মহিলাদের মাযারমসূহে যাওয়া।আ'লা হযরতের ফতোয়া হল-


“কিফায়াতুশ শা‘বী ও তাতারখানিয়া নামক কিতাবে আছে, ইমাম কাজী আয়াজ মালেকী (রহ.) এর নিকট প্রশ্ন করা হলো- মহিলারা কবরস্থানে যাওয়া জায়িয আছে কি? তিনি বললেন, এটা জিজ্ঞেস করো না যে, মহিলাদের মাযারে যাওয়া জায়িয কিনা? এতে অনেক ফ্যাসাদ রয়েছে। ঐ মহিলার উপর কি ধরনের লানত (অভিসম্পাত) হয় সেটা প্রশ্ন করো। বরং সাবধান! তারা বের হওয়ার ইচ্ছা করলে আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা লানত করে। ঘর থেকে বের হলে শয়তান চতুর্দিকে ঘিরে রাখে। কবরস্থানে আসলে মৃতের রূহ তার উপর লানত করে। ফিরার সময় আল্লাহর অভিসম্পাত নিয়ে ফিরে।

(ফতোয়ায়ে আফ্রিকা, পৃষ্ঠা- ৭২-৭৩, লিলি প্রকাশনি চট্টগ্রাম)


ইমাম আলা হযরত (রহ.) আরো বলেন, “আউলিয়ায়ে কেরামের মাযার যিয়ারতে গিয়ে যদি আদবের খেলাফ হয় কিংবা শরীয়তের সীমা লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ নিষেধ।” (কিন্ত আজকাল দেখা যায় অহরহ আদবের খেলাফ করা হচ্ছে এবং মাযারসমূহ বেপর্দা নারীদের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে সুতরাং ফিতনার কথা চিন্তা করে সাধারণভাবে তা হারাম)

(ইরফানে শরীয়ত, পৃষ্ঠ- ১১৯)


তিঁনি আরো বলেন, “একমাত্র মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওযা শরীফ ব্যতীত কোন মাযারে যাওয়ার অনুমতি নেই। অবশ্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওযা শরীফ যিয়ারত বহুত বড় সুন্নাত ওয়াজিবের কাছাকাছি।”

(মালফুজাতে আলা হযরত, পৃষ্ঠা- ২৪০, মুখলিসান রেজভী কিতাব ঘর দিল্লি)

Top