ধৈৰ্য্য ও দানশীলতার ফযীলতঃ

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]

সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ


▶৩১) হযরত সায়্যিদুনা জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তাজেদারে রিসালত, শফীয়ে উম্মত (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “(পরিপূর্ণ) ঈমান ধৈৰ্য্য ও দানশীলতারই নাম।”


তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদ লি আবী ইয়ালা, মুসনাদে জাবির বিন আব্দুল্লাহ, হাদীস নং- ১৮৪৯, ২/২২০।


▶৩২) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী রাসূলে আরবী (ﷺ)  ইরশাদ করেন: ঐ মুমিন, যে মানুষের সাথে মেলামেশা করে এবং তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া কষ্টে ধৈৰ্য্যধারণ করে, সে ঐ মুমিন থেকে উত্তম, যে মানুষের সাথে মেলামেশা করে না এবং তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া কষ্টে ধৈৰ্য্যধারণ করে না।”


তথ্যসূত্রঃ আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, কিতাবু আদাবিল কাযী, হাদীস নং- ২০১৭৫, ১০/১৫৩। 


▶৩৩)  হযরত সায়্যিদুনা জাবির বিন আব্দুল্লাহ  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, শাহানশাহে নবুয়ত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “যখন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে জমিন ও আসমানে ভ্রমণ করানাে হলাে, তখন তিনি আলাইহিস সালাম  জনৈক ব্যক্তিকে গুনাহে লিপ্ত দেখে তার ধ্বংসের জন্য দোয়া করেন, অতএব তাকে ধ্বংস করে দেয়া হলাে। অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে গুনাহে লিপ্ত দেখে তার বিরুদ্ধেও দোয়া করলেন, তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেন: হে ইব্রাহীম! নিশ্চয় যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করলাে, সে আমারই বান্দা এবং তিনটি বিষয় থেকে যে কোন একটি বিষয় তাকে আমার গজব থেকে বাঁচিয়ে নিবে, হয়তাে সে তাওবা করে নিবে, তখন আমি তার তাওবা কবুল করবাে, নয়তাে সে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, তখন আমি তাকে ক্ষমা করে দিবাে। অথবা তার বংশে এমন কোন ব্যক্তি জন্ম নিবে যে আমার ইবাদত করবে। হে ইব্রাহীম! তুমি কি জানে না যে, আমার নামসমূহের মধ্যে এমন একটি নামও রয়েছে যা হচ্ছে ‘আমি সবুর’ (অর্থাৎ অতিশয় সহনশীল)।”


তথ্যসূত্রঃ আল মু'জামুল আওসাত, হাদীস নং-৭৪৭৫, ৫/৩২২।


▶৩৪) হযরত সায়্যিদুনা আবু মুসা আশআরী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীয়ে মুকাররাম, নূরে মুজাস্সাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “কোন কষ্টদায়ক কথা শুনে আল্লাহ তায়ালার চেয়ে অধিক ধৈৰ্যশীল আর কেউই নেই, কেননা মানুষ তাঁর প্রতি সন্তানের ইঙ্গিত করে, কিন্তু তবু আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেন এবং রিযিক দান করেন।”


তথ্যসূত্রঃ সহীহ মুসলিম, কিতাবু সিফতুল কিয়ামাতি ওয়াল জান্নাতি ওয়ান নার, হাদীস নং- ২৮০৪, ১৫০৬ পৃষ্ঠা।


▶৩৫) হযরত সায়্যিদুনা আবু মাসউদ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, যখন তােমরা আপন কোন মুসলমান ভাইকে গুনাহে লিপ্ত দেখবে, তখন তার বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ে যেও না যে, তােমার এরূপ বলবে: “আল্লাহ তায়ালা তােমাকে লাঞ্ছিত করুক, আল্লাহ তায়ালা তার অমঙ্গল করুক।” বরং এরূপ বলবে: “আল্লাহ তায়ালা তাকে তাওবা করার তৌফিক দান করুক এবং তাকে ক্ষমা করে দিক।”


তথ্যসূত্রঃ মু'জামুল কবীর, হাদিস নং- ৮১৫৪,৯/১১০
Top