প্রশ্ন : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ হারাম হওয়ার পূর্বে মদপান করে নামাজের সূরা তিলাওয়াতে উল্টাপাল্টা করেছেন বলে হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়। যদি তাকে মদপানকারী সাব্যস্ত করা হয় তাহলে কুরআনের আয়াতে তাতহীরের খেলাফ হচ্ছে। আর যদি তিনি জীবনে মদপান করেন নি এ কথা বলে আয়াতে তাতহীরের বক্তব্যকে যথার্থ মনে করা হয় তাহলে বর্ণিত হাদিসের জবাব কি? 

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العلمين-الرحمن الرحيم-مالك يوم الدين- والصلاة والسلام على رسولنا الامين وعلى آله الطيبين واصحابه الاكرمين وعلى اولياء امته اجمعين-
বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ-
 ১। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মওলুদে কা’বা। জন্ম থেকে প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকাল পর্যন্ত তাঁরই তত্ত¡াবধানে লালিত হয়েছেন। বালেগ হওয়ার পূর্বেই ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দ্বীনে হানিফে যারা জাহেলী যুগে ইবাদত-বন্দেগী করতেন তাদের মধ্যে যারা মূর্তিপুজা করেন নি এবং কোনরূপ গর্হিত কাজে লিপ্ত হননি তাদের মধ্যে হযরত আবু তালেব একজন। তার সন্তানদের ইতিহাসে মদপান পাওয়া যায় না। হযরত মাওলা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর মাধ্যমেই প্রিয় নবীজীর বংশধারা, বেলায়তের ধারা, ইলমের ধারা প্রসারিত ও প্রতিষ্ঠিত। যদি তিনি মদপান করেছেন সাব্যস্ত হয় তাহলে এই মদের অংশ ও প্রভাব সমস্ত আওলাদে রাসূলগণের মধ্যে রয়েছে সাব্যস্ত হয়। তার মদপানের হাদিস আয়াতে তাতহীরের খেলাফ এ কথা যেমন সত্য তেমনি মদপান ও নামাযের ইমামতির হাদিস ছিহাহ ছিত্তার ৩ খানা গ্রন্থ ও বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থে বর্ণিত। উভয়দিক সামনে রেখে কুরআন এবং হাদিসের সনদ-মতন যাচাই করে ফয়সালা নিম্নরুপ :-

আল কুরআন
মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন :
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
হে নবীর পরিবার! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণ পবিত্র করতে।  [সূরা আহযাব-আয়াত- ৩৩]
কুরআনের এ আয়াতের ঘোষণা হল আহলে বায়ত জাহেরী-বাতেনী সকল প্রকার রিযস বা নাপাকি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আহলে বায়তের অন্যতম সদস্য।
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজেই বলেছেন-
عن علي كرم الله تعالى وجهه لو وقعت قطرة منها في بئر فبنيت في مكانها منارة لم أؤذن عليها ولو وقعت في بحر ثم جف فنبت فيه الكلأ لم أرعه دابتي-
হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু বলেন- যদি একফোঁটা মদ কোন কুপে পড়ে আর সে স্থানে যদি ভবন  উঠিয়ে মিনারা নির্মাণ করা হয় আমি সে মিনারে আজান দিব না। যদি একফোঁটা মদ কোন সমুদ্রে পড়ে এরপর সমুদ্র শুকিয়ে যায় আর তাতে ঘাস জন্মে আমি সেখানে আমার পশু চরাবো না। [তাফসীরে কাশশাফ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৮৮, তাফসীরে রুহুল মায়ানী- খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২০৬]
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর এই বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়ে যায় তিনি মদ থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে কত মজবুত ছিলেন।

আল হাদিস
মদ হারাম হওয়ার পূর্বে কিছুসংখ্যক সাহাবী মদ খেয়ে নামাযে যেতেন। যাতে নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হতো। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু এ মদ সম্পর্কে মহান আল্লাহর দরবারে ফায়সালার আবেদন জানালেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে-
روى أبو داود عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال : لما نزل تحريم الخمر قال عمر : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت الآية التي في البقرة {يَسْأَلونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ} قال : فدعي عمر فقرئت عليه فقال : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت الآية التي في النساء {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى} فكان منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أقيمت الصلاة ينادي : ألا لا يقربن الصلاة سكران. فدعي عمر فقرئت عليه فقال : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت هذه الآية : {فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ} قال عمر : انتهينا. وقال سعيد بن جبير : كان الناس على أمر جاهليتهم حتى يؤمروا أو ينهوا ؛ فكانوا يشربونها أول الإسلام حتى نزلت : {يَسْأَلونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ} . قالوا : نشربها للمنفعة لا للإثم ؛ فشربها رجل فتقدم يصلي بهم فقرأ : {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ} فنزلت : {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى} فقالوا : في غير عين الصلاة. فقال عمر : اللهم أنزل علينا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت : {إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ} الآية. فقال عمر : انتهينا ، انتهينا. ثم طاف منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم : ألا إن الخمر قد حرمت- (الجامع لاحكام القران- ج-٥-صথ٢٠٠)

এ সকল বর্ণনার ভিত্তিতে বুঝা যায় মদ হারাম হওয়ার বিষয়ে হযরত ওমর, হযরত মায়াজ ও অন্যান্য সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন পর্যায়ে মদ হারাম হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয় নি। নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তখনও চূড়ান্ত নির্দেশ কামনা করেছেন।  দ্বিতীয় পর্যায়ে নামাজে যাওয়ার আগে মদের ধারে কাছেও যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপরও হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু চূড়ান্ত ফায়সালার আবেদন জানালে চিরতরে মদ হারামের ঘোষণা আসে। এখানে আয়াতের শানে নুযূল এটাই। প্রসঙ্গত : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপানের হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে যা শানে নুযুল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। 
এখন প্রশ্ন হল- لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এই আয়াতের শানে নুযুল হিসেবে বর্ণিত হাদিস গ্রহণযোগ্য কতটুকু?
হাদিস নিম্নরূপ :-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ أَبِى عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِىِّ عَنْ عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ )-
[سنن ابى داود- كتاب الاشربة- باب تحريم الخمر-جلد٢-صفحة-٧٩ ] 
ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন মুসাদ্দাদ, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন ইয়াহইয়া তিনি সুফিয়ান থেকে, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন আতা ইবনে সায়েব তিনি আবদুর রহমান সুলামী থেকে তিনি হযরত আলী ইবনে আবি তালেব আলাইহিস সালাম থেকে, তিনি বলেন, জনৈক আনসার তাঁকে এবং আবদুর রহমান ইবনে আওফকে আপ্যায়নের দাওয়াত দিলেন অত:পর খাবার শেষে তাদেরকে মদ পান করালেন, মদ পান হারাম ঘোষিত হওয়ার পূর্বে। অত:পর খাবার শেষে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মাগরিবের নামাযে ইমামতি করলেন। সেখানে তিনি সূরা কাফেরূন তিলাওয়াত করলেন তাতে ব্যতিক্রম ঘটে গেল। অতপর আল্লাহ তায়ালা ‘লা তাক্বরাবুছ ছালাতা.. .. .. . .. আয়াত নাযিল করেন। [সুনানে আবি দাউদ] 
حدثنا عبد بن حميد حدثنا عبد الرحمن بن سعد عن أبي جعفر الرازي عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي عن علي بن أبي طالب قال : صنع لنا عبد الرحمن بن عوف طعاما فدعانا وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا وحضرت الصلاة فقدموني فقرأت قل أيها الكافرون لا أعبد ما تعبدون ونحن نعبد ما تعبدون قال فأنزل الله تعالى { يا أيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } 
 قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب   ] جامع الترمذى- ابواب تفسير سورة النساء[
ইমাম তিরমিজী রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন আবদ ইবনে হুমাইদ, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন আবদুর রহমান বিন সাদ তিনি আবু জাফর রাজী থেকে তিনি আতা ইবনে সায়েব থেকে তিনি আবদুর রহমান বিন সুলামী থেকে তিনি হযরত আলি ইবনে আবি তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তিনি বলেন- আবদুর রহমান ইবনে আওফ আমাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন, অতপর আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান, অতপর খাবার শেষে আমাদেরকে মদ পান করান। ফলে মদের নেশা আমাদেরকে স্পর্শ করে। এ অবস্থায় নামাযের সময় হলো। তাঁরা আমাকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেন। আমি সেখানে সূরা কাফেরূন তেলাওয়াত করি। তবে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে ‘নাহনু না’বুদু মা তা’বুদুন’ বলে ফেলি। অতপর আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন- হে ঈমানদারগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটে যেও না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা অনুধাবন করতে পারো, তোমরা কি বলেছ? [জামে তিরমিজী]
এ দু’টি হাদিস উক্ত দুই কিতাবের সূত্রে- তাফসীর গ্রন্থ সমূহে ولا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এ আয়াতের শানে নুযুলে। যেমন :-
 ১। তাফসীরে তাবারী- খন্ড-৮, পৃ.-৩৭০
 ২। আল জামেউ লি আহকামিল কুরআন- খন্ড-৫, পৃ.-২০০
 ৩। তাফসীরে ইবনে আবি হাতেম- খন্ড-৩, পৃ.-৯৫৮
 ৪। তাফসীরে রূহুল মা’আনী- খন্ড-২, পৃ.-২০৬
 ৫। তাফসীরে বায়জাবী- খন্ড-৪, পৃ.-৬২
 ৬। তাফসীরে সামআনী- খন্ড-১, পৃ.-৪৩০
 ৭। তাফসীরে মাওয়ারদী- খন্ড-১, পৃ.-৪৮০
 ৮। তাফসীরে রূহুল বায়ান- খন্ড-২, পৃ.-১৬৮
 ৯। তাফসীরে কাবির- (মাফাতিহুল গায়ব)- খন্ড-১০, পৃ.-৮৭
 ১০। তাফসীরে বাহরুল মাদীদ- খন্ড-২, পৃ.-৬৯
এছাড়াও বিখ্যাত প্রায় সকল তাফসীরে হাদিস সমূহ বর্ণিত হয়েছে। 

পর্যালোচনা : হাদিসটি ছিহাহ ছিত্তার ৩টি গ্রন্থে বর্ণিত হওয়ায় মুফাসসিরগণ স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ হাদীস গ্রহণযোগ্য কতটুকু উসূলুল হাদিসের দৃষ্টিতে যাচাই করলে প্রতীয়মান হয় হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান করা, ইমামতি করা, সূরা কাফেরূন তেলাওয়াতে উল্টাপাল্টা করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ :
 ক) হাদিসের মতন مضطرب , যেমন-
১। প্রথম বর্ণনা-
عن علي بن أبي طالب قال : صنع لنا عبد الرحمن بن عوف طعاما فدعانا وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا وحضرت الصلاة فقدموني فقرأت قل أيها الكافرون لا أعبد ما تعبدون ونحن نعبد ما تعبدون قال فأنزل الله تعالى { يا أيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } 
 قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب-  (سنن الترمذى)
২। দ্বিতীয় বর্ণনা-
عَنْ عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ).
(سنن ابى داود) 
৩। তৃতীয় বর্ণনা-
ثم اتخذ عتبان بن مالك صنيعاً ودعا رجالاً من المسلمين فيهم سعد بن أبي وقاص- (روح المعانى)
প্রথম বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু
দ্বিতীয় বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা আনসারী একজন সাহাবী
তৃতীয় বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা হযরত ইতবান বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু
 (খ) 
১। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করেছেন-
أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ).
* হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا
 ২। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করার প্রমাণ নেই-
عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل تحريم الخمر فحضرت صلاة المغرب فتقدم رجل فقرأ : { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } الآية
উপরোক্তো প্রথম দুই হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান করেছেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তৃতীয় বর্ণনায় হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মদপান করার কোন প্রমাণ নেই। 

(গ) নামাজের ইমামতি কে করেছেন?
 (১) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ইমামতি করেছেন-
 فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ –
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের ইমামতি করলেন। (আবু দাউদ)
 وحضرت الصلاة فقدموني
নামাযের ওয়াক্ত হলে আমাকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয়া হল। (সুনানে তিরমিজি)
 (২) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন-
دعانا رجل من الأنصار قبل أن تحرم الخمر فتقدم عبد الرحمن بن عوف و صلى بهم المغرب فقرأ
ইমাম ছিলেন হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু। [আল মুসতাদরাক, খন্ড-৪, পৃ.-১৫৮]
ইমাম ইবনে জারীর ও ইবনুল মানজারের বর্ণনায় রয়েছে-
عن على كرم الله تعالى وجهه ان امام القوم يومئذ هو عبد الرحمن بن عوف وكانت الصلاة صلاة المغرب-
৩। ইমাম বায়জাবী রহ. ও তাফসীরে কবিরের ভাষ্যমতে
وجاء وقت صلاة المغرب فتقدم احدهم ليصلى بهم
(ঘ) নামাযে সূরা কাফেরুনে কি ভুল করেছেন?
 ১। তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে- فقرأت قل يا ايها الكافرون- لا اعبد ما تعبدون- ونحن عابدون ما تعبدون- [তাফসীরে কুরতবী- খন্ড-৫, পৃ.-২০০]
 ২। আল্লামা বায়যাবী রহ. বর্ণনা করেন- فقرأ قل يا ايها الكافرون- اعبد ما تعبدون 
 ৩। তাফসীরে ইবনে আবি হাতিমে এসেছে- فقرأ قل يا ايها الكافرون-اعبد ما تعبدون- ونحن نعبد ما تعبدون [হাদিস নং-৫৩৫২] 
 ৪। তাফসীরে তাবারী (খন্ড-৮, পৃ.-৩৭৬), রূহুল বয়ান (খন্ড-২, পৃ.-১৬৮)-
فقرأ قل يا ايها الكافرون- اعبد ما تعبدون- وانتم عابدون ما اعبد- انا عابد ما عبدتم- لكم دينكم ولى دين-
উক্ত চারটি বর্ণনায় কিরাআতে ভুল করার বিষয়টি এককভাবে বর্ণিত হয়নি। বরং এক একজন মুফাসসির ও মুহাদ্দেস ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। উক্ত ৪টি দিক থেকে হাদিসটি مضطرب বা অসামঞ্জস্যশীল। 
হাদিস যদি مضطرب হয় তার হুকুম সম্পর্কে আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. লিখেন-
ان وقع فى اسناد او متن اختلاف من الرواة بتقديم او تأخير او زيادة او نقصان او ابدال راوى مكان راو آخر او متن مكان متن او تصحيف فى اسماء السند او اجزاء المتن او باختصار اوحذف او مثل ذلك فالحديث مضطرب فان امكن الجمع فيها والا فالتوقف- (المقدمة للشيخ عبد الحق المحدث الدهلوى رحمه البارى)
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপানের বিষয়ে বর্ণিত হাদিসটি সম্পূর্ণ مضطرب। এগুলো এমনই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাতে সামঞ্জস্য বিধান করা সম্ভব নয়। তাই এ সকল হাদিসের বক্তব্যে তাওয়াক্কুফ করে দেখতে হবে এ চেয়ে ইখতেলাফ বিহীন কোন হাদিস পাওয়া যায় কিনা। এক্ষেত্রে المستدرك على الصحيحين গ্রন্থে ইমাম হাকেম বর্ণিত হাদিসখানা প্রণিধানযোগ্য। এ হাদিসখানাকে ইমাম হাকেম রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেছেন- هذا حديث صحيح الاسناد ولم يخرجاه হাদিসখানা নিম্নরূপ :-
أخبرنا محمد بن علي بن دحيم الشيباني ثنا أحمد بن حازم الغفاري ثنا أبو نعيم و قبيصة قالا : ثنا سفيان عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل تحريم الخمر فحضرت صلاة المغرب فتقدم رجل فقرأ : { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } الآية 
 هذا حديث صحيح الإسناد و لم يخرجاه 
 و في هذا الحديث فائدة كثيرة و هي أن الخوارج تنسب هذا السكر و هذه القراءة إلى أمير المؤمنين علي بن أبي طالب دون غيره و قد برأه الله منها فإنه راوي هذا الحديث 
تعليق الذهبي قي التلخيص : صحيح
[আল মুসতাদরাক- খন্ড-২, পৃ.-৩৩৬]
উক্ত হাদিস হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। এখানে দাওয়াতকারী আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু নন বরং একজন আনসার। তিনি বলেন فتقدم رجل  একলোক ইমামতি করেছেন। এ হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ পান করেছেন তার প্রমাণ নাই। ইমামতিরও প্রমাণ নেই।  এ হাদিস প্রমাণ করে উক্ত দাওয়াতে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত ছিলেন। মদ খান নি, ইমামতিও করেন নি। তাফসীরাতে আহমদিয়ার ভাষ্যমতে ইমামতি করেছেন عتبان بن مالك রাদিয়াল্লাহু আনহু।
ইমাম হাকেম বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে সমাধান দিয়েছেন। যে সকল হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান, ইমামতি ও কিরাআতে ভুল করার বর্ণনা রয়েছে তা হল-
ان الخوارج تنسب هذا السكر وهذه القراءة الى امير المؤمنين على بن ابى طالب دون غيره وقد برأه الله منها فانه راوى هذا الحديث-
অর্থাৎ খারেজীরা এই মাতলামী ও নামাযে ভুল তেলাওয়াতকে আমীরুল মুমেনিন আলী ইবনে আবি তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি সম্পৃক্ত করে দিয়েছে। তাকে ছাড়া অন্য কারো প্রতি বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয় নি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে এ মন্দ কাজ থেকে মুক্ত রেখেছেন। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজেই এই হাদিস বর্ণনা করেছেন। 
হাদিসগুলো এজন্য গ্রহণযোগ্য নয় যে হাদিসের সনদের রাবীগণ নিয়ে اهل الجرح والتعديل গণের আপত্তি রয়েছে। 
(ক) আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হাদিসে দু’জন রাবী রয়েছেন-
 (১) عطاء بن السائب  (২) ابو عبد الرحمن السلمى 
ইমাম আবু হাতেমের মতে আবু আবদুর রহমান সুলামী হযরত আলী থেকে রেওয়ায়েত করেন নি। মধ্যখানে একজন রাবী রয়েছে। এ রেওয়ায়েত মুরসাল। আতা ইবনে সায়েব রহমতুল্লাহে আলাইহে সম্পর্কে ইমাম শো’বা বলেছেন- তার জীবনের দু’টি অধ্যায়। প্রথম দিকে স্মৃতিশক্তি প্রখর ছিল, শেষ বয়সে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। এজন্য মুহাদ্দেসগণ তার বর্ণনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বলেছেন- فلا يحتج بحديثه তার বর্ণিত হাদিস দলিল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। [তাহজীব- খন্ড-৪, পৃ.-১৩১]
ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহে আলাইহে তার সম্পর্কে বলেন- ثقة فى حديثه القديم الا انه تغير  স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার পূর্বের হাদিসগুলো গ্রহণযোগ্য যদি তিনি পরিবর্তন না করে থাকেন।
ইমাম শাওকানী বলেন- ইয়াহইয়া ইবেন মাঈন আতা সম্পর্কে বলেন- لا يحتج بحديثه তার হাদিস দলিল হবে না। 
ইমাম জাহাবীর মতে হাদিসটি যয়ীফ। যেহেতু راوى সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের আপত্তি রয়েছে। [মীযানুল এতেদাল- খন্ড-১, পৃ.-২৮৭]
আবু আবদুর রহমান আস সুলামী সম্পর্কে আল্লামা যাহাবী রহ. বলেন-
عن الواقدى انه شهد مع على عليه السلام صفين ثم صار عثمانيا
ইমাম ওয়াকেদী বলেন- তিনি (সুলামী) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দলে থেকে ছিফফিনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উসমানী তথা আলী বিরোধী দলে যোগ দেন। যেহেতু আলী বিদ্বেষী ছিলেন আর একটি মাত্র সূত্রে অর্থাৎ একমাত্র সুলামীর সনদেই আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপানের বর্ণনা রয়েছে। তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 
সুলামী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বিদ্বেষী ছিলেন। 
ابو عبد الرحمن السلمى اسمه عبد الله بن حبيب قال رجل لابى عبد الرحمن السلمى انشدك الله متى ابغضت عليا (عليه السلام) اليس حين قسم قسما بالكوفة فلم يعطك ولا اهل قال اما اذا انشدتنى الله فنعم-
অর্থাৎ আবু আবদুর রহমান আসসুলামী যার প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ বিন হাবিব। একব্যক্তি আবু আবদুর রহমানকে বললো- তোমার প্রতি আল্লাহর শপথ! কখন থেকে আলী আলাইহিস সালামের শত্রæ হয়ে গেলে? সেই সময় থেকে নয় কি? যখন কুফায় সম্পদ বন্টন হচ্ছিল তখন তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে কিছুই দেয়া হল না। সুলামী উত্তর দিলেন- তুমি যেহেতু আমাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলেছ, তবে বলছি হ্যাঁ। [তাবারী, আল মুনতাখাব মিন যাইলিল মুযীল- পৃ.-১৪৭]
ফাতওয়া :- لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এ আয়াতের শানে নুযুল হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিষয়ে মারফু বর্ণনায় সহি সনদে বিদ্যমান। ঐ বর্ণনাকেই মূল শানে নুযুল হিসেবে গ্রহণ করা অধিক যুক্তিযুক্ত। ইমাম তিরমিজি, আবু দাউদ রাহেমাহুমুল্লাহদের বর্ণনা مضطرب ও সনদের রাবী সম্পর্কে اهل الجرح والتعديل এর আপত্তি থাকায় হাদিসটি যয়ীফ। আর ইমাম হাকেমের বর্ণিত হাদিস صحيح الاسناد হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য। যে হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করা, নামাযের ইমামতি করা এবং সূরা ভুল করার কোন বিষয় নাই। কুরআনে বর্ণিত আয়াতে তাতহীরের শান ঠিক রেখে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাওয়াতে ছিলেন কিন্তু মদপান করেননি, নামাযের ইমামতিও করেননি ও সূরা ভুল করেননি এটাই আমাদের আকিদা থাকবে। ছিহাহ ছিত্তার গ্রন্থসমূহে বর্ণনা থাকায় মুফাসসিরগণ এ হাদিসগুলোকে مضطرب মতন সনদে রাবীর আপত্তি থাকা সত্তেও বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ছিহাহ ছিত্তায় বর্ণনা থাকায় গাউসিয়া তারবিয়াতি নেসাবে বিষয়টি আনা অন্যায় হয় নি। হয়তো বিষয়টি নিয়ে পর্যাপ্ত তাহকীক করা হয় নি।। বর্তমানে যেহেতু সনদ ও মতন এবং কুরআনের আয়াতে তাতহীরের সমন্বয় সব মিলিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে এবং আলা হযরত রহমতুল্লাহে আলাইহের ফাতওয়া হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিষ্কলুষতার পক্ষে রয়েছে, যা নিম্নরূপ :
نشہ ہمیشہ ہر شریعت مین حرام رہا ہے -
امیر المومنین سیدنا مولا علی کرم اللہ تعالی وجہہ الکریم کی نسبت امر مذکور کا بیان کرنے والا اگر اس سے شان اقدس مرتضوی پر طعن چاہتا ہے تو خارجی ناصبی مردود جہنمی ہے۔ ورنہ بلا ضرورت شرعیہ عوام کو پریشان کرنے والا سفیہ احمق بدعقل بے ادب ہے۔  ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ بلکہ اسمین قائل جھوٹ ملایا ہے- اسے توبہ لازم ھے- لا حول ولا قوة الا بالله العلى العظيم-
“নেশা হামেশাহ হার শরীয়ত ম্যাঁ হারাম রাহা হ্যায়। আমীরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা মাওলানা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম কী নিসবত আমরে মাজক‚র কা বায়ান করনেওয়ালা আগার উস শানে আকদাসে মুরতাদ্বাবী পর ত্বা’ন চাহতা হ্যায় তো খারেজী, নাসেবী, মারদূদ, জাহান্নামী হ্যায়। ওয়ারনাহ বেলা জরুরাতে শরইয়্যাহ আওয়াম কো পরীশান করনেওয়ালা সফীহ, আহমক্ব, বদ আক্বল, বে আদব হ্যায়। বলকেহ উসমে ক্বায়েল নে ঝুট মিলায়া হ্যায়। উসে তওবা লাযেম হ্যায়। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ওয়াল্লাহু তায়ালা আ’লামু।”
অর্থ- নেশা জাতীয় দ্রব্য-পানীয় সকল শরীয়তে হারাম হিসেবে রয়েছে। আমীরুল মুমেনীন আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীমের প্রতি উল্লেখিত বিষয়ের সম্পৃক্তকারী যদি এর মাধ্যমে তার ‘মুরতাদ্বাবী’ শান এর উপর আঘাত করতে চায় তাহলে সে খারেজী, নাসেবী, মারদূদ ও জাহান্নামী। 
নতুবা শরীয়তের প্রয়োজন ব্যতিরেকে সাধারণ মুসলমানদেরকে যদি এ বিষয় নিয়ে বিরক্ত করে তাহলে ঐ ব্যক্তি নির্বোধ, আহমক, বিবেকহীন ও বে আদব। ............
বরং এ বিষয়ে বর্ণনাকারী মিথ্যা সংযুক্ত করেছে। তার তওবা করা আবশ্যক। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ওয়াল্লাহু তায়ালা আ’লামু।”
[আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহ., ফাতাওয়া রেজবিয়্যাহ, কিতাবুল আশরিবাহ, ১০ম খন্ড, পৃ.- ৮৪, মাসআলা নং-২৭]

এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হল- তারবিয়াতী নেছাব সংশোধন করে এ বিতর্কের অবসান করাই যুক্তিযুক্ত এবং বাঞ্চনীয়। এক্ষেত্রে গোঁড়ামী  ও লাজ-শরমের কোন অবকাশ নেই। ইমামে আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু বহু মাসআলায় রুজু করেছেন অন্যান্য ইমামগণেরও রুজু করার বহু প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সহী ও সঠিক পথে চলার তাওফীক দান দিন।  
 আহকার
ড. মুফতী মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান
অধ্যক্ষ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
Top