রাগ দমন করার ফযীলতঃ
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶৫০) হযরত সায়্যিদুনা আনাস জুহানী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “যে প্রতিশােধ গ্রহণের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নিজের রাগকে দমন করে নেয়, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন সকল সৃষ্টির সম্মুখে আহ্বান করবেন এবং তাকে স্বাধীনতা দিবেন যে, হুরদের মধ্য থেকে যাকে খুশি নিয়ে নাও।”
তথ্যসূত্রঃ সুনানে তিরমিযী, কিতাবু সিফতিল কিয়ামাতি, অধ্যায়- ৪৮, হাদীস নং-২৫০১,৪/২২২।
▶৫১) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনুর (ﷺ) ইরশাদ করেন: “মানুষের কোন চুমুক পান করা রাগের ঐ চুমুক থেকে উত্তম নয়, যা সে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পান করে।”
তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদে লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, হাদীস নং- ৬১২২, ২/৪৮২
▶৫২) হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীয়ে আকরাম (ﷺ) এমন কতগুলাে লােকের পাশ দিয়ে গমন করছিলেন যারা কুস্তি লড়ছিলাে। হুযুর (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন: “এগুলাে কী হচ্ছে?” লােকেরা বললাে: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) অমুক খুবই শক্তিশালী। যেই তার সাথে লড়াই করে, সে তাকে পরাজিত করে দেয়।” তখন নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “আমি কি তােমাদেরকে তার চেয়েও অধিক শক্তিশালী ব্যক্তি সম্পর্কে জানাবাে না? সেই ব্যক্তি, যার উপর কেউ অত্যাচার করলাে এবং সে রাগকে দমন করে নিলাে আর নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাে, তবে এমন ব্যক্তি নিজের ও অপর ব্যক্তির শয়তানের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়ে যায়।”
তথ্যসূত্রঃ মুসনাদিল বাযার, মুসনাদ আবী হামযা আনাস বিন মালিক, হাদীস নং- ৭২৭২, ২/৩৪৫
▶৫৩) হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, প্রিয় আক্কা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ) ইরশাদ করেন: “তােমরা কি আবু দ্বামদ্বামের মত হতে পারনা?” সাহাবায়ে কিরামগণ رضي الله عنه আরজ করলেন: “আবু দ্বামদ্বাম কে?” হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “সে হলাে ঐ ব্যক্তি, যে ভাের হলে বলে: "হে আল্লাহ! আমি আমার জীবন ও সম্মান সমর্পন করলাম। অতএব সে গালি দানকারীকে গালি দিত না, অত্যাচারীর প্রতি অত্যাচার করতাে না এবং প্রহারকারীকে প্রহার করতাে না।”
তথ্যসূত্রঃ জামেউল আহাদীসি লিস সুয়ুতী, হরফুল হামযা মাআল ইয়া, হাদীস নং- ৯৪৪৭, ৩/৪১০।
▶৫৪) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস رضي الله عنه আয়াতে মােবারাকা (পারা ৪, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৪) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং ক্রোধ-সংবরণকারীরা-এর তাফসীরে বলেন: “এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে, যখন কোন ব্যক্তি তােমাকে গালমন্দ করে এবং তুমি তার জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখ, কিন্তু তবুও নিজের রাগকে সংবরণ করে নিলাে এবং তাকে কোন উত্তর দেয় না।”