রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ফযীলতঃ

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]

সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ

 

▶৩৬) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম, শাহে বনী আদম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “শক্তিশালী সেই নয়, যে অন্যকে পরাজিত করে।” সাহাবায়ে কিরাম رضي الله عنه আর করলেন: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)  তবে শক্তিশালী কে?” ইরশাদ করলেন: “ঐ ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণে রাখে।”


তথ্যসূত্রঃ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল বিররে ওয়াস সিলাহ, হাদীস নং-২৬০৮, ১৪০৬ পৃষ্ঠা।


▶৩৭) হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضي الله عنه বর্ণনা করেন যে, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত (ﷺ)  কিছু লােকের পাশ দিয়ে গমন করলেন তখন দেখলেন যে, তারা পাথর উঠানাের প্রতিযােগিতা করছিলাে। হুযুর (ﷺ)  ইরশাদ করলেন: “এখানে কী হচ্ছে?”লােকেরা আরয করলাে: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) এগুলাে সেই পাথর, যেগুলােকে আমরা জাহেলী যুগে শক্তিশালী ব্যক্তির পাথর বলতাম।” হুযুর (ﷺ)  ইরশাদ করলেন: “আমি কি তােমাদেরকে তােমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি সম্পর্কে জানাবাে না? তােমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।”


তথ্যসূত্রঃ  জামেউল আহাদীস লিস সুয়ুতি, মুসনাদে আনাস বিন মালিক, হাদীস নং- ১৩০৮৭, ১৮/৪৯৩


▶৩৮) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি প্রিয় নবী (ﷺ)  এর দরবারে আরয করলাে: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) কোন জিনিসটি আমাকে আল্লাহ তায়ালার গযব থেকে বাঁচাতে পারে?” হুযুর (ﷺ)  ইরশাদ করলেন: “রাগ পরিহার করাে।”


তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদে লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে ইবনে ওমর, হাদীস নং- ৬৬৪৬, ২/৫৮৭। 


▶৩৯) হযরত সায়্যিদুনা ওয়াহাব বিন মুনাব্বাহ্  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, “তাওরাতে লিপিবদ্ধ রয়েছে: “যখন তােমার রাগ আসবে, তখন আমাকে স্মরণ করাে, যখন আমার জালাল আসবে, তখন আমি তােমাকে স্মরণ রাখবাে এবং যখন তােমার উপর অত্যাচার করা হবে, তখন ধৈর্য ধারণ করাে, তােমাকে আমার সাহায্য করা, তােমার জন্য তােমার সাহায্যের চেয়ে উত্তম। নিজের হাতকে নাড়া দাও, তােমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে যাবে"


তথ্যসূত্রঃ ফয়যুল কদীর, ৬০২২ নং হাদীসের পাদটিকা, ৪/৬২৯
Top