কোরআন মজীদের তিলাওয়াত, অধিকহারে আল্লাহর যিকির, মুখের কুফলে মদীনা, মিসকিনদের প্রতি ভালবাসা ও তাদের সাথে মেলামেশা করার ফযীলতঃ
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶১) হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী رضي الله عنه বর্ণনা করেন, আমি হুযুর পুরনূর (ﷺ) কে আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে কিছু উপদেশ দিন।” হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “আমি তােমাকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটি তােমার দ্বীনের (ধার্মিকতার) মূল।” আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু উপদেশ দিন।” ইরশাদ করলেন: “কোরআন মজীদের তিলাওয়াত এবং অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাে, কেননা তা তােমার জন্য আসমান এবং জমিনে নূর হবে।” আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে আরাে কিছু উপদেশ দিন।” ইরশাদ করলেন: “জিহাদ করাকে নিজের উপর অপরিহার্য করে নাও, কেননা তা আমার উম্মতদের জন্য রাহবানিয়াত স্বরূপ।” আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আরাে কিছু নসিহত করুন।” ইরশাদ করলেন: “কম হাসবে, কেননা অধিক হাসি অন্তরকে মৃত এবং চেহারাকে অনুজ্জ্বল করে দেয়।” আমি আরয করলাম: “আরাে উপদেশ দিন।” ইরশাদ করলেন: “ভাল কথা বলা ব্যতিত নিরব থাকবে, কেননা নিরবতা শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল স্বরূপ আর দ্বীনি কাজে তােমার জন্য সহায়ক।” আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” ইরশাদ করলেন: “(দুনিয়াবী বিষয়ে) তােমার চেয়ে নগন্যকে দেখাে, উত্তমদের দিকে দেখাে না, কেননা এই আমলটি তা থেকে উত্তম যে, তুমি আল্লাহ পাকের নেয়ামতকে তুচ্ছ মনে করবে।” আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আরাে কিছু নসিহত করুন। ইরশাদ করলেন: “অভাবীদেরকে ভালবাসাে আর তাদের সংস্পর্শ অবলম্বন করাে।” আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আরাে কিছু ইরশাদ করুন। ইরশাদ করলেন: “সত্য কথা বলাে, যদিও তা তিক্ত হয়।” আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আরাে কিছু নসিহত করুন। ইরশাদ করলেন: “আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখাে, যদিওবা তারা তােমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।” আমি আরয করলাম; ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আরাে কিছু নসিহত করুন। ইরশাদ করলেন: “আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কারাে নিন্দাকে ভয় করাে না।” আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” ইরশাদ করলেন: “মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করাে, যা নিজের জন্য পছন্দ করাে।” অতঃপর হুযুর (ﷺ) তাঁর হাত মােবারক আমার বুকে রাখলেন এবং ইরশাদ করলেন: “হে আবু যর! তদবীরের চাইতে কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, গুনাহ্ থেকে বাঁচার চাইতে কোন পরহেযগারী নেই আর উত্তম চরিত্রের চাইতে কোন আভিজাত্য নেই।
তথ্যসূত্রঃ আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুল কাযা, হাদীস নং- ২৪, ৩/১৩১।
●"অধিকহারে ইবাদত ও রিয়াযত করা এবং লোকজন থেকে দূরে থাকাকে রাহবানিয়াত বলে"