দরসে হাদিসঃ জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত
১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নামায পড়ছিলাম। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হযরত আবু বকর এবং হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমাও তাঁর সাথে ছিলেন। যখন আমি বসলাম তখন আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা আরম্ভ করলাম, অতঃপর নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র উপর দরুদ শরিফ পড়লাম। তারপর আমার নিজের জন্য দোআ করলাম। তখন নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, তুমি চাও তোমাকে তা দেওয়া হবে। তুমি চাও তোমাকে তা দেওয়া হবে।
২. হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যার সম্মুখে আমার আলোচনা হলো, অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পড়লো না।
সূত্র- তিরমিযী শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৮৭১ ও ৮৭৩।
৩. হযরত আউস ইবনে আউস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমু'আর দিন। তাতে হযরত আদম আলায়হিস সালাম পয়দা হন, তাতেই তাকে ওফাত দেওয়া হয়, তাতেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে এবং তাতেই অচেতনতা রয়েছে। সুতরাং এই দিনে আমার উপর বেশি পরিমানে দরুদ পড়ো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়। লোকেরা আরজ করলেন, "হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের দরুদ আপনার সামনে কীভাবে পেশ করা হবে, আপনি হয়তো 'রামীম' (গলিত হাড়) হয়ে যাবেন? (এ প্রশ্ন অস্বীকার করার জন্য নয়; বরং অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্যই, মিরক্বাত শরহে মিশকাত)। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, "আল্লাহ যমিনের উপর নবিগণের দেহ হারাম করে দিয়েছেন।
সূত্র- আবূ দাউদ,নাসাঈ,ইবনে মাজাহ,দারেমী, বায়হাক্বী-দাওয়াত-ই কবির এবং মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮০।
৪. হযরত আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার উপর জুমু'আর দিন বেশি পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়ো। কেননা এটা উপস্থিতির দিন, যাতে ফিরিশতারা হাযির হয়। আমার উপর কেউ দরুদ পড়লেই তা আমার নিকট পেশ করা হয়- যে পর্যন্ত না তা সমাপ্ত করে নেয়। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, আপনার ওফাতের পরেও কি? হুজুর ইরশাদ করলেন, "আল্লাহ তা'আলা যমিনের উপর নবিগণের শরিরকে হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর নবি জীবিত। তাঁকে রিজিক দেওয়া হয়।
সূত্র- ইবনে মাজাহ শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮৫।