নম্রতা ও সহনশীলতার ফযীলতঃ

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]

সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ


▶২৩) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফাল رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা নম্রতা প্রদর্শনকারী এবং নম্রতাকেই ভালবাসেন আর তার জন্য যা কিছু দান করেন, তা কঠোরতার জন্য দান করেন না।”


তথ্যসূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুল 'আদ, বাৰু ফির রিকাক, হাদীস নং- ৪৮০৭, ৪৩৩৪


▶২৪) উম্মুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দীকা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, মদীনার তাজেদার, নবীদের সর্দার (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যাপারে নম্রতাকেই পছন্দ করেন।”


তথ্যসূত্রঃ  সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদব, বাবুর রিকাক ফিল আমর কুলুহু, হাদীস নং- ৬০২৪, ৪/১০৬


▶২৫) হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, শাহানশাহে নবুয়ত, তাজেদারে রিসালাত (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “নম্রতা যে জিনিসে থাকে, সেটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে।”


তথ্যসূত্রঃ মুসনাদিল বাশার, মুসনাদে আবী হামযা আনাস বিন মালিক, হাদীস নং- ৭০০২, ২৩২৯


▶২৬) উম্মুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দীকা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “যখন আল্লাহ তায়ালা কোন পরিবারের কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তখন তাদের (অন্তরে) ভালবাসা ও নম্রতা সৃষ্টি করে দেন।”


তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আয়েশা, হাদীস নং- ৪৮০৭, ৪/৩৪


▶২৭) হযরত সায়্যিদুনা সাহাল বিন সা'আদ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “প্রশান্ত (স্থিরতা) আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া (স্বভাব) শয়তানের পক্ষ থেকে।”


তথ্যসূত্রঃ সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল বিররে ওয়াস সিলাহ, বাবু মাজা ফির রিকাক, হাদীস নং- ২০১৯, ৩/৪০৭


▶২৮) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “মানুষের সম্মান হলাে তার দ্বীন, মনুষ্যত্ব হলাে তার বিবেক এবং আভিজাত্য হলাে তার চরিত্র।”


তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আবী হুরায়রা, হাদীস নং- ৮৭৮২, ৩/২৯২।


▶২৯) হযরত সায়্যিদুনা আশজ আসরী  رضي الله عنه বলেন, উত্তম চরিত্রের আধার, নবীদের সরদার (ﷺ)  আমাকে ইরশাদ করেন: “তােমার মধ্যে দুইটি অভ্যাস এমন, যা আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন, তা হচ্ছে সহনশীলতা আর প্রশান্তি (স্থিরতা)।” আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)  এই দুইটি গুণ কি আমি আমার মাঝে নিজে থেকে সৃষ্টি করেছি, নাকি আল্লাহ তায়ালা আমার মাঝে প্রকৃতিগত ভাবে তা সৃষ্টি করেছেন?” ইরশাদ করলেন: “না, বরং আল্লাহ তায়ালা তােমার প্রকৃতিতেই এই দুটি স্বভাব রেখেছেন।” অতঃপর আমি বললাম: “সমস্ত প্রশংসা সেই মহান প্রতিপালকের জন্য, যিনি আমার প্রকৃতিতে এই দুটি স্বভাব রেখেছেন, যে কারণে তিনি এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)  সন্তুষ্ট।”


তথ্যসূত্রঃ আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, কিতাবুন নিকাহ, হাদীস নং-১৩৫৮৭, ৭/১৬৪


▶৩০) হযরত সায়্যিদাতুনা উম্মে সালমা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “যার মাঝে তিনটি বিষয় থেকে কোন একটিও বিদ্যমান না থাকে, তবে সে যেনাে তার কোন আমলের সাওয়াবের আশা না রাখে: (১) এমন তাকওয়া যা হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে (২) এমন সহিষ্ণুতা, যা তাকে পথভ্রষ্টতা থেকে বিরত রাখে (৩) উত্তম চরিত্র, যা দ্বারা সে মানুষের সাথে জীবন অতিবাহিত করে।”


তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ৮৪২৪, ৬/৩৩৯।
Top