মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করার ফযীলতঃ
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶৬৬) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত, হুযুর ﷺ ইরশাদ করেন: “ধর্ম হচ্ছে কল্যাণ কামনা করা।” সাহবায়ে কিরামগণ আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ কার? ইরশাদ করেন, আল্লাহ্ তা'আলার, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসূলের, মুসলমানদের ইমামের এবং সাধারণ মুমিনের।
তথ্যসূত্রঃ সহিহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, বাবু বয়ানুদ দ্বীনিন নসিহাতি, হাদিস নং- ৫৫,৪৭ পৃষ্ঠা
▶৬৭) হযরত সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “মুমিন একে অপরের কল্যাণকামী এবং পরস্পর ভালবাসা পােষণকারী হয়ে থাকে, যদিও তারা বিভিন্ন শহরের অধিবাসী হয়ে থাকে আর মুনাফিকরা একে অপরের সাথে প্রতারণাকারী হয়ে থাকে যদিও তারা একই শহরের অধিবাসী হয়।”
তথ্যসূত্রঃ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, বাবু বয়ানুদ দ্বীনিন নসিহাতি, হাদীস নং- ৫৫, ৪৭ পৃষ্ঠা।)
▶৬৮) হযরত সায়্যিদুনা বকর বিন আব্দুল্লাহ মুনী (رضي الله عنه) বলেন: “যদি আমি কোন মসজিদে যাই এবং তা লােকে ভরপুর থাকে, অতঃপর আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি কে? তবে আমি প্রশ্নকারীকে জিজ্ঞাসা করবাে: তুমি কি এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কল্যাণকামী ব্যক্তিটিকে চিনাে? যদি সে তাকে চিনে থাকে, তবে আমি বলবাে: সে-ই সবচেয়ে উত্তম এবং আমি এও জানি যে, তার সাথে প্রতারণাকারীই সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি। আমার তাদের এই উত্তম ব্যক্তির অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে যাওয়ার ভয় হয় এবং তাদের মন্দ ব্যক্তির নেককার হয়ে যাওয়ার আশাও রয়েছে।”
তথ্যসূত্রঃ (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুল বুয়ু, হাদীস নং- ১২, ২/৩৬১।)
▶৬৯) হযরত সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনুর (ﷺ) ইরশাদ করেন: “তােমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আপন মুসলমান ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করবে না, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।”
তথ্যসূত্রঃ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদীস নং- ৪৫, ৪২ পৃষ্ঠা)
▶৭০) হযরত সায়্যিদুনা মুয়ায (رضي الله عنه) প্রিয় আক্কা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ) এর নিকট উত্তম ঈমান সম্পর্কে জানতে চাইলেন, তখন প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “উত্তম ঈমান হলাে, তুমি আল্লাহ তায়ালার জন্যই ভালবাসবে, তাঁর জন্যই বিদ্বেষ পােষণ করবে আর তােমার জিহ্বাকে আল্লাহর যিকির দ্বারা সতেজ রাখবে।” অতঃপর আর করলাম: “ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! তারপর?” ইরশাদ করেন: “মানুষের জন্য তা-ই পছন্দ করাে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে থাকো এবং মানুষের জন্য তা অপছন্দ করাে, যা নিজের জন্য অপছন্দ করে থাকে আর ভাল কথা বলাে, অন্যথায় চুপ থাকো।”
তথ্যসূত্রঃ (আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, হাদীস মুয়ায বিন জাবাল, হাদীস নং- ২২১৯৩, ৮/২৬৬।)