হাদিসের গল্প

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi5BvQ_Cvaz0B8FzUImzHtzGRjKJOoBoDAq9jewlH7yb4ynaQDEJLBZ5dMp3u9P-5drHXV892wD4zuVUa68XMxQqY3Wqs4_jVL_iNAyrcQlQI_50J0BNQ0WntOBDazV-MJAmUuXH2V1fVs/s1600/File-Photo-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="370" data-original-width="556" height="265" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi5BvQ_Cvaz0B8FzUImzHtzGRjKJOoBoDAq9jewlH7yb4ynaQDEJLBZ5dMp3u9P-5drHXV892wD4zuVUa68XMxQqY3Wqs4_jVL_iNAyrcQlQI_50J0BNQ0WntOBDazV-MJAmUuXH2V1fVs/s400-rw/File-Photo-1.jpg" width="400" /></a></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> উসাইর ইবনু জাবির (রা:) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রা:)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করতেন, ‘তোমাদের মাঝে কি উয়াইস ইবনু আমির আছে’? অবশেষে (একদিন) উয়াইস (রহঃ) এসে গেলেন। তাকে ওমর প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি উয়াইস ইবনু আমির’? সে বলল, হ্যাঁ। ওমর (রা:) আবার বললেন, ‘মুরাদ’ সম্প্রদায়ের উপগোত্র ‘কারনের’লোক? তিনি বললেন, হ্যাঁ । তিনি বললেন, ‘আপনার কি কুষ্ঠরোগ হয়েছিল, আপনি তা হতে সুস্থ হয়েছেন এবং মাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান বাকী আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার মা জীবিত আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> ওমর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘ইয়ামানের সহযোগী দলের সাথে উয়াইস ইবনু আমির নামক এক লোক তোমাদের নিকট আসবে। সে ‘মুরাদ’জাতির উপজাতি ‘কারনের’লোক। তার কুষ্ঠরোগ হবে এবং তা হ’তে সে মুক্তি পাবে, শুধুমাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তার মা বেঁচে আছে, সে তার মায়ের খুবই অনুগত। সে (আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে) কোন কিছুর শপথ করলে তা আল্লাহ্‌ তা’আলা পূরণ করে দেন। তুমি যদি তাকে দিয়ে তোমার গুনাহ মাফের জন্য দোআ করাবার সুযোগ পাও, তাহলে তাই করবে।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> ওমর (রা:) বলেন, ‘কাজেই আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য আপনি দোআ করুন। তখন তিনি (উয়াইস) ওমরের অপরাধের ক্ষমা চেয়ে দোআ করলেন। ওমর (রা:) তাকে বললেন, ‘আপনি কোথায় যেতে চান? তিনি বললেন, ‘কূফায়। তিনি (ওমর) বলেন, ‘আমি সেখানকার গভর্নরকে আপনার (সাহায্যের) জন্য লিখে দেই? তিনি বললেন, ‘আমার নিকট গরীব-মিসকিনদের মাঝে বসবাস করাই বেশী পছন্দনীয়। পরের বছর কূফার এক নেতৃস্থানীয় লোক হজ্জে এলো। তার সাথে ওমরের দেখা হলে তিনি উয়াইস সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করলেন। সে বলল, ‘আমি তাকে এরকম অবস্থায় দেখে এসেছি যে, তার ঘরটা অত্যন্ত জীর্ণ অবস্থায় আছে এবং তার জীবন-যাপনের উপকরণসমূহ খুবই নগণ্য।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> ওমর (রা:) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘উয়াইস ইবনু আমির নামক এক লোক ইয়ামানের সাহায্যকারী দলের সাথে তোমাদের নিকট আসবে। সে ‘মুরাদ’জাতির উপজাতি ‘কারন’বংশীয় লোক। তার কুষ্ঠ রোগ হবে এবং তা থেকে সে মুক্তি পাবে, শুধুমাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তার মা বেঁচে আছে এবং সে তার মায়ের খুবই অনুগত। সে (আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে) কোন কিছুর শপথ করলে তা আল্লাহ্‌ পূরণ করে দেন। তুমি যদি তোমার গুনাহ মাফের জন্য তাকে দিয়ে দোআ করানোর সুযোগ পাও, তাহলে  তাই  করবে।  লোকটি  ফিরে  এসে উয়াইসের নিকট গিয়ে বলল, ‘আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য আপনি দোআ করুন।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> তিনি (উয়াইস) বললেন, ‘এইমাত্র আপনি মঙ্গলময় সফর (হজ্জ) থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন; বরং আপনিই আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য দোআ করুন।  তিনি  বললেন,  ‘আপনি  কি  ওমরের  সাথে  সাক্ষাৎ করেছেন। সে বলল, হ্যাঁ। তার জন্য উয়াইস দোআ করলেন। উয়াইসের মর্যাদা সম্পর্কে লোকেরা সচেতন হলে সেখান থেকে উয়াইস অন্য স্থানে চলে গেলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ওমর (রা:)-এর নিকট কূফার অধিবাসীরা একটি সাহায্যকারী দল পাঠায়। দলের এক লোক উয়াইসকে বিদ্রূপ করত। ওমর (রা:) বললেন, ‘এখানে ‘কারন’বংশীয় কেউ আছে কি? ঐ ব্যক্তিটি উঠে আসলে ওমর (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘ইয়ামান থেকে উয়াইস নামে এক লোক তোমার নিকট আসবে। সে তার মাকে ইয়ামানে একা রেখে আসবে। তার কুষ্ঠরোগ হবে। সে আল্লাহ্‌র নিকট দোআ করবে, আল্লাহ্‌ তার রোগমুক্তি দান করবেন, শুধুমাত্র এক দীনার অথবা এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার দেখা পাবে, তাকে দিয়ে সে যেন তার গুনাহ মাফের জন্য দোআ করায়। ওমর (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘পরবর্তীদের (তাবেঈ) মধ্যে উয়াইস নামে এক সৎ লোক হবে। তার মা বেঁচে আছে। তার শরীরে কুষ্ঠের চিহ্ন থাকবে। তার নিকট গিয়ে নিজের গুনাহ মাফের জন্য তাকে দিয়ে প্রার্থনা করাও। [<span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">মুসলিম হা/২৫৪২, ‘ছাহাবীগণের মর্যাদা’অধ্যায়, অনুচেছদ-৫৫</span>]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">শিক্ষা: </span></span>পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে মর্যাদাবান হবেন।</div>

হাদিসের গল্প

উসাইর ইবনু জাবির (রা:) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রা:)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করতেন, ‘তোমাদের ম...

Read more »

হিজরত সাথি [মুহাম্মদ সৈয়দুল হক]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-cb4e866e-7fff-e093-d57e-2daf7acd77be" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হিজরত-সাথি</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🖋মুহাম্মদ সৈয়দুল হক</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ধর্ম করতে লুট,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মক্কার যত কাফের-নাকের হলো সবে একজোট।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মিলিত সবাই গোত্রের ভাই; নদওয়ার বৈঠকে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুজনের দল ভোজনের পর কল্পনা-চক আঁকে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মুহাম্মদ সে শত্রু মোদের; করেছে ধ্বংস সব</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পূজায় অর্ঘ্য দানিতাম সবে ওজ্জা-মানাত রব।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বাপ-দাদার সে ধর্মকর্ম ভুলে গিয়ে লোকজন</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদের প্রভুর নিকটে হয়েছে সমর্পণ।’</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জাহেলের সুরে সুর মিলালো গোত্রের যুবাদল,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদেরে করবে হত্যা রোধিতে মুমিন-ঢল।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাহাবা সকল বেঁধে দলবল বাড়িঘর সব ছেড়ে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দেশপ্রেম ভুলে নবিপ্রেমে চলে মদিনার পথ ধরে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঐশী প্রেরণা পেয়ে নবিরাজ আয়োজন নিলো সেরে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যেতে হবে তাঁর সঙ্গে ওপার’ বলে বকরের তরে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুজাহানে সবে কাঁদো কাঁদো রবে সঙ্গ যাঁহার মাগে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তাঁহার সঙ্গি’ শুনে বকরের ভাবতেই সুখ জাগে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পয়গাম কুরানের–</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘সম্বোধিলে আল্লাহ-রাসুল সাড়া চাই সকলের।’</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই ভেবে যায় শ্রেষ্ঠ সাহাবি আবু বকরের দিন</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">না-শুনিলে বাক, রাসুলের ডাক জন্মে থেকেও লীন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ডাক দিবে যবে শ্রেষ্ঠ মানবে তখন-ই যেন শোনে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিদ্রা আহার সবি দিয়ে ত্যাগ কেবলি প্রহর গুনে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এলো সেই ক্ষণ; রাসুলে আরাবি কড়া নাড়ে দরজায়,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ’ সাথে সাথে শোনা যায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘কিহে সিদ্দিক, ঘুমাওনি কি?’ সোয়াল করেন নবি,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সত্যব্রতীর কণ্ঠে ভাসে প্রেমের প্রতিচ্ছবি-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ওহে প্রিয়সখা-প্রেমাস্পদ প্রিয়নবি হজরত</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঘুমালেই তব আহ্বানকালে কীসে তবে ইবাদত?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আদেশেতে যাঁর দিবাকর ফেরে, চাঁদ ফাটে ইশারায়,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর আহ্বানধ্বনি যদি না-শুনি বৃথা এ জনম হায়!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই ভেবে এই অধম বকরে সেইদিন হতে আজ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুদিনি চক্ষু, রাখিনি পৃষ্ঠ ঐ খাটিয়ার মাঝ।’</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">━━━━━━━━━━━━━━━━</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হায়! একি দৃশ্য! দ্যাখ, ওহে বিশ্ব–কী চলে ও-সাহারায়,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দেশ ছেড়ে যায় দেশের মালিক; রাজ করে দাসিরাই।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জগৎসূর্য মরুর মাঝেতে; বকরের কাঁধে হাত,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাওর-গুহাতেই রাত কাটাবে সরোয়ার-কায়েনাত!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আনন্দে সারা সাওরের গুহা একি ও-কেমন রীতি,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জান্নাত ছেড়ে ধূলির গুহায় জাহানের দুই প্রীতি!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ধূলিতে নুরের দেহ মোবারক; মাথা বকরের কোলে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ক্ষণিকের তরে পর্বত-ঘরে হেলে ঘুমানোর ছলে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যাঁর তরে ঘুম, ‘ঘুম’ রূপ পায়, তাঁর কীরে ঘুম আর</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুনিবের লীলা দয়ালের খেলা অসাধ্য বুঝিবার।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">চেতন বকরে দেখেন নজরে গুহাভরা সাপখাদ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভাবে, ওত পেতে বিষধর তাতে লোকে আছে নির্ঘাত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাবিব-নবির চাদর-টুকরে কোটর বন্ধ করে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">একখানা বাকি রয়েছিল–তাতে আঙুল দিয়াছে পুরে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুজাহান-রবি জগতের নবি; নুরি তন তাঁর হায়,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আকর্ষিবে না এমনও প্রাণী আছে কি এ বসুধায়?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে দেহের ঝরা ঘর্মে বিকাশ লভে গোলাপের ফুল,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুগন্ধে ভরা ও-তনু মনোহরে কে না-হয় মশগুল?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আপন গর্তে সুঘ্রাণ যবে নাকে যায় ‘হারেসা’র,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উথাল-পাতাল গন্ধে মাতাল করে উঠে মন তার।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব্যাকুল চিত্তে ছিদ্রান্বেষে; নাহি মেলে তার খোঁজ,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবির সুরভে মাতোয়ারা মন; কে বা তারে দেয় বুঝ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বকরের তরে বিষের অধরে ঠোক মেরে চাহে পথ,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রেম দরিয়ায় মগ্ন বকর আঙুলি সে বলবৎ।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রেমবিষে পায় যাঁরে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দংশিলে বিষধরে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে হয়েছে প্রেমমরা;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোন বিষে মারে তাঁরে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রেম দেখো বকরের</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">লা-পরোয়া জীবনের,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিষে শরীর ছেঁয়ে যায়;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভাঙে না ঘুম মুনিবের।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্তরে প্রেমঝড়</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শরীরেতে বিষধর,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জিত কার, কার হার–</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ধড় না-কি অন্তর?</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তবু,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রকৃতির এই রীতি—</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ধড়ের ব্যথায় ব্যথিত চক্ষু, বেড়ে যায় তার প্রীতি।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শরীরের কোনো ভাগে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আহা, বেদন যদি গো জাগে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অঝোরে ঝরায় ঝরনাধারা; নিদারুণ শোকাবেগে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">চোখমণি বকরের–</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">গড়িয়ে দিলো প্রেমের নহর চেহারায় রাসুলের।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জাগিয়া রাসুল জগত-অতুল দেখে বকরের পানে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জিজ্ঞাসে তথা কোলে নবি-মাথা; কাঁদো বলো কোন টানে?</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জান্তা নবির অজানা-প্রশ্নে চেতনা আসলো ফিরে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সর্প যে তাঁরে মেরেছে ছোবল–আতিকের মনে পড়ে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হিজরত-সাথি নবির প্রীতি করে যায় ফরমান-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জীবন-মরণ-স্বপন সকল যাঁর তরে কুরবান,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উরুপরে সে শির মোবারক জগতের সরতাজ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আপনার ব্যথা কী করে প্রকাশ করি গো হেথায় আজ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবি ইউসুফের ঝলক-ছোটে পলক না-ফেরে বলে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব্যাকুল চিত্তে কেটেছে আঙুল মিশরি হুরের দলে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবিকুলরাজ ইউসুফেরও তাজ–মুস্তফার চেহারা</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুমুখে আমার চোখের উপরে–তাই দেখে দিশেহারা।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পদতলে যাঁর নতে সবে শির, তাঁর মাথা মোর কোলে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ও-শিরের আরামে ব্যাঘাত ঘটাই কোন ক্ষমতা-বলে?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হেন পাপ নাই নরকুলে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘বকরের উক্তি–রাসুলে ভক্তি’ দেখে নবি বলে উঠে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘‘সাহেবুল গার’ সিদ্দিক আমার এসো এসো বুকপটে।’</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলতো ছোঁয়াতে বকরের আঙুলে মাখে মোবারক থুথু</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিষের মাত্রা করিলো যাত্রা ঠিক যেন ধূমকেতু।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবু বকর! ওহে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আখেরি নবির উত্তর বাহু; এসো ফের ধরণীতে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রেম বিলাতে অসার-নিঠুর-প্রেমহীন মানবেতে।</span></div> </div>

হিজরত সাথি [মুহাম্মদ সৈয়দুল হক]

হিজরত-সাথি 🖋মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ধর্ম করতে লুট, মক্কার যত কাফের-নাকের হলো সবে একজোট। মিলিত সবাই গোত্রের ভাই; নদওয়ার বৈঠকে, কুজনে...

Read more »

দুরুদের ফজিলতসহ কিছু বরকতময় দরুদ শরীফ :

<div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdv-AysK3jWCwhEIp9pQaLhI58f8QRVszfsjCHAAPRNyi0QzFx9k08xQyj-1AahoW_2hG3MDwMKiIsjHswTA4flgIOxNcIC_y9zg_-22VTXs9xvtzy1jKMcZFk5kEZMVI9G859bMdhnIgc/s1600/FB_IMG_1581930569803.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="721" data-original-width="712" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdv-AysK3jWCwhEIp9pQaLhI58f8QRVszfsjCHAAPRNyi0QzFx9k08xQyj-1AahoW_2hG3MDwMKiIsjHswTA4flgIOxNcIC_y9zg_-22VTXs9xvtzy1jKMcZFk5kEZMVI9G859bMdhnIgc/s1600-rw/FB_IMG_1581930569803.jpg" width="316"></a></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">❤দুরুদের ফজিলতসহ কিছু বরকতময় দরুদ শরীফ :</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">১. কাদেরীয়া তরীকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللَّهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ সকাল ও সন্ধ্যা একশত বার পাঠ করলে বালা মুছিবত দূর হয়।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">২. জিয়ারতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ رُوْحِ مُحَمَّدٍ فِي اَلْاَرْوَاحِ وَعَليٰ جَسَدِهِ فِي اَلْاَجْسَادِ وَعَليٰ قَبَرِهِ فِي الْقُبُوْرِ-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা রুহি মুহাম্মাদিন্ ফিল আর ওয়াহি ওয়ালা জাসাদিহি ফিল আজসা-দি ওয়ালা ক্ববরিহি ফিল ক্বুবুর)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৩.যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ুন:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">قَلَّتْ حِيْلَتِيْ اَنْتَ وَسِيْلَتِيْ اَدْرِكْنِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(ক্বল্লাত হিলাতী আন্তা ওয়াসিলাতি আদ্ রিকনি ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য পড়ুন ইনশাআল্লাহ বৃথা যাবে না।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৪.হিসাব নিকাশ ও আযাব থেকে মুক্তি লাভের দরুদ:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا ذَكَرَهُ الذّٰكِرُونَ وَصَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا غَفَلَ عَنْ ذِكْرِهِ الْغَافِلُوْنَ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন কুল্লামা যাকারা হুজ্জাকিরুনা ওয়া আলা মুহাম্মদিন কুল্লামা গাফালা আন্ যিকরিহিল গাফিলু-ন)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: ইমাম শাফেয়ী (র:) এই দুরূদ শরীফ পড়তেন। এই দুরূদ শরীফের উছিলায় হিসাব-নিকাশ থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতিদিন ১১১ বার পাঠ করলে ঈমানের হিফাজত এবং ঈমানের সাথে ইন্তেকাল হবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৫.ধন সম্পদ বৃদ্ধির দরুদ:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ وَعَليٰ المْؤُمِنِيْنَ وَالمْؤُمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ আবদিক ওয়ারাসূলিকা ওয়াআলাল মুমিনীনা ওয়া মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাতি।)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: ছাহেবে রুহুল বয়ান এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করবে তার ধন-সম্পদ দিন রাত বৃদ্ধি হতে থাকবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৬. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দরুদ:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِّيِ الْكَامِلِ وَعَليٰ اٰلِهِ كَاَب لَانِهَايَةَ لِكَمَالِكَ وَعَدَدَ كَاَعلِهٖ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন্ নাবিয়্যিল কামিলি ওয়া আলা আলিহি কামা-লা-নিহায়াতা লিকামালিকা ওয়া আদাদা কামালিহি)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৭. ঈমানের সহিত মৃত্যু:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ مُّنْطَلِقِ عِنَانِ جَوَادِ الاِيْمَانِ فِي مَيْدِانِ الاِحْسَانِ مُرْسِلاً مُرْشِدًا اِليٰ رِيَاحِ الْكَرَمِهِ فِي رَوْضِ الجْنَانِ وَعَليٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ وَّسَلِّمْ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মুহাম্মদিম মুনতালিকি ইনানি জাওয়াদিল ঈমানি ফি মিদানিল ইহসানি মুরসিলাম্ মুরশিদান ইলা রিয়াহিল কারামিহি ফি রাওদিল জানানি ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিও ওয়া সাল্লিম)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: উক্ত দুরূদ শরীফের উছিলায় ঈমানে সহিত মৃত্যু নসিব হবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৮.দরুদে গাউসিয়া:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَّعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِهٖ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিম মাআদিনিল যুদি ওয়াল কারামি ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ পাঠ করলে- ১.জীবিকায় বরকত হবে ২.সমস্ত কাজ সহজ হবে ৩.মৃত্যুকালে কলেমা নসীব হবে ৪.প্রাণবয়ু সহজে বের হবে ৫.কবর প্রশস্ত হবে ৬.কারো মুখাপেক্ষী থাকবেনা ৭.আল্লাহর সৃষ্টি তাকে ভালোবাসবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">৯. দরুদে রযভিয়্যাহ:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">صَلَّي اللهُ عَليٰ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ وَاٰلِهٖ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلِّمْ صَلوٰةً وَّسَلاماً عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(ছাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাতাও ওয়া সালামান আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ প্রত্যেক নামায ও জুমার নামাযের পর খাস করে মদীনা মনোয়ারার দিকে মুখ করে ১০০ বার পাঠ করলে অগণিত ফযিলত অর্জন হয়।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">১০.বদ অভ্যস পরিত্যাগ করার দরুদ:</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَفْضَلِ اَنْۭبِيَائِكَ وَاَكْرَمِ اَصْفِيَائِكَ مَنْ فَاضَتْ مِنْ نُّوْرِهِ جَمِيْعِ الْاَنْوَارِ وَصَاحِبِ الْمُعْجِزَاتِ وَصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُوْدِ سَيِّدِ اْلاَوَّلِيْنَ وَاْلاَخِرِيْنَ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন আফ্দালি আম্বিয়ায়িকা ওয়া আকরামি আছফিয়াইকা মান ফাদাত মিন্ নূরীহি জামিয়্যিল আনওয়ারী ওয়া ছাহিবিল মুজিযাতি ওয়া ছাহিবিল মাক্বামিল মাহমুদি সৈয়্যেদিল আওয়ালিনা ওয়াল আখিরিনা)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ অধিক পরিমানে পাঠ করলে যে কোন অপকর্ম করা হতে বিরত থেকে ইবাদত বন্দেগীতে স্বাধ পাবেন।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">১১. উভয় জাহানের নেয়ামত অর্জন:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍوَّعَليٰ اٰلِهٖ عَدَدَ اِنْعَامِ اللهِ وَاَفْضَالِهٖ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি আদাদা ইনআমিল্লাহি ওয়া আফদ্বালিহি)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ পড়লে অগণিত নেয়ামত অর্জিত হয়।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">১২. দরুদে শিফা:-</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلۤانَا مُحَمَّدٍ طِبِّ الْقُلُوْبِ وَدَوَائِهَا وَعَافِيَةِ الأَبْدَانِ وَشِفَائِهَا وَنُوْرِ الاَبْصَارِ وَضِيَائِهَا وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন তিব্বিল কুলুবি ওয়া দাওয়া-ই হা ওয়া আফিয়াতিল আবদানি ওয়া শিফায়িহা ওয়া নুরীল আবছারি ওয়া দ্বিয়ায়িহা ওয়া আলা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লাম।</div></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আলহামদুলিল্লাহ  আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল করার তৈাফিক দান করুক,আমিন❤</div></div>

দুরুদের ফজিলতসহ কিছু বরকতময় দরুদ শরীফ :

❤দুরুদের ফজিলতসহ কিছু বরকতময় দরুদ শরীফ : ১. কাদেরীয়া তরীকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ:- اَللَّهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَع...

Read more »

কি জালা বকর শুনি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কি জালা বকর শুনি"<br /> [লেখক :: আরিফ ওয়াকিজ]<br /> ২২ শে জামাদিস সানী ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ)'র পবিত্র ওফাত দিবস।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWF9PKuTRHU7B2IuJ1mObKbewLBK9vx-JI3nZJStwOX7q6slRCK6Yr0zxyQZ1zJc5ErOtPAnFfmuQfcmAWpCOKUPcELxHMYy5dURgXpXNw2YxlaSGjgpOhtWGMbuE07a4RiF9ViYG83NKJ/s1600/FB_IMG_15500773115925546.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="729" data-original-width="712" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWF9PKuTRHU7B2IuJ1mObKbewLBK9vx-JI3nZJStwOX7q6slRCK6Yr0zxyQZ1zJc5ErOtPAnFfmuQfcmAWpCOKUPcELxHMYy5dURgXpXNw2YxlaSGjgpOhtWGMbuE07a4RiF9ViYG83NKJ/s200-rw/FB_IMG_15500773115925546.jpg" width="195" /></a></div> <br /> দাড়ালো মুনিব উচু পর্বতে<br /> কহিলেন খোদার এলান,<br /> লা'শরীক যিনি নেই সমতুল<br /> তিনি আল্লাহ্ মহান।<br /> <br /> জাহেল লাহাব দুষ্ট জাতি<br /> ইনকার করিলো সবে,<br /> বাপ দাদার মহা ধর্ম কর্ম<br /> ভুলিয়া যাবো কি তবে?<br /> <br /> যে রূপের ভিক্ষা চন্দ্র সূর্য<br /> তারকা সবে পায়!<br /> সেই নুরি দোহা মলিন হয়ে<br /> আধার ছেয়ে যায়।<br /> <br /> সামনে আসিয়া চরন ধরিয়া<br /> লুটায়ে পরিয়া কহেন,<br /> কুহাফার বেটা আছে সাথে<br /> কালেমা পড়ায়ে দেন।<br /> <br /> আজি হতে মোর সকল কিছু<br /> চরনে দিলাম মুনিব,<br /> কিছু নাহি চায় সদা রাখিবেন<br /> আপনার চরনের ক'রিব।<br /> <br /> দুষ্ট জাতিরা মিলিয়া সবাই<br /> কুমন্ত্রণার বীজ বুনে,<br /> রবের এলান চলে যান হাবীব<br /> ঐ'"দুর মদীনার পানে।<br /> <br />  বকর প্রস্তুত থাকিও তবে<br /> হিজরতের সঙ্গী তুমি,<br /> সময় হলে ডাকিয়া তোমায়<br /> লইয়া যাইবো আমি।<br /> <br /> বহুদিন বাদে আসিলো তবে<br /> হিজরতের মহা ক্ষন,<br /> দুওয়ারে দাড়াতেই হাজির গোলাম<br /> মহা সুখে বকরের মন।<br /> <br /> মুনিব কহেন কি হে বকর<br /> নিদ্রা নাহি কি তবে?<br /> আপনার সঙ্গী হবার সুখে<br /> অনিদ্রায় রাত্রি পার সবে!<br /> <br /> চলিতে ক্লান্ত বাদশাহে কুল<br /> আরামে যাবেন সাওর,<br /> একটু দাড়ান নিরাপদ করি<br /> গুহাচরে কহেন বকর।<br /> <br /> বহু গর্তে ভরিয়া আছে<br /> সাওরের ভিতর জগৎ,<br /> চাদর ছিড়িয়া পূর্ন করিলো<br /> একটি তবুও বলবৎ।<br /> <br /> মুনিব আসিয়া বকরের কোলে<br /> রহমত হেলিয়া শুয়ে যায়,<br /> গর্ত হতে বৃষধর সর্প আসি<br /> দংশন করিলো পায়।<br /> <br /> বিষের জালায় নীলবর্ণ দেহ্<br /> তবুও শিতল রহে,<br /> ভিতর জলিয়া প্রেম সমুদ্রের<br /> অস্রুর ধারা বহে।<br /> <br /> রহমতে আলম জাগিয়া কহে<br /> কি জালা বকর শুনি!<br /> বৃষরাশি ছড়ালো গোটা দেহে<br /> কেনো মোরে ডাকনি?<br /> <br /> পিতা মাতা সবি কোরবান করি<br /> আপনার নুরি চরণে,<br /> ছোবল মারিলো বৃষধর সর্প<br /> মোর পায়ের এক কোণে।<br /> <br /> ইবনে হাবীবের কি জবান<br /> শানে সিদ্দিক কহে!<br /> যাহার জিকির করিতে সদা<br /> হুর মালায়েক রহে।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div>

কি জালা বকর শুনি

"কি জালা বকর শুনি" [লেখক :: আরিফ ওয়াকিজ] ২২ শে জামাদিস সানী ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ)'র পবিত্র ওফাত ...

Read more »

তাসাওফ ও তরীক্বতের গুরুত্ব

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-17662b52-7fff-904d-6508-ed9b2b0cbf23"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাসাওফ ও তরীক্বতের গুরুত্ব</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী…</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাসাওফ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ইলমে তাসাওফ’ বা সুফীবাদ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘তাসাওফ’ তথা তরীক্বত চর্চা ও অনুশীলন করে মানবজাতি বাস্তব জীবনে ইসলামের প্রকৃত শান্তি উপলব্ধি করতে পারে। তাসাওফ ও তরীক্বত ভিত্তিক জীবন গঠন মানব জাতির ইহকালীন শান্তি, পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে। ‘তাসাওফ’ ও ‘তরীক্বত চর্চা’ ইসলামের নতুন কোন বিষয় নয় এবং তাসাওফ হচ্ছে ইসলামের প্রকৃত নির্যাস বা প্রাণ, ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আদর্শবিরোধী বাতিল অপশক্তিগুলো ইসলামের এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে বিলুপ্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলাম বিকৃতিকারীদের তাসাউফ ও তরীক্বত বিরোধী অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে একশ্রেণীর আধুনিক শিক্ষিত মুসলমানরাও তাসাওফ ও তরীক্বত চর্চার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছে অথবা এ ব্যাপারে উদাসীন হয়ে আছে। তাসাওফ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা না থাকার কারণেই তারা এ ঐশী জ্ঞানের সংযোগ ও অলৌকিক শক্তির সুপ্রভাব বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাসাওফ চর্চা মানুষকে সত্যিকার অর্থে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে তোলে। তাসাওফ ও তরীক্বত বর্ণিত ইসলাম প্রাণহীন ও ফ্যাকাশে। নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের এ ক্রান্তিকালে তাসাওফ চর্চা ও তরীক্বতের শিক্ষা অনুসরণেই মুক্তির পথ সুগম হওয়া নিশ্চিত। উন্নত চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে তাসাওফ শাস্ত্র এক নিয়ামক শক্তি।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তাসাওফ’ (تصوف) শব্দের বিশ্লেষণ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তাসাওফ’ (تصوف) শব্দটি আরবী। এর উৎস মূল নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেছেন, এটা صوف (সূফ) শব্দ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ পশম। এ অর্থে ‘সূফী’ বলতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায়, যিনি পার্থিব জগতের লোভ-লালসা ও আরাম-আয়েশ ত্যাগের নিদর্শন স্বরূপ পশমী কাপড় বা পোষাক পরিধান করেন। অবশ্য, আল্লামা ক্বোশায়রী বলেন, প্রকৃত সূফী হওয়ার জন্য এমনটি করা আবশ্যকীয় নয়। কারো কারো মতে تصوف শব্দটি صفا শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে। এর অর্থ পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা। এ অর্থে সূফী সাধকরা হচ্ছেন পবিত্র-পরিচ্ছন্ন চরিত্রের অধিকারী। কারো কারো মতে, শব্দটি صف (সফ) থেকে উৎকলিত। এর অর্থ কাতার বা সারি। এ অর্থে সূফীরা হচ্ছেন মর্যাদাসম্পন্ন প্রথম কাতারের মানুষ । কেউ কেউ বলেছেন, ‘সূফী শব্দটি সুফ্ফাহ্ থেকে গৃহীত। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে মসজিদে নবভী শরীফের একপাশে কিছু সাহাবী-ই রসূল সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করতেন, যাঁরা ‘আসহাবে সুফ্ফা’ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এখান থেকেই সুফীবাদ শব্দটির উৎপত্তি বলে তাঁদের ধারণা। কেননা, সুফীগণও এ ধরনের সাধনার মাধ্যমে পবিত্র আত্মার অধিকারী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লেখ্য, ‘সূফী’ ‘সুফ্ফা’ থেকে নির্গত হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়- প্রায় সত্তরজন সাহাবী, যাঁরা মসজিদে নববীতে এক প্রকোষ্ঠে অবস্থান করতেন, রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ড. আর.এ. নিকলসন সূফী দর্শনের সমালোচক পন্ডিত, তিনি ‘সূফী’ শব্দটিকে সো ফিস্ট (আরবী سوف) থেকে নির্গত বলে মনে করেন। سوف (সূফ) অর্থ জ্ঞান আর سوفى মানে জ্ঞানী। سوف থেকে পরিবর্তিত হয়ে সূফী (صوفى) হচ্ছে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ জ্ঞানের আধার। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ড. রশিদুল আলম, মুসলিম দর্শনের ভূমিকা, পৃ. ৩৪৭।)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু তরীক্বতপন্থী ও আরিফ বান্দাদের মতে, গ্রীক দার্শনিকদের সাথে ইসলামের সূফীদের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং এ সম্পর্কে ওলামা-মাশাইখ, সূফীগণের অভিমত নিন্মরূপঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওলামা মাশা-ইখ ও সূফীগণের দৃষ্টিতে তাসাওফ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যেহেতু তাসাওফ ও সূফীদের প্রকৃত পরিচিতি নির্ণয়ে ওলামা-মাশা-ইখ ও সূফীগণের বিভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত হলেও নিম্নলিখিত কতিপয় মতামত থেকে উল্লেখযোগ্য তাসাওফ ও সূফীর সংজ্ঞা নির্ণয় করা যায়-</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. আধ্যাত্মিক জগতের মহান দিকপাল অলীকুল সম্রাট হযরত শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাসাওফ সম্পর্কে বলেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَّصَوُّفُ اَرْبَعَةُ اَحْرُفٍ تَاءٌ وَصَادٌ وَوَاءٌ وَفَآءٌ ـ فَالتَّآءُ مِنَ التَّوْبَةِ وَهُوَ عَلى وَجْهَيْنِ تَوْبَةُ الظَّاهِرِ وَتَوْبَةُ الْبَاطِنِ ـ وَالصَّادُ مِنَ الصَّفَا وَهُوَ اَيْضًا عَلٰى وَجْهَيْنِ صَفَآءُ الْقَلْبِ وَصَفَاءُ السِّرِّ فَصَفَاءُ الْقَلْبِ اَنْ يَصْفِىَ قَلْبُه مِنَ الْكُدُوْرَاتِ الْبَشَرِيَّةِ مِثْلُ الْعَلاَئِقِ الَّتِىْ تُحْصَلُ فِى الْقَلْبِ مِنْ كَثْرَةِ الْاَكْلِ وَالشَّرَبِ وَالْمَنَامِ وَالْكَلاَمِ وَالْمُلاَخَطَاتِ الدُّنْيَوِيَّةِ الخـ وَاَمَّا صَفَاءُ السِّرِّ فَهُوَ بِاَلْاِجْتِنَابِ عَمَّا سِوَى اللهِ تَعَالٰى ـ وَاَمَّا الْوَاوُ فَهُوَ مِنَ الْوَلاَيَةِ … الخـ وَنَتِيْجَةُ الْوِلاَيَةِ اَنْ يَّتَحَقَّقَ بِاَخْلاَقِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كَمَا قَالَ عَلَيْهِ الصَّلوةُ وَالسَّلاَمُ تَخَلَّقُوْا بِاَخْلاَقِ اللهِ تَعَالى ـ وَاَمَّا الْفَآءُ فَهُوَ الْفَنَآءُ فى اللهِ جَلَّ جَلاَلُهٗ فَاِذَا فَنَتْ صِفَاتُ الْشَرِيَّةِ تَبْقى صِفَاتُ الْاَحَدِيََّةِ وَهُوَ سُبْحَانَهٗ لاَ يَفْنٰى وَلاَ يَزُوْلُ فَبَقِىَ الْعَبْدُ الْفَانِىَ مَعَ الرَّبِّ الْبَاقِىْ وَمَرْضِيَاتِهٖ الخـ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ تَصَوُّفٌ (তাসাউফ) শব্দটি হচ্ছে আরবী চারটি বর্ণের সমষ্টিঃ প্রথম বর্ণ ت (তা), দ্বিতীয় বর্ণ ص (সোয়াদ), তৃতীয় বর্ণ و (ওয়াও) এবং চতুর্থ বর্ণ ف (ফা)। প্রতিটি বর্ণ মাহাত্ম্য জ্ঞাপক। যেমন ‘তা’ বর্ণ تَوْبَة (তাওবাহ্) এর দিকে ইঙ্গিতবহ। ‘তাওবাহ্’ দু’ প্রকার- বাহ্যিক তাওবাহ্ ও অভ্যন্তরীণ তাওবাহ্; ص সোয়াদ বর্ণ দ্বারা صَفَا -এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়। এর অর্থ পরিচ্ছন্নতা। এটিও দু’প্রকারঃ ক্বলবের পরিচ্ছন্নতা ও অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা। ক্বলব বা অন্তরের পরিচ্ছন্নতা হলো মানবীয় পঙ্কিলতা থেকে অন্তর পবিত্র হওয়া, যা সাধারণত মানুষের অন্তরে পাওয়া যায়, যেমন অধিক পানাহার, অধিক নিদ্রা, অধিক কথা বলা ও দুনিয়ার সাথে অধিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি। আর অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা হলো, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য সব কিছু থেকে অন্তরাত্মাকে মুক্ত রাখা। আর واو (ওয়াও) বর্ণ দ্বারা (বেলায়ত) ولاية বুঝায়। বেলায়তের সারকথা হলো, বান্দা নিজেকে আল্লাহ্র গুণে গুণান্বিত করা। যেমন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘‘তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও।’’ ‘তাসাওফ’ শব্দের সর্বশেষ বর্ণ فاء; এটা দ্বারা فَنَافِى اللهِ -এর দিকে ইঙ্গিত করা যায়। অর্থাৎ বান্দা নিজেকে আল্লাহ্তে বিলীন করে দেওয়া। যখন মানবীয় গুণ বিলীন হয়ে যায়, তখন খোদায়ী গুণ বিকশিত হয়। আল্লাহ্র সত্তায় বিলীনতা নেই। সুতরাং ধ্বংসশীল বান্দা চিরন্তন সত্তার সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি বিধানে স্থায়িত্ব অর্জন করতে পারে। (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সিয়ারুল আসরার, পৃ. ৮৮-৮৯)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. হযরত মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আবূ তালিব রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি হতে বর্ণিত,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَّصَوُّفُ خُلُقٌ فَمَنْ زَادَ عَلَيْكَ فِى الْخُلُقِ زَادَ ০عَلَيْكَ فِى التَصَوُّفِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ‘তাসাওফ’ অনুপম সুন্দর চরিত্রের নাম। যাঁর চরিত্র যত বেশী সৌন্দর্যমন্ডিত, তিনি তাসাওফের ততবেশি উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন হবেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥খলিক আহমদ নিযামী, তারিখে মাশায়েখ-ই চিশতী। (দিল্লী ১৯৬৩) পৃ. ১৮</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. হযরত আবুল হুসাইন আননূরী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন, اَلتَّصَوُّفُ تَرْكُ النَّفْسِ جُمْلَةً</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ সমষ্টিগতভাবে আত্মার কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ পরিত্যাগ করার নামই তাসাওফ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥আবুল ‘উলা- আফিফী ফী তাসাউফিল ইসলামী। (কায়রো ১৯৬৯) পৃ. ৩১</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. শায়খ আবুল হাসান রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لَيْسَ التَّصَوُّفُ رُسُوْمًا وَلاَ عُلُوْمًا وَلٰكِنَّهٗ اَخْلاَقٌ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাসাওফ নিছক প্রথাগত বিদ্যা ও কেবল একটি শাস্ত্রের নাম নয়; বরং চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনের নাম তাসাওফ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥শায়খ মুহাম্মদ ক্বায়সার রিসালা-ই ক্বুশায়রিয়াহ্, পৃ. ১৯</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. হযরত দাতাগঞ্জ বখশ মাখদুম আলী হাজভিরী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির প্রণীত বিখ্যাত গ্রন্থ كشف المحجوب -এ হযরত শায়খ খিযরীর বর্ণনা ব্যক্ত করেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَّصَوُّفُ صَفَاءُ السِّرِ مِنْ كُدُوْرَةِ الْمُخَالَفَةِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাসাওফ হচ্ছে সির্র বা অভ্যন্তরকে সত্যের বিরোধিতার পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র ও মুক্ত রাখার নাম।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥দাতাগঞ্জে বশখ আলী হাজভীরী, কাশ্ফুল মাহজূব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া আনসারী তাসাওফ প্রসঙ্গে বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَّصَوُّفُ هُوَ عِلْمٌ تُعْرَفُ بِهٖ اَحْوَالُ تَزْكِىَةِ النُّفُوْسِ وَتَصْفِيَةُ الْاَخْلاَقِ وَتَعْمِيْرُ الظَّاهِرِ وَالْبَاطِنِ لِنَيْلِ السَّعَادَةِ الْاَبَدِيَّةِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ‘তাসাওফ’ এমন এক শাস্ত্রের নাম, যে শাস্ত্রের চর্চায় আত্মার পবিত্রতা, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি, চিরস্থায়ী কল্যাণ ও সৌভাগ্য অর্জনের নিমিত্তে আন্তরিক ও বাহ্যিক উৎকর্ষ ও সংস্কার সাধনের জ্ঞান অর্জিত হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥শরহুর রিসালাহ্ আল কুশাইরিয়্যাহ্, পৃ. ৭০,</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. প্রখ্যাত সূফীসাধক হযরত ইমাম মা’রূফ কারখী (ওফাত ৮১৫খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَّصَوُّفُ هُوَ الْاَخْذُ بِالْحَقَآَئِقِ وَالْيَأْسُ مِمَّا فِىْ اَيْدِى الْخَلآَئِقِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাসাওফ হচ্ছে হাক্বীক্বত তথা সত্যকে গ্রহণ করা এবং মানুষের হাতে যা আছে, তা অর্জন থেকে বিমুখ হয়ে যাওয়া।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥হযরত ইমাম মা’রূফ কারখী আলায়হির রাহ্মাহ্।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানুষের পার্থিব অর্জন, যশ-খ্যাতি, লোভ লালসা, কামনা-বাসনা ধন সম্পদের প্রাচুর্য এবং বিলাস বহুল জীবন যাপনের মহড়া থেকে নিজকে পবিত্র ও মুক্ত রেখে সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে, কল্যাণের পথে, হেদায়তের পথে এবং আল্লাহ্ ও স্বীয় রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সন্তুষ্টি বিধানের পথে নিজকে নিয়োজিত রাখাই তাসাওফের মূল শিক্ষা।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮. সিলসিলা-ই আলিয়া ক্বাদেরিয়ার শায়খুল মাশা-ইখ সৈয়্যদুল আউলিয়া হযরত শায়খ আবদুল ক্বাদের জীলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাসাওফের পরিচয় ব্যক্ত করেন এভাবে-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلتَصَوُّفُ اَلصِّدْقُ مَعَ الْحَقِّ وَحُسْنُ الْخُلُقِ مَعَ الْخَلْقِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাসাওফ হচ্ছে আল্লাহর সাথে সত্যপরায়ণতা ও সৃষ্টির সাথে সুন্দর ও উত্তম আচরণ তথা আদর্শিক ব্যবহার করা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥শায়খ আবদুল ক্বাদির জীলানী, গুনিয়াতুত্ ত্বালিবীন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহান স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি মার্জিত, সুন্দর ব্যবহার ও উত্তম আচরণ প্রদর্শন তাসাওফের অন্যতম শিক্ষা ও আদর্শ।</span></p><br><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূফীদের পরিচয়</span></p><br><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামী পরিভাষায় ওই ব্যক্তিকে ‘সূফী’ বলা হয়, যিনি আল্লাহর নির্দেশিত ও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথে নিজকে উৎসর্গ করেছেন, আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবীবের প্রেম ও ভালবাসায় সর্বপ্রকার ইবাদতে নিজকে মগ্ন রাখেন, আল্লাহ্ ও রসূলের সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া পাার্থিব জীবনের ঐশ্বর্য ও প্রতিপত্তির প্রতি তাঁর কোন কামনা-বাসনা থাকেনা এবং সৃষ্টি জগতের সবকিছুই যিনি আল্লাহ্তে বিলীন করে দেন তিনিই প্রকৃত সূফী।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূফীদের পরিচয় প্রদানে ওলামা- মাশা-ইখের কতিপয় সংজ্ঞা নিম্ন বর্ণিত হলোঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. হযরত বিশর হাফী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির মতে,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلصُّوْفِىُّ مَنْ صَفَا قَلْبُهٗ بِذِكْرِاللهِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আল্লাহর যিকরের মাধ্যমে যিনি স্বীয় আত্মা পরিশুদ্ধ করে নেন, তিনিই সূফী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥আবুল ‘উলা আফিফী ফী তাসাউফিল ইসলাম। (কায়রো ১৯৬৯), পৃ. ২৯</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. হযরত যুন্নূন মিসরী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلصُّوْفِىُّ هُمْ قَوْمٌ اٰثَرُوا اللهَ عَزَّوَجَلَّ عَلٰى كُلِّ شَئٍ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ সূফী এমন এক শ্রেণীর বিশেষ বান্দা, যাঁরা জীবনের প্রত্যেক বস্তুর উপরে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালবাসাকে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥আবুল ‘উলা আফিফী ফী তাসাউফিল ইসলাম, পৃ. ২৯</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি (ওফাত ২৯৭) বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلصُّوْفِىُّ اَنْ يَتَخَصَّصَ اللهَ بِالصَّفَاءَ فَمَنْ اصْطَفٰى</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">مِنْ كُلِّ مَاسِوَىَ اللهِ فَهُوَ الصُّوْفِىُّ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ পবিত্রতার সাথে নিজকে আল্লাহর জন্য নির্র্দিষ্ট করা এবং আল্লাহ্ ছাড়া সকল কিছুর প্রভাব থেকে নিজকে মুক্ত রেখে আল্লাহর জন্য যিনি মনোনীত হয়েছেন, তিনি সূফী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥আবুল ‘উলা আফিফী ফী তাসাউফিল ইসলাম, পৃ. ৩৩, আধ্যাত্মিকতা ও ইসলাম, ই.ফা.বা.পৃ. ৮৩</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. সূফীগণ আসহাবে সূফ্ফার অনুসারী। হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবা-ই কেরাম সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলেন। সূফীরাও হচ্ছেন ওই পুণ্যাত্মা বান্দাদের পদাঙ্ক অনুসারী। শায়খ আবূ বকর ইবনে ইসহাক্ব বুখারী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ قَوْمٌ اِنَّمَا سُمُّوْا صُوْفِىَّةً لِقُرْبِ اَوْ صَافِهِمْ مِنْ اَوْصَافِ اَهْلِ الصُّفَّةِ الَّذِيْنَ كَانُوْا عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ একদল আলেম বলেন, সূফীদের ‘সূফী’ নামে নামকরণ এ অর্থে করা হয় যে, তাঁরা নিজ গুণাবলীতে আসহাবে সুফ্ফার নিকটবর্তী; যাঁরা রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিলেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥. شرح الحكم ও ايقاظ الهمم; খ. ১, পৃ. ৬</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. গাউসুল আ’যম দস্তগীর শায়খ আবদুল ক্বাদির জীলানী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি সূফীর পরিচয় দিয়ে বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلصُّوْفِىُّ مَنْ كَانَ صَافِيًا مِّنْ اٰفَةٍ النَّفْسِ خَالِيًا مِنْ مَذْمُوْمَاتِهَا سَالِمًا لِحَمِيْدِ مَذَهِبٍ مُلاَزِمًا لِلْحَقَائِقِ غَيْرَ سَاكِنٍ قَلْبُهٗ اِلٰى اَحَدٍ مِّنَ الْخَلاَئِقِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ‘সূফী’ ওই ব্যক্তি, যিনি কুপ্রবৃত্তির বিপদ থেকে পবিত্র থেকেছেন, নিন্দিত অপকর্ম থেকে মুক্ত, নিরাপদ প্রশংসিত পথে পরিচালিত সত্যকে অনিবার্যরূপে গ্রহণ করেছেন, সৃষ্টিরাজির কারো সাথে অন্তরের সংযোগ রাখেন না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥হযরত শায়খ আবদুল ক্বাদির, গুনিয়াতুত্ তালেবীন</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. সূফীগণ পশমের পোশাক পরিধান করেন। অর্থাৎ সূফীগণ অনাড়ম্বর সাদাসিধে জীবন যাপন করে থাকেন, বৈচিত্রময় পোষাকের চাকচিক্য তাঁরা এড়িয়ে চলেন। আবূ নসর আস্ র্সারাজ এ প্রসঙ্গে বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلصُّوْفِيَةُ نُسِبُوْا اِلى ظَاهِرِ اللُّبْسَةِ لِاَنَّ لُبْسَةَ الصُّوْفِ ودَأْبُ الْاَنْبِيَآءِ وَشِعَارُ الْاَوْلِيَاءِ وَالْاَصْفِيَاءِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ বাহ্যিক পোষাকের দিক দিয়েও সূফীগণকে সূফী বলা হয়। কারণ, পশমের কম্বল পরিধান করা নবীগণ, ওলীগণ ও সূফীগণের নিদর্শন বা প্রতীক।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥আল্লামা ইমাম ক্বুশাইরী, রিসালা-ই ক্বুশাইরিয়া, মিশর, পৃ. ১৯</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. পূর্ববর্তী সূফীগণ ইলমে শরীয়তের ইমাম ছিলেন। আল্লামা ইবনুল জওযী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি ৫০৮ হিজরিতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন, ৫৯৭ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। তিনি একাধারে মুফাস্সির, মুহাদ্দিস, ঐতিহাসিক সমালোচক ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় সহ¯্রাধিক গ্রন্থের প্রণেতা ছিলেন। তিনি সূফীবাদের একজন সূক্ষ্ম বিশ্লেষক হিসেবে একথা স্বীকার করেন যে,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَمَا كَانَ الْمُتَقَدِّمُوْنَ فِى التَّصَوُّفِ اِلاَّ رُؤَسَآءُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فِى الْقُرْانِ وَالْفِقْهِ وَالْحَدِىْثِ وَالتَّفْسِىْرِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ পূর্ববর্তী সূফীগণ ক্বোরআন, ফিক্বহ্ ও হাদীস এবং তাফসীরের ইমাম ছিলেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥খলীক আহমদ নিযামী, তারিখে মাশায়েখে চিশত, পৃ.৩৬</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আজকের যুগে সূফী নামধারীদের অনেকে শর‘ঈ জ্ঞানশূন্য। যথারীতি শর‘ঈ জ্ঞানে পারদর্শী না হয়েও ‘আল্লামা’ ও ‘শাহ্সূফী’ উপাধি ধারণকারী অনেক ভন্ড প্রতারকও প্রতিনিয়ত সরলপ্রাণ মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। ইসলামবিরোধী শরীয়তবিরোধী, আউলিয়া-ই কেরামের আদর্শ ও চেতনাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার পরও ‘শাহ্’ ‘সূফী’ লক্বব ধারণ করা প্রকৃত সূফীবাদ তথা সূফীয়া-ই কেরামের শিক্ষা ও আদর্শের প্রতি প্রতারণা ও প্রহসনের শামিল। এসব ভন্ড সূফীদের বেশভূষা দেখে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এদের স্বরূপ উম্মোচন এবং এদের অশুভ তৎপরতা ও প্রতারণা থেকে দেশ জাতি ও মুসলিম মিল্লাতকে রক্ষা করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ প্রসঙ্গে হযরত ইয়াহ্ইয়া মু‘আয রাযী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اِجْتَنِبْ صُحْبَةَ ثَلاَثَةِ اَصْنَافٍ مِنَ النَّاسِ ـ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَلْعُلَمَآءِ الْغَافِليْنَ وَالْفُقَرَاءِ الْمُدَاهِنِيْنَ وَالْمُتَصَوِّفَةِ الْجَاهِلِيْنَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তিনি প্রকার লোকের সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকা অপহিরার্যঃ এক. অলস ও অমনোযোগী আলিম থেকে, দুই. প্রতারক পদলেহী তোষামোদকারী ফক্বীর থেকে এবং তিন. অজ্ঞ সূফী থেকে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥ক্বোরআনুল করীম, সূরা শাম্স, ৯১: ৯,১০</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূফীবাদের ক্রমবিকাশ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহাগ্রন্থ ক্বোরআনুল করীম ও প্রিয়নবীর সুন্নাহ তথা হাদসি শরীফই সূফীবাদের উৎস। পবিত্র ক্বোরআনে এরশাদ হয়েছে-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَدْ اَفْلَحَ مَنْ زَكّٰهَا وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسّٰهَا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজ আত্মাকে বিশুদ্ধ করেছে, সে সফলকাম হয়েছে আর যে একে কলুষিত করেছে, সে অকৃতকার্য হয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥মিশকাত শরীফ, পৃ. ৩৭০</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এতে প্রমাণিত হয় যে, আত্মশুদ্ধি তথা তাসাওফ অর্জন ও চর্চা ব্যতীত কল্যাণ ও সফলতা আশা করা যায়না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অসংখ্য হাদীস শরীফেও ইলমে তাসাওফ তথা বাতেনী বা আধ্যাত্মিক ইলমের কথা বর্ণিত হয়েছে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত হাসান বসরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ اَلْعِلْمُ عِلْمَانِ فَعِلْمٌ فِى الْقَلْبِ فَذَالِكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذَالِكَ حُجَّةُ اللهِ عَلٰى اِبْن اٰدمَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ইলম দু’ প্রকার: অন্তরের ইল্ম, এটি উপকারী ইলম। মুখের ইলম এটি আদম সন্তানের উপর দলীল।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বর্ণিত হাদীসে অন্তর সম্পর্কিত ইলমই হলো তাসাওফ বা সূফীবাদ। এ প্রকার ইলমের অপর নাম ইলমে বাত্বিন। যেমন, হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ حَفِظْتُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وِعَئَُيْنِ فَاَمَّا اَحَدُهُمَا قَدْ بَيَّنْتُ فِيْكُمْ وَاَمَّا الْاٰخَرُ فَلَوْ بَيَّنْتُ فَقُطِعْ الْبَلْعُوْمُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূল করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে দু’টি জ্ঞানের পাত্র সংরক্ষণ করেছি; এক প্রকার যাহেরী জ্ঞান, যা আমি তোমাদের মধ্যে বর্ণনা করেছি। অপরটি যদি আমি বর্ণনা করতাম, তাহলে আমার কণ্ঠনালী কেটে ফেলা হতো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥মিশকাত শরীফ, ইলম পর্ব, পৃ. ৩৭</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক তত্ত্বই ইসলামে তাসাওফ নামে খ্যাত। যেমন সূরা কাহ্ফের বর্ণনায় হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম ও হযরত খাদ্বির আলায়হিস্ সালামের মধ্যে সংগঠিত ঘটনায় আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রমাণ পাওয়া যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই আল্লাহর সূফীবাদী পূণ্যাত্মা প্রিয় বান্দারা এ প্রকার ইলমের অধিকারী। এ প্রকারের ইল্মে তাসাওফের সূচনা হয় হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম থেকেই। তাসাওফের প্রথম শিক্ষক হলেন হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম। নবী প্রেরণের ধারাবাহিকতায় সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হলেন তাসাওফের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাদাতা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাহাবা-ই কেরাম থেকে যাহেরী ও বাতেনী ইলম অর্জন করে নিজেদেরকে ধন্য করেন। সাহাবা-ই কেরাম ও তাবে‘ঈদের যুগে তাসাওফ চর্চা অব্যাহত থাকলেও তাদেরকে সূফী নামে অভিহিত করা হতো না, দার্শনিক আল বেরুনীর মতে, ‘সূফী’ শব্দটি প্রথম কুফাবাসী আবূ হাশিম উসমান ইবনে শরীফ (ওফাত-১৬২ হিজরী, ৭৭৭ খ্রি.) থেকে শুরু হয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লেখযোগ্য সূফীসাধকগণঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্যদের মতে, ‘সূফী’ নামটি প্রথম যুক্ত হয় হযরত জাবির ইবনে হাইয়্যান (ওফাত ১৬৪হি.) এর উপর। দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগে ‘সূফী’ নামটি জন সাধারণে বিস্তার লাভ করে। এ সময়ের কতিপয় উল্লেখযোগ্য সূফীসাধক বিশেষভাবে স্মরণীয়- </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. হযরত হাসান আল বসরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। তিনি হিজরি ২১ সালে ৬৪২ খৃস্টাব্দে মদীনা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর খিলাফতকালে তিনি বসরায় গমন করেন। হিজরি ১১০ সালে এখানেই তিনি ইন্তিকাল করেন। এখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। ১২০ জন সাহাবীকে দেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৭০ জনই ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মহান সাহাবী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবরাহীম ইবনে ঈসা বলেন, আমি আখিরাতের চিন্তায় হাসান বসরীর চেয়ে অধিক চিন্তিত ও ক্রন্দনকারী আর কাউকে দেখিনি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত হাসান বসরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলতেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اِبْنَ اٰدَمَ بِعْ دُنْيَاكَ بِاٰخِرَتِكَ تَرَبَحْهُمَا جَمِيْعًا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَلاَ تَبِعْ اخِرَتَكَ بِدُنْيَاكَ فَتَخْسِرَهُمَا جَميْعًا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ হে মানব সন্তান! তুমি আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়া বিক্রি করে দাও। এতে তোমরা দু’টিই লাভ করতে পারবে। সাবধান, দুনিয়ার বিনিময়ে আখিরাতকে বিক্রি করো না। এতে দু’টিই হারাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥ইসলামী বিশ্বকোষ, দ্বাদশ খন্ড, ১৯৯২ পৃ. ৩৯৪</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. হযরত রাবেয়া বসরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা (ওফাত ১৫৮হি.)। হযরত রাবেয়া বসরী ছিলেন এক মহিয়সী রমণী। বর্ণিত আছে যে, এক সময় তিনি এক হাতে পানি এবং আরেক হাতে আগুন নিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করা হলো কেন দৌঁড়াচ্ছেন? তিনি বললেন ‘‘মানুষ দোযখের ভয়ে ইবাদত করে। আমি পানি দিয়ে দোযখকে নিভিয়ে দেবো। আর কিছু লোক জান্নাতের লোভে ইবাদত করে। এ জন্য আগুন দিয়ে জান্নাতকে জ্বালিয়ে দেবো।’’ বান্দা তার সব আমল যেন আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই করে। এটাই একমাত্র সূফীতত্বের মূলকথা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. হযরত ইমাম জা’ফর সাদিক্ব (ওফাত ৭৬৫খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম। (ওফাত ৭৭৭ খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. হযরত মা’রূফ কারখী (ওফাত ৮১৫ খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. হযরত ফুদ্বাইল ইবনে আয়ায (ওফাত ৭৯৪খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. হযরত দাঊদ আত্ তাঈ। (ওফাত ৭৮২খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮. হযরত শফীক্ব আল বলখী। (ওফাত ৮১০খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯. হযরত হারিস আল মুহাসিবি। (ওফাত ৮৫৭খ্রি.)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০. সমকালীন সময়ে মিশরের অন্যতম সূফী সাধক ছিলেন হযরত আবুল ফয়য সওবান ইবনে ইব্রাহীম (প্রসিদ্ধ যুননূন আল মিসরী) হিসেবে। তিনি সূফীবাদে ‘মাক্বাম’ ও ‘হাল’ স্তর সম্পর্কিত ধারনার প্রবর্তন করেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥সাইয়্যেদ কাসেম মাহমুদ, ইসলামী ইনসাইক্লোপিডিয়া, করাচি, পৃ. ৭৮৪</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১. পারস্য দেশীয় সূফী মনসূর হাল্লাজ। (ওফাত ৯২২)। তিনি সূফী তত্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মতে, মানব সত্তা ঐশী সত্বার সাথে একাকার হয়ে গেলে সাধক ব্যক্তিগত দ্রষ্টায় পরিণত হয়। তখনি বলে উঠেন ‘আনাল হক’ হযরত মনসূর হাল্লাজ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি নিজেই এ উক্তি করেছিলেন। তৎকালীন যাহেরী ইলমের অধিকারী এক শ্রেণীর আলেম তাঁকে অভিযুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২. সূফী মতবাদের বিকাশে আধ্যাত্মিক সাধক হযরত মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি (ওফাত ১২৪১)। তিনি ছিলেন ‘ওয়াহ্দাতুল ওজূদ’-এর প্রবক্তা, যার সারকথা, আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি অণুর মধ্যে প্রকাশিত হন। কবির ভাষায়-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَفِىْ كُلِّ شَئٍ لَهٗ اٰيَةٌ تَدُلُّ عَلٰى اَنَّهٗ الْوَاحِدُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে তাঁর সত্তার নিদর্শন রয়েছে। ওই নিদর্শনই প্রমাণ করে যে, তিনি এক ও অদ্বিতীয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩. সূফীবাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ ও দার্শনিক মাত্রায় সূফী তত্বের বাস্তবতা প্রতিষ্ঠায় হযরত ইমাম গায্যালী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি (১০৫৮-১১১১) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি হযরত জুনায়েদ বাগদাদী, হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিম (ওফাত ৮৭৪) ও হযরত শিবলী প্রমুখ সূফীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তিনি সূফীবাদের সমর্থন ও প্রশংসা জ্ঞাপন এবং বিভ্রান্তির স্বরূপ উন্মোচন করেন। তিনি ‘আল মুনক্বিয মিানদ্ব্দ্বালাল’ ‘ভ্রান্তি থেকে মুক্তিদাতা’ পবিত্রতা নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থও রচনা করেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➥ইসলামিক ইউনিভার্সিটি স্টাডিজ, ৮ম খন্ড, ২য় সংখ্যা, পৃ. ২৮৪</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূফীবাদের গ্রহণযোগ্যতা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এবং এ ভাবধারাকে সর্বাধিক জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে সাহিত্য রচনা ও কাব্য রচনার মাধ্যমে যাঁরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে হযরত আবদুল করীম জীলী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি, হযরত মোল্লা জামী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি, হযরত শেখ সা’দী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি, হযরত ফরিদ উদ্দিন আত্তার রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি, আল্লামা জালাল উদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি প্রমুখে ভূমিকা চির অম্লান হয়ে থাকবে।</span></p><br><br><br>

তাসাওফ ও তরীক্বতের গুরুত্ব

তাসাওফ ও তরীক্বতের গুরুত্ব অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী… তাসাওফ ‘ইলমে তাসাওফ’ বা সুফীবাদ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘তাসাওফ...

Read more »