৯. চাঁদ ও সূর্যের আলোতে রাসূল (ﷺ)‘র ছায়া জমিনে পড়তো নাঃ
এটি নবি (ﷺ)‘র অসংখ্য মু‘জিযা হতে অন্যতম একটি মু‘জিযা। ইমাম সুয়ূতি সংকলন করেন-
اخْرُج الْحَكِيم التِّرْمِذِيّ عَن ذكْوَان ان رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَمْ يَكُنْ يَرَى لَهُ ظلّ فِي شَمْسِ وَلَا قَمَرـ
-‘‘ইমাম হাকেম তিরমিযি (رحمة الله) তার নাওয়াদিরুল উসূল’ গ্রন্থে হযরত যাকওয়ান (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন হুযুর (ﷺ) এর ছায়া চাঁদ সূর্যের আলোতে জমীনে পড়ত না।’’
➤ইমাম হাকেম তিরমিযী: নাওয়াদিরুল উসূল : পৃ-১/২৯৮পৃ, জালালুদ্দীন সূয়তী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১২২ পৃ:, হাদিস : ৩২৮, ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া : ২/১২০পৃ, ইমাম যুরকানী : শরহুল মাওয়াহেব : ৪/২২০ পৃষ্ঠা, শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী : মাদারেজুন নবুওয়াত : ১/১৪২পৃ, শায়খ ইউসূফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : পৃ : ৬৬৮, মাকতুবাতুল তাও-ফিকহিয়্যাহ, মিশর, শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/১৪২ পৃ: ইমাম মাহদী আল-ফার্সী : মাতালিউল মুসাররাত : পৃষ্ঠা, নং : ৩৬৫, ইবনে সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ২/৯০পৃ, আল্লামা ইমাম আহমদ রেযা : নুরুল মুস্তফা : পৃষ্ঠা, নং – ৮২, ইমাম মুকরিযী : আল ইমতাওল আসমা : ১০/৩০৮ পৃষ্ঠা, ইমাম মুকরিযী : মাকারুম বিখাসায়েসুন্নবী : এর ২/২৩৫ পৃষ্ঠা,।
ইমাম আব্দুর রায্যাক (ওফাত. ২১১হি.) বর্ণনা করেন-
عَنْ عَبْدُ الرَّزَّاقْ عَنْ ابن جريج قَالَ : اَخْبَرْنِىْ نَافِع أَنَّ اِبْن عباس قَالَ : لَمْ يَكُنْ مَعَ الشَّمْسِ قَطٌّ اِلَّا غَلَبَ ضَوْءَه الشَّمْسِ , وَلَمْ يَقُمْ مَعَ سِرَاجٍ قُطٌّ اِلَّا غَلَبَ ضَوْءه السِّرَاجِ-
-‘‘ইমাম আব্দুর রায্যাক (رحمة الله) হযরত ইবনে জুরাইজ (رحمة الله) হতে তিনি হযরত নাফে (رحمة الله) হতে তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে তিনি বলেন, হুযুর (ﷺ)‘র কোন ছায়া ছিল না, তাঁর ছায়া সূর্যের আলোতে পড়তো না বরং তাঁর নূরের আলো সূর্যের আলোর উপরে প্রধান্য বিস্তার করতো এবং কোন বাতির আলোর সামনে দাড়ালেও বাতির আলোর উপরে তাঁর নূরের আলো প্রাধান্য বিস্তার করতো।’’
➤ইমাম আব্দুর রাজ্জাক : জযউল মুফকুদ মিন মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক : ১/৫৬ পৃষ্ঠা, হাদিস : ২৫
وَقَاَلَ عُثْمَانُ إِنَّ اللهُ مَا أَوْقَعَ ظِلُّكَ عَلَى الْأَرْضِ لِئَلاً يَضَعَ إِنْسَانُ قَدَمَهُ عَلَى ذٰلِكَ الظِّلِّ
-‘‘ইসলামের তৃতীয় খলিফা আমিরুল মু‘মিনীন হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান (رضي الله عنه) বলেন হুযুর (ﷺ) এর ছায়া আল্লাহ যমিনে ফেলেননি যাতে কোন মানুষ তার ছায়ার উপর পা রাখতে না পারে।’’
➤ ইমাম আবুল বারাকাত নাসাফী : তাফসীরে মাদারিক : ২/৪৯২ পৃষ্ঠা, সূরা নুর, আল্লামা শফী উকাড়ভী : শামে কারবালা : ৩২৪প, এবং জিকরে জামীল:৩২৪প, গোলাম রাসূল সাঈদী : তাওজিহুল বায়ান: পৃ-২৪২, আহমদ ইয়ার খঁান নঈমী, রিসালায়ে নূর,২৫ পৃষ্ঠা।
ইমাম কাজি আয়ায মালেকী এবং ইমাম সাখাভী (رحمة الله) বলেন-
وَمَا ذُكِرَ من أنَّهُ كَانَ لَا ظل شخصه فِي شَمْسٍ وَلَا قَمَرٍ لِأَنَّهُ كَانَ نُورًا وَأَنَّ الذُّبَابَ كَانَ لَا يَقَعُ عَلَى جَسَدِهِ وَلَا ثِيَابِهِ-
-‘‘তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের প্রমাণাদির মধ্যে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁর শরীর মোবারকের ছায়া হতো না, না সূর্যালোকে না চন্দ্রালোকে। কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীর ও পোশাকে মাছি বসত না।’’ ➤কাজী আয়ায : শিফা শরীফ, ১/৪৬২ পৃষ্ঠা, ইমাম সাখাভী, মাকাসিদুল হাসানা, ৮৫ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১২৬, (এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ ১ম খন্ডের ১৭৩-১৮৬ পৃষ্ঠা, পর্যন্ত দেখুন। ইনশাআল্লাহ আশা করি পাঠকবৃন্দের সঠিক বিশ্বাস ফিরে আসবে।)