অন্যের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার ফযীলতঃ 

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]

সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ


▶৯৫) হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম, হুযুর পুরনুর (ﷺ) ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করাকে পছন্দ করেন।”


তথ্যসূত্রঃ (আল মুসনাদে লিইবনে ইয়ালা মাসলি, হাদীস সা’দ বিন সুনান আন আনাস, হাদীস নং- ৪২৮০, ৩/৪৫২)


▶৯৬)  হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবীয়ে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি কোন দুর্দশাগ্রস্তের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৭৩টি নেকী লিখে দেন। একটি নেকী দিয়ে আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়া ও আখিরাতকে সজ্জিত করে দেন আর অবশিষ্ট নেকীগুলাে তার মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যম হয়।”


তথ্যসূত্রঃ (আল মুসনাদে লিইবনে ইয়ালা মাসলি, হাদীস সা'দ বিন সুনান আন আনাস, হাদীস নং- ৪২৫, ৩/৪৪৫।)


▶৯৭) হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন: একদা আমরা নবী করীম (ﷺ) এর সাথে সফরে ছিলাম, এক ব্যক্তি একটি দুর্বল বাহনে করে এলাে এবং সে তার বাহনটিকে ডানে বামে ঘুরাতে শুরু করলাে। নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “যার নিকট অতিরিক্ত বাহন রয়েছে তা তাকে দিয়ে দাও, যার নিকট বাহন নাই এবং যার নিকট অবশিষ্ট খাবার রয়েছে তা তাকে খাইয়ে দাও, যার নিকট খাবার নাই। অনুরূপভাবে সম্পদের বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে বর্ণনা করলেন। অবশেষে আমরা অনুভব করলাম যে, অবশিষ্ট জিনিস থেকে কারােরই কিছু রেখে দেওয়ার কোন অধিকারই  নাই।


তথ্যসূত্রঃ (সুনানে আবী দাউদ, কিতাবুয যাকাত, বাবু হুকুকিল মাল, হাদীস নং-১৬৬৩, ২/১৭৫)


▶৯৮) হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী (ﷺ) বলেন: আমি প্রিয় নবী (ﷺ) এর দরবারে আবেদন করলাম: “ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! বান্দাকে কোন্ জিনিসটি দোযখ থেকে মুক্তি দিবে?” 

ইরশাদ করলেন: “আল্লাহ তায়ালার উপর ঈমান আনা।” আমি আবেদন করলাম: “ঈমানের সাথে কি কোন আমলও রয়েছে?” ইরশাদ করলেন: “বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা যে রিযিক দান করেছেন, তা থেকে কিছু না কিছু সদকা করতে থাকা।” আমি আবেদন করলাম: “যদি সে যদি অভাবী হয়, দেয়ার জন্য কিছু না থাকে, তবে?” ইরশাদ করলেন: “তবে সে নেকীর প্রতি দাওয়াত দিবে এবং গুনাহ থেকে নিষেধ করবে।” 

আমি আবেদন করলাম: “ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি সে গুছিয়ে কথা বলতে না পারে যেন নেকীর দাওয়াত দিবে এবং গুনাহ থেকে নিষেধ করবে, তবে?” ইরশাদ করলেন: “কোন মুর্খের সাথে কোন নেকী করবে।” আমি আবেদন করলাম: “যদি সে নিজেই মুর্খ হয়, কারাে সাথে নেকী করতে না পারে, তবে?” ইরশাদ করলেন: “সে পরাজিতকে সাহায্য করবে।” অতঃপর ইরশাদ করলেন: “তুমি কি তােমার ভাইয়ের মাঝে এমন কোন ভাল কাজ রেখে যেতে চাও না, যা মানুষের দুর্দশা লাঘব করে?” আমি আবেদন করলাম: “ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! এমন যে করবে সে কি জান্নাতে প্রবেশ করবে?” ইরশাদ করলেন: “যে মুমিন বা মুসলমান এসব স্বভাব থেকে যেকোন স্বভাব গ্রহণ করবে, আমি তার হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিব।”


তথ্যসূত্রঃ [আল মু'জামুল কবীর, হাদীস নং-১৬৫০, ২/১৫৬]
Top