দুর্বলদের ভরণ পােষণ করার ফযীলতঃ
এপ্সঃ 🔎 উত্তম চরিত্র [মূলঃ ইমাম তাবারানী রহ.]
সূত্রঃ 🌍 সুন্নি-বিশ্বকোষ
▶৯৯) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব (ﷺ) ইরশাদ করেন: “বিধবা ও অনাথদের ভরণ-পােষণের জন্য চেষ্টাকারী আল্লাহ তায়ালার পথে জিহাদকারীর ন্যায়।”
তথ্যসূত্রঃ [সহীহ বুখারী, কিতাবুন নাফকাত, বাবু ফলিন নাফকাতি আলাল আহল, হাদীস নং- ৫৩৫৩, ৩/৫১১]
▶১০০) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূল আকরাম (ﷺ), নূরে মুজাসসাম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “বিধবা ও অনাথদের ভরণ-পােষণের চেষ্টাকারী আল্লাহ তায়ালার পথে জিহাদকারী মুজাহিদ কিংবা ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে ব্যক্তি দিনে রােযা রাখে, রাতে নামায পড়ে।”
তথ্যসূত্রঃ [আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আবী হুরায়রা, হাদীস নং- ৮৭৪০, ৩/২৮৫]
▶১০১) হযরত সায়্যিদুনা জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি (কোন মুসলমান মৃতের জন্য) কবর খনন করবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করবেন এবং সে কিয়ামত পর্যন্ত এর প্রতিদান পেতে থাকবে, যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে গােসল দিলাে, সে গুনাহ থেকে এমনভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, যেন তাকে আজই তার মা জন্ম দিয়েছে, যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরিধান করালাে, আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যক্তিকে মৃত ব্যক্তির কাপড়ের সম সংখ্যক জান্নাতী পােশাক পরিধান করাবেন, যে ব্যক্তি কোন দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে শান্তনা দেবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে তাকওয়ার পােশাক পরিধান করাবেন এবং (যখন সে মারা যাবে তখন) রূহ সমূহের মধ্যে তার রূহের উপর রহমত অবতীর্ণ করবেন, যে ব্যক্তি কোন দূর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দিবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন দু’টি জান্নাতী হুল্লা (পােশাক) দান করবেন, যার মূল্য সমগ্র পৃথিবীও হতে পারে না, যে ব্যক্তি দাফন শেষ করা পর্যন্ত জানাযার সাথে চলবে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য তিন কীরাত প্রতিদান লিখে দিবেন এবং এক কীরাত হলাে উহুদ পর্বতের চেয়েও বড়, যে ব্যক্তি কোন বিধবা কিংবা এতিমের ভরণ-পােষণের দায়িত্ব নিলাে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আরশের ছায়ায় জায়গা দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যে ব্যক্তি রােযা রাখে বা মিসকিনকে আহার করায় এবং জানাযার সাথে চলে আর রােগী দেখতে যায়, তবে তাকে কোন গুনাহ স্পর্শ করবে না।”
তথ্যসূত্রঃ [মু'জামুল আওসাত, হাদীস নং- ৯২৯২, ৬/৪২৯]