আহমেদ নাদিম এফেন্দিঃ জনপ্রিয় ওসমানী কবি


              

ছদ্মনাম (ﻡﺨﻠﺺ) বা মুহাল্লিস। যার অর্থ আন্তরিক। জন্মগ্রহন করেন ১৬৮১ সালে ইস্তানবুল শহরে। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয় আহমেদ। পিতা মেহমেদ এফেন্দী ছিলেন সুলতান ১ম ইব্রাহীমের প্রধান সামরিক বিচারক। তিনিও শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে বাবার মত বিচারক হবার জন্য মনঃস্থির করলেন। যাইহোক ক্যারিয়ারের বাইরেও তাঁর কাব্যের প্রতি যথেষ্ঠ ঝোঁক ছিল। তাই প্রায় সময়ই কবিতা লিখতেন, মনের কথা আনন্দ-অনুভুতি নিয়ে। তাঁর কবিতার শ্লোকগুলো ছিল খুবই চমৎকার। তাঁর সমসাময়িক যুগে ফুজুলি ও বাকি নামে আরো দুজন প্রসিদ্ধ ওসমানী কবি ছিলো। কিন্তু খ্যতির দিক থেকে নাদিম তাদের ছাড়িয়ে যান, তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো "দেওয়ানে-নাদিম"। কিতাবটি এতটাই প্রসিদ্ধ হয় যে, যার কারনে সুলতান ৩য় আহমেদ কর্তৃক তাকে "রইসুশ শাইরান" (رئيس شاعران) অর্থাৎ "কবিদের রাজা" উপাধি দেয়।

তাঁর জন্মভুমি ইস্তানবুলকে পারস্যের রাজা দখল করার ঘোষনা দিলে তিনি দেশপ্রেম এভাবেই ফুটিয়ে তোলেন,
بو شهر ستنبول كه بىمثل و بهادر
بر سنگکه يكپاره عجم ملکی فداءدر
অর্থঃ তুমি অমুল্য সম্পদ হে ইস্তানবুল, আমার প্রিয় নগরী
যার একটি পাথর রক্ষায় আমি পুরো পারস্য ধ্বসাতে পারি
আরও বলেছেন,
سرملى گوزلی گوزل يوزلی غزالان آگده
زر کمرلى بلى خنجرلى جوانان آگده
باخصوص آرادغم سرو خرامان آگده
نيجه آقميا گوﯖل صو گبى سعدآباده
অর্থঃ আছে কাজল দেয়া হরিণি চোখের রমনির কোলাহল
কোমরে খঞ্জর বাধা কত সাহসী যুবকের চলাচল
তাদের নিয়েই আমার ভালোবাসার পরিবার
কেন হৃদয় পানির মতো সাদ-ওবাদের দিকে যাবে না?
যাইহোক ১৭৩০ সালে জেনিসারি বিদ্রোহের সময় তিনি নিহত হন।




দেওয়ানে নাদীমের একটি পাতা


                                                                                                                 

Top