৩ বছর পর মিলবে মুক্তি, তুরস্ক কি পরাশক্তি হতে পারবে?

<section class="main" style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-variant-numeric: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-stretch: inherit; line-height: inherit; font-family: solaimanLipi, Arial, Vrinda, FallbackBengaliFont, Helvetica, sans-serif; vertical-align: baseline;"><div class="ad" style="text-align: justify; margin: 0px; padding: 5px 0px 2px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline; background: rgb(238, 238, 238);"><br></div><div class="dblock bgash" style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline; background: rgb(221, 221, 221); clear: both;"><img alt="৩ বছর পর মিলবে মুক্তি, তুরস্ক কি পরাশক্তি হতে পারবে?" class="w100 dblock" loading="lazy" src="https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/erdogan-220940.jpg" style="text-align: justify; margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline; max-width: 100%; width: 450px; display: block; float: left; clear: both;"></div><div class="cl" style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline; clear: both; width: 0px; height: 0px;"></div><div id="text" class="mt20 lh25" style="margin: 20px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: 25px; font-family: inherit; vertical-align: baseline;"><div class="padlr5" style="text-align: justify; margin: 0px; padding: 0px 17.9948px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><b class="fwb" style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ব্রিটেনের নেতৃত্বে মিত্র শক্তিগুলো তুরস্কের সামগ্রিক উন্নতি রোধ করার জন্য বিবিধ অন্যায় এবং অপমানজনক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিচয় পর্যন্ত বদলে দেয় ১৯২৩ সালে সম্পাদিত লুজান চুক্তির মাধ্যমে। তৎকালীন বিশ্বে অন্যতম পরাশক্তি ওসমানী সাম্রাজ্যের উৎখাতের ব্যাবস্থা করা হয় এই চুক্তিতে এবং পরবর্তী ১০০ বছরেও যেন তুর্কিরা নিজেদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করার কোনো প্রচেষ্টা করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করা হয়। ১৯২৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালে। তুরস্ক মুক্তি পেতে যাচ্ছে অনেক বিধি নিষেধ এবং নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে, তারপরে কেমন হতে পারে তুরস্কের ভবিষ্যৎ?</b></div><div class="padlr5" style="margin: 0px; padding: 0px 17.9948px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে পরাজয়ের পর পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষত ইউরোপের বহুকালের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমানী সাম্রাজ্যের উৎখাতের সুবর্ণ সুযোগ আসে তাদের হাতে। ১৯২৩ সালে সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরে সম্পাদিত হওয়া চুক্তিতে তারা তুরস্কের ওপর ইচ্ছা মত এমন অনেক অন্যায় শর্ত চাপিয়ে দেয় যা সুনিশ্চিত করে যে তুরস্ক একশো বছরের মধ্যে তাদের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবেনা, এই চুক্তিই এককভাবে তুরস্ককে ইউরোপের পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করে। প্রথমে দেখে নেয়া যাক এই চুক্তির শর্তসমূহ।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><br></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">ওসমানী সাম্রাজ্যের পরিসমাপ্তি :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">ওসমানী সালতানাতের সব উত্তরাধিকাদেরকে নির্বাসিত করা হয়, কাউকে গুপ্ত হত্যা করা হয়, অনেককে নিখোঁজ করা হয়। তাদের সম্পদ বাজয়াপ্ত করা হয়। এই ভাবে খিলাফতের শেষ চিহ্ন পর্যন্ত মুছে ফেলা হয় তুরস্ক থেকে।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><br></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">ওসমানী সাম্রাজ্যের বিভাজন এবং নতুন অনেক রাষ্ট্রের আবির্ভাব :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">১৫২১ খ্রিস্টাব্দে ওসমানী সালতানাতের আয়তন সর্বোচ্চ হয়, এ সময় তার আয়তন ছিল ৩৪ লক্ষ বর্গ কিমির বেশি। বিভিন্ন সময় কম বেশি হওয়া সাম্রাজ্যের গড় আয়তন ছিল ১৮ লক্ষ বর্গোকিমি। বর্তমান তুরস্কের আয়তন মাত্র ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার বর্গ কিমি। বিশ্বখ্যাত অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর এর থেকে অন্তত ৪০টি নতুন রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">ইসলাম বিরোধী সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্কে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউরোপ আমেরিকার তাবেদার সেক্যুলার রাষ্ট্র। নিষিদ্ধ করা হয় আরবী চর্চা, বন্ধ করা হয় হাজারো মাদ্রাসা, মসজিদে মসজিদে আজান নিষিদ্ধ করা হয়, হত্যা করা হয় বহু ইমাম, মুয়াজ্জিন, ইসলামী স্কলার এবং আলেমকে। ওসমানী সালতানাতে মূলত দুটি ভাষা প্রচলিত ছিল একটি আরবী অপরটির ফারসি। সাম্রাজ্যের বর্ণমালাকে আবজাদ বলা হতো, যা ওসমানী সাম্রাজ্যের ভাষা বলে পরিচিত ছিল। তাদের রাষ্ট্রীয় ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রচলন করা হয় ল্যাটিন ভাষার। এই ভাবে রাতারাতি একটি জাতিকে ফেলে দেয়া হয় অক্ষরজ্ঞানহীন, পরিচয়হীন একটি অন্ধকার কুপে।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">তুরস্কের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">চুক্তির পরবর্তী একশো বছর তুরস্ক নিজেদের ভূমিতে বা বাইরে কোনো দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণ করতে পারবে না। বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশের অর্থনীতি শুধুমাত্র তেলের ওপর নির্ভরশীল সেখানে তুরস্ককে তেল উত্তোলন করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা হয় ফলে তুরস্ক নিজেদের প্রয়োজনে সব রকম জ্বালানি আমদানি করে বাইরের দেশ থেকে যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নতিতে প্রধান অন্তরক।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><br></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">বসফোরাস প্রণালীর আন্তর্জাতিকরণ :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">তুরস্কের অর্থনীতির ওপর আরো একটি বৃহৎ ধাক্কা দেয়া হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ বসফরাসের ওপর তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ শেষ করে দেয়ার মাধ্যমে। কৃষ্ণ সাগর এবং ভূমধ্যসাগরের মাঝে সংযোগস্থাপনকারি এই প্রণালীটি এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যেকার বাণিজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রতিদিন তুরস্কের বুকের ওপর থেকে হাজারো জাহাজ পার হলেও তুরস্ক তাদের থেকে এক টাকাও সংগ্রহ করতে পারেনা।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">মক্কা ও মদিনার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া :</strong></div><div class="mt10" style="margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><div style="text-align: justify;">৪০০ বছর মক্কা এবং মদিনাকে নিয়ন্ত্রণ করা তুর্কি সুলতানরা নিজেদেরকে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বলে অভিহিত করতে গর্ববোধ করতো। ওসমানী সাম্রাজ্য থেকে পৃথক হওয়ার পর ১৯৩২ সালে আমেরিকার মদদপুষ্ট সাউদ গোষ্ঠী সৌদি আরবের মসনদে বসার পর মক্কা ও মদিনার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। তুরস্কের বাসিন্দারা আজও হজ এবং ওমরাহ করার সময় মক্কা মদিনায় কেঁদে কেঁদে দোআ করে যে, “ইয়া আল্লাহ, আমাদের ক্ষমা করো, আমাদের ওপর তোমার অসন্তুষ্টি শেষ করো, আমাদেরকে আবার মক্কা মদিনার খাদেমের মর্যাদা ফিরিয়ে দাও।”</div><div style="text-align: justify;">তুর্কিরা হজের সময় নিজেদের সঙ্গে এক ধরনের মানচিত্র নিয়ে আসে যাতে মক্কা মদিনার পূর্বের সব পবিত্র স্থাপনার বর্ণনা আছে যার মধ্যে অনেক স্থাপনা সৌদি সরকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। তারা নাম নিয়ে নিয়ে সেই সব জায়গায় সাহাবীদের কবর জিয়ারত করে।</div></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><strong style="margin: 0px; padding: 0px; border: 0px; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; font-stretch: inherit; font-size: inherit; line-height: inherit; font-family: inherit; vertical-align: baseline;">২০২৩ পর তুরস্ক যা করতে পারে :</strong></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">তুরস্ক হয়তো আবারো ফেরাতে পারবেনা ওসমানী সালতানাতের সেই সোনালী দিন গুলো তবে তারা যে আস্তে আস্তে সেই দিকেই যাবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। তুরস্ক সেই উদ্দেশ্যেই তাদের জনগন সহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে সালতানাতে ওসমানিয়ার গৌরবময় দিনগুলো সম্পর্কে ড্রামা সিরিজ, চলচ্চিত্র ইত্যাদি তৈরির মাধ্যমে অবহিত করছে।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">তুরস্কের বর্তমান অর্থনীতি খুব একটা বৃহৎ আয়তনের নয়। তাদের জিডিপি হলো ৭৪৩ বিলিয়ান ডলার (২০১৯ সালের হিসেব) যা বিশ্বে ১৯তম । কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবল সম্ভাবনাময় দেশ তুরস্ক লুযান চুক্তির পর যে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক অগ্রগতি করবে তা বোঝার জন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;"><br></div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">ইতি মধ্যে তারা গ্রিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভূমধ্যসাগরে তেলের অনুসন্ধান শুরু করেছে। নিজেদের দেশের প্রয়োজনের একটা বড়ো অংশ তারা নিজেদের উত্তোলিত তেল থেকে পূরণ করতে পারলে তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমবে এবং তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যা ২০১৯ সালের হিসেব অনুসারে ছিল ১ শতাংশেরও কম তা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তারা নিশ্চিতভাবেই বসফরাসের ওপর নিজেদের অধিকার কায়েমের চেষ্টা করবে এবং এতে বাধা এলেও তারা সফল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আমেরিকা যে তাতে বাধা দেবে তা ভেবেই তারা এখন থেকে চীন রাশিয়া ইরান পাকিস্তানের সঙ্গে মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">তুরস্ক এরদোয়ানের আমলে আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত মুসলিম বিদ্বেষী সেক্যুলার ছবি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বদান করার ক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে আছে। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে তুরস্কের ভবিষ্যৎ যে খুব উজ্জ্বল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সব ঠিক ঠাক থাকলে তারা নব বিশ্ব শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এক দশকের মধ্যে এবং এটি নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের জন্য আবার সুখের দিনের বার্তা বহন করে আনবে।</div><div class="mt10" style="text-align: justify; margin: 10px 0px 0px; padding: 0px; border: 0px; font: inherit; vertical-align: baseline;">সৌজন্য: মিলিটারি ডিফেন্স ফোরাম (এমডিএফ)</div></div></div></section>

৩ বছর পর মিলবে মুক্তি, তুরস্ক কি পরাশক্তি হতে পারবে?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ব্রিটেনের নেতৃত্বে মিত্র শক্তিগুলো তুরস্কের সামগ্রিক উন্নতি রোধ করার জন্য বিবিধ অন্যায় এবং অপমানজনক নিষেধাজ্ঞা...

Read more »

তুরস্কে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন

<div><br></div><div><div class="adds ADX" style="box-sizing: inherit; text-align: center; background: rgb(252, 252, 252); padding: 5px 8px; font-size: 24px; box-shadow: rgba(82, 82, 82, 0.4) 2px 2px 3px 1px; color: rgb(54, 54, 56); font-family: SolaimanLipi, Arial, Helvetica, sans-serif;"></div><div class="m_content" style="box-sizing: inherit; color: rgb(54, 54, 56); font-family: SolaimanLipi, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 15px; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><p style="box-sizing: inherit; font-size: 18px; line-height: 24px;">২০০২ সালে এরদোগান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন করে কাজ শুরু করেন। তার দল এ কে পার্টি প্রতিষ্ঠার পর তার বক্তব্য ছিল, কোন কিছুই আর পুরাতনের মতো হবে না। কথাগুলো সামনে নিয়ে নতুন তুরস্ক গঠনে প্রচÐ গতিতে উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২০০২ সালের নির্বাচনে জয়ের পর থেকে একটানা ১৫ বছর এ কে পার্টি তুরস্কের শাসন ক্ষমতায় আছে। কতটা পরিবর্তন হয়েছে তুরস্কে? এরদোগানের প্রতিশ্রæত নতুন তুরস্ক কি নতুনের মতো হয়েছে, নাকি পুরাতনই থেকে গেছে? তাহলে চলুন দেখে নেই তার দেশের প্রতিটি সেক্টরে তিনি কী রকম উন্নতি করেছেন।<br style="box-sizing: inherit;">এরদোগান ক্ষমতায় বসার ৩ বছরের মধ্যে যা করেন তাহলো অর্থনীতি, শিক্ষা, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন করেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১১.১% করেন। আগের সরকারগুলো ৭৯ বছরে রাস্তা করে ৬ হাজার কিলোমিটার। এরদোগান সরকার ১৫ বছরে করেছে ১৮ হাজার কিলোমিটার। ২০০২ সালে মাথা পিছু আয় ছিল ৩ হাজার ডলার, তার সরকার করেছে সাড়ে দশ হাজার ডলার। আগের সরকারের সময় রফতানি ছিল ৩৬ মিলিয়ন ডলার, এখন হয়েছে ১৫৫ বিলিয়ন ডলার।<br style="box-sizing: inherit;">আইএমএফের ২৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সরকার শূন্যেতে নিয়ে এসেছে। আগে একেক শ্রেণীতে ৭০-৮০ জন ছাত্র পড়াশোনা করতো, এখন আজকের বিশ্ব মানের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণীতে ২৩-২৪ জন ছাত্র পড়ে। আগে লোকজন ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতো। এখন ফাইভস্টার মানের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। যেমন স্বাস্থ্য খাতে এতই উন্নতি হয়েছে যেটা আমেরিকা করতে পারেনি। আগে তুরস্কের লোক ইউরোপে গিয়ে চিকিৎসা নিতো, এখন ইউরোপের অনেক লোক তুরস্কে এসে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পুরো তুরস্কের অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক উন্নতিসহ বিশেষ করে যাতায়াতে সড়ক পথ, রেলপথ, আকাশপথে এত বেশি উন্নয়ন হয়েছে যেটা তুরস্কে ৮ কোটি জনগণ কোনদিন স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারেনি।<br style="box-sizing: inherit;">এ কে পার্টি ২০১১ সালে ভীশন ২০২৩ ঘোষণা করে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ১০০ বছর পূর্তিতে নতুন এক তুরস্ক গঠনের অঙ্গীকার করে, যে তুরস্ক বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। সে জন্য দেশের অভ্যন্তরেও সকল সেক্টরকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সকল সেক্টরে সুবিশাল এক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্ককে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতেই এখন এ কে পার্টি কাজ করছে। এ কে পার্টি শুরু থেকেই রাজনীতিকে জনগণের আস্থায় নিয়ে আসা, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি একটি সুশাসন নিশ্চিত করেছে। <br style="box-sizing: inherit;">যোগাযোগ ব্যবস্থা: এ কে পার্টি ২০০২ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন সারা দেশে ছিল ৬১১৯ কিলোমিটার সড়ক। ২০১৬ সালের শেষের দিকে এসে তা ২৫১৯৭ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। আগে তুরস্কের মোট ৫৯৬৭টি সেতু ও ব্রিজ ছিল যেগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৩১১ কিলোমিটার। ২০১৬ এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮১০০টিতে যার মোট দৈর্ঘ্য ৫২০ কিলোমিটার। ২০১৩ বরফ রাশ ট্যানেলের পানির ৫৬ মিটার নিচ দিয়ে নির্মাণ করা মারামারাই রেলপথ (টানেল) উদ্বোধন করা হয়। যা এখন দৈনিক ১ লাখ ৮২ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। এশিয়া ইউরোপের দুই মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগকারী এই রেল টানেলটি পুরো ইস্তামবুলের যাতায়াত ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। খরচ হয়েছে ৪ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয়টি হলো ইউরোশিয়া (ইউরোপ-এশিয়া) টানেল যা বরফ রাশ পানির ১০৫ মিটার নিচ দিয়ে যাওয়া রেল ও সড়ক পথ। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ১.২ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় বড় প্রজেক্ট হলো, বরফ রাশ সেতু ইয়াভুজ সুলতান সেলিম ব্রিজ যা ২.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নির্মিত। এই সেতুটি ইস্তাম্বুলের শুধু বর্তমানের লোকদের নয় বরং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিশাল সেবা দেবে।<br style="box-sizing: inherit;">রেল লাইন: ২০১৩ সালের ৯ মার্চ আনকারা ইস কে শিহিরহাই স্পিড লাইনের মাধ্যমে তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম হাইস্পিড ট্রেন (দ্রæত গতির রেল লাইন) চালু হয়। হাইস্পিড ট্রেন ব্যবহার শুরু হয়েছিলো ১৯৫৭ জাপানে এবং ’৬৫ সালেই ইউরোপে চালু হয়েছে। পাশাপাশি আনকারা ইজসির, আনকারা সিডস, বুরসা বিনেজিক ও চোনিয়া কারমানসহ আরও বেশ কিছু দ্রæত গতির রেললাইন এখন নির্মাণাধীন। সরকার মোট ১৮০৫ কিলোমিটার হাইস্পিড ট্রেন লাইন নির্মাণ করেছে এবং ৩৪৮১ কিলোমিটারের কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। এই ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। ২০০ কিলোমিটার বেগে যখন এই ট্রেন ছোটে তখন মনে হয় চোখের পলকেই মাইলের পর মাইল চলে যাচ্ছে। কোন শব্দ নেই। নিঃশব্দে এগিয়ে যায় এই দ্রæতগতির বাহনটি। হাইস্পিড ট্রেনের স্টেশনগুলোকে খুবই আধুনিক। যার প্রথমটি করা হয়েছে রাজধানী আনকারাতে। বাইরে থেকে দেখলে বুঝার উপায় নেই যে এটি কোন স্টেশন। মনে হবে ফাইভস্টার হোটেল ও মল। ২০০৩ সালে সাধারণ রেললাইন ১০৯৫৯ কিলোমিটার থেকে বেড়ে বর্তমানে ১২৫০২ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। শহরগুলোতে আধুনিক মেট্রো ও পাতাল রেল স্থাপন করা হয়েছে।<br style="box-sizing: inherit;">আকাশ যোগাযোগ: ২০০৩ সালে তুরস্কে ২৬টি এয়ারপোর্ট ছিল। ২০১৬ সালের শেষে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৫৫টি। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া তার্কিশ এয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে ২টি গন্তব্য থেকে ২৬টি রুটে যেত, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭টি গন্তব্য থেকে ৫৫টি রুটে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ৬টি অন্যান্য বড় বিমান পরিবহন সংস্থা তাদের ফ্লাইট চালু করেছে। ২০০২ সালে যেখানে ৮.৫ মিলিয়ন লোক অভ্যন্তরীণ বিমান ব্যবহার করছে। যেখানে ২০১৩ সালে এসে ৭৬ মিলিয়ন যাত্রী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ব্যবহার করছে। উদাহরণ স্বরূপ আনকারা ইস্তাম্বুল দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। সড়ক পথে যেতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। ভাড়া যাওয়া-আসা ১৪০ লিরা। বাংলাদেশি তিন হাজার টাকা। আর আনাদুলু জেট এয়ার যাওয়া-আসার ভাড়া ৮০ লিরা বাংলাদেশি টাকায় ১৭শ’ টাকা। ২০০০ সালে তার্কিশ এয়ার বিশ্বের ৬০টি রুটে যেত, এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ২২৯-তে। ২০০২ সালে তার্কিশ এয়ার ২৪ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করেছে। ২০১৩ সালে ৭৩ মিলিয়ন করেছে। তার্কিশ বিশ্বের সেরা ১০টি এয়ারের অন্যতম।<br style="box-sizing: inherit;">এরদোগান অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একমাত্র খাঁটি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার প্রমাণ তার আমলেই আফ্রিকার প্রায় সবগুলো দেশেই তুরস্কের দূতাবাস স্থাপিত হয়েছে। ২০০৪ সালে যেখানে ১২টি দূতাবাস ছিল ২০১৬ সালে এসে তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯টিতে। এরদোগান নিজে উদ্যোগ নিয়ে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে তার কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। অনেক দেশে আন্তর্জাতিক মানের এয়ারক্রাফট নেই; তাই তার্কিশ এয়ার তাদের ৩০টি দেশের ৪০টি এয়ারপোর্টে নিয়মিত যাওয়া-আসা করে। মানবদরদী এরদোগানের কারণে আফ্রিকার দেশগুলো বিমানের এই সার্ভিস পেয়ে অনায়াসে বিশ্বের যে কোন দেশে ভায়া ইস্তাম্বুল হয়ে স্বল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারে।<br style="box-sizing: inherit;">তুরস্কের ইস্তাম্বুলের দুটি বিমানবন্দর কামাল আতাতুর্ক ও সাবিহা গুকচেন পৃথিবীর অন্যতম ট্রানজিট বিমানবন্দর। অনেক বেশি ব্যস্ত এই দুটি বিমানবন্দর। বর্তমানে চাপ সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। সে জন্য ইস্তাম্বুলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট নির্মাণ কাজ চলছে যা তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রজেক্ট। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে এর উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। বছরে ৯০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে নতুন এ এয়ারপোর্ট। পুরো কাজ শেষ হলে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০ মিলিয়নে।<br style="box-sizing: inherit;">স্বাস্থ্য খাত: মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে স্বাস্থ্য অন্যতম। এ কে পার্টি তার ১৫ বছরের শাসনে এ সেক্টরে সীমাহীন পরিবর্তন করেছে। সকল নাগরিকদের জন্য ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে যার মাধ্যমে নাগরিকরা বিনামূল্যে সব ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো থেকে নিয়ে অস্ত্রপ্রচার, নানা রকমের পরীক্ষাসহ কেবিন বেড বিনা অর্থে পাবেন। ২০০২ সালের পর বর্তমান সরকার এ পর্যন্ত ২৪৯৪টি নতুন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৭৫৭টি হাসপাতাল এবং ১৭৩৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র। আগের মেডিকেল কলেজগুলোকে রাতারাতি আসন সংখ্যা দ্বিগুণ এবং নার্সিং ইন্সটিটিউটে আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি মহল্লা/গ্রামে একটি করে স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে বিশেষ করে মা-শিশুরা চিকিৎসাসেবা পায়। হাসপাতালে এম্বুলেন্স সংখ্যা ২০০২ সালে ছিল ৬১৭টি, বর্তমানে ৪৮৪০টিতে দাঁড়িয়েছে। জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র ৪৮১ থেকে বর্তমানে ২১৬৫টি। জনগণকে আরো বেশি করে জরুরি চিকিৎসা দিতে ১৭টি হেলিকপ্টার এম্বুলেন্স, ৩টি এয়ার এম্বুলেন্স, ৬টি সি এম্বুলেন্স এবং ৩৩০টি বরফের উপর দিয়ে চলতে পারে এমন এম্বুলেন্স বরাদ্দ করা হয়েছে। ১১২-তে ফোন করে যে কোন লোক ওই সব সেবা পেতে পারে। <br style="box-sizing: inherit;">শিক্ষা ব্যবস্থা, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা: শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এ কে পার্টি তার ১৫ বছরের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। শ্রেণী কক্ষের সংখ্যাও দ্বিগুণ করেছে। সে সাথে ছাত্রদের বিনামূল্যে বই প্রদান, ক্লাস রুমকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে ডিজিটাল করা, অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষা বৈষম্য দূর করা ও সকল স্কুলে সবচেয়ে গতিশীল ইন্টারনেট কানেকশনের ওয়াই ফাই-এর ব্যবস্থা করেছে।<br style="box-sizing: inherit;">উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় এ কে পার্টি বিরাট পরিবর্তন সাধন করেছে। ২০০২ সালে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৫১টি, এ আমলে হয়েছে ১২২টি। আগে বেসরকারি ছিল ২২টি, বর্তমানে হয়েছে ৫৫টি। ২০০৩ সালে সরকারি কলেজ ছিল ৪২৫টি বর্তমানে হয়েছে ২৪২২টি। বিজ্ঞান কলেজ আগে ছিল ৫৮টি, বর্তমানে আছে ২৯৪টি। সামাজিক বিজ্ঞান কলেজ আগে ছিল ৫৮টি, বর্তমানে ৯৩টি। ইমাম হাতির কলেজ আগে ছিল ৫৩৫টি, বর্তমানে ১৪০৮টি। ২০০২ সলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা ১৯,১৮,৪৮৩ জন ছিল; বর্তমানে আছে ৭,৩১৩,৪০৩ জন। ২০০২ সালে শিক্ষা খাতে বাজেট ছিল ৭.৫ বিলিয়ন লিরা, বর্তমানে ৮৫ বিলিয়ন লিরা। উচ্চ শিক্ষা বাজেট আগে ছিল ২.৫ বিলিয়ন লিরা বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন লিরা। বিদেশি ছাত্রদের ব্যাপকভিত্তিক মাস্টার্স ও পিএইচডিতে স্কলারশিপ দিচ্ছে সরকার। এতে বছরে বিশ্বের ২০০টি দেশ থেকে ৫ হাজার ছাত্র এ সুযোগ পেয়ে তুরস্কে এসে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। সরকার গবেষণার গুরুত্ব দিতে স¤প্রতি বেশ কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে। এতে ছাত্ররা শুধুমাত্র মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স করে। সা¤প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে যেগুলো পুরো বিশ্বের জন্য মডেল হতে পারে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের জন্য। যেগুলোতে রয়েছে মন-মগজে ইসলামী দর্শন ও শিক্ষার পুরোপুরি এক পাঠ্যক্রম। পাশাপাশি ইসলামী রিসার্চ নামে ইস্তাম্বুলে বিশাল এক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে যাতে ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে কাজ করা গবেষকদের খোরাক পূরণ হবে। আর হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ লাইব্রেরি যেখানে ৫ মিলিয়ন বই রাখার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু কি তাই এর পাশাপাশি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেটি ২০১৯ সালের শেষে উদ্বোধন হবে এবং এ কে পার্টি প্রতিটি বড় বড় সিটিতে একটি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প তৈরি করছে।<br style="box-sizing: inherit;">এছাড়াও সরকার ৩০টি বৃহৎ স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। গত ১৫ বছরে ১৮৩টি ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে, তুরস্কের মিডিয়াও সম্প্রসারিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভি ১৪টি, মোট টিভি চ্যানেল ৫০০টি। এছাড়া ১১ শতাধিক রেডিও স্টেশন রয়েছে। ৪১টি ভাষায় টিভি অনুষ্ঠান প্রচার করে। দেশে ১৩৯৭টি পৌরসভা ও ৩০টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। এর মধ্যে ৮৮৪ ও ১৮ জন মেয়র এ কে পার্টির। <br style="box-sizing: inherit;">অর্থনীতি: ২০০২ সালে যেখানে জাতীয় আয় ছিল ২৩০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০১৪ সালে এসে দাঁড়ায় ৮২২ বিলিয়ন ডলার। মাথা পিছু আয় ২০০২ সালে যেখানে ৩৫০০ ডলার, সেখানে ২০১৩ সালে এসে দাঁড়ায় ১০৮০৭ ডলার। ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬.৭ বিলিয়ন যা এখন বেড়ে ১১৩.৩ ডলারে পৌঁছেছে। স্বর্ণের রিজার্ভ ১৩২.৯ ডলার। ২০০০, ২০০১, ২০০২ তুরস্ক ছিল আইএমএফের অন্যতম শীর্ষ ঋণকারী দেশ। এ কে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে এসে তা শূন্য ঋণে পরিণত হয়েছে। ২০০২ সালে তুরস্ক যেখানে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতো, বর্তমানে করে ১৪৩ বিলিয়ন ডলার। তুরস্ক বিশ্বের ২২তম রফতানিকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। ভিশন ২০২৩ অনুযায়ী রফতানি আয় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল এক লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ করছে সরকার।<br style="box-sizing: inherit;">তুরস্কের নির্মাণ ও ঠিকাদারি কোম্পানিগুলো বর্তমান বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রভাবশালী স্থান দখল করে আছে। রাশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, বালকান, আফ্রিকাসহ বিশ্বের ১০৪টি দেশে তুরস্ক নির্মাণ সেক্টরে কাজ করছে। এসব দেশে ২৯৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৭৬১৪টি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। ২০১৪ সালের নির্মাণ সেক্টরে বিশ্বে বৃহৎ ২৫০ কোম্পানির মধ্যে ৪২টি কোম্পানি স্থান পেয়ে তুরস্ক দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে, যেখানে চীন প্রথম।<br style="box-sizing: inherit;">মুসলিম বিশ্বের জন্য নিবেদিত এরদোগানের নতুন তুরস্ক বর্তমানে ছুটছে ভিশন ২০২৩ বাস্তবায়নের পথে। ২০২৩ সালে তুরস্ককে আরো মর্যাদা সম্পন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বড় বড় পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। একদিকে বিশ্ব বাণিজ্য তুরস্ক অন্যতম রফতানিকারক দেশে পৌঁছতে পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্যদিকে প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পায়ন, স্থানীয়ভাবে মোটর গাড়ি নির্মাণসহ অর্থনীতিকে এক শক্তিশালী ভিতের উপর স্থাপন করতে কাজ করছে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষায় তুরস্ক বরাবরই ন্যাটোর দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল ছিল কিংবা অনেকাংশে এখনও আছে। তুরস্ক পঞ্চাশের দশক থেকেই সেই অর্থে নিজস্ব কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি। সরকার এখন নিজস্ব প্রযুক্তি ও স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। দেশের রাষ্ট্র প্রধান, তার সঙ্গী, সাথী, মন্ত্রী, এমপি ও সচিবরা যদি সৎ চরিত্রবান ও খোদা ভীরু হন, তাহলে যে কোন দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দেয়া যায়, যার বাস্তব প্রমাণ আজকের তুরস্ক। গত ১৫ বছরে ন্যূনতম শতাধিক বিলিয়ন ডলার খরচে যে উন্নতি করেছে তা রূপ কথার গল্পকে হার মানাবে। <br style="box-sizing: inherit;">লেখক: নিউইয়র্ক প্রবাসী, গবেষক ও সমাজসেবক।</p></div></div>

তুরস্কে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন

২০০২ সালে এরদোগান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন করে কাজ শুরু করেন। তার দল এ কে পার্টি প্রতিষ্ঠার পর তার বক্তব্য ছিল, কোন কিছুই আর পুর...

Read more »

আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসার ৮টি ফযীলত

<div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: সে লোকেরা কোথায়? যারা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের খাতিরে একে অপরকে ভালবাসত। আজ আমি তাদেরকে আমার আরশের ছায়াতলে জায়গা দেব। আজ আমার আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই। (সহীহ মুসলিম, ১৩৮৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ২৫৬৬)</div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: “যারা আমার সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পরকে ভালবাসে, আমার উদ্দেশ্যে সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে আমার গুনগান করে, আমার উদ্দেশ্যে পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ করে এবং আমারই ভালবাসা অর্জনের জন্য নিজেদের ধন সম্পদ পরস্পরের মধ্যে খরচ করে, তাদেরকে ভালবাসা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়।” </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">(আল মুয়াত্তা, ২য় খন্ড, ৪৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ১৮২৮)  </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আমার মহত্ত্ব ও সম্মানের খাতিরে যারা পরস্পর মুহাব্বত করে, তাদের জন্য পরকালে বিরাট নুরের মিনার হবে, যা দেখে নবী ও শহীদগনও ঈর্ষা করবেন এবং আকাংখী হবেন।” (তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ২৩৯৭)  </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">যদি দুজন ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য একে অপরকে ভালবাসে, তন্মধ্যে একজন বাস করে পূর্বে এবং অপরজন বাস করে পশ্চিমে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক উভয়কে একত্রিত করে ইরশাদ করবেন: এই সে ব্যক্তি যাকে তুমি আমার জন্য ভালবাসতে। (শুয়াবুল ঈমান, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৯২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৯০২২)  </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">নিশ্চয় জান্নাতে ইয়াকুতের স্তম্ভ রয়েছে। যার উপর নির্মিত সুন্দর অট্টালিকা রয়েছে। ঐ অট্টালিকার দরজা সব সময় খোলা থাকে। তা এমন উজ্জ্বল ও চক চক করছে যেরূপ উজ্জ্বল তারকা চকচক করে। সাহাবা কিরামগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) !َতাতে কারা বাস করবে? তিনি ইরশাদ করলেন: “সেসব লোক, যারা একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে পরস্পরকে ভালবাসে, একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে পরস্পর বসে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ করে। (শুয়াবুল ঈমান, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৮৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৯০২২)  </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি কামনার্থে বন্ধুত্ব স্থাপনকারীগণ আরশের চারপাশে ইয়াকুতের চেয়ারে বসা থাকবে। (আল মুজামুল কবির, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৫০, হাদীস নং: ৩৯৭৩)  </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যেই কাউকে ভালবাসে বা আল্লাহ পাকের জন্য কারো সাথে শত্রুতা পোষণ করে এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য দান খয়রাত করে কিংবা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য দেয়া থেকে বিরত থাকে, সে ব্যক্তি অবশ্যই তার ঈমানকে পূর্ণ করে নিল। (আবু দাউদ, ৪র্থ খন্ড, ২৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৪৬৮১) </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">দুজন ব্যক্তি যখন একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে, তাদের মধ্যে সম্পর্ক তখনই ছিন্ন হয়, যখন তাদের একজন কোন গুনাহে লিপ্ত হয়। (আল আদাবুল মুফরাদ, ১২১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৪০৬) </div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;"><br></div><div style="font-family: sans-serif; font-size: 17px; text-align: justify;">অর্থাৎ আল্লাহ পাকের জন্য যে মুহাব্বত হয় সেটার পরিচয় হলো, যদি একজন গুনাহ করে তবে অপরজন তার কাছ থেকে পৃথক হয়ে যাবে। (বিস্তারিত জানার জন্য মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাহারে শরীয়াত’ ১৬ অংশ, পৃষ্ঠা ২১৭-২২২ পাঠ করুন)</div>

আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসার ৮টি ফযীলত

কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: সে লোকেরা কোথায়? যারা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের খাতিরে একে অপরকে ভালবাসত। আজ আমি তাদেরকে আমার আরশের ছ...

Read more »

কুরবানী, ইসলাম ও মানবতার আড়ালে ইসলাম বিদ্বেষ

<div style="text-align: justify;">সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওয়াজিব। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সামর্থ্যবান মুসলমানগণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিভিন্ন পশু কোরবানি করে থাকেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখন কোরবানি অর্থাৎ পশু জবাইয়ের মধ্যে নির্মমতা, নৃশংসতা ইত্যাদি ‘মানবাধিকার-বিরোধী’ কিছু বিষয় নাস্তিক, মুক্তমনা নামধারী ইসলামবিদ্বেষীগণ খুঁজে পান। এখানে মুসলমানদের প্রশ্নটা হচ্ছে: সারাবিশ্বে প্রতিদিন বিভিন্ন পশু জবাই হচ্ছে— জবাইয়ের পদ্ধতি খুঁজে দেখলে মুসলমানদের জবাইয়ের পদ্ধতির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কষ্টদায়ক পন্থায়‌ও জবাইয়ের রীতি বিশ্বের অনেক জায়গায়ই প্রচলিত আছে— এখন এই কথিত মুক্তমনা, মানবতাবাদীরা বিশ্বব্যাপী হররোজ গণহারে পশু জবাইয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেন না কেন? কেন তারা সারাবছর অঘোরে ঘুমিয়ে কেবল মুসলমানদের কোরবানি ঈদের সময়‌ই জেগে উঠেন? এ প্রশ্নের সদুত্তর তাঁরা দিতে পারেন না বলে স্পষ্ট হয়ে যায়, মূলত পশু জবাইয়ের মধ্যে তাঁদের কোনো সমস্যা নয়, তাঁদের মূল সমস্যা ইসলামী শরীয়তে, ইসলাম ধর্মে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কেউ যদি সত্যিকার-অর্থেই মানবতাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে তার কোরবানি উপলক্ষে আনন্দিত হ‌ওয়া উচিত। কারণ, ইসলামী শরীয়ত কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর সাথে কোরবানিদাতার আচরণে এমন বিধিমালা তৈরি করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল— মানবতাবাদিদের পক্ষে এমন কিছু ইসলাম ব্যতীত অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুকে আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে গণ্য করে ইসলাম। (কুরআন, ২২ : ৩৬) আর কোরআন বলে: আল্লাহর নিদর্শনকে সম্মান করা তাক‌ওয়ার অন্তর্ভুক্ত। (২২ : ৩২) বুঝতে অসুবিধা হয় না, কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর সাথে ইসলাম উপযুক্ত ইতিবাচক আচরণের নির্দেশ দেয়; কষ্টদায়ক কোনো আচরণ ইসলাম একেবারেই সমর্থন করে না। (মুসলিম হয়ে কেউ যদি আল্লাহর নিদর্শনকে তথা কোরবানির পশুকে সম্মান না করে, উল্টো কষ্টদায়ক আচরণ করে তাহলে এর দায় ইসলাম কেন নিবে?) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যক্তিটি তখন একটি বকরিকে কান ধরে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। রাসূল বললেন: “তুমি তার (বকরির) কান ছেড়ে দাও, ঘাড় ধরো।” (ইবনে মাজা শরীফ, ৩১৭১)  রাসূল কান ছেড়ে ঘাড় ধরতে বললেন কেন? কারণ, কান ধরে টানা-হেঁচড়ার ফলে বকরিটির বেশি কষ্ট হচ্ছিল, ঘাড় ধরে টানলে অতো কষ্ট হবে না। কোরবানির পশুর সাথে তো কোরবানিদাতার এর চেয়েও ভালো আচরণ করা উচিত, যেহেতু কোরবানির পশু কেবল পশু নয়, আল্লাহর নিদর্শন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছুরি ধারালো করে তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন: “তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন দ্রুত জবাই করে।” (ইবনে মাজা শরীফ, ৩১৭২) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বস্তুর প্রতি ইহসান (সহানুভূতি, দয়া) করা ফরজ করেছেন। ... যখন কোনো জন্তু জবাই করবে তখন অতি উত্তম পন্থায় তাকে জবাই করবে এবং ছুরি ধার করে নেওয়া উচিত। জবাইকৃত পশুকে ঠাণ্ডা হতে দিবে।” (আবু দাউদ শরীফ, ২৮০৫) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উক্ত দু’টি হাদিস শরীফ থেকে চারটি বিষয় স্পষ্ট: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. পশু ধারালো ছুরি দেখলে পশুর জন্য তা কষ্টকর হবে। সেজন্য রাসূলের নির্দেশ, ধারালো ছুরি পশুর দৃষ্টির আড়ালে রাখা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. যত সময় নিয়ে জবাই করবে, জবাইয়ে ছুরি যতক্ষণ চলমান থাকবে ততক্ষণ পশুর চূড়ান্ত পর্যায়ের কষ্ট হবে— এমন কষ্ট যেন পশুর কম হয় সেজন্য রাসূল তাড়াতাড়ি জবাইয়ের এবং ছুরি ধার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. ‘উত্তম পন্থা’ বলতে বোঝানো হয়েছে, যেভাবে জবাই করতে সুবিধা হয়, যেভাবে জবাই তাড়াতাড়ি করা যায়, যেভাবে জবাই করলে পশুর কষ্ট তুলনামূলক কম হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. একটি পশু জবাইয়ের পর অনেকক্ষণ রক্ত প্রবাহিত হয়, ততক্ষণ তার শরীর গরম থাকে— একটি পশুকে জবাইয়ের পর‌ও তার কষ্টের কথা, তার শরীরের কথা ইসলাম চিন্তা করেছে। আর সেজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পশুকে ঠাণ্ডা হবার মতো সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোরবানির জন্য যতগুলো পশু পৃথিবীব্যাপী নির্ধারিত হবে, প্রতিটি পশুকে ‘আল্লাহর নিদর্শন’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া— আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে যথাযথ ইতিবাচক আচরণের নির্দেশ দেওয়া— পশুর কষ্টের কথা চিন্তা করে ধারালো ছুরি পশুর দৃষ্টির আড়ালে রাখার নির্দেশ দেওয়া— পশুর চূড়ান্ত পর্যায়ের কষ্ট লাঘব করার জন্য ছুরি ধার করা এবং তাড়াতাড়ি জবাইয়ের নির্দেশ দেওয়া— পশুর কষ্ট লাঘবের জন্য উত্তম পদ্ধতিতে জবাইয়ের নির্দেশ দেওয়া এবং পশুকে জবাইয়ের সাথে সাথে তার চামড়া না কাটতে বলা অর্থাৎ পশুর ঠাণ্ডা হবার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়ার মধ্যে কি একজন মানবতাবাদির আনন্দ নেই? এখানে কি ইসলামের নিকট একজন মানবতাবাদির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সূত্র নেই? এখানে কি একজন মানবতাবাদির স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা নেই? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবেই খুলে যায়, প্রকৃত ইসলামবিদ্বেষীদের মুক্তমনা বা মানবতাবাদি মুখোশ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গরিব মানুষ তো সচরাচর গরুর গোশত খেতে পায় না— এমন লক্ষ পরিবার পাওয়া যাবে যারা বছরে কোরবানি ছাড়া একবারও গরুর গোশত খেতে পায় না, তারা বছরে একবার কোরবানির উসিলায় গরুর গোশত খেতে পারে। এটা চিন্তা করেও কি একজন মানবতাবাদী কোরবানিকে ইতিবাচক অর্থে গ্রহণ করতে পারেন না? কেন পারেন না? সমস্যাটা কোথায়? বিশ্বাসে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাদের সমস্যা পশুতে নয়, ইসলামে; মানবতাবাদ তাদের মুখোশ কেবল, প্রকৃতিতে ইসলামবিদ্বেষ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">©️ আবু সাঈদ নয়ন</div>

কুরবানী, ইসলাম ও মানবতার আড়ালে ইসলাম বিদ্বেষ

সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওয়াজিব। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সামর্থ্যবান মুসলমানগণ আল্লাহর সন্তুষ্টির...

Read more »

প্রশ্নঃ মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করার শাস্তি কি? ভাল স্বপ্ন কি অন্য কারো নিকট বলা উচিত?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-fd012bad-7fff-7e4a-0e35-be8bcf824792" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <b><u><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জবা</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব:</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></u></b></div> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-c0e8e8ff-7fff-c2ab-808f-9042588184ed" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-b4c0dfa2-7fff-7023-6acc-31d6046408a2" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করার শাস্তি </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মনে করুন! যদি কেউ মিথ্যা স্বপ্ন বানিয়েও বলে, তবে সেটার দায়িত্ব তার নিজের উপরই বর্তাবে। আর সে কঠিন গুনাহগার ও জাহান্নামের আগুনের হকদার হবে। তাজেদারে রিসালত, শাহানশাহে নবুয়ত, মুস্তফা জানে রহমত (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: “যে মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করে, তাকে কিয়ামতের দিন যবের দুটি দানার মধ্যে গিঁট লাগানাের শাস্তি দেয়া হবে এবং সে কখনাে গিট লাগাতে পারবেনা।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সহীহ বুখারী, ৮ম খন্ড, ১০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭০৪২) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">চিন্তা ভাবনা করা ব্যতীত যারা কথা বলে তারা সাবধান অন্য একটি হাদীসে পাকে রয়েছে, “এক ব্যক্তি এমন কথা বলে, যার মধ্যে সে চিন্তা ভাবনা করেনা (অথচ এরূপ কথা বার্তা, গীবত, দোষ অন্বেষণ অথবা মনগড়া স্বপ্ন ইত্যাদি হারামের উপর প্রতিষ্ঠিত) তাহলে সে এরূপ কথার কারণে জাহান্নামে এতটুকু পরিমাণ থেকেও অধিক (নীচে) পতিত হবে যতটুকু পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্ব রয়েছে।” (সহীহ বুখারী শরীফ, ৭ম খন্ড, ২৩৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬৪৭৭)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্বপ্ন বর্ণনাকারীকে শপথ করতে বাধ্য করা শরয়ী ওয়াজিব নয়। আর যে আল্লাহর পানাহ! মিথুক হবে, সে হতে পারে, মিথ্যা শপথও করে নিবে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোনটা সঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, এটা  বুযুর্গানে দ্বীন ও আমাদের চেয়ে অধিক ভাল জানতেন। ভাল স্বপ্ন বর্ণনা করার ব্যাপারে শরীয়াত নিষেধ করেনি। তাহলে আমরা বাধা প্রদান করার কে? কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ ও বুযুর্গানে দ্বীনের  কিতাব সমূহে উল্লেখযােগ্য সংখ্যক স্বপ্ন সম্পর্কে আলােচনা রয়েছে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আবুল কাসিম কুশাইরী (رحمة الله) রিসালায়ে কুশাইরিয়্যাতে" রুয়াল কাওম' নামক অধ্যায়ের ৩৬৮ হতে ৩৭৭ পৃ: পর্যন্ত আওলিয়ায়ে কিরামের ৬৬ টি স্বপ্ন উদ্ধৃত করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ গাযালী (رحمة الله) ইহইয়াউল উলুমের ৪র্থ খন্ডের ৫৪০ হতে ৫৪৩ পর্যন্ত মানা-মা-তুল মাশায়িখ নামক অধ্যায়ে ৪৯ টি স্বপ্ন উদ্ধৃত করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এছাড়াও হায়াতে আ'লা হযরত (মাকতুবাতে নববীয়াহ্ গাঞ্জ বখশ রােড লাহাের হতে মুদ্রিত) এর ৪২৪ হতে ৪৩২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আমার আকা আ'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীনাে মিল্লাত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরীকত, হযরত আল্লামা মাওলানা আল হাফিজ, আল ক্বারী আশ শাহ আহমদ রযা খান (رحمة الله) এর ১৪ টি স্বপ্ন তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন। এর মধ্য থেকে ১টি স্বপ্ন প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপন করছি।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আ’লা হযরত (رحمة الله) এর স্বপ্ন</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সায়্যিদী আ'লা হযরত (رحمة الله) দুহাতে মুসাফাহা (করমর্দন) এর বৈধতা সম্পর্কে ৪০ পৃষ্ঠার ১টি বই লিখেছেন। সেটার ৩য় পৃষ্ঠায় নিজের ঐ স্বপ্ন বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন, যাতে তাঁর সাথে হযরত সায়্যিদুনা ইমাম কাযী খান (رحمة الله) এর সাক্ষাৎ হয়েছে। এছাড়া মুসলমানদেরকে কুমন্ত্রনা সমূহ হতে বাঁচানাের জন্য এবং আরাে অধিকহারে জানানাের জন্য এ রিসালা মােবারাকাতে মানুষের সামনে স্বপ্ন বর্ণনা করার দলীল সমূহ প্রদান করেছেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যেমন- উল্লেখিত রিসালাতে লিখেছেনঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ হাদীস হতে প্রমাণিত, খাতামুল মুরসালীন, শফীউল মুযনিবীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন (ﷺ) স্বপ্নকে মহান নির্দেশ হিসেবে জানতেন এবং এটাকে (স্বপ্নকে) শুনা, জিজ্ঞাসা করা ও বর্ণনা করাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত সামুরাহ বিন জুন্দাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রহমতে আলম, নূরে মুজাসসাম, রাসুলে আকরাম, শাহানশাহে বনী আদম (ﷺ)  ফযরের নামায আদায়ের পর উপস্থিত লােকদের নিকট জিজ্ঞাসা করতেন আজ রাতে কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ? কেউ দেখে থাকলে আরয করতেন: আর নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসুলে আমীন (ﷺ) এর (তাবীর) ব্যাখ্যা প্রদান করতেন। (সহীহ বুখারী, ২য় খন্ড, ১২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৩৮৬) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সায়্যিদী আ'লা হযরত (رحمة الله) আরাে বলেন: আহমদ, বুখারী ও তিরমিযী হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন; তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুয়ত, মাহবুবে রাব্বুল ইয্যত (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: “যখন তােমাদের মধ্য থেকে কেউ এমন স্বপ্ন দেখে যা তার নিকট ভাল মনে হয়, তাহলে সেটা আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে তার উচিত এ জন্য আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা এবং মানুষের সামনে (তা) বর্ণনা করা।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড ২য়, পৃষ্ঠা ৫০২, হাদীস নং-৬২২৩) | </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুসংবাদ অবশিষ্ট রয়েছে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সায়্যিদী আ'লা হযরত (رحمة الله) উল্লেখিত রিসালাতে বর্ণনা করেন, হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: “নুবুওয়াত সমাপ্ত হয়ে গেছে। এখন আমার পর আর নবুওয়াত পাবেনা কিন্তু সুসংবাদ পাবে।” (আরয করা হল) সেটা কি? (ইরশাদ করলেন) “ভাল স্বপ্ন, মানুষ নিজে দেখবে কিংবা তার জন্য অন্য কেউ দেখবে।”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তাবারানী, আল মু'জামূল কবীর, ৩য় খন্ড, ১৭৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৩০৫১)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিজের ব্যাপারে ভাল স্বপ্ন দেখা ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদানঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সায়্যিদী আ'লা হযরত (رحمة الله) আরাে বলেন: এটাও সাহাবায়ে কিরাম (রা.) এর সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত, যে এমন স্বপ্ন দেখেছে যাতে তার কথার সমর্থন পাওয়া যায়, এর জন্য তাঁরা খুশী হয়ে, যে স্বপ্ন দেখেছে তার সম্মান ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিত, সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত আছে: আবু জামরাহ যাবঈ (رضي الله عنه) তামাত্তু হজ্বে স্বপ্ন দেখেন যা দ্বারা (ফিকহের মাসআলাতে) ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর পক্ষে সমর্থন লাভ হল। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) (ঐ মােবারক স্বপ্ন শুনে নিজের সম্পদ হতে) তার জন্য ভাতা নির্ধারণ করে দিলেন এবং ঐ দিন থেকে তাঁকে নিজের সাথে আসনে বসাতে আরম্ভ করেন। (সহীহ বুখরী হতে সংকলিত, ২য় খন্ড, ১৮৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ১৫৬৭) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমার উপর প্রতিদিন সকালে দশবার ও সন্ধ্যায় দশবার। দরূদ শরীফ পাঠ করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ নসীব হবে।" (মাজমাউয যাওয়ায়েদ)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বুখারীর আম্মাজানের স্বপ্নঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা অন্যদেরকে স্বপ্ন শুনানাের ব্যাপারে দুটি সহীহ বুখারী শরীফের হাদীস লক্ষ্য করেছেন। সহীহ বুখারী শরীফের প্রণেতা হযরত সায়্যিদুনা শায়খ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী (رحمة الله) অত্যন্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে হাদীস শরীফ সংকলন করেছেন। তিনি (رحمة الله) নিজেই বলেন: </span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;">আমি সহীহ বুখারীতে প্রায় ৬০০০ (ছয় হাজার) হাদীস শরীফ আলােচনা করেছি। প্রতিটি হাদীস শরীফ লিখার পূর্বে গােসল করে দুই রাকাত নামায আদায় করে নিতাম।" </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;">তাঁর সম্মানীত পিতা হযরত সায়্যিদুনা শায়খ ইসমাঈল (رحمة الله) অত্যন্ত নেককার লােক ছিলেন এবং তাঁর সম্মানীতা আম্মাজানও নেককার মহিলা ও মুসতাজাবুদ দোয়া (অর্থাৎ যাঁর দোয়া কবুল হয় এমন মহিলা) ছিলেন। ' ছােট বেলায় হযরত সায়্যিদুনা ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর দৃষ্টি শক্তি চলে যায়। তাঁর আম্মাজান (رحمة الله) এ দুঃখে কান্না করতেন এবং বিনীতভাবে দোয়া করতে থাকতেন। এক রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর ভাগ্যের তারা চমকে উঠল, অন্তরের চক্ষু খুলে গেল। স্বপ্নে দেখলেন, হযরত সায়্যিদুনা ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (عليه السلام) আসলেন আর বলতে লাগলেন: “আপনি আপনার সন্তানের চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য দোয়া করে যাচ্ছেন। আপনাকে মােবারকবাদ, আপনার দোয়া কবুল হয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা আপনার ছেলের দৃষ্টি শক্তি পূর্বের মত করে দিয়েছেন।” যখন ভাের হল তখন দেখা গেল হযরত সায়্যিদুনা ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর চক্ষুদ্বয় দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তাফহীমূল বুখারী হতে সংকলিত, ১ম খন্ড, ৪ পৃষ্ঠা, কৃত: শাইখুল হাদীস আল্লামা গােলাম রাসূল রযবী) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🌱[তথ্যসূত্রঃ ফয়যানে সুন্নাত: পৃ. ১১৬-১১৯] </span></div> </div>

প্রশ্নঃ মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করার শাস্তি কি? ভাল স্বপ্ন কি অন্য কারো নিকট বলা উচিত?

জবা ব: মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করার শাস্তি  মনে করুন! যদি কেউ মিথ্যা স্বপ্ন বানিয়েও বলে, তবে সেটার দায়িত্ব তার নিজের উপরই বর্তাবে।...

Read more »

হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নাঈমী (রহ.) এর শান

<div style="text-align: justify;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjO7gwR4GJu5lrgm-yi3-3-K0wZxwacvTxwCHWRg7LDcJHMuzDlpIyvgVtBn_xMpXyIU_Q-CyUiVkLfOlydKrVwtFH07nUQabwEyTpvWPdd62SOYC9WSpL02HbwfrXaWQCmlZG0TYztQc4/s1600/IMG_ORG_1595825402752.jpeg" imageanchor="1"><img alt="" border="0" data-original-height="600" data-original-width="448" height="600" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjO7gwR4GJu5lrgm-yi3-3-K0wZxwacvTxwCHWRg7LDcJHMuzDlpIyvgVtBn_xMpXyIU_Q-CyUiVkLfOlydKrVwtFH07nUQabwEyTpvWPdd62SOYC9WSpL02HbwfrXaWQCmlZG0TYztQc4/s1600-rw/IMG_ORG_1595825402752.jpeg" width="448"></a></div><br><br></div><div style="text-align: justify;">হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নাঈমী (রহ.) মদীনাতে অবস্থান করছিলেন, তিনি তার তাফসীর লিখার জন্য একটা নতুন কলম কিনতে দোকানে গেলেন। তিনি বিশেষ একটা কলম পছন্দ করলেন দেখা গেলো তার সকল টাকা বই কেনার ফলে খরচ হয়ে যায়- এবং যেই কলমটা তার ভালো লাগলো দুর্ভাগ্যবশত ওটার দাম খুব বেশি ছিলো বলে না কিনেই রেখে দিলেন। ফজরের ওয়াক্তে, দোকানের মালিক তরুণ ব্যবসায়ী ব্যক্তিটি শাইখ কে মসজিদে দেখলেন, কলমটা বের করে আবেগের সাথে বললেন " আমি জানি না আপনি কে বা কি করেন! কিন্তু গতকাল রাতে আমি প্রথমবার নবীজী ﷺ কে দেখলাম এবং তিনি বললেন, "আমার খাদিম আহমাদ একটা কলমের জন্য তোমার কাছে আসলো। এটা আমার পক্ষ হতে তাকে উপহার দাও!" </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূল ﷺ এর সান্নিধ্য কোন প্রেমিক কে কখনো হতাশ করেনি। প্রেমিক মদীনাতে এসেছে এবং অশ্রু বিন্দু পড়তে দেখেছে কিন্তু দয়ার সাগরের গভীরতম প্রবাহ তাকে ভিজিয়ে ধন্য করেছে। </div><div style="text-align: justify;">মূল - Mohammed Aslam</div><div style="text-align: justify;">অনুবাদ - Sheikh Mamun</div>

হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নাঈমী (রহ.) এর শান

হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমাদ ইয়ার খান নাঈমী (রহ.) মদীনাতে অবস্থান করছিলেন, তিনি তার তাফসীর লিখার জন্য একটা নতুন কলম কিনতে দোকানে গেলেন। তিনি ব...

Read more »

যে দোয়া পাঠ করলে কোন বিষ আপনার ক্ষতি করতে পারবে না

<div>কিতাবুন নাসায়িহের মধ্যে বর্ণিত আছে: প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত সায়্যিদুনা আবু দারদা (رضي الله عنه) এর দাসী একদিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করল: হুযুর! আপনি সত্যি করে বলুন, আপনি কি মানুষ না জ্বিন?" <br></div><div>তিনি জবাবে বললেন: আমি মানুষ। দাসী বলতে লাগল: “আপনাকে তাে মানুষ মনে হচ্ছে না। কেননা আমি অনবরত ৪০ দিন পর্যন্ত আপনাকে বিষপান করাচ্ছি। কিন্তু আপনার চুল পর্যন্ত বাঁকা হয়নি। তিনি বললেন: “তুমি কি জানাে না, যে সর্বাবস্থায় আল্লাহ্ তাআলার যিকির করে কোন বস্তু তার ক্ষতি সাধন করতে পারে না। আমি ইসমে আযমের সহিত আল্লাহ তাআলার যিকির করি।" জিজ্ঞাসা করল: সে ইসমে আযম কোনটি? তিনি বললেন: আমি প্রত্যেকবার পানাহারের পূর্বে এ দোয়া পাঠ করে নিই:</div><div><br></div><div>"বিসমিল্লাহ্ হিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়া ইসমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালাফিস সামা—য়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আ'লীম।"</div><div>অনুবাদ: “আল্লাহ্ তাআলার নামে আরম্ভ করছি, যাঁর নামের বরকতে যমীন ও আসমানের কোন জিনিষই ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্ব শ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।” </div><div><br></div><div>এরপর তিনি (رضي الله عنه) জিজ্ঞাসা ; করলেন: তুমি আমাকে কেন বিষ পান করাচ্ছাে? সে আরয করল: “আপনার প্রতি আমার বিদ্বেষ ছিল। এ জবাব শুনতেই তিনি ra বললেন: তুমি আজ থেকে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে মুক্ত। আর তুমি আমার সাথে যা কিছু করেছ তাও ক্ষমা করে দিলাম। (হায়াতুল হাইওয়ানুল কুবরা, ১ম খন্ড, ৩৯১ পৃষ্ঠা, ফয়যানে সুন্নাত ১২৫ পৃ)</div>

যে দোয়া পাঠ করলে কোন বিষ আপনার ক্ষতি করতে পারবে না

কিতাবুন নাসায়িহের মধ্যে বর্ণিত আছে: প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত সায়্যিদুনা আবু দারদা (رضي الله عنه) এর দাসী একদিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করল: হুযুর! আপনি...

Read more »

প্রশ্নঃ- বংশীয় মাহরামের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি অন্তর্ভূক্ত?

<div>উত্তর:- বংশীয় মাহরামের মধ্যে চার প্রকারের লোক অন্তর্ভূক্ত;<br></div><div>(১) আপন সন্তানাদী (অর্থাৎ ছেলে মেয়ে) এবং নিজের ছেলের ছেলে (অর্থাৎ নাতি-নাতনি) এমনিভাবে নিম্নপর্যায় পর্যন্ত,</div><div>(২) নিজের মা-বাবা এবং নিজের মা-বাবার পিতা-মাতা (অর্থাৎ দাদা-দাদী, নানা-নানি) উঁচ্চ পর্যায় পর্যন্ত, </div><div>(৩) নিজের মা-বাবার সন্তানাদি (অর্থাৎ ভাই-বোন চাই তারা আপন ভাই-বোন হোক বা সৎ ভাই-বোন অর্থাৎ বৈপিত্রিয় অথবা বৈমাত্রিয় ভাই-বোন) এবং এমনিভাবে মা-বাবার সন্তানের সন্তানাদী (অর্থাৎ ভাতিজা-ভাতিজী, ভাগ্নে-ভাগ্নী তার আপন ভাই বোনের হোক বা সৎ ভাই বোনের) এভাবে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত। </div><div>(৪) আপন দাদা-দাদী, নানানানীর সন্তানাদী (অর্থাৎ চাচা, ফুফী, মামা, খালা এই সম্পর্ক আপন হোক বা সৎ) তবে চাচা, ফুফী, মামা, খালার সন্তানেরা মাহরাম নয়।” (ফতোওয়ায়ে রজভিয়্যাহ্, ১১তম খন্ড, ৪৬৪ পৃষ্ঠা)</div><div><br></div><div>বিঃ দ্রঃ- বর্ণনাকৃত বংশ বহির্ভূত মাহরামের মধ্যে পুরুষ মহিলাদের জন্য এবং মহিলারা পুরুষের জন্য হারাম।</div>

প্রশ্নঃ- বংশীয় মাহরামের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি অন্তর্ভূক্ত?

উত্তর:- বংশীয় মাহরামের মধ্যে চার প্রকারের লোক অন্তর্ভূক্ত; (১) আপন সন্তানাদী (অর্থাৎ ছেলে মেয়ে) এবং নিজের ছেলের ছেলে (অর্থাৎ নাতি-নাতনি) এমন...

Read more »

মদ্যপানের সাথে হযরত আলী (রাঃ) এর সম্পৃক্ততা নেই

<div style="text-align: justify;">প্রশ্ন : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ হারাম হওয়ার পূর্বে মদপান করে নামাজের সূরা তিলাওয়াতে উল্টাপাল্টা করেছেন বলে হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়। যদি তাকে মদপানকারী সাব্যস্ত করা হয় তাহলে কুরআনের আয়াতে তাতহীরের খেলাফ হচ্ছে। আর যদি তিনি জীবনে মদপান করেন নি এ কথা বলে আয়াতে তাতহীরের বক্তব্যকে যথার্থ মনে করা হয় তাহলে বর্ণিত হাদিসের জবাব কি? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">بسم الله الرحمن الرحيم</div><div style="text-align: justify;">الحمد لله رب العلمين-الرحمن الرحيم-مالك يوم الدين- والصلاة والسلام على رسولنا الامين وعلى آله الطيبين واصحابه الاكرمين وعلى اولياء امته اجمعين-</div><div style="text-align: justify;">বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ-</div><div style="text-align: justify;"> ১। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মওলুদে কা’বা। জন্ম থেকে প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকাল পর্যন্ত তাঁরই তত্ত¡াবধানে লালিত হয়েছেন। বালেগ হওয়ার পূর্বেই ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দ্বীনে হানিফে যারা জাহেলী যুগে ইবাদত-বন্দেগী করতেন তাদের মধ্যে যারা মূর্তিপুজা করেন নি এবং কোনরূপ গর্হিত কাজে লিপ্ত হননি তাদের মধ্যে হযরত আবু তালেব একজন। তার সন্তানদের ইতিহাসে মদপান পাওয়া যায় না। হযরত মাওলা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর মাধ্যমেই প্রিয় নবীজীর বংশধারা, বেলায়তের ধারা, ইলমের ধারা প্রসারিত ও প্রতিষ্ঠিত। যদি তিনি মদপান করেছেন সাব্যস্ত হয় তাহলে এই মদের অংশ ও প্রভাব সমস্ত আওলাদে রাসূলগণের মধ্যে রয়েছে সাব্যস্ত হয়। তার মদপানের হাদিস আয়াতে তাতহীরের খেলাফ এ কথা যেমন সত্য তেমনি মদপান ও নামাযের ইমামতির হাদিস ছিহাহ ছিত্তার ৩ খানা গ্রন্থ ও বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থে বর্ণিত। উভয়দিক সামনে রেখে কুরআন এবং হাদিসের সনদ-মতন যাচাই করে ফয়সালা নিম্নরুপ :-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল কুরআন</div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন :</div><div style="text-align: justify;">إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا</div><div style="text-align: justify;">হে নবীর পরিবার! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণ পবিত্র করতে।  [সূরা আহযাব-আয়াত- ৩৩]</div><div style="text-align: justify;">কুরআনের এ আয়াতের ঘোষণা হল আহলে বায়ত জাহেরী-বাতেনী সকল প্রকার রিযস বা নাপাকি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আহলে বায়তের অন্যতম সদস্য।</div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজেই বলেছেন-</div><div style="text-align: justify;">عن علي كرم الله تعالى وجهه لو وقعت قطرة منها في بئر فبنيت في مكانها منارة لم أؤذن عليها ولو وقعت في بحر ثم جف فنبت فيه الكلأ لم أرعه دابتي-</div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু বলেন- যদি একফোঁটা মদ কোন কুপে পড়ে আর সে স্থানে যদি ভবন  উঠিয়ে মিনারা নির্মাণ করা হয় আমি সে মিনারে আজান দিব না। যদি একফোঁটা মদ কোন সমুদ্রে পড়ে এরপর সমুদ্র শুকিয়ে যায় আর তাতে ঘাস জন্মে আমি সেখানে আমার পশু চরাবো না। [তাফসীরে কাশশাফ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৮৮, তাফসীরে রুহুল মায়ানী- খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২০৬]</div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর এই বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়ে যায় তিনি মদ থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে কত মজবুত ছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল হাদিস</div><div style="text-align: justify;">মদ হারাম হওয়ার পূর্বে কিছুসংখ্যক সাহাবী মদ খেয়ে নামাযে যেতেন। যাতে নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হতো। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু এ মদ সম্পর্কে মহান আল্লাহর দরবারে ফায়সালার আবেদন জানালেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে-</div><div style="text-align: justify;">روى أبو داود عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال : لما نزل تحريم الخمر قال عمر : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت الآية التي في البقرة {يَسْأَلونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ} قال : فدعي عمر فقرئت عليه فقال : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت الآية التي في النساء {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى} فكان منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أقيمت الصلاة ينادي : ألا لا يقربن الصلاة سكران. فدعي عمر فقرئت عليه فقال : اللهم بين لنا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت هذه الآية : {فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ} قال عمر : انتهينا. وقال سعيد بن جبير : كان الناس على أمر جاهليتهم حتى يؤمروا أو ينهوا ؛ فكانوا يشربونها أول الإسلام حتى نزلت : {يَسْأَلونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ} . قالوا : نشربها للمنفعة لا للإثم ؛ فشربها رجل فتقدم يصلي بهم فقرأ : {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ} فنزلت : {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى} فقالوا : في غير عين الصلاة. فقال عمر : اللهم أنزل علينا في الخمر بيانا شافيا ؛ فنزلت : {إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ} الآية. فقال عمر : انتهينا ، انتهينا. ثم طاف منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم : ألا إن الخمر قد حرمت- (الجامع لاحكام القران- ج-٥-صথ٢٠٠)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ সকল বর্ণনার ভিত্তিতে বুঝা যায় মদ হারাম হওয়ার বিষয়ে হযরত ওমর, হযরত মায়াজ ও অন্যান্য সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন পর্যায়ে মদ হারাম হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয় নি। নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তখনও চূড়ান্ত নির্দেশ কামনা করেছেন।  দ্বিতীয় পর্যায়ে নামাজে যাওয়ার আগে মদের ধারে কাছেও যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরপরও হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু চূড়ান্ত ফায়সালার আবেদন জানালে চিরতরে মদ হারামের ঘোষণা আসে। এখানে আয়াতের শানে নুযূল এটাই। প্রসঙ্গত : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপানের হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে যা শানে নুযুল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। </div><div style="text-align: justify;">এখন প্রশ্ন হল- لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এই আয়াতের শানে নুযুল হিসেবে বর্ণিত হাদিস গ্রহণযোগ্য কতটুকু?</div><div style="text-align: justify;">হাদিস নিম্নরূপ :-</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ أَبِى عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِىِّ عَنْ عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ )-</div><div style="text-align: justify;">[سنن ابى داود- كتاب الاشربة- باب تحريم الخمر-جلد٢-صفحة-٧٩ ] </div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন মুসাদ্দাদ, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন ইয়াহইয়া তিনি সুফিয়ান থেকে, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন আতা ইবনে সায়েব তিনি আবদুর রহমান সুলামী থেকে তিনি হযরত আলী ইবনে আবি তালেব আলাইহিস সালাম থেকে, তিনি বলেন, জনৈক আনসার তাঁকে এবং আবদুর রহমান ইবনে আওফকে আপ্যায়নের দাওয়াত দিলেন অত:পর খাবার শেষে তাদেরকে মদ পান করালেন, মদ পান হারাম ঘোষিত হওয়ার পূর্বে। অত:পর খাবার শেষে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মাগরিবের নামাযে ইমামতি করলেন। সেখানে তিনি সূরা কাফেরূন তিলাওয়াত করলেন তাতে ব্যতিক্রম ঘটে গেল। অতপর আল্লাহ তায়ালা ‘লা তাক্বরাবুছ ছালাতা.. .. .. . .. আয়াত নাযিল করেন। [সুনানে আবি দাউদ] </div><div style="text-align: justify;">حدثنا عبد بن حميد حدثنا عبد الرحمن بن سعد عن أبي جعفر الرازي عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي عن علي بن أبي طالب قال : صنع لنا عبد الرحمن بن عوف طعاما فدعانا وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا وحضرت الصلاة فقدموني فقرأت قل أيها الكافرون لا أعبد ما تعبدون ونحن نعبد ما تعبدون قال فأنزل الله تعالى { يا أيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } </div><div style="text-align: justify;"> قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب   ] جامع الترمذى- ابواب تفسير سورة النساء[</div><div style="text-align: justify;">ইমাম তিরমিজী রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন আবদ ইবনে হুমাইদ, তিনি বলেন আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন আবদুর রহমান বিন সাদ তিনি আবু জাফর রাজী থেকে তিনি আতা ইবনে সায়েব থেকে তিনি আবদুর রহমান বিন সুলামী থেকে তিনি হযরত আলি ইবনে আবি তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তিনি বলেন- আবদুর রহমান ইবনে আওফ আমাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন, অতপর আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান, অতপর খাবার শেষে আমাদেরকে মদ পান করান। ফলে মদের নেশা আমাদেরকে স্পর্শ করে। এ অবস্থায় নামাযের সময় হলো। তাঁরা আমাকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেন। আমি সেখানে সূরা কাফেরূন তেলাওয়াত করি। তবে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে ‘নাহনু না’বুদু মা তা’বুদুন’ বলে ফেলি। অতপর আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন- হে ঈমানদারগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটে যেও না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা অনুধাবন করতে পারো, তোমরা কি বলেছ? [জামে তিরমিজী]</div><div style="text-align: justify;">এ দু’টি হাদিস উক্ত দুই কিতাবের সূত্রে- তাফসীর গ্রন্থ সমূহে ولا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এ আয়াতের শানে নুযুলে। যেমন :-</div><div style="text-align: justify;"> ১। তাফসীরে তাবারী- খন্ড-৮, পৃ.-৩৭০</div><div style="text-align: justify;"> ২। আল জামেউ লি আহকামিল কুরআন- খন্ড-৫, পৃ.-২০০</div><div style="text-align: justify;"> ৩। তাফসীরে ইবনে আবি হাতেম- খন্ড-৩, পৃ.-৯৫৮</div><div style="text-align: justify;"> ৪। তাফসীরে রূহুল মা’আনী- খন্ড-২, পৃ.-২০৬</div><div style="text-align: justify;"> ৫। তাফসীরে বায়জাবী- খন্ড-৪, পৃ.-৬২</div><div style="text-align: justify;"> ৬। তাফসীরে সামআনী- খন্ড-১, পৃ.-৪৩০</div><div style="text-align: justify;"> ৭। তাফসীরে মাওয়ারদী- খন্ড-১, পৃ.-৪৮০</div><div style="text-align: justify;"> ৮। তাফসীরে রূহুল বায়ান- খন্ড-২, পৃ.-১৬৮</div><div style="text-align: justify;"> ৯। তাফসীরে কাবির- (মাফাতিহুল গায়ব)- খন্ড-১০, পৃ.-৮৭</div><div style="text-align: justify;"> ১০। তাফসীরে বাহরুল মাদীদ- খন্ড-২, পৃ.-৬৯</div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও বিখ্যাত প্রায় সকল তাফসীরে হাদিস সমূহ বর্ণিত হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পর্যালোচনা : হাদিসটি ছিহাহ ছিত্তার ৩টি গ্রন্থে বর্ণিত হওয়ায় মুফাসসিরগণ স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ হাদীস গ্রহণযোগ্য কতটুকু উসূলুল হাদিসের দৃষ্টিতে যাচাই করলে প্রতীয়মান হয় হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান করা, ইমামতি করা, সূরা কাফেরূন তেলাওয়াতে উল্টাপাল্টা করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ :</div><div style="text-align: justify;"> ক) হাদিসের মতন مضطرب , যেমন-</div><div style="text-align: justify;">১। প্রথম বর্ণনা-</div><div style="text-align: justify;">عن علي بن أبي طالب قال : صنع لنا عبد الرحمن بن عوف طعاما فدعانا وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا وحضرت الصلاة فقدموني فقرأت قل أيها الكافرون لا أعبد ما تعبدون ونحن نعبد ما تعبدون قال فأنزل الله تعالى { يا أيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } </div><div style="text-align: justify;"> قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب-  (سنن الترمذى)</div><div style="text-align: justify;">২। দ্বিতীয় বর্ণনা-</div><div style="text-align: justify;">عَنْ عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ).</div><div style="text-align: justify;">(سنن ابى داود) </div><div style="text-align: justify;">৩। তৃতীয় বর্ণনা-</div><div style="text-align: justify;">ثم اتخذ عتبان بن مالك صنيعاً ودعا رجالاً من المسلمين فيهم سعد بن أبي وقاص- (روح المعانى)</div><div style="text-align: justify;">প্রথম বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু</div><div style="text-align: justify;">দ্বিতীয় বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা আনসারী একজন সাহাবী</div><div style="text-align: justify;">তৃতীয় বর্ণনায়- দাওয়াতদাতা হযরত ইতবান বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু</div><div style="text-align: justify;"> (খ) </div><div style="text-align: justify;">১। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করেছেন-</div><div style="text-align: justify;">أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ (لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ).</div><div style="text-align: justify;">* হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-</div><div style="text-align: justify;">وسقانا من الخمر فأخذت الخمر منا</div><div style="text-align: justify;"> ২। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করার প্রমাণ নেই-</div><div style="text-align: justify;">عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل تحريم الخمر فحضرت صلاة المغرب فتقدم رجل فقرأ : { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } الآية</div><div style="text-align: justify;">উপরোক্তো প্রথম দুই হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান করেছেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তৃতীয় বর্ণনায় হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মদপান করার কোন প্রমাণ নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(গ) নামাজের ইমামতি কে করেছেন?</div><div style="text-align: justify;"> (১) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ইমামতি করেছেন-</div><div style="text-align: justify;"> فَأَمَّهُمْ عَلِىٌّ فِى الْمَغْرِبِ –</div><div style="text-align: justify;">আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের ইমামতি করলেন। (আবু দাউদ)</div><div style="text-align: justify;"> وحضرت الصلاة فقدموني</div><div style="text-align: justify;">নামাযের ওয়াক্ত হলে আমাকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয়া হল। (সুনানে তিরমিজি)</div><div style="text-align: justify;"> (২) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন-</div><div style="text-align: justify;">دعانا رجل من الأنصار قبل أن تحرم الخمر فتقدم عبد الرحمن بن عوف و صلى بهم المغرب فقرأ</div><div style="text-align: justify;">ইমাম ছিলেন হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু। [আল মুসতাদরাক, খন্ড-৪, পৃ.-১৫৮]</div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে জারীর ও ইবনুল মানজারের বর্ণনায় রয়েছে-</div><div style="text-align: justify;">عن على كرم الله تعالى وجهه ان امام القوم يومئذ هو عبد الرحمن بن عوف وكانت الصلاة صلاة المغرب-</div><div style="text-align: justify;">৩। ইমাম বায়জাবী রহ. ও তাফসীরে কবিরের ভাষ্যমতে</div><div style="text-align: justify;">وجاء وقت صلاة المغرب فتقدم احدهم ليصلى بهم</div><div style="text-align: justify;">(ঘ) নামাযে সূরা কাফেরুনে কি ভুল করেছেন?</div><div style="text-align: justify;"> ১। তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে- فقرأت قل يا ايها الكافرون- لا اعبد ما تعبدون- ونحن عابدون ما تعبدون- [তাফসীরে কুরতবী- খন্ড-৫, পৃ.-২০০]</div><div style="text-align: justify;"> ২। আল্লামা বায়যাবী রহ. বর্ণনা করেন- فقرأ قل يا ايها الكافرون- اعبد ما تعبدون </div><div style="text-align: justify;"> ৩। তাফসীরে ইবনে আবি হাতিমে এসেছে- فقرأ قل يا ايها الكافرون-اعبد ما تعبدون- ونحن نعبد ما تعبدون [হাদিস নং-৫৩৫২] </div><div style="text-align: justify;"> ৪। তাফসীরে তাবারী (খন্ড-৮, পৃ.-৩৭৬), রূহুল বয়ান (খন্ড-২, পৃ.-১৬৮)-</div><div style="text-align: justify;">فقرأ قل يا ايها الكافرون- اعبد ما تعبدون- وانتم عابدون ما اعبد- انا عابد ما عبدتم- لكم دينكم ولى دين-</div><div style="text-align: justify;">উক্ত চারটি বর্ণনায় কিরাআতে ভুল করার বিষয়টি এককভাবে বর্ণিত হয়নি। বরং এক একজন মুফাসসির ও মুহাদ্দেস ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। উক্ত ৪টি দিক থেকে হাদিসটি مضطرب বা অসামঞ্জস্যশীল। </div><div style="text-align: justify;">হাদিস যদি مضطرب হয় তার হুকুম সম্পর্কে আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. লিখেন-</div><div style="text-align: justify;">ان وقع فى اسناد او متن اختلاف من الرواة بتقديم او تأخير او زيادة او نقصان او ابدال راوى مكان راو آخر او متن مكان متن او تصحيف فى اسماء السند او اجزاء المتن او باختصار اوحذف او مثل ذلك فالحديث مضطرب فان امكن الجمع فيها والا فالتوقف- (المقدمة للشيخ عبد الحق المحدث الدهلوى رحمه البارى)</div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপানের বিষয়ে বর্ণিত হাদিসটি সম্পূর্ণ مضطرب। এগুলো এমনই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাতে সামঞ্জস্য বিধান করা সম্ভব নয়। তাই এ সকল হাদিসের বক্তব্যে তাওয়াক্কুফ করে দেখতে হবে এ চেয়ে ইখতেলাফ বিহীন কোন হাদিস পাওয়া যায় কিনা। এক্ষেত্রে المستدرك على الصحيحين গ্রন্থে ইমাম হাকেম বর্ণিত হাদিসখানা প্রণিধানযোগ্য। এ হাদিসখানাকে ইমাম হাকেম রহমতুল্লাহে আলাইহে বলেছেন- هذا حديث صحيح الاسناد ولم يخرجاه হাদিসখানা নিম্নরূপ :-</div><div style="text-align: justify;">أخبرنا محمد بن علي بن دحيم الشيباني ثنا أحمد بن حازم الغفاري ثنا أبو نعيم و قبيصة قالا : ثنا سفيان عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل تحريم الخمر فحضرت صلاة المغرب فتقدم رجل فقرأ : { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى حتى تعلموا ما تقولون } الآية </div><div style="text-align: justify;"> هذا حديث صحيح الإسناد و لم يخرجاه </div><div style="text-align: justify;"> و في هذا الحديث فائدة كثيرة و هي أن الخوارج تنسب هذا السكر و هذه القراءة إلى أمير المؤمنين علي بن أبي طالب دون غيره و قد برأه الله منها فإنه راوي هذا الحديث </div><div style="text-align: justify;">تعليق الذهبي قي التلخيص : صحيح</div><div style="text-align: justify;">[আল মুসতাদরাক- খন্ড-২, পৃ.-৩৩৬]</div><div style="text-align: justify;">উক্ত হাদিস হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। এখানে দাওয়াতকারী আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু নন বরং একজন আনসার। তিনি বলেন فتقدم رجل  একলোক ইমামতি করেছেন। এ হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ পান করেছেন তার প্রমাণ নাই। ইমামতিরও প্রমাণ নেই।  এ হাদিস প্রমাণ করে উক্ত দাওয়াতে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত ছিলেন। মদ খান নি, ইমামতিও করেন নি। তাফসীরাতে আহমদিয়ার ভাষ্যমতে ইমামতি করেছেন عتبان بن مالك রাদিয়াল্লাহু আনহু।</div><div style="text-align: justify;">ইমাম হাকেম বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে সমাধান দিয়েছেন। যে সকল হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মদপান, ইমামতি ও কিরাআতে ভুল করার বর্ণনা রয়েছে তা হল-</div><div style="text-align: justify;">ان الخوارج تنسب هذا السكر وهذه القراءة الى امير المؤمنين على بن ابى طالب دون غيره وقد برأه الله منها فانه راوى هذا الحديث-</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ খারেজীরা এই মাতলামী ও নামাযে ভুল তেলাওয়াতকে আমীরুল মুমেনিন আলী ইবনে আবি তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি সম্পৃক্ত করে দিয়েছে। তাকে ছাড়া অন্য কারো প্রতি বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয় নি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে এ মন্দ কাজ থেকে মুক্ত রেখেছেন। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজেই এই হাদিস বর্ণনা করেছেন। </div><div style="text-align: justify;">হাদিসগুলো এজন্য গ্রহণযোগ্য নয় যে হাদিসের সনদের রাবীগণ নিয়ে اهل الجرح والتعديل গণের আপত্তি রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">(ক) আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হাদিসে দু’জন রাবী রয়েছেন-</div><div style="text-align: justify;"> (১) عطاء بن السائب  (২) ابو عبد الرحمن السلمى </div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু হাতেমের মতে আবু আবদুর রহমান সুলামী হযরত আলী থেকে রেওয়ায়েত করেন নি। মধ্যখানে একজন রাবী রয়েছে। এ রেওয়ায়েত মুরসাল। আতা ইবনে সায়েব রহমতুল্লাহে আলাইহে সম্পর্কে ইমাম শো’বা বলেছেন- তার জীবনের দু’টি অধ্যায়। প্রথম দিকে স্মৃতিশক্তি প্রখর ছিল, শেষ বয়সে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। এজন্য মুহাদ্দেসগণ তার বর্ণনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বলেছেন- فلا يحتج بحديثه তার বর্ণিত হাদিস দলিল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। [তাহজীব- খন্ড-৪, পৃ.-১৩১]</div><div style="text-align: justify;">ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহে আলাইহে তার সম্পর্কে বলেন- ثقة فى حديثه القديم الا انه تغير  স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার পূর্বের হাদিসগুলো গ্রহণযোগ্য যদি তিনি পরিবর্তন না করে থাকেন।</div><div style="text-align: justify;">ইমাম শাওকানী বলেন- ইয়াহইয়া ইবেন মাঈন আতা সম্পর্কে বলেন- لا يحتج بحديثه তার হাদিস দলিল হবে না। </div><div style="text-align: justify;">ইমাম জাহাবীর মতে হাদিসটি যয়ীফ। যেহেতু راوى সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের আপত্তি রয়েছে। [মীযানুল এতেদাল- খন্ড-১, পৃ.-২৮৭]</div><div style="text-align: justify;">আবু আবদুর রহমান আস সুলামী সম্পর্কে আল্লামা যাহাবী রহ. বলেন-</div><div style="text-align: justify;">عن الواقدى انه شهد مع على عليه السلام صفين ثم صار عثمانيا</div><div style="text-align: justify;">ইমাম ওয়াকেদী বলেন- তিনি (সুলামী) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দলে থেকে ছিফফিনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উসমানী তথা আলী বিরোধী দলে যোগ দেন। যেহেতু আলী বিদ্বেষী ছিলেন আর একটি মাত্র সূত্রে অর্থাৎ একমাত্র সুলামীর সনদেই আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপানের বর্ণনা রয়েছে। তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। </div><div style="text-align: justify;">সুলামী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বিদ্বেষী ছিলেন। </div><div style="text-align: justify;">ابو عبد الرحمن السلمى اسمه عبد الله بن حبيب قال رجل لابى عبد الرحمن السلمى انشدك الله متى ابغضت عليا (عليه السلام) اليس حين قسم قسما بالكوفة فلم يعطك ولا اهل قال اما اذا انشدتنى الله فنعم-</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ আবু আবদুর রহমান আসসুলামী যার প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ বিন হাবিব। একব্যক্তি আবু আবদুর রহমানকে বললো- তোমার প্রতি আল্লাহর শপথ! কখন থেকে আলী আলাইহিস সালামের শত্রæ হয়ে গেলে? সেই সময় থেকে নয় কি? যখন কুফায় সম্পদ বন্টন হচ্ছিল তখন তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে কিছুই দেয়া হল না। সুলামী উত্তর দিলেন- তুমি যেহেতু আমাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলেছ, তবে বলছি হ্যাঁ। [তাবারী, আল মুনতাখাব মিন যাইলিল মুযীল- পৃ.-১৪৭]</div><div style="text-align: justify;">ফাতওয়া :- لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى এ আয়াতের শানে নুযুল হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিষয়ে মারফু বর্ণনায় সহি সনদে বিদ্যমান। ঐ বর্ণনাকেই মূল শানে নুযুল হিসেবে গ্রহণ করা অধিক যুক্তিযুক্ত। ইমাম তিরমিজি, আবু দাউদ রাহেমাহুমুল্লাহদের বর্ণনা مضطرب ও সনদের রাবী সম্পর্কে اهل الجرح والتعديل এর আপত্তি থাকায় হাদিসটি যয়ীফ। আর ইমাম হাকেমের বর্ণিত হাদিস صحيح الاسناد হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য। যে হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদপান করা, নামাযের ইমামতি করা এবং সূরা ভুল করার কোন বিষয় নাই। কুরআনে বর্ণিত আয়াতে তাতহীরের শান ঠিক রেখে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাওয়াতে ছিলেন কিন্তু মদপান করেননি, নামাযের ইমামতিও করেননি ও সূরা ভুল করেননি এটাই আমাদের আকিদা থাকবে। ছিহাহ ছিত্তার গ্রন্থসমূহে বর্ণনা থাকায় মুফাসসিরগণ এ হাদিসগুলোকে مضطرب মতন সনদে রাবীর আপত্তি থাকা সত্তেও বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ছিহাহ ছিত্তায় বর্ণনা থাকায় গাউসিয়া তারবিয়াতি নেসাবে বিষয়টি আনা অন্যায় হয় নি। হয়তো বিষয়টি নিয়ে পর্যাপ্ত তাহকীক করা হয় নি।। বর্তমানে যেহেতু সনদ ও মতন এবং কুরআনের আয়াতে তাতহীরের সমন্বয় সব মিলিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে এবং আলা হযরত রহমতুল্লাহে আলাইহের ফাতওয়া হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিষ্কলুষতার পক্ষে রয়েছে, যা নিম্নরূপ :</div><div style="text-align: justify;">نشہ ہمیشہ ہر شریعت مین حرام رہا ہے -</div><div style="text-align: justify;">امیر المومنین سیدنا مولا علی کرم اللہ تعالی وجہہ الکریم کی نسبت امر مذکور کا بیان کرنے والا اگر اس سے شان اقدس مرتضوی پر طعن چاہتا ہے تو خارجی ناصبی مردود جہنمی ہے۔ ورنہ بلا ضرورت شرعیہ عوام کو پریشان کرنے والا سفیہ احمق بدعقل بے ادب ہے۔  ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ بلکہ اسمین قائل جھوٹ ملایا ہے- اسے توبہ لازم ھے- لا حول ولا قوة الا بالله العلى العظيم-</div><div style="text-align: justify;">“নেশা হামেশাহ হার শরীয়ত ম্যাঁ হারাম রাহা হ্যায়। আমীরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা মাওলানা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম কী নিসবত আমরে মাজক‚র কা বায়ান করনেওয়ালা আগার উস শানে আকদাসে মুরতাদ্বাবী পর ত্বা’ন চাহতা হ্যায় তো খারেজী, নাসেবী, মারদূদ, জাহান্নামী হ্যায়। ওয়ারনাহ বেলা জরুরাতে শরইয়্যাহ আওয়াম কো পরীশান করনেওয়ালা সফীহ, আহমক্ব, বদ আক্বল, বে আদব হ্যায়। বলকেহ উসমে ক্বায়েল নে ঝুট মিলায়া হ্যায়। উসে তওবা লাযেম হ্যায়। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ওয়াল্লাহু তায়ালা আ’লামু।”</div><div style="text-align: justify;">অর্থ- নেশা জাতীয় দ্রব্য-পানীয় সকল শরীয়তে হারাম হিসেবে রয়েছে। আমীরুল মুমেনীন আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীমের প্রতি উল্লেখিত বিষয়ের সম্পৃক্তকারী যদি এর মাধ্যমে তার ‘মুরতাদ্বাবী’ শান এর উপর আঘাত করতে চায় তাহলে সে খারেজী, নাসেবী, মারদূদ ও জাহান্নামী। </div><div style="text-align: justify;">নতুবা শরীয়তের প্রয়োজন ব্যতিরেকে সাধারণ মুসলমানদেরকে যদি এ বিষয় নিয়ে বিরক্ত করে তাহলে ঐ ব্যক্তি নির্বোধ, আহমক, বিবেকহীন ও বে আদব। ............</div><div style="text-align: justify;">বরং এ বিষয়ে বর্ণনাকারী মিথ্যা সংযুক্ত করেছে। তার তওবা করা আবশ্যক। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ওয়াল্লাহু তায়ালা আ’লামু।”</div><div style="text-align: justify;">[আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহ., ফাতাওয়া রেজবিয়্যাহ, কিতাবুল আশরিবাহ, ১০ম খন্ড, পৃ.- ৮৪, মাসআলা নং-২৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হল- তারবিয়াতী নেছাব সংশোধন করে এ বিতর্কের অবসান করাই যুক্তিযুক্ত এবং বাঞ্চনীয়। এক্ষেত্রে গোঁড়ামী  ও লাজ-শরমের কোন অবকাশ নেই। ইমামে আজম রাদিয়াল্লাহু আনহু বহু মাসআলায় রুজু করেছেন অন্যান্য ইমামগণেরও রুজু করার বহু প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সহী ও সঠিক পথে চলার তাওফীক দান দিন।  </div><div style="text-align: justify;"> আহকার</div><div style="text-align: justify;">ড. মুফতী মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান</div><div style="text-align: justify;">অধ্যক্ষ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর</div>

মদ্যপানের সাথে হযরত আলী (রাঃ) এর সম্পৃক্ততা নেই

প্রশ্ন : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ হারাম হওয়ার পূর্বে মদপান করে নামাজের সূরা তিলাওয়াতে উল্টাপাল্টা করেছেন বলে হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়। ...

Read more »

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><b style="text-align: left;"><span style="background-color: white; border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [Download]</span></b></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div dir="ltr" style="text-align: left;"><b><span style="font-family: inherit;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: medium;"><img border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" height="331" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/w640-h331-rw/1000017281.jpg" width="640" /></span></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 14pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল হাদিস : </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 14pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এই অ্যাপটি ইসলামী জ্ঞানার্জনের জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামিক প্ল্যাটফর্ম। যা অনলাইন ও অফলাইন কন্টেন্ট ও বই দ্বারা সাজানো হয়েছে। এতে রয়েছে:</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আল কুরআন, তাফসির সমগ্র, হাদিস, ইসলামী বই ৪৩৪ টি বই, ৫০০০+ পিডিএফ বই, আসমাউল হুসনা, আসমাউন নবভী, নাতে মুস্তফা (ﷺ), নামাজের সময়সূচি, মাসনুন দু'আ, তাসবিহ, প্রবন্ধ, বয়ান, নামায শিক্ষা, রোযা, যাকাত, হজ্জ ও উমরা, সুন্নাহ বিষয়ক ফিচার। অ্যাপটি প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে এবং এতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে যা আপনাকে আরও ভালভাবে ইসলামী জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হবে।</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 14pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অ্যাপের ফিচারসমূহ :</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 14pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১. আল কুরআন (Holy Quran): কানযুল ঈমান এবং ইরফানুল কুরআনের বিশুদ্ধ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">২. তাফসির সমগ্র (Tafsir): তাফসিরে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه), তাফসিরে খাজাইনুল ইরফান, তাফসিরে নুরুল ইরফান, তাফসিরে মাযহারী, তাফসিরে ইবনে কাছীর, তাফসিরে কুরতুবি, তাফসিরে বায়যাবী, তাফসিরে তাবারীর কাজ চলমান।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৩. আল হাদিস: ১৭ টি হাদিস গ্রন্থ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৪. ইসলামী বই (৪২৮টি টেক্সট আকারে ইসলামী বই)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৫. অনলাইন বই (Online Books):৫০০০+ ইসলামী পিডিএফ বই</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৬. ইসলামী বিশ্বকোষ ওয়েবসাইট</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৭. আসমাউল হুসনা </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৮. আসমাউল নভবী</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৯. নাতে মুস্তফা (ﷺ) : রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর শানে রচিত নাতে রাসুলের কিতাব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১০. নামাজের সময়: আপনার লোকেশন অনুযায়ী সঠিক সময়সূচি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১১. মাসনুন দুআ: ইসলামের শিক্ষা অনুসারে দুআ সংগ্রহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১২. তাসবিহ কাউন্টার: ডিজিটাল তাসবিহ গণনার সুবিধা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১৩. প্রবন্ধ: ইসলামী বিশ্বকোষ ওয়েবসাইট থেকে ৯৯৫৭টি পোস্ট অফলাইনে পড়ার সুবিধা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১৪. বয়ান: সম্মানিত আলেমদের হাজার হাজার ইসলামিক বয়ান।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">১৫. নামাজ শিক্ষা, রোযা, যাকাত, হজ্জ ও উমরা: ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের বিস্তারিত গাইডলাইন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span face="Arial, sans-serif" style="font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 400; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ইলমে দ্বিন অর্জনের নিয়্যতে নিজে পড়ুন ও অন্যকে পড়ার জন্যেই উৎসাহিত করুন।</span></p></div></span></b></div></div>

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস এপ্লিকেশন

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [Download] ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল হাদিস :  এই অ্যাপটি ইসলামী জ্ঞানার্জনের জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামিক প্...

Read more »

ইসলামী বিশ্বকোষ থেকে pdf ডাউনলোড এর নিয়ম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="270" src="https://www.youtube.com/embed/6vIasYmoJrs" width="480"></iframe></div>

ইসলামী বিশ্বকোষ থেকে pdf ডাউনলোড এর নিয়ম

Read more »

কোন কিছুই আল্লাহর অনুরূপ নয়, আল্লাহ কোন সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন

<div style="text-align: justify;">আল্লাহ্'র বিষয়ে মুসলমানদের বিশ্বাস কি রাখতে হবে? আসুন জেনে নিই।</div><div style="text-align: justify;">🖋<span style="font-family: sans-serif;"> Dr. Syed Irshad Ahmad Al Bukhari</span></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসুন আজ আমরা আমাদের পালনকর্তা রাব্বুল আলামিন এর সর্ম্পকে জানি। অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অবশ্যই কপি পেস্ট , অবশ্যই শেয়ার করুন। ইন শা আল্লাহ। </div><div style="text-align: justify;"><b><u><br></u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u><span style="font-family: sans-serif;">কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়</span><br></u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u><br></u></b></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করতেছেন,,</div><div style="text-align: justify;">(সূরা আশ-শুরা আয়াত ১১) - "কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।</div><div style="text-align: justify;">  ؕ لَیۡسَ کَمِثۡلِہٖ  شَیۡءٌ ۚ وَ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ ﴿۱۱﴾ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(সূরা ইখলাছ আয়াত ২)– “আল্লাহ কোনো </div><div style="text-align: justify;">কিছুর মুখাপেক্ষী নন।”</div><div style="text-align: justify;">اَللّٰہُ  الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(সূরা ইখলাস আয়াত ৪) - “এবং তার </div><div style="text-align: justify;">সমতুল্য কেউ নেই।”</div><div style="text-align: justify;">وَ  لَمۡ  یَکُنۡ  لَّہٗ   کُفُوًا  اَحَدٌ ﴿۴﴾ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(সূরা নাহল আয়াত ৭৪) - “অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।</div><div style="text-align: justify;">فَلَا تَضۡرِبُوۡا لِلّٰہِ الۡاَمۡثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ  وَ  اَنۡتُمۡ  لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۴﴾ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সমস্ত মুসলমানদের আক্বিদা হলো, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক, দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র নিরাকার এক মহান সত্তা। কোন কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে যেমন আল্লাহ তায়ালা কোন স্থানে অবস্থান ব্যতীত ছিলেন, এখনও তিনি আছেন। আসমান-জমিন ধ্বংসের পরেও আল্লাহ তায়ালা থাকবেন।'আল্লাহ তায়ালাকে কোন স্থানে বা দিকে বিশ্বাস করা গোমরাহী। আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সৃষ্টি থেকে পবিত্র। তিনি কোন সৃষ্টির মাঝে প্রবেশ করেন না, তাঁর মাঝেও কোন কিছু প্রবেশ করে না। আল্লাহ তায়ালার জন্য সৃষ্টির কোন বৈশিষ্ট্যও প্রযোজ্য নয়। সৃষ্টির অবস্থানের জন্য স্থানের প্রয়োজন হয়, সৃষ্টি কোন সুনির্দিষ্ট দিকে থাকে, দু’টি সৃষ্টির মাঝে দুরত্ব থাকে, একটি আরেকটি থেকে পৃথক বা কাছাকাছি থাকে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এসব অবস্থা থেকে পবিত্র। একইভাবে সৃষ্টির কোনটি ছোট বা বড়, কোনটি লম্বা বা খাট, কোনটি সুন্দর বা কুৎসিত, কোনটি ফর্সা বা কালো, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার জন্য এর কোনটিই প্রযোজ্য নয়। মোটকথা আল্লাহ তায়ালা কোন দিক থেকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য রাখেন না। তার সদৃশ্য কিছুই নেই। তার সত্ত্বা, গুণাবলী, কর্মাবলি কোন দিক থেকেই কেউ তার সাদৃশ্য রাখে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ্ ক্বুরআনে (সুরা ইখলাস এ ২ নং) আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।” আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে।  তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতিত কোনো কিছুই ছিলনা। বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক (ﷺ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ বেতিত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী। আলহামদুলিল্লাহ্!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূল (ﷺ) বলেছেন- ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺄَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺂﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ”  অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২৭১৩। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহা বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমামে আযাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) তার জগত বিখ্যাত কিতাব আল ফিকহুল আবসাত এ বলেন- “ওয়ামান ওয়াসাফাল্লাহা বিমা’নান মিন মা’য়ানিল বাশার ফাক্বাদ কাফার” অর্থাৎ যে আল্লাহর জন্য এমন দোষ বা গুন মানল যা সৃস্টির মাঝে বিরাজমান তাহলে সে কুফরি করল। সৃস্টি উঠে, নামে, বসে, দাড়ায়, ঘুমায়, নড়াচড়া করে কিন্তু আল্লাহ এসব হতে পাক। তিনি আরোও বলেনঃ যে বস্তু কোনোও বস্তুর উপরে বা নিচে বা মধ্যে থাকে তা সৃষ্টি, একমাত্র আল্লাহ যিনি কারোও উপরে বা নিচে বা মধ্যে নন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div><b><u><br></u></b></div><div><b><u>স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি</u></b></div><div><br></div><div><br></div><div>তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন ? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে ? </div><div><br></div><div>বিখ্যাত সূফী ইমাম জুন-নুন মিসরী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [ইন্তেকাল: ২৪৫ হি:] বলেন- “মাহমা তাসাউয়ারতা বিবালিক ফাল্লাহু বিখিলাফি যালিক”। অর্থাৎ “তুমি যখন যখন তোমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আল্লাহকে চিন্তা করবে তখনই আল্লাহকে তোমার চিন্তার উর্ধ্বে পাবে।” সুবহানআল্লাহ। কেননা আল্লাহ আমাদের মস্তিস্ক বানিয়েছেন সসীম বস্তুকে চিন্তা করার জন্য, কিন্তু আল্লাহ তো অসীম তাই অসীম আল্লাহকে সসীম মস্তিস্কে পরিবেষ্টন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। </div><div><br></div><div>তিনি আরোও বলেন যেঃ </div><div>“ﺭﺑﻲ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻼ ﺷﻰﺀ ﻳﺤﻴﻂ ﺑﻪ * ﻭﻫْﻮ ﺍﻟﻤﺤﻴﻂ ﺑﻨﺎ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻣﺮﺗﺼﺪ ﻻ ﺍﻷﻳﻦ ﻭﺍﻟﺤﻴﺚ ﻭﺍﻟﺘﻜﻴﻴﻒ ﻳﺪﺭﻛﻪ * ﻭﻻ ﻳﺤﺪ ﺑﻤﻘﺪﺍﺭ ﻭﻻ ﺃﻣﺪ ﻭﻛﻴﻒ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺣﺪ ﻭﻟﻢ ﺗﺮﻩ * ﻋﻴﻦ ﻭﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺜﻞ ﻣﻦ ﺃﺣﺪ ﺃﻡ ﻛﻴﻒ ﻳﺒﻠﻐﻪ ﻭﻫﻢ ﺑﻼ ﺷﺒﻪ * ﻭﻗﺪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻦ ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻮﻟﺪ” </div><div>অর্থাৎ“ মহান আল্লাহ তায়ালাকে কোন কিছু পরিবেষ্টন করে না। তিনি সর্বাবস্থায় আমাদেরকে পরিবেষ্টন ও নিয়ন্ত্রণ করছেন। কোথায়, কেমন, কীভাবে, কী অবস্থা.. এগুলো থেকে আল্লাহ পবিত্র। কোন পরিমাপ-পরিমিতি দ্বারা তিনি সীমাবদ্ধও নন। আল্লাহ তায়ালার সীমা কীভাবে নির্ধারণ করবে? অথচ তাকে চক্ষু দেখেনি এবং তার তুলনীয় কিছুই নেই? কোন সাদৃশ্য ছাড়া কেউ আল্লাহ তায়ালাকে কীভাবে কল্পনা করবে? অথচ আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সাদৃশ্য ও সন্তান থেকে পবিত্র।” [হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.৯, পৃ.৩৮৮]</div><div><br></div><div>হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) বলেন- </div><div>“ ﻣﻦ ﺯﻋﻢ ﺃﻥ ﺇﻟﻬﻨﺎ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﻓﻘﺪ ﺟﻬﻞ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ ﺍﻟﻤﻌﺒﻮﺩ” </div><div>অর্থ: “যে বিশ্বাস করলো যে আল্লাহ তায়ালা সসীম, সে আমাদের মা’বুদ আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ” [ হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.১, পৃ.৭৩]। </div><div><br></div><div>হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) বলেন- </div><div>“ﻛﺎﻥ ـ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ، ﻭﻫﻮ ﺍﻵﻥ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ـ ﻋﻠﻴﻪ ـ ﻛﺎﻥ” </div><div>অর্থ: “যখন কোন স্থান ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনি এখনও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় আছেন।” [আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]।  </div><div><br></div><div>তিনি আরও বলেন- </div><div>“ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺇﻇﻬﺎﺭًﺍ ﻟﻘﺪﺭﺗﻪ ﻻ ﻣﻜﺎﻧًﺎ ﻟﺬﺍﺗﻪ ” </div><div>অর্থ: “আল্লাহ তায়ালা নিজের কুদরত প্রকাশের জন্য আরশ সৃষ্টি করেছেন, নিজ সত্ত্বার স্থান হিসেবে নয়।” [আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]। একই কথা ইমাম শাফেয়ী রাঃ [ইন্তেকাল: ২০৪ হি:] ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.২, পৃ.২৪ বলেন । একই কথা ইমাম ত্বহাবীও তার আক্বিদাতুত ত্বাহাবীতেও লিখেছেন।</div><div><br></div><div>বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যাইনুল আবেদীন (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [ইন্তেকাল: ৯৪ হি:] বলেন- </div><div>“ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳَﺤﻮﻳﻚ ﻣﻜﺎﻥ” </div><div>অর্থ: “ হে আল্লাহ, আপনি সেই সত্ত্বা, কোন স্থান যাকে পরিবেষ্টন করতে পারে না।” [ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, আল্লামা মোর্তজা জাবিদী, খ.৪, পৃ.৩৮০]। </div><div><br></div><div>তিনি আরও বলেন- </div><div>“ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﺗُﺤَﺪُّ ﻓﺘﻜﻮﻥَ ﻣﺤﺪﻭﺩًﺍ” </div><div>অর্থ: “আপনি সেই সত্ত্বা যার কোন হদ বা সীমা নেই। সীমা থাকলে তো আপনি সসীম হয়ে যাবেন।” [ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.৪, পৃ.৩৮০]</div><div><br></div><div>ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“:</div><div> ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦ ﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ” </div><div>অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা” [আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]। </div><div><br></div><div>সৈয়দ ফাখার উদ্দীন ইবনে আসাকীর (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) বলেনঃ “অবশ্যই আল্লাহর জন্য কখন, কোথায়, কিভাবে এই প্রশ্নগুলি করা উচিত নয়। কেননা, “কখন শব্দটি সময় নির্দেশ করে, সময় সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে, সীমাবদ্ধতা প্রয়োজন নির্দেশ করে, প্রয়োজন অক্ষমতা নির্দেশ করে এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হওয়ার কোনই যোগ্যতা নেই।” আবার, “কোথায় শব্দটি জায়গা নির্দেশ করে, জায়গা আয়তন নির্দেশ করে, আয়তন সীমানা নির্দেশ করে, সীমানা প্রয়োজন নির্দেশ করে, এবং প্রয়োজন অক্ষমতা নির্দেশ করে” এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হওয়ার কোনই যোগ্যতা নেই। অবশেষে, “কিভাবে শব্দটি রীতি নির্দেশ করে, হয় স্নায়ুবিক অথবা পাশবিক রীতি নির্দেশ করে এবং রীতি নির্দিষ্টতা নির্দেশ করে এবং নির্দিষ্টতা অন্যের উপর নির্ভরতা নির্দেশ করে, এবং নির্ভরতা অক্ষমতা নির্দেশ করে” এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হবার কোনোই যোগ্যতা নেই।</div><div>আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।  আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক'টা বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন। </div><div><br></div><div><br></div></div>

কোন কিছুই আল্লাহর অনুরূপ নয়, আল্লাহ কোন সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন

আল্লাহ্'র বিষয়ে মুসলমানদের বিশ্বাস কি রাখতে হবে? আসুন জেনে নিই। 🖋  Dr. Syed Irshad Ahmad Al Bukhari আসুন আজ আমরা আমাদের পালনকর্তা রাব্ব...

Read more »