পাষাণ হৃদয়!

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrbL7r9Ofkji7yjhLHWdPbe6NkPNwQgHnyxSh12L0Spg3iLIgpIbRotsANSdkPpbg0Tw_IQ_rTAgdjueq3IxiRRkdhhmyo_6WxyUWuKuvf7UtLB3Aih99yRzZxTxDlBTsUZPgKGXCGAuY/s1600/1580441173344.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="893" data-original-width="1600" height="178" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrbL7r9Ofkji7yjhLHWdPbe6NkPNwQgHnyxSh12L0Spg3iLIgpIbRotsANSdkPpbg0Tw_IQ_rTAgdjueq3IxiRRkdhhmyo_6WxyUWuKuvf7UtLB3Aih99yRzZxTxDlBTsUZPgKGXCGAuY/s320-rw/1580441173344.jpg" width="320" /></a></div> #পাষাণ_হৃদয়!<br /> -স্বাধীন আহমেদ ক্বাদরী।<br /> <br /> প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, অন্তরের কঠোরতা অনেক মারাত্মক একটি রােগ এবং ক্ষতিকারক আপদ। গুনাহের ব্যাধিতে আক্রান্ত করানাের মাঝে এই রােগের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এর ভয়াবহতাকে সামনে রেখে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মােবারক (রহ.) বলেন: "মুমিন বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় শাস্তি হলাে যে, তার অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া।" (হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৩/৪৪)<br /> <br /> <br /> কেননা,অন্তরের কঠোরতা গুনাহে বৃদ্ধি ঘটায়, অন্তরের কঠোরতা দ্বীন থেকে দূরে ঠেলে দেয়, অন্তরের কঠোরতা ইবাদত ও তিলাওয়াত আর আল্লাহর যিকিরের স্বাদ মিঠিয়ে দেয়, অন্তরের কঠোরতা আল্লাহ্ তাআলার রহমতকে দূর করে দেয়, অন্তরের কঠোরতা দুর্ভাগ্যের আলামত।<br /> <br /> মােটকথা! এটা এমন এক রােগ, যার কারণে আরাে অনেক জাহেরি ও বাতেনী রােগ জন্ম নেয়। বিভিন্ন হাদীস শরীফে এর নিন্দা বর্ণনা হয়েছে। আসুন! এ সম্পর্কে আরাে দুটি হাদীস শরীফ শ্রবণ করি:<br /> <br /> ১.“ পাষাণ হৃদয় ব্যক্তি আল্লাহ্ তা'আলার রহমত থেকে অনেক দূরে থাকে। ” (তিরমীযি,কিতাবুয যুহুদ,৬২ মুখ অধ্যায় , ৪/১৮৪,হাদীস নং-২৪১৯)<br /> <br /> ২.“ চারটি বিষয় দুর্ভাগ্যের লক্ষণ।<br /> * কান্না না আসা<br /> * অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া<br /> * দীর্ঘ আশা করা<br /> * এবং দুনিয়ার লােভে পতিত হওয়া।”<br /> (আল জামেউস সগীর,৬২ পৃষ্ঠা,হাদীস নং-৯২১ )<br /> <div> <br /></div>

পাষাণ হৃদয়!

#পাষাণ_হৃদয়! -স্বাধীন আহমেদ ক্বাদরী। প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, অন্তরের কঠোরতা অনেক মারাত্মক একটি রােগ এবং ক্ষতিকার...

Read more »

নখ কাটার আদব

<p dir="ltr">সদরুশ শরীয়া,বদরুত তরীকা,আল্লামা মাওলানা আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন; হাদীস  শরীফে বর্ণিত  আছে: যে ব্যক্তি জুমার  দিন   নখ  কাটবে  আল্লাহ  তাআলা তাকে দ্বিতীয়  জুমা  ও পরবর্তী আরো তিনদিন সহ সর্বমোট দশ দিন পর্যন্ত   যাবতীয় বালা মুসীবত থেকে রক্ষা করবেন। অপর  এক বর্ণনায় রয়েছে; যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে,তাঁর নিকট রহমতের আগমন  ঘটবে এবং তার গুনাহ দূর ক্ষমা হবে।    <br> (বাহারে শরীয়াত, ১৬তম  অংশ, ২২৬ —পৃষ্ঠা।  দুররে  মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৬৬৮-৬৬৯ পৃষ্ঠা)</p> <p dir="ltr">নখ কাটার ৯টি আদব।</p> <p dir="ltr">(১) জুমার দিন নখ কাটা মুস্তাহাব। অবশ্য যদি নখ বড় হয়ে যায়, তবে জুমার দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন না।<br> _______________দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮।<br> বর্ণিত আছে, "যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, আল্লাহ তা'আলা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিন দিন অতিরিক্ত অর্থাৎ দশদিন পর্যন্ত। অন্য বর্ণনায় এটাও রয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, তবে রহমতের শুভাগমন হবে এবং গুনাহ দূরীভুত হবে।" <br> ___________দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮৮। বাহারে শরীয়ত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-২২৫, ২২৬।</p> <p dir="ltr">(২) হাতের নখ কাটার পদ্ধতি হচ্ছে : "সর্বপ্রথম ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের নখ কাটবেন, তবে বৃদ্ধাঙ্গুল বাদ দিবেন। এবার বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। এখন সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন।<br> ___________দুররুল মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০। ইহইয়াউল উলুম, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৯৩।</p> <p dir="ltr">(৩) পায়ের নখ কাটার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে উত্তম হচ্ছে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ পর্যন্ত কেটে নিন অতঃপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠ আঙ্গুলের নখ কাটুন।<br> _____________দুররে মুখতার, ইহইয়াউল উলুম।</p> <p dir="ltr">(৪) অপবিত্রাবস্থায় (অর্থাৎ, গোসল ফরয অবস্থায়) নখ কাটা মাকরুহ।<br> ____________আলমগীরী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৫৮। </p> <p dir="ltr">(৫) দাঁত দ্বারা নখ কাটা মাকরুহ এবং এর দ্বারা শ্বেত রোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে।</p> <p dir="ltr">(৬) কর্তিত নখ মাটিতে পুতে দিন। যদি বাহিরেও ফেলে দেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই।</p> <p dir="ltr">(৭) কর্তিত নখ পায়খানা কিংবা গোসলখানাতে ফেলা মাকরুহ। কেননা এতে রোগ সৃষ্টি হয়।</p> <p dir="ltr">(৮) ৪০ দিন পর্যন্ত নখ না কেটে রেখে দেয়া মাকরুহে তাহরীমী। এটি গুনাহের কাজ।</p> <p dir="ltr">(৯) লম্বা নখ শয়তানের বৈঠকখানা অর্থাৎ তাতে শয়তান বসে। (ইত্তেহাফুস সাদাহ লিয যায়দী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৬৫৩।) </p> <p dir="ltr">তাই নখ বড় হওয়ার সাথে সাথেই তা কেটে ফেলুন।</p>

নখ কাটার আদব

সদরুশ শরীয়া,বদরুত তরীকা,আল্লামা মাওলানা আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন; হাদীস  শরীফে বর্ণিত  আছে: যে ব্যক্তি জুমার  ...

Read more »