শবে বরাতের দিনে হালুয়া রুটি তৈরি কতোটুকু যৌক্তিক?

<div style="text-align: justify;">শবে বরাতের দিনে হালুয়া রুটি তৈরি কতোটুকু যৌক্তিক? <br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্নঃ শাবে বারাতের দিনে আমাদের অধিকাংশ বাসায় মা বোনেরা হালুয়া রুটি তৈরি করে থাকেন। ইসলামে তা কতোটুকু যৌক্তিক? </div><div style="text-align: justify;">জবাবঃ 🖋ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এরশাদ বুখারী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাবে বরাতে হালুয়া রুটি রান্না করাকে কেউ যদি ফরজ বা ওয়াজিব বা সুন্নাত মনে করে তবে অবশ্যই তা নাজায়েজ হবে। কিন্তু কেউ মুস্তাহাব (করলে সাওয়াব না করলে গুনাহ নেই মনে করে) তথা ভালো কাজ মনে করে করলে তা নাজায়েজ হওয়ার কোনো কারন নেই। কেননা এই হালুয়া রুটি সাধারণত মানুষ গরিব মিসকিন ফকিরদের কেই দিয়ে থাকে। তাই গরিব মিসকিন ফকির দের খাওয়ানোর কাজ কখনওই ইসলাম বিরোধী হতে পারে না। গরিব মিসকিন ফকির দের খাওয়ানোর যে কতো ফযিলত এটা সকলেরই জানা, আলহামদুলিল্লাহ।  </div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন - "হে মানুষেরা! তোমরা সালামের বিস্তার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও এবং যখন অন্য মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়, তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে যেতে পারবে।" - (জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৮৫)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">আজকাল কিছু ব্যক্তিদের কথা হলো শাবে বরাতে হালুয়া রুটি রান্না করা হারাম বা বিদাত। এ অজ্ঞতার শেষ কোথায়!!</div><div style="text-align: justify;">শরিয়তে যেকোনো জিনিস হারাম হওয়ার জন্য স্পষ্ট দলিল প্রয়োজন। যেমন সারাবছর আপনি রোযা রাখতে পারবেন কিন্তু মোট পাচ দিন রোযা রাখা হারাম। এই পাচ দিনের কথা হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">এখন এই তাদের প্রশ্ন করুন যে কুরয়ান এর কত নং আয়াত বা কোন হাদিসে আল্লাহ বা তার রাসুল স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে মানা করেছেন যে "হে ইমানদারেরা তোমাদের জন্য বছরের ৩৬৪ দিন হালুয়া রুটি জায়েজ শুধুমাত্র শাবে বরাত বা শাবান মাসের ১৫ তারিখে হালুয়া রুটি হারাম?" পারবে দেখাতে শাবে বারাতে হালুয়া রুটি হারাম করার জন্য কোনো আয়াত নাযিল হয়েছে? কেননা যেকোনো জিনিস হারাম হওয়ার জন্য স্পস্ট দলিল যেমন কুরয়ানের আয়াত বা সহিহ হাদিস প্রয়োজন।</div><div style="text-align: justify;">যে খাবার যেমন হালুয়া রুটি হালাল এটা ৩৬৫ দিনই হালাল এবং যে খাবার হারাম যেমন মদ সেটা ৩৬৫ দিনই হারাম। এই একদিনের জন্য একটি হালাল খাবারকে হারাম বানিয়ে দেয়া বড়ই মুর্খতার পরিচায়ক। </div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">হাদীসে এসেছে আয়েশা সিদ্দীক্বা রা: হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন যে, নাবী কারীম স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হালুয়া এবং মধু (খেতে) ভালবাসতেন। (বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ৮৪৮ পৃষ্টা, আবু দাউদ শরীফ ৫২২ পৃষ্টা শামাইলে তিরমিযী বঙ্গানুবাদ ১১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৫৫)। তাই মুসলমানেরা এ সুন্নতি খাবার রান্না করে গরিবদের দিতেই পারেন। আমি এটাও বলছিনা যে শুধু হালুয়া রুটিই খাওয়াতে হবে। আপনার ইচ্ছা আপনি হালুয়া খাওয়ান, বা মিস্টি খাওয়ান বা ঝাল খাওয়ান। আপনার সামর্থ্য থাকলে শুধু শাবে বারাতে কেন বছরের ৩৬৫ দিনই খাওয়ান। সামর্থ্য না থাকলে সপ্তাহে একদিন, তাও না থাকলে বছরে একদিন সেটা শনিবার হোক, রবি বা সোম হোক কিংবা শাবে বারাত বা মেরাজ বা রমজান বা কদর হোক না কেনো। কিন্তু খাওয়ান। কিন্তু মনে রাখবেন এইভাবে যেটা ৩৬৫ দিন জায়েজ এবং উত্তম কাজ তাকে একদিনের জন্য হারাম বলার অধিকার ইসলাম আপনাকে দেয়নি।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">এখন কিছু মানুষ বলবেন যে "নির্দিষ্ট করে কোনো দিন হালুয়া রুটি রান্না করা যাবেনা যেমন শাবে বারাতে। এর উত্তর হলো আপনি নির্দিষ্ট করে রমজানে বুট-মুড়ি রান্না করবেন, আপনি নির্দিষ্ট করে ঈদুল ফিতর এ সেমাই রান্না করবেন তখন এটা কিভাবে জায়েজ হয়? রমজানে, ঈদে কি হুযুরে পাক স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুট-মুড়ি, সেমাই রান্না করেছেন, সাহাবিরা করেছেন এমন প্রমান আছে ক্বুরয়ান হাদিসে? তাহলে এটা কিভাবে জায়েজ হলো???</div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও নির্দিষ্ট করে নির্দিষ্ট দিনে নফল ইবাদত করা আমার রাসুলেরই স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নাহ। কেননা হযরত আবু কাতাদা (রা) হতে বর্ণিত, একজন সাহাবী রাসুলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আরজ করলেন "ইয়া রাসুলাল্লাহ আমার মাতা পিতা আপনার কদমে কুরবান হোক। আপনি প্রতি সোমবার রোজা পালন করেন কেনো? জবাবে রাসুলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এই দিনে আমি জন্মগ্রহন করেছি এবং এই দিনেই আমার উপর ওহী নাজিল হয়েছে। (সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, সুনানে কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬ পৃঃ)। দেখুন রাসুলে আরাবী নিজেই নিজের জন্মদিন পালনার্থে নির্দিষ্ট দিন সোমবারে নির্দিষ্ট করে নফল রোযা রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">আবার কেউ কেউ বলেন এটা বিদআত। আমরাও তাই বলি এটা বিদআত, অর্থাৎ নতুন সৃষ্ট যা রাসুলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় ছিলোনা। কিন্তু এটা হলো বিদয়াতে হাসানা,ভালো বিদয়াত।  বিদআতে হাসানা ভালো ও সাওয়াবের কাজ।</div><div style="text-align: justify;">মুসলিম শরীফের (৬৪৬৬নং) এবং তিরমিযী শরীফের ১১তম অধ্যায় (২৬৭৫নং) হাদীস জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত- নবী করীম (স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেনঃ অর্থ- “যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে ভালো রীতি প্রচলন করে সে এর জন্য সাওয়াব পাবে, যারা এই উপর আমল করবে এর জন্যও সে সাওয়াব পাবে তবে আমলকারীদের সাওয়াবের কোন ঘাটতি হবে না এবং যে ব্যক্তি ইসলামে মন্দ রীতি প্রচলন করে এর জন্য তার পাপ হবে এবং যারা এর উপর আমল করবে তার জন্যও সে পাপের ভাগী হবে, তবে আমলকারীদের পাপের কোন ঘাটতি হবে না”। সুতরাং বোঝা গেল যে, ইসলামে কোন ভাল কাজের প্রচলন করাটা হচ্ছে সাওয়াবের কাজ আর মন্দ কাজের সূচনা করাটা হচ্ছে পাপের ভাগী হওয়া। </div><div style="text-align: justify;">বিদয়াতের দু প্রকার এটি স্বয়ং উমার রাঃ বলেছেন। বুখারী শরীফ (কিতাবুত তারাবীহ অধ্যায়)-এ বর্ণিত আছে যে, “হযরত উমর (রাঃ) আদেশ দিলেন তারাবীহ নামাজ জামায়াত সহকারে আদায় করতে। জামায়াতে তারাবীহ নামাজ আদায় করার পর উমর (রাঃ) বললেন, আমি কতইনা উত্তম বিদয়াত আবিস্কার করলাম।” উক্ত আমলটিকে উমর (রাঃ) নিজেই উত্তম বিদয়াত বলে ঘোষণা করেছেন। কেউ যদি প্রশ্ন করে থাকে উত্তম বিদয়াত আবার কি জিনিস! উত্তরে বলবো, যাকে তাঁর জীবদ্দশায় জান্নাতি হবার ঘোষণা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দিয়েছেন এবং আরোও বলেছেন- আল্লাহ উমরের (রাঃ) জিহ্বায় হক্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং আমার পরে যদি কেউ নবী হতো তবে সে উমর (রাঃ) হতো। এখন প্রশ্ন হলো উমর (রাঃ) বিদ্য়া’ত সম্পর্কে বেশী জানতেন নাকি প্রশ্নকারী বেশী জানে? হযরত উমর (রা) এর উক্তি মতে আমরা প্রমাণ করতে পারি যে, নব্য সৃষ্টি যা ক্বুরআন, সুন্নাহ্ বিরোধী নয়, তাকে বিদয়াতে হাসানা বলে এবং বিদয়াতে হাসানা উমর (রাঃ) এর সুন্নত।</div><div style="text-align: justify;">যেমন রমজানের বুট-মুড়ি বিদয়াতে হাসানা, তেমনি ঈদের সেমাই বিদয়াতে হাসানা তথা ভালো কাজ। আলহামদুলিল্লাহ।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">ভাই এটা বুঝার জন্য আপনাকে ক্বুরয়ান, হাদিস বিশেষজ্ঞ হতে হবেনা। এটাতো সামান্য বিবেকের ব্যাপার। আপনি নিজের বিবেককেই প্রশ্ন করুন সেই বলবে যে গরিবদের হালাল রুটি হালুয়া বিতরণ করা কি ইসলাম বিরোধী হতে পারে? রাসুলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে গরিবদের হক দেয়ার জন্য আজীবন যুদ্ধ করলেন, যিনি নিজেই ৩ দিন নাখেয়ে থাকার পরেও সামান্য খাবার পেয়ে আগত গরিবকে দিয়ে দিলেন, যিনি ধনীদের মালের উপর গরিবদের একটি অংশ দেয়া ফরজ করে দিলেন, সেই গরিব-প্রেমিক রাসুলের স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামে কোনো নির্দিষ্ট দিনে গরিবদের খাওয়ানোর কাজ কি খারাপ হতে পারে? না, কখনওই না।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">এই কেমন অজ্ঞ ব্যক্তিদের আগমন হলো যারা গরিব মানুষের হক মেরে খেতে চায়? যারা মুসলমানদের সাওয়াবের কাজ হতে দুরে রাখতে চায়? এ কারা যারা ইবলিস শয়তান এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়? আল্লাহ এই নব্য ফিতনা থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের হিফাযত করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই পোস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিজে পড়ুন, সেভ করে রাখুন, কপি অথবা শেয়ার (ওয়াটসএপ, ইমো) যা ইচ্ছা করুন। আমাকে ক্রেডিট দেয়া বা মেনশন করারও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বেশি বেশি প্রচার করে, বাতিলদের ভন্ডামি ধরিয়ে দিন। যারা শিরক বিদয়াতের ফ্যাক্টরি খুলে আপামর জনতাকে সহীহ হাদিসের নামে গোমরাহ করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন।</div>

শবে বরাতের দিনে হালুয়া রুটি তৈরি কতোটুকু যৌক্তিক?

শবে বরাতের দিনে হালুয়া রুটি তৈরি কতোটুকু যৌক্তিক?  প্রশ্নঃ শাবে বারাতের দিনে আমাদের অধিকাংশ বাসায় মা বোনেরা হালুয়া রুটি তৈরি করে থাকেন। ইসলা...

Read more »

শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বা শবে বরাত ও এ রাতের আমল</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইসলামী ১২টি চন্দ্রমাসের মধ্যে শা'বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন মাস। আর এ মাসের ১৫তম রজনীকে হাদিসের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বলা হয়, যা আমাদের দেশে শবে বরাত নামে অধিক প্রসিদ্ধ। এই শা'বান মাস ও শবে বরাতের অসংখ্য ফযিলত হাদিস শরীফে পাওয়া যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> # শা'বান মাসে রাসুল ﷺ বেশি ইবাদাত করতেন কেন ?  </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১. হযরত ওসামা বিন জায়েদ (রাদি.)  শাবান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে নবীজি ﷺ বলেন, রজব ও শা'বান হল রমদ্বানের মধ্যবর্তী মাস। এমাসে মানুষরা অলস থাকে। অথচ এ মাসে বান্দার আমল সমূহ উঠানো হয়। আর আমি পছন্দ করি, যখন আমার আমল উঠানো হবে তখন আমি রোজাদার অবস্থায় থাকি। </div> <div style="text-align: justify;"> (বায়হাকী- ফাযায়েলুল আওকাত, হাদিস নংঃ ২১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি রাসুল ﷺ কে রমদ্বান  ব্যতিত অন্য কোন পুরো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোনও মাসে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। </div> <div style="text-align: justify;"> (সহিহ বোখারী, হাদিস নংঃ ১৮৪৪)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) শা'বান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে  রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, এমাসে কারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের তালিকা আযরাঈল (আ.)কে প্রদান করা হয়।তাই আমি চাই যে, আমার নামটি লিপিবদ্ধ করা হোক রোজাদার অবস্থায়। (মুসনাদে আবু ই'য়ালা, হাদিস নংঃ ৪৯১১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> # ১৫ই শা'বান রজনী (শবে বরাত)'র ফজিলত কি? </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি এক রাত্রিতে রাসুল ﷺ কে ঘরে পাইনি। ঘর থেকে বেরিয়ে জান্নাতুল বাকীতে পাই। রাসুল ﷺ বললেন, আজ ১৪শাবানের দিবাগত রাত। এরাত্রিতে আল্লাহ (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) প্রথম আসমানে আসেন এবং বনু কলব গোত্রের ছাগলের সমূদয় পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন।</div> <div style="text-align: justify;"> (তিরমিজি কৃত আল-জামেঈ সহিহ, ৩/১১৬ মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৬/২৩৮) </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২. মুয়াজ বিন জাবাল (রাদি.) থেকে বর্নিত, রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, শাবানের ১৫তম রাত্রিতে আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (তাবরানী কৃত মুজামুল আওছাত, হাদিস নংঃ ৬৭৭৬, সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নংঃ ৫৬৬৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> একই ধরনের আরও অসংখ্য হাদিস কিছু ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্নিত হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> # এ রাতে রাসুল ﷺ কি আমল করতেন ?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১. রাতে ইবাদাত বন্দেগীতে ও দিনে রোজাঃ</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আলী (রাদি.) বর্ননা করেন, রাসুল ﷺ এরশাদ করেছেন, শা'বান মাসের ১৫ তারিখ উপনীত হলে তোমরা ইবাদতের মাধ্যমে রাত উদযাপন কর এবং দিনে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ প্রথম আসমানে (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) এসে ডাকতে থাকেন, কে আছ ক্ষমা প্রার্থনা কারী? আমি তাকে ক্ষমা করব। কে আছ রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক প্রদান করব। কে আছ বিপদ গ্রস্থ? আমি তার বিপদ মুক্ত করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১/৪৪৪, বায়হাকী কৃত শুয়ায়বুল ইমান ৫/৩৫৪)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২ঃ দীর্ঘ ক্বিরাত ও সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায়ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মা আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, একবার রাসুল ﷺ দীর্ঘ সিজদায় অতিবাহিত করলে আমি ভীত হয়ে গেলাম তিনি ইন্তেকাল করলেন কিনা! আমি তখন উঠে উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। নামাজ শেষ করে তিনি ইরশাদ করলেন, এটা হল অর্ধ শাবানের রাত । আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (বায়হাকী,শুয়াইবুল ঈমান ৩/৩৬৬)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> # আমরা কিভাবে এ রাতকে কাজে লাগাতে পারি ? </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১. নামাজ</div> <div style="text-align: justify;"> ফরজ নামাজের পাশাপাশি কয়েকটি নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যেতে পারে।</div> <div style="text-align: justify;"> ক. (বাদ মাগরিব) সালাতুল আওয়াবিন। </div> <div style="text-align: justify;"> খ. সালাতুস তাসবিহ। </div> <div style="text-align: justify;"> গ. ক্বিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুত। </div> <div style="text-align: justify;"> এছাড়াও দুই রাকাত করে যতবেশি সম্ভব নফল নামাজ আদায় করা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২. কোরআন তিলাওয়াত</div> <div style="text-align: justify;"> ক. বাদ মাগরিব সুরা ইয়াসিন</div> <div style="text-align: justify;"> খ. বাদ এশা সুরা মুলক</div> <div style="text-align: justify;"> গ. বাদ ফজর সুরা ওয়াক্বিয়াহ </div> <div style="text-align: justify;"> এছাড়াও পবিত্র কোরআনের যেকোন জায়গা থেকে যত বেশি সম্ভব তিলাওয়াত করা। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩. দোয়া, যিকির, তওবা, ইস্তিগফার, দুরুদ ও সালাম।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন- যখন বান্দা নফল ইবাদাত করে তখন বান্দা আল্লাহর খুব প্রিয় হয়ে যায়।এমনকি তখন আল্লাহ বান্দাকে ভালোবাসে।(বোখারী)। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার এক অফুরান সুযোগ এনে দেয় এই লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান তথা শবে বরাত। তাই আসুন এ রাতকে কাজে লাগাই। এবং প্রতিটি রাতেই এমন নফল ইবাদাত বন্দেগী করার অভ্যাস গড়ে তুলি।<br /> <br /> ৪. হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,<br /> আমি রাসূল (সাঃ) কে মধ্য শাবানের রাতে (শবেবরাতের রাতে) ১৪ রাকাত নামায পড়তে দেখেছি, নামাযের পর<br />  সূরা ফাতিহা ১৪ বার,<br /> সূরা ফালাক ১৪ বার<br /> সূরা নাস ১৪ বার<br /> আয়তুল কুরসী ১ বার<br /> লাক্বাদ যা আকুম রাসূলুম মিন আনপুছিক্বুম ১ বার,<br /> পড়ার পর দোয়া করলেন।<br /> আর রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অনুরুপ করবে তার আমলনামায় ২০ টি কবুল হজ্জ ও ২০ বছর নফল রোজার সাওয়াব লিখে দেওয়া হবে।<br /> আর যে পরের দিন রোযা রাখবে তাকে পূর্বের এক বছর ও আগামী এক বছর রোযা রাখার সাওয়াব দেওয়া হবে।<br /> 👉 বায়হাকী শরীফ,শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং৩৫৫৯,<br /> তাফসীরে দূররে মানসুর,৫খন্ড,পৃ-৭৪২</div> </div>

শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বা শবে বরাত ও এ রাতের আমল ইসলামী ১২টি চন্দ্রমাসের মধ্যে শা'বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন মাস। আর এ মাসের ...

Read more »

বিদআত কাকে বলে? লাইসা মিনহু'র উৎকৃষ্ট ব্যাখ্যা

<div style="text-align: justify;">❏ 'বিদ'আত কাকে বলে� </div><div style="text-align: justify;">❏ 'লাইসা মিনহু'র উৎকৃষ্ট ব্যাখ্যা, দ্বীন মানে কি�</div><div style="text-align: justify;">__________________________________________</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং- (১৩৩)]</div><div style="text-align: justify;">○ অধ্যায়ঃ [ (باب الاعتصام بالكتاب والسنة) : ক্বোরআন ও সুন্নাহকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা] (টীকাঃ ১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ عن عئشة قالت قال رسول الله ﷺ من احدث فى امرنا هذا ماليس منه فهو رد .] - (متفق عليه)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আয়েশা [رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنها] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেনঃ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যে ব্যক্তি আমার দ্বীনে এমন রীতি উদ্ভাবন করে, যা এ দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখানযোগ্য।" (টীকাঃ ২) </div><div style="text-align: justify;">[ বোখারী, মুসলিম ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ #MustShAre </div><div style="text-align: justify;">    ___________________________________</div><div style="text-align: justify;"> ১. [(باب الاعتصام بالكتاب والسنة) : ক্বোরআন ও সুন্নাহকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ১. عصم) ,(اعتصام)) হতে গঠিত। এর অর্থ নিষেধ করা, বিরত রাখা। পূতঃপবিত্র হওয়াকে এ জন্যই (عصمت) বলা হয়, যেহেতু তা গুনাহ থেকে বিরত রাখে। সেটার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- শক্তভাবে ধরা, ছুটে যাওয়া ও পালিয়ে যাওয়া, রুখে রাখা। শরীয়তের পরিভাষায়, সত্যতার উপর বিশ্বাস এবং সেটা অনুসারে নিয়মিতভাবে আমল করাকে (اعتصام) বলা হয়। এখানে (كتاب) মানে 'ক্বোরআন-শরীফ' এবং 'সুন্নাহ্' মানে হুযূর [ﷺ]'র ওই সব পবিত্র বাণী, বরকতময় আমল ও অবস্থা, যেগুলো মুসলমানদের জন্য আমলের উপযোগী। হুযূরের এসব কর্মকে শরীয়ত বলা হয় এবং পুণ্যময় অবস্থাকে তরীক্বত বলা হয়। সূফীদের দৃষ্টিতে হুযূরের শরীর মুবারকের অবস্থাদি হল শরীয়ত, ক্বলবের অবস্থাদি হচ্ছে তরীক্বত, রুহের অবস্থাদি হাক্বীক্বত এবং 'সির্' (একটি বাত্বেনী স্তরের অবস্থা)কে মা'রিফাত। 'সুন্নাত' এর মধ্যে এ সবই অন্তর্ভুক্ত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্মর্তব্য যে, হুযূরের বৈশিষ্ট্যাবলী (خصوصيات) 'সুন্নাহ্' নয়। সুতরাং নয়(০৯) জন স্ত্রী বিবাহাধীন রাখা, উটের উপর আরোহন করে তাওয়াফ করা, মিম্বরের উপর নামায পড়ানো ইত্যাদি যদিও হুযূরের পূণ্যময় কার্যাবলী; কিন্তু আমাদের জন্য এইগুলো অনুসারে আমল করার বিধান নেই। প্রত্যেক 'সুন্নাহ' হাদিস; কিন্তু প্রত্যেক 'হাদিস' সুন্নাহ নয়। এজন্য গ্রন্থকার [رحمه الله عليه] এখানে 'সুন্নাহ্' বলেছেন, 'হাদীস' বলেন নি এবং নবী করিম [ﷺ] এরশাদ করেছেন (عليكم بسنتى) (আমার সুন্নাহ্'কে আঁকড়ে ধরো), (بحديثى) (আমার হাদিসকে) বলেন নি। তাছাড়া আমাদের নাম, আল্লাহর প্রশংসাক্রমে, 'আহলে সুন্নাত' অর্থাৎ সমস্ত সুন্নাত অনুসারে আমলকারী, 'আহলে হাদিস' নয়। কেননা, সমস্ত হাদিসের উপর কেউ আমল করতে পারে না এবং কেউ 'আহলে হাদিসও হতে পারে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এটাও স্মর্তব্য যে, শরীয়তের দলীল চারটিঃ 'কিতাবুল্লাহ্' (ক্বোরআন), সুন্নাহ্, ইজমা'-ই উম্মত এবং মুজতাহিদীনের ক্বিয়াস। কিন্তু কিতাব ও সুন্নাহ্ হচ্ছে সব দলীলের মূল আর ইজমা ও ক্বিয়াস ওইগুলোর পরে। কেননা, যদি কোন মাসআলা প্রথমোক্ত দু'টিতে পাওয়া না যায়, তখনই এ শেষোক্ত দু'টির দিকে মনোনিবেশ করবে। তাছাড়া, ক্বিয়াস হচ্ছে, ক্বোরআন-সুন্নাহ্'র মর্মার্থ প্রকাশকারী। এ কারণে গ্রন্থকার (মিশকাত প্রণেতা) শুধু কিতাব ও সুন্নাহ্'রই উল্লেখ করেছেন। অপর দু'টির উল্লেখ করেন নি। নতুবা এ দুটিও অত্যন্ত জরুরী। সিদ্দীক্ব-ই আকবর ও ফারুক্ব-ই আ'যমের খিলাফত উম্মতের ইজমা' বা ঐক্যমতের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তাঁদের খিলাফতকে অস্বীকার করা কুফর। বাজরা এবং চাউলের মধ্যে সূদ হারাম; কিন্তু কিতাব ও সুন্নাহ্'তে এর স্পষ্ট উল্লেখ নেই। ক্বিয়াস দ্বারাই ওইগুলো হারাম হওয়া প্রমাণিত। এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ আমার কিতাব 'জা-আল্ হক্ব' প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ডে দেখুন। কিতাব ও সুন্নাহ্ হচ্ছে সমুদ্র; কোন ইমামের জাহাজে বসে সেটা অতিক্রম করো। কিতাব ও সুন্নাহ্ ঈমানী চিকিৎসার ঔষধ। কোন রুহানী চিকিৎসক অর্থাৎ মুজতাহিদ ইমামের পরামর্শক্রমে সেগুলো ব্যবহার করো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. [(من احدث فى امرنا هذا ماليس منه فهورد) : (যে ব্যক্তি আমার দ্বীনে এমন রীতি উদ্ভাবন করে, যা এ দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখানযোগ্য।)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ২.</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ এ উদ্ভাবনকারী প্রত্যাখ্যাত (মরদূদ্দ) অথবা তার এ উদ্ভাবন প্রত্যাখানযোগ্য। স্মর্তব্য যে, (امر) মানে দ্বীন-ইসলাম এবং (ما) মানে আক্বাইদ। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইসলামে ইসলাম বিরোধী আক্বীদা উদ্ভাবন করে- সেও প্রত্যাখ্যাত আর ওই আক্বাইদও বাতিল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং রাফেযী, ক্বাদিয়ানী এবং ওহাবী ইত্যাদি বাহাত্তর ফির্কা, যাদের আক্বাইদ ইসলাম বিরোধী, সবই বাতিল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অথবা (امر) দ্বারা দ্বীন বুঝায় এবং (ما) দ্বারা আমলসমূহ বুঝায়। আর (ليس منه) -এর মর্মার্থ হচ্ছে- 'ক্বোরআন ও হাদীসের বিরোধী।' অর্থাৎ যে কেউ দ্বীনে এমন আমল উদ্ভাবন করে, যা দ্বীন অর্থাৎ কিতাব ও সুন্নাহ্'র বিপরীত হবে, যা দ্বারা সুন্নাত উঠে যায়, ওই উদ্ভাবনকারীও মরদূদ এবং এরুপ আমলও বাতিল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেমনঃ উদূর্তে কিংবা বাংলায় খোতবাহ্ ও নামায পড়া, ফার্সীতে আযান দেওয়া ইত্যাদি। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে ওই হাদীস, যা সামনে আসছে। তা হচ্ছে যে কেউ বিদ্'আত সৃষ্টি করে, তখন আল্লাহ্ সুন্নাতকে উঠিয়ে নেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমার এ ব্যাখ্যার ভিত্তিতে এ হাদীস স্বীয় ব্যাপকতার উপর প্রযোজ্য হবে। এতে কোন শর্তারোপের প্রয়োজন নেই। মিরক্বাত প্রণেতা বলেন, (ليس منه) দ্বারা বুঝা গেল যে, দ্বীনের মধ্যে এমন কাজের উদ্ভাবন করা, যা কিতাব ও সুন্নাহ্'র বিরোধী নয়, তাবে মন্দ বলা যাবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রচারেঃ Ishq-E-Mustafa ﷺ</div><div style="text-align: justify;">● হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</div><div style="text-align: justify;">📚f/Ishq-E-Mustafa ﷺ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ১৪৮, হাদীস নং-১৩৩ এর টীকাঃ ১,২ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম। সবুজ ভবন, খাজা রোড, কুলগাঁও, ডাকঘর-জালালাবাদ-৪২১৪, বায়েজীদ, চট্টগ্রাম। ফোনঃ ০৩১-৬৮৪২২৪, মোবাইলঃ ০১১৯৯-২২৪৪০৩, ০১৮৬৮-০৩১৬২১]</div>

বিদআত কাকে বলে? লাইসা মিনহু'র উৎকৃষ্ট ব্যাখ্যা

❏ 'বিদ'আত কাকে বলে�  ❏ 'লাইসা মিনহু'র উৎকৃষ্ট ব্যাখ্যা, দ্বীন মানে কি� __________________________________________ ❏ দরসে হাদ...

Read more »

হাদিসের আলোকে শবে বরাতঃ

<div style="text-align: justify;">□ সাবধান! সহীহ্ হাদীসে #শবেবরাত❓ </div><div style="text-align: justify;">"নে, শবে বরাত আছে কিনা দেখ। পারলে হাদিস গুলোকে জঈফ কিংবা মওজু বল।"</div><div style="text-align: justify;">___ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক</div><div style="text-align: justify;"><a href="https://youtu.be/Yfpe-Ee8XeQ" target="_blank">https://youtu.be/Yfpe-Ee8XeQ</a><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📖 হাদিসের আলোকে শবে বরাতঃ (০১)</div><div style="text-align: justify;">     কৃত-মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল [رضي الله عنه] হতে বর্ণিত, রাসূলাল্লাহ [ﷺ] ইরশাদ করেনঃ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ وعن معاذ بن جبل، عن النبى صلى الله عليه وسلم قال :《 يطلع الله الى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه، الا لمشرك، او مشاحن》.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহ তা'আলা শাবান মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ (শবে বরাত) এর রাতে সমস্ত মাখলুকাতের দিকে রহমতের নজরে তাকান। সমস্ত মাখলুকাতকে আল্লাহ্ তা'আলা মাফ করে দিবেন। তবে মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[(১) ইমাম বায়হাক্বীঃ শুয়াবুল ঈমান; ৫/৩৬০ পৃ. হাদীসঃ ৩৫৫২ এবং ৬৬২৮.</div><div style="text-align: justify;">(২) ইমাম আবু নঈমঃ হুলিয়াতুল আউলিয়া; ৪/২২২ পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(৩) ইমাম ইবনে মুনযিরীঃ তারগীব ওয়াত্তারহীব; ২/২২, হাদীসঃ ১৫১৭.</div><div style="text-align: justify;">(৪) ইমাম তাবরানীঃ মু'জামুল কবীর; ১/১৪২পৃ. হাদীসঃ ২১৫.</div><div style="text-align: justify;">(৫) ইমাম ইবনে হিব্বানঃ আস-সহীহ্; ১২/৪৮১পৃ. হাদীসঃ ৫৬৬৫.</div><div style="text-align: justify;">(৬) ইমাম বায়হাক্বীঃ ফাযায়েলে ওয়াক্ত; ১/১১৮পৃ. হাদীসঃ ২২.</div><div style="text-align: justify;">(৭) ইমাম তাবরানীঃ মু'জামুল আওসাত; ৭/৩৬পৃ. হাদীসঃ ৬৭৭৬.</div><div style="text-align: justify;">(৮) ইবনে হাজার হায়সামীঃ মাযমাউয যাওয়াইদ; ৮/৬৫পৃ. হাদীসঃ ১২৯৫৬.</div><div style="text-align: justify;">(৯) (লা-মাযহাবী) আলবানী: সহিহুত তারগীব; হাদীসঃ ১৫১৭, তিনি বলেন- হাদিসটি হাসান, সহীহ্।</div><div style="text-align: justify;">(১০) ইবনে আছিমঃ আস্-সুন্নাহ্; ১/২২৪পৃ. হাদীসঃ ৫১২.</div><div style="text-align: justify;">(১১) ইবনে আসাকীরঃ তারীখে দামেস্ক; ৫৪/৯৭ পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(১২) তাবরানীঃ মু'জামুল কবীর; ২০/১০৮পৃ. হাদীসঃ ২১৫.</div><div style="text-align: justify;">(১৩) মুসনাদিস্-শামীনঃ ১/১২৮পৃ. হাদীসঃ ২০৩ ও ৪/৩৬৫পৃ. হাদীসঃ ৩৫৭০.</div><div style="text-align: justify;">(১৪) আবু নঈম ইস্পাহানীঃ হুলিয়াতুল আউলিয়া; ৫/১৯১পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(১৫) বায়হাক্বীঃ শুয়াবুল ঈমান; ৯/২৪পৃ. হাদীসঃ ৬২০৪.</div><div style="text-align: justify;">(১৬) সাজারীঃ তারতীবুল আমালি; ১/৩৭২পৃ. হাদীসঃ ১৩২০ ও ২/৪৫পৃ. হাদিসঃ ১৫২৫ এবং ২/১৪০পৃ. হাদীসঃ ১৮৮১</div><div style="text-align: justify;">(১৭) হায়সামীঃ মাওয়ারিদুয্-যামান; ১/৪৮৬পৃ. হাদীসঃ ১৯৮০.</div><div style="text-align: justify;">(১৮) দারে কুতনীঃ আল-নূযুল; ১/১৫৮পৃ. হাদীসঃ ৭৭.</div><div style="text-align: justify;">(১৯) মিযযীঃ তুহফাতুল আশরাফ বি মা'রিফাতুল আতরাফ; ৬/৪২০পৃ. হাদীসঃ ৯০০৬.</div><div style="text-align: justify;">(২০) মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল; ৩/৪৬৮পৃ. হাদীসঃ ৭৪৬৪.</div><div style="text-align: justify;">(২১) সালিম জাররারঃ ইমা ইলা যাওয়াইদ; ৫/৫১৭পৃ. হাদিসঃ ৫০৭২.</div><div style="text-align: justify;">(২২) ইবনে কাসীরঃ জামিউল মাসানিদ; ৭/৫৩০পৃ. হাদীসঃ ৯৬৯৭.</div><div style="text-align: justify;">(২৩) (লা-মাযহাবী) আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুল আহাদিসুল সহিহাহ, ৩/১৩৫ পৃ. হাদীসঃ ১১৪৪, তিনি বলেন-সনদটি সহীহ্।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">❏ সনদ পর্যালোচনাঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইবনে হায়সামী [رحمه الله عليه] উক্ত হাদিস সম্পর্কে বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">   [ رواه الطبرانى فى الكبير والاؤسط ورجالهما ثقات. - (مجمع الزوائد : ٨/ ٦٥)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"উক্ত হাদিসটি ইমাম তাবরানী 'মু'জামুল কবীর' ও 'মু'জামুল আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন- উক্ত হাদিসটির সমস্ত রাবী সিকাহ বা বিশুদ্ধ।"</div><div style="text-align: justify;">[আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী: মাযমাউয যাওয়াইদ; ৮/৬৫ পৃ.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুয়াজ বিন জাবাল [رضي الله عنه] এর উক্ত হাদিস সম্পর্কে ইমাম মুনযির এবং (লা-মাযহাবী) আহলে হাদিসের অন্যতম আলেম মোবারকপুরী বলেন:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[وقال منذرى والترغيب بعد ذكره : رواه الطبرانى فى الاوسط وابن حبان فى صحيحه والبيهقي ......... باسناد لا بأس به - تحفة الاحوذى: ٣/ ٤٤١]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ইমাম মুনযির [رحمه الله عليه] তার তারগীব গ্রন্থে হাদিসটি উল্লেখের পর বলেন, ইমাম তাবরানী তার 'মু'জামুল আওসাতে', ইমাম ইবনে হিব্বান তার 'আস-সহিহ' গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাক্বী [رحمه الله عليه] স্বীয় গ্রন্থে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদিসটির সনদ لا بأس به অর্থাৎ সনদে কোন অসুুবিধা নেই।"  </div><div style="text-align: justify;">[মোবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী; ৩/৪৪১ পৃ. হাদীসঃ ৭৩৬]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরুপ উম্মোচন; কৃত-মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর, খন্ড-১, পৃ.২৮১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">□ হাদিসের আলোকে শবে বরাতঃ (০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ عن يحيى بن ابى كثير، عن عروة، عن عائشة رضى الله عنها قالت :فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة، فخرجت طلبه، فاذا هو بالبقيع رافع رأسه الى السماء. فقال يا عائشة اكنت تخافين ان يحيف عليك الله ورسوله؟ قالت، قد قلت: وما بي ذلك، ولكنى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال :《ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم بنى كلب》.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা [رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنها] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রজনীতে হুযূর-ই আকরাম [ﷺ]'কে হারিয়ে ফেললাম। অর্থাৎ মধ্যরাতে আমি তাঁকে বিছানায় দেখতে পেলাম না। এ সময় ঘর ছেড়ে গিয়ে তিনি জান্নাতুল বাকীতে অবস্থান করতে ছিলেন। (এবং এ সময় মুনাজাত রোনাজারীতে মশগুল ছিলেন) তিনি তখন আমার উদ্দেশ্যে এরশাদ করলেন- তুমি কি এ আশংকা করছো যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করেছেন? আমি বললাম, ‘‘হে আল্লাহ্'র রাসূল, আমি ধারণা করেছি যে, আপনি আপনার আপনার পবিত্র বিবিদের থেকে কারো গৃহে অবস্থান করতেছেন।’’ তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহ্ তা‘আলা অর্ধ শা’বান (অর্থাৎ- শবে বরাত) এর রজনীতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। (অর্থাৎ- তাঁর বিশেষ তাজাল্লী বিচ্ছুরণ ঘটান) এবং বনী ক্বলবের বকরীর পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশি আমার উম্মতকে ক্ষমা করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[(১) ইমাম তিরমিযীঃ আস সুনান; ৩/১১৫পৃ. হাদীসঃ ৭৩৯.</div><div style="text-align: justify;">(১) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলঃ আল মুসনাদ; ১৮/১১৪ পৃ. হাদীসঃ ২৫৮৯৬.</div><div style="text-align: justify;">(৩) ইবনে আবি শায়বাহঃ আল-মুসান্নাফ; ১০/৪৩৮, হাদীসঃ ৯৯০৭.</div><div style="text-align: justify;">(৪) ইমাম ইবনে মাজাহঃ আস-সুনান; ১/৪৪৪ পৃ. হাদীসঃ ১৩৮৯.</div><div style="text-align: justify;">(৫) ইমাম বগভীঃ শরহে সুন্নাহ; ৪/১২৬ পৃ. হাদীসঃ ৯৯২.</div><div style="text-align: justify;">(৬) ইমাম ইবনে মুনযিরীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব; ৪/২৪০পৃ. হাদীসঃ ২৪.</div><div style="text-align: justify;">(৭) ইমাম ইবনে ইসহাক রাহবিয়্যাহঃ আল মুসনাদ; ২/৩২৬পৃ. হাদীসঃ ৮৫০ এবং ৩/৯৭৯, হাদীসঃ ১৭০০.</div><div style="text-align: justify;">(৮) শায়খ খতিব তিবরিযীঃ মিশকাতুল মাসাবীহ; ২৫৩পৃ. হাদীসঃ ১২৯৯.</div><div style="text-align: justify;">(৯) ইমাম বায়হাক্বীঃ ফাযায়েলে ওয়াক্ত; ১/১৩০ পৃ. হাদীসঃ ২৮.</div><div style="text-align: justify;">(১০) মোল্লা আলী ক্বারীঃ মিরকাতুল মাফাতীহ; ৩/৩৪০পৃ. হাদীসঃ ১২৯৯.</div><div style="text-align: justify;">(১১) ইমাম কুরতুবীঃ তাফসীরে কুরতুবী; ১৬/১২৬-১২৭পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(১২) ইমাম সুয়ূতীঃ আল-জামেউস সগীর; ১/১৪৬পৃ. হাদীসঃ ১৯৪২.</div><div style="text-align: justify;">(১৩) আব্বাস আল-মাক্কী ফিক্হীঃ আখবারুল মক্কা, ৩/৬৬পৃ. হাদীসঃ ১৮০৬ ও ১৮৪০.</div><div style="text-align: justify;">(১৪) শায়খ ইউসুফ নাবহানীঃ ফতহুল কাবীর; ১/১৩৯পৃ. হাদীসঃ ১৪২০.</div><div style="text-align: justify;">(১৫) মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল; ৩/৪৬৪পৃ. হাদীসঃ ৭৪৫০ এবং ১২/৩১৪পৃ. হাদীসঃ ৩৫১৭৯ এবং ১২/৩১৫পৃ. হাদীসঃ ৩৫১৮৪.</div><div style="text-align: justify;">(১৬) ইমাম সুয়ূতীঃ জামেউস সগীর; ১/১৬৬৭পৃ. হাদীসঃ ১৬৬৭ ও জামিউল আহাদিস; ৩/৪৮৫পৃ. হাদীসঃ ২৬২৪.</div><div style="text-align: justify;">(১৭) (লা-মাযহাবী) আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানীঃ দ্বঈফু মিশকাত; হাদীসঃ ১২৯৯, দ্বঈফু জামে, হাদীসঃ ৬৫৪, তিনি বলেন-সনদটি দ্বঈফ।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">❏ সনদ পর্যালোচনাঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইবনে মুনযিরী [رحمه الله عليه] 'তারগীব' গ্রন্থে এবং (লা-মাযহাবী) আহলে হাদীসের অন্যতম আলেম মোবারকপুরী উক্ত হাদিস সম্পর্কে বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ اخرجه البزار والبيهقى با اسناد لا بأس به كذا فى ترغيب والترهيب للمنذرى في باب الترهيب من الهاجر - تحفة الاحوذي، باب : ما جاء النصف من الشعبان: 3/440 - الرقم:736 ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"উক্ত হাদিসটি ইমাম বাযযার [رحمه الله عليه] ও ইমাম বায়হাক্বী [رحمه الله عليه] বর্ণনা করেছেন-উক্ত সনদটি لا بأس به অর্থাৎ উক্ত হাদীসের সনদে কোন অসুুবিধা নেই। অনুরুপ বলেছেন ইমাম মুনযির [رحمه الله عليه] স্বীয় 'তারগীব ওয়াত তারহীব' গ্রন্থে।"</div><div style="text-align: justify;">[(ক). মোবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহওয়াজী; ৩/৪৪০ পৃ. হাদীসঃ ৭৩৬.</div><div style="text-align: justify;">(খ). ইমাম মুনযিরীঃ আত্-তারগীব ওয়াত তারহীব; ৪/২৪০পৃ.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অপরদিকে ইমাম তিরমিযী উক্ত হাদিসটি বর্ণনার পর বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ وقال ابو عيس الترمذى : وفي الباب عن ابى بكر الصديق ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ইমাম তিরমিযী [رحمه الله عليه] বলেন, এ পরিচ্ছেদে (এ বিষয়ে) হযরত আবু বকর [رضي الله عنه] হতে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।" </div><div style="text-align: justify;">[(ক). তিরমিযীঃ আস্-সুনান; ৩/১১৫পৃ. হাদীসঃ ৭৩৯.</div><div style="text-align: justify;">(খ). মোবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহওয়াজী; ৩/৪৪০ পৃ. হাদীসঃ ৭৩৬]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আয়েশা [رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنها] এর উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে মোবারকপুরী বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;">[ رواه البيهقى وقال: هذا مرسل جيد: تحفة الاحوذى : 3/441 ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"উক্ত হাদিসটি ইমাম বায়হাক্বী [رحمه الله عليه]ও একটি সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাক্বী [رحمه الله عليه] বলেন, উক্ত হাদিসটি মুরসাল, তবে শক্তিশালী সনদ।"</div><div style="text-align: justify;">[মোবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহওয়াজী; ৩/৪৪০ পৃ. হাদীসঃ ৭৩৬]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী [رحمه الله عليه] বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;">[ هذا حديث حسن ] </div><div style="text-align: justify;">"উক্ত হাদিসটি সনদের দিক দিয়ে 'হাসান' পর্যায়ের।" </div><div style="text-align: justify;">[ইমাম সুয়ূতীঃ আল-জামেউস সগীর; ১/১৪৬পৃ. হাদীসঃ ১৯৪২.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পরিশেষে বলতে চাই, যেহেতু উক্ত হাদিসটি হক্কানী মুহাদ্দিসগণ গ্রহণযোগ্য বলেছেন, সেহেতু (লা-মাযহাবীদের গুরু) আহলে হাদিস আলবানীর যঈফ বলার কোন ভিত্তি নেই। </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরুপ উম্মোচন; কৃত-মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর, খন্ড-১, পৃ. (২৭৯-২৮০)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">□ হাদিসের আলোকে শবে বরাতঃ (০৩)</div><div style="text-align: justify;">     কৃত- মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ عن علي بن أبى طالب، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "اذا كانت ليلة النصف من شعبان، فقوموا ليلها وصوموا نهارها، فان الله ينزل فيها لغروب الشمس الى سماء الدنيا، فيقول: ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا، حتى يطلع الفجر" وفى رواية حتى تطلع الشمس.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- হযরত আলী [رضي الله عنه] থেকে বর্ণিত, রাসূলাল্লাহ [ﷺ] ইরশাদ ফরমানঃ "যখন শাবানের চৌদ্দ(১৪) তারিখ আসবে, সে রাত্রে তোমরা কিয়াম করবে (নামায ইবাদত বন্দেগীতে কাটাবে) এবং দিনে রোযা রাখবে, আল্লাহ্ তা'আলার রহমত এ রাত্রে সূর্যাস্তের সাথে সাথে প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কেউ আছ কি? ক্ষমা চাইলে আমি ক্ষমা করে দেবো। কেউ রোগাগ্রস্ত আছ কি? (রোগমুক্তি প্রার্থনা করলে) আমি আরোগ্য দান করবো। কেউ রিযিক চাওয়ার আছ কি? আমি তোমাকে রিযিক (জীবন উপকরণ) দেবো। কেউ আছ কি? কেউ আছ কি? এভাবে ফযর পর্যন্ত ঘোষণা আসতে থাকে। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে- সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘোষণা চলতে থাকে।" </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(১) ইমাম ইবনে মাজাহঃ আস-সুনান; ১/৪৪৪ পৃ. হাদীসঃ ১৩৮৮.</div><div style="text-align: justify;">(২) ইমাম বায়হাক্বীঃ শুয়াবুল ঈমান; ৫/৩৫৪পৃ. হাদীসঃ ৩৮২২.</div><div style="text-align: justify;">(৩) ইমাম বায়হাক্বীঃ ফাযায়েলে ওয়াক্ত; হাদীসঃ ৩৩.</div><div style="text-align: justify;">(৪) দায়লমীঃ আল-ফিরদাউস ১/২৫৯পৃ. হাদীসঃ ১০০৭.</div><div style="text-align: justify;">(৫) ইমাম মুনযিরঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব; ২/৭৫পৃ. হাদীসঃ ১৫৫.</div><div style="text-align: justify;">(৬) ইমাম খতিব তিবরিযীঃ মিশকাতুল মাসাবীহ; ২/২৪৫পৃ. হাদীসঃ ১২৩৩.</div><div style="text-align: justify;">(৭) ইমাম আবু বকর কেনানীঃ মিসবাহুয যুজ্জাহ; ২/১০পৃ. হাদীসঃ ৮০ ও ৪৯১.</div><div style="text-align: justify;">(৯) মোল্লা আলী ক্বারীঃ মিরকাতুল মাফাতীহ; ৩/১৯৫পৃ. হাদীসঃ ১৩০৮.</div><div style="text-align: justify;">(১০) ইমাম সুয়ূতীঃ তাফসীরে দুররে মানসূর; ৭/৪০২পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত।</div><div style="text-align: justify;">(১১) শায়খ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দেস দেহলভীঃ আশিআতুল লুম'আত; ৪/২১২পৃ. হাদীসঃ ১২৩৩.</div><div style="text-align: justify;">(১২) ইমাম তিব্বীঃ শরহে মেশকাত; ৩/৪৪৮পৃ. হাদীসঃ ১২৩৩.</div><div style="text-align: justify;">(১৩) ইমাম কুরতুবীঃ তাফসীরে কুরতুবী; ১৬/১২৬-১২৭পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(১৪) ইমাম ইবনে হিব্বানঃ আস-সহীহ; হাদীসঃ ১৩৮৮.</div><div style="text-align: justify;">(১৫) তায়মী ইস্পাহানীঃ তারগীব ওয়াত তারহীব; ২/৩৯৭পৃ. হাদীসঃ ১৮৬০.</div><div style="text-align: justify;">(১৬) ইরাকীঃ তাখরীজে ইহইয়া; ১/২৪০পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(১৭) শাওকানীঃ ফাওয়াইদুল মাওদ্বুআত; ১/৫১পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(১৮) মাহমুদ মুহাম্মদ খলিলঃ মুসনাদে জামে; ১৩/২১৬পৃ. হাদীসঃ ১০০৭০.</div><div style="text-align: justify;">(১৯) বদরুদ্দীন আইনীঃ উমদাতুল ক্বারী; ১১/৮২পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(২০) মের'আত; ৪/৩৪৩, হাদীসঃ ১৩১৬.</div><div style="text-align: justify;">(২১) জওযীঃ আল-ইল্লল মুতনাহিয়্যাত; ২/৭১পৃ. হাদীসঃ ৯২২.</div><div style="text-align: justify;">(২২) তাহের পাটনীঃ তাযকিরাতুল মাওদ্বুআত; ১/৪৫পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(২৩) কুস্তালানীঃ মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া; ৩/৩০০পৃ. </div><div style="text-align: justify;">(২৪) যুরকানী: শরহুল মাওয়াহেব; ১০/৫৬১পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(২৫) ইমাম রমলী: ফাতওয়ায়ে রমলী; ২/৭৯পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(২৬) ইবনে হাজর মক্কী: ফাতওয়ায়ে ফিকহিয়্যাতুল কোবরা; ২/৮০পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(২৭) মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল; ১২/৩১৪পৃ. হাদীসঃ ৩৫১৭৭.</div><div style="text-align: justify;">(২৮) ইমাম সুয়ূতীঃ জামেউস সগীর; ১/১৬৬৫পৃ. হাদীসঃ ১৬৬৬ এবং জামিউল আহাদিস; ৩/৪৮৩পৃ. হাদীসঃ ২৬২১.</div><div style="text-align: justify;">(২৯) বায়হাক্বীঃ ফাযায়েলুল ওয়াক্ত; ১/১২২পৃ. হাদীসঃ ২৪.</div><div style="text-align: justify;">(৩০) আব্দুল আযিয বিন বাযঃ মাজমূউল ফাতওয়া; ১/১৯০পৃ.]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উক্ত হাদীসের যে রাবী সম্পর্কে তাদের (লা-মাযহাবীদের) আপত্তি, প্রকৃতপক্ষে কী বলা হয়েছে তা রিযাল শাস্ত্রের ইমামগণের কিতাব থেকে তা আলোকপাত করা হলঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">❏ সনদ পর্যালোচনাঃ</div><div style="text-align: justify;">তৃতীয় রাভীঃ বাতিলপন্থীদের আপত্তি 'ইবনু আবি সাবরা'কে নিয়ে, তার সম্পর্কে ইমাম যাহাবী [رحمه الله عليه] বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">    [ الفقيه الكبير قاضى العراق أبو بكر ابن عبد الله ابن محمد ابن أبى سبرة الخ ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনি অনেক বড় ফকীহ্, ইরাকের কাযী ছিলেন।"</div><div style="text-align: justify;">[ইমাম যাহাবীঃ মিযানুল ইতিদাল; ৪/৪৬১পৃ. রাভী নং-১০৫১৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু দাঊদ [رحمه الله عليه] বলেনঃ </div><div style="text-align: justify;">    [ كان مفتى اهل المدينة ]</div><div style="text-align: justify;">"তিনি মদীনা শরীফের মুফতী ছিলেন।" </div><div style="text-align: justify;">[(ক). ইবনে হাজার আসকালানীঃ তাহযীবুত তাহযীব; ১২/২৭পৃ.</div><div style="text-align: justify;">(খ). ইমাম যাহাবীঃ মিযানুল ইতিদাল; ৪/৪৬১পৃ. তবে ইমাম বুখারী, ইমাম নাসাঈ আর কেউ কেউ দুর্বল বলে ইমাম যাহাবী উল্লেখ করেছেন।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সম্মাণিত পাঠকবৃন্দ! ইমাম আবু দাঊদ [رحمه الله عليه] এর মত এতবড় একজন ইমাম বললেন, 'তিনি মদীনা শরীফের মুফতী ছিলেন।' আমি (শহীদুল্লাহ বাহাদুর) বলবো জাল হাদিস বানোয়াটকারী কীভাবে এতবড় ফকীহ্ হন? ইমাম যাহাবী [رحمه الله عليه] উল্লেখ করেছেন, ইমাম ইউসুফ [رحمه الله عليه] ওফাতের পর তিনি(রাভী) কাযী বা বিচারপতি ছিলেন। ইমাম যাহাবী উল্লেখ করেছেন, তিনি বিখ্যাত তাবেঈ আ'রায, হযরত আতা ইবন রিবাহ [رحمه الله عليه] সহ অনেক তাবেঈ থেকে হাদিস শুনেছেন এবং তার থেকে ইমাম আব্দুর রাযযাক, ইমাম আবু আছেম [رحمه الله عليه] সহ এক জামাত হাদিস শাস্ত্রের ইমাম হাদিস শুনেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, আব্বাস [رحمه الله عليه] বর্ণনা করেন, আর তিনি ইয়াইয়া ইবন মুঈন থেকে শুনেছেন তিনি বলেছেন, লোকেরা তার নিকট হাদিস শ্রবণ করার জন্য গিয়েছিলেন, আর তাদেরকে তিনি বলেছেন আর নিকট সত্তর হাজার হাদিস রয়েছে যা আমি বিখ্যাত তাবেঈ ইমাম ইবন জুরাইয [رحمه الله عليه] থেকে যেভাবে অর্জন করেছি সেভাবেও তোমরা আমার থেকে গ্রহণ করলে করতে পারো অন্যথায় নয়। [ইমাম যাহাবীঃ মিযানুল ইতিদাল; ৪/৪৬১পৃ. রাভী নং-১০৫১৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(লা-মাযহাবী) আহলে হাদিস মোবারকপুরী ও আলবানীর দাবী হল যে- সালেহ ইবন আহমদ বলেছেন-(كان يضع الحديث) তিনি জাল হাদিস বানাতেন। আমি বলবো যে, এটা শুধু একক তার (লা-মাযহাবীর) অভিমত যা সকল গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিস এমনকি ইমাম বুখারী, আবু দাঊদ, ইবনে মুঈন সহ সবার বিপরীত। আর 'ইবন সালেহ' এই সংবাদ তার পিতা থেকে শ্রবণ করেছেন বলে দাবী করেছেন। কিন্তু তার পিতা কে? তা জানা যায় নি। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- (লা-মাযহাবী) আলবানী হাদিসটি 'জাল' বলেছেন। অথচ আলবানী'র দলের অনুসারী 'আব্দুল আযিয বিন বায' তার কিতাবে সনদটিকে 'দ্বঈফ' বলেছেন। (লা-মাযহাবী) আলবানী'র পূর্বে একজন মুহাদ্দিসও হাদিসটিকে জাল বলেননি। তবে ইমাম কুস্তালানী, ইমাম সুয়ূতী, ইমাম যুরকানী, ইরানী, কিনানী, ইবনে হাজর মক্কী, ইমাম ইবনে আবেদীন শামী সকলেই তাদের স্ব-স্ব গ্রন্থে 'দ্বঈফ' বলেছেন; একজনও জাল বলেননি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(উল্লেখ্য যে,) ইমাম ইবনে হিব্বান [رحمه الله عليه] সহীহ্ সূত্রে হযরত আলী [رضي الله عنه] হতে বর্ণনা করেছেন। [ইমাম ইবনে হিব্বানঃ আস-সহীহ; হাদীসঃ ১৩৮৮] সুতরাং আমাদের বর্ণনার জন্য এটাই দলীল (হিসেবে যথেষ্ট)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরুপ উম্মোচন; কৃত-মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর, খন্ড-১, পৃ. (২৭৬-২৭৭)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

হাদিসের আলোকে শবে বরাতঃ

□ সাবধান! সহীহ্ হাদীসে #শবেবরাত❓  "নে, শবে বরাত আছে কিনা দেখ। পারলে হাদিস গুলোকে জঈফ কিংবা মওজু বল।" ___ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ...

Read more »

শবে বরা'তের ফযীলত

<div style="text-align: justify;">শবে বরা'তের ফযীলত</div><div style="text-align: justify;">মূল: সুন্নাহ-ডট-ওর্গ (যুক্তরাষ্ট্র)</div><div style="text-align: justify;">অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন</div><div style="text-align: justify;">[আরবী এবারত সেট-আপ: দ্বীনীভাই ও ফেইসবুক-বন্ধু জনাব Mahmud Hasan]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Bengali translation of www.sunnah.org's article "Benefits of mid-Sha'ban night"]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম গাযযালী (রহ:) তাঁর ‘এহইয়ায়ে উলূম আল-দ্বীন’ গ্রন্থে লিখেছেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">فضائل ليلة النصف من شعبان</div><div style="text-align: justify;">كتب الأمام الغزالي: وليلة النصف من شعبان – ففيها مائة ركعة يقرا في كل ركعة بعد الفاتحة سورة الاخلاص عشر مرات كانوا لا يتركونها كما اوردناه في صلاة التطوع – وليلة عرفة‏ . ( إحياء علوم الدين )</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, “মধ্য-শা’বান (মাস)-এর রাতে (অর্থাৎ, শবে বরা’তে) ১০০ রাকআত (নফল) নামায পড়বে, যা’তে প্রতি রাকআতে সূরা ফাতেহার পর ১০ বার সূরা এখলাস থাকবে; তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফবৃন্দ) এটি তরক (ত্যাগ) করেন নি, যেমনিভাবে আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি অতিরিক্ত নফল নামায ও আ’রাফাত রজনীর সাথে।” [গ্রন্থ সূত্র: ইমাম গাযযালী (রহ:) কৃত ‘এহইয়ায়ে উলূম আল-দ্বীন’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শায়খ ইসমাঈল হাক্কী তাঁর কৃত ’তাফসীরে রুহুল বয়ান’ পুস্তকে বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وقال بعض المفسرين المراد من الليلة المباركة ليلة النصف من شعبان ولها أربعة اسماء الاول الليلة المباركة لكثرة خيرها وبركتها على العاملين فيها الخير وان بركات جماله تعالى تصل الى كل ذرة من العرش الى الثرى كما فى ليلة القدر وفى تلك الليلة اجتماع جميع الملائكة فى حظيرة القدس.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, “তাফসীরকার উলামাদের কয়েকজন বলেন যে কুরআন মজীদে সুরা দুখান-এর ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত ‘লাইলাতুল মুবারক’ তথা ’বরকতময় রজনী’ বলতে মধ্য-শা’বানের রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। আর এই রাতের ৪টি নাম: প্রথমটি ‘বরকতময় রজনী’, যেহেতু অসংখ্য মানুষ এই রাতে নেক আমল পালন করেন; আর বাস্তবিকই এতে আল্লাহতা’লার সৌন্দর্যের নেয়ামত আরশ-কুরসি থেকে দুনিয়াপৃষ্ঠ পর্যন্ত বিরাজমান প্রতিটি অণুকণার কাছে পৌঁছে থাকে, যেমনিভাবে তা ঘটে ’লাইলাতুল কদর’ রজনীতে, যা’তে ফেরেশতাকুল মহান আল্লাহতা’লার দরবারে হাজির হন।” [গ্রন্থ সূত্র: শায়খ ইসমাঈল হাক্কী প্রণীত ’তাফসীরে রুহুল বয়ান’, সুরা দুখান, আয়াত ৩ এঁর তাফসীর]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুরা দুখানের ৩-৪ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ</div><div style="text-align: justify;">فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“নিশ্চয় আমি (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। তাতে (ওই রাতে) বণ্টন করে দেয়া হয় প্রতিটি হেকমতময় কাজ।” [ক্বুরআ'নুল কারিম, সুরা দুখান, আয়াত ৩ - ৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই আয়াতের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রাথমিক জমানার তাফসীরবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أولاً: ما ورد فى فضل هذه الليلة في القرأن و تفسيره</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক্বুরআ'নুল কারিম ও তাফসীর সমূহে এই রজনীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে আলোচনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)-সহ বেশির ভাগ উলামা বলেছেন ওই রাত ‘শবে কদরের’। পক্ষান্তরে,</div><div style="text-align: justify;">হযরত একরিমাহ (রা:) ও তাঁর সাথে একমত পোষণকারী উলামাবৃন্দ বলেছেন যে সেটা ’শবে বরাত’।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপরোক্ত আয়াতটি (৪৪:৩-৪) প্রসঙ্গে মাহমূদ আলুসী নিজ তাফসীরগ্রন্থে বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">– قال الألوسي في تفسيره عند قوله تعالى: ﴿فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِين﴾: “هي ليلة القدر على ما روى ابن عباس وقتادة وابن جبير ومجاهد وابن زيد والحسن، وعليه أكثر المفسرين والظواهر معهم، وقال عكرمة وجماعة: هي ليلة النصف من شعبان”. وقال الطبري في تفسيره عن هذه الآية الكريمة: واختلف أهل التأويل في تلك الليلة، أي ليلة من ليالي السنة هي؟ فقال بعضهم: هي ليلة القدر، ثم ذكرهم، وقال بعد سردهم: “وقال آخرون: بل هي ليلة النصف من شعبان، ولم يذكرهم”،.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, সর্ব-হযরত ইবনে আব্বাস (রা:), কাতাদাহ (রা:), ইবনে জুবাইর (রা:), মুজাহিদ (রা:), ইবনে যায়দ (রা:) ও আল-হাসান (রা:)-এর মতানুযায়ী পবিত্র আয়াতুল কারিম (৪৩:৩ "إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ ")-এ উল্লেখিত রাত হলো শবে কদর। আর এটি-ই অধিকাংশ মোফাসসেরীন তথা তাফসীরকারক উলেমার অভিমত। পক্ষান্তরে, হযরত একরিমাহ (রা:) ও তাঁর দল বলেন, “এটি মধ্য শা’বানের রাত।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আত্ তাবারী তাঁর তাফসীরে এই পবিত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: তাফসীর বিশারদমণ্ডলীর মাঝে এই রজনীর বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে: তা হলো, সেটি বছরের কোন্ রজনী? আর তাঁদের কেউ কেউ এটিকে 'লাইলাত আল ক্বদর' বলে মত প্রকাশ করেছেন, অতঃপর তিনি তাঁদের নাম উল্লেখ করেন; তিনি এরপর বলেন যে তিনি তাঁদের কারো কারো বর্ণনাও উল্লেখ করবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্যান্য তাফসীরকারবৃন্দ অবশ্য এর সাথে ভিন্ন অভিমত পেশ করেছেন। তাঁরা বলেন, “না, এটি মধ্য শা'বানের রজনী হবে”, অবশ্য তিনি তাঁদের নাম উল্লেখ করেন নি। [গ্রন্থ সূত্র: আল্লামা মাহমুদ আলুসী (রহ:) রচিত তাফসীরে রুহুল মা'আনী, ৩-৪ নং আয়াতের তাফসীর]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وقال النيسابوري في تفسير الآية الكريمة أيضًا: وأكثر المفسرين على أنها ليلة القدر لقوله تعالى: ﴿إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ﴾ (القدر:1)، وليلة القدر عند الأكثر في رمضان.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, আন্ নিসাপুরী তাঁর প্রণীত তাফসীরগ্রন্থে এই পবিত্র আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, “বেশির ভাগ তাফসীরকার এই রাতকে লাইলাতুল কদর বলে চিহ্নিত করেছেন। কেননা মহান আল্লাহতা’লা এরশাদ ফরমান, ‘নিশ্চয় আমি তা (কুরআন) ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি’ (৯৭:০১)। আর অধিকাংশ উলামার মতে কদরের রাত রমযান মাসে।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ثم نقل كلام الطبري وقال بعده: وزعم بعضهم كعكرمة وغيره أنها ليلة النصف من شعبان</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, আমরা আত্ তাবারীর বক্তব্যের অংশ বিশেষও এখানে উদ্ধৃত করবো; তিনি বলেন, “হযরত একরিমাহ (রা:)-এঁর মতো (প্রাথমিক যুগের) কতিপয় মুফাসসির দাবি করেন যে এই আয়াতে মধ্য শা’বানের রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ما ورد من أحاديث في فضل هذه الليلة، ومن ذلك</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফজিলতপূর্ণ এই রজনী সম্পর্কে প্রিয়নবী (দ:)-এর আহাদীস</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">اربع لياليهن كايامهن وايامهن كلياليهن يبر الله فيهن القسم ويعتق فيهن النسم ويعطي فيهن الجزيل‏:‏ ليلة القدر وصباحها، و ليلة عرفة وصباحها، وليلة النصف من شعبان وصباحها و ليلة الجمعة وصباحها‏.‏ ‏(‏الديلمي – عن انس‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আনাস (রা:)-এর বর্ণিত একটি হাদীসে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান যে ৪টি রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন এবং নেয়ামত দেন। এগুলো হলো, শবে কদরের রাত ও এরপরে আগত সকাল; আ’রাফাতের রাত ও তৎপরবর্তী সকাল; শবে বরা’ত ও তৎপরবর্তী সকাল এবং প্রতি জুমু’আর রাত ও তৎপরবর্তী সকাল। [দায়লামী শরীফ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يسح الله عز وجل من الخير في اربع ليال سحا‏:‏ ليلة الاضحى والفطر وليلة النصف من شعبان، ينسخ فيها الاجال والارزاق ويكتب فيها الحج، وفي ليلة عرفة الى الاذان‏.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:)-কে রাসূলুল্লাহ (দ:) বলেন, ৪টি রাতে আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহ ও দয়া বান্দাদের জন্যে অবারিত হয়:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১/ ঈদুল আযহার (আগের দিনগত) রাত;</div><div style="text-align: justify;">২/ ঈদুল ফিতরের রাত;</div><div style="text-align: justify;">৩/ মধ্য-শা’বানের রাত (শবে বরাত), যা’তে আল্লাহ বান্দার হায়াত নির্ধারণ করেন এবং রিযিকও বন্টন করেন; আর কারা কারা হজ্জ্ব করবেন, তাও নির্ধারিত হয়;</div><div style="text-align: justify;">৪/ আ’রাফাত রজনী - আযান হওয়া অবধি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">واخرج ابن جرير وابن المنذر وابن ابي حاتم من طريق محمد بن سوقة، عن عكرمة ‏}‏فيها يفرق كل امر حكيم‏{‏ قال‏:‏ في ليلة النصف من شعبان يبرم امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات ويكتب الحاج، فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم احد‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, আল-কুরআনে বর্ণিত “ওই রাতে বণ্টন করে দেয়া হয় প্রতিটি হেকমতময় কাজ” (৪৪:৪) - আয়াতটি প্রসঙ্গে হযরত একরিমাহ (রা:) বলেন, “এটি মধ্য-শা’বানের রাত, যখন আল্লাহ পাক (আগামী) সারা বছরের বিষয়গুলো (নিয়মবদ্ধভাবে) সাজান। তিনি জীবিতদের কাউকে কাউকে মৃতদের তালিকাভুক্ত করেন, আর যারা আল্লাহর ঘরে হজ্জ্ব করতে যাবেন, তাদের নামও লিপিবদ্ধ করেন; এতে তিনি বেশি মানুষের নাম যেমন অন্তর্ভুক্ত করেন না, তেমনি তিনি কাউকে বাদও দেন না।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">واخرج ابن زنجويه والديلمي، عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏”‏تقطع الاجال من شعبان الى شعبان، حتى ان الرجل لينكح ويولد له، وقد خرج اسمه في الموتى‏”‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন হযরত রাসূলে করীম (দ:)-এর বাণী, যিনি এরশাদ ফরমান:</div><div style="text-align: justify;">“মানুষের হায়াত এক শা’বান থেকে আরেক শা’বান মাসে কর্তন করা হয়, যার দরুন কেউ হয়তো বিয়ে-শাদী করে সন্তানের জনকও হতে পারে, অথচ তার নাম জীবিতদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভাগ্যে মৃত্যু লেখা হয়ে গিয়েছে।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">واخرج ابن ابي شيبة، عن عطاء بن يسار قال‏:‏ لم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم في شهر اكثر صياما منه في شعبان، وذلك انه ينسخ فيه اجال من ينسخ في السنة‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আতা ইবনে এয়াসার (রা:) বলেন, “মহানবী (দ:) শা’বান মাসে যেভাবে (নফল) রোযা রাখতেন, অন্য কোনো মাসে সেভাবে রাখতেন না। আর এটি এ কারণে যে, ওই বছর যারা মৃত্যুবরণ করবেন, তা তাতে লিপিবদ্ধ হতো।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">واخرج ابن مردويه وابن عساكر، عن عائشة قالت‏:‏ لم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم في شهر اكثر صياما منه في شعبان لانه ينسخ فيه ارواح الاحياء في الاموات، حتى ان الرجل يتزوج وقد رفع اسمه فيمن يموت، وان الرجل ليحج وقد رفع اسمه فيمن يموت‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (দ:) অন্য কোনো মাসে এতো অধিক (নফল) রোযা রাখতেন না যেমনটি রাখতেন শা’বান মাসে; কারণ এতে জীবিত যারা মারা যাবেন তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যে পর্যন্ত না কেউ বিয়ে করেন অথচ তার নাম মৃতদের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে; আর কেউ হজ্জ্ব করেন, কিন্তু তার নাম মৃতদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أخرجه بن ماجه والبيهقي في شعب الإيمان عن علي- كرم الله وجهه- قال: قال رسول الله- صلى الله عليه وسلم: “إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها، وصوموا نهارها، فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا، فيقول: ألاَ من مستغفر لي، فأغفر له! ألا مسترزق فأرزقه! ألا مبتلىً فأعافيه! ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر”.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, সাইয়্যেদুনা হযরত আলী (ক:) থেকে বর্ণিত যে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মধ্য-শা’বানের রাত তোমরা এবাদত-বন্দেগী করে অতিবাহিত করো এবং ওই দিন রোযা রেখো। কেননা, নিশ্চয় সূর্যাস্ত থেকে আরম্ভ করে এই রাতে আল্লাহতা’লা সর্বনিম্ন (নিকটতম) আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কেউ কি আছো ক্ষমা চাইবার, যাকে আমি ক্ষমা করে দিতে পারি? কেউ কি আছো রিযক চাইবার, যাকে রিযক মঞ্জুর করতে পারি? কেউ কি আছো মসিবত/পরীক্ষায়, যাকে তা থেকে মুক্ত করে দিতে পারি?’ ইত্যাদি, ইত্যাদি, যতোক্ষণ না ফজরের সময় (সূর্যোদয়) হয়।” [হযরত আবদুর রাযযাক (রা:) ও ইবনে মাজাহ বর্ণিত]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أخرجه الترمذي وابن أبي شيبة والبيهقي وابن ماجه عن عائشة قالت: فقدت رسول الله- صلى الله عليه وسلم- ذات ليلة فخرجت أطلبه، فإذا هو بالبقيع رافعًا رأسه إلى السماء، فقال: “يا عائشة، أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله؟”، فقلت: ما بي من ذلك، ولكني ظننت أنك أتيت بعض نسائك، فقال: “إن الله- عز وجل- ينزل في ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا، فيغفر لأكثر من عدد شعر غنم بني كلب”.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, “এক রাতে আমি হুযূর পাক (দ:)-কে (ঘরে) না পেয়ে ’বাকী’ কবরস্থানে যাই (এবং সেখানে তাঁর দেখা পাই)। এই সময় তাঁর পবিত্র মস্তক মোবারক আসমানের দিকে ওঠানো ছিল। তিনি বলেন,</div><div style="text-align: justify;">‘ওহে আয়েশা! তুমি কি আশংকা করো যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:) তোমার প্রতি অন্যায্য আচরণ করবেন?’ আমি বল্লাম, এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আমি মনে করেছিলাম আপনি হয়তো আপনার কোনো বিবি সাহেবার কাছে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মধ্য-শা’বানের রাতে মহান আল্লাহতা’লা সর্বনিম্ন (নিকটতম) আসমানে অবতরণ করেন এবং বনূ কালব্ গোত্রের মালিকানাধীন সমস্ত ভেড়ার গায়ে যতো লোম আছে, ওই সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন’।” [ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী বর্ণিত হাদীস; শেষোক্ত হাদীসবিদ বলেন যে তিনি শুনেছেন ইমাম বোখারী (রহ:) একে ’দুর্বল’ শ্রেণীভুক্ত করেছেন, কেননা এর কতিপয় বর্ণনাকারী হাদীসটি একে অপরের কাছ থেকে সরাসরি বর্ণনা করেন নি।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ اُسَامَةَ، قَالَ اَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الْاَعْرَجِ، عَنْ اَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ مِنْ الْفِرَاشِ فَالْتَمَسْتُهُ فَوَقَعَتْ يَدِي عَلَى بَطْنِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ وَهُمَا مَنْصُوبَتَانِ وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُمَّ اِنِّي اَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا اُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ اَنْتَ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ‏.(مسند أحمد و مسلم و نحوه في سنن النسائي و موطأ مالك و سنن أبي داود و صحيح ابن خزيمة و سنن الترمذي و سنن ابن ماجه)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: “এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে বিছানায় পাই নি; (খুঁজে পেয়ে) আমার হাত তাঁর কদম মোবারকের মধ্যভাগ স্পর্শ করে, আর ওই সময় তিনি মসজিদে ছিলেন। তাঁর পবিত্র দুই পায়ের পাতা খাড়া ছিল (অর্থাৎ, সেজদায় ছিলেন)। এমতাবস্থায় তিনি বলেন, ‘আমি আপনার (আল্লাহর) শাস্তি হতে আপনারই ক্ষমার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি; আপনার না-রাজি হতে আপনারই রেযামন্দির আশ্রয় নিচ্ছি; আর আপনার (রুদ্ররোষ) হতে আপনারই মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আপনার যেভাবে প্রশংসা প্রাপ্য, সেভাবে আমি আপনার প্রশংসা করতে অপারগ। আপনি তা-ই, যেভাবে আপনি আপনার পরিচয় দিয়েছেন’।” [এই হাদীস বর্ণনা করেন ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, আবূ দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিযী।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وفي رواية { جاءني جبريل ليلة النصف من شعبان فقال يا محمد ارفع راسك الى السماء فقلت ماهذه الليلة ، قال هذه ليلة يفتح الله فيها ثلاثمائة من ابواب الرحمة يغفر الله لجميع من لا يشرك به شيئاً }</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, অপর এক রওয়ায়াতে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মধ্য-শা’বানের রাতে জিবরীল আমীন (আ:) আবির্ভূত হয়ে আমাকে বলেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আপনার সে’র (মস্তক) মোবারক আসমানের দিকে উত্থিত করুন।’ আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, এটি কোন্ রাত? তিনি জবাব দেন, ‘এটি সেই রাত যখন মহান আল্লাহতা’লা তাঁর রহমতের তিন‘শটি দ্বার উম্মুক্ত করেন এবং সে সব ব্যক্তিকে মাফ করে দেন যারা তাঁর সাথে (কোনো উপাস্যকে) শরীক করে নি’।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يقول رسول الله صلى الله عليه وسلم : { إذا كانت ليلة النصف من شعبان فتحت أبواب السماء السبع ووقف على كل باب ملائكة يستغفرون للمسلمين ، فيغفر لكل مسلم إلا من كان مصراً على كبيرة }</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হুযূর করীম (দ:) অন্যত্র এরশাদ ফরমান: “মধ্য-শা’বানের রাতে (শবে বরা’তে) সপ্তম আসমানের দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়; আর প্রতিটি দ্বারে ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে মুসলমানদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন যতোক্ষণ না প্রত্যেক মুসলমানকে মাফ করা হয়; এর ব্যতিক্রম শুধু কবীরা গুনাহ সংঘটনকারীরা।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عائشة رضي الله عنها تقول { كانت ليلتي من رسول الله صلى الله عليه وسلم فدخل الفراش حتى نمت ثم استيقظت فلم اجده فقمت فوجدته يصلي فخفف القيام ثم ركع وسجد مطولاً سجوده الى نصف الليل ثم قام الى الثانية كذلك ثم ركع وسجد حتى كاد الفجر أن يطلع فظننت انه قد قبض فوضعت يدي على قدميه فتحرك فحمدت الله تعالى فسمعته يقول : سجد لك سوادي وآمن بك فؤادي فاغفرلي الذنب العظيم فإنه لا يغفر الذنب العظيم الا الرب العظيم اعوذ برضاك من سخطك وبمعافاتك من عقوبتك وبك منك لا احصي ثناء عليك انت كما اثنيت على نفسك ، فلما فرغ من صلاته قال اتدرين أي ليلة هذه ياعائشة قلت لا قال : هذه ليلة النصف من شعبان إن الله يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرين ويرحم المسترحمين ويؤخر اهل الحقد كما هم }</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: “রাসূলে পাক (দ:) এক রাতে আমার ঘরে ছিলেন; তিনি বিছানায় শুয়েছিলেন যতোক্ষণ না আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অতঃপর তিনি শয্যা ত্যাগ করেন এবং আমি (জেগে উঠে) তাঁকে (বিছানায়) পাই নি। তাঁকে দেখতে পেলাম নামাযে; সংক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে ও রুকু করে তিনি অত্যন্ত দীর্ঘ এক সেজদায় যান, যার ফলে অর্ধেক রাত তাতেই অতিবাহিত হয়। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতে উঠে দাঁড়ান এবং আবারও রুকু করে দীর্ঘ সেজদায় সময় অতিবাহিত করেন, যার দরুন প্রায় ফজরের ওয়াক্ত উপস্থিত হয়।</div><div style="text-align: justify;">আমার এমন আশঙ্কা হয় যে তিনি বুঝি বেসাল (খোদার সাথে পরলোকে মিলিত) হয়েছেন। তাই আমি তাঁর মোবারক কদমে হাত রাখি, আর তিনি নড়ে ওঠেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন। আমি তাঁকে বলতে শুনি, ‘এয়া আল্লাহ! আমি আপনাকে সেজদা করেছি (সারা) রাতের অন্ধকারে, আর (তাই) আমার অন্তর আপনার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল। অতএব, মহাপাপ (কবীরা গুনাহ) ক্ষমা করে দিন, কেননা তা মহাপ্রভু ছাড়া কেউই মাফ করতে পারে না। আমি আপনার বিরাগ ভাজন হওয়া থেকে আপনারই রেযামন্দির (সন্তুষ্টির) মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি; আশ্রয় নিচ্ছি আপনার শাস্তি থেকে আপনারই ক্ষমার মাঝে; আর আপনার (রাগ) থেকে আপনারই মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আপনি যেভাবে আপনার প্রশংসা করেছেন, আমি তা পুরোপুরিভাবে করতে অক্ষম।’ অতঃপর নামাযশেষে তিনি আমায় বলেন, ‘ওহে আয়েশা! তুমি কি জানো এটি কোন্ রাত?’ আমি বল্লাম, ‘না।’ তিনি বল্লেন, ‘মধ্য-শা’বানের রাত (শবে বরাত)। এই রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দাদের দিকে নজর করেন এবং যারা এতে ক্ষমাপ্রার্থী হয় তাদেরকে মাফ করেন; আর যারা তাঁর করুণা প্রার্থনা করে, তাদের প্রতি তিনি নিজ করুণা বর্ষণ করেন। কিন্তু যাদের অন্তরে বিদ্বেষ আছে, তাদেরকে তিনি আগের সে অবস্থাতেই রেখে দেন’।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وأخبرني أبو نصر قال أنبأني والدي حدثنا محمد بن أحمد الحافظ أنبأنا عبد الله بن محمد أنبأنا أبو العباس الهروي وابراهيم ابن محمد بن الحسن قالا أخبرنا أبو عامر الدمشقي أنبأنا الوليد بن مسلم أخبرني هشام بن ألغاو سلمان بن مسلم وغيره عن مكحول عن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لها يا عائشة أية ليلة هي قالت الله ورسوله أعلم فقال ليلة النصف من شعبان فيها ترفع أعمال الدنيا وأعمال العباد ولله فيها عتقاء من النار بعدد شعر غنم بني كلب فهل أنت أذنت لي الليل قالت قلت نعم فصلى فخفف القيام وقرأ الحمد وسورة خفيفة ثم سجد إلى شطر الليل ثم قام في الركعة الثانية فقرأ فيها نحوا من قراءة الأولى فكان سجوده إلى الفجر قالت عائشة رضي الله عنها وكنت أنظره حتى ظننت أن الله تعالى قد قبض رسوله صلى الله عليه وسلم فلما طال على دنوت منه حتى مسست أخص قدميه فتحرك فسمعته يقول في سجوده ( أعوذ بعفوك من عقابك وأعوذ برضاك من سخطك وأعوذ بك منك جل ثناؤك لا أحصى ثناءاً عليك أنت كما أثنيت على نفسك) قلت يا رسول الله قد سمعتك تذكر في سجودك الليلة شيئا ما سمعتك تذكره قط قال صلى الله عليه وسلم وعلمت ذلك قلت نعم قال صلى الله عليه وسلم تعليمهن وعلميهن فان جبريل عليه السلام أمرني أن أذكرهن في السجود وأخبرني أبو نصر عن والده قال أنبأنا عبد الله بن محمد أنبأنا اسحق بن احمد الفارسي أنبأنا أحمد بن الصباح بن أبى شريح أنبأنا يزيد بن هرون حدثنا الحجاج بن أرطأة عن يحيى بن أبى كثير عن عروة عن عائشة رضي الله عنها قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع رأسه إلى السماء فقال لي أكنت تخافين أن يحيف الله ورسوله عليك فقلت له يا رسول الله ظننت أنك أتيت بعض نسائك فقال صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى ينزل ليلة النص من شعبان إلى السماء الدنيا فيغفر لا كثر من عدد شعر غنم بني كلب وعن عكرمة مولى ابن عباس رحمه الله ورضي عنهما في قول الله تعالى (( فيها يفرق كل أمر حكيم )) قال هي ليلة النصف من شعبان يدبر الله تعالى أمر السنة وينسخ الأحياء إلى الأموات ويكتب حاج بيت الله فلا يزيد فيهم أحد ولا ينقص منهم أحد</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আবূ নাসর (রা:) থেকে সাইয়্যেদুনা গাউসুল আ’যম হযরত আবদুল কাদের জ্বিলানী (রহ:) তাঁর ‘গুনইয়াতুত্ তালেবীন’ পুস্তকে হযরত আয়েশা (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন; তিনি বলেন: “মধ্য-শা’বানের রাতে একবার মহানবী (দ:) আমার একখানি বস্ত্র অপসারণ করেন। আল্লাহর কসম! আমার ওই বস্ত্র রেশমও ছিল না, মিহি রেশমও ছিল না; সেটি সুতোরও ছিল না, আবার সুতো ও তুলোর (মিশ্রণ)-ও ছিল না; (এমন কি) তুলোরও ছিল না।” বর্ণনাকারী (আবূ নাসর) বলেন, “আল্লাহরই প্রশংসা! তাহলে সেটি কিসের তৈরি ছিল?” হযরত আয়েশা (রা:) উত্তর দেন, “এর বনুন হয়েছিল চুল ও রেশমের সংমিশ্রণে। আমি ধারণা করেছিলাম যে তিনি হয়তো তাঁর অপর কোনো স্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন; তাই আমি উঠে (অন্ধকার) কক্ষে তাঁর খোঁজ করি। আমার হাত তাঁর কদম মোবারক স্পর্শ করে। ওই সময় তিনি নামাযে সেজদারত ছিলেন। আমার মনে পড়ে, তিনি দোয়া করছিলেন এই বলে: ‘(এয়া আল্লাহ), আপনার সামনে সেজদারত আমার দেহ (মোবারক) ও রূহ (মোবারক), আর আমার অন্তর রয়েছে আপনারই হেফাযতে। আমি আপনার রহমত-বরকতের শোকর-গুজার করি এবং আপনার কাছেই আমার কৃতকর্ম স্বীকার করি। আমি এস্তেগফার করি; অতএব, আমায় মাফ করে দিন! আমি আপনার শাস্তি হতে আপনারই ক্ষমার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি; আপনার রাগ হতে আপনারই করুণার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আপনার না-রাজি থেকে আপনারই রেযামন্দির মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আমি আপনার (রাগ) হতে আপনারই মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আমি আপনার প্রশংসা করতে পারি না, কেননা আপনি তা-ই, যেভাবে আপনি আপনার নিজের প্রশংসা করেছেন’।” অতঃপর মা আয়েশা (রা:) আরও বলেন, “মহানবী (দ:) নামায পড়া ক্ষান্ত দেন নি, কখনো দাঁড়িয়ে, আবার কখনো বসে, যতোক্ষণ না ভোর হয়। অতঃপর তিনি তাঁর কদম মোবারক ওপরে তোলেন এবং আমি তা টিপে দেই। আমি তাঁকে বলি, আমার বাবা ও মা আপনার জন্যে কোরবান হোন। আল্লাহতা’লা কি নিশ্চয় আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কৃতকর্ম মাফ করে দেন নি? তিনি কি আপনার ব্যাপারে দয়াশীল হন নি? তা নয় কি? তা নয় কি? এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (দ:) উত্তর দেন, ‘ওহে আয়েশা! আমি কি তাহলে কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? তুমি কি জানো এই রাতে কী হয়?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়ে থাকে? তিনি বল্লেন, ‘এ রাতে সকল (শিশুর) জন্মের (দিন-ক্ষণ) লিখে রাখা হয়; আর সকল মৃত্যুরও। এই সন্ধিক্ষণে মনুষ্যজাতির রিযক-ও বরাদ্দ করা হয়, আর তাদের কৃতকর্মের হিসেব নেয়া হয়।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর করুণা (রহমত) ছাড়া কি কেউই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবেন না? তিনি আমায় বল্লেন, ‘কেউই আল্লাহর রহমত ছাড়া জান্নাতে যেতে পারবে না।’ অামি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এমন কি আপনিও পারবেন না? বিশ্বনবী (দ:) উত্তর দিলেন, ‘না, এমন কি আমিও না, যতোক্ষণ না আল্লাহতা’লার রহমত আমাকে পরিবেষ্টন করছে।’ এরপর তিনি নিজ মস্তক ও চেহারা মোবারকে তাঁর হাত মোবারক বুলান।” [গ্রন্থ সূত্র: সাইয়্যেদুনা গাউসুল আ’যম হযরত আবদুল কাদের জ্বিলানী (রহ:) রচিত ‘গুনইয়াতুত্ তালেবীন’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[অনুবাদকের নোট: মহানবী (দ:)-এর উদ্ধৃত ‘কৃতকর্ম’ শব্দটি দ্বারা তিনি আমাদেরকে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে শিক্ষা দিয়েছেন। কেননা, ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস হলো, আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দ বে-গুনাহ। বিশ্বনবী (দ:)-এর ‘এস্তেগফার’ করার মানে উম্মতের জন্যে সুপারিশ ছাড়া কিছু নয় (সূরা নিসা, ৬৪)।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ان الله تعالى يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرين، ويرحم المسترحمين، ويؤخر اهل الحقد كما هم عليه‏.‏ ‏(الطبراني في الكبير‏ عن عائشة‏‏)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:) অন্যত্র বর্ণনা নবী করীম (দ:)-এর হাদীস, যিনি বলেন: “মধ্য-শা’বানের রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি নজর করেন এবং ক্ষমাপ্রার্থীদেরকে ক্ষমা করেন; আর যারা অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণ করে, তাদেরকে সেই অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।” [আত্ তাবারানী কৃত ‘কবীর’ পুস্তক]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস ব্যাখ্যাকারীগণ বলেন যে বনূ কালব্ ওই সময় সবচেয়ে বড় গোত্র ছিল এবং এর সদস্যদের বড় বড় ভেড়ার পাল ছিল। অতএব, এই হাদীসে শেষ বাক্যটি ইশারা করে যে মহান আল্লাহ পাক ওই রাতে অসংখ্য মানুষকে মাফ করে থাকেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عن عبدالله بن عمرو بن العاص أن رسول الله- صلى الله عليه وسلم- قال: “يطلع الله- عز وجل- إلى خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لعباده إلا اثنين: مشاحن، وقاتل نفس”. أخرجه أحمد بن حنبل في المسند و لترمذي</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, রাসূলে খোদা (দ:) এরশাদ ফরমান, “মধ্য-শা’বানের রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দাদের দিকে তাকান এবং এবাদত-বন্দেগীতে রত বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন; তবে দুই ধরনের লোককে তিনি ক্ষমা করেন না:</div><div style="text-align: justify;">১/ অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণকারী; এবং</div><div style="text-align: justify;">২/ খুনী।” [ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল প্রণীত ‘মুসনাদ’ ও আত্ তিরমিযী]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শবে বরাতে আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করেন ও মো’মেন তথা বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা করেন; আর অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি প্রদানে নিবৃত্তি দেন, এবং যারা বিদ্বেষভাব পোষণ করে তাদেরকে নিজ নিজ বিদ্বেষের আবর্তে ছেড়ে দেন, যতোক্ষণ না তারা তাঁর কাছে ক্ষমা চায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">اذا كان ليلة النصف من شعبان اطلع الله الى خلقه، فيغفر للمؤمنين، ويملي للكافرين، ويدع اهل الحقد بحقدهم حتى يدعوه‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আবূ বকর (রা:) বর্ণনা করেন, “মধ্য-শা’বানের রাতে আল্লাহ পাক পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং প্রত্যেক মো’মেন (বিশ্বাসী) মুসলমানকে ক্ষমা করেন; এর ব্যতিক্রম শুধু পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (আল-’আক্ক) ও যার অন্তরে বিদ্বেষভাব আছে।” [বায়হাকী তাঁর কৃত ‘শুআব’, ইবনে খুযায়মা (রা:) ও ইবনে হিব্বান (রা:)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عن القاسم بن محمد بن ابي بكر الصديق عن ابيه عن عمه عن جده‏.‏ ينزل الله الى السماء الدنيا ليلة النصف من شعبان، فيغفر لكل بشر الا رجلا مشركا، او رجلا في قلبه شحناء‏.‏ ابن زنجويه والبزار وحسنه ‏( للدارقطني في السنن, لابن عدي في الكامل و للبيهقي في شعب الإيمان</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, আল-কাসিম ইবনে মোহাম্মদ ইবনে আবি বকর সিদ্দিক (রহ:) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন যে তাঁর পিতামহ বলেন: “আল্লাহতা’লা মধ্য-শা’বানের রাতে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি কৃপাদৃষ্টি করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন; ব্যতিক্রম শুধু যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে এবং যাদের অন্তরে বিদ্বেষভাব আছে।” [ইবনে যানজুউইয়ীয়্যা, আদ্ দারু কুতনী কৃত ’সুনান’, ইবনে আদী প্রণীত ‘কামিল’ এবং আল-বায়হাকী রচিত ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে উদ্ধৃত]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ينزل ربنا الى السماء الدنيا في النصف من شعبان، فيغفر لاهل الارض الا مشركا او مشاحنا‏.‏ (ابن زنجويه عن ابي موسى‏.‏)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, রাসূলে খোদা (দ:) এরশাদ ফরমান, “শবে বরাতের রাতে আমাদের প্রভু খোদাতা’লা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং দুনিয়াবাসীকে মাফ করেন; ব্যতিক্রম কেবল মূর্তি পূজারী ব্যক্তিবর্গ ও অন্তরে বিদ্বেষভাব লালনকারী লোকেরা।” [ইবনে মূসা হতে ইবনে যানজুউইয়ীয়্যা বর্ণিত]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يطلع الله تعالى الى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه، الا لمشرك او مشاحن‏.‏ ‏(‏حب طب‏)‏ وابن شاهين في الترغيب ‏(‏و للبيهقي في شعب الإيمان ‏ وابن عساكر عن معاذ‏.‏)‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত মুয়ায (রা:) মহানবী (দ:)-এর কথা বর্ণনা করেন; তিনি বলেন: “আল্লাহ পাক শবে বরাতে তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের নযর বিস্তৃত করেন এবং সবাইকে মাফ করেন; মাফ করেন না শুধু মুশরিক (মূর্তি পূজারী) ও অন্তরে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তিবর্গকে।” [ইবনে হিব্বান (১২:৪৮১ #৫৬৬৫), আল-আরনাওত এই এসনাদকে সহীহ বলেছেন; আত্ তাবারানী, আল-হায়তামী যার সনদকে সহীহ বলেছেন; আল-বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’ এবং ইবনে আসাকিরও এই হাদীস বর্ণনা করেন]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ان الله تعالى ليطلع في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه الا لمشرك او مشاحن ‏(‏مشاحن‏:‏ المشاحن‏:‏ المعادي، والشحناء العداوة‏.‏ النهاية‏.‏ 2/449‏.‏ ب‏)‏‏.‏ ‏(‏ه – عن ابي موسى‏)‏ ‏(‏اخرجه ابن ماجه كتاب اقامة الصلاة باب ما جاء في الليلة النصف من شعبان رقم ‏(‏1390‏)‏ وقال في الزوائد‏:‏ اسناده ضعيف‏.‏ سعيد ابن منصور في سننه‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, রাসূলে পাক (দ:) এরশাদ ফরমান: “নিশ্চয় আমাদের প্রভু শবে বরাতে উদিত হন এবং সৃষ্টিকুলকে ক্ষমা করেন; ব্যতিক্রম শুধু মূর্তি পূজারী ও অন্তরে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তিবর্গ।” [ইবনে মাজাহ ও ইবনে মনসূর নিজ ‘সুনান’ পুস্তকে]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">في ليلة النصف من شعبان يغفر الله لاهل الارض الا لمشرك او مشاحن‏.‏ ‏(‏ للبيهقي في شعب الإيمان عن كثير بن مرة الحضرمي مرسلا‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মহান আল্লাহ পাক শবে বরাতে তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি নজর করেন এবং সকল সৃষ্টিকে মাফ করেন; মাফ করেন না শুধু মূর্তি পূজারী ও অন্তরে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তিদের।” [আল-বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">في ليلة النصف من شعبان يوحي الله الى ملك الموت بقبض كل نفس يريد قبضها في تلك السنة‏.‏ ‏(‏الدينوري في المجالسة – عن راشد بن سعد مرسلا‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, শবে বরাতে আল্লাহতা’লা যমদূত আজরাঈলের কাছে ওই বছর যাদের জীবনাবসান চান, তাদের তালিকা প্রকাশ করেন। [রশীদ ইবনে সা’আদ হতে আদ্ দায়নূরী নিজ ‘আল-মাজালিসা’ গ্রন্থে (মুরসালান)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">اذا كان ليلة النصف من شعبان نادى مناد‏:‏ هل من مستغفر فاغفر له‏؟‏ هل من سائل فاعطيه‏؟‏ فلا يسال احد شيئا الا اعطاه الا زانية بفرجها او مشرك‏.‏ ‏(‏ للبيهقي في شعب الإيمان عن عثمان بن ابي العاص‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত উসমান ইবনে আবি আল-’আস হতে ইমাম বায়হাকী তাঁর ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে শবে বরা’তে আল্লাহ পাক ডেকে বলেন: “ক্ষমাপ্রার্থী কেউ আছো কি, যাকে আমি মাফ করতে পারি? আমার কাছে কোনো কিছূ প্রার্থী কেউ আছো কি, যাকে আমি তা মঞ্জুর করতে পারি?” ফলে যার যা প্রার্থনা, তা তিনি মঞ্জুর করেন; কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলো দুরাচারে লিপ্ত ব্যভিচারিনী এবং মূর্তি পূজারী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ان الله تبارك وتعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى سماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب‏.‏ ‏(‏أحمد في مسنده،الترمذي ‏(‏اخرجه ابن ماجه كتاب اقامة الصلاة باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان رقم ‏(‏1389‏)‏‏.‏ سعيد ابن منصور في سننه‏ عن عائشة‏)‏‏.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন মহানবী (দ:)-এর হাদীস; তিনি এরশাদ ফরমান: “মহান আল্লাহতা’লা মধ্য-শা’বানের রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতীর্ণ হন এবং বনূ কালব্ গোত্রের মালিকানাধীন ভেড়ার পালের সমস্ত ভেড়ার লোমের চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করেন।” [সাঈদ ইবনে মনসূর প্রণীত ‘সুনান’ দ্রষ্টব্য]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">اذا كان ليلة النصف من شعبان يغفر الله من الذنوب اكثر من عدد شعر غنم كلب‏.‏‏( للبيهقي في شعب الإيمان – عن عائشة‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন রাসূলে খোদা (দ:)-এর বাণী: “শবে বরাতে আল্লাহতা’লা বণূ কালব্ গোত্রের সমস্ত ভেড়ার লোমের সমপরিমাণ গুনাহ মাফ করেন।” [বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يا عائشة‏!‏ اكنت تخافين ان يحيف ‏(‏يحيف‏:‏ الحيف‏:‏ الجور والظلم‏.‏ النهاية‏.‏ 1/469‏.‏ ب‏)‏ الله عليك ورسوله‏؟‏ بل اتاني جبريل فقال‏:‏ هذه الليلة ليلة النصف من شعبان، ولله فيها عتقاء من النار بعدد شعور غنم كلب، لا ينظر الله فيها الى مشرك ولا الى مشاحن ولا الى قاطع رحم ولا الى مسبل ‏(‏مسبل‏:‏ المسبل‏:‏ هو الذي يطول ثوبه ويرسله الى الارض اذا مشى‏.‏ وانما يفعل ذلك كبرا واختيالا‏.‏ النهاية‏.‏ 2/339‏.‏ ب‏)‏ ولا الى عاق لوالديه ولا الى مدمن خمر‏.‏ ‏(‏ للبيهقي في شعب الإيمان وضعفه – عن عائشة‏)‏‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, মা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) হুযূর পূর নূর (দ:)-কে উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন: “ওহে আয়েশা! তুমি কি ভেবেছো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:) তোমার প্রতি অন্যায্য আচরণ করবেন? বরঞ্চ জিবরীল আমীন আমার কাছে এসে বল্লেন, ‘এটি-ই মধ্য-শা’বানের রাত। আল্লাহতা’লা এ রাতে বনূ কালব্ গোত্রের সমস্ত ভেড়ার লোমের সমসংখ্যক মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করে দেন। কিন্তু তিনি মাফ করেন না মূর্তি পূজারীদের কিংবা অন্যদের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণকারীদের; অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীদেরও; অথবা পায়ের গোড়ালির নিচে বস্ত্র পরিধানকারীদেরও (যারা অর্থ-বিত্তের দম্ভের প্রতীকস্বরূপ তা পরে); কিংবা পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানদেরও; অথবা মদ্যপায়ীদেরও।” [বায়হাকী রচিত ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ যাবৎ যতো হাদীস ও রওয়ায়াত উদ্ধৃত হয়েছে, সেগুলো একত্র করলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে শবে বরা’তের ফযীলত তথা ইহ ও পারলৌকিক উপকারিতার ভিত্তি সুদৃঢ়; আর এই পবিত্র রাত এবাদত-বন্দেগীতে কাটানোর সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও বিদ্যমান। বস্তুতঃ এ সব হাদীদের কিছু কিছুকে বেশ কিছু হাদীসবিদ সহীহ (বিশুদ্ধ) হিসেবে বিবেচনা করেছেন, আর বাকিগুলোতে ছোটখাটো পরিভাষাগত ত্রুটি রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেছেন; এই পরিভাষাগত ত্রুটি হাদীসশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন বর্ণনার সমন্বয়ে সারানো যায়। এ কারণেই এই উম্মাহ’র বুযূর্গানে দ্বীনবৃন্দ শবে বরা’তকে রহমত-বরকতময় রজনী হিসেবে এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে পালন করেছেন যুগে যুগে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শবে বরাতের দোয়া</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">هذا الدعاء ما علمنا عن أصله أنه ذكر، أو بعضه قد ورد على لسان بعض الصحابة والتابعين الصالحين، قال الألوسي في تفسيره:</div><div style="text-align: justify;">أخرج بن أبي شيبة في المصنف وغيره عن ابن مسعود – رضي الله عنه- قال: ما دعا عبد قط بهذه الدعوات إلا وسع الله عليه في معيشته: “يا ذا المن ولا يمن عليه، يا ذا الجلال والإكرام، يا ذا الطول، لا إله إلا أنت، ظهر اللاجئين وجار المستجيرين، ومأمن الخائفين، إن كنت كتبتني عندك في أم الكتاب شقيًّا فامح عني اسم الشقاوة، وأثبتني عندك سعيدًا، وإن كنت كتبتني عندك في أم الكتاب محرومًا مقترًا عليَّ رزقي، فامح حرماني، ويسر رزقي، وأثبتني عندك سعيدًا موفقًا للخير، فإنك تقول في كتابك الذي أنزلت: ﴿يَمْحُو اللَّهُ مَا يَشَاءُ وَيُثْبِتُ وَعِنْدَهُ أُمُّ الْكِتَابِ﴾،</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, মাহমূদ আলূসী নিজ তাফসীরগ্রন্থে ইবনে আবি শায়বা কৃত ‘মোসান্নাফ’ পুস্তক হতে হযরত ইবনে মাসউদ (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন, “বান্দা আল্লাহর কাছে (নিচের) এই দোয়া করলে তিনি তার জীবন-জীবিকা বৃদ্ধি করে দেন: হে আল্লাহ! অফুরন্ত রহমত-বরকতের অধিকারী! হে সর্বোচ্চ শান-শওকত, সম্মান ও ক্ষমতার মালিক! আপনি ভিন্ন অন্য কোনো খোদা নেই। আপনি-ই আশ্রয়হীনদের আশ্রয় এবং নৈকট্য অন্বেষীদের প্রতিবেশী (নিকটবর্তী); মুত্তাকী (খোদাভীরু)-দের অভিভাবক। এয়া আল্লাহ! আপনি যদি আপনার মূল লিপিতে আমার দুর্দশা ভারাক্রান্ত হবার বিষয়টি নির্ধারণ করে থাকেন, তবে তা অপসারণ করুন এবং আমাকে সুখ-সমৃদ্ধি দান করুন। হে আমার প্রভু! আপনি যদি আপনার কেতাবে আমার জন্যে আপনার রহমত (আশীর্বাদ) বাদ দেয়ার কথা লিখে রাখেন, তবে তা মুছে দিন এবং আমার রিযক আমার জন্যে সহজ করে দিন; আপনার দরবারে আমাকে সুখী, সৎকর্মশীল ও সমৃদ্ধিশালী করে দিন। কেননা, আপনি আপনার পাক কালামে এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ যা চান নিশ্চিহ্ন করেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেন; এবং মূল লিপি তাঁরই কাছে রয়েছে’।” [আল-কুরআন, ১৩:৩৯, মুফতী আহমদ এয়ার খান সাহেব কৃত ’নূরুল এরফান’]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وأخرج عبد بن حميد وغيره عن عمرو- رضي الله عنه- أنه قال- وهو يطوف بالبيت-: “اللهم إن كنت كتبت عليَّ شقوة أو ذنبًا فامحه واجعله سعادة ومغفرة، فإنك تمحو ما شئت، وتثبت وعندك أم الكتاب”،</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, আবদ ইবনে হুমাইদ এবং অন্যান্যরা বর্ণনা করেন যে হযরত উমর ফারুক (রা:) কাবা শরীফের তাওয়াফকালে দোয়া করেন: “এয়া আল্লাহ! যদি আপনি লিখে রাখেন আমি দুঃখী বা পাপী হবো, তবে তা (পরিণতি) মুছে দিন এবং আমার ভাগ্যে সুখ-সমৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের বিষয়টি লিখুন। কেননা, আপনি যা চান নিশ্চিহ্ন করেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেন, আর আপনার কাছেই রয়েছে মূল লিপি।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وذكر مثله عن شقيق أبي وائل ، نقل ذلك بن جرير الطبري عن ابن عباس من طريق سعيد بن جبير، وعن مجاهد كذلك من طرق عدة، وذكر صاحب الإبداع أنه نقل عن اليافعي أن أول ما يدعى في ليلة النصف من شعبان: “اللهم يا ذا المن ولا يمن عليه“.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (রা:) ও হযরত মোজাহিদ (রা:)-এর তরীকা (পদ্ধতি) অনুসারে ইবনে জারির তাবারীর বর্ণনায় এবং অন্যান্য রওয়ায়াত ও আল-এয়াফী’ হতে ‘আল-এবদা’আ’ পুস্তকের লেখকের বিবরণে জানা যায়, শবে বরা’তে প্রথমে যে দোয়া করা হয় তা হলো - ‘এয়া আল্লাহ, অফুরন্ত রহমত-বরকতের মালিক!’</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">                                                                    *সমাপ্ত*</div>

শবে বরা'তের ফযীলত

শবে বরা'তের ফযীলত মূল: সুন্নাহ-ডট-ওর্গ (যুক্তরাষ্ট্র) অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন [আরবী এবারত সেট-আপ: দ্বীনীভাই ও ফেইসবুক-বন্ধু জনাব M...

Read more »

'সুন্নাহ' ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্য, বিদআত, খিলাফতঃ

<div style="text-align: justify;">❏ 'সুন্নাহ' ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্যঃ</div><div style="text-align: justify;">❏ প্রত্যেক বিদ্'আত গোমরাহী'র প্রকৃত অর্থঃ</div><div style="text-align: justify;">❏ সাহাবীদের আবিষ্কার সুন্নাত, নাকি বিদ্'আত? </div><div style="text-align: justify;">❏ খিলাফত শুধু ক্বোরায়শেই; 'ইমামত' (বাদশাহী) ব্যাপক।</div><div style="text-align: justify;">________________________________________________</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং- (১৫৮)]</div><div style="text-align: justify;">○ অধ্যায়ঃ [ ক্বোরআন ও সুন্নাহ্'কে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ وعنه قال صلى بنارسول الله ﷺ ذات يوم ثم اقبل علينا بوجهه فوعظنا موعظة بليغة ذرفت منها العيون ووجلت منها القلوب فقال رجل يا رسول الله كان هذه موعظة مودع فاوصنا فقال اوصيكم بتقوى الله والسمع والطاعة وان كان عبدا حبشيا فانه من يعش منكم بعدى فسيرى اختلافا فعليكم بسنتى وسنة الخلفآء الراشدين المهديين تمسكوابها وعضوا عليها بالنواجذ واياكم ومحدثات الامور فان كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة .] </div><div style="text-align: justify;">: (رواه احمد وابو داؤد والترمذى وابن ماجة الا انهما لم يذكر الصلوة) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📖 তাঁরই (হযরত 'ইরবাদ্ব ইবনে সারিয়াহ্ رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন, "একদিন আমাদেরকে রাসূলাল্লাহ্ [ﷺ] নামায পড়ালেন। তারপর আমাদের দিকে চেহারা মুবারক ফিরিয়ে বসলেন এবং অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ওয়ায করলেন, যার প্রভাবে অশ্রু প্রবাহিত হলো, ভয়ে অন্তর কেঁপে ওঠলো। (টীকাঃ ১) এক ব্যক্তি আরয করলেন, এয়া রাসূলাল্লাহ! সম্ভবত এটাই বিদায়-ভাষণ। (টীকাঃ ২) সুতরাং কিছু ওসীয়ত করুন! হুযূর এরশাদ করলেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্'কে ভয় করার, বাদশাহ্'র কথা শ্রবণ ও আনুগত্য করার নির্দেশ দিচ্ছি, (টীকাঃ ৩) যদিও সে হাবশী গোলাম হয়। (টীকাঃ ৪) কেননা, আমার পরে তোমাদের মধ্যে যে জীবিত থাকবে সে প্রচুর মতপার্থক্য হতে দেখবে। (টীকাঃ ৫) সুতরাং তোমরা আমার এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফা-ই রাশেদীনের সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো। (টীকাঃ ৬) তা দাঁত দ্বারা মজবুতভাবে চেপে ধরো। প্রত্যেক নতুন কথাবার্তা থেকে দূরে থাকো। কেননা, প্রতিটি নতুন জিনিস বিদ্'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত গোমরাহী।" (টীকাঃ ০৭) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[এটা আহমদ, আবূ দাঊদ এবং তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণনা করেছেন; কিন্তু (তাঁরা তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্) উভয়েই নামাযের ঘটনা বর্ণনা করেন নি।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ </div><div style="text-align: justify;">    ___________________________________ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১| (একদিন আমাদেরকে রাসূলাল্লাহ্ [ﷺ] নামায পড়ালেন। তারপর আমাদের দিকে চেহারা মুবারক ফিরিয়ে বসলেন এবং অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ওয়ায করলেন, যার প্রভাবে অশ্রু প্রবাহিত হলো, ভয়ে অন্তর কেঁপে ওঠলো।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ১.</div><div style="text-align: justify;">এমনিতেই হুযূর [ﷺ] -এর প্রতিটি ওয়াযই চিত্তাকর্ষক বা হৃদয়গ্রাহী হতো। কিন্তু বিশেষ করে এ ওয়ায অত্যন্ত প্রভাব সৃষ্টিকারী ছিলো। যা'তে খোদাপ্রেম ও আল্লাহ্'র ভয়ের সাগরে ঢেউ খেলছিল। ইশক্ব বা প্রেমের কারণে অশ্রু ঝরে এবং ভয়ের কারণে অন্তরে ভীতি সৃষ্টি হয়। بليغ (বালীগ) শব্দ দ্বারা 'প্রভাবপূর্ণ' বুঝায়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২| (এক ব্যক্তি আরয করলেন, এয়া রাসূলাল্লাহ! সম্ভবত এটাই বিদায়-ভাষণ।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ২. </div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ হুযূরের ওফাত শরীফ নিকটবর্তী এবং তিনি তেমনভাবে কথা বলছেন, যেমন- বিদায়কালে বলা হয়। তিনি যেন আপন উম্মতকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং আখেরী উপদেশমালা প্রদান করছেন। সুবহানআল্লাহ্! সাহাবা-ই কেরামের তীক্ষ্ণ মেধাশক্তির উপর আমাদের প্রাণ উৎসর্গ হোক। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩| (সুতরাং কিছু ওসীয়ত করুন! হুযূর এরশাদ করলেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্'কে ভয় করার, বাদশাহ্'র কথা শ্রবণ ও আনুগত্য করার নির্দেশ দিচ্ছি)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ৩. </div><div style="text-align: justify;">বুঝা গেলো যে, বাস্তবিকই হুযূরের ওফাত শরীফ নিকটবর্তী ছিলো, এজন্য তাঁদের কথা প্রত্যাখ্যান করা হয় নি; বরং আকাঙ্কা পূরণ করা হয়েছে। জানা গেলো যে, হুযূর আপন ওফাতের সময় সম্পর্কে জানেন এবং এটা এমন পূর্ণাঙ্গ বাণী যে, সমস্ত বিধান এতে এসে গেছে। تقوى الله (আল্লাহ্'র ভয়)'র মধ্যে সমস্ত দ্বীনী বিধান এবং বাদশাহ্'র আনুগত্য ও সমস্ত রাজনৈতিক বিধান রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪| (যদিও সে হাবশী গোলাম হয়।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ৪.</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ যদি তোমাদের বাদশাহ্ কালো হাবশী গোলামও হয়, তবুও তার আনুগত্য করো; তার বংশ ও গড়ন দেখো না। তার আদেশ মান্য করো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্মর্তব্য যে, 'খিলাফত' ক্বোরাঈশ বংশীয়দের জন্য নির্দিষ্ট; কিন্তু 'রাজত্ব' যে কোন মুসলমান লাভ করতে পারে। সুতরাং আলোচ্য হাদীস, এ হাদীস الخلافة من قريش -এর বিরোধী নয়। তাছাড়া শাসকের আনুগত্য ওই সব বিধানে করা হবে, যেগুলো শরীয়ত বিরোধী নয়। তাছাড়া, শাসক হবার পরেই তার আনুগত্য করা হবে। ইয়াযীদ বৈধ শাসক হয় নি; হযরত হুসাইন [رضي الله عنه] তাকে শাসকই মানেন নি। সুতরাং তাঁর আমল এ হাদীসের বিরোধী নয়। শাসক বানানো এক কথা আর শাসক হবার পর আনুগত্য করা অন্য কথা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৫| (কেননা, আমার পরে তোমাদের মধ্যে যে জীবিত থাকবে সে প্রচুর মতপার্থক্য হতে দেখবে।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ৫.</div><div style="text-align: justify;">রাজনৈতিক মতভেদও, ধর্মীয় মতভেদও। যেমনঃ হযরত ওসমান [رضي الله عنه]'র খিলাফতকালের শেষের দিকে মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ সৃষ্টি হয় এবং হযরত আলী [رضي الله عنه]'র খিলাফতকালে রাজনৈতিক মতভেদের সাথে সাথে ধর্মীয় মতভেদও প্রকাশ পায়। যেমনঃ জবরিয়া, ক্বদরিয়া, রাফেযী, খারেজী (বাতিল সম্প্রদায়গুলো)'র উদ্ভব হলো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্মর্তব্য যে, আল্লাহ্'র অনুগ্রহক্রমে সম্মাণিত সাহাবীদের মধ্যে দ্বীনী মতভেদ সৃষ্টি হয় নি। সম্মাণিত সাহাবী সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। হুযূরের এ পবিত্র বাণী অত্যন্ত ব্যাপক এবং তাঁর এ পূর্বাভাস হুবহু সঠিক হয়েছিলো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৬| (সুতরাং তোমরা আমার এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফা-ই রাশেদীনের সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ৬.</div><div style="text-align: justify;">প্রত্যেক 'সুন্নাত' অনুসরণযোগ্য। কিন্তু প্রতিটি হাদীসের অনুসরণ করা যায় না। হুযূরের বৈশিষ্ট্যাবলী (خصوصيات) সম্বলিত হাদীস, রহিত বিধান, আমলসমূহ ও হাদীস, কিন্তু 'সুন্নাত' নয়। এ জন্য এখানে হাদীসকে আঁকড়ে ধরার আদেশ দেওয়া হয় নি; বরং সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার জন্য বলা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা 'আহলে সুন্নাত'। দুনিয়ায় 'আহলে হাদীস' কেউ হতে পারে না। সাহাবা-ই কেরামের আমল এবং কার্যাবলীও শাব্দিক অর্থে 'সুন্নাত'; অর্থাৎ দ্বীনের উত্তম ত্বরীকা বা পন্থা; যদিও সেগুলোর উদ্ভাবন 'বিদ্আত-ই হাসানাহ্'। ফারুকে আযম হযরত ওমর [رضي الله عنه] যথারীতি তারাভীহ্'র নামায জামাত সহকারে চালু করেছিলেন, যাকে তিনি নিজেই বিদ্'আত বলেছেন। তিনি বলেন- نعمت البدعة هذه (এটা কতই উত্তম বিদ্'আত!) তাঁর এ বাণী আলোচ্য হাদীসের বিরোধী নয়। কেননা, তা শরীয়তের ভাষায় বিদ'আত, আভিধানিক অর্থে সুন্নাত। অথচ মুসলমানদের জন্য তা একটি বাধ্যতামূলক করণীয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্মর্তব্য যে, সমস্ত সাহাবী হিদায়াতের নক্ষত্র। বিশেষতঃ খোলাফা-ই রাশিদীন। সুতরাং আলোচ্য হাদীস এই হাদীসের বিরোধী নয়- اصحابى كالنجوم (আমার সাহাবীগণ নক্ষত্রতুল্য)। প্রত্যেক সাহাবীর অনুসরণই নাজাতের মাধ্যম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৭| (তা দাঁত দ্বারা মজবুতভাবে চেপে ধরো। প্রত্যেক নতুন কথাবার্তা থেকে দূরে থাকো। কেননা, প্রতিটি নতুন জিনিস বিদ্'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত গোমরাহী।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">◇ টীকাঃ ৭.</div><div style="text-align: justify;">এখানে 'নতুন জিনিস' দ্বারা 'নতুন আক্বীদা' বুঝানো উদ্দেশ্য, যা ইসলামে হুযূরের পরে উদ্ভাবিত হয়েছে। এ জন্য যে, এখানে সেটাকে গোমরাহী বলা হয়েছে। গোমরাহী আক্বীদাতেই হয়ে থাকে, আমলে নয়। সুতরাং এ হাদীস আপন স্থানে ব্যাপকার্থক। সুতরাং ক্বাদিয়ানী, চকড়ালভী, রাফেযী ও খারেজী -এ সবই বিদ'আত ও গোমরাহী। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর যদি এটা দ্বারা 'নতুন আমল' বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এ হাদীসটি عام مخصوص البعض অর্থাৎ প্রতিটি মন্দ বিদ্আতই গোমরাহী। 'বিদ্আত-ই হাসানাহ্' (উত্তম বিদ্'আত) কখনো মুবাহ্, কখনো মুস্তাহাব, কখনো ওয়াজিব এবং কখনো ফরযও হয়ে যায়। হাদীসের কিতাবসমূহ এবং ক্বোরআনের পারাগুলো বিদ্'আত; কিন্তু উত্তম বিদ্'আত। এর গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণ ইতোপূর্বে করা হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রচারেঃ facebook.com/SunniAqidah</div><div style="text-align: justify;">□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</div><div style="text-align: justify;">📚f/Ishq-E-Mustafa ﷺ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭০,১৭১ হাদীস নং-১৫৮ এর টীকাঃ (৯১-৯৭) দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম। সবুজ ভবন, খাজা রোড, কুলগাঁও, ডাকঘর-জালালাবাদ-৪২১৪, বায়েজীদ, চট্টগ্রাম। ফোনঃ ০৩১-৬৮৪২২৪, মোবাইলঃ ০১১৯৯-২২৪৪০৩, ০১৮৬৮-০৩১৬২১]</div>

'সুন্নাহ' ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্য, বিদআত, খিলাফতঃ

❏ 'সুন্নাহ' ও হাদীসের মধ্যে পার্থক্যঃ ❏ প্রত্যেক বিদ্'আত গোমরাহী'র প্রকৃত অর্থঃ ❏ সাহাবীদের আবিষ্কার সুন্নাত, নাকি বিদ্'...

Read more »

মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ

<p dir="ltr" style="text-align: justify;">📖 মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ #MustShAre </p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মীলাদ-ই পাক উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার জবাবঃ (শায়খ তাজ উদ্দীন ওমর ইবনে আলী লাখমী সিকান্দরী ওরফে ‘ফা-কিহানী’র আপত্তির খন্ডন) </div><div style="text-align: justify;">কৃত- ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ) </div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962532990482481&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962532990482481&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962532990482481&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ ১২-ই রবিউল আউয়াল কি মিলাদুন্নবী, না ওফাতুন্নবী�</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1519024588166659&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1519024588166659&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1519024588166659&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মীলাদুন্নবী [ﷺ] কি ও কেন�</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962054883863625&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962054883863625&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962054883863625&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ যুগে যুগে মিলাদুন্নবী [ﷺ]: </div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান (মাঃ জিঃ আঃ)</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1960367780699002&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1960367780699002&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1960367780699002&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে বিশ্বনন্দিত আল্লামাগণের অভিমতঃ #MustShAre </div><div style="text-align: justify;">     কৃত- সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1958147487587698&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1958147487587698&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1958147487587698&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ বিদ’আত, মীলাদ ও শরীয়ত প্রসঙ্গঃ </div><div style="text-align: justify;">কৃত- হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী</div><div style="text-align: justify;">মুহাদ্দিসঃ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1957677947634652&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1957677947634652&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1957677947634652&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র উপর লিখিত সর্ব প্রথম স্বতন্ত্র কিতাবঃ </div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1966021796800267&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1966021796800267&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1966021796800267&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মীলাদ শরীফ-এ ক্বিয়ামের দলীলঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1532606193475165&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1532606193475165&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1532606193475165&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ ক্বিয়ামের প্রকারভেদ ও সেগুলোর পরিচয়ঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1968084759927304&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1968084759927304&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1968084759927304&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডনঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান</div><div style="text-align: justify;">মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1527183620684089&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1527183620684089&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1527183620684089&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ ঈদ-এ মিলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপন : একটি পর্যালোচনাঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মুহাম্মদ রবিউল আলম</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967746909961089&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967746909961089&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967746909961089&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মীলাদে পাক-এ ক্বিয়ামঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1971539329581847&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1971539329581847&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1971539329581847&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপনঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- মাওলানা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1969157099820070&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1969157099820070&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1969157099820070&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ জশ্নে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী [ﷺ]:</div><div style="text-align: justify;">কৃত- অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আলক্বাদেরী</div><div style="text-align: justify;">সাবেক অধ্যক্ষ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1976164569119323&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1976164569119323&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1976164569119323&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদ্যাপনঃ</div><div style="text-align: justify;">     কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1974974462571667&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1974974462571667&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1974974462571667&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ ফয়সালায়ে হাফ্তে মাসআলাঃ (فيصله هفت مسئله)</div><div style="text-align: justify;">মূলঃ হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ)</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1972202236182223&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1972202236182223&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1972202236182223&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">□ মিলাদ-কিয়ামের এক্সে (এক্স-রে) রিপোর্ট-এর পোস্ট মর্টেমঃ</div><div style="text-align: justify;">কৃত- হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1970676376334809&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1970676376334809&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1970676376334809&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">○ Monthly Tarjuman: মাসিক তরজুমান (প্রশ্ন-উত্তর)</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র উৎস ও উৎপত্তি কখন থেকে; সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবী তথা প্রিয় নবীর শুভাগমনের বর্ণনা কে করেছেন�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1523265411075910&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1523265411075910&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1523265411075910&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ ১২ই রবিউল আউয়ালে মিলাদুন্নবী [ﷺ] উপলক্ষ্যে ঈদ পালন করবো� না প্রিয় নবীজীর ওফাতুন্নবীর নামে শােক প্রকাশ করবাে�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1520603861342065&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1520603861342065&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1520603861342065&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপন করা শরীয়ত সম্মত কিনা�</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1528775663858218&id=667744529961340">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1528775663858218&id=667744529961340</a></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র নামে যা কিছু করা হয়; তা সম্পূর্ণ মনগড়া এবং পবিত্র কোরআন শরীফে এর কোন ভিত্তি নেই�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1513236138745504&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1513236138745504&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1513236138745504&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ মিলাদুন্নবীকে গুরুত্ব না দিয়ে সীরাতুন্নবী করে অনেকে; মিলাদুন্নবী [ﷺ] নাকি সীরাতুন্নবী উদযাপন করা কোনটি যুক্তিযুক্ত�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1530429067026211&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1530429067026211&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1530429067026211&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ কেউ কেউ বলেন, ইসলামে মাত্র দুটি ঈদ- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া অন্য কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1533853163350468&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1533853163350468&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1533853163350468&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ এক শ্রেণীর মৌলভী বলে থাকে, ইসলামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া ৩য় কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ] পালন করার মধ্য দিয়ে ৩য় ঈদের অনুপ্রবেশ ঘটানো ইসলাম বিরোধী। কটাক্ষ করে বলে- এটা কোন ঈদ� এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জানালে ধন্য হব।</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967174170018363&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967174170018363&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967174170018363&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ কিছু বাতিল ফেরকার সাথে মিলাদ নিয়ে প্রায় ঝগড়া হয়; তারা বলে মিলাদুন্নবী [ﷺ] করার প্রয়ােজন নেই সিরাতুন্নবী করলে হয়। আসল সমস্যাটা কী�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1536888789713572&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1536888789713572&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1536888789713572&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">❏ প্রশ্নঃ 'মিলাদুন্নবী' [ﷺ] ও 'সিরাতুন্নবী'র মধ্যে পার্থক্য কি�</div> <div style="text-align: justify;"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1539115862824198&id=667744529961340"><a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1539115862824198&id=667744529961340" style="font-size: 1.25em;">https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1539115862824198&id=667744529961340</a><br></a></div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">বিস্তারিত জানতে লগ ইন করুনঃ <a href="http://www.anjumantrust.org">www.anjumantrust.org</a></p>

মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ

📖 মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ #MustShAre □ মীলাদ-ই পাক উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার জবাবঃ (শা...

Read more »