দরসে হাদিসঃ ফজিলতপূর্ণ অজিফা-তসবিহ
১. হযরত মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনাকারী, হুজুর ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ভোর বেলায় তিনবার এটা বলে নেবে, "আ'ঊযু বিল্লা-হিস্ সামি-উল 'আলী-মি মিনাশ শায়তানির রাজীম"। তারপর সূরা হাশর'র শেষ তিন আয়াত পড়ে নেয়, আল্লাহ তার উপর সত্তর হাজার ফিরিশতা নিয়োজিত করবেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দো'আ করবে এবং যদি সে ওইদিন মারা যায়, তবে শহীদ হিসেবে মারা যাবে। আর যে ব্যক্তি এগুলো সন্ধ্যায় পড়ে নেয়, তবে সেও ওই মর্যাদায় থাকবে (সকাল পর্যন্ত সে বর্নিত সাওয়াবগুলো পাবে)।
সূত্র- তিরমিযী ও দারেমী শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৫১।
২. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনাকারী, হুজুর এরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি আপন বিছানার উপর শু'তে চায়, সে যেনো ডান করটের উপর শয়ন করে। তারপর ১০০ বার 'ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ' পড়ে নেয়, (ফলশ্রুতিতে) যখন ক্বিয়ামতের দিন হবে, তখন মহান রব ইরশাদ করবেন, "হে আমার বান্দা! তুমি তোমার ডান দিক দিয়ে জান্নাতে যাও।
সূত্র- তিরমিযী শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৫৩।
৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খোবায়ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বৃষ্টি ও ঘন অন্ধকারময়ী রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তালাশ করার জন্য বের হলাম। অতঃপর আমরা হুজুরকে পেয়ে গেলাম। হুজুর ইরশাদ করলেন- "বলো!" আমি আরজ করলাম, কি বলবো? হুজুর ইরশাদ করলেন- "সকাল ও সন্ধ্যার সময় 'ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ', 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিল ফালাক্ব' ও 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিন না-স' তিনবার করে পড়ে নাও। এটা তোমার প্রতিটি বিষয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।
সূত্র- তিরমিযী ও আবূ দাউদ ও নাসাঈ শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ২০৫৭।