নামাজে কুরআন দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধানঃ
১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, " আমিরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. আমদেরকে কুরআন দেখে দেখে ইমামতি করতে নিষেধ করেছেন এবং আরো নিষেধ করেছেন যেন, বালেগ না হয়ে ইমামতি না করে।" ( কিতাবুল মাসাহিফ- ১৮৯ পৃষ্ঠা )

২. ইমাম ক্বাতাদা রাহ. সাঈদ ইবনুল মুসায়িব রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি তাহাজ্জুদ নামাযে পড়ার জন্যে কারো স্মরণে সামান্যতম আয়াত মুখস্ত থাকে তবে তাই বারংবার পড়বে। তবুও নামাযে কুর'আন দেখে দেখে পড়বে না। ( কিতাবুল মাসাহিফ- ১৮৯ পৃষ্ঠা)

৩. ইমাম লাইস রহ. হযরত মুজাহিদ রাহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কুর'আন দেখে দেখে নামায পড়াকে মাকরুহ বলেছেন। কারণ এতে আহলে কিতাবের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়। এরূপ আরও বর্ণনা পাওয়া যায় ইমাম ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. থেকে।
( বিস্তারিত দেখুন, কিতাবুল মাসাহিফ লিল ইমাম আবি দাউদ, ১৮৯, ১৯০, ১৯১ পৃষ্ঠা)

৪.খতীবে বাগদাদী রাহ. তার ইতিহাস গ্রন্থে হযরত আম্মার ইবন ইয়াসার রাজি. এর আছর বর্ণনা করেন যে, তিনি এই বিষয়টা অপছন্দ করতেন যে, কোন ব্যক্তি রমজান মাসে তারাবীহ পড়াবে আর কুর'আন দেখে দেখে পড়বে। কেননা এটি আহলে কিতাবের আমল। দেখুনঃ তারীখে বাগদাদ ৯/১২০

৫.সাইয়েদুনা সুয়াইদ ইবনে হানজালা রাজি. এক গোত্রের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। যাদেরকে এক লোক কুর'আন শরীফ দেখে দেখে নামায পড়াচ্ছিলেন। এটা তিনি অপছন্দ করলেন এবং মাসহাফকে দূরে সরিয়ে দিলেন। এটা রমজান মাসের ঘটনা ছিল। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, ২/১২৪, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ২/৪১৯)

মাওলানা সৈয়দ এরশাদ উল্লাহ হামিদি,
আরবি প্রভাষক, আল-আমিন বারীয়া কামিল মডেল মাদরাসা।
Top