মুসলমান ভাইয়ের জন্য মুচকি হাসির ফযীলতঃ

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]

সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ


▶২০) হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “তােমার নিজের বালতি থেকে তােমার ভাইয়ের বালতি পূর্ণ করা সদকা। তােমাদের নেকীর নির্দেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করাও সদকা। তােমাদের আপন মুসলমান ভাইয়ের জন্য মুচকি হাসা সদকা এবং তােমাদের কোন পথহারা ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়াও সদকা।”


তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফিয যাকাত, হাদীস নং- ৩৩২৮, ৩/২০৪


▶২১) হযরত সায়্যিদাতুনা উম্মে দরদা رضي الله عنه হযরত সায়্যিদুনা আবু দরদা رضي الله عنه সম্পর্কে বলেন: তিনি কথাবার্তার সময় মুচকি হাসতেন। আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন: আমি নবী করীম (ﷺ)  কে দেখেছি যে, তিনি (ﷺ) কথাবার্তা বলার সময় মুচকি হাসতে থাকতেন।”


তথ্যসূত্রঃ তারিখে মদীনা দামেশক লি ইবনে আসাকির, হাদিস নং- ৫৪৬৪, ৪৭/১৮৭


▶২২) হযরত সায়্যিদুনা জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, যখন রাসুলে আকরাম শাহানশাহে বনী আদম (ﷺ)  এর উপর ওহী অবতীর্ণ হতাে, তখন আমি বলতাম যে, হুযুর (ﷺ) জাতিকে ভীতি প্রদর্শন করবেন আর যখন ওহী অবতীর্ণ হতাে না, তখন প্রিয় নবী (ﷺ) মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি মুচকি হাস্যোজ্জ্বল এবং উত্তম চরিত্র সম্পন্ন হতেন।”


তথ্যসূত্রঃ আল কামিলু ফি দা ফায়ির রিজাল, হাদিস নম্বর- ৪২/১৬৬৩, মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবী লাইলী, ৭/৩৯৪।
Top