সাহাবাদের প্রতি বিদ্রুপ, হুযুরের অপছন্দনীয়।
সাহাবাদের প্রতি বিদ্রুপ, হুযুরের অপছন্দনীয়।
✍স্বাধীন আহমেদ।
হযরত আল্লামা ইউসুফ বিন ইসমাইল নাবহানী (রহ.) 'সা'আদাতুদ দারাঈন' এ আবু আলী কাহতান (রহ.) এর একটি ঘটনা বর্ণনা করেন: আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি প্রাচ্যের করখ শহরের জামে মসজিদে প্রবেশ করলাম, আমি হুযুর ﷺ কে দেখলাম যে, তাঁর সাথে আরও দু'জন ব্যক্তি যাদের আমি চিনতাম না।
আমি হুযুর ﷺ কে সালাম দিলাম কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না, আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আমি আপনার প্রতি সকাল - সন্ধ্যা এতাে এতােবার দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করি এবং আপনি আমাকে সালামের উত্তর প্রদান থেকে বঞ্চিত করে দিলেন?
রাসূলাল্লাহ ﷺ ইরশাদ করলেন: “ তুমি আমার প্রতি দুরুদ তাে প্রেরণ করাে কিন্তু আমার সাহাবাদের বিদ্রুপ ও কটাক্ষ করাে।” আমি আরয করলাম: “ ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আমি আপনার মুবারক হাতে তওবা করছি, ভবিষ্যতে এরূপ করবাে না।”
অতঃপর হুযুর ﷺ সালামের উত্তর প্রদান করলেন।
তথ্যসূত্র-
★সা'আদাতুদ দারাঈন, ৪র্থ অধ্যায়, ১৬৩ পৃষ্ঠা।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! বর্ণনাকৃত ঘটনা থেকে জানতে পারলাম যে, নবী করীম রউফুর রহীম ﷺ কে ভালবেসে তাঁর পবিত্র সত্তার প্রতি অধিকহারে দূরুদ শরীফ পাঠ করার পাশাপাশি তাঁর সকল সাহাবীয়ে কিরামদেরও ভালবাসা উচিৎ এবং তাঁদের চরিত্রের উপর আমল করে নিজের জীবন অতিবাহিত করা উচিৎ।
কেননা এরাই হচ্ছে হেদায়াতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাদের ব্যাপারে হুযুর ﷺ এর মহান ইরশাদ হচ্ছে,
"আসহাবিকান নুযুমি ফাবিআই'য়ি হিমিক তাদ্বাই তুম ইহতাদ্বাই তুম"
অর্থাৎ- আমার সাহাবারা নক্ষত্র সমতুল্য, যারাই অনুসরণ করবে হেদায়াত পাবে।”
তথ্যসূত্র-
★মিশকাত, কিতাবুল মানাকিব, ২/৪১৪, হাদীস নং- ৬০১৭।
সুতরাং আমাদেরও সকল সাহাবায়ে কিরামদের (আলাইহিমুর রিদ্বওয়ান) ভালবাসা উচিৎ। এমন যেন না হয়, কোন এক সাহাবীয়ে রাসূলের জন্য তাে অত্যন্ত ভালবাসা প্রকাশ পাচ্ছে এবং বাকী সাহাবায়ে রাসূলের প্রতি অন্তরে বিদ্ধেষ ভরা।
আর এই বিদ্ধেষের কারণে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর লানতের ভাগিদার হয়ে যাবাে।