রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দোহাই

🖋 Kawsar Hossain

হযরত আবু মসউদ বদরী (রাদি আল্লাহু আনহু) একদিন তাঁর গোলামকে কোন একটি কারণে মারতে ছিলেন। সে তখন চিৎকার করছিল এবং উচ্চস্বরে বলতে লাগলো, আল্লাহর দোহাই, আল্লাহর দোহাই। হযরত আবু মসউদ সেদিকে কর্ণপাত করলেন না। মারতেই রইলেন। গোলাম যখন বুঝতে পারলো যে , আল্লাহর দোহাই দ্বারা রেহাই পাচ্ছে না, তখন সে খুবই জোরে জোরে বলতে শুরু করলো- রসূলুল্লাহ ﷺ'র দোহাই, রসূলুল্লাহ ﷺ'র দোহাই। রসূলুল্লাহ ﷺ'র নাম শুনা মাত্র হযরত আবু মসউদ (রাদি আল্লাহু আনহু) মারা বন্ধ করে দিলেন এবং ছেড়ে দিলেন। ইতোমধ্যে হুযুর (ﷺ) তথায় তাশরীফ আনলেন এবং আবু মসউদ (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ফরমালেন, খোদার কসম, আল্লাহ তা’য়ালা তোমার উপর থেকে অধিক ক্ষমতাবান। হযরত আবু মসউদ (রাদি আল্লাহু আনহু) এ কথা শুনা মাত্র সেই গোলামকে মুক্ত করে দিলেন। 
(আল আমন ওয়াল উলা-৭৭ পৃঃ)

সবক: সাহাবায়ে কিরাম  (রাদি আল্লাহু আনহু) বিপদের সময় হুযুর (ﷺ)  এর দোহাই দিতেন এবং আল্লাহ তা’য়ালা এ পবিত্র নামের বরকতে ওনাদের বিপদ দূরীভূত করে দিতেন। বর্তমানে আমরাও যদি বিপদের সময় হুযুরের দোহাই দিই বা হুযুরকে আহ্বান করি, তাহলে আমাদের বিপদ কেন দূরীভুত হবে না।  নিশ্চয়ই দূরীভুত হবে। বিপদের সময় হুযুরের দোহাই দেয়াটা শিরক নয় বরং এটা সাহাবায়ে কিরামের মধ্যেও প্রচলিত ছিল।
Top