নম্র স্বভাব, সচ্চরিত্র ও বিনয়ের ফযীলতঃ
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶১৪) হযরত সায়্যিদুনা জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “আমি কি তােমাদেরকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলবাে না, যার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম? যে নম্র স্বভাব, কোমল ভাষী, মানুষকে মার্জনাকারী এবং চাহিদা পূরণকারী হবে।”
তথ্যসূত্রঃ মু'জামু আওসাত, হাদীস নং- ৮৩৭, ১/২৪৪
▶১৫) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুর নবী পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন: “মুমিন এতই নম্র স্বভাব, কোমল ভাষী হয়ে থাকে যে, তার নম্রতার কারণে লােকেরা তাকে বােকা মনে করে।
তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ৮১২৭, ৬/২৭২
▶১৬) হযরত সায়্যিদুনা ইরবায বিন সারিয়া رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুর নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “মুমিন লাগামবিশিষ্ট উটের ন্যায় হয়ে থাকে, কেননা যদি তাকে বেঁধে রাখা হয় সে দাঁড়িয়ে থাকে আর যদি চালানাে হয় তবে চলতে থাকে এবং কোন কংকরময় জায়গায় বসানাে হয়, তবে বসে যায়।”
তথ্যসূত্রঃ সুনানে ইবনে মাজাহ, কিতাবুস সুন্নাহ, হাদীস নং- ৪৩, ১/৩২। তাফসীরে রুহুল বয়ান, ফোরকান, ৬৩ নং আয়াতের পাদটিকা, ৬/২৪০
▶১৭) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত (ﷺ) ইরশাদ করেন: “সেই ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যে ব্যক্তি কোন ভুল-ত্রুটি না করা সত্ত্বেও বিনয় করে এবং সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী আলেমদের সাথে মেলামেশা রাখে এবং অপদস্ত ও গুনাহ্গারদের থেকে দূরে থাকে। সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য, যে নিজের অতিরিক্ত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে দেয় এবং অযথা কথাবার্তা থেকে বিরত থাকে। সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত অনুযায়ী চলে আর সুন্নাতকে ছেড়ে দিয়ে বিদআত গ্রহণ না করে।”
তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফিম যুহু ওয়া কসরিল আমল, হাদীস নং- ১০৫৬৩, ৭/৩৫৫