উত্তম চরিত্রের ফযীলত

এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ

▶২) আমীরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাদ্বা থেকে বর্ণিত, হুযুর নবীয়ে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় বান্দা উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে দিনের বেলায় রােযা এবং রাতের বেলায় নামাযে রত ব্যক্তিদের মর্যাদা পেয়ে যায়, আবার কখনাে বান্দাকে অহংকারী ও অবাধ্য বলে লিখে দেওয়া হয়, অথচ সে নিজেদের পরিবারের সদস্য ব্যতীত অন্য কিছুরই মালিক নয়।”


তথ্যসূত্রঃ মু'জামুল আওসাত, হাদীস নং- ৬২৭৩-৬২৮৩, ৪/৩৬৯-৩৭২


▶৩) উম্মুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দীকা  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীয়ে আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “বান্দা উত্তম চরিত্রের কারণে তাহাজ্জুদ আদায়কারী এবং প্রচন্ড গরমের দিনে রােযা রাখার কারণে পিপাসার্ত থাকা ব্যক্তির মর্যাদা লাভ করেন।”


তথ্যসূত্রঃ আল ওস্তাযু কার লিল কুরবাতি, বাবু মাজা ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ১৬৭২, ৮/২৭৯


▶৪) হযরত সায়্যিদুনা আবু দারদা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “আমলের মীযানে (পাল্লায়) উত্তম চরিত্রের চেয়ে ভারী আমল আর কোনটিই নয়।”


তথ্যসূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, বাবু ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ৪৭৯৯, ৪/৩২।


▶৫) হযরত সায়্যিদুনা জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুর নবী করীম রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “আমি কি তােমাদেরকে তােমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি সম্পর্কে জানাবাে না?” আমরা আরয করলাম: “কেন নয়!” ইরশাদ করেন: “সেই ব্যক্তি, যে তােমাদের মধ্যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।


তথ্যসূত্রঃ আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুল আদব, হাদীস নং- ৪০৭১, ৩/৩৩০।


▶৬) হযরত সায়্যিদুনা জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীদের সুলতান, রহমতে আলমিয়ান (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন তােমাদের মধ্য থেকে আমার সর্বাধিক প্রিয় এবং আমার মজলিসের অধিক নিকবর্তী সে-ই হবে, যে ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের অধিকারী ও বিনয় অবলম্বনকারী হবে, সে লােকজনকে এবং লােকজন তাকে ভালবাসে আর তােমাদের মধ্যে আমার সর্বাধিক অপছন্দের এবং আমার মজলিস থেকে দূরে সেই লােক থাকবে, যে বাচাল, বক বক কারী এবং অহংকারকারী হবে।”


তথ্যসূত্রঃ সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল বিররে ওয়াস সিলাহ, হাদীস নং- ২০২৫, ৩/৪০৯।


▶৭) হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: আমি বান্দাদেরকে আমার জ্ঞান দ্বারা সৃষ্টি করেছি। অতএব, আমি যার কল্যাণ চাই, তাকে উত্তম চরিত্র দান করি এবং যার অকল্যাণ চাই, তাকে মন্দ চরিত্র প্রদান করি।”


তথ্যসূত্রঃ জামেউল আহাদীস, হরফুল কাফ মাআল আলিফ, হাদীস নং- ১৫১২৯, ৫/৩২৫। 


▶৮) হযরত সায়্যিদুনা জাবির বিন সামুরা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবার চেয়ে উত্তম।”


তথ্যসূত্রঃ আল মুসনাদ লিল ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, হাদীসে জাবির বিন সামুরা, হাদীস নং- ২০৮৭৪, ৭/৪১০


▶৯) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “পরিপূর্ণ মুমিন সেই, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি উত্তম।”


তথ্যসূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ, হাদীস নং- ৪৬৮২, ৪/২৯০।


▶১০) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুর পুরনূর (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “আল্লাহ তায়ালা যে বান্দার আকৃতি ও চরিত্রকে উত্তম বানিয়েছেন, তাকে আগুন গ্রাস করবে না।”


তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ৮০৩৮, ৬/২৪৯


▶১১) হযরত সায়্যিদুন আবু হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, হুযুর নবীয়ে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “উত্তম চরিত্র গুনাহসমূহকে এমনভাবে বিগলিত করে দেয়, যেভাবে সূর্যের তাপ বরফকে বিগলিত করে দেয়।”


তথ্যসূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, বাবু ফি হুসনিল খুলুক, হাদীস নং- ৮০৩৬, ৬/২৪৭।


▶১২) হযরত সায়্যিদুনা উসামা বিন শুরাইক رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরামগণ رضي الله عنه প্রিয় নবী (ﷺ) এর দরবারে আরয করলেন: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)  মানুষকে সবচেয়ে উত্তম কোন্ জিনিসটি দান করা হয়েছে?” হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “মানুষকে উত্তম চরিত্রের চাইতে বেশি উত্তম কোন জিনিসই দান করা হয়নি।”


তথ্যসূত্রঃ মুজামুল কবীর, হাদীস নং- ৪৬৩, ১/১৭৯


▶১৩)হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী  رضي الله عنه বর্ণনা করেন, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) আমাকে নসিহত করেন, “যেখানেই থাকো না কেন আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করতে থাকো এবং গুনাহ সংগঠিত হয়ে গেলে তবে সাথে সাথে নেকী করে নাও, কেননা তা গুনাহকে মিটিয়ে দিবে আর মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করাে।”


তথ্যসূত্রঃ  মু'জামু আওসাত, হাদীস নং- ৮৩৭, ১/২৪৪

Top