রাসূল (ﷺ)কে সপ্নে দেখার ফজিলত


❏ হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,


أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي )


হযতর আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন: রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আঁমাকে স্বপ্নযোগে দেখল,সে যেন আঁমাকে বাস্তবেই দেখল।কারণ শয়তান আঁমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।

তথ্যসূত্রঃ

●১. সহীহ বুখারী, হা/নং-৬৫৯২

●২. সহীহ মুসলিম,হা/নং-৬০৫৬

●৩. সহীহ ইবনে হিব্বান,হা/নং-৬০৫২

●৪. সুনানে আবু দাউদ,হা/নং-৫০২৫ 

●৫. সুনানে দারেমী,হা/নং-২১৩৯

●৬. সুনানে ইবনে মাজাহ,হা/নং-৩৯০৫

●৭. সুনানে তিরমিজী,হা/নং-২২৭৬


❏ অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আঁমাকে স্বপ্নে দেখল, শিগগিরই সে আঁমাকে জাগরণে দেখবে অথবা সে যেন আঁমাকে জাগরণেই দেখল।আর শয়তান আঁমার রূপ ধরতে পারে না।’

[সহীহ মুসলিম,২২৬৬]


❏ হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,যে আঁমাকে স্বপ্নে দেখলো, সে সত্যিই আঁমাকে দেখল।কেননা, শয়তান আঁমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।আর মুমিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওওতের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ।

তথ্যসূত্রঃ

●১. বুখারী শরীফ:৬৫৯৪,এছাড়াও রয়েছে,হা/নং ৬৫৯২/৬৫৯৫/৬৫৯৬

●২. মুসলিম শরীফ: ২২৬৬/২২৬৭

এছাড়া আরো অনেক।


❏ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আরেকটি হাদিস হল: রাসুল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয়ই শয়তান আঁমার রূপ ধারণে সক্ষমতা রাখে না।”

[ইবনু মাজাহ শরীফ,৩৯০৪]


অর্থাৎ,শয়তানের সে সক্ষমতাই নেই যে সে রাসুল (ﷺ)ের আকৃতি ধারণ করবে, বলেছেন প্রিয় নবী (ﷺ)।


পর্যালোচনাঃ


●১. আল্লামা তীবী (رحمة الله) বলেন, যে কোন ভাবেই রাসুল (ﷺ)কে স্বপ্নে যদি কেউ দেখে,তবে তার সু সংবাদ গ্রহণ করা উচিৎ এবং তার জানা উচিৎ, এ স্বপ্নটি সে সত্যিই দেখেছে,যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে।


●২. আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে,যে কোন ব্যক্তিই রাসুল (ﷺ)কে কোন অবস্থায়ই স্বপ্নে দেখুক না কেন, সে সত্যিকার অর্থেই তাঁকে দেখেছে।

[ফাতহুল বারী,ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী,কিতাবুত তা’বীর হা/নং ৬৫৯২]


লক্ষ্যণীয়:


●১.মুহাদ্দিসগণ কখনো স্বপ্ন দেখার বিষয়টি সাহাবীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেন নি।কারণ রাসুল (ﷺ) আম ভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।হাদিসে ‘মান’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে, যে কেঊ।


●২. লক্ষ্য করুন:বুখারী শরীফের হাদিসটি। রাসুল (ﷺ) স্বপ্নের বিষয়টি উল্লেখ করেই মুমিনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন যে, মুমিনের স্বপ্ন নবুওওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ।


এর অর্থ হচ্ছে,কিয়ামত পর্যন্ত যত মুমিন থাকবে, তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে, এবং তারা নবী (ﷺ)কে স্বপ্নে দেখলে তা সত্যিকার অর্থেই স্বপ্নে দেখা হবে।

Top