীস নং ৪৯১, আত তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১০৬ )</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">عن قتادۃ قال قلت لانس بن مالک ھل کانت المصافحۃ فی اصحاب رسول اللّٰهﷺ قال نعم </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ البخاری والترمزی والمنذری وقال الترمزی ھذا حدیث حسن صحیح)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত কাতাদা রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন আমি হাযরাত আনাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, নাবী আকরাম আলাইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম-এর সাহাবাগনের মধ্যে মুসাফার প্রচলন ছিল কি ? তিনি বলেন, হ্যাঁ।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( বোখারী শারীফ হাদীস নং ৬২৬৩ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ৯২৬, তিরমিজী শারীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ১০২ ফিল মুসাফা, মিশকাত শারীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ৪০১, তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১৩৮ ) </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">عن البراء بن عاذب رضی اللّٰه  عنہ قال قال رسول اللّٰهﷺ مامن مسلمین یلتقیان فیصا فحاان الا غفر لھما قبل ان یتقرقا</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ الترمزی وقال ھذا حدیث والمنذری فی التر غیب والتر غیب والترھیب)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত বারাআ বিন আজিব রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী করীম আলাইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম ইরশাদ করেন, যখন দুইজন মুসলমান একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাত করবে অতঃপর মুসাফা করেন, তখন তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বে উভয়ের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হয়। </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( তিরমিজী শারীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ১০২ ফিল মুসাফা, আত তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১২৯, মিশকাত শারীফ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্টা নং ৪০১ )</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>عن عطاءالخراسانی ان رسول اللّٰه ﷺ قال تصافحوا یذ ھب الغِلُّ </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ الترمزی والمالک فی المؤطا و المنذری فی التر غیب و التر ھیب)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩ অর্থা:- হাযরাত আতা খোরাসানী রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নিশ্চয়ই নাবী করীম আলাইহিস স্বালাত ওয়াস সালাম ইরশাদ করেন, তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফা  করো। (কারন মুসাফা দ্বারা এক অপর হতে) ঘৃনা দুরীভূত হয়।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">( মোআত্তা ইমাম মালিক, মিশকাত শারীফ ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ৪০৩, তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১৪০ )</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>عن حذیفۃ بن الیمان رضی اللّٰه عنہ عن النبی ﷺ قال ان المؤ من اذا لقی المؤ منَ فسلم علیہ واخذ بیدہ فصافحہ تناثرت خطا یا ھما کما یتناثر ورق الشجر</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(رواہ  الطبرانی فی الاوسط والمنذری فی التر غیب و التر ھیب وقال رواتہ لااعلم فیھم مجروحاً)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">⁦✒⁩⁦ অর্থা:- হাযরাত হোযাইফা বিন ইয়ামান রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নাবী পাক আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই এক মুমিন ব্যক্তি যখন অপর মুুমিন ব্যক্তির  সঙ্গে সাক্ষাত করে অতঃপর তার প্রতি সালাম করে এবং তার হাত ধরে মুসাফা করে তখন তাদের উভয়ের গুনাহ্ এমন ভাবে ঝরে যায় যেভবে গাছ হতে পাতা ঝরে।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">(মুজামে আওসাত লি তিবরানী, তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ৪১৩২)<span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮🌼💮</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

সালাম ও মুসাফার ফাযিলাত

🌼সালাম ও মুসাফার ফাযিলাত🌼 ⁦   عن ابی ھریرۃ رضی اللّٰه عنہ قال قال رسول اللّٰهﷺ لاتدخلون الجنۃ حتی تُؤْمِنُوْا وَلَاتُوْ مِنُوْاحتّٰی تحاب...

Read more »

শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা কোর্স

<div class="separator" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgvJUhQKWWjK2qAqonY7EzX_yno_T4iIlSh9jS-PXuVb5VdYfB80jnzqy1z39JmJFMxSQf2NIHFGMl3-8cflwXsLBIzA-gKcef1PIG6Cq3ZqWHF_asvf4AgZkKnZ_c7Gcnf-XlQrrpXAcg/s1600/kisspng-quran-bible-religious-text-book-islam-holy-quran-5a74dc38027258.13686565151760799201.png" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><img border="0" data-original-height="1068" data-original-width="1600" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgvJUhQKWWjK2qAqonY7EzX_yno_T4iIlSh9jS-PXuVb5VdYfB80jnzqy1z39JmJFMxSQf2NIHFGMl3-8cflwXsLBIzA-gKcef1PIG6Cq3ZqWHF_asvf4AgZkKnZ_c7Gcnf-XlQrrpXAcg/s320-rw/kisspng-quran-bible-religious-text-book-islam-holy-quran-5a74dc38027258.13686565151760799201.png" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="320"></a></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; text-align: center;">শুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে শেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন</div><a href="https://www.youtube.com/playlist?list=PLyzP9LcDnEdRlFPvAf869B2QzjfVEWr26" target="_blank" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); transition: color 0.17s ease 0s; font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">https://www.youtube.com/playlist?list=PLyzP9LcDnEdRlFPvAf869B2QzjfVEWr26</a><br style="font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><div><br></div>

শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা কোর্স

শুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে শেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন https://www.youtube.com/playlist?list=PLyzP9LcDnEdRlFPvAf869B2QzjfVEWr26

Read more »

মক্কা বা মদিনা শরীফে ইন্তেকালের ফজিলত

<div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-size: x-large;">মক্কা বা মদিনা শরীফে ইন্তেকালের ফজিলত</span></div><div class="separator" style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjnArfWhQEE17UIK990NCpxgNDz5v9vI60A-l_yNK32BOXBKJxQEMa6eeDpGx7koj4QlGySw4djKq5ZQje1qKac-EbK009wxxVf_aQ4TQcHan7ELwAfGTQjzmrfXNd_o5qcYfrI5_1RcsY/s1600/4.png" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><img border="0" data-original-height="1579" data-original-width="1579" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjnArfWhQEE17UIK990NCpxgNDz5v9vI60A-l_yNK32BOXBKJxQEMa6eeDpGx7koj4QlGySw4djKq5ZQje1qKac-EbK009wxxVf_aQ4TQcHan7ELwAfGTQjzmrfXNd_o5qcYfrI5_1RcsY/s200-rw/4.png" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="200"></a></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">عَنْ حَاطِبٍ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ زَارَنِي بَعْدَ مَوْتِي ، فَكَأَنَّمَا زَارَنِي فِي حَيَاتِي ، وَمَنْ مَاتَ فِي أَحَدِ الْحَرَمَيْنِ بُعِثَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الْآمِنِينَ- (رواه الدار قطني و البيهقي)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;">অনুবাদ : হযরত হাতেব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যেই ব্যক্তি আমি দুনিয়া পর্দা করার পরে আমার রওজা যিয়ারত করে সে যেন আমার হায়াত অবস্থায়ই আমার যিয়ারত (সাক্ষাত) করল। যে ব্যক্তি হারামাঈন শারিফাঈন (মক্কা ও মদিনা) এর যে কোন একটিতে ইন্তেকাল করল, কিয়ামত দিবসে নিরাপত্তা প্রাপ্ত বান্দাদের সাথে সে উত্থিত হবে।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); font-family: "Open Sans", sans-serif; font-size: 15px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>সুনানে দারে কুত্বনী: ২/২৭৮ হা: ৯১৩, বায়হাকী: কৃত শুয়াইবুল ইমান ৩/৪৮৮ হা: ৪১৫১, যাহাবী কৃত মিযানুল ই'তিদাল: ৭/৬৩, ইবনে হাজার আস্বকালানী কৃত লিসানিক মিজান: ৬/১৮০, ইমাম মুনযারী কৃত আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ২/১৪৭ হাঃ ১৮৬৫, সূয়ূতী কৃত দুররুল মানসুর: ১/৫৬৯</div>

মক্কা বা মদিনা শরীফে ইন্তেকালের ফজিলত

মক্কা বা মদিনা শরীফে ইন্তেকালের ফজিলত عَنْ حَاطِبٍ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ زَارَنِي بَعْدَ مَوْت...

Read more »

নামাজে শুধুমাত্র একবার হাত উত্তোলন করা

<div class="post-body post-content" style="padding: 20px 0px 0px; border-width: 1px 0px 0px; border-top-style: dashed; border-right-style: initial; border-bottom-style: initial; border-left-style: initial; border-top-color: rgb(235, 235, 235); border-right-color: initial; border-bottom-color: initial; border-left-color: initial; border-image: initial; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); width: 353.091px; font-size: 15px; line-height: 1.5em; overflow: hidden; margin: 10px 0px 0px; font-family: "Open Sans", sans-serif;"><div dir="ltr" trbidi="on" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: magenta; font-size: x-large;">নামাজে শুধুমাত্র একবার হাত উত্তোলন করা</span></div><div class="separator" style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgltS5DnhmYaMvysq4ir5AbsUArbWNrLNVbyAtprTozGwBoPqe35GwlKZTTWf7B74zQcXgaoj8QZrFgpjs4_2CIX0ZVqHevdIevTyIbr_CVW5nUz3s1sZxA59grvxSwleZOa7kJsBYhQMI/s1600/kisspng-prayer-salah-muslim-islam-allah-5af805f4e9bf63.8735927415262038929574.png" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><img border="0" data-original-height="600" data-original-width="487" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgltS5DnhmYaMvysq4ir5AbsUArbWNrLNVbyAtprTozGwBoPqe35GwlKZTTWf7B74zQcXgaoj8QZrFgpjs4_2CIX0ZVqHevdIevTyIbr_CVW5nUz3s1sZxA59grvxSwleZOa7kJsBYhQMI/s200-rw/kisspng-prayer-salah-muslim-islam-allah-5af805f4e9bf63.8735927415262038929574.png" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="162"></a></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: magenta; font-size: x-large;"><br></span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ؟قَالَ فَصَلَّى، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلَّا فِي اول مَرَّةٍ – )رواه الترمذي و أَبُو دَاوُد و النسائي)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">✒অনুবাদ :- হযরত আলকামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি কি তোমাদেরকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাজ আদায়ের পদ্ধতি শিক্ষা দিব না? বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি নামাজ পড়লেন এবং একবার ব্যতীত তিনি তার হাত উত্তোলন করলেন না (শুধু একবার হাত উত্তোলন করেন)।</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">আবু দাউদ: ৭৪৮, তিরমিজি: ২৫৭, নাসাঈ: ১০২৬</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: magenta; font-size: x-large;">নামাজে আস্তে আমিন বলা</span></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">عَنْ وَائِلٍ بن حُجَرْ قَالَ سَمِعْتُ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ َقرَأَ ‏:‏ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏فَقَالَ ‏"آمِينَ‏"‏ ‏.‏ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ- (رواه الترمذي و أحمد و الحاكم)</div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">অনুবাদ : হযরত ওয়ায়িল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে ‘গাইরিল মাগদ্বু বি আলাইহিম ওয়া লাদ্ দোয়াল্লীন’ পড়তেন অতঃপর বললেন, “আমিন”। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমিন বলার সময় স্বরকে নিচু করলেন (আস্তে পড়লেন)। </div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><br></div><div style="text-align: justify; padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>সুনানে তিরমিজি: ২৪৭, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল: ৪/৩১৬, মুন্তাদরাক হাকেম: ২৯১২</div></div></div>

নামাজে শুধুমাত্র একবার হাত উত্তোলন করা

নামাজে শুধুমাত্র একবার হাত উত্তোলন করা عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ ال...

Read more »

নাবী পাক ﷺ এর গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে আক্বীদা

<div class="post-body post-content" style="padding: 20px 0px 0px; border-width: 1px 0px 0px; border-top-style: dashed; border-right-style: initial; border-bottom-style: initial; border-left-style: initial; border-top-color: rgb(235, 235, 235); border-right-color: initial; border-bottom-color: initial; border-left-color: initial; border-image: initial; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px rgb(255, 255, 255); width: 353.091px; font-size: 15px; line-height: 1.5em; overflow: hidden; margin: 10px 0px 0px; font-family: "Open Sans", sans-serif;"><div dir="ltr" trbidi="on" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;"><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: blue; font-family: inherit; font-size: large;"><b style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">নাবী পাক ﷺ এর গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে আক্বীদা</b></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><br></span></div><div class="separator" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqBGQFgeqnjNGYUIMJYTuQZGtKdqU92V9FlN5eFVkykYTVtZKNVODHMsECBYLmeIyX6juiExiPv4Ujbsqf7PixmVk_lECpgvAlAsPZ5Cni8NFjAT-TdCTOGSWxDcOyED-ip886bI3_0v8/s1600/nnnnnnnnnnnncdr.png" imageanchor="1" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background-image: initial; background-position: 0px 0px; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; text-decoration-line: none; color: rgb(36, 117, 252); margin-left: 1em; margin-right: 1em; transition: color 0.17s ease 0s; clear: none !important; float: none !important;"><img border="0" data-original-height="1342" data-original-width="1552" height="552" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqBGQFgeqnjNGYUIMJYTuQZGtKdqU92V9FlN5eFVkykYTVtZKNVODHMsECBYLmeIyX6juiExiPv4Ujbsqf7PixmVk_lECpgvAlAsPZ5Cni8NFjAT-TdCTOGSWxDcOyED-ip886bI3_0v8/s640-rw/nnnnnnnnnnnncdr.png" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; position: relative; max-width: 100%;" width="640"></a></div><div class="separator" style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; clear: both; text-align: center;"></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><br></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: rgb(204, 0, 0); font-family: inherit; font-size: large;"><u style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">নাবী পাক আলাইহিস সালামের গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে ওহাবীদের আক্বীদা </u></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><br></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>ওহাবীদের আক্বীদা হল, হুজুর নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালাম গায়েব জানতেন না। নাবী পাক আলাইহিস সালাম-এর ব্যাপারে কেউ যদি বলে বা আক্বীদা রাখে যে তিনি গায়েব জানেন, তাহলে সে র্শিক করবে আর ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। যা নিচের দেওয়া  উদ্ধৃতি দ্বারা পরিষ্কার ভাবে প্রমান করা হল। দেওবান্দিদের এক বিখ্যাত মোলভী রাশীদ আহমাদ গাংগুহী তার রচিত পুস্তক (ফাতওয়ায়ে রাশিদিয়া) এর দ্বিতীয় খন্ড,  পৃষ্ঠা নং ১০ -এ উল্লেখ করে -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">یہ عقیدہ رکھنا کہ آپ کو(نبی ﷺ) علم غیب تھا صریح شرک</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদঃ- এ ধরনের আক্বীদা রাখা যে, ‘‘ হুজুর আলাইহিস সালাম গায়েবের জ্ঞান রাখতেন ’’ প্রকাশ্য র্শিক। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">ঐ গ্রন্থের ২য় খন্ড পৃষ্ঠা নং ৪৩ এর মধ্যে লেখা হয়েছে-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">اثبات علم غیب غیر حق تعالی کو شرک صریح ہے</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদঃ- আল্লাহ্ তায়ালা ব্যতিত অন্য করো জন্য গায়েবের জ্ঞান প্রমান করা, প্রকাশ্য র্শিক। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* ভারতে ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রচারক মোলবী শাহ্ ইসমাইল দেহেলবীর ‘‘তাকবিয়াতুল ঈমান’’</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">-এর পৃষ্ঠা নং ৩০ -এ উল্লেখ আছে -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">کسی انبیاء، اولیاء، یاامام یاشھید کی جناب میں ہرگز یہ عقیدہ نہ رکھے کہ وہ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">غیب کی باتیں جانتے ھیں بلکہ حضرت پیغمبر کی جناب میں بھی یہ عقیدہ نہ رکھے</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- কোন নাবী, ওলী অথবা ইমাম ও শহিদ-এর সম্পর্কে এধরনের আক্বীদা যেন না রাখে যে, উনারা গায়েবের খবর রাখতেন, এমন কি হুজুরে পাক আলাইহিস সালামের ব্যাপারেও এধরনের আক্বীদা রাখা চলবে না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>উপরের উদ্ধৃতি থেকে পরিষ্কার ভাবে জানা যায় যে, ওহাবীদের আক্বীদা ও মত হল যে, কোন ওলী বা নাবীর জন্য গায়েবের ইলম রাখার আক্বীদা ধারন করা প্রকাশ্য র্শিক। যে ব্যক্তি এ ধরনের আক্বীদা রাখবে, তাদের মতে সে র্শিক করবে আর মুশরিকে পরিনত হয়ে ইসলাম ধর্ম থেকে বাহির হয়ে যাবে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><br></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; color: rgb(204, 0, 0); font-family: inherit; font-size: large;"><u style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px;">নাবী পাক আলাইহিস সালামের গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল  জামায়াতের আক্বীদা</u></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><br></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>আহলে সুন্নাত ওয়া জামাতের আক্বীদা হল যে, আল্লাহ তায়ালা নবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামকে গায়েবের জ্ঞান প্রদান করেছেন যা কোরানুল মাজিদ ও বহু হাদিস শারীফ থেকে প্রমানিত। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে যে, গায়েব কোন বস্তুুকে বলা হয় ? বা গায়েবের সংঞ্জা কি ? গায়েবের সংজ্ঞার ব্যাপারে বিখ্যাত মুফাস্সির হজরত আল্লামা ইমাম বাইযাবী আলাইহির রাহ্মা বাইযাবি শারীফে উল্লেখ করেছেন - </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">اَلْمُرَادُ بِہِ اَلْخَفِیُّ اَلَّذِیْ لَا یُدْرِ کْہُ الْحِسُّ وَ لاَ تَقَتَضِیْہِ بَدَاھَۃُ الْعَقْلِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ঃ- গায়েব হল যা কোনও ইন্দ্রিয় শক্তী ও সাধারন বুদ্ধি দ্বারা সুস্পষ্টরূপে উপলব্দি করা যায় না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* আর তাফসিরে কাবির প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং- ১৪০ মিশর থেকে ছাপানো গ্রন্থে গায়েবের সংঙ্গা লেখা হয়েছে-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">اِنَّ الْغَیْبَ ھُوَ الَّذِیْ یَکُوْ نُ غًا ءِباً عَنِ الْحَا سَّۃِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ‌ঃ- নিশ্চয় গায়েব হল, যা ইন্দ্রিয় শক্তী দ্বারা সুস্পষ্ট নয়। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">উল্লেখিত দুই সংজ্ঞা থেকে বোঝা যায়, যে বস্তুকে শারীরিক পঞ্চ ইন্দ্রিয় যথা- চোখ দিয়ে দেখে, কান দিয়ে শুনে, নাক দিয়ে ঘ্রান নিয়ে, জিহ্বা দ্বারা স্বাদ নিয়ে ও ত্বকের স্পর্শ দ্বারা বা সাধারন বুদ্ধি দ্বারা উপলব্দি করা যায় না, তা হল গায়েব। সুতরাং জান্নাত, জাহান্নাম, হাশর নাশর, পুলসিরাত, হাউজে কাওসার, কবরে প্রশ্ন-উত্তর, হাসরের </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">হিসাব কিতাব, হুর ও গেলেমান, আরশ ও কুরসী, সিদরাতুল মুনতাহা, লাওহকালাম, কবর ও জাহান্নামের আজাব, জান্নাতের বিষয় বস্তুু, মীযান,  ফারিস্তা, পূর্ববর্তী রাসুল ও আম্বিয়াগন এবং আগামী যুগের ঘটনা ইত্যাদি হল গায়েব। কারণ উল্লেখিত সমস্ত বস্তুকে আমরা কান দিয়ে শুনতে পারিনা, জিহ্বা দ্বারা স্বাদ নিতে পারি না, নাক দিয়ে ঘ্রান নিতে পারিনা, চোখ দিয়ে দেখতে পাইনা এবং শরীরের ত্বক দ্বারা স্পর্শ করতে পারিনা এবং কোরান ও হাদিস ব্যতিত নিজের বুদ্ধি দ্বারা উপলদ্ধি করতে সক্ষম হই না।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>উক্ত বিষয় বস্তুগুলিকে ইন্দ্রিয় শক্তি দ্বারা সুস্পষ্টরূপে উপলদ্ধি করা যায় না, সে জন্যই মুসলমানগন ব্যতিত বিজ্ঞানীরা, দার্শনিকেরা ও তর্কবিদরা বহু ক্ষেত্রে উল্লেখিত বস্তুগুলিকে মানতে রাজি হয়না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>উক্ত বস্তুুগুলিকে শুধু আমি নয় বরং কোরান শারিফেও গায়েব বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন সুরা বাকারা আয়াত নং ৩ -এ আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’য়ালা ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">اَلَّذِ یْنَ یُوْ مِنُوْنَ بِالْغیْبِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- (তাঁরাই হেদায়াত প্রাপ্ত, দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব) যাঁরা গায়েবের  উপর ঈমান নিয়ে আসেন। </span><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit; white-space: pre;"> </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">বিখ্যাত মুফাস্সির হজরত আল্লামা জালালুদ্দিন মাহাল্লী ‘আলাইহির রাহমা গায়েবের উপর ঈমান নিয়ে আসার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নিজের তাফসির ‘‘জালালাইন’’ নামক গ্রন্থে উক্ত আয়াতের তাফসিরে বলেন - </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">اَلدَّیْنُ یُوْ مِنُو نَ بِالْغَیْبِ بِمَا غَابَ عَنْھُم مِنَ الْبَعْثِ وَالْجَنَّۃِ وَالنَّارِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ-  কোরান হেদায়াতের পথ প্রদর্শক তাদের জন্য যারা গায়েবের প্রতি ইমান নিয়ে আসেন অর্থাৎ মরনের পর দ্বিতীয় </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">জীবন, জান্নাত ও জাহান্নাম- এর উপর ঈমান নিয়ে আসেন। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">উল্লেখিত তাফসির থেকে আমরা জানতে পারলাম জান্নাত, জাহান্নাম ও মরনের পর পুনরায় জীবিত হওয়া সবকিছুই হল গায়েব।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>আসুন, পূর্ব যুগের সকল আম্বিয়া ও রসুলগনের সমস্ত ঘটনাগুলিকেও কোরান পাকে গায়েব বলে ঘোষনা করা হয়েছে কিনা ?</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">প্রথম দলিল ঃ- সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং ৪৪ -এর মধ্যে আল্লাহ্ তাবারক ওয়া তা’য়ালা ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">ذٰلِکَ مِنْ اَنْبَاءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْہِ اِلَیْکَ وَمَا کُنْتَ لَدَیْھِمْ اِذْیَلْقُوْنَ اَقْلَا مَھُمْ اَیُّھُمْ یَکْفُلُ مَرْیَمَ وَمَا کُنْتَ لَدَ یْھِمْ اِذْ یَخْتَصِمُوْنَ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- ঐ সব হল গায়েবের খবর (সংবাদ) যা  আপনার প্রতি প্রেরন করা হচ্ছে আর আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা নিজের নিজের কলমকে পানিতে প্রবেশ করছিল যে , হজরত মারিয়াম -এর কেফালত ( রক্ষনা বেক্ষন) কে করবে। আর আপনি তখনও ছিলেন না যখন তারা ঝগড়া করছিল। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">*উক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় যে, আল্লাহ্ তায়ালা হাজরাত মারিয়ম -এর ঘটনাকে গায়েব বলেছেন।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">দ্বিতীয় দলিল ঃ- আল্লাহ তা’য়ালা সুরা ইউসুফ, আয়াত নং ১০২ -এর মধ্যে ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">ذٰلِکَ مَنْ اَنْبَاءِ الْغَیْبِ نُحِیْہِ اِلَیْکَ وَمَا کُنْتَ لَدَیْھِمْ اِذْ جَمَعُوْا اَمْرَ  ھُمْ یَمکُرُوْنَ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- এ কিছু অদৃশ্যের (গায়েবের) সংবাদ, যা আপনার প্রতি ওহী করছি এবং আপনি তাদের নিকট ছিলেন না, যখন তারা নিজেদের কাজের সিদ্ধান্ত পাকাপাকি করছিলো এবং তারা চক্রান্ত করছিলো।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>*অর্থাৎঃ আল্লাহ তা’য়ালা হুজুর আলাইহিস সালামকে বলেন হে মেহবুব ! ইউসুফ আলাইহিস সালাম- এর ভাইদের ঘটনা আপনার প্রতি বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করা হল গায়েবের সংবাদ।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">তৃতীয় দলিল ঃ- সুরা হুদ, আয়াত নং ৪৯ -এর মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">تَلْکَ مِنْ اَنْبَاءِ الْغَیْبِ نُحِیْھاَ اِلَیْکَ وَ مَا کُنْتَ تَعْلَمُھَا انْتَ وَ لَا قَوْمُکَ مِنْ قَبْلِ ھٰذَا فَاصْبِرْ اَنَّ الْعَاقِبَۃَ لِلْمُتَّقِیْنَ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- এ সমস্ত অদৃশ্যের (গায়েবের) সংবাদ আমি আপনারই প্রতি ওহী করছি। সে গুলো না আপনি জানতেন, না আপনার সম্প্রদায় পূর্বে জানত। সুতরাং ধৈর্য ধারন করুণ, নিঃসন্দেহে  শুভ পরিনাম পরহেজগারদের জন্যই।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>এই তিনটি আয়াত থেকে পরিষ্কার ভাবে প্রমানিত হয় যে, আল্লাহ্ তা’য়ালা প্রথম আয়াতে হজরত মারিয়ম রাদি¦যাল্লাহু আনহা , দ্বিতীয় আয়াতে হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ও তাঁর ভাইদের এবং তৃতীয় আয়াতে হজরত নুহ আলাইহিস সালাম ও তাঁর সম্প্রদায়-এর ঘটনাকে গায়েবের সংবাদ বলে ঘোষনা করেছেন।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>সুতরাং সুরা বাক্বারাহ আয়াত নং ৩, সুরা আলে-ইমরান আয়াত নং ৪৪, সুরা ইউসুফ আয়াত নং ১০২ এবং সুরা হুদ আয়াত নং ৪৯ থেকে আমাদের সামনে পরিষ্কারভাবে প্রমান হয় যে, জান্নাত-জাহান্নাম, হাসর-নাসর, হিসাব-কিতাব, আখেরাতের সম্পূর্ন ঘটনাবলী এবং পূর্বের আম্বিয়া ও রাসুলগন আলাইহিমুস সালাম এবং আওলিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম আজমাইন ইত্যাদির সংবাদ গুলিকেও গায়েবের সংবাদ বলে জানতে ও মানতে হবে। আর উল্লেখিত গায়েবগুলির সম্পর্কে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি শুধু মাত্র  নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামের জবান মুবারাক দ্বারা, সেটা কোরানের দ্বারাই হোক অথবা হাদিসে রাসুলের রূপে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>সুতরাং উপরের আলোচনার দ্বারা আমরা জ্ঞাত হলাম যে, উল্লেখিত বস্তুগুলি হল গায়েব। আর উক্ত সমস্ত বস্তুগুলির সংবাদ আমাদের প্রদান করেছেন নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম। অতএব আমরা এ সত্য স্বিকার করতে  বাধ্য যে, নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম হলেন গায়েবের সংবাদ প্রদানকারী ও গায়েবের জ্ঞানের অধিকারী।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">আর এই কারনে আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জাত নিজের মাহ্বুব আলাইহিস সালামের শানে সুরা তাক্ববীর আয়াত নং ২৪ -এ ইরশাদ করেছেন-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">وَمَاهَو عَلَى الْغىْبِ بِضَنِيْن</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- আর তিনি (হজরত নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম) গায়েবের সংবাদ দিতে কৃপণতা করেন না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* অর্থাৎ নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ্ তা’য়ালার তরফ থেকে গায়েবের সংবাদ প্রদান করা হয়। যা নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম প্রয়োজন মত নিজের উম্মাতকে শিক্ষা দিতে কোন রকম দ্বিধা করেন না, বরং উম্মাতকে সংবাদ প্রদান করেন। কিছু ওহাবী মোলভী বলতে পারে যে, উক্ত আয়াত নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম -এর জন্য নয়, বরং আল্লাহ্ তা’য়ালার জন্য। কিন্তু তাদের এই ব্যাখ্যা ভুল ও ভিত্তিহীন। কারন কোরান শারীফের কোনো আয়াতের ব্যাখ্যা নিজের তরফ থেকে করা জায়েয নয়, হারাম এবং নিজেকে জাহান্নামী বানিয়ে নেওয়া। যেমন হজরত নাবীয়ে কারিম আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">مَنْ قَالَ فِی الْقُرْآنِ بِراۂِ فَلَیَتَبَوَّ أ مَقْعدَہُ مِنَالنَّارِ وَفِی رِوَایۃٍ مَنْ قَالَ فِی الْقُرْآنِ بِغَیْرِ عِلْمٍ فَلْیِتَبَوَّأ مَقْعَدَہُ مِنَ النَّارِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ঃ- যে ব্যক্তি কোরান শারিফের ব্যাখ্যা নিজের ইচ্ছামত করল সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। আর অন্য এক রাওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি কোরান শারিফের ব্যাখ্যা না জেনে করবে, সে নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিবে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>সুতরাং কোরান শারীফের কোনও আয়াতের ব্যাখ্যা করতে হলে আমাদেরকে তাফসিরের অনুস্বরণ করতে হবে। তাফসির শাস্ত্রের বিখ্যাত মোফাস্সির গন কোরান শরীফের আয়াত গুলির যা ব্যাখ্যা করেছেন, তাই আমাদেরকে করতে হবে। আর উক্ত আয়াতের তাফসীর মোফাস্সিরগন যা করেছেন, তা থেকে বোঝা যায় যে, এই আয়াতটি আল্লাহ্ তা’য়ালার শানে বলা হয় নি, বরং নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামের শানে বলা হয়েছে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">যেমন তাফসির শাস্ত্রের বিখ্যাত কিতাব ‘‘তাফসিরে মোয়ালিমুত তানযিল’’ -এর মধ্যে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">یَقُو لُ اِنَّہُ یَاتِیہِ عَلْمُ الْغَیْبِ فَلَا یَبْخُلُ بِہِ عَلَیْکُمْ بَلْ یُعَلَّمُکُمْ وَ یُخْبِرُ کُمْ وَلاَ یَکْتُمُہُ </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- আল্লাহ্ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালাম এর কাছে গায়েবের জ্ঞান প্রদত্ত হয়। তখন তিনি তোমাদের কাছে প্রদত্ত জ্ঞানকে পৌছাতে কোনো রকম কৃপনতা করেন না বরং তোমাদেরকে সেই জ্ঞানের শিক্ষা ও সংবাদ প্রদান করেন এবং গোপন করেন না।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>আরও তাফসিরে ‘‘খাজিন’’ -এর মধ্যে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে,-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">یَقُوْ لُ اِنَّہُ یَاتِیِْہِ عِلْمُ الغَیْبِ فَلَا۔ یَبْخَلُ بِہِ عَلَیْکُمْ بَلْ یُخْبِرُ کُمْ بِہِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেন, নিশ্চয় নাবীয়ে পাক আলাইহিস সালাম -এর নিকট গায়েবের জ্ঞান প্রদত্ত হয়। অতএব নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালাম সেই জ্ঞানে বোখিলতা (কৃপনতা) না করে তোমাদেরকে তার শিক্ষা ও সংবাদ প্রদান করেন।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>আর উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসিরে ‘বাগবী’ -এর মধ্যেও ঠিক উপরের মতই করা হয়েছে। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">সুতরাং, উল্লেখিত কোরানের আয়াত ও তাফসির সমুহ থেকে পরিষ্কার ভাবে প্রমানিত হল যে, হুজুর আক্বায়ে নামদার আলাইহিস সালামকে আল্লাহ্ তাবারক ওয়া তা’য়ালা  গায়েবের জ্ঞান প্রদান করেছেন। এবং নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালাম ইলমে গায়েব জানতেন। নচেৎ নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালাম -এর গায়েবের সংবাদ প্রদান করায় কৃপনতা না হওয়ার কোন মানেই হয় না।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>এছাড়াও কোরানের অসংখ্য আয়াতে ও হাদিস শারীফ থেকে বহু  নিখুঁত প্রমান পাওয়া যায় যে, হুজুর  আলাইহিস সালাম গায়েবের জ্ঞান রাখতেন। যেমন - আল্লাহ্ তা’য়ালা সুরা ‘নিসা’ আয়াত নং ১১৩ -এর মধ্যে ইরশাদ করেন- </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">وَعَلَّمَکَ مَالَمْ تَکُنْ تَعْلَمْ وَ کَانَ فَضْلُ اللہِ عَلَیْکَ عَظِیْمَا</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ-  আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছেন, যা কিছু আপনি জানতেন না এবং আপনার প্রতি ইহা একটি মহান অনুগ্রহ।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">তাফসির ‘জালালাইন’ -এ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">وَعَلّمَکَ مَالَم تَکُنْ تَعْلَمْ اَی مِنَ الْاَ حْکَامِ وَالْغَیْبِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ঃ- আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে শরিয়াতের আহকাম ও গায়েবের মধ্যে যা কিছু জানতেন না, তার শিক্ষা দিয়ে দিয়েছেন। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>* তাফসিরে ‘সাবী আলাল জালালাইন’ -এর মধ্যে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">وَعَلّمَکَ مَالَم تَکُنْ تَعْلَمْ اَیْ عِلْمُ الْغَیْبِ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ঃ- আর আল্লাহ্ তা’য়ালা আপনাকে গায়েবের মধ্যে যা জানতেন না, তা শিখিয়ে দিয়েছেন।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* আর তাফসিরে ‘রুহুল’ বায়ানের মধ্যে বলা হয়েছে-<span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামকে গায়েব প্রসঙ্গে যা জানতেন না, তা তাঁকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* তাফসিরে ‘খাযিন’ -এর মধ্যে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করা হয়েছে-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">مِنْ اَحْکَامِ الشَّرِیْعَۃِ وَاَمْرِ الدَّیْن وَمِنْ خَفَیاَتِ الُا مُوْرِ وَضَمَاءِرِ الْقُلُوْبِ وَمِنْ اَحْوَالِ الْمُنَافِقِیْنَ وَ کَیْدِ ھِمْ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অর্থাৎ ঃ-  আল্লাহ্ তা’য়ালা নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামকে শিক্ষা প্রদান করেছেন শরিয়াতের সমস্ত আহকাম এবং ধর্মের প্রয়োজনীয় সমস্ত বিষয়গুলি তথা তাঁকে জ্ঞান দান করেছেন লুকায়িত গুপ্ত ভেদ সমুহ ও যা কিছু মানুষের অন্তরের এবং মোনাফিকদের অবস্থা ও তাদের ধোকাবাজি প্রসঙ্গে।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">* সুরা ‘‘জ্বিন’’ -এর আয়াত নং ২৬/২৭ -এ আল্লাহ্ তা’য়ালা ইরশাদ করেন-</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">عَالِمُ الْغَیْبِ فَلَا یُظْھِرُ عَلَی غَیْبِہِ اَحَدً اِلاّ مَنِ ارْ تضَیٰ مِنْ رَسُوْلٍ</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- গায়েব জাননে ওয়ালা (আল্লাহ তা’য়ালা) তিনি তাঁর গায়েব মনোনিত রাসুল ব্যতিত কারো প্রতি প্রকাশ করেন না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">*অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’য়ালা নিজের পছন্দনীয় রাসুল ব্যতিত অন্য কাউকেই গায়েবের জ্ঞান প্রদান করেন না। আর হুজুর আলাইহিস সালাম হলেন আল্লাহ্ তা’য়ালার সব থেকে বেশী পছন্দীয় রাসুল। কারন আল্লাহ্ তা’য়ালা হুজুর আলাইহিস সালাম -এর জন্যই সারা পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। যেমন আল্লাহ্ তা’য়ালা হাদীসে কুদসীতে ইরশাদ করেন -</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">لَوْلَا مُحَِمَّدٌ مَا خَلَقْتُ آدَمَ وَلَوْلَولاَ مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّۃَ وَلاَ النَّار</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">অনুবাদ ঃ- যদি মোহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ আলাই ওয়া সাল্লাম) না হতেন তাহলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না। যদি মোহাম্মাদ না হতেন তাহলে</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">জান্নাত ও জাহান্নামকেও আমি সৃষ্টি করতাম না। </span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; white-space: pre;"> </span>আর যখন হুজুর আলাইহিস সালামের সব থেকে বেশী পছন্দনীয় হওয়া প্রমানিত হল তখন রাসুলে কারীম আলাইহিস সালাম-এর প্রতি গায়েবের জ্ঞান প্রদান করা ও নাবীয়ে কারীম আলাইহিস সালামের জ্ঞানী হওয়াও প্রমানিত হল, নচেৎ উক্ত আয়াতগুলি ভুল প্রমানিত হবে। আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সকলকে সংকলিত আয়াতগুলি বোঝার শক্তি প্রদান করুক। আমীন বে জাহে সাইয়েদিল মুরসালীন আলাইহিস সালাত ওয়াস সালাম।</span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;"><br></span></div><div style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; text-align: center;"><span style="padding: 0px; border: 0px; outline: 0px; vertical-align: baseline; background: 0px 0px; font-family: inherit;">লেখক‍ঃ- মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী</span></div></div></div>

নাবী পাক ﷺ এর গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে আক্বীদা

নাবী পাক ﷺ এর গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে আক্বীদা নাবী পাক আলাইহিস সালামের গায়েব সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে ওহাবীদের আক্বীদা  ওহাবীদের আক্...

Read more »