◾ অযুর জন্য নাপাক জায়গায় বসা।
◾ নাপাক জায়গায় অযুর পানি ফেলা।
◾ অযুর অঙ্গ সমূহ থেকে লোটা (বদনা) ইত্যাদিতে ফোঁটা ফোঁটা পানি ফেলা, (মুখ ধোয়ার সময় পানিপূর্ণ অঞ্জলীতে সাধারণত মুখমন্ডল হতে পানির ফোটা পড়ে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন)।
◾ কিবলার দিকে থুথু, কফ, কুলির পানি ইত্যাদি নিক্ষেপ করা।
◾ প্রয়োজন ছাড়া দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা।
◾ অতিরিক্ত পানি খরচ করা।
(আল্লামা মুফতী আমজাদ আলী আযমীرَحۡمَۃُ اللّٰہ ِتَعَالٰی عَلَیہِ “বাহারে শরীয়াত (সংগৃহীত) ”১ম খন্ডের ৩০২-৩০৩ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেন: নাকে পানি দেয়ার সময় আধা অঞ্জলী থেকে বেশি পানি ব্যবহার করা অপচয়)।
◾ এত কম পানি ব্যবহার করা যাতে সুন্নাত আদায় হয় না। অতএব পানির নল এত বেশি খোলাও উচিত নয় যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পড়ে, আবার এত সামান্য পরিমাণ খোলাও উচিত নয় যাতে সুন্নাত আদায় না হয় বরং মধ্যম ভাবেই পানির নল খোলা উচিত।
◾ মুখে পানি মার।
◾ মুখে পানি দেয়ার সময় ফুঁক দেয়া।
◾ এক হাতে মুখ ধোঁয়া কারণ এটা রাফেজী ও হিন্দুদের রীতি।
◾ গলা মাসেহ্ করা।
◾ বাম হাতে কুলী অথবা নাকে পানি দেয়া।
◾ ডান হাতে নাক পরিষ্কার করা।
◾ তিনবার নতুন পানি দিয়ে তিনবার মাথা মাসেহ্ করা।
◾ রোদের তাপে গরম করা পানি দিয়ে অযু করা।
◾মুখ ধোয়ার সময় উভয় ঠোঁট ও উভয় চক্ষু দৃঢ়ভাবে বন্ধ রাখা। যদি ঠোঁট ও চোখের কিছু অংশও শুষ্ক থেকে যায় তাহলে অযুই হবে না। অযুর প্রতিটি সুন্নাত বর্জন করা মাকরূহ আর প্রতিটি মাকরূহ বর্জন করা সুন্নাত।
(বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩০০-৩০১ পৃষ্ঠা)