عن ابی ھریرۃ رضی اللّٰہ عنہ ان رسول اللّٰہ ﷺ قال من قام رمضان ایمانا و احتسابًا غفر لہ ماتقدم من ذنبہ
(رواہ البخاری واللفظ لہ والمسلم والنسایئ واحمد بن حنبل وابن خز یمۃ والدارمی)
অর্থাৎ :- হাযরাত আবু হুরইরা রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নিশ্চয়ই নাবী পাক আলাহিস সালাত ওয়াস সালাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমানের সহিত ও সওয়াবের আশায় ক্বিয়াম অর্থাৎ তারাবীহ্ পাঠ করে তার পুর্বের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।
( বোখারী শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৬৯,, মুসলিম শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৫৯,, মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং ১১৪,, নেসাঈ শরীফ হাদীস নং ১৬০২,, মুসনাদ আহমাদ হাদীস নং ৯২৭৭,, সহীহ ইবনে খোযাইমা হাদীস নং ২২০৩,,)
عن ابی ھریرۃ قال قال رسول اللّٰہ ﷺ من صام رمضان ایماناو احتسابا غفر لہ ما تقدم من ذنبہ ومن قال رمضان ایمانا واحتسابا غفر لہ ماتقدم من ذنبہ و من قام لیلۃ القدر ایمانا واحتسابا غفر لہ ما تقدم من ذنبہ
(رواہ البخاری والمسلم والترمذی وابو داود والنسایئ و ابن ماجہ)
অর্থাৎ :- হাযরাত আবু হুরইরা রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী পাক আলাহিস সালাম ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি ঈমানের সহিত ও নেকির উদ্দেশ্যে রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত নেকির উদ্দেশ্যে তারাবীহ্ নামাজ আদায় করে তার পূর্বের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত ও নেকির উদ্দেশ্যে লাইলাতুল ক্বাদ্রে ইবাদাত করে তার পূর্বের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।
( বোখারী শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৫৫, ২৬৯,, মুসলিম শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৫৯,, তিরমিযী শরীফ হাদীস নং ৪০৪,, আবু দাউদ শরীফ হাদীস নং ১৩৭১,, ইবনে মাজা হাদীস নং ১৬৪১,, নেসাঈ শরীফ হাদীস নং ২৩৮,,)
عن عبدالرحمن بن عوف عن رسول اللّٰہ ﷺ انہ ذکر رَمضَانَ فَفَضّلہ،
علی الشھور وقال من قام رمضان ایمانا و احتسابا خرج من ذنوبہ کیوم ولدتہ امہ
(رواہ النسایئ)
অর্থাৎ :- হাযরাত আব্দুর রাহমান বিন আউফ রাদীআল্লাহু কর্তৃক বর্নিত। নাবী কারীম আলাহিস স্বালাত ওয়াস সালাম রমজান শরীফ প্রসঙ্গে আলোচনা করলেন, অতপর তিনি রমজান মাসকে সমস্ত মাসের উপর ফজিলত দান করলেন। এবং ইরশাদ করলেন, যে ব্যাক্তি ঈমানের সহিত নেকির উদ্দেশ্যে রমজান মাসে তারাবীহ্ আদায় করল, সে গুনাহ্ হতে সেই দিনের ন্যায় পরিত্রান পায় যেদিন তার মাঁ তাকে জন্ম দিয়েছে।
( নেসাঈ শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৩৮,, সুনানে কুব্রা লিন নেসাঈ হাদীস নং ২৫২৯,, )
عن ابی سلمۃ بن عبدالرحمن عن ابیہ قال قال رسول اللّٰہ ﷺ ان اللّٰہ تبارک وتعالیٰ فرض صیام رمضان علیکم و سنت لکم قیامہ فمن صامہ وقامہ ایمانا واحتسابا خرج من ذنوبہ کیوم ولدتہ امہ
(رواہ النسایئ ابن ماجہ و اللفظ للنسایئ)
অর্থাৎ :-হাযরাত আবু সালমা রাদীআল্লাহু আনহু নিজ পিতা হতে বর্ণনা করেন, নাবী পাক আলাহিস স্বালাত ওয়াস সালাম ইরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহ্ তাবারক ওয়া তা’আলা তোমাদের প্রতি রমজান মাসের রোজাকে ফরজ করেছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তার কিয়ামকে (তারাবীহ্কে) সুন্নাত বানিয়েছি। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত নেকির আশায় এই মাসে রোজা রেখে তারাবীহ্ আদায় করবে সে গুনাহ্ হতে সেই দিনের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যাবে যেদিন তার মাঁ তাকে জন্ম দিয়েছে।
( নেসাঈ শরীফ প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৩৯,, ইবনে মাজা শরীফ পৃষ্ঠা নং ৯৪,, সুনানুল কুব্রা লিন নেসাঈ হাদীস নং ২৫৩১,,)
عن ابی ھریرۃ رضی اللّٰہ عنہ قال کان رسول اللّٰہ ﷺ یُرَ غّبُ فی قیام رمضان من غیر ان یَأْمُرَ بعز یمۃفیقول من قام رمضان ایمانًا واحتسابًا کان الامر علی ذلک فی خلافۃ ابی بکر وصدر امن خلافۃ عمر علی ذلک
(رواہ المسلم و للفظ لہ و مالک واحمدبن حنبل وابن خزیمۃ والنسایئ الترمزی)
অর্থাৎ :- হাযরাত আবু হুরইরা রাদীআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী কারীম আলাহিস স্বালাত ওয়াস সালাম রমজান মাসে তারাবীহের উৎসাহ দিতেন কিন্তু কঠর ভাবে হুকুম দিতেন না। তিনি ইরশাদ করতেন, যে ব্যাক্তি রমজান মাসে ঈমানের সহিত ও নেকির আশায় তারাবীহ্ আদায় করবে তার পূর্বের গুনাহ্-খাতা মার্জনা করে দেওয়া হবে। নাবী পাক আলাহিস সালাম-এর ইন্তেকালের পর হাযরাত আবু বাক্কার সিদ্দিক এবং হাযরাত উমার ফারুক রাদীআল্লাহু আনহুমার খেলাফত শুরু হওয়া পর্যন্ত তারাবীহের ব্যাপারটা এই ভাবেই ছিল।
( সুনানে কুব্রা লিন নেসাঈ হাদীস নং ২৫১৩,, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ১৮১৬, তারগীব ফি কিয়ামে রামজান ওয়া হুয়া তারাবীহ্ অধ্যায়,, তিরমিযী শরীফ হাদীস নং ৮১৩, তারগীব ফি কিয়ামে রামজান অধ্যায়,, নেসাঈ শরীফ হাদীস নং ২২১০, সাওয়াব মান কামা রামজান অধ্যায়,, রেয়াজুস সালেহীন হাদীস নং ১১৮৮, ইস্তেহবাব কিয়ামে রামজান অধ্যায়,, )
লেখক:-মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী
প্রিন্সিপাল:-শুকানদিঘী জামিয়া নুরিয়া ও হিফজুল কোরান মাদ্রাসা