নবীজী (ﷺ) অতুলনীয় মাখলুক, তিনি (ﷺ) আমাদের মত নন



❏ আল্লাহর প্রিয় রাসূল (ﷺ) সূরুতে মানুষ হলেও মূলত তিনি আমাদের মত মানুষ নন। একাধিক ছহীহ্ হাদিস থেকে জানা যায় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) রহমাজাানে 'ছাওমে বিছাল পালন করতেন। লোকেরাও এরূপ রোজা রাখলেন। অত:পর রাছূল (ﷺ) তাঁদেরকে এরুপ রোজা রাখতে নিষেধ করেন। নবী (ﷺ) বললেন আমি তোমাদের কারো মত নই।


(ছুহীহ্ বুখারী, হাদিস নং:১৯৬২;ছহীহ্ মুসলীম হাদীস নং ২৬১৯;মুসনাদে আহমদ হাদিস নং:৫৯৯৫ ও ৬২৯৯,ইমাম নাসাঈ:সুনানে কুবরা হাদিস নং:৩২৫০;মুস্তাখরাজে আবী আওয়ানা হাদীস নং:২৭৯৮; ইমাম তাহাবী:শরহে মুশকীলুল আছার;হাদীস নং:৮৯৪৭ ইমাম বায়হাক্বী,মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার হাদীস নং:৮৯৭৪, ইমাম বায়হাক্বী শরীফ হাদিস নং;৮৩৭৪ মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়েবাহ হাদীস নং:৯৫৮৭)


এ বিষয়ে আরেক রেওয়াতে আছে,


❏ -"হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه)  হতে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ছাওমে বিছাল,পালন করলেন। ফলে লোকেরাও এরুপ ছাওমে বিছাল পালন করতে লাগলেন এই কথা রাসূল (ﷺ) জানলেন ও তাঁদেরকে এরূপ রোজা রাখতে নিষেধ করলেন। এরুপ রাসূলে পাক বললেন আমি তোমাদের কারো মতই নই, আমার আল্লাহ আমাকে বাতেনী ভাবে খাওয়ায় ও পান করায়। 


(মুসনাদে আহমদ হাদীস নং:৭৪৩৭,৭৭৮৬,৮৯০২, ২/১০২ হা:৫৭৯৫ সুনানে দারেমী হাদীস নং:১৭৪৫ 

মুসনাদে বাজ্জার হাদীস নং:৮৩৫৪; মুসতাখরাজ আবী আওয়ানা হাদীস নং:২৩৯৩;ছহীহ্ ইবনে হিব্বান,হাদীস নং:৩৫৭৫;ইমাম তাবারানী:মুজামুল আওছাত,হাদীস নং৫৫৩৯,মুছান্নাফে আবী শায়বাহ হাদীস নং:৯৫৮৬,মুয়াওা ইমাম মালেক ১/৩০০ হাদীস নং:৬৬৭,মুসলিম ২/৭৭৪ হাদীস ১১০২,বুখারী রোজা অধ‍্যায় ২/৬৯৩ হাদীস নং;১৮৬১, আবু দাউদ ২/৭৭৪ হাদীস নং:২৩৬০, সুনানে কুবরা নাসাঈ ২/৪১২ হাদীস নং২৩৬৩)


❏ -"হজরত আনাস رضي الله عنه নবী-করিম  (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন নিশ্চিই নবী (ﷺ) 'ছাওমে বিছাল' পালন করতেন। ফলে লোকেরাও এরুপ রোজা রাখা শুরু করলেন অতপর: রাসূল (ﷺ) বলেনঃ- আমি তোমাদের কারো মত মানুষ নই।"


(মুসনাদে বাজ্জার হাদীস নং:৬৮৬০, ছহীহ্ মুসলীম  হাদীস নং:২৬২৬, ছহীহ্ বুখারী হাদীস নং:৭২৪১, মুসনাদে আহাম্মদ হাদীস নং:১২২৪৮;ইমাম তাহাবী শরহে মুশকীলুল আছার হাদীস নং:৫৮৯৯, ইমাম বাগভী শরহে সুন্নাহ হাদীস নং:১৭৩৯,মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ হাদীস নং:৯৫৮৫: তিরমিজি হাদীস নং:৭৭৮)


❏ -''হজরত আবু জার গিফরী رضي الله عنهবর্ণনা করে আল্লাহর নবী  (ﷺ) লোকদেরকে 'ছাওমে বিছাল' থেকে নিষেধ করেন। সহাবীরা বলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ  (ﷺ) আপনিও তো এরুপ রোজা রাখেন। প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেনঃ আমি তোমাদের কারো মত নই, আল্লাহ আমাকে খাওয়া ও পান করায়। (তারতীবুল আমালী: ১৯৪৩)


এরুপ আরেকটি রেওয়াত লক্ষ্য করুন,


❏ -"হজরত আয়েশা رضي الله বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ছাওমে বিছাল সম্পর্কে  নিষেধ করেন। সাহাবীরা বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনিও তো এরূপ রোজা রাখেন। নবিজি (ﷺ) বলেন, নিশ্চয়ই! তোমরা কেউ আমার সাদৃশ্য নও বা আমি তোমাদের কারো মত নই।


(মুসনাদে আবী ইয়ালা হাদীস নং:৪৩৭৮, মুসনাদে আহমদ হাদীস নং:২৪৯৪৫, ইমাম হিন্দী:কানজুল উম্মাল হাদীস নং:৫৩১৩)


এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত লক্ষ‍্য করুণ,


❏ -"হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর رضي الله عنهবর্ণনা করেন, আমি রাসূলে পাক (ﷺ)  কে দেখলাম তিনি বসে বসে নফল নামাজ পড়ছেন। আমি জিঙ্গাসা করলাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আপনি বলেছেনঃ বসে নামাজ আদায় কারীর সাওয়াব দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার চেয়ে অর্ধেক কম। অথচ আপনি বসে বসে নামাজ আদায় করছেন? দায়াল নবীজি (ﷺ) বললেন ঠিকই কিন্তু আমি তোমাদের কারো মত না।"


(ছহীহ্ মুসলীম হাদীস নং:১২০ ইমাম তাবারানীঃমু'জামু কবীর হাদীস নংঃ১৪৪১৯;মুসনাদে আহমদ হাদীস নং:৬৮৯৪; সুনানে দারেমী হাদীস নং:১৪২৪;সুনানে আবী দাঊদ হাদীস নং:৯৫০;মুসনাদে বাজ্জার হাদীস নং:২৩৬১; ইমাম নাসাঈ:সুনানে কুবরা হাদীস নং:১৩৬৫;নাসাঈ শরীফ হাদীস নং:১৬৫৯: ছহীহ ইবনে খুজাইমা হাদীস নং:১২৩৭)


❏ -"তাবেয়ী ইমাম ইবনে শিহাব হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই সাঈদ ইবনে মুসায়‍্যিব رضي الله عنه হাদীস বর্ণনা করেছেন,হজরত আবু হুরায়রা رضي الله عنه বলেন  আল্লাহর রাসূল (ﷺ) 'ছাওমে বিছাল' সম্পর্কে নিষেধ করেছেন সাহেবেরা বললেনঃ আপনি তো রোজা রাখেন। প্রিয় নবীজি (ﷺ) বললেন তোমারা কে আছ আমার মত? নিশ্চয়ই আমার প্রভু আমাকে খাওয়ান ও পান করান।


(ছহীহ্ বুখারী হাদীস নং:৭২৪২,ছহীহ্ মুসলিম,মুস্তাখরাজে আবী আওয়ানা হাদীস নং:৭২৯২) 


❏ মুসনাদে আহামদে হজরত আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত ১০৪৩৩নং হাদীসে এবং ১১৪২৩নং হাদীসে হযরত আবু সাঈদ খুদরীرضي الله عنه থেকে বর্ণিত আছে 'বাহারুল ফাওয়াইদ' গ্রন্থে হাদীসটি হযরত হুজাইফা رضي الله عنه থেকে সনদ বর্ণিত আছে। উম্মে আইয়ুব رضي الله عنه থেকে ইবনে আবী শায়বাহ এরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মুসনাদে আহমদ বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবী লায়লা رضي الله عنه থেকে, তিনি নবী করিম (ﷺ) এর কিছু ছাহাবী থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও রাসূলে করিম (ﷺ) এর সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের আকিদা ছিল কেমন তা হজরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত এই হাদিসটির দিকে লক্ষ্য করুন-


قَالُوا إنَّا لسْنَا كَهْيَئتِكَ يَا رسولَ اللَّهِ


❏ -“সাহাবীরা বলতেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কেহ আপনার মত নই।”


(সহীহ্ বুখারী, হা/২০; আল-ঈমান লি’ইবনে মানদুহ, হা/২৮৮; জামেউস সহীহ লি সুনানিল মাসানিদ, ৩য় খণ্ড, ৪৮৫ পৃ:; আল মুখতাছারুন নাছিহ, হাদিস নং ২৪; আলবানী: সিলসিলাতুল সহীহা, হা/৩৫০২; শরহে ছাহিহুল বূখারী লি’ইবনে বাত্তাল, ১ম খণ্ড, ৭২ পৃ:; ইমাম ইবনে আব্দিল বার্: আত-তামহিদ, ৫ম খণ্ড, ১০২ পৃ:; ইবনে রজব: ফাতহুল বারী, হাদিস নং ২০; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী, ১ম খণ্ড, ১৬৫ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুছ ছারী, ১ম খণ্ড, ১০৩ পৃ:; আল কাউকাবুদ দুরারী, ১ম খণ্ড, ১১২ পৃ:; আনওয়ার শাহ্ কাশ্মিরী: ফায়জুল বারী, ১ম খণ্ড, ১৬৯ পৃ.)


━━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━


সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে কেউ একথা বলেননি যে, হে রাসূল (ﷺ)! আপনি আমাদের মত মানুষ কারণ রাসূল (ﷺ)’র হাত ও পা মুবারক আছে, তিনি পানাহার করেন। তাঁর আজওয়াজে মুতাহ্হারাত এবং আওলাদ পাক আছেন, এরপরেও সবাই নিশ্চুপ। রাসূল (ﷺ)’র যা বলেছেন সবাই তা মেনে নিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম (ﷺ)’র কিছু বলার সাহস ছিলনা, কিন্তু কিছু মানুষের এতই দু:সাহস যে, তারা  মিম্বারে বসেই বলে যে, রাসূল (ﷺ) আমাদের মত মানুষ।


যে সকল সাহাবীদের আছ থেকে এরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাঁদের তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ


❏ ১) হজরত  ইবনে মালেক رضي الله عنه 

❏ ২) হজরত   আবু হুরায়রা رضي الله عنه

❏ ৩) হজরত আবু জার গিফারী رضي الله عنه

❏ ৪) হজরত আয়শা সিদ্দিকা رضي الله

❏ ৫) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর رضي الله عنه

❏ ৬) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর رضي الله عنه

❏ ৭) হজরত উম্মে আইয়ুব رضي الله عنه

❏ ৮) হজরত হুজায়ফা ইবনে ইয়ামান رضي الله عنه

❏ ৯) হজরত সাঈদ খুদরী رضي الله عنه

❏ ১০) ইবনে আবী লায়লা رضي الله عنه এর সূত্রে একদল সাহাবী।


 ❏ এ বিষয়ে সম্পর্কে ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (رحمة الله) {ওফাত ৬০৬হি:} তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন উম্মতের ইজমা হয়েছে যে কতক নবীগন কতকের নবীর চেয়ে শ্রেষ্ট আর নিশ্চই নবী (ﷺ) তাদের সকলের চেয়েও সর্বশ্রেষ্ট। (তাফসীরে কবীর ৬ষ্ট খন্ড ৫২১পৃ:)


❏ -'' উম্মতের ইজমা হয়েছে যে,  সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ হল নবীগণ আর আমাদের নবী (ﷺ) হলেন তাদেঁর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। নবীগনের পরে শ্রেষ্ট হল আরশ বহনকারী চার ফেরেশতা ও রুহানিউন রেদওয়ান, মালেক ফেরেশতা, সাহাবায়ে কেরাম, তাবে-তাবেঈনগণ, শোহাদায়ে কেরাম, সালেহীনগণ ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।

(ফাতওয়ায়ে শামী ১ম খন্ড ৫২৭)


❏ তাই রাসূলে পাক (ﷺ) সৃষ্টির সমগ্র জগতের যা কিছু রয়েছে এসব কিছুর চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ, এমনকি কোন নবী- রাসূল ও আরশ বহনকারী ফেরেশতারাও রাসূলে পাক (ﷺ) এর সমতুল্য নয়। সেখানে  যারা এসব কথা বেড়ায় রাসুল (ﷺ) আমাদের মতোই (নাউজুবিল্লাহ) তাদের জন্য আফসোস।


❏ অতুলনীয় বাশার:


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,


إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ


-“আমি তোমাদের মত নই।”


ক. ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৩/৩৭ পৃ. হা/১৯৬২

খ. ইমাম আবি আওয়ানাহ, মুসতাখরাজে আবি আওয়ানাহ, ২/১৮৮ পৃ. হা/২৭৯৮,

গ.মুসনাদে আহমদ, ১০/৬২ পৃ. হা/৫৭৯৫

ঘ. বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৪/৪৬৬ পৃ. হা/৮৩৭৪

ঙ. নাসাঈ, আস-সুনানুল কোবরা, ৩/৩৫৩ পৃ. হা/৩২৫০

চ. ইমাম ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, ২/৩৩০ পৃ. হা/৯৫৮৭


হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদুরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, ইমামুল আম্বিয়া (ﷺ) ইরশাদ করেন,


إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ


-“আমি তোমাদের কারো মত নই।” 


ক. ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৩/৩৭ পৃ. হা/১৯৬৩,

খ. ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১৭/১০৯ পৃ. হা/১১০৫৫

গ. ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১৮/৩৪১ পৃ. হা/১১৮২২

ঘ. বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৪/৪৬৮ পৃ. হা/৮৩৭৯


হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। ইমামুল আম্বিয়া (ﷺ) ইরশাদ করেন,


أَيُّكُمْ مِثْلِي


-“তোমাদের মাঝে আমার মত কে আছে?”


(ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৮/১৭৪ পৃ. হা/৬৮৫১ এবং ৯/৮৫ পৃ. হা/৭২৪২; মুস্তাখরাজে আবী আওয়ানা, ২/১৮৭ পৃ. হাদিস নং ৭২৯২)

 

হযরত সায়্যিদুনা মাওলা আলী (رضي الله عنه) বলেন,


لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ (ﷺ).


-‘‘আমি আগে পরে রাসূল (ﷺ)’র মত কাউকে দেখিনি।’’


ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৬/৩৪ পৃ. হা/৩৬৩৭, ইমাম হাকেম, আল-আল-মুস্তাদরাক, ২/৬৬২ পৃ. হা/৪১৯৪, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ২/১৪৪ পৃ. হা/৭৪৬, ইমাম নাসাঈ, আস-সুনানুল কোবরা, ৮/২০৩ পৃ. হা/৫৩১৪, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, ১/৩০৪ পৃ. হা/৩৭০, ইমাম বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৩/২২১ পৃ. হা/৩৬৪১, ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবীহ, ৩/১৬১২ পৃ. হা/৫৭৯০, ইমাম বুখারী, আত-তারিখুল কাবীর, ১/৭ পৃ., ইমাম সুয়ূতি, খাসায়েসুল কুবরা, ১/১২৫ পৃ.


━━━━━━━━━━━━━━━━


তোমাদের মধ্যে কেউই আঁমার মত নয়। বা আঁমি তোমাদের কারো মত নই। তাই জনৈক কবি বলেছেন, “হুযুর (ﷺ) বাশার, তবে তিঁনি অন্যান্য বাশারের মত নন। যেরূপ ইয়াকুত পাথর অন্যান্য পাথরের মত নয়।”


হযরত মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল আলী লখনবী “মীর যাহিদ” কিতাবে উল্লেখ করেছেন,“আল্লাহ সুবহানু তা’আলা তাঁর হাবীব হুযূর কারীম (ﷺ) কে সমস্ত বিষয়েরই ইল্‌ম দান করেছেন, যা মহান আল্লাহ পাক এঁর মহান কুদরতী কলম বা কলমে আ’লার আওতায়ও আসেনি। যা লাওহে; মাহ্‌ফুজও আয়ত্ব করতে পারেনি। কস্মিনকালেও সৃষ্টির শুরু থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর মত কেউ পয়দা হয়নি,কেউ তাঁর সমকক্ষ হবে না।


হযরত ইমাম আবু হানীফা (رحمة الله) বলেন:

والله ياسين مثلك لم يكن

في العالمين وحق من انباك

অর্থ – আল্লাহ পাক উঁনার কসম ! হে ইয়াসিন (ﷺ),সারা জাহানে আঁপনার কোন মেছাল নাই !”

[কাসীদায়ে নু’মান লি ইমাম আবু হানীফা -৩৭ নং পংক্তি ]


হুজুর পাক (ﷺ) উঁনার সাথে তুলনাতো দূরের কথা পূর্ববর্তী ইমামগন উঁনাদের বয়োজৈষ্ঠ ইমামদের প্রসংশা করে কি বলেন দেখেন !

ইমাম মুসলিম (رحمة الله) ইমাম বুখারী (رحمة الله) উঁনাকে লক্ষ্য করে বলেন:


اشهد انه ليس في الدني مثلك


অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,  দুনিয়ায় আঁপনার মেছাল বা আঁপনার মত আরেকজন নাই !

[মীযানুল আখবার ৪৮ পৃষ্ঠা ]


সৃষ্টকুলে নবীজি (ﷺ) এঁর মত কেউ নেই


অসংখ্য হাদিস থেকে মূল বিষয়বস্তু একত্রে দেয়া হলঃ


🕋 এক বর্ণনায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,


...."তোমাদের কে আছো আমার মত?”


🕋 অপর বর্ণনায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,


....”আমি তোমাদের কারো মত না!"


🕋 অপর বর্ণনায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,


....”তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ (সাদৃশ্য) না,


আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্‌ তা'য়ালা আমাকে আহার করান এবং পান করান!“


তথ্যসূত্রঃ


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮২


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮৩


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮৪


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮৫


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮৭


সহিহ বুখারী, হাদিস ৩: ১৮৮


—————­————————­——————­—

হাদিসগুলো সম্পূর্ণ দেখে নেই

 


 🕋 আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, (কোন এক) মাসের শেষভাগে নাবী বিরতিহীন সওম রাখলেন এবং আরো কতিপয় লোকও বিরতিহীনভাবে সওম রাখল। এ সংবাদ নাবী (ﷺ)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ যদি আমার এ মাস প্রলম্বিত হত, তবুও আমি এভাবে বিরতিহীন সওম পালন করতাম। যাতে অধিক কষ্টকারীরা তাদের কষ্ট করা ত্যাগ করে। আমি তো তোমাদের মত নই, আমার প্রতিপালক আমাকে আহার করান এবং পান করান। সুলায়মান ইবনু মুগীরাহ আনাস (رضي الله عنه)-এর সূত্রে নাবী (ﷺ) থেকে হুমায়দ-এর অনুসরণ করেছেন।


হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)


(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৭, সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৯৪/ কামনা, হাদিস নম্বরঃ ৭২৪১)


 🕋 আবূ হুরাইরাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিরতিহীন সওম পালন করতে নিষেধ করলেন। সহাবীগণ বললেন, আপনি বিরতিহীন সওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের কে আছ আমার মতো? আমি তো রাত কাটাই যাতে আমার প্রতিপালক আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তারা যখন বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানাল, তখন তিনি তাদেরসহ একদিন, তারপর আর একদিন সওম পালন করলেন। তারপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি চাঁদ আরো (কয়দিন) পরে উদিত হত, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের (সওম) বাড়াতাম। তিনি যেন তাদেরকে শাসন করছিলেন। 


হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)


১.সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৯৪/ কামনা (كتاب التمنى), হাদিস নম্বরঃ ৭২৪২। 


২.সহীহ বুখারী (ইফাঃ), হাদিস নম্বরঃ [1841]


অধ্যায়ঃ ২৩/ সাওম বা রোজা (كتاب الصوم)]


(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৮) 


🕋 আবূ হুরাইরা (رضي الله عنه) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা ইফতার না করে লাগাতার সওম রেখো না। তখন মুসলিমদের মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলো: হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ইফতার না করে লাগাতার সওম রাখেন। উত্তরে নাবী (ﷺ) বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার মত কে আছ? আমি রাত কাটাই তাতেই আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তাঁরা লাগাতার সওম রাখা থেকে বিরত হলো না। ফলে তাদের সঙ্গে নাবী (ﷺ)ও দু’দিন অথবা (বর্ণনাকারী বলেছিলেন) দু’ রাত লাগাতার সওম রাখলেন। এরপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন নাবী (ﷺ) বললেন, যদি চাঁদ (আরও কয়েক দিন) দেরী করে উঠত, তাহলে আমিও (লাগাতার সওম রেখে) তোমাদের সওমের সময়কে বাড়িয়ে দিতাম, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য। (বিসাল অর্থ পানাহার না করেই বিরতিহীনভাবে সওম পালন করা)


হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)


১.ইবনে হাজার আসকালানীঃ বুলুগুল মারাম / অধ্যায়ঃ পর্ব - ৫ঃ সিয়াম (كتاب الصيام), হাদিস নম্বরঃ ৬৬২, 


২.বুখারী ৬৭০১, 


৩.মুসলিম ১৬৪২,


৪.তিরমিযী ১৫২৭, 


৫.নাসায়ী ৩৮৫২, ৩৮৫৩, ৩৮৫৪, 


৬.আবূ দাউদ ২৩০১, 


৭.আহমাদ ১১৬২৭, ১১৭১৭, ১২৪৭৮


নবীজী নিজেই নিজেকে ফাতাওয়া দিয়েছেন যে,আমি তোমাদের কারও মতো মানুষ  নই৷এ প্রসঙ্গে সহীহ বোখারী শরীফ হতে নিম্নরুপ ছয়টি হাদীছ উপস্থাপন করা হলোঃ

সহিহ বুখারী শরীফের দলিল (1):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻳُﻮﺳُﻒَ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻣَﺎﻟِﻚٌ، ﻋَﻦْ ﻧَﺎﻓِﻊٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ـ ﻗَﺎﻝَ ﻧَﻬَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻮِﺻَﺎﻝِ . ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ . ﻗَﺎﻝَ " ﺇِﻧِّﻲ ﻟَﺴْﺖُ ﻣِﺜْﻠَﻜُﻢْ، ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﻃْﻌَﻢُ ﻭَﺃُﺳْﻘَﻰ "

  দলিল:

বোখারী শরিফ হাদিস নং 1962


সহিহ বুখারী শরীফের দলিল (2):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻳُﻮﺳُﻒَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻴْﺚُ، ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺍﺑْﻦُ ﺍﻟْﻬَﺎﺩِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﺧَﺒَّﺎﺏٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﺃَﻧَّﻪُ ﺳَﻤِﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ " ﻻَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻠُﻮﺍ، ﻓَﺄَﻳُّﻜُﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﻥْ ﻳُﻮَﺍﺻِﻞَ ﻓَﻠْﻴُﻮَﺍﺻِﻞْ ﺣَﺘَّﻰ ﺍﻟﺴَّﺤَﺮِ ." ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻗَﺎﻝَ " ﺇِﻧِّﻲ ﻟَﺴْﺖُ ﻛَﻬَﻴْﺌَﺘِﻜُﻢْ، ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺑِﻴﺖُ ﻟِﻲ ﻣُﻄْﻌِﻢٌ ﻳُﻄْﻌِﻤُﻨِﻲ ﻭَﺳَﺎﻕٍ ﻳَﺴْﻘِﻴﻦِ ."

 

 ছহীহ বোখারী শরিফ 1963

সহিহ বুখারী শরীফের দলিল (3):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺷَﻴْﺒَﺔَ، ﻭَﻣُﺤَﻤَّﺪٌ، ﻗَﺎﻻَ ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪَﺓُ، ﻋَﻦْ ﻫِﺸَﺎﻡِ ﺑْﻦِ ﻋُﺮْﻭَﺓَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ـ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻧَﻬَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻮِﺻَﺎﻝِ، ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻟَﻬُﻢْ ﻓَﻘَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ . ﻗَﺎﻝَ " ﺇِﻧِّﻲ ﻟَﺴْﺖُ ﻛَﻬَﻴْﺌَﺘِﻜُﻢْ، ﺇِﻧِّﻲ ﻳُﻄْﻌِﻤُﻨِﻲ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﻳَﺴْﻘِﻴﻦِ ". ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮْ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻟَﻬُﻢْ . 

 ছহীহ বোখারী শরিফ 1964

সহিহ বুখারী শরীফের দলিল (4):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺑْﻦُ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟُﻮَﻳْﺮِﻳَﺔُ، ﻋَﻦْ ﻧَﺎﻓِﻊٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭَﺍﺻَﻞَ ﻓَﻮَﺍﺻَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓَﺸَﻖَّ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ، ﻓَﻨَﻬَﺎﻫُﻢْ . ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ . ﻗَﺎﻝَ " ﻟَﺴْﺖُ ﻛَﻬَﻴْﺌَﺘِﻜُﻢْ، ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻇَﻞُّ ﺃُﻃْﻌَﻢُ ﻭَﺃُﺳْﻘَﻰ "  1922

ছহীহ বোখারী হাদীস নং1922

সহিহ বুখারী শরীফের দলিল (5):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺍﻟْﻴَﻤَﺎﻥِ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺷُﻌَﻴْﺐٌ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﺰُّﻫْﺮِﻱِّ، ﻗَﺎﻝَ ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦُ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﺃَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﻗَﺎﻝَ ﻧَﻬَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻮِﺻَﺎﻝِ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻮْﻡِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺭَﺟُﻞٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺎﻝَ " ﻭَﺃَﻳُّﻜُﻢْ ﻣِﺜْﻠِﻲ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺑِﻴﺖُ ﻳُﻄْﻌِﻤُﻨِﻲ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﻳَﺴْﻘِﻴﻦِ ." ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﺑَﻮْﺍ ﺃَﻥْ ﻳَﻨْﺘَﻬُﻮﺍ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻮِﺻَﺎﻝِ ﻭَﺍﺻَﻞَ ﺑِﻬِﻢْ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳَﻮْﻣًﺎ، ﺛُﻢَّ ﺭَﺃَﻭُﺍ ﺍﻟْﻬِﻼَﻝَ، ﻓَﻘَﺎﻝَ " ﻟَﻮْ ﺗَﺄَﺧَّﺮَ ﻟَﺰِﺩْﺗُﻜُﻢْ ." ﻛَﺎﻟﺘَّﻨْﻜِﻴﻞِ ﻟَﻬُﻢْ، ﺣِﻴﻦَ ﺃَﺑَﻮْﺍ ﺃَﻥْ ﻳَﻨْﺘَﻬُﻮﺍ .

Sahih Bukhari

Reference:Sahih al-Bukhari 1965

সহিহ বুখারী শরীফের দলিল(6):

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺣَﻤْﺰَﺓَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﺎﺯِﻡٍ، ﻋَﻦْ ﻳَﺰِﻳﺪَ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﺧَﺒَّﺎﺏٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﺃَﻧَّﻪُ ﺳَﻤِﻊَ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ " ﻻَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻠُﻮﺍ، ﻓَﺄَﻳُّﻜُﻢْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﻥْ ﻳُﻮَﺍﺻِﻞَ ﻓَﻠْﻴُﻮَﺍﺻِﻞْ ﺣَﺘَّﻰ ﺍﻟﺴَّﺤَﺮِ ." ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗُﻮَﺍﺻِﻞُ، ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻗَﺎﻝَ " ﻟَﺴْﺖُ ﻛَﻬَﻴْﺌَﺘِﻜُﻢْ، ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺑِﻴﺖُ ﻟِﻲ ﻣُﻄْﻌِﻢٌ ﻳُﻄْﻌِﻤُﻨِﻲ ﻭَﺳَﺎﻕٍ ﻳَﺴْﻘِﻴﻦِ ."

Sahih Bukhari

Reference:Sahih al-Bukhari 1967



সহায়ক প্রমাণপুঞ্জি

_________________


১. সিহাহ সিত্তাহ এপ্স

২. মাসুম বিল্লাহ সানি: Ahlus-sunnah.com থেকে বঙ্গানুবাদ।

৩. Al-Islam.com থেকে বঙ্গানুবাদ।

৪. সুন্নি-বিশ্বকোষ 

৫. ইসলামিক বিশ্বকোষ ও আল হাদীস

৬. ইসলামিক বইসম্ভারঃ ড. মাসুম বিল্লাহ সানী।

৭. মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীঃ নুরে মুজাছাম।

৮. মাওলানা শহিদুল্লাহ  বাহাদুরঃ ফতুয়ায় আহলে সুন্নাহ

৯. মুসলিম রিজভী

Top