১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা
দান-সদকা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে করতে হবে, লোক দেখানোর জন্য নয়।
আল্লাহ বলেন:
“তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজেদের ঈমানকে দৃঢ় করার জন্য ব্যয় করে।" (সূরা আল-বাকারা: ২৬৫)
২. হালাল সম্পদ থেকে দান করা
শুধুমাত্র হালাল ও পবিত্র সম্পদ থেকে দান করতে হবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র, তিনি শুধু পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন।” (মুসলিম: ১০১৫)
৩. দান গোপনে করাই উত্তম
প্রকাশ্যে দান করা বৈধ হলেও গোপনে দান করা উত্তম, এতে রিয়া বা অহংকার থেকে বাঁচা যায়।
আল্লাহ বলেন:
“যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা উত্তম। আর যদি গোপনে করো ও দরিদ্রদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম।” (সূরা আল-বাকারা: ২৭১)
৪. দানের পর কাউকে কষ্ট না দেওয়া
দান করার পর দাতার উচিত নয় গ্রহণকারীকে লাঞ্ছিত করা বা তার ওপর দয়া দেখানো।
আল্লাহ বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের দান-খয়রাতকে দোষারোপ ও কষ্ট দিয়ে নষ্ট করো না।” (সূরা আল-বাকারা: ২৬৪)
৫. নিকটাত্মীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া
প্রয়োজনে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের আগে দান করা উত্তম।
রাসুল (সা.) বলেছেন:
“সদকা তখনই পূর্ণ হয়, যখন তা আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হয়।” (নাসাঈ: ২৫৩৫)
৬. উত্তম ও পছন্দনীয় জিনিস দান করা
নিজের অপছন্দের বা নিম্নমানের কিছু দান না করে উত্তম বস্তু দান করা উচিত।
আল্লাহ বলেন:
“তোমরা কখনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা নিজেদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় করো।” (সূরা আলে ইমরান: ৯২)
৭. অভাবীদের দান করতে কৃপণতা না করা
যারা সত্যিকারের অভাবী, তাদের সাহায্য করতে কৃপণতা করা উচিত নয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন:
“দান-সদকা সম্পদের ঘাটতি ঘটায় না।” (মুসলিম: ২৫৮৮)
৮. সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় দান করা
যখন সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা যায়, তখনই দান করা উত্তম, অসুস্থতার সময় মৃত্যুভয়ে দান করাটা সর্বোত্তম নয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন:
“সবচেয়ে উত্তম দান হলো, যখন তুমি সুস্থ ও লোভী থাকো।” (বুখারি: ১৪১৯)
৯. উত্তম ব্যবহার করা
দানের মাধ্যমে দাতার উচিত বিনয়ের সাথে গ্রহণকারীর প্রতি সদাচরণ করা।
১০. দানের প্রতিদান আল্লাহর কাছে আশা করা
দান-সদকা করে এর প্রতিদান দুনিয়ায় আশা না করে আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান আশা করা উচিত।
উপরে উল্লেখিত আদবগুলো মেনে দান-সদকা করলে তা অধিক নেকির কাজ হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে।