গোলাপ ফুল সৃষ্টির রহস্য

<p dir="ltr">গোলাপ ফুল সৃষ্টির রহস্য<br> সৈয়্যদ ছৈয়দুল বারী</p> <p dir="ltr">⚛ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) পবিত্র জবানে আকদস মোবারকে ইরশাদ করেছেনঃ আমি মে'রাজ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর আমার শরীর মোবারকে হালকা উষ্ণ ভাব অনুভব করলাম।<br> আর সেই উষ্ণতার ফলে আমার শরীরের এক ফোঁটা ঘাম মোবারক মাটিতে পড়ে, আর ঐ ঘাম মোবারক মাটিতে পড়ার সাথে সাথে আল্লাহর হুকুমে তা থেকে গোলাপ ফুলের সৃষ্টি হয়। সুতরাং যে আমার সুগন্ধি পেতে চায়, সে যেন গোলাপ ফুলের সুগন্ধি গ্রহণ করে।</p> <p dir="ltr">[হযরত শেখ আব্দুলহক মুহাদ্দিস দেহলভী রহঃ<br> (১০৫২ হিঃ), মাদারেজুন নবুয়্যত, ফারসী, ১/৩০ পৃঃ]</p> <p dir="ltr">★আসুন আজ থেকে গোলাপ ফুলকে সন্মান করি।<br> ★গোলাপ থেকে নূর নবীজীর দঃ খুশবু গ্রহন করি।<br> ★ইচ্ছাকৃত ভাবে পায়ের নিচে যেন সেই গোলাপ কখনো না পড়ে।<br> ★চলতি পথে কোথাও গোলাপ নিচে পড়ে থাকতে দেখলে সম্ভব হলে সেই ফুলকে উঠায়ে পুকুরে ফেলি।</p>

গোলাপ ফুল সৃষ্টির রহস্য

গোলাপ ফুল সৃষ্টির রহস্য সৈয়্যদ ছৈয়দুল বারী ⚛ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) পবিত্র জবানে আকদস মোবারকে ইরশাদ করেছেনঃ আমি মে'রাজ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা...

Read more »

যাকে তাকে আহলে সুন্নাত থেকে বহিষ্কারের ফতোয়া

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><span style="background-color: black; color: cyan;">যাকে তাকে ফতোয়া মেরে আহলে সুন্নাত থেকে বহিষ্কার করা অনুচিত।</span></b></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i>🖋</i><u><i><span style="color: red;">আব্দুল মোস্তফা রাহিম আল আযহারী</span></i></u></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br></div> <div style="text-align: justify;"> সেদিন ক্লাসে স্ত্রীর মোহর নিয়ে কথা হচ্ছিল। এসময় ইন্দোনেশিয়ার এক ছাত্র প্রফেসরকে যা বলল আমরা শুনেতো পুরোই অবাক। সে বলল,তাদের দেশে এক গ্রামে প্রথা চালু আছে যে, বিয়ের পর ছেলেরা স্ত্রীর বাড়িতে উঠে এবং সন্তানদের বংশ নির্ধারিত হয় স্ত্রীদের মাধ্যমে। এমনকি ছেলে সন্তান জন্ম হলে তারা কোন সম্পদও পায় না, সম্পদের মালিক হয় একমাত্র কন্যা সন্তানরা। মুসলমান হয়েও স্পষ্টই তারা কত্বঈ নসের বিপরীত কাজ করছে। আল্লাহ বলেন- পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল।(সুরা নিসাঃ আয়াত৩৪) </div> <div style="text-align: justify;"> <br></div> <div style="text-align: justify;"> বিগত ছয় বছরে নানান দেশের নানান কালচার,শত শত মতপ্রার্থক্য আর এমন উদ্ভুত সব ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। কিন্তু এত মতভিন্নতার পরেও কাউকে "তুমি বিদাতী" "তুমি মুনাফিক" "তুমি সুন্নি না" এসব কথা বলতে শুনিনি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস "উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে" এর ব্যাখ্যায় আমরা যেভাবে সামান্য মতবিরোধেই একে অপরকে নাজাতি ফেরকা (আহলে সুন্নাত) থেকে খারিজ করে ৭২ ফেরকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাই সে হিসেবে শুধু বাংলাদেশেই ৭২ফিরকা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে বিশ্বের আর বাদ-বাকী বাতেল ফের্কাগুলোর কি হবে! সারা বিশ্বের হিসেব কষলেতো এর সংখ্যা ৭২হাজারও ছাড়িয়ে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> <br></div> <div style="text-align: justify;"> কিন্তু আফসোস! কবরে গিয়ে যদি দেখেন আপনার বদ আখলাকির কারনে আপনি যে মুসলমানকে কখনও বিদাতি কখনও পূজারী কখনও মুনাফিক কিংবা কাফের বলে সম্বোধন করেছেন কিন্তু সে আসলে সেই দোষে দোষী ছিল না তখন আপনার অবস্থা কি হবে? সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে কটাক্ষ করা ইসলামে সম্পূর্ন হারাম। আপনার ইচ্ছে হলেই আপনি কাউকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ করতে পারেন না। </div> <div style="text-align: justify;"> <br></div> <div style="text-align: justify;"> গত ২বছর পূর্বে চেচনিয়ায় বিশ্বের সব বড় বড় আলেমদের উপস্থিতিতে ও সর্ব সিদ্ধান্তক্রমে শাইখুল আজহার ঘোষনা করেন বর্তমানের দায়েশ জঙ্গী গোষ্ঠী তারা আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে পৌছতে প্রয়োজন হয়েছে দীর্ঘ সময়ের গবেষনা ও সারা বিশ্বের ওলামাদের ঐক্যমত। কিন্তু আমরা যেভাবে ঘরে বসেই একে-অপরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ করছি বিশ্বের অন্য কোনও দেশে এর নজির আছে কিনা আমার জানা নেই।</div> <div style="text-align: justify;"> <br></div> <div style="text-align: justify;"> মোদ্দাকথা হল আমাদের উপমহাদেশে আমরা দ্বীনের সঠিক দিক্ষা পেয়েছি খাজা মাঈনউদ্দিন চিশতী (রহ.), শাহ জালাল (রহ.) সহ আউলিয়া সালেহিন ও পীর ফকিরদের মাধ্যমে। তারা কাউকে গালি দিবেতো দূরে থাক একটি ফুলের টোকাও দেয়নি। আমরা যদি তাদের দাওয়াতের মানহাজ গ্রহন না করতে পারলে কি দরকার তাদের নাম বিক্রি করা?</div> </div>

যাকে তাকে আহলে সুন্নাত থেকে বহিষ্কারের ফতোয়া

যাকে তাকে ফতোয়া মেরে আহলে সুন্নাত থেকে বহিষ্কার করা অনুচিত। 🖋 আব্দুল মোস্তফা রাহিম আল আযহারী সেদিন ক্লাসে স্ত্রীর মোহর নিয়ে কথা হচ্...

Read more »

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম মানুষঃ

<div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম মানুষঃ</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● এক.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻪُ</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’</div><div style="text-align: justify;">(বুখারি, হাদিস নম্বর : ৫০২৭)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● দুই.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣَﺎﺳِﻨُﻜُﻢْ ﺃَﺧْﻼَﻗًﺎ</div><div style="text-align: justify;">‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৩৫)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● তিন.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’</div><div style="text-align: justify;">(বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৩০৫)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● চার.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২২৬৩/২৪৩২)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● পাঁচ.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে ভালো।’</div><div style="text-align: justify;">(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ৪১৭৭)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● ছয়.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺧِﻴَﺎﺭُﻛُﻢْ ﺃَﻃْﻮَﻟُﻜُﻢْ ﺃَﻋْﻤَﺎﺭًﺍ ﻭَﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟًﺎ</div><div style="text-align: justify;">তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে তোমাদের মধ্যে বয়সে বেশি এবং (নেক) কাজে উত্তম।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">(আহমাদ ৭২১২, ৯২৩৫, সিঃ সহীহাহ ১২৯৮)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● সাত. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃﻧْﻔَﻌُﻬُﻢْ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ</div><div style="text-align: justify;">সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যক্তি, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">(সহীহুল জামে’ হা/ ৩২৮৯, দারাক্বুত্বনী, সিঃ সহীহাহ ৪২৬)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● আট.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﻣَـﺨْﻤُﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ﺻَﺪُﻭْﻕِ ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺻَﺪُﻭْﻕُ ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ ﻧَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﻓَﻤَﺎ ﻣَـﺨْﻤُﻮﻡُ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ</div><div style="text-align: justify;">‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">(ইবনে মাজাহ ৪২১৬ ,সহিহুল জামে, হাদিস : ৩২৯১)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● নয়.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻷَﺻْﺤَﺎﺏِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﻭَﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺠِﻴﺮَﺍﻥِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺠَﺎﺭِﻩِ</div><div style="text-align: justify;">‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’</div><div style="text-align: justify;">(তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● দশ.</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺧِﻴَﺎﺭِﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨَﻜُﻢْ ﺃَﺧْﻠَﺎﻗًﺎ</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৫৫৯)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● এগারো</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন</div><div style="text-align: justify;">ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻣَﻨْﺰِﻟَﺔً ﺭَﺟُﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺘْﻦِ ﻓَﺮَﺳِﻪِ ﻳُﺨِﻴﻒُ ﺍﻟْﻌَﺪُﻭَّ ﻭَﻳُﺨِﻴﻔُﻮﻧَﻪُ</div><div style="text-align: justify;">মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সে, যে নিজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে শত্রুকে সন্ত্রস্ত করে এবং শত্রুরাও তাকে সন্ত্রস্ত করে।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">(বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪২৯১, সিলসিলা সহীহাহ ৩৩৩৩)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🌹● বারো</div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;">ﻟَﻤُﺆْﻣِﻦٌ ﻣُﺠَﺎﻫِﺪٌ ﺑِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﻣَﺎﻟِﻪِ ﻓﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ</div><div style="text-align: justify;">ঐ মু’মিন (সর্বশ্রেষ্ঠ) যে আল্লাহর পথে তার জান ও মাল দিয়ে যুদ্ধ করে।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">(বুখারী ২৭৮৬, ৬৪৯৪, মুসলিম ৪৯৯৪-৪৯৯৫)</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">🇸🇦আল্লাহপাক যেন আমাদেরকে এইরকম সর্বোত্তম মানুষ হবার তাওফীক দেন।</div><div style="text-align: justify;">আমীন।</div>

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম মানুষঃ

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম মানুষঃ . 🌹● এক. রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻪُ ‘তোমাদের ম...

Read more »

অর্থ সম্পদ ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা যা নিষিদ্ধঃ

<p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ সম্পদ ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা যা নিষিদ্ধঃ</span></p><br><br><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানুষ যেসব অর্থ অর্জন এবং উপার্জন করে, তা সাধারণত নিম্নরূপ খাতসমূহে ব্যয়-ব্যবহার করে থাকে :</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.নিজের ও পরিবার পরিজনের জন্যে ব্যয় করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.উৎপাদন ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.যাকাত প্রদান করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.ট্যাক্স, খাজনা ও বিভিন্ন প্রকার কর প্রদান করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব কর্তব্য (Obligations) ও অধিকার (Rights) আদায়ে প্রদান করে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.দান করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.সঞ্চিত ও পূঞ্জিভূত করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.অপচয় ও অপব্যয় (overuse & misuse) করে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামের দৃষ্টিতে অর্থ ব্যয় একদিকে যেমন বিরাট নেকি ও পুণ্যের কাজ। অপরদিকে তা বিরাট পাপও অকল্যাণের হাতিয়ার। ইসলাম সব ধরণের কল্যাণের ব্যয়কে উৎসাহিত করে। কিন্তু সব ধরনের অকল্যাণকর কাজে ব্যয় করাকে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করে। ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্মোক্ত খাত ও প্রক্রিয়ায় ব্যয় বিনিয়োগ করা অবৈধ ও নিষিদ্ধ :</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০১.সুদী কারবারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২ : ২৭৫)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০২.জুয়া খেলায় বিনিয়োগে নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ৫ : ৯০)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৩.ভাগ্য গণনায় ব্যয় নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ৫ : ৯০)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৪.ব্যভিচারের কাজে ব্যয় নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২৪ : ২,৩৩)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৫.সর্বপ্রকার অশ্লীলতা প্রসারকারী কাজ কারবারে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২৪ : ১৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৬.সর্বপ্রকার ধোকা প্রতারণার কাজে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (হাদিস : যে প্রতারণা করে, সে আমার লোক নয়)।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৭.ঘুষ প্রদান নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২ :১৮৮)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৮.মূর্তি, প্রতিকৃতি ও ভাষ্কর্য তৈরি ও ক্রয়ে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০৯.সর্বপ্রকার হারাম জিনিস ক্রয়ে ব্যয় করা নিষিদ্ধ। বিনিয়োগও নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০.ক্ষতিকর জ্ঞানার্জনে ও প্রশিক্ষণে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১.ভেজাল ও নকল ব্যবসায় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২.অবৈধ উদ্দেশ্য হাসিলের নিয়্যতে ধার-করজ-ঋণ প্রদান নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩.খোঁটা দেয়ার উদ্দেশ্যে বা জশ, খ্যাতি ও সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে দান করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৪.প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় বা দান না করে কৃপণতা করা নিষিদ্ধ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৫.যে কোনো ক্ষতিকর, অকল্যাণকর এবং সামাজিক ও সামষ্টিক অনিষ্টকর কাজে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬.অর্থ-সামগ্রী অপচয় (overuse) করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৭.অর্থ সম্পদ অপব্যয় (misuse) করা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ নিষ্প্রয়োজনীয় ও নিষিদ্ধ খাতে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৮.কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে অর্থ ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৯.ভালো কাজের বিরোধিতা বা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২০.ইসলামের বিরোধিতা করা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কাজে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২১.ওজনে কম বেশি করে আয় করা হারাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Source: ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা আবদুস শহীদ নাসিম, © author প্রকাশক: বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি।</span></p>

অর্থ সম্পদ ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা যা নিষিদ্ধঃ

অর্থ সম্পদ ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা যা নিষিদ্ধঃ মানুষ যেসব অর্থ অর্জন এবং উপার্জন করে, তা সাধারণত নিম্নরূপ খাতসমূহে ব্যয়-ব্যবহার করে থাক...

Read more »

সুদের বিরুদ্ধে আল-কুরআন ও আল-হাদিস

<br id="docs-internal-guid-6b39357b-7fff-30a5-a076-69921d31631e"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আসুন সুদ থেকে বিরত থাকি।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুদ একটি হারাম এবং চরম ঘৃণিত কাজ। যা কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আসুন সুদ ভিত্তিক ব্যাংক-বীমা, সমিতি ও লেনদেন থেকে বিরত থাকি।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুদের বিরুদ্ধে কোরআনের অবস্থান/আয়াতঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে৷ তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ ব্যবসা তো সুদেরই মতো।” অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে , সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৫)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত ও বিকশিত করেন। আর আল্লাহ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারীকে পছন্দ করেন না। (আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৬)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহকে ভয় করো এবং লোকদের কাছে তোমাদের যে সুদ বাকি রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও , যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো।(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৮)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো তাহলে জেনে রাখো, এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এখনো তাওবা করে নাও ( এবং সুদ ছেড়ে দাও ) তাহলে তোমরা আসল মূলধনের অধিকারী হবে। তোমরা জুলুম করবে না এবং তোমাদের ওপর জুলুম করাও হবে না।(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৯)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) হে ঈমানদারগণ ! চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।(আলে ইমরান,আয়াতঃ ১৩০)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) সুদ গ্রহণ করার জন্য যা গ্রহণ করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং অন্যায়ভাবে লোকদের ধন-সম্পদ গ্রাস করার জন্য, আমি এমন অনেক পাক-পবিত্র জিনিস তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছি, যা পূর্বে তাদের জন্য হালাল ছিল৷ আর তাদের মধ্য থেকে যারা কাফের তাদের জন্য কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি৷ (আন নেসা,আয়াতঃ ১৬১)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭) যে সূদ তোমরা দিয়ে থাকো, যাতে মানুষের সম্পদের সাথে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা বাড়ে না।  আর যে যাকাত তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকো, তা প্রদানকারী আসলে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করে৷(আর রূম,আয়াতঃ ৩৯)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুদের বিরুদ্ধে আল-হাদীসঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) হযরত মূসা ইবনে ইসমাঈল (رحمة الله)......সামুরা ইবনে জুনদুব (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আজ রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট এসে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌছলাম। নদীর মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায়, তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খন্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে সে যতবার বেরিয়ে আসতে চায়,ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি রক্তের নদীতে দেখছেন, সে হল সূদখোর। (বুখারীঃঅধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ১৯৫৫)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) হযরত  আবু হুরাইরাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞেস করা হল,হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), সে গুলো কি কি? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, যাদু টোনা করা, আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন এমন প্রাণীকে অকারণে হত্যা করা, এতীমের মাল আত্মসাত করা,সুদ খাওয়া,জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং সতী সাধ্বী নিষ্কলুষ মুমিন মহিলার উপর ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। (মুসলিম, কিতাবুল ইমানঃ১৭০)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) হযরত  আহমদ ইবনে ইউনুস(رحمة الله).....আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) সূদখোর, সূদ দাতা,এর সাক্ষী এবং সুদের হিসাব/দলীল লেখক—সকল কে অভিশাপ দিয়েছেন। আর তিনি এদের সবাই কে সমান অপরাধী বলেছেন।(আবু দাউদ,অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ৩৩০০)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (رحمة الله).....আবু হুরাইরাহ (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, সুদের সত্তরটি স্তর রয়েছে। সবচেয়ে নিম্নটি হল-নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা (ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৪)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) হযরত  আবু হুরাইরাহ (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি এমন এক গোত্রের পাশ দিয়ে গমন করি,যাদের পেট ছিল ঘরের মত বড়, যার মধ্যে বিভিন্ন রকম সাপ বাহির থেকে দেখা যাচ্ছিল। আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হল সুদখোর।(ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৩)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) হযরত  আব্বাস ইবনে জাফর(رحمة الله).....ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) সুত্রে রাসূল (ﷺ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে বেশী সুদ খাবে, পরিনামে তার সম্পদ কম হয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৯)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭) হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালাহ(رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, জেনেশুনে এক দিরহাম পরিমান সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ছত্রিশ বার ব্যভিচারের চাইতেও অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমদঃ১০৩৩)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p>

সুদের বিরুদ্ধে আল-কুরআন ও আল-হাদিস

আসুন সুদ থেকে বিরত থাকি। সুদ একটি হারাম এবং চরম ঘৃণিত কাজ। যা কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আসুন সুদ ভিত্তিক ব্যাংক-বীমা, সমিতি ও লেনদেন থেকে...

Read more »