কিতাবঃ ইলমে দ্বীন অর্জনের ফজিলত
🖋লেখক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
(ব্লগার, ইসলামী বিশ্বকোষ)
🕋 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
بَلِّغُوا عَنِّى وَلَوْ آيَةً
‘আমার পক্ষ হতে একটি আয়াত হলেও মানুষদের নিকটে পৌঁছে দাও।" [বুখারী হা/৩৪৬১; তিরমিযী হা/২৬৬৯]
🕋বিষয়ভিত্তিক আয়াতঃ ইলমে দ্বীন অর্জনের ফজিলত
❏ আয়াত ১ :
আল্লাহ সুবহানু তা'য়ালা বলেন,
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ.
‘সুতরাং এমন কেন হয় না যে, তাদের প্রত্যেকটি বড় দল হতে এক একটি ছোট দল বের হবে, যাতে তারা দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করতে পারে যখন তারা ওদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে, যেন তারা সতর্ক হয়।’
(সূরা তওবা ৯/১২২)
❏ আয়াত ২ :
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ
‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন। ●সূরা মুজাদালা : আয়াত ১১।
❏ আয়াত ৩ :
إِقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ إِقْرَأْ وَ رَبُّكَ الْأَكْرَامُ الّذِيْ عَلَّمَ بَالْقَلَمِ عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
১. ‘পাঠ কর, তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে,পাঠ কর,আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত,যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’● সূরা আলাক : ১-৫
❏ আয়াত ৪ :
আল্লাহ সুবহানু তা'য়ালা বলেন,
يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
‘তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত দান করা হয় তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় এবং কেবল বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শিক্ষা গ্রহণ করে।’ (সূরা বাকারাহ ২/২৬৯)
❏ আয়াত ৫ :
فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ
'আল্লাহকে সেভাবে স্মরণ করো, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।’
●সূরা আল বাকারা : আয়াত ২৩৯।
❏ আয়াত ৬ :
كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولًا مِنْكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ
(হে মুসলমানগণ!) যেমন আমি তোমাদের মাঝে তোমাদের মধ্য হতে একজন রসূল প্রেরণ করেছি, সয তোমাদেরকে আমার আয়াত পড়ে শুনায়, তোমাদের পরিশুদ্ধ করে এবং তোমাদের আল কোরআন ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দেয়; তোমাদের আরো শিক্ষা দেয় যা তোমরা কখনই জানতে না সেগুলো।’
●সূরা আল বাকারা : আয়াত ১৫১।
❏ আয়াত ৭ :
ইবরাহিম (আ:) প্রার্থনা করে বলেন,
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর।’
(শু‘আরা ২৬/৮৩)
❏ আয়াত ৮ :
অনুরূপ মুসা (عليه السلام) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন। আল্লাহ বলেন,
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي- وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي- وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي- يَفْقَهُوا قَوْلِي
‘হে আমার পালনকর্তা! আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও, আমার কাজকে সহজ করে দাও এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দাও, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (●সূরা তোয়াহা : ২০/২৫-২৮)
❏ আয়াত ৯ :
وَقُلْ رَّبِّ زِدْنِىْ عِلْمًا
‘বলো: হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।’
●সূরা তোয়াহা : আয়াত ১১৪।
❏ আয়াত ১০:
...قُلْ هَلْ يَسْتَوِى الَّذِيْنَ يَعْلَمُوْنَ وَ الَّذِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ إنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُوا الْأَلْبَابِ
...‘(হে নবী!) বলুন, যারা মূর্খ ও যারা বিদ্বান তারা কি সমান? বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ ● সূরা যুমার : ৯
❏ আয়াত ১১:
فَأَسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
৩. ‘যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।’●সূরা আন নহল : আয়াত ৪৩।
❏ আয়াত ১২:
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ
৬. ‘যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কর না ।’ ●সূরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৬।
❏ আয়াত ১৩:
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الْأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِي الظُّلُمَاتُ وَالنُّورُ ‘বলুন! অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? আলো ও অন্ধকার কি এক হতে পারে?’ (রা‘দ ১৩/১৬)
❏ আয়াত ১৪:
আল্লাহ বলেন,
إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল আল্লাহকে ভয় করে । (সূরা আল ফাতির:২৮)
❏ আয়াত ১৫:
وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
‘পক্ষান্তরে যারা জ্ঞান ও বিদ্যায় অভিজ্ঞ তারা বলে, আমরা উহার প্রতি ঈমান এনেছি, সবই আমাদের রবের তরফ থেকে এসেছে। সত্য কথা এই যে, কোন জিনিস হতে প্রকৃত শিক্ষা কেবল জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরাই গ্রহণ করে’ (আলে ইমরান ৩/৭)
❏ আয়াত ১৬:
وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ
‘আর এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করি আর জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউ তা বুঝে না।’ (সূরা আল আনকাবূত:৪৩)
❏ আয়াত ১৭:
﴿وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِي إِلَيْهِمْ ۖ فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ﴾
সুতরাং তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি তোমরা না জান। সূরা আল-আম্বিয়া,আয়াত: ০৭