জিজ্ঞাসা–৯৫৬: গোসল করার সময় উলঙ্গ হয়ে হয়ে অযু করলে কি ওযু হবে?–আশফাক।
জবাব:
এক: বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা সুন্নাত ও শিষ্টাচার-পরিপন্থী। ফাতাওয়া মাহমুদিয়া (৪/৩৮৭)-তে এসেছে, ‘গোসলখানায় যদি কোনো পর্দাহীনতা না হয় তাহলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে। তবে এটা না করাই উত্তম। কেননা শয়তান তখন ধোঁকা দেয়। এটা নিন্দনীয় কাজ।’ সুতরাং এমনটি করা অনুচিত।। কেননা, হাদিস শরিফে উলঙ্গ হয়ে গোসল করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন এক হাদিসে এসেছে,
سألَهُ ﷺ معاويةُ بنُ حيدَةَ: يا رسولَ اللَّهِ عوراتُنا ما نأتي منْها وما نذَرُ، قالَ: احفظ عورتَكَ إلَّا من زوجتِكَ أو ما ملَكت يمينُك، قالَ قلتُ: يا رسولَ اللَّهِ الرَّجلُ يَكونُ معَ الرَّجلِ قالَ: إنِ استطعتَ ألَّا يراها أحدٌ فافعل قلتُ: فالرَّجلُ يَكونُ خاليًا قالَ: اللَّهُ أحقُّ أن يُستحيا منْهُ
মুয়াবিয়া বিন হাইদা হতে বর্ণিত। একদা রাসূল ﷺ বলেছেন যে, তুমি তোমার বিবি ও তোমার দাসী ছাড়া অপরের নিকট হতে তোমার লজ্জাস্থানকে সর্বদা রক্ষা কর (অর্থাৎ ঢেকে রাখবে)। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুন, যদি কোন ব্যক্তি নির্জনে একাকী থাকে! (তখনও কি তা ঢেকে রাখতে হবে? প্রয়োজন ছাড়া খোলা নিষিদ্ধ?) তিনি বললেন (হ্যাঁ) আল্লাহ তাআলাকে অধিক লজ্জা করা উচিত। (তিরমিযি ২৭৬৯)
দুই: ওযুর অঙ্গসমূহ পরিপূর্ণভাবে ধৌত হয়ে গেলে উলঙ্গ থাকলেও ওযু হয়ে যাবে। কেননা, ওযু হওয়া না হওয়া বা ওযু ভঙ্গের সাথে উলঙ্গ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী