ইসলামী বিশ্বকোষ Apps & PDF ডাউনলোড

<p><b><span style="background-color: white; border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [Download]</span></b></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div dir="ltr" style="text-align: left;"><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><img border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" height="331" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/w640-h331-rw/1000017281.jpg" width="640" /></span></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div></b></div></div>

ইসলামী বিশ্বকোষ Apps & PDF ডাউনলোড

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [Download]

Read more »

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড

<p style="text-align: left;"><span style="background-color: white; border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [Download]</span></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div dir="ltr" style="text-align: left;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><img alt="ইসলামী বিশ্বকোষ,আল-হাদিস এপ্লিকেশন,ইসলামিক জ্ঞান, হাদিস সংগ্রহ, ইসলামিক গাইড, বিনামূল্যে ইসলামিক অ্যাপ, ইসলামিক শিক্ষা, ইসলামিক গবেষণা, অফলাইন ইসলাম" border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/s16000-rw/1000017281.jpg" title="ইসলামী বিশ্বকোষ,আল-হাদিস এপ্লিকেশন,ইসলামিক জ্ঞান, হাদিস সংগ্রহ, ইসলামিক গাইড, বিনামূল্যে ইসলামিক অ্যাপ, ইসলামিক শিক্ষা, ইসলামিক গবেষণা, অফলাইন ইসলাম" /></span></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><span style="color: red;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন:</span></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> **<span style="color: #990000;">ইসলামিক জ্ঞানের এক অনন্য উৎস</span>**</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য এখন আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে "ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন"। এই এপ্লিকেশনটি ইসলামিক শিক্ষা, গবেষণা ও দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক নির্দেশনা অনুসরণের জন্য একটি সহায়ক এপ্লিকেশন। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ, নির্ভরযোগ্য এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইসলামিক জ্ঞানের ভাণ্ডার উপহার দিচ্ছে।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">**<span style="color: #990000;">এপ্লিকেশনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য</span>**  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">1.ইসলামী বিশ্বকোষ: ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ফিকহ, তাফসীর, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">2.আল-হাদিস সংকলন: সহিহ হাদিসের বিশাল সংগ্রহ, সহজ নেভিগেশন এবং অনুসন্ধান সুবিধা।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">3.ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস:সহজে ব্যবহারযোগ্য ডিজাইন, যা সকল বয়সের ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">4.অফলাইন এক্সেস: ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই যেকোনো সময় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">5.বিনামূল্যে ডাউনলোড: সম্পূর্ণ ফ্রি এপ্লিকেশন, যা সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখান থেকে বিনামূল্যে হাজার হাজার বই ডাউনলোড করতে পারবেন।</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">**<span style="color: #990000;">কেন এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন?</span>**  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">-ইসলামিক জ্ঞানের প্রামাণিক উৎস অনুসন্ধানের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">-দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক নির্দেশনা ও হাদিস অনুসরণ করতে সহায়ক।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">-গবেষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সমানভাবে উপযোগী।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">**<span style="color: #990000;">কিভাবে ডাউনলোড করবেন</span><span style="color: #bf9000;">?</span>**  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">"ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন" ডাউনলোড করতে আপনার স্মার্টফোনের প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে গিয়ে অনুসন্ধান করুন এবং বিনামূল্যে ইনস্টল করুন।  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন আপনার ধর্মীয় জ্ঞান বৃদ্ধি এবং দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক পথনির্দেশনা অনুসরণের জন্য একটি অপরিহার্য টুল। এখনই ডাউনলোড করুন এবং ইসলামিক জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার উপভোগ করুন!  </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">#ইসলামী_বিশ্বকোষ #আল_হাদিস_এপ্লিকেশন </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">#ইসলামিক_জ্ঞান #হাদিস_সংগ্রহ #ইসলামিক_গাইড</div></div></div></div>

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [Download] ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন: ** ইসলামিক জ্ঞানের এক অনন্য উৎস ** ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের...

Read more »

আউলিয়া কেরামকে উছিলা ধরার কোন দলিল প্রমাণ আছে কি ?

<p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হাঁ আছে । অসংখ্য হাদিস দ্বারা এর প্রমাণ পাওয়া যায় । যথাঃ-</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১) ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাছাই, ইমাম বায়হাকী ও ইমাম তাবরানী সহীহ সনদের মাধ্যমে সাহাবী হযরত উসমান ইবনে হানীফ (রাঃ) থেকে বর্ননা করেনঃ</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ওসমান ইবনে হানীফ (রাঃ) বলেনঃ এক অন্ধ সাহাবী নবী করিম (দঃ) এর খেদমতে এসে আরজ করলো- ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুণ যেন তিনি আমার অন্ধত্ব দূর করে দেন । হুজুর আকরাম (দঃ) তাঁকে বললেন- যদি তুমি চাও, তাহলে আমি দোয়া করবো । আর যদি ইচ্ছা করো, তাহলে সবর করতে পারো । এটা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে । উক্ত সাহাবী বললেন- বরং আপনি আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করুণ । তার অনুরোধে নবী করিম (দঃ) তাঁকে উত্তমরূপে ওজু করে এই দোয়া পড়তে শিখিয়ে দিলেন- “হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি এবং তোমার নবী যিনি রহমতের নবী সে নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে উছিলা করে তোমার দিকে আমিমুতাওয়াজ্জাহ (মনোযোগী) হলাম । হে প্রিয় মুহাম্মদ (দঃ), আমি আমার এই মাকসুদ পূরণের জন্য আপনার মাধ্যমে (উছিলায়) আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জহ হলাম । হে আল্লাহ ! তুমি আমার মাকসুদ পূরণের ব্যাপারে হুজুর (দঃ) এর সুপারিশ কবুল করো । ” এই দোয়া করে ঐ সাহাবী চলে গেলেন । তারপর পুনরায় ফিরে আসলেন । ইত্যবসরে আল্লাহ্‌ তার চক্ষু ভাল করে দিয়েছেন । বায়হাকীর বর্ননায় আছে উক্ত সাহাবী উঠে দাঁড়াতেই তার চক্ষু ভাল হয়ে গেলো ।”</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">— তিরমিজি, নাছায়ী, বায়হাকী, তাবরানী</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">পর্যালোচনা</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এই হাদিসের মধ্যে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- অন্ধত্ব দূর করার জন্য সাহাবী একবার আল্লাহকে সম্বোধন করেছেন । আর একবার রাসুলুল্লাহ (দঃ) কে সম্বোধন করেছেন । এইভাবে সম্বোধন করা জায়েজ । হাদিস বিশারদগণ বলেছেনঃ এই হাদিসে নবী করিম (দঃ) কে উছিলা করে দোয়া করা এবং নবী করিম (দঃ) কে সম্বোধন করে ডাক দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় । এই দোয়া এস্তেমাল করেছেন সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, সলফে সালেহীন ও পরবর্তী বুযুর্গানে দ্বীন- তাঁদের মকসুদ পূরণের জন্য ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উক্ত হাদিসে আরও প্রমাণিত হয় যে, নবীজির জীবদ্দশায় এবং ইন্তিকালের পরবর্তী সময়ে যাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছিল, সেসব বুযুর্গানে দ্বীন উপরোক্ত আমল করে সকলেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন । এতে প্রমাণিত হল হুজুর (দঃ) এর ইন্তিকালের পরেও তাঁকে উছিলা ধরা যায় । সত্যি কথা এই হুজুর (দঃ) আগমনের পূর্বেও সকল নবী ও সকল উম্মত তার পবিত্র নামের উছিলা ধরেইবিপদ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন । যেমনঃ হযরত আদম (আঃ) এর তওবা কবুল, নূহ (আঃ) এর কিস্তি ঝড় তুফান থেকে রক্ষা পাওয়া, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে নিষ্কৃতি লাভ ইত্যাদি । এগুলো নবীযুগের হাজার হাজার বৎসর পূর্বের ঘটনা । সুতরাং উছিলা ধরা শুধু জায়েজই নয় বরং নবীগনেরই ছুন্নাত ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২) কোন সাহাবী বা ওলীর উছিলা ধরার প্রমাণ নিম্ন বর্নিত হাদীস খান যা বুখারী শরীফে উদ্ধৃত হয়েছেঃ</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্নিত - তিনি বলেনঃ হযরত ওমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে যখন অনাবৃষ্টির কারনে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত, তখন তিনি হযরত আব্বাস ইবনেআব্দুল মোত্তালিব (রাঃ) কে উছিলা করে খোদার কাছে বৃষ্টি কামনা করতেন এবংইস্‌তিস্‌কার নামাজ পড়তেন । হযরত ওমর (রাঃ) এভাবে দোয়া করতেনঃ “হে আল্লাহ, এতদিন আমরা নবী করিম (দঃ) এর উছিলা দিয়ে বৃষ্টি কামনা করতাম । বর্তমানে নবীজীর চাচা হযরত আব্বাস (রাঃ)কেও উছিলা করে তোমার কাছে বৃষ্টি কামনা করছি । তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দাও” । হযরত আনাছ (রাঃ) বলেনঃ এভাবেই লোকেরা বৃষ্টি পেতো</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">— বুখারী</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হাদীস বিশারদ উলামা ও ইমামগণ বলেছেনঃ এই হাদীস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে,বুযুর্গানে দ্বীনের উছিলা করে দোয়া করা হযরত ওমরের (রাঃ) সুন্নাত । কেননা, হযরত আব্বাস (রাঃ) ছিলেন রাসুল (দঃ) এর চাচা এবং বিশিষ্ট সাহাবী । লোকেরা তাঁকে উছিলা করে বৃষ্টি প্রার্থনা করার সাথে সাথে বৃষ্টিপাত হতো । নবীজীর বংশের গুন এবং বুযুর্গীর মর্যাদা আল্লাহর নিকট অতি উচ্চ ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">বিপথগামীদের জন্য সতর্কবানী</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">বিপথগামী লোকেরা বলে থাকে- হযরত ওমর (রাঃ) নবীজীর উছিলা না ধরে তাঁর যুগে জীবিত হযরত আব্বাস (রাঃ) কে উছিলা ধরেছেন । এতে বুঝা যায়- মৃত কাউকেউছিলা ধরা জায়েয নেই (নাউযুবিল্লাহ)</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জবাবঃ হাদিস বিশারদ ওলামাগণ বলেছেন- বিপথগামীরা হাদীসের ভুলব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যা করেছে । বরং উক্ত হাদীসের প্রকৃত ব্যাখ্যা হচ্ছে এইঃহযরত ওমর (রাঃ) হযরত আব্বাস (রাঃ) কে উছিলা ধরে একথাই বুঝিয়েছেন যে, নবীজী ছাড়াও ঐসব লোককে উছিলা ধরা যায়- যারা নবীজীর অতি নিকটের এবংআত্নীয়জন । সুতরাং পাক পাঞ্জাতন ও আউলিয়া কেরামের উছিলা ধরার প্রকৃষ্ট প্রমান হলো - হযরত ওমর (রাঃ) এর উক্ত আমল । অন্যান্য সাহাবীগনকে উছিলা না ধরার মধ্যে কারন হলো- নবীজী ও তাঁর পরিবারের সদস্যগনের বুযুর্গী ও মর্তবা আল্লাহর কাছে কত বেশী তা প্রকাশ করা । ওহাবীদের প্রতারনামূলক ব্যাখ্যা যে সম্পূর্ন মিথ্যা- তা অন্যান্য হাদিস দ্বারাও প্রমানিত হয়েছে ।</p>

আউলিয়া কেরামকে উছিলা ধরার কোন দলিল প্রমাণ আছে কি ?

হাঁ আছে । অসংখ্য হাদিস দ্বারা এর প্রমাণ পাওয়া যায় । যথাঃ- ১) ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাছাই, ইমাম বায়হাকী ও ইমাম তাবরানী সহীহ সনদের মাধ্যমে সাহ...

Read more »

আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) এর জীবনী

<p dir="ltr" style="margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><div style="text-align: justify;">আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.)</div><div style="text-align: justify;">মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হির ৩৭তম  বংশধর হযরত সৈয়্যদ সদর শাহ রহমাতুল্লাহি আলায়হির ৪র্থ পুত্র আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে; বিশুদ্ধ মতে- ১৮৫৭ সালে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে হাজারা জেলার সিরিকোট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে এ মহাপুরুষ পার্থিব জীবনের ইতি টানেন।</div></p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাঁর পূর্বপুরুষ হযরত সৈয়্যদ গফুর শাহ প্রকাশ কাপুর শাহ সর্বপ্রথম দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে বর্তমান পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশে সিরিকোট অঞ্চলে আসেন এবং বিজয় ও আবাদ করেন। এ জন্য তাঁকে ফাতিহে সিরিকোট বা সিরিকোট বিজেতা বলা হয়। তিনি ছিলেন হযরত সৈয়্যদ আহমদ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হির ঊর্ধ্বতন ১৪তম পূর্বপুরুষ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">অতি অল্প বয়সে তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেন। অতঃপর স্বদেশে-বিদেশে দ্বীনি শিক্ষার বিভিন্ন সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয়ে অসাধারণ পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৮৮০ সালে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ‘ফাযিল’ সনদ লাভ করেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মহানবীর আর্দশ ছিল তাঁর স্বভাবজাত; তা তাঁর কর্মে অনায়সে ফুটে উঠত। আল্লামা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর সহোদরদের সাথে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকাতে ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন ও প্রতিষ্ঠিত হন। একই সাথে আফ্রিকার ক্যাপাটাউন, জাঞ্জিবা ও মোমবাসা শহরে সেখানকার জনগণের মাঝে দ্বীনী দাওয়াত পৌঁছান। এ সময় তিনি শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত মতবাদ হতে সাধারণ মুসলমানদের আক্বিদা-আমল সংশোধনে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তাদেরকে সুন্নী-হানাফী মাযহাবে দীতি করেন। তিনি ছিলেন জন্মগতভাবে একজন অলি। তাই এ সকল কাজ ছিল তাঁর চিরাচরিত স্বভাবজাত। সেখানকার ইতিহাসের প্রামাণ্য গ্রন্থ হতে জানা যায় যে, তিনিই সেখানে সর্বপ্রথম মসজিদটি নির্মাণ করেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">অতঃপর ১৯১২ সালে স্বদেশে ফিরে আসেন এবং হযরত আল্লামা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলায়হির হাতে ক্বাদিরীয়া ত্বরীকায় বায়আত গ্রহণ করেন। এদিকে আপন পীর-মুরশীদের বাড়ীর সন্নিকটস্থ বাজারে ব্যবসা করতে থাকেন। একই সাথে সময় ও সুযোগ মত নিজ পীর-মুরশীদের খিদমতে নিজকে নিবেদিত করতে থাকেন। সেখানেও একটি মসজিদ নির্মাণে সাহায্য করেন । তাঁর দর্শন হল, কর্ম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে পীর-মুরশীদের সদয়দৃষ্টি অর্জন করা, কিন্তু তিনি পীরের দরবারে তেমন কোন কাজ হাতে পেলেন না। তাই তিনি কাল বিলম্ব না করে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করার মনস্থির করলেন।  আঠার মাইল দূরের সিরিকোট পাহাড় হতে লাকড়ী সংগ্রহ করে নিজ কাঁধে করে পায়ে হেঁটে পীরের বাড়ীতে নিয়ে আসার খিদমতে তিনি আত্মনিয়োগ করেন। বংশ মর্যাদা, সামাজিক প্রতিপত্তি, যশ-খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠাকে তুচ্ছজ্ঞান করে এ আলিম-ই দ্বীন এবং ব্যবসায়ী নিজ আমিত্বকে বিলীন করে দেন। অথচ তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পীর-মুরশীদ কখনও তাঁকে এ কাজ করার নির্দেশ দেননি; বরং জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বারণও করে দেন। মাত্র ক’দিন যেতে না যেতে তাঁর কাঁধে আকস্মিক এক ফোঁড়া উঠল। আরোগ্য হতে লাগল নয় মাস। পরে তিনি একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আধ্যাত্মিক উৎর্কষতা সাধনে আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হির অদম্য স্পৃহা ও মনের ব্যাকুলতা দেখে তার পীর হযরত আল্লামা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁকে আশ্বস্ত করেন। তা বর্ণনা প্রদান করেন স্বয়ং আল্লামা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি এভাবে, “একদা আমি হুযুর কিবলা আল্লামা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহির হুযরা শরীফের সম্মুখস্থ বারান্দায় এ বিষয়ে চিন্তা মগ্ন ছিলাম। হঠাৎ হুযুর দরজা খুলে এসে আমাকে উদ্দেশ করে সম্মুখস্থ নবনির্মিত মসজিদের দিকে ইশারা করে বলতে লাগলেন- “দেখ! এই মসজিদের বাইরে চুনকাম করা হচ্ছে।” পরে দেখা গেল, আমি চৌহর শরীফে যাতায়তকালে যখনই কোন কিছুর দিকে দেখি না কেন; তা আমাকে সালাম দিতে থাকে আর আমিও সালামের উত্তর দিতে লাগলাম। পরে বুঝতে পারলাম যে, এ দ্বারা  আমার সময় নষ্ট হচ্ছে তাই সে দিকে খেয়াল ছেড়ে দিলাম।”</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">অতঃপর পীরের নির্দেশে ১৯২০ সালে র্বামার উদ্দেশ্যে পুনরায় স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং সেখানে প্রায় ষোল বছর অবস্থান করেন। সেখানকার বিভিন্ন মসজিদে তিনি ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সাধারণ মুসলমানদেরকে ইসলামের সঠিক রূপরেখার দিক-নির্দেশনা দান করেন। ১৯২৩ সালে কিম্বা তৎপরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর পীর কর্তৃক খিলাফত ও ইজাযত প্রাপ্ত হন। ফলে তাঁর ব্যক্তিত্বে এমন প্রবল আকর্ষণ হয় যে, তাঁর সান্নিধ্যে এসে মানুষ উদ্দীপ্ত হতে লাগল। প্রতিনিয়ত উম্মোচিত হতে লাগল তাঁর  অসাধারণ খোদাপ্রাপ্ত শক্তি ও অলৌকিকত্ব। সে সময়ে রেঙ্গুনে সংঘটিত প্রসিদ্ধ অলৌকিক ঘটনাসমূহ হতে ক’টি   নিচে প্রদত্ত হল-</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১. আল্লামা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি যখনই মসজিদে রুকু-সিজদা করতেন, তখন তাঁর সাথে সাথে মসজিদের মিনার কাত হয়ে যেত। এমনকি মসজিদের আশে-পাশের গাছ-গাছালিকেও সিজদায় অবনত হতে দেখা গেছে। তা দেখে সেখানকার খ্যাতনামা অলি আবদুল হামিদ প্রকাশ সুলতানুল আউলিয়া একদা শোরগোল করে উঠেন এবং বায়’আত হওয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করলেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২. বাঙ্গালী মসজিদে তিনি প্রত্যহ আসরের নামাজের পর তাকরীর করতেন। সেখানে উপস্থিত মুসল্লীদের জন্য তিনি প্রতিদিন একপোয়া (২৫০ গ্রাম) ওজনের খাবার সংকুলান হয়, এমন ঢেক্সিতে তিনি হালুয়া রান্না করতেন এবং নিজ হাতে পরিবেশন করতেন। দেখা যেত- কোন কোন দিন ৪০ থেকে ৫০ জনও উপস্থিত থাকত। সবাই সমানভাবে খাবার গ্রহণ করতেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৩. উক্ত মসজিদের মুয়াজ্জিন বলেন, একদা আমি মাগরিবের সময় মসজিদ সাফ করে সংলগ্ন হাউযে গেলাম, তখন দেখি তিনি সেখানে অযু করতেছেন। ঐ সময় মসজিদের দোতলায় গিয়ে দেখি তিনি সেখানে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে তাকরীর ফরমাচ্ছেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৪. ১৯২৮ সালে শা’বান মাসের ৩ তারিখ, বুধবার যোহরের সময় হুযূর কিবলা আল্লামা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি’র প্রথম পুত্র আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সালিহ শাহ রহমাতুল্লাহি আলায়হি   শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সে দিন আসরের নামাযের পর আল্লামা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি বার্মার রেঙ্গুনের বাঙ্গালী মসজিদ সংশ্লিষ্ট হুযরাতে দরজা বন্ধ করে ঢুকে পড়েন র্দীঘণ ধরে। ওদিকে ঐ সময়ে নিজবাড়ীর সন্নিকটস্থ জানাযার মাঠে তাঁকে ঐ সন্তানের নামায পড়াতে দেখা যায়।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ইত্যবসরে তিনি পীরের নির্দেশ মত ‘মাজমূ’আহ্ সালাওয়াতির (রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)’ গ্রন্থটি ছাপানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে প্রথমবারের মত এ বিস্ময়কর গ্রন্থটির মুদ্রিত কপি মুসলিম বিশ্বে তুলে ধরে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তা ছাড়াও পীরের একান্ত ইচ্ছাতে ১৯০২ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা “দারুল উলূম ইসলামিয়া রহমানিয়া’’র উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেন। পীরের ইন্তিকালের পর প্রায় চল্লিশ বছর ধরে তিনি নিজেই উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন ও প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। এভাবে তিনি স্বীয় পীরের অর্পিত সকল দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।  বাস্তবিকপক্ষে তাঁর অলিত্ব ছিল মাতৃ গর্ভজাত; তাঁর কর্মময় জীবন আলোচনায় বলা যায়, এ সকল নিঃস্বার্থ সাধ্যাতীত কর্মের জন্যই আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সৃষ্টি করেছেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে যে সকল ওলামা- আউলিয়া এ উপমহাদেশে ইসলামের সঠিক রূপরেখার দিক-নির্দেশনা দানে ব্রত ছিলেন; তাঁদের জীবনীতে দেখা যায় যে, তাঁরা বক্তব্য-লেখনী ও তাসাউফ বা ত্বরীকতের অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন। সে সময় তাঁদেরকে কেন্দ্র করে খানকাহ-মাদ্রাসা ইত্যাদি গড়ে উঠেছিল বটে; কিন্তু তাঁরা যতদিন দুনিয়াতে ছিলেন; ততদিন তা শিক্ষা-দীক্ষার কেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাঁদের পরবর্তীকালের সুন্নী মুসলিম জনসাধারণের জন্য পৃথক কোন স্থায়ী মাদ্রাসা ছিল না; যেখানে গিয়ে গরীব- ইয়াতীমরা সত্যিকারের দ্বীনী শিক্ষা গ্রহন করবে, মুসলমানগণ একত্রিত হয়ে পূর্বসূরিদের রচিত গ্রন্থাবলী অধ্যয়ন করবে, পাঠ পর্যালোচনা করবে। অধিকন্তু ব্রিটিশ শাসক ও হিন্দু সমাজপতিদের ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিত মুসলমানদের আর্থিক অবস্থাও ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। হযরত আল্লামা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলায়হি এহেন দুরবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য পৃথক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে যে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৪ সালে আল্লামা সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলায়হি চট্টগ্রামের ষোলশহরে “জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া”প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর এ মাদ্রাসার সুষ্ঠ-সুন্দর পরিচালনার জন্য স্থানীয় বিত্তশালী ও শিক্ষানুরাগীকে নিয়ে একটি ট্রাস্টও গড়ে তুলেন। সেটির নাম রাখেন “আনজুমান-ই রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট”। পরবর্তীকালে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে অসংখ্য মাদ্রাসা-মসজিদ, খানকাহ-এতিমখানা নির্মাণ ও সুষ্টু পরিচালন হয়ে আসছে। অধুনা এ সব প্রতিষ্ঠান কেবল আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের মতাদর্শের ভিত্তিতে ধর্মীয় ও আধুনিক জ্ঞানর্চচার কেন্দ্ররূপে সুপরিচিত।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হযরত আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলায়হি শুধু রাসূল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লামর বংশধর ছিলেন তা নয়; বরং আশিক-ই রাসূলও ছিলেন। তাই নবীদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী ও ইসলাম বিদ্বেষীদের ব্যাপারে ছিলেন আপোষহীন সিপাহশালার। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। হিন্দু পরিচালিত কংগ্রেসের বিপে ছিল তাঁর কঠোর অবস্থান। সালফ-ই সালিহীনের অনুসৃত পথ ও মতকে ধারণ করে তিনি এ দেশে হানাফী মাযহাব ও সুন্নিয়ত প্রতিষ্ঠায় ছিলেন অগ্রনায়ক। তাঁর প্রতিটি কার্যকলাপে সুন্নাতই প্রকাশ পেত। শতবছরে উপনীত এ মহাপুরুষ কখনও ফরয ইবাদত ত্যাগ করেননি। তাঁর নিকটে থেকে যাঁরা তাঁকে দেখেছেন; তাঁদের মতে, তাঁর নিদ্রাটাও ছিল সুন্নত উপায়ে। রাত্রের বেশীরভাগ সময় তিনি থাকতেন জাগ্রত। তাঁর মতে, সুন্নাতের উপর অটল থাকা-ই প্রকৃত কারামত।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মোটকথা, আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলায়হির জন্ম পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে হলেও তাঁর পদচারনা স্বদেশ ছাড়াও সুদূর আফ্রিকা, মায়ানমার (র্বামা), ভারত ও বাংলাদেশে বিদ্যমান। এ সব দেশে তাঁর অবদান রেখে যান তিনি।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রিযা খান রহমাতুল্লাহি আলায়হি সহ পূর্বেকার সকল সুন্নী ওলামা-মাশায়িখের রচনাসম্ভার মুসলমানদের হিদায়ত বা দিক-নির্দেশনার জন্য এ পর্যন্ত তিনি যথেষ্ট মনে করেছিলেন। কিন্তু ইসলামী প্রত্যয়ে যুগে যুগে সৃষ্ট মতবাদগুলোর নানা রকম বিভ্রান্তি ঐ সকল রচনাবলীর আলোকে যথাযথ বিচার-বিশেষণে যে উপযুক্ত আলিম-এ দ্বীন ও পরিবেশ দরকার এবং তজ্জন্য প্রতিষ্ঠানের যে শূন্যতা মুসলিম সমাজে বিরাজ করছিল; তুলনামূলকভাবে সুন্নী জনগণ যে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল, তা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিষ্ঠান বির্নিমানে গঠনমূলক কর্ম প্রয়াস পান আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলায়হি। একই সাথে সাধারণ মানুষের কর্মব্যস্ততা বিচার পূর্বক  তিনি তাদের দোর গোড়ায় ধর্মকর্ম ও ক্বাদিরীয়া ত্বরীকাকে অতি সহজে পালনযোগ্য করে পৌঁছে দেন। তাঁর প্রচারিত ক্বাদিরীয়া ত্বরীকার এ ধারাটি নিখাদ-নিটোল হওয়ার কারণে আপন মহিমায় ভাস্বর। এ ত্বরীকা বা কোন শায়খের ব্যাপারে কারোর দ্বিমত বা আপত্তি নেই। ত্বরীকার মাঝে যেমন বিচ্ছিন্নতা নেই, তেমনি কোন শায়খ-ই ভ্রান্ত দলের সাথে সম্পৃক্ত নন; বরং প্রত্যেকে স্ব স্ব যুগে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের উপর প্রতিষ্ঠিত অলি-এ কামিল। এ ত্বরীকার প্রতিটি কর্মাচরন কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত। তাই তাসাউফ অস্বীকারকারীদের জন্য এ ত্বরীকা বিরাট চ্যালেঞ্জ আর ত্বরীকতপন্থীদের জন্য আদর্শ মডেলও। আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলায়হি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে হাজার হাজার বিধর্মী ইসলাম গ্রহণ করেন এবং লক্ষ লক্ষ মুসলমান সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে। মূলত তিনি স্বীয় পীর-মুরশিদের ইচ্ছার বাস্তব রূপদানের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট ছিলেন।</p>

আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) এর জীবনী

আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হির ৩৭তম  বংশধর হযরত সৈয়্যদ সদর শাহ রহমাতুল্লাহি আলায়হির ...

Read more »

আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী (রঃ) এর জীবনী

<p dir="ltr" style="margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><div style="text-align: justify;">• জন্মঃ- ৬০৪ হিজরি ৬ই রবিউল আউয়াল খোরাসানের (বর্তমানে আফগানিস্থান ) বলখ রাজ্যে</div><div style="text-align: justify;">• পর্দা গ্রহনঃ- ৬৭২ হিজরি সনের জুমাদাল ওখরা মাসের ৫ তারিখ রবিবার দিন।</div><div style="text-align: justify;">• পিতাঃ- মাওলানা বাহাউদ্দিন (র)।</div><div style="text-align: justify;">• সমাধিঃ- তুরুস্কের কনিয়া প্রদেশে ।</div><div style="text-align: justify;">• পদবীঃ- বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মাওলানা, মারিফতের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।</div></p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী (রঃ) আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ বলখি নামেও প্ররিচিত কিন্তু বিশ্ব তাকে সংক্ষেপে রূমী নামে জানে। তিনি ত্রয়োদশ শতকের একজন ফারসি কবি, ধর্মতাত্ত্বিক এবং সুফি দর্শনের শিক্ষক ছিলেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মাওলানা রুমি পিতা মাওলানা বাহাউদ্দিন ছিলেন তৎকালীন সময়ের সুলতানুল ওলামা (আলেম সমাজের রাজা), রাস্তার সামান্য ফকির থেকে শুরু করে রাজ্যের বড় প্রতাপশালী রাজা, মহারাজারা রুমির পিতাকে খুব সম্মান করতেন। শুধু রাজা বাদশাহরা নয় বড় বড় কুতুব, গাউস, আউলিয়ারা মাওলানা রুমির পিতার পায়ের মোজা খুলার জন্য সদা ব্যাকুল থাকতেন। সেই মহান আলেম হযরত মাওলানা বাহাউদ্দিন (র) এর ঘরেই জন্ম নেন ইতিহাসের বিশ্ব বিখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি (র)।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রুমী খোরাসানের (বর্তমান আফগানিস্তান ) বলখ শহরে জন্মগ্রহন করেন । তাঁদের পরিবার ছিল বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও ধর্মতত্তবিদ পরিবার। তার পিতা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদকে সমসাময়িক “পন্ডিতদের সুলতান” বলে আখ্যায়িত করেছিল। রুমীর পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),যে যুগে জন্মগ্রহন করেন তখন ভয়াবহ এক আলোড়ন চলছিল । অটোম্যান সাম্রাজ্য ভিতরে এবং বাইরে থেকে আক্রান্ত ছিল ; ভিতরে ছিল খ্রিষ্টান আক্রমনকারিরা এবং অপর দিক থেকে চেঙ্গিস খানের মোঙ্গল বাহিনী । এই সামাজিক-রাজনৈতিক আলোড়ন রুমিকে তরুনকাল থেকে আতংক ও বিশৃংখলা দারা দহন করেছিল। ধর্মীয় বিরুদ্ধবাদীদের বিড়োধিতা এবং সম্ভাব্য মোঙ্গল আক্রমণের আশংকায় মাত্র বার বছর বয়সে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),তাঁর পিতাসহ বলখ ত্যাগ করেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাঁরা দশ বছর ধরে এশিয়া মাইনর ও আরবে পরিভ্রমন করেন। মক্কার পথে রুমী এবং তার পরিবার নিশাপুরে অবস্থান করেন , সেখানে তাঁদের সাথে বিখ্যাত সুফি কবি আত্তারের সাক্ষাত হয় । আত্তার জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ” এই বালকটি ভালবাসার অন্তরে একটি দ্বার উদ্ঘাটন করবে ।” জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),ও কখনও আত্তারকে ভুলতে পারেনি , জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),আত্তার সম্পরকে বলেছেন ” আত্তার ভালবাসার সাতটি নগরই ভ্রমন করেছেন আর আমি এখনও একটি গলির প্রান্তে অবস্তান করছি। ”</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাঁর পিতার সঙ্গে ভ্রমনের আরেক পর্যায়ে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),দামাস্কাস যান । সেখানে সে যুগের শ্রেস্ট দার্শনিক ইবনুল আরাবীর সাথে দেখা হয় । শোনা যায় ইবনুল আরাবী যখন জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমীকে(র),তাঁর পিতার পিছনে হাঁটতে দেখেন তখন বলেছিলেন ” আল্লাহর কি মহিমা , একটি হ্রদের পিছনে একসমুদ্র যাচ্ছে।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আঠারো বছর বয়সে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),সমরখন্দের এক অমাত্যের কন্যা গওহর খাতুনকে বিবাহ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে দুই পুত্র সুলতান ওয়ালদ ও আলাউদ্দিন তিলবির পিতা হন ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">লারান্দা এবং আর্মেনিয়ার আরজানজানে কিছুদিন অবস্থান করার পর রুমীর পিতা কোনিয়ার সুলতান আলাউদ্দিন কায়কবাদ দ্বারা আমন্ত্রিত হন। কোনিয়ায় বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ্দের জন্য বিশেষভাবে এক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষাদান করেন। পরবর্তীকালে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে রুমী সেই বিদ্যাপীঠে তার পিতার উত্তরসূরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই কোনিয়াতেই ছিলেন৷</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র), তাঁর পিতা ছাড়াও সেযুগের অনেক বিখ্যাত শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন৷ পিতার মৃত্যুর পর মাওলানা রূমী (রঃ) তাঁর পিতার স্থলাভিষিক্ত হন৷ অসাধারন জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং আকর্ষণীয় গল্প ও কাব্যরসে সমৃদ্ধ তাঁর ভাষণ বা ক্লাসগুলো বিপুল সংখ্যক তত্ত্ব-পিপাসু ও জ্ঞানপিপাসুকে আকৃষ্ট করেছিল৷ সাত বৈঠক বা মাজালেসে সাবআ এবং ফি মা ফি শীর্ষক গ্রন্থ মাওলানা রূমি (রঃ)’র ভাষণ ও ক্লাসের ফসল৷ মসনভী ও দিওয়ানে শামস তাঁর দুটি অমর কীর্তি৷ তিনি আজো বেঁচে আছেন এবং বেঁচে থাকবেন তাঁর অমর কাব্য ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা বা আদর্শের অক্ষয় কীর্তির মধ্যে।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মাওলানা রুমি প্রাথমিক জীবনে সারা দিন হাদিস, তফসির ইত্যাদি ধর্ম গ্রন্থের কিতাব পাঠে সময় ব্যায় করতেন। মাওলানা রুমির আশে পাশে লক্ষ লক্ষ মুরিদান, আলেম, মুহাদ্দিস বসে থাকতেন শুধু তার মুখের একটু বানী শোনার জন্য,</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কিন্তু যখন তার বয়স ৪০ তখন কোথা কার এক পাগল শামস তাব্রিজ নামের এক মস্ত বড় আউলিয়া তার দিনের খাওয়া ও রাতের ঘুম হারাম করে ফেলন। রুমি তখন সকল কিছু ফেলে খালি শামস তাব্রিজের পিছনে পিছনে ঘুরতে থাকেন এবং শামস তাব্রিজ এর কাছে নিজকে মুরিদ করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন।পরবর্তীতে শামস তাব্রিজ তাকে মুরিদ করে ৪০ দিনের এক ছিল্লায় নির্জনে তাকে মারিফতের জ্ঞান তার সিনায় ঢেলে দেন । এরপর মওলানা রুমি নীরব ও নিশ-চুপ হয়ে যান, খাওয়া দাওয়া ঘুম সব কিছু ভুলে গিয়ে শুধু শামস তাব্রিজের কথাই স্মরণ করতে থাকেন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মাওলানার পোশাক ছেড়ে দিয়ে সাধারন ফকিরের পোশাক পরিধান করেন। শামস তাব্রিজের মত পাগলের ভেতর আল্লাহর নুরী জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার দেখে মাওলানা রুমি বলে উঠলেন-</p><p dir="ltr" style="margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><div style="text-align: justify;">"ওরে খোঁদার ভাব মিলে নাই মাওলানায়,</div><div style="text-align: justify;">কি দেখিয়া এত ফালফালায় শরীয়তের হুজুর ব্যাটায়"।</div></p><p dir="ltr" style="margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><div style="text-align: justify;">শামস তাব্রিজের এস্কের টানে মাওলানা রুমির এমন বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায় তার ভক্ত মুরিদান এবং মাওলানা রুমির আপন পুত্র আলাওউদ্দিন শামস তাব্রিজকে এই দুনিয়া থেকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করল। এভাবে অনেক দিন গত হওয়ার পর শামস তাব্রিজ ও মাওলানা রুমি একদিন জ্ঞানের আলোচনা করতে বসলে শামস তাব্রিজ হঠাৎ করে বলে উঠলে.......... </div><div style="text-align: justify;">এখন আমাকে চির বিদায় দাও "হে রুমি, মৃত্যুর দূত আমাকে নিয়ে যাবার জন্য ইশারা দিয়ে ডাকছেন"।</div></p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এই কথা বলতে বলতে তিনি একটু সামনে এগোলেই মাওলান রুমির আপন ছেলে আলাওউদ্দিন ও তার সঙ্গীরা এক বড় খঞ্জর দিয়ে শামস তাব্রিজকে পিছন থেকে আঘাত করলে শামস তাব্রিজ এত জোরে চীৎকার দেন যে চীৎকার শুনে হত্যা কারিরা সঙ্গে সঙ্গে বেহুশ হয়ে মারা যান। কিছু পর দেখা গেল সেই জায়গায় শামস তাব্রিজের মৃত দেহ আর নাই শুধু পরে আছে ছোপ ছোপ লাল রক্ত, সেদিন মাওলানা রুমি নিজের ছেলের এই দুষ্কৃতি দেখে এতই মর্মাহত হন যে তিনি তার ছেলের জানাজাও পড়েন নি।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">পরবর্তীতে শামস তাব্রিজের বিরহ বিচ্ছেদ ও এশকে মাতোয়ারা হয়ে রচনা করেন দেওয়ানে শামস তাব্রিজ ও মসনবি শরিফ নামক বিশ্ব নন্দিত জ্ঞানের কিতাব যা বিশ্বের দরবারে আজও সু পরিচিত হয়ে আছে।মাওলনা রুমি (র) এর পর শামস তাব্রিজের প্রেমে নিজকে সমর্পণ করে অবশেষে তুরস্কেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।পৃথিবী থেকে চলে যাবার আগে তিনি তার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু উক্তি করে গেছেন তা হল -------</p><p dir="ltr" style="margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><div style="text-align: justify;">যেদিন আমি মরে যাব, আমার কফিন এগিয়ে যাবে</div><div style="text-align: justify;">সেদিন ভেবো না, আমার অন্তর এই ধরাধামে রয়ে গেছে!</div><div style="text-align: justify;">তোমরা অযথা অশ্রু বিসর্জন দিও না, হা-হুতাশ করো না</div><div style="text-align: justify;">‘হায়রে লোকটা চলে গেল’­ এই বলে বিলাপ করো না।</div><div style="text-align: justify;">আমার সমাধিকে অশ্রুজলে কর্দমাক্ত করে দিও না।</div><div style="text-align: justify;">আমিতো মহামিলনের মহাযাত্রার অভিযাত্রী।</div><div style="text-align: justify;">আমায় কবরে শোয়ালে ‘বিদায়’ জানাবে না,</div><div style="text-align: justify;">কবরতো ইহকাল-পরকালের মাঝে একটা পর্দা মাত্র­</div><div style="text-align: justify;">অনন্ত আশীর্বাদের ফোয়ারা। তোমরা অবতরণ দেখেছ­ এবার চেয়ে দেখ আমার আরোহণ। চন্দ্র-সূর্যের অস্তাগমন কি বিপজ্জনক? তোমাদের কাছে যেটা অস্তাগমন, আসলে সেটাই উদয়ন। মাওলানা রুমির গুণাবলীঃ-</div></p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১। বিশ্ব বিখ্যাত মসনবি শরিফ রচনাঃ- মাওলানা রুমি শামস তাব্রিজের দেওয়া তার সিনায় মারিফতের ফায়েজ কে চির-স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২২ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রচনা করেন মসনবি শরিফ।যা সুবিশাল ৪০ হাজার লাইনের একটা মহাজ্ঞানের সমাহার।এই কিতাবকে বিশ্বের সকল সুফি,দরবেশরা "মানুষের রচিত ২য় কুরআন বলে আখ্যায়িত করেছেন"।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২।বিশ্ব বিখ্যাত মাওলানা রুমিঃ- মাওলানা রুমি তার মুর্শিদ শামস তাব্রিজের সাথে সাক্ষাত করার পূর্বে ছিলেন একজন ধর্মভীরু পীর সাহেব।তিনি সারাদিন এতই কিতাব পড়াশুনা করতেন যে সে যেখানেই যেতেন সেখানেই ৭ উঠ ভর্তি হাদিস,তাফসির,ফেকা ইত্যাদি ধর্মীয় কিতাব সাথে নিয়ে যেতেন।যাতে তার অধ্যাপনায় কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে ।উক্ত কথা থেকে বুঝা যায় তিনি কত উঁচু পর্যায়ের আলেম ছিলেন।আর আজকের কাঠ মোল্লারা কিছু হাদিসের কিতাব পড়ে এমন ভাব দেখান যে তার চেয়ে বড় আলেম বুঝি এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৩। মাওলানা রুমির স্তরঃ- মাওলানা রুমি তার বিশ্ব বিখ্যাত কিতাব মসনবির প্রশংসায় বলেছেন যে " কুরআনের সমস্ত মগজ আমি রুমি চেটে খেয়ে ফেলেছি,শুধু তার হাড় গুলি রেখে দিয়েছি শরিয়তের অল্প বুদ্ধির আলেম রূপী কুকুরদের জন্য"তাহার এই উক্তিতে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে তিনি কোন পর্যায়ের আলেম।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৪। বিভিন্ন মনীষীদের ভূয়সী প্রশংসাঃ- রুমির সাহিত্যকর্ম অধ্যয়নের পর এতকাল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইংরেজ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মকে রীতিমতো পানসে বলে মনে হচ্ছে। তারা এখন রীতিমতো নিক্তি দিয়ে ওজন করছেন কার সাহিত্যকর্মের গভীরতা কতটা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্স স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ The Poet of the Poets- শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছেন, গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ­ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের (Zauk) সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৫। রুমি সম্পর্কে বিশিষ্ট অলিদের আউলিদের মন্তব্যঃ- ছোট রুমি যখন বাবা বাহাউদ্দিনের সাথে দামেস্কে ভ্রমনে যাচ্ছিলেন,তখন বিখ্যাত আউলিয়া ইবনুল আরাবি (র) বাবার পিছনে ছোট রুমিকে হাঁটতে দেখে তার ভিতরে অপার জ্ঞানের সমুদ্র অনুমান করে বলেছিলেন "আল্লাহর কি অপার মহিমা দেখো !!!জ্ঞানের সমুদ্র , জ্ঞানের নদীর পিছে পিছে হাঁটছে",শুধু তাই নয় বিশ্ব বরেণ্য আউলিয়া ফরিদউদ্দিন আত্তাব মাওলানা রুমিকে দেখে বলেছিল"এই ছেলে বড় হয়ে আল্লাহ্‌র এস্কের সাগরের এমন সব রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবে যে সারা দুনিয়া তা দেখে হতবাক হয়ে যাবে"।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৬।রুমির মৃত্যুতে সকল ধর্মের মানুষের জানাজায় অংশ গ্রহনঃ- মাওলানা রুমি যেদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যান,সেদিন তুরস্কের ইহুদি, নাসারা,খিরিস্তান সহ সকল ধর্মের মানুষ রুমির মৃত দেহের সামনে তাদের নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করা শুরু করে,শুধু তাই নয় একসাথে কাতার বন্ধী হয়ে নামাজের জানাজা আদায় করেন। কত বড় মাপের মানুষ হলে অন্য ধর্মের মানুষও তাকে শ্রদ্ধা জানায়,এটা রীতিমত ভাবনার বিষয় !!!!</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৭। সকল ধর্মের মানুষের মসনবি কিতাব পাঠঃ- হিন্দু(বৈষ্ণব মতালম্মবি),মুসলিম,ইহুদি,নাসারা,খিরিস্তান সকল ধর্মের মানুষ মাওলানা রুমির কিতাব নিজস্ব আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য পাঠ করে থাকেন। বিশ্বের সকল ভাষায় আজ মসনবি অনূদিত হয়েছে। এ যেন মাওলানা রুমির জন্য সারা বিশ্ব জয়ের এক বিজয় কাহিনী ।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এক কথায় বলতে গেলে রুমির তুলনা রুমি নিজেই,তার তুলনা আর কোন মাওলানার সাথে দিলে সম্পূর্ণ রূপে ভুল হবে।রুমি সেই নক্ষত্র যা আকাশে দিনের বেলাও স্তিমিত হয় না...... সালাম ইয়া মাওলানা রুমি সালাম সালাম হাজার সালাম ।</p>

আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী (রঃ) এর জীবনী

• জন্মঃ- ৬০৪ হিজরি ৬ই রবিউল আউয়াল খোরাসানের (বর্তমানে আফগানিস্থান ) বলখ রাজ্যে • পর্দা গ্রহনঃ- ৬৭২ হিজরি সনের জুমাদাল ওখরা মাসের ৫ তারিখ রবি...

Read more »

হযরত শাহ পরান (রহঃ) এর জীবনী

<p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শাহ পরা্ন (রহঃ) এর পুর্ব পুরুষগণ মুলত বোখারীর শহরের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর উধ্বতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন(রহঃ), বোখারী হতে ধর্ম প্রচারে জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্থানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরাণের পিতা মোহাম্মদ(রহঃ) ও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। </p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"> তাঁর মাতা হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী(রহঃ) আত্মিয় সম্পর্কে বোন ছিলেন। সে হিসেবে তিনি (শাহ পরান (রহঃ)হচ্ছেন হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী(রহঃ) এর ভাগিনেয়। শাহ পরাণের বয়স যখন ১১ বত্সর তখন তিনি তাঁর পিতাকে হারান। পরবর্তিকালে তাঁর আত্মিয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবির(রহঃ) এর কাছে তিনি ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে নেশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমীন(রহঃ)এর স্মরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন। হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী(রহঃ) যখন বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি (শাহপরান(রহঃ)খবর পেয়ে মামার সহচার্য লাভের আশায় হিন্দু স্থানে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরা্ন (রহঃ)সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তিকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ)এর নির্দেশে তিনি (শাহ পরা্ন (রহঃ))সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দুরবর্তি দহ্মিণকাছ পরগণাস্থিত খাদেম নগর এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বসতি স্থাপন করেন এবং এখানেই জীবনের শেষ সয়ম পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন।</p><p dir="ltr" style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শাহ পরা্ন (রহঃ) এর মাজার সিলেট শহরের একটি পুণ্য তীর্থ বা আধ্যাতিক স্থাপনা। যা হচ্ছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত হ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরা্ন (রহঃ) এর সমাধি। এটি সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিম নগর এলাকায় অবস্থিত। হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ দুরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত। হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর দরগাহর মতো এ মাজারেওপ্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঐতিহাসিক মুমিনুল হক সহ অনেকেই লিখেছেন; সিলেট বিভাগ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শাহ পরা্ন(রহঃ) এর দ্বারা মুসলিম ধর্ম বিশ্বাষ ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার হয়েছে। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার উপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নীচে রয়েছে শাহ পরা্ন (রহঃ)এর মাজার। মাজার টিলায় উঠা নামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গনে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু দেখায়। এই সিঁড়িটি মোগল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মোগল বাদশাদের স্থাপত্বকীর্তিতে নির্মিত তিনটি গুম্বজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫ শত মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা থেকে প্রায় ১৫/২০ ফুট দহ্মিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক ছালা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দহ্মিণ পুর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মুলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) সিলেট আগমন কালে দিল্লী থেকে আসার সময় নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহঃ) পদত্ত এক জোড়া কবুতর (সিলেটি উচ্চারণ -কৈতর) সঙ্গে আনেন। কবুতর জোড়া সিলেট নিয়ে আসার পর বংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর কবুতর বলে জালালী কৈতর নামে খ্যাত হয়। ধর্মীয় অনূভূতির কারণ এ কবুতর কেহ শিকার করতো না। শাহ পরাণ এ বিষয়টি আমলে না নিয়ে,প্রতি দিন একটি করে কবুতর খেতেন। কবুতরের সংখ্যা কম দেখে হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) অনুসন্ধানে মুল ঘটনা জেনে রুষ্ট হন। একথা শাহ পরা্ন (রহঃ) জানতে পেরে গোপন করে রাখা মৃত কবুতরের পাক হাতে উঠিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে বললেন; আল্লাহর হুকুমে কবুতর হয়ে হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর কাছে পৌছে যাও।সাথে সাথে পাক গুলো এক ঝাক কবুতর হয়ে শাহ জালালের কাছে পৌছে গেল। হযরত শাহ্জালাল ইয়েমনী (রহঃ)ভাগিনেকে ডেকে বললেন; তোমার অলৌকিক শক্তি দেখে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি । কিন্তু এ ভাবে প্রকাশ্যে কেরামত প্রকাশ করা সঠিক নয়। সব মানুষের বুঝ শক্তি এক রকম হয় না। এ ভাবে কেরাত প্রকাশের কারণ মানুষ ভুল ব্যাখ্যায় পতিত হতে পারে। এরপর শাহ পরাণকে খাদিম নগর এলাকায় ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দিয়ে সেখানে পাঠিয়ে দেন। শাহ পরাণ খাদিম নগরে ইসলাম প্রচারে তাঁর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিজেকে ব্যস্ত রাখেন এবং এখানেই তিনি চির নিদ্রায় শায়িত হন।</p>

হযরত শাহ পরান (রহঃ) এর জীবনী

শাহ পরা্ন (রহঃ) এর পুর্ব পুরুষগণ মুলত বোখারীর শহরের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর উধ্বতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন(রহঃ), বোখারী হতে ধর্ম প্রচারে জন্...

Read more »

আযান ও আযানের দোআ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আযান</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَللهُ اَكْبَرُط اَللهُ اَكْبَرُطاَللهُ اَكْبَرُط اَللهُ اَكْبَرُط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আল্লাহ  মহান,   আল্লাহ  মহান,      আল্লাহ  মহান,   আল্লাহ মহান,</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ طاَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আমি   সাক্ষ্য   দিচ্ছি    যে,   আল্লাহ্   ছাড়া    কোন    মাবুদ  নেই।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আমি   সাক্ষ্য    দিচ্ছি     যে,   আল্লাহ্   ছাড়া   কোন   মাবুদ  নেই</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَشْہَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আমি   সাক্ষ্য   দিচ্ছি   যে,   হযরত   মুহাম্মদ   ﷺ   আল্লাহ্র  রাসূল।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَشْہَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আমি   সাক্ষ্য   দিচ্ছি   যে,   হযরত   মুহাম্মদ   ﷺ   আল্লাহ্র  রাসূল।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">حَیَّ عَلَی الصَّلٰوۃ طحَیَّ عَلَی الصَّلٰوۃ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">নামাযের দিকে আসুননামাযের দিকে আসুন</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">حَیَّ عَلَی الفَلَاح طحَیَّ عَلَی الفَلَاح ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">মুক্তি পেতে আসুনমুক্তি পেতে আসুন</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَللهُ اَكْبَرُط اَللهُ اَكْبَرُط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান,</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন মাবুদ নেই।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আযানের দোয়া</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আযানের   পর    মুয়াজ্জিন     ও   শ্রোতাগণ   দরূদ   শরীফ  পড়ে এ দোয়াটি পাঠ করবেন।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّآ مَّةِ ط وَ الصَّلٰو ةِ الْقَآئِمَةِ ط اٰتِ سِيِّدَنَا مُحَمَّدَ نِالْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ ط وَ الدَّرَجَةَ الرَّفِيْعَةَ ط وَ ابْعَثْهُ  مَقَا مًا مَّحْمُوْدَ   نِالَّذِىْ  وَعَدْتَّهٗ  ط  وَ  ارْزُقْنَا شَفَاعَتَهٗ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ط اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ط بِرَ حْمَتِكَ يَاۤ اَرْحَمَ الرَّا حِمِيْنَ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ:  হে  আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ   আহ্বান  ও সুপ্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই মালিক। তুমি আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ  صَلَّی     اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   কে  দানকর ওয়াসীলা,     সম্মান    ও     সর্বোচ্চ     মর্যাদা    এবং     তাঁকে প্রশংসিত  স্থানে  অধিষ্ঠিত  করো।  যার  প্রতিশ্রুতি  তুমি  তাঁকে দিয়েছ  এবং কিয়ামতের  দিন আমাদেরকে  তাঁর সুপারিশ      নসীব     করো।     নিশ্চয়       তুমি     প্রতিশ্রুতির   ব্যতিক্রম  করো না। আমাদের উপর  আপন দয়া   বর্ষণ করো, হে সবচেয়ে বড় দয়াবান।</div><div class="separator" style="clear: both; font-family: "times new roman"; font-size: medium; margin: 0px; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaj0549dPdScXpOXDoCukbeWPm822zwWKrt9TOfvxNFziFZlvsofu6qcJ_lWRC3X1ahatODzV0yNpgup4-mwGTguPXF94tHQbxewp5gcUlVLfvVVGd1Q98MYYWPkTYtnUw_845WrPhTX-l/s1600/orca-image-1516140111922.jpg_1516140112024-750x350.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-blogger-escaped-data-original-height="350" data-blogger-escaped-data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaj0549dPdScXpOXDoCukbeWPm822zwWKrt9TOfvxNFziFZlvsofu6qcJ_lWRC3X1ahatODzV0yNpgup4-mwGTguPXF94tHQbxewp5gcUlVLfvVVGd1Q98MYYWPkTYtnUw_845WrPhTX-l/s320-rw/orca-image-1516140111922.jpg_1516140112024-750x350.jpeg" style="cursor: move;" width="320" /></a></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">শাফায়াতের সুসংবাদ</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ফরমানে  মুস্তফা صَلَّی  اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ وَسَلَّم: “যখন তোমরা আযান শুনো তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও ঐ    সকল  শব্দগুলো  আদায়  করো   (বলো)  ,  অতঃপর  আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করো, এরপর ওয়াসীলা তালাশ    করো।    এরূপ      করা    ব্যক্তির    উপর     আমার সুপারিশ  ওয়াজিব   হয়ে  যায়।”  (মুসলিম,   ২০৩  পৃষ্ঠা, হাদীস-৩৮৪)</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ঈমানে মুফাসসাল</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اٰمَنْتُ بِاللهِ وَ مَلٰٓئِكَتِهٖ وَ كُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ وَ الْيَوْمِ الْاٰخِرِ</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">وَ الْقَدْرِ  خَيْرِهٖ   وَ شَرِّهٖ مِنَ اللهِ تَعَالٰى  وَ الْبَعْثِ بَعْدَ  الْمَوْتِ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ: আমি ঈমান আনলাম আল্লাহ্ তাআলার উপর, তাঁর  ফিরিশতাগণের  উপর, আসমানী   কিতাব সমূহের উপর,  তাঁর  রাসুলগণের  উপর,  শেষ   দিবসের   উপর,  আল্লাহ্    তাআলার     পক্ষ     থেকে    নির্ধারিত    তকদিরের ভাল-মন্দের উপর এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ঈমানে মুজমাল</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اٰمَنْتُ   بِاللهِ   كَمَا   هُوَ   بِاَسْمَآئِهٖ   وَصِفَاتِهٖ   وَ   قَبِلْتُ   جَمِيْعَ  اَحْكَامِهٖۤ اِقْرَارٌۢ</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">بِا للِّسَانِ وَ تَصْدِيْقٌۢ بِالْقَلْبِ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ: আমি আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান আনলাম, যেভাবে  তিনি  নিজের  নাম  সমূহ  ও  আপন  গুণাবলীর  সাথে  আছেন   এবং   আমি  তাঁর   সমস্ত     বিধি-বিধানকে মৌখিক    স্বীকৃতি    সহকারে    ও     অন্তরের      সত্যায়নের  মাধ্যমে মেনে নিলাম।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ছয় কলেমা</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">প্রথম ‘কলেমা তায়্যিব’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْ لُ اللهِ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ:   আল্লাহ্   তাআলা   ছাড়া    কোন   মাবুদ    নেই, (হযরত)  মুহাম্মদ            صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم আল্লাহর রাসুল।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">দ্বিতীয় ‘কলেমা শাহাদাত’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤاِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَ رَسُوْلُهٗ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ: আমি  সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন   মাবুদ   নেই।   তিনি   একক,   তাঁর   কোন   শরীক  (অংশীদার)  নেই  এবং  আমি  আরো   সাক্ষ্য  দিচ্ছি   যে, (হযরত) মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   তাঁর বান্দা ও রাসুল।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">তৃতীয় ‘কলেমা তামজীদ’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">سُبْحٰنَ اللهِ وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ وَ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ: আল্লাহ পবিত্র।  সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।  আল্লাহ    তাআলা    ছাড়া   কোন    মাবুদ   নেই।     আল্লাহ  মহান।  আর গুনাহ  থেকে  বাঁচার  শক্তি ও নেক    আমল করার   সামর্থ্য  এক  মাত্র  আল্লাহরই   পক্ষ  থেকে,  যিনি সবার চেয়ে মহান, অতীব মর্যাদাবান।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">চতুর্থ ‘কলেমা তাওহীদ’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">لَاۤ اِلٰهَ   اِلَّا اللهُ   وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ  لَهٗ ط   لَهُ  الْمُلْكُ وَ لَهُ  الْحَمْدُ يُحْىٖ وَ    يُمِيْتُ  وَ  هُوَ  حَىٌّ لَّا يَمُوْتُ  اَبَدًا اَبَدًاط ذُو الْجَلَالِ   وَ  الْاِكْرَامِط بِيَدِهِ الْخَيْرُط وَ هُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْ ءٍ قَدِيْرٌط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ:   আল্লাহ্   তাআলা   ছাড়া   কোন   মাবুদ   নেই।  তিনি অদ্বিতীয় তাঁর  কোন  শরীক নেই।  সমগ্র  সাম্রাজ্য একমাত্র   তাঁর।  সমস্ত    প্রশংসাও  একমাত্র   তাঁর  জন্য। তিনিই   জীবন    দান   করেন।    আর    তিনিই    মৃত্যু   দান করেন   । তিনি চিরঞ্জীব;তাঁর  কখনো  মৃত্যু আসবে না। তিনি  খুবই  মহত্ব   ও  মর্যাদার   অধিকারী।  সমস্ত  মঙ্গল তাঁরই হাতে। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">পঞ্চম ‘কলেমা ইস্তিগফার’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَسْتَغْفِرُ اللهَ  رَبِّىْ  مِنْ كُلِّ ذَنْۢبٍ اَذْنَبْتُهٗ عَمَدًا  اَوْ خَطَأً  سِرًّا  اَوْ عَلَانِيَةً  وَّ  اَتُوْبُ  اِلَيْهِ   مِنَ الذَّنْۢبِ  الَّذِىْۤ اَعْلَمُ وَ  مِنَ   الذَّنْۢبِ الَّذِىْ  لَاۤ اَعْلَمُ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ  وَ سَتَّارُ الْعُيُوْبِ    وَ   غَفَّارُ الذُّنُوْبِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ ط</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ:   আমি   আমার   পালনকর্তা   আল্লাহ্   তাআলার  নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করছি ঐ সমস্ত গুনাহ থেকে যা আমি জেনে  শুনে  অথবা  ভুলবশত করেছি,  গোপনে   করেছি অথবা প্রকাশ্যে এবং আমি তাঁর দরবারে তাওবা করছি ঐ  সমস্ত   গুনাহ  হতে যা  আমার  জানা  রয়েছে  এবং ঐ গুনাহ হতে যা আমার জানা নেই। নিশ্চয় তুমি গাইবের জ্ঞান   রাখ,  দোষ-ত্রুটি  গোপনকারী,  গুনাহ্ ক্ষমাকারী। আর গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার ক্ষমতা আর নেক আমল করার  তাওফীক  একমাত্র  আল্লাহ্রই  পক্ষ  থেকে।  যিনি  অতীব উচ্চ মর্যাদবান ও অত্যন্ত মহান।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ষষ্ঠ ‘কলেমা রদ্দে কুফর’</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">اَللّٰهُمَّ اِنِّىْۤ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ اَنْ اُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا  وَّ اَنَا  اَعْلَمُ بِهٖ  وَ اَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَاۤ اَعْلَمُ بِهٖ تُبْتُ عَنْهُ وَ تَبَرَّأْتُ مِنَ الْكُفْرِ وَ  الشِّرْكِ  وَالْكِذْبِ   وَ  الْغِيْبَةِ    وَ   الْبِدْعَةِ  وَ   النَّمِيْمَةِ    وَ الْفَوَاحِشِ وَ الْبُهْتَانِ وَ الْمَعَاصِىْ كُلِّهَا وَ اَسْلَمْتُ وَ اَقُوْلُ لَاۤ اِلٰهَ   اِلَّا اللهُ   مُحَمَّدٌ  رَّسُوْلُ   اللهِ ط  صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনুবাদ: হে আল্লাহ! জেনে শুনে  তোমার সাথে কিছুকে শরিক   করা  থেকে   আমি   তোমার  কাছে   আশ্রয়  চাই। তোমার কাছে আমি সেই সব (শিরকের) গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা   করছি যা আমার  জানা  নেই। আমি সেই গুনাহ থেকে তাওবা করছি।আর আমি  কুফর, শিরক,   মিথ্যা, গীবত, বিদআত, চুগোলখুরি, অশ্লীলতাঅপবাদ দেওয়া এবং সকল প্রকার গুনাহের উপর (স্থায়ীভাবে) অসন্তুষ্ট। আমি   ইসলাম   গ্রহণ    করেছি।       আমি    বলছি,   আল্লাহ্ তাআলা ছাড়া কোন মাবুদ নেই; (হযরত) মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ রাসুল।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">পান গুটকা ধ্বংসাত্মকতা</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">শায়খে   তরীকত,  আমীরে  আহলে   সুন্নাত,  দা’ওয়াতে   ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরতে আল্লামা মওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস  আত্তার    কাদিরী  রযবী   যিয়ায়ীدَامَتۡ   بَرَکاتُہُمُ  الۡعَالِیَہ এর পক্ষ থেকে-</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">আফসোস!    আজকাল,    পান,    গুটকা,    সুগন্ধীময়    চুন  সুপারি   বিশিষ্ট   মিষ্টান্ন    এবং    সিগারেট   পান     ইত্যাদি ব্যাপক হয়ে গেছে।  আল্লাহ্ তাআলা  না  করুক  যদি   এ গুলোর    মধ্যে    কোন        একটিতে    অভ্যস্থ     হোন    তবে সবচেয়ে ডাক্তারের নিষেধের কারণে শত অনুতপ্ত হয়ে  পরিত্যাগ করার পূর্বে  প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   এর   উম্মতের   নগন্য   সহানুভূতিশীল   সগে  মদীনা      (عُفِىَ       عَنْهُ)     এর     আকুল     আবেদন     মেনে পরিত্যাগ করুন।</div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;"><br /></div><div style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অনেক সময় ইসলামী ভাইদের পান গুটকা দ্বারা রঞ্জিত মুখ দেখে  মন  কেঁদে   উঠে  এবং যখন কেউ এসে বলে যে,   আমি  পান  বা  সিগারেটের  অভ্যাস  বর্জন   করেছি তখন   মন   খুশি   হয়ে   যায়।   উম্মতের   মঙ্গল   কামনার  প্রেরণা নিয়ে আবেদন   করছি-অধিক  হারে  পান-গুটকা ইত্যাদি  খাদকদের  সর্ব  প্রথম মুখ  প্রভাবিত হয়।  এক ইসলামী    ভাই,    যে    গুটকা     খেতে     খেতে    মুখ     লাল করেছিল  তার কাছে আমি (সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ) মুখ খুলতে  বললাম,   সে  কোন   ভাবে  একটু  খুলতে  সক্ষম হলেন, জিহ্বা বের   করতে    অনুরোধ করলাম ভালভাবে বের করতে পারল না। জিজ্ঞাসা করলাম: মুখে ফোঁড়া হয়েছে?  বললো: জ্বী   হ্যাঁ। আমি  তাকে  গুটকা  খাওয়া  পরিত্যাগ করতে পরামর্শ দিলাম। اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ عَزَّوَجَلَّ সে এ গরীবের কথা  মেনে  গুটকা খাওয়ার অভ্যাস  ছেড়ে দিলো।  প্রত্যেক পান  বা  গুটকা  খাদক  এভাবে  আপন মুখের   অবশ্যই    পরীক্ষা   করে    দেখুন   কেননা   সেটার অধিক  ব্যবহার  মুখের  নরম  মাংসকে  শক্ত  করে  দেয়  যার  কারণে    মুখ   পূর্ণভাবে   খোলা  এবং  জিহ্বা  ঠোঁটের বাইরে    বের    করা    কষ্টকর    হয়ে    যায়।    সাথে    সাথে  নিয়মিত   চুন  ব্যবহারে  মুখের  চামড়া  ছিড়ে   ফোড়া  হয়ে  যায় এবং  এটাই  মুখের আলসার। এসব লোকের সুপারি    গুটকা,    মিষ্টি    জর্দ্দা   ও   পান    ইত্যাদি      থেকে তৎক্ষণাৎ  বিরত  থাকা চাই  নতুবা  এই আলসার   বৃদ্ধি  পেয়ে  আল্লাহর   পানাহ   ক্যান্সারের   রূপ   ধারণ  করতে পারে।</div></div>

আযান ও আযানের দোআ

আযান اَللهُ اَكْبَرُط اَللهُ اَكْبَرُطاَللهُ اَكْبَرُط اَللهُ اَكْبَرُط আল্লাহ  মহান,   আল্লাহ  মহান,      আল্লাহ  মহান,   আল্লাহ মহান, اَشْ...

Read more »

মাযহাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">মহান আল্লাহপাক মানবজাতিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে যুগে অগণিত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মধ্যে দিয়ে নবুওতের পরিসমাপ্তি ঘটে। নবী (সা.) এর ওফাতের পর তাঁর সুচারু দায়িত্ব পালন করেন সাহাবায়ে কেরাম এরপর এই মহান দায়িত্ব পালন করবেন উলামায়ে কেরামগণ। এটাই ইসলামের মূলকথা। খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনের শেষ দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোলযোগকে কেন্দ্র করে নানা দল উপদলের সৃষ্টি হয়। তখন ধর্মীয় বিষয়াদির ব্যাখ্যায়ও বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। মহান আল্লাহপাক তখন মুসলিম উম্মাহর উপর দয়াপরবশ হয়ে কুরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকজন মুজতাহিদ আলেমের আবির্ভাব ঘটান। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, আবুল হাসান আশআরী, আবু মনসুর মাতুরিদী, ইমাম তাহাবী ও ইমাম গাজ্জালী (রহ.) এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরা মুসলিম জনতার মধ্যে কুরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। ফলে গোটা মুসলিম উম্মাহ পেয়ে যায় সত্য ও সঠিক পথের সন্ধ্যান। ইমাম আবু হানিফা (৮০-১৫০ হিজরি), ইমাম মালিক (৯৩-১৭৯ হিজরি), ইমাম শাফিয়ী (১৫০-২০৪ হিজরি), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিজরি), প্রত্যেকে এক একটি মাজহাব গঠন করেন। তৎকালীন বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরামগণ একথায় একমত হন যে, উক্ত চার মাজহাবের চার ইমামই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ এবং তাদের ইজতেহাদই সত্য, সঠিক ও নির্ভূল। যে কেউ উক্ত চার ইমামের যে কোন একজনের অনুসরণ করবে, সেই ব্যক্তিই সত্য ও সঠিক পথের অনুসারীই বলে গণ্য হবে। তবে উক্ত চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা (রা.)-ই সর্বাধিক সমাদৃত। বিশ্বের সিংহভাগ মুসলমানও ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মাজহাবের অনুসারী।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">মুসলমান মাত্রই ইসলামী শরীয়তের সকল বিধি-বিধান পালন করতে হবে, এটা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। কুরআন-হাদিসের সঠিক মর্ম উদঘাটন করা বা শরীয়তের সকল বিধান বুঝে নেয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য কুরআন-হাদিসকে সঠিকভাবে বুঝা এবং ইসলামের বিধি-বিধানকে পরিস্কারভাবে জানার জন্য ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেমের দ্বারস্থ হতে হবে। মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন, চার মাজহাবের চার ইমাম। অর্থাৎ শরীয়তের বিধানাবলীকে সঠিকভাবে উপলব্দি করার জন্য চার মাজহাবের যেকোনো ইমামের অনুসরণ করতেই হবে। সত্য ও সঠিক পথে চলার নিমিত্তে যে কোনো মাজহাবের অনুসরণ বা ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলমের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ‘উলিল আমর’ বা মুজতাহিদ আলেম, তাদের অনুসরণ কর’ (সূরা- নিসা : আয়াত-৫৯)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">‘যখন তাদের কাছে শান্তি অথবা শংকা বিষয়ক কোনো সংবাদ আসে, তখন তারা তার প্রচারে লেগে যায়, অথচ বিষয়টি যদি তারা রাসূল এবং তাদের মধ্যে যারা ‘উলিল আমর’ আছেন তাদের কাছে পেশ করতো, তাহলে সুক্ষ বিচার শক্তির অধিকারী ব্যক্তিগণ বিষয়টির যথাযর্থতা উদঘাটন করতে পারতেন’ (সূরা-নিসা : আয়াত-৮৩)। </div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">উক্ত আয়াত দু’টিতে ‘উলিল আমর’ বলতে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামকে বুঝানো হয়েছে এবং শরীয়ত বিষয়ে তাদের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। </div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">‘তোমাদের ইলিম না থাকলে আহলে জিকির বা আহলে ইলিমদের নিকট জিজ্ঞেস করে জেনে নাও’ (সূরা-নাহ্ল : আয়াত-৪৩, সূরা-আম্বিয়া : আয়াত-৭)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">উক্ত আয়াতে ও ‘আহলে জিকির’ দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">‘এদেরকে আল্লাহ সৎপথ দান করেছেন সুতরাং তোমরা তাদেরকে অনুসরণ করে’ (সূরা-আনআ’ম : আয়াত-৯০)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">‘ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য প্রত্যেক দল থেকে একটি উপদল কেন বের হয় না? যেন ফিরে এসে স্বজাতিকে তারা সতর্ক করতে পারে’ (সূরা-তাওবা : আয়াত-১২২)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; font-size: medium; margin: 0px;"></div><div style="text-align: justify;">উক্ত আয়াত গুলোতেও আল্লাহপাক আমাদেরকে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত আয়াতগুলো দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণকে আল্লাহপাক আমাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব, দিবালোকের ন্যায় প্রমাণ হল- মাজহাব মানা আমাদের উপর ফরজ। সত্য ও সঠিক পথ পেতে হলে মাজহাব অবশ্যই মেনে নিতে হবে।</div><div style="text-align: justify;">ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো সমস্যার সমাধান সরাসরি কুরআন-হাদিসে না পেলে কুরআন-হাদিসের আলোকের উপর ইজতিহাদ করে উদঘাটিত বিষয়ের উপর আমল করার প্রতি হাদিসে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">দ্বীনি বিষয়ে মুজতাহিদ আলেমের তাকলীদ বা অনুসরণকে রাসূলেপাক (সা.) অপরিহার্য ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে অগণিত হাদিস রয়েছে-</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">হযরত হুজাইফা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন- ‘জানিনা, আমি আর কতোদিন তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবো। তবে আমার পরে তোমরা আবু বকর ও ওমর এ দু’জনের অনুসরণ করে যাবে’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও আহমদ)। </div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- ‘তোমরা আমার সুন্নতকে এবং খোলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরবে’ (আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">অন্যান্য হাদিসে নবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামের ইকতেদা বা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- তোমরা আমাকে দেখে আমার অনুসরণ কর আর তোমাদের পরবর্তীরা তোমাদের দেখে অনুসরণ করবে (বুখারী ও মুসলিম)। </div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- জাবিয়া নামক স্থানে একবার খুতবা দান কালে ওমর (রা.) বললেন, হে লোক সকল কুরআন সম্পর্কে তোমাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে উবাই ইবনে কা’বের কাছে, ফারায়েজ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে জায়েদ বিন সাবেতের কাছে, ফিকাহ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে মু’আজ বিন জাবালের কাছে যাবে; আর অর্থ সম্পদ বিষয়ক কোনো প্রশ্ন থাকলে জানার জন্য আমার কাছেই আসবেন। কেননা আল্লাহ আমাকে এর বন্টন ও তত্ত্বাবধানের কাজে নিযুক্ত করেছেন (তিবরানী)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">সাহাবায়ে কেরামের সময়ের কথা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যাদের ইজতেহাদী যোগ্যতা ছিলনা তারা নিঃসংকোচে ফকীহ ও মুজতাহিদ সাহাবাগণের স্মরণাপন্ন হতেন এবং বিনা দলীলেই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সে মোতাবেক আমল করে যেতেন। </div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে কুফায় পাঠানোর প্রাক্কালে কুফাবাসীদের নামে লেখা এক চিঠিতে হযরত ওমর (রা.) বলেছেন- আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে শাসক এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে শিক্ষক ও পরামর্শদাতারূপে আমি তোমাদের কাছে পাঠালাম। এরা বিশিষ্ট বদরী সাহাবী। তোমরা তাদের অনুসরণ করবে এবং যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবে।’</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">হযরত মু’আজ ইবনে জাবাল (রা.) কে ইয়ামন পাঠানোর সময় রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন- হে মু’আজ! উদ্ভূত সমস্যার সমাধান তুমি কিভাবে করবে? হযরত মু’আজ (রা.) বললেন, কুরআনের আলোকে সমস্যা সমাধান করবো। রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কুরআনে এর সমাধান না পেলে কি দিয়ে সমাধান করবে? হযরত মু’আজ (রা.) হাদিসের আলোকে এর সমাধান করবো। রাসূল (সা.) আবার মু’আজ (রা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, হাদিসেও সমাধান খুঁজে না পেলে কি করবে? হযরত মু’আজ (রা.) বললেন, কুরআন-হাদিসে সমাধান না পেলে আমি ইজতিহাদ করবো এবং সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো এতে কোনো ক্রটি করবো না। হযরত মু’আজ (রা.) এর কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে রাসূল (সা.) তাঁর পবিত্র হাত মোবারক দ্বারা মু’আজ (রা.) এর বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহপাক তাঁর রাসূলের দূতকে রাসূলের সন্তুষ্টি মোতাবেক কথা বলার তওফিক দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমিজি)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">উক্ত হাদিস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত, কুরআন-হাদিসে সরাসরি নেই এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যিনি ইজতেহাদ করবেন তাকে অবশ্যই ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেম হতে হবে (যার মধ্যে ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফ উভয় প্রকার ইলিম আছে তাকেই আলেম বলে)। মুজতাহিদ পর্যায়ের আলেম ইজতেহাদ করে যে মাসআলা বের করবেন তার উপর আমল করা যে ফরজ তা উক্তি হাদিস গুলো দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত। উল্লেখ্য যেসকল বিষয়ে আগেকার মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামগণ চূড়ান্ত ফয়সালা দিয়ে গেছেন যে সব বিষয়ে আর ইজতেহাদ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আগেকার আলেমগণ ছিলেন তীক্ষ্ম মেধার অধিকারী, ইলিম ও আমলে ছিলেন শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী তাদের ফতোয়াই ছিল সঠিক ও নির্ভুল। তারাই অগ্রগণ্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, উহারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত’ (সূরা : ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ১০-১১)।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। মাজহাব মানার বিষয়টি কুরআন হাদিস দ্বারাই সুস্পষ্ট প্রমাণিত। যারা মাজহাব মানে না তারা পথভ্রষ্ট হতে বাধ্য। কেউ কেউ বলতে পারেন- আমরা সরাসরি কুরআন হাদিস থেকে মাসআলা বের করে আমল করবো। কিন্তু কোনো ইমামের মাজহাব মানবো বা। আমি এর জবাবে বলবো, যারা ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী মনে করলাম তারা কিছুটা মাসআলা বের করে আমল করলো কিন্তু যারা জাহিল বা অজ্ঞ তারা কি কুরআন-হাদিস থেকে মাসআলা বের করতে পারবে? তারা তো কোনোক্রমেই তা পারবে না। প্রশ্ন হল এরা কিভাবে ইসলামী জীবন-যাপন করবে? আজ যারা নিজেদেরকে আলেম দাবি করে মাজহাব অস্বীকার করছেন, মাজহাব মানছেন না। তারা কি কখনও চার মাজহাবের চার ইমামের কারো মতো আলেম হতে পেরেছেন? বা কখনও এরূপ আলেম হতে পারবেন? আমি এর জবাবে বলবো আজকে যে যতবড় আলেম দাবি করেন না কেন তিনি কখনও সেই চার মাজহাবের চার ইমামের কারো মতো আলেম হতে পারবেন না। তাই আমি বলবো আলেম হোক বা জাহিল হোক সবাইকে অবশ্যই মাজহাব মানতে হবে। মাজহাব মানা সকলের জন্য অতি জরুরি।</div><div dir="ltr" style="font-family: "times new roman"; margin: 0px; text-align: justify;">মাজহাব মানে পথ, মত ও নীতি। একজন মুজতাহিদ আলেম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নীতি অনুসারে যে নীতি প্রণয়ন করেন সেটাই হচ্ছে মাজহাব। যারা মাজহাব মানেন না, তারা মাজহাব বিরোধী নানা ধরনের অবান্তর প্রশ্ন করে থাকেন। তারা যেসব প্রশ্ন করে থাকেন তা হচ্ছে- রাসূল (সা.) এর মাজহাব কি ছিল? সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব ছিল কোনটি? চার মাজহাবের চার ইমাম কোনো মাজহাবের অনুসারী ছিলেন? আমি এর জবাবে বলবো- রাসূল (সা.) ছিলেন স্বয়ং শরীয়ত প্রণেতা ও শরীয়তের মূল ব্যাখ্যাদাতা। তিনি তো সর্ববিষয়ে আল্লাহর অনুসরণ করেছেন। সাহাবায়ে কেরামগণ সরাসরি রাসূল (সা.) এর অনুসরণ করেছেন। রাসূল (সা.) এর আদর্শই ছিল সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব। আর চার মাজহাবের চার ইমাম বড় বড় সাহাবী ও তাবেয়ীদের সাহচর্য লাভ করে তাদের অনুসরণ করেছেন। এভাবে চার মাজহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মারা গিয়েছেন তারা কোনো না কোনো মুজতাহিদ আলেমের অনুসারী ছিলেন। আমাদের মধ্যে অনেকে মাজহাব মানেন কিন্তু তারা মাজহাব মানতে ভুল করে থাকেন। যেমন- তারা নামাজের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলা গ্রহণ করেন কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলার বিরোধীতা করে থাকেন। এরূপ যারা করেন তাদের মাজহাব মানা হবে না, এরূপ করা মাজহাব অস্বীকার করার নামান্তর। মাজহাব মানার ক্ষেত্রে কখনও সুবিধাবাদী হওয়া যাবে না। যে ইমামের মাজহাব অনুসরণ করবেন সকল মাসআলার ক্ষেত্রে সেই ইমামের ফতোয়া অবশ্যই মেনে নিতে হবে। মাজহাব মানা ফরজ। সত্য ও সঠিক পথে চলতে হলে চার মাজহাবের যে কোনো ইমামের মাজহাব মেনে নেয়া উচিত।</div></div>

মাযহাব

মহান আল্লাহপাক মানবজাতিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে যুগে অগণিত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসূল হয...

Read more »

‘ইয়ার’ কে নিয়ে চার মহামানবের চার কবিতা

<p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">‘ইয়ার’ কে নিয়ে চার মহামানবের চার কবিতা</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-----</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সাক্বানিল হুব্বু- ভালবাসার পিলানেওয়ালা</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কাসাতিল বিসালি- একত্রিত হওয়ার পাত্র এগিয়ে দিলো</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ফাকুলতু লি খামরাতি- তাই আমি আমার শরাবকে বললাম</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নাহওয়ি তাআলি- এগিয়ে এসো আমার কাছে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শরাব তখন এগিয়ে এলো পাত্রে পাত্রে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মাতাল হয়ে মাতাল থেকেই</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">চিনতে পারলাম আমার মাওলাদেরকে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-সূফিদের ইমামুল আইম্মা সাইয়্যিদ আবদুল ক্বাদির জিলানি রা.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমি আনাল হক্ব বলি না, বলে আমার স্বামী*-</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">স্বামী যখন বলে কিছু, অস্বীকার করি আমি?</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">“মান নামি গোয়াম আনাল হক্ব”</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">- সূফিদের ইমাম খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতি রা.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">(স্বামী: ইয়ার। প্রভুও হয়. বজম ফ্রেন্ডও হয়।)</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৩.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমি যদি তোর তো তখন আমারই হোস তুই-</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">দেহ যদি এইখানেই, আত্মা আমার কই?</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">না যেন কেউ বলতে আসে! কক্ষনো, কোথাও-</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তুই অন্য কেউ আর আমি? অন্য কোনও হই।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">“মান তান শুদাম, তু জা শুদি”</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-সূফিদের ইমাম আমির খসরু রা.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৪.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমি যদি হইগো মাতাল, যদি মূর্তিপূজক হই</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তবে তা-ও নাহয় নিলাম মেনে, বলবি যা আজ তুই</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমি শরাবি, আমিই খোদ্ মূর্তি হলাম আজ</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">খোদা গ্রহণ করুন যেমন আর যা আছিস তুই</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জানিস, বুকের ভিতর ক’দিন ধরে মূর্তি পুঁতে রেখে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রাতের বেলায় পূজি তারে, এম্নি, দেখে দেখে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">“আগার রিন্দম আগার মান বূত পারাস্তাম”</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-সূফিদের ইমাম বূ আলী শাহ্ কালান্দার রা.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">.</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">প্রাসঙ্গিক আলোচনা:</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমরা সব সময় বলে এসেছি, সূফিত্ব অনুভবের বিষয়। সূফিত্ব উপলব্ধির বিষয়। সূফিত্ব লেভেল আনলক করার বিষয়। সব ধরনের সংস্কার- তা কু সংস্কার হোক আর সু সংস্কার হোক, মুক্ত হবার বিষয়। নিজেকে চিনতে পারা... টুল ও অ্যাপারেটাস হওয়ার বদলে শিরদাঁড়া সোজা করে পূর্ণ মানুষ ‍রূপে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার দেয়ার বিষয়। সূফিত্ব একটা পথযাত্রা, যে পথযাত্রায় শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ. ও তাঁদের প্রিয়জনদের সাথে ঘনিষ্ট হওয়া যায়।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সূফিত্ব সেই পথ, যে পথে মানুষ শেষ পর্যন্ত একই আলোয়, এবং মুক্ত আলোয়, সবকিছুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পায়।</p>

‘ইয়ার’ কে নিয়ে চার মহামানবের চার কবিতা

‘ইয়ার’ কে নিয়ে চার মহামানবের চার কবিতা ----- ১. সাক্বানিল হুব্বু- ভালবাসার পিলানেওয়ালা কাসাতিল বিসালি- একত্রিত হওয়ার পাত্র এগিয়ে দিলো ফাকুলত...

Read more »

কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না?

<p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না?</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-----</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শিয়া হয় কারা আমরা সবাই জানি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শিয়া হয় সূফিপন্থীদের মধ্যে পাগল+অবুঝ যারা, তাদের একাংশ। তো কথা হল, সূফিপন্থীদের কখনো পাগল+অবুঝ হওয়া যাবে না। পাগল হলেও বাঁচা যায়, অবুঝ হলেও বাঁচা যায়। যে পাগল বোঝেও না, তার তো আর পথ রইল না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সে সূফিপন্থী থাকলে সূফিপন্থার বিপদ, শিয়া হলে তো ভালই, শিয়াদের বিপদ। :)</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কারণ, বেবোধ উন্মাদ সব সময়েই নিজের জন্যও ক্ষতিকর, নিজের মতাদর্শের জন্যও ক্ষতিকর, নিজের চারপাশেরও জন্যও ক্ষতিকর।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাও তারা খাঁটি শিয়া হতে পারে না, গোলাপি শিয়া হয়। তাদের শিয়ারাও বাঁকা চোখে দেখে, সুন্নিরা তো গ্রহণই করে না। এইটা তারা জানেও না, বোঝেও না, কারণ ওইটাই, বেবোধ মাস্তানা।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এরা এমন চিজ, এদের কাছে সিদ্দিকে আকবর ফারুকে আযম সহ ৯৯% সাহাবির অসম্মান গায় লাগে না। আর শিয়ারা তাদের দেখে হাসে, কারণ শিয়ারা যে গাউসে পাক জিলানী, খাজা মুঈন, রুমী সহ সব যুগের সব সূফিকে... এটা এই গান্ডুরা বোঝে না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">বেবোধ সূফিপন্থী ছাড়া শিয়া হওয়া প্রায় অসম্ভব।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হুঁশমন্দ সূফিপন্থীরা কখনো শিয়া হবে না, ইনডকট্রিনেশন হয়েছে এমন তরিকতপন্থীরা কখনো শিয়া হবে না, সাধারণ মুসলিমরা কখনো শিয়া হবে না, অপরাপর মতাদর্শ যেমন দেওবন্দি-জামায়াতি-সালাফিরা কখনো শিয়া হবে না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এর কারণ মাত্র একটা:</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কোনও মুসলিম এটা টলারেট করতে পারবে না, যে, আমাদের সাইয়্যিদ আবু বকর আস্ সিদ্দিক রা. ও আমাদের ধর্মগ্রন্থ বোখারি মুসলিমকে তারা সম্পূর্ণ ডিনাই করে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আম্মা আয়িশা, উমার, উসমান রা. সহ ৯৯% সাহাবিদের যারা:</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হয় কাফির বলে,</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নয় মুনাফিক বলে,</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নয় মুরতাদ বলে,</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নয় ভ্রষ্ট বলে,</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নয় অসৎ বলে-</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাদেরকে মুসলিম উম্মাহ্ কখনোই গোণায় ধরেনি এবং কখনোই গোণায় ধরবে না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মানুষ শিয়া হবে না, শিয়া হওয়ার ট্রেন্ড কখনো জারি হবে না, তার কারণ খোদ শিয়াদের বিশ্বাস। এই বিশ্বাস এতই অবিশ্বাস্য যে, পাগল+ছাগল ছাড়া কেউ কোন যুগে শিয়া হবে না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তাহলে আমরা দেখতে পেলাম, ট্রেন্ডি কিন্তু চিন্তাশীল আত্মবিশ্বাসী মানুষ কেন সালাফি হচ্ছে না এবং শিয়া হচ্ছে না। চলছে গাড়ি চলবে...</p>

কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না?

কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না? ----- শিয়া হয় কারা আমরা সবাই জানি। শিয়া হয় সূফিপন্থীদের মধ্যে পাগল+অবুঝ যারা, তাদের একাংশ। তো কথা হল, স...

Read more »

শব্দজাদুর সুঁইও কাফের

<p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শব্দজাদুর সুঁইও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-----</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমিও ‘কাফের’ তুইও ‘কাফের’‍</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ফুলের ওই সুঘ্রানটা কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শব্দজাদুর সুঁইও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এ-ও কাফের, ও-ও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ফ্যায়জ আর মন্টুও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নূরজাহানের গান কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ম্যাকডোনাল্ডসে খান? কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">বার্গার কাফের, কোকও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হাসি তামাশা? জোকও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তবলা কাফের, ঢোলও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">প্রেমভরা দুই বোলও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ওয়ায়েস শাহের ‘হীর’ ও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">‘চাহাত কি জাঞ্জির’ ও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জিন্দা মুর্দা পীরও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">নজর নেয়াজের ক্ষীরও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">বাচ্চার গলার টাইটা কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">পুতুল কেনার ‘পাই’ টা কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হাসি কান্না কুফরের রকমফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">দু:খ কাফের সুখও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জিন্স কাফের, গিটারও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">টাকনুর নিচে সালওয়ারও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ফান কাফের,  জোকারও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">যে আমার ধমকি না ছাপে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"> সেই পত্রিকার আ-কারও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ইউনিভার্সিটির ‘আন্দার’ কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ডারউন ভাইয়ের ‘বান্দার’ কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ফ্রয়েড পড়ানেওয়ালা কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মার্কসের ‘সোহবতওয়ালা’ কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মেলা টেলা? কুফরের ধান্ধা</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">গান-বাজনা? সবই ঠান্ডা</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মন্দিরে তো মূর্তিই আছে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মসজিদেরও অবস্থা বাজে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কিছু মসজিদের বাইরে কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আর কোনটার ভেতর কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মুসলিম দেশে? প্রায় সবই কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কাফের, কাফের, আমিও ‘কাফের’</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কাফের, কাফের, তুইও ‘কাফের’</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">যে মেনেছে সে-ও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">যে না মানে সে-ও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আমিও ‘কাফের’, তুইও ‘কাফের’</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">শব্দজাদুর সুঁইও কাফের</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">টীকা:</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১. মুসলিম উম্মাহ্’র প্রত্যেক খলিফায়ে রাশিদুন থেকে শুরু করে, সাহাবী থেকে শুরু করে প্রত্যেক ইমাম, প্রত্যেক সূফি, প্রত্যেক মুজতাহিদ, ফকিহ, মুহাদ্দিস- তাদের সবাইকে কালিমা পড়াদের বিশাল সংখ্যক উলামা সব যুগে কাফের বলে এসেছে। এই লিস্টের বাইরে কেউ নেই। জঙ্গলে লুকিয়ে গিয়েও কেউ কখনো কাফের ফতোয়া থেকে বাঁচতে পারেনি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২. এটা কাদিয়ানি বিষয়ক নয়। তিহাত্তর ফিরকার পরস্পরের কাফের কাফের খেলা বিষয়ক, যে খেলায় মূল আলোকপাত করেছে নজদ।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৩. কবিতা রূপক এবং ক্ষেত্রবিশেষে সারকাজম হইয়া থাকে, তবু ইহার মধ্যে ব্যাপক বিনোদনের সাথে সামান্য একটু চিন্তার বিষয়ও জড়িত থাকে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সব দোষ: কবি সালমান হায়দারের, আমি অনুবাদকমাত্র।</p>

শব্দজাদুর সুঁইও কাফের

শব্দজাদুর সুঁইও কাফের ----- আমিও ‘কাফের’ তুইও ‘কাফের’‍ ফুলের ওই সুঘ্রানটা কাফের শব্দজাদুর সুঁইও কাফের এ-ও কাফের, ও-ও কাফের ফ্যায়জ আর মন্টুও ...

Read more »

আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না?

<p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না?</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-----</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সবকিছুরই একটা ক্রেজ থাকে। সবকিছুরই একটা ট্রেন্ড থাকে। আধুনিক মানুষ ট্রেন্ডি। পরিবর্তন আনবে যে ট্রেন্ডটা, সেটায় যুক্ত হয় আত্মবিশ্বাসী মানুষ। অলরেডি যা আছে, তা থেকে আরো ভাল বদল আসবে বলে মনে হয় যে ট্রেন্ডটায়, সেটায় তরুণ মনেরা যুক্ত হয়।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মানুষ এখন আর সালাফি হওয়ার ট্রেন্ডে নাই, তার কারণ খুবই সুস্পষ্ট-</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">১. সালাফি বিপ্লবী উগ্রবাদী মতবাদগুলো দেশে দেশে সারা পৃথিবীতে মার খেয়ে গেছে। আইসিস বলেন, আল কায়েদা বলেন, বোকো হারাম বলেন। এটা এখন হারন্ত পার্টি, আর ট্রেন্ডিরা কখনো হারন্ত পার্টিতে নাম লেখায় না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">২. সৌদ শাসক ও যাযাবর গোত্র যে সালাফিজম ২০০ বছর ধরে প্রমোট করছে, সেই সালাফিজম প্রমোট করা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। ঢেলে দেয়ার তেলও নাই, তেল চকচকে মাথাও নাই।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৩. ‘মডারেট’ সালাফি ঘরানাগুলোও মার খেয়ে গেছে। যেমন, উপমহাদেশে জাকির নায়েক।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৪. সালাফিজমের প্রধান মুখপাত্রদের অনেকে কট্টর সালাফিজম ছেড়ে দিয়ে মডারেট সালাফিজমও ছেড়ে দিয়েছেন। অবশেষে সফট সালাফিজম গ্রহণ করেছেন। যেমন ইয়াসির ক্বাদি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৫. সদ্য ট্রেন্ড দেখতে খুবই ভাল। কিন্তু চিন্তাশীলরা বুঝতে শুরু করেছেন, সালাফিজমের ভিতরে যে উগ্র আকিদাগুলো ঢোকানো আছে, যে অবাস্তব দোষারোপের ভিত্তিতে এবং ঘৃণাপ্রসূত ও কল্পনাপ্রসূত ডকট্রিনের ভিত্তিতে সালাফিজম দাঁড়িয়ে আছে- সেগুলোর প্রায় সবই অসার এবং ক্ষণিক। স্রেফ বিরোধিতার খাতিরে আকিদা তৈরি করা হয়েছে। এবং অন্যায়ভাবেই তৈরি করা হয়েছে, বিষয়টা কুরআন ও সুন্নাহ্’র বিপরীতেই যাচ্ছে। এটা যখন তারা বুঝতে পারলেন, তখন এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ওইসব চিন্তকরা, যারা অন্যদের প্রভাবিত করেন।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৬. সালাফিজমের মধ্যে প্রায় ২০০ বিপরীত উপফির্কার জন্ম হল। কোন উপফির্কা সহির মধ্যে সহি, সেটা খুঁজতে গিয়ে হয়রান হয়ে যখন বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেল মানুষ, তখন আর জয়েন করার ট্রেন্ড থাকলো না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৭. সালাফিজম একটা এক্সাইটমেন্টের মধ্যে চলে। এক্ষুনি ভেঙে ফেলবে, এখনি কায়েম করে ফেলবে, এখনি খুন করে ফেলবে, এখনি শুদ্ধ করে ফেলবে, এখনি পরিত্যাগ করবে। মানুষ গঠনগতভাবে শান্তিতে, আনন্দে, স্ট্যাটাস কো তে থাকতে পারে, কখনোই ওভার এক্সাইটেড অবস্থায় বছরের পর বছর থাকতে পারে না। এই ডোপামিন ড্রাইভ, ডোপাম্যানেজিক সোসাইটি আজ অথবা কাল ডিক্লাইন করতোই। কারণ দীর্ঘস্থায়ী এক্সাইটমেন্ট সব সময় হতাশা নিয়ে আসে। শুধু হতাশা না, ব্রেনের ডিক্লাইন হয়, হাড়ের ক্ষয় হয়, দেহ ভেঙে পড়ে। ফলে ব্রেনের হরমোনের অবস্থানটাও পাল্টে যায়। এটা যে অস্বাভাবিক, এটা এক সময় মানুষ ধরতে পারে এবং দূরে সরে যায়।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">৮. সালাফিজমের বিকল্প তৈরি হয়েছে। এটা একটা মেজর কারণ।</p>

আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না?

আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না? ----- সবকিছুরই একটা ক্রেজ থাকে। সবকিছুরই একটা ট্রেন্ড থাকে। আধুনিক মানুষ ট্রেন্ডি। পরিবর্তন আনবে যে...

Read more »

আদি সূফিদের ‘পদস্খলন’ ও বর্তমান সূফিদের ‘বিদআত’ তত্ত্ব

<p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আদি সূফিদের ‘পদস্খলন’ ও বর্তমান সূফিদের ‘বিদআত’ তত্ত্ব</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">-----</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আল্লাহ্ কুরআনে নবীজী দ. কে ডাকলেন:</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রউফ নামে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রহিম নামে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">করিম নামে</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">চাইলে আমরা কুরআন এডিট করে এই কথাগুলো আউট করে দিতে পারি, চাইলে আমরা বলতে পারি, কুরআনে এই কথাগুলো ভুল এসেছে, রাসূল দ. রউফ নন, করিম নন, রহিম নন। রউফ রহিম ও করিম শুধু আল্লাহ্। আবার চাইলে বিষয়টাকে খুব সহজে বুঝে ফেলতে পারি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">পৃথিবীতে এক সেকেন্ডও কাটলো না, অপরদিকে রাসূল দ. ২৭ বছর মি’রাজ করে সেই একই সেকেন্ডে ফিরে এলেন, তাও আবার আলোয় চড়ে, নিজে আলোতে পরিণত হয়ে- এটাকে আমরা কেউ বলতে পারি পদস্খলন, কেউ বলতে পারি, আরে উপমা বোঝ না, উপমা। কেউ বলতে পারি স্বপ্ন। আবার কেউ বলতে পারি তার অবস্থানের বাস্তবতা।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"> তিনি দ. বললেন, আমাকে বারবার প্রশ্ন করো না। আমি যদি বলে ফেলি তোমাদের উপর প্রতি বছর হজ ফরজ তবে প্রতি বছর হজ ফরজ হয়ে যাবে। চাইলে কেউ এটাকে খোদার উপর খোদকারি হিসাবে দেখতে পারে, চাইলে কেউ অন্যভাবে দেখতে পারে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রাসূল দ. উপস্থিত উম্মতকে বললেন, ‘ইয়া ইবাদি! হে আমার দাস!’ আমরা চাইলে কেউ এটাকে রাসূল দ.’র পদস্খলনও বলতে পারি, চাইলে রেওয়ায়েত টেনে ডিনাইও করতে পারি, চাইলে সঠিকও জানতে পারি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কেউ বললো আমি তো সালাতও করতে পারি না, সাওমও না, সাদাকাও করি না। কিন্তু আপনাকে ভালবাসি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">তিনি দ. বললেন, যে যাকে ভালবাসে সে তার সাথে থাকবে।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">চাইলে রাসূল দ.’র এ কথাকে আমরা পদস্খলন বলতে পারি। বলতে পারি, এইসব ফালতু কথা তিনি কেন বললেন? নামাজ কারো মিস হলে, রোযা কেউ রাখতে না পারলে জাহান্নামে যাবে, রাসূল দ.’র কাছে কেন যাবে? আবার চাইলে আমরা অন্য কিছুও বলতে পারি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"> ইবনু উমার রা. কে বলা হল, প্রিয়তমর নাম ডাকুন, তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মাদা দ.! রাসূল দ. তো তখন পবিত্র কবরের ভেতরে, আমরা চাইলে এটাকে শিরকও বলতে পারি, চাইলে পদস্খলনও বলতে পারি, চাইলে এক্কেবারে সঠিকও বলতে পারি। নির্ভর তো আসলে আমাদের উপরে করছে, অন্য কারো উপর নয়। এমনকি ঘটনাটার উপরও নয়।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এক সাহাবি উমার রা.’র কাছে এসে বললেন, কুরআন একত্র করে সংকলন করা জরুরি। উমার রা. বললেন, তুমি কি আমাকে তা করতে বল, যা রাসূল দ. করেননি? তারপর তিনি গ্রহণ করলেন বিষয়টা। এরপর তিনি গেলেন আবু বকর রা.’র কাছে। আবু বকর রা. বললেন, কী বলেন! আপনি কি আমাকে তা করতে বলেন, যা রাসূল দ. করেননি? তারপর তিনিও বিষয়টাকে আলোচনাসাপেক্ষে গ্রহণ করলেন। তিনিও কুরআনকে সংকলন করার সিদ্ধান্ত জানালেন, যা রাসূল দ. করেনও নি, করতে বলেনও নি।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উমার রা. মদিনায় বসে বললেন, ইয়া সারিয়া আল জাবাল! এটাকে আমরা কেউ বলতে পারি দুর্বল রেওয়ায়েত আবার কেউ বলতে পারি উমার রা.’র বাস্তবতা।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আলী রা. বললেন, আমাকে কুরআন দেখিও না, আনা কুরআনিন নাতিক্ব। আমি জ্যান্ত বলন্ত কুরআন। এটাকে আমরা কেউ বলতে পারি প্রকৃত বাস্তব কথা, কেউ বলতে পারি পদস্খলন।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উমার রা. চিঠি লিখে নদীর বুকে বাহক মারফত পাঠিয়ে দিলেন, লিখলেনও নদীকে অ্যাড্রেস করে, আমরা কেউ এটাকে বুলশিট বলতে পারি, বলতে পারি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ.’র একজন খলিফাকে এমন করা মানায় না। এসব বাচ্চার মত কাজকর্ম। হাস্যকর। আবার কেউ বলতে পারি উমার রা.’র বাস্তবতা। </p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">রাসূল দ. বললেন, হে হাসান ও হুসাইন রা.! তোমাদের প্রতি আমার পিতামাতা কুরবান হোন, চাইলে এটাকেও যেভাবে খুশি দেখতে পারি। তিনি দ. বললেন, হে আলী! আমার সন্তানদের দেখাশোনা করুন। বললেন, হাসান ও হুসাইন আমার ও ফাতিমার সন্তান।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আরব সাহাবিরা তাবেয়িরা ইমাম হাসান রা. কে ডাকেন ইয়া ইবনুর রাসূল দ.!</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">হুসাইন রা. কে ডাকেন ইয়া ইবনুর রাসূল দ.!</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">আলী যাইনুল আবিদিন রা. কে ডাকেন ইয়া ইবনুর রাসূল দ.!</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">জা’ফর আস সাদিক্ব রা. কে ডাকেন ইয়া ইবনুর রাসূল দ.!</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">মূসা কাযিম রা. কে ডাকেন ইয়া ইবনুর রাসূল দ.!</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">কীভাবে দেখবে বিষয়টা দেখনেওয়ালার উপর।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">সাহাবিরা রাসূল দ.’র চুল-দাঁড়ি-কাপড় মাথায় টুপিতে সেলাই করে জিহাদে যেতেনে, কবরেও যেতেন সাথে নিয়ে- আমরা কীভাবে দেখব, এটা আমাদের বাস্তবতা।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উসমান রা. টিকাসম্পণ্ণ কুরআন, হাদিস যুক্ত করা কুরআন এবং উল্টাপাল্টা করে একত্র করা কুরআন সারা আরব থেকে যোগাড় করলেন। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে ফেললেন।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এখন কেউ চাইলে বলতে পারে উসমান রা. কুরআন পুড়িয়েছেন। ছি, কুরআন পোড়ানো কী যে মন্দ কাজ! আবার চাইলে সে কুরআনের বিশুদ্ধতার সংকলক হিসাবে আজীবন উসমান রা. কে মাথায় করে রাখতে পারে। চয়েস নিজের কাছে, ঘটনা একই।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">উমার রা. তারাবিতে জামাতের সাথে ২০ রাকাত নামাজের প্রচলন করলেন যদিও রাসূল দ. জামাতের সাথে তারাবিতে বিশ রাকাত পড়াননি। বলা হল, এটা বিদআত। তিনি বললেন, আহ, কতই না সুন্দর বিদআত হয়েছে। চাইলে এটাকে আমরা সহিহ পদ্ধতি মনে করে জীবনযাপন করতে পারি, চাইলে উমার রা.’র পদস্খলন মনে করতে পারি, চাইলে উমার রা. কে বিদআতের বিশ্বজনকও আখ্যা দিতে পারি- নির্ভর করছে আমাদের উপর। ভাল বিদআত আবার কী? এসব কোথায় পেলেন উমার রা. বলতেই তো পারি। সব বিদআত জাহান্নাম। সোজা দেখিয়ে দিতে পারি, রাসূল দ. বলেছেন কুল্লু বিদআতিন দ্বলালা, ওয়া কুল্লু দ্বলালাতিন ফিন্ না’র। এই হাদিসের আলোকে উমার রা.’র বিদআতকে জাহান্নামের কাজ এবং উমার রা. কে জাহান্নামি বলে দিতে পারি। বলতে তো আর পয়সা খরচ হবে না।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">ঘটনার উপর কিছু নির্ভর করছে না। নির্ভর করছে কোন আকিদার উপর, কোন ডকট্রিনের উপর, কোন প্রি সেট ভাবনার উপর আমি পরিচালিত হই, কোন আলোয় আমি সবকিছু দেখি তার উপর।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">এখানেই তো চিন্তার পার্থক্য। আদি সূফিদেরটা পদস্খলন নয়, বরং হালের বাস্তবতা, যা হালের বাইরে আবার অবাস্তব। বিশেষ করে হা’লাতের খোঁজ যে গবেষকরা পাননি, তাঁরা আন্তরিক হলেও এই হা’লাতের বিপরীত প্রমাণই খুঁজে বের করবেন।</p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";"><br></p><p style="text-align: justify; margin: 0px; font-family: "Times New Roman";">‘পদস্খলন’ মতবাদের আলোকে ফিল্টার হয়ে আসে। প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল, সেটা যেভাবে ঘটেছিল, সেভাবেই থাকে।</p>

আদি সূফিদের ‘পদস্খলন’ ও বর্তমান সূফিদের ‘বিদআত’ তত্ত্ব

আদি সূফিদের ‘পদস্খলন’ ও বর্তমান সূফিদের ‘বিদআত’ তত্ত্ব ----- আল্লাহ্ কুরআনে নবীজী দ. কে ডাকলেন: রউফ নামে রহিম নামে করিম নামে চাইলে আমরা কুরআ...

Read more »