মুসলমান ভাইকে বালিশ উপস্থাপন করার ফযীলত
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶১৫১... হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) বলেন: হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী (رضي الله عنه) আমিরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুক (رضي الله عنه) এর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন আমীরুল মুমিনীন (رضي الله عنه), বালিশে হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি সেই বালিশটি হযরত সালমান ফারসী (رضي الله عنه) কে এগিয়ে দিলেন, তখন তিনি আরজ করলেন: “ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সত্যই ইরশাদ করেছেন।
আমীরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুক বললেন: “হে আবু আব্দুল্লাহ! আমাকেও বলুন যে, হুযুর (رضي الله عنه) কী ইরশাদ। করেছেন?” তিনি (رضي الله عنه) আরয করলেন: আমি হুযুর (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিত হলাম, তখন হুযুর (ﷺ) বালিশে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট ছিলেন, তখন হুযুর (ﷺ) বালিশটি আমাকে দিয়ে দিলেন এবং ইরশাদ করলেন: “কোন মুসলমান যখন তার ভাইয়ের নিকট যায় এবং সে তার সম্মানে নিজের বালিশ তাকে দিয়ে দেয়, তবে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন।”
(আল মুস্তাদরিক লিল হাকিম, কিতাবু মা'রিফাতিস সাহাবা, হাদীস নং- ৬৬০১, ৪/৭৮৩)
▶১৫২... হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করেন: “তিনটি বস্তু ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ নয়, সুগন্ধি, বালিশ আর দুধ।”
––––––––––––––––––––––––––––––––
(সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল আদব, বাবু মাজা ফি কারাহাতি রদ্দিল তায়্যিব, হাদীস নং- ২৭৯৯, ৪/৩৬২।)