ভালোবাসা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3c8h1fgcgWatr0JBcaBuZ5IgRPYils_LHZG06lkHWt9KaOg-e15j40eP5795g_2RYtmW8Az9rViPWwRGCijKgJN0wJFJnfftEfwD6AUnh572WdwSlD8yfMohGMvsIHKnptz5vPuR91iI/s1600/kitchen-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="520" height="221" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3c8h1fgcgWatr0JBcaBuZ5IgRPYils_LHZG06lkHWt9KaOg-e15j40eP5795g_2RYtmW8Az9rViPWwRGCijKgJN0wJFJnfftEfwD6AUnh572WdwSlD8yfMohGMvsIHKnptz5vPuR91iI/s320-rw/kitchen-1.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ভালোবাসা</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">রায়হান ক্বাদেরি </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ইফতারের সময় টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও আনারসের শরবত নেই। আমি স্ত্রী শিলাবৃষ্টিকে ডেকে বললাম, শুধু লেবুর শরবত দেখছি। আনারসের শরবত কোথায়?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি মাথা নিচু করে বললো, আনারসের শরবতটা বানানোর সময় পাইনি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কথাটা শুনার পর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। তাকে ধমক দিয়ে বললাম, তুমি কি রাষ্ট্র পরিচালনা করো যে শরবত বানানোর সময় পাওনি? সারাদিন রোজা রাখার পর একটু যে আনারসের শরবত খাবো সেটাও আমার কপালে নাই!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি আর কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। এ মেয়েকে নিয়ে এই এক সমস্যা; কোনো কাজ পরিপূর্ণভাবে করতে পারে না। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">দুপুরের দিকে তাকে বললাম, ফ্রিজে কি মুরগির গোশত আছে?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি বললো, হ্যাঁ, আছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি বললাম, এক কাজ করো তো; আজ ইফতারিতে মুরগির গোশত দিয়ে চপ বানিও!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমার কথা শুনে নিষ্পলক নয়নে অধোবদনে হা করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। আমি কিছুটা ধমকের সুরে বললাম, এইভাবে মাছের মতো হা করে তাকিয়ে আছো কেন?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অবাক শিলাবৃষ্টি আমতা আমতা করে বললো, মুরগির গোশত দিয়ে কীভাবে চপ বানায়?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এমনিতেই রোজা রেখেছি আর এখন মধ্যদুপুর। গরমে মেজাজ এমনিতেই খারাপ, তার উপর শিলাবৃষ্টির এই কথা শুনে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। শিলাবৃষ্টির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম, তোমার মা কি তোমায় রান্না বান্না কিছু শিখিয়ে বড় করেনি? যেটা বানাতে বলি সেটাই দেখি পারো না। আমি জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি তোমাকে বিয়ে করে!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি কিছু না বলে চুপচাপ আমার সামনে দাঁড়িয়ে রইল। রাগকে বিরক্তিতে রূপান্তর করে আমি পাশের রুমে চলে গেলাম। এই মেয়েটাকে দেখলেই আমার আজকাল রাগ লাগে! দিন দিন আমার ওকে অসহ্য মনে হচ্ছে...!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">সেহরির সময় ভাতে হাত রাখতেই বুঝলাম তুষারশুভ্র ভাতগুলো হিম হয়ে আছে! আমি কিছু না বলে শুধুই শিলাবৃষ্টির দিকে তাকালাম। আমার রগচটা চেহারা দেখে সে ভয়ে মাথা নিচু করে বলল,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। এখন গরম ভাত রান্না করলে আযান দিয়ে দিবে। আজ একটু কষ্ট করে ঠান্ডা ভাত খেয়ে নাও না, প্লিজ! কাল থেকে আর এমন হবে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টির কথা শুনে উনাকে আর কিছু বললাম না। চুপচাপ ভাতের প্লেটটা সরিয়ে রেখে টেবিল থেকে উঠে পড়লাম...</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমার বন্ধু কম; কয়েকজনমাত্র। খালিদ তাদের একজন। খালিদের বাসায় আজ ইফতারের দাওয়াত। বাসা কাছাকাছি হওয়ায় একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলাম; একাই গেলাম। কলিংবেল বাজাতেই খালিদ দরজা খুললো। তার চেহারাসুরত দেখে তো আমি অবাক! ওর সারা মুখে পাউডারের মতো সাদা কী যেন লেগে আছে! খালিদকে বললাম, তোর এই অবস্থা কেন?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ মুচকি হেসে বললো, ইফতারি বানানোর কাজে অর্পিতাকে(খালিদের স্ত্রী) একটু হেল্প করছিলাম।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি তখন বললাম, তুই রোজা রেখে রান্নাবান্না করছিস?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, তুই গাধা নাকি? শুধু তো আমি একা রোজা রাখিনি; অর্পিতাও তো রেখেছে। অফিস যেহেতু ছুটি সেহেতু আমি রোজা রেখে সারাক্ষণ বাসায় শুয়ে বসে দিন পার করি কিন্তু অর্পিতার কোনো ছুটি নেই। ও রোজা রেখে ঘর গুছাচ্ছে, কাপড় ধুচ্ছে, রান্নাবান্না করছে, আবার ইফতারিও বানাচ্ছে। বেগুনী, আলুর চপ, বুট-ভরা খেতে যতটা মজা এইসব বানানো ঠিক ততটাই কঠিন। ও একা হাতে সব কিছুই সামলায়; আমি মাঝে মধ্যে একটু হেল্প করি এই যা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ইফতারের সময় আমি আড়চোখে খালিদ আর অর্পিতাকে দেখছিলাম। অর্পিতার প্রতি খালিদের ভালোবাসা দেখে নিজেকে তখন অমানুষ মনে হচ্ছিলো। হঠাৎ অর্পিতা খালিদকে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- তোমার শরবতে তো ইসপগুলের ভুসি দিতে ভুলে গেছি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ মুচকি হেসে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আরে দূর, একদিন ইসপগুলের ভুসি না খেলে কিচ্ছু হবে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খেতে খেতেই নিজেকে খালিদের জায়গায় দাঁড় করালাম। আজ যদি শিলাবৃষ্টি এমন ভুলটা করতো আমি হয়তো ওকে প্রচন্ড রকম গালিগালাজ করতাম, মুখে না হলেও মনেমনে; অন্যদিন যেমনটা করি। অথচ একদিন আনারসের শরবত না খেলে কিছুই হতো না। আমি শুধু আমার দিকটাই ভেবে দেখেছি, অথচ আমার পাশে একজন রোজাদার মানুষ কত কাজ করছে সেটা আমার কখনো কোনোদিন চোখেই পড়েনি! মাগরিবের পর বাসায় ফিরতে ফিরতে প্ল্যান করলাম; আজ থেকে ভালো মানুষ হয়ে যাবো, খুব ভালো, আমার শিলাবৃষ্টির কাছে, সে আমার মেহবুবা, আমার হৃদয়া, আমিও তার মেহবুব হবো আজ থেকে, তারই মতো করে; সবাই আমাকে মন্দ বলুক তাতে কিচ্ছুটি যায় আসে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">বাসায় পৌঁছে এশা পড়ে চুপিসারে ঘুমিয়ে গেলাম! সেহরির সময় শিলাবৃষ্টির কপালে হাত রেখে তাকে ডাক দিতেই ও তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠলো। তার হরিণী চোখদুটোতে আমাকে দেখে কিছুটা ভয়েভয়ে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমি আজকেও দেরি করে ফেললাম, তাই না? কিছু মনে করো না, প্লিজ! আমি এক্ষুণি রান্না করছি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি মুচকি হেসে বললাম,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমি রান্না করে ফেলেছি! তবে মাছের তরকারিটা মনে হয় খুব বেশি ভালো হয়নি। আজ একটু কষ্ট করে খেয়ে নাও, প্লিজ। আর হ্যাঁ, কাল আমায় মাছের তরকারি রান্না করা শেখাবে, বিনিময়ে মুরগীর গোশত দিয়ে কীভাবে চপ বানাতে হয় সেটা তোমায় শিখাবো।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এতদিনের আমার আজকের কথা শুনে শিলাবৃষ্টি প্রপাত ধরণিতল হয়ে আমায় কিছু বলতে চাচ্ছিল, কিন্তু ওকে থামিয়ে দিয়ে ওর হাতটা ধরে বললাম,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমার এতদিনের ব্যবহারের জন্য আমায় মাফ করে দিও, প্লিজ! কথা দিচ্ছি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো স্বামী হয়ে তোমাকে দেখাবো। তখন তোমার চোখে আমার প্রতি ভয় না; শুধু ভালোবাসা দেখা যাবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">[বি. দ্র. : সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি ভালবাসাপূর্ণ একটা অনুরোধ! আপনি যেমন রোজা রাখেন তেমনি আপনার মা বোন স্ত্রী কন্যারাও রোজা রাখে। ইফতারে দুয়েকটা আইটেম কম হলে রাগারাগি না করে বরং ইফতার বানানোর কাজে উনাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। বেশি কিছু না পারলেও অন্তত শরবত বানানোর দায়িত্বটা নিজে নিন না। সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">সংগৃহীত একটা পোস্টের ভিত্তিতে আপাতভবিষ্যতকে কল্পনার তুলিতে আঁকার খানিক প্রয়াস।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div>

ভালোবাসা

ভালোবাসা রায়হান ক্বাদেরি  ইফতারের সময় টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও আনারসের শরবত নেই। আমি স্ত্রী শিলাবৃষ্টিকে ডেকে বললাম, শুধু ...

Read more »

নামাজের মাসায়েল বিষয়ক কিছু প্রশ্নোত্তর

<div style="text-align: justify;">১-  জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সূরা পড়েন উচ্চস্বরে তখন কি আমি  ও পড়ব?</div><div style="text-align: justify;">👉না। চুপ থেকে শুধু শুনবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২-  জামাতে আছর যোহর এর নামাজে ইমাম সূরা শব্দ ছাড়া পড়েন একেত্রে আমি ও কি নিজে নিজে সূরা ফাতিয়া এবং অন্য সুরা পড়ব?</div><div style="text-align: justify;">👉না। চুপ থেকে শুধু শুনবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩- জামাতের নামাজে এক রাকাত চলে গেলে আমি যখন নামাজে শরীক হব তখন শেষের রাকাতে কি সূরা ফাতিহা এবং সাথে অন্য সূরা পড়ব ?</div><div style="text-align: justify;">👉হ্যাঁ। যদি প্রথম রাকাত বা দ্বিতীয় রাকাত বাদ যায় তবে সূরা ফাতিহা+অন্য সূরা আর যদি ৩য় বা ৪র্থ রাকাত বাদ যায় শুধু সূরা ফাতিহা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪- জামাতের নামাজে দুই রাকাত চলে গেলে ইমাম যখন সালাম ফিরাবেন তার পর কিভাবে নামাজ শেষ করব ?</div><div style="text-align: justify;">👉ইমাম ডানে সালাম ফিরালে আপনি আল্লাহু আকবার বলে উঠে যাবে। তখন সূরা ফাতিহা+অন্য সূরা পড়বেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৫- জামাতের নামাজে তিন রাকাত চলে গেলে এক রাকাত ইমামের পিছনে পড়ার পর পরের রাকাত গুলো কিভাবে শেষ করব ?</div><div style="text-align: justify;">👉শেষের রাকাত থেকে উলটো করে পড়ে আসবেন। মানে ৩য় রাকাত ছুটে গেলে ইমাম সালাম ফিরানোর সময় উঠে যাবেন। তারপর শুধু সূরা ফাতিহা পড়বেন। তারপর বৈঠক করে তাশহুদ পড়ে আবার উঠে যাবেন। তারপর সূরা ফাতিহা+অন্য সূরা দ্বারা দুই রাকাত পূর্ণ করে বৈঠক ও সালাম দ্বারা নামাজ শেষ করবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৬-  জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন আল্লাহু আকবার,সামিয়াল্লাহু হুলিমান হামিদাহ বলে রুকু সিজদাহ তে যান  তখন আমি ও কি আল্লাহু আকবার বলব?</div><div style="text-align: justify;"> 👉হ্যাঁ। সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ.... এই জায়গায় রাব্বানা লাকাল হামদ পড়বেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৭-তারাবীর নামাজে দুই রাকাত পর পর তো নিয়ত করতে হয় এখন এখানে প্রতি দুই রাকাত পর পর কি জায়নামাযের দো’আ ও পড়তে হয়?</div><div style="text-align: justify;">👉না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৮- বিতরের নামাজ জামাতে পড়লে দুয়া কুনুত এটা নিজে পড়া লাগবে ?</div><div style="text-align: justify;">👉হ্যাঁ।</div>

নামাজের মাসায়েল বিষয়ক কিছু প্রশ্নোত্তর

১-  জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সূরা পড়েন উচ্চস্বরে তখন কি আমি  ও পড়ব? 👉না। চুপ থেকে শুধু শুনবেন। ২-  জামাতে আছর যোহর এর নামাজে ইমাম সূর...

Read more »

রোজা রেখে গীবত করার পরিণতিঃ

<div style="text-align: justify;">রোজা রেখে গীবত করার পরিণতিঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জিহ্বাকে হিফাজত না করার ক্ষতি!</div><div style="text-align: justify;">হযরত সায়্যিদুনা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম ﷺসাহাবায়ে কেরাম কে একদিন রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, আর ইরশাদ করলেন: "যতক্ষণ আমি তোমাদেরকে অনুমতি না দেই, ততক্ষণ পর্যন্ত ইফতার করবে না।" সাহাবায়ে কেরাম রোজা রাখলেন যখন সন্ধ্যা হলো, তখন সমস্ত সম্মানিত সাহাবী একেকজন করে মহান বরকতময় দরবারে হাযির হয়ে আরয করতে থাকেন:"ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! আমি রোযা রেখেছি। এখন আমাকে ইফতার করার অনুমতি করার অনুমতি দিন!"হুজুর ﷺতাকে অনুমতি দিতেন।একজন সাহাবী (রাঃ) হাযির হয়ে আরয করলেনঃ "ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ!আমার পরিবারে দু'জন যুবতী কন্যাও রয়েছে,যারা রোজা রেখেছে এবং আপনার মহান দরবারে আসতে লজ্জাবোধ করছে।তাদেরকে ইফতার করার অনুমতি দিন,যাতে তারাও ইফতার করতে পারে।রসুলে কারীম ﷺতার দিক থেকে নুরানী চেহারা ফিরিয়ে নিলেন।সাহাবী দ্বিতীয়বার আরয করলেন।হুজুর পুনরায় চেহারায় আনওয়ার ফিরিয়ে নিলেন।অতঃপর সাহাবী তৃতীয়বার যখন কথাটার পুনারাবৃত্তি করলেন,তখন অদৃশ্যের সংবাদ দাতা রাসুল ﷺ ইরশাদ করলেন: " #ওই_কন্যাদ্বয়_রোযা_রাখেনি! তারা কেমন রোজাদার? তারা সারা দিন মানুষের মাংস খেয়েছে।যাও! তাদের দু'জনকেই নির্দেশ দাও, তারা যদি রোজা রাখে তবে যেনো বমি করে দেয়।" ওই সাহাবী তাদের নিকটে গেলেন এবং তাদেরকে রসুলে কারীম ﷺএর বাণী শুনালেন।তারা উভয়ে বমি করলো।বমি থেকে থেকে রক্ত ও মাংসের টুকরা বের হলো।ওই সাহাবী হুজুর ﷺএর বরকতময় দরবারে ফিরে আসলেন এবং সে অবস্থা আরয করলেন। রাসুলে কারীম ﷺ ইরশাদ করলেন:"ওই সত্তার শপথ!  যার কুদরতের হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ, যদি এতটুকু পেটের মধ্যে থেকে যেতো, তাহলে তারা উভয়কে আগুন গ্রাস করতো।(কেননা তারা গীবত করেছিলো)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ৩য় খন্ড,৩২৮ পৃঃ,হাদিস নং- ১৫।</div>

রোজা রেখে গীবত করার পরিণতিঃ

রোজা রেখে গীবত করার পরিণতিঃ জিহ্বাকে হিফাজত না করার ক্ষতি! হযরত সায়্যিদুনা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম ﷺসাহাবায়ে কেরাম কে একদিন রোজা রা...

Read more »

শিয়া পরিচিতি

<p dir="ltr"></p><ol><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2015/09/blog-post_8.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়া চেনার প্রধান উপায়</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/07/blog-post_757.html" style="font-size: 1.25em;"><b>আলা হযরতের উপর আরোপিত শিয়া অপবাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/09/blog-post_18.html" style="font-size: 1.25em;"><b>ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_36.html" style="font-size: 1.25em;"><b>মা ফাতেমা (রাঃ) এর ইন্তেকালের সঠিক তথ্য</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/02/blog-post_21.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়া ও অন্যান্য বাতিল ফির্কা সম্পর্কে কিতাব</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/08/blog-post_60.html" style="font-size: 1.25em;"><b>গাদীরে খুম : মাওলা আলীর বিলায়াতের অভিষেক ও শিয়া - খন্ডন</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2015/10/blog-post_35.html" style="font-size: 1.25em;"><b>মাতম কারী রাসূল (দ:)ওনার দলভুক্ত নয়</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/07/blog-post_948.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়াদের ভ্রান্ত আক্বিদা</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2017/10/blog-post_86.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়াদের কিছু যুক্তির খন্ডন</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2017/10/blog-post_76.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়া মতবাদ কুফুরী মতবাদ</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2018/07/blog-post_863.html" style="font-size: 1.25em;"><b>ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2018/04/blog-post_11.html" style="font-size: 1.25em;"><b>সাময়িক চুক্তিবদ্ধ (মুতা) বিয়ে কেন নিষিদ্ধ?</b></a><br></li><li><b style="font-size: 1.25em;"><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2015/09/blog-post_50.html">ওমর ফারুক (রা:) এর প্রতি অপবাদের জবাব</a></b><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2018/10/blog-post_5.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়ারা কি মুসলিম নাকি কাফের?</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2015/10/blog-post_62.html" style="font-size: 1.25em;"><b>শিয়ারাই হুসাইন (রা:) এর হত্যাকারী</b></a><br></li><li><b style="font-size: 1.25em;"><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2019/08/blog-post_45.html">শিয়াদের উৎপত্তি কিভাবে?</a></b><br></li></ol><p></p>

শিয়া পরিচিতি

শিয়া চেনার প্রধান উপায় আলা হযরতের উপর আরোপিত শিয়া অপবাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি মা ফাতেমা (রাঃ) এর ইন্তে...

Read more »

দরসে হাদিসঃ বিষয়ভিত্তিক হাদিস সংকলন

<p dir="ltr"><ol><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_606.html" style="font-size: 1.25em;"><b>১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_48.html" style="font-size: 1.25em;"><b>৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_320.html" style="font-size: 1.25em;"><b>পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_71.html" style="font-size: 1.25em;"><b>ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_84.html" style="font-size: 1.25em;"><b>জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_468.html" style="font-size: 1.25em;"><b>রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রার্থনার ফলে উম্মতের গুনাহ মাফ</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_276.html" style="font-size: 1.25em;"><b>দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সময় উসীলা তালাশ</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_97.html" style="font-size: 1.25em;"><b>জানাযা ও কবরের আদব</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_672.html" style="font-size: 1.25em;"><b>সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কুফল</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_588.html" style="font-size: 1.25em;"><b>দান-সদক্বাহ ও যাকাতের হুকুম ও ফজিলত</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_95.html" style="font-size: 1.25em;"><b>রোজার আদব ও ফজিলত</b></a><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_258.html" style="font-size: 1.25em;"><b>সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা</b></a><br></li><li><b style="font-size: 1.25em;"><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_252.html"><b>কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (১)</b></a></b><br></li><li><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_618.html" style="font-size: 1.25em;"><b>কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (২) অজিফা-তসব</b></a><br></li><li><b style="font-size: 1.25em;"><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_885.html"><b>কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (৩)</b></a></b><br></li><li><b style="font-size: 1.25em;"><a href="http://www.sunni-encyclopedia.com/2020/04/blog-post_649.html"><b>নামাজে কুরআন শরীফ দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধান</b></a></b><br></li></ol> </p>

দরসে হাদিসঃ বিষয়ভিত্তিক হাদিস সংকলন

১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ ৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা জুমা ...

Read more »

সায়্যিদাতুন নিসা আল-আলামিন মা ফাতেমা (আ.)

<div style="text-align: justify;">" সায়্যিদাতুন নিসা আল-আলামিন "</div><div style="text-align: justify;">_________________________________</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">" ফাত্‌ম " শব্দের শাব্দিক অর্থ হেফাজত করা, রক্ষা করা, মুক্ত করা। এ সম্পর্কে প্রিয় নবী </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">বলেন: ‘তাঁর নামকরণ করা হয়েছে ফাতেমা। কারণ, আল্লাহ তাঁকে ও তাঁর আহল এবং অনুসারীদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত রেখেছেন।</div><div style="text-align: justify;">সূরা আল ইমরানের ৪২নং আয়াতের তাফসিরে দূররুল মানসুরে ও যাখায়েরুল উকবাহ, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, বায়যাবী, তাবারী ইত্যাদি তাফসীরে বলা হয় যে, উক্ত আয়াতে কারীমার মর্মার্থ মা ফাতেমা রাদি; এর শানে</div><div style="text-align: justify;">বর্নিত হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">وَ اِذۡ قَالَتِ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یٰمَرۡیَمُ اِنَّ اللّٰہَ اصۡطَفٰکِ وَ طَہَّرَکِ وَ اصۡطَفٰکِ عَلٰی نِسَآءِ  الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۲﴾ </div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণঃ ওয়া ইয কা-লাতিল মালাইকাতুইয়া-মারইয়ামু ইন্নাল্লা-হাসতাফা-কি ওয়া তাহহারাকি ওয়াসতাফা-কি ‘আলা-নিছাইল ‘আ-লামীন।</div><div style="text-align: justify;">অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন ও পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন তোমাকে বিশ্বজগতের নারীদের উপর’।</div><div style="text-align: justify;">( সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ 42) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] মারয়্যাম (আলাইহাস্ সালাম)-এর এই মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব তাঁর যুগ অনুযায়ী ছিল। কেননা, সহীহ হাদীসে মারয়্যামের সাথে সাথে খাদীজা (রাঃ) -কেও সর্বশ্রেষ্ঠা নারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর কোন কোন হাদীসে চারজন নারীকে সব দিক দিয়ে পূর্ণতাপ্রাপ্ত (কামেল) বলা হয়েছে। তাঁরা হলেনঃ মারয়্যাম, আসিয়া (ফিরআউনের স্ত্রী), খাদীজা এবং আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহুন্না)। আর আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সমস্ত নারীদের উপর তাঁর ফযীলত ও শ্রেষ্ঠত্ব ঐরূপ, যেরূপ (রুটি, গোশত ও ঝোল মিশিয়ে প্রস্তুত এক প্রকার উপাদেয় খাদ্য) এসবের শ্রেষ্ঠত্ব অন্য যাবতীয় খাদ্যের উপর। (ইবনে কাসীর) তিরমিযীর বর্ণনায় পাওয়া যায় ফাতিমা (রাঃ)ও শ্রেষ্ঠত্বপূর্ণ নারীদের মধ্যে শামিল করা হয়েছে। (ইবনে কাসীর) এর অর্থ এটাও হতে পারে যে, উল্লিখিত নারীগণ এমন গরীয়সী নারী, যাঁদেরকে মহান আল্লাহ অন্যান্য সমস্ত নারীদের তুলনায় বিশেষ ফযীলত, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য দান করেছিলেন। অথবা তাঁরা সব সব যুগে এই বিশেষ ফযীলত ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারিণী ছিলেন। আর আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[২] রাসূলুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">বলেছেনঃ সবচেয়ে উত্তম মহিলা হলেন মারইয়াম বিনতে ইমরান। অনুরুপভাবে সবচেয়ে উত্তম মহিলা হলেন খাদিজা বিনতে খুয়াইলেদ। [বুখারীঃ ৩৪৩২, মুসলিমঃ ২৪৩০] অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;"> বলেছেনঃ পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা লাভ করেছে। মেয়েদের মধ্যে কেবলমাত্র ফিরআউনের স্ত্রী আছিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম পূর্ণতা লাভ করেছে আর সমস্ত নারীদের উপর আয়েশার শ্রেষ্ঠত্ব যেমন সমস্ত খাবারের উপর ছারদ’-এর শ্রেষ্ঠত্ব। [বুখারী ৩৪৩৩; মুসলিম: ২৪৩১] অন্য বর্ণনায় এসেছে, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">বলেছেন, “সৃষ্টিকুলের মহিলাদের মধ্যে শুধু উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মারইয়াম বিনতে ইমরান, খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ ও ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া। " [তিরমিযী ৩৮৭৮; মুসনাদে আহমাদ ৩/১৩৫; মুসান্নাফে আবদির রাযযাক: ১১/৪৩০]</div><div style="text-align: justify;">ইবনে আব্বাস(রা)বর্ননা করেন রাসূল </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">বলেন চার জন নারী সমগ্র নারীজাতির মাঝে সর্বোত্তম যথা মরিয়ম বিনতে ইমরান ;আসিয়া বিনতে মোজাহেম ;খাদিজা বিনতে খুয়াইলেদ এবং ফাতেমা বিনতে মোহাম্মদ(সাঃ) । তবে ইহাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন ফাতেমা(আঃ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেমম সহীহ হাদীসে উল্লেখিত রয়েছে - </div><div style="text-align: justify;">أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ مَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ</div><div style="text-align: justify;">(صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) </div><div style="text-align: justify;">ফাতিমাকে ডেকে তার সাথে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতিমা কেঁদে ফেলেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে ফাতিমা হাসেন। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ</div><div style="text-align: justify;"> (صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم )</div><div style="text-align: justify;">-এর ইন্তিকালের পরে আমি ফাতিমাকে তাঁর হাসি-কান্নার কারণ প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, </div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ</div><div style="text-align: justify;">(صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  )</div><div style="text-align: justify;">আমাকে অবহিত করেন যে, অচিরেই তিনি আমাদের হতে বিদায় নিবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, মারইয়াম বিনতু ইমরান ব্যতীত আমি জান্নাতের রমণীদের সর্দারনী হব, তাই আমি হেসেছি।</div><div style="text-align: justify;">( জামে তিরমিজি - ৩৮৭৩ / মিশকাত ৬১৮৪) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও প্রিয় নবী </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">আরও ইরশাদ ফরমান - </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবুল ওয়ালীদ রহ………মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">صَلَّওی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   বলেছেন, ফাতিমা আমার (দেহের) অংশ। যে তাকে অসন্তুষ্ট করল সে আমাকেই অসন্তুষ্ট করল। ( সহিহুল বুখারি হাদীস নং ৩৪৯৫) </div><div style="text-align: justify;">ওনার মান মর্যাদা সমস্ত নারী জাতীর উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একমাত্র কারণ তাকওয়া এবং সবর। তাঁর জীবন ছিলো অত্যন্ত তাকওয়াপূর্ণ। একজন মহীয়সী নারীর যেসব গুণাগুণ থাকা অপরিহার্য তা বিন্দু বিন্দুতে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিলো তাঁর হায়াতে জিন্দেগিতে। হবেই বা না কেন! তিনি তো আল্লাহর নবীরই কন্যা.! প্রিয় নবী আদর করে ডাকতেন " কুরাতুল আঈন " তথা নয়নমণি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💜 ওনার সুমহান মর্যাদাময় কুনিয়াত -</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* উম্মে আবিহা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* উম্মে আল-হাসানাহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* উম্মে আল-হাসান। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* উম্মে আল-হুসাঈন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💜 ওনার সমুন্নত উপাধি - </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-সিদ্দিকাহ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-মুবারাকাহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-তাহিরাহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-জাকিয়াহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-রাদিয়াহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-মুহাদ্দাথাহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-বাতুল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল-জহরা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* সৈয়দাতুন নিসা আল-আলামিন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি সৈয়দাতুন নিসা আল আলামিন হওয়ার ব্যাপারে অপর একটি হাদীস বুখারি শরীফের (كتاب المناقب) অধ্যায়ে মা আয়েশা রাযি: হতে রেওয়ায়ত হয়েছে এভাবে - </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">-এর চলার ভঙ্গিতে চলতে চলতে ফাতিমাহ (রাঃ) আমাদের নিকট আগমন করলেন। তাঁকে দেখে রাসূলুল্লাহ  </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم </div><div style="text-align: justify;">বললেন, আমার স্নেহের কন্যাকে মোবারকবাদ। অতঃপর তাঁকে তার ডানপাশে অথবা বামপাশে বসালেন এবং তাঁর সঙ্গে চুপিচুপি কথা বললেন। তখন ফাতিমাহ (রাঃ) কেঁদে দিলেন। আমি [‘আয়িশাহ (রাঃ) তাঁকে বললাম] কাঁদছেন কেন? রাসূলুল্লাহ</div><div style="text-align: justify;"> صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">পুনরায় চুপিচুপি তার সঙ্গে কথা বললেন। ফাতিমা (রাঃ) এবার হেসে উঠলেন। আমি [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বললাম, আজকের মত দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ ও খুশী আমি আর কখনো দেখিনি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;">কী বলেছিলেন? তিনি উত্তর দিলেন, আমি আল্লাহর রাসূল </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;"> -এর গোপন কথাকে প্রকাশ করব না। শেষে নাবী </div><div style="text-align: justify;">صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم</div><div style="text-align: justify;"> -এর ইন্তিকাল হয়ে যাবার পর আমি তাঁকে (আবার) জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কী বলেছিলেন?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বললেন, তিনি (صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) </div><div style="text-align: justify;">প্রথম বার আমাকে বলেছিলেন, জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর একবার আমার সঙ্গে কুরআন পাঠ করতেন, এ বছর দু’বার পড়ে শুনিয়েছেন। আমার মনে হয় আমার বিদায় বেলা উপস্থিত এবং অতঃপর আমার পরিবারেরর মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম আমার সঙ্গে মিলিত হবে। তা শুনে আমি কেঁদে দিলাম। অতঃপর বলেছিলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, জান্নাতবাসী নারীদের অথবা মু’মিন নারীদের তুমি সরদার হবে। এ কথা শুনে আমি হেসেছিলাম। (আ: প্র: ৩৩৫৪, ই:ফাঃ ৩৩৬১)(৩৬২৬, ৩৭১৬, ৪৪৩৪, ৬২৮৬, মুসলিম ৪৪/১৫ হাঃ ২৪৫০, আহমাদ ২৬৪৭৫) (ই:ফা:৩৩৬১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আজ সুমহান মর্যাদাপূর্ণ এই মহীয়সী নারীর ওয়াফাত দিবস। আল্লাহর তা'আলা ওনার ওসিলায় আমাদের কবুল করুন সাথে আমাদের আহলে বায়েতের প্রেমিক হিসেবে কবুল করুন। আমীন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Sifat Sultan Alif.</div><div style="text-align: justify;">Ala Hazrat Research Academy.</div>

সায়্যিদাতুন নিসা আল-আলামিন মা ফাতেমা (আ.)

" সায়্যিদাতুন নিসা আল-আলামিন " _________________________________ " ফাত্‌ম " শব্দের শাব্দিক অর্থ হেফাজত করা, রক্ষা করা, ম...

Read more »

মহামারী থেকে বাঁচার দোয়া

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;">মহামারী থেকে বাঁচার দোয়া</div><div style="text-align: justify;">🖋ইউসুফ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন শাহ্<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহামারী থেকে বাঁচতে নুরনবী (ﷺ) এর স্বপ্নে শিখিয়ে দেওয়া দোয়া</div><div style="text-align: justify;">*********************************</div><div style="text-align: justify;">▪মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক এলাকার নেক্কার লোকেরা বেশি বিশি দরুদ শরীফ পড়তে লাগলো। বিশেষ করে নিম্মোক্ত দরুদ শরীফখানা</div><div style="text-align: justify;">اللهم صل على محمد وعلى ال محمد صلاة تعصمنا بها من الأهوال والآفات وتطهرنا بها من جميع السيئات.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতপর ইবনে আবি হাজলাহ্  বর্ণনা করেন, উক্ত এলাকায় যখন কতক নেক্কার লোকদের মাঝে ব্যাপকহারে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে  একজন আশেকে রাসুল রাত্রে নবী করীমন(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা)কে স্বপ্নে সাক্ষাত লাভ করলো এবং তিনি মহামারি ব্যাধির অভিযোগ করলে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা)  তাকে এই দোয়াটি পড়ার জন্য শিখিয়ে দিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">▪ اللهم إنا نعوذ بك من الطعن والطاعون وعظيم البلاء فى النفس والمال والأهل والولد</div><div style="text-align: justify;"> الله أكبر الله أكبر الله أكبر</div><div style="text-align: justify;"> مما نخاف ونحذر </div><div style="text-align: justify;">الله أكبر الله أكبر الله أكبر</div><div style="text-align: justify;"> عدد ذنوبنا حتى تغفر </div><div style="text-align: justify;">الله أكبر الله أكبر الله أكبر</div><div style="text-align: justify;"> وصلى الله على محمد وآله وسلم</div><div style="text-align: justify;"> الله أكبر الله أكبر الله أكبر</div><div style="text-align: justify;"> اللهم شفعت نبيك فينا فأمهلتنا وعمر بنا منازلنا فلا تهلكنا بذنوبنا يا أرحم الراحمين.</div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণ: আআল্লাহুম্মা ইন্না- নাউ-যুবিকা মিনাত্বা'নি ওয়াত্বা-উ-নি ওয়া আযি-মিল বালা-য়ি ফিন্নাফছি ওয়ালমা-লি ওয়াল আহলি ওয়াল ওয়ালাদি আল্লাহু আকবারু আকবারু আল্লাহু আকবারু  মিম্মা নাখা-ফু ওয়ানাহযিরু আল্লাহু আকবারু আদাদা যুনু-বিনা হাত্তা তাগফিরা আল্লাহু আকবারু আল্লাহু আকবারু আল্লাহু আকবারু  ওয়াছাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহি ওয়াছাল্লামা আল্লাহু আকবারু আল্লাহু আকবারু আল্লাহু আকবারু আল্লাহুম্মা শাফ্ফা'তা নাবিয়্যিকা ফি-না ফাআমহিলতানা ওয়াআমারতা বিনা মানাযিলানা ফালা-তুহলিকনা বিযুনু-বিনা ইয়া আরহামার রা-হিমী-না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">▪সুত্র-সাআদাতুদ্দারাইন ফিচ্ছালাতি আলা ছায়্যিদিল কাওনাইন, পৃ-৩৫৫,৬৭৫.</div><div style="text-align: justify;">          </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">♦মহামারি থেকে বাচঁতে ইমাম আযম আবু হানিফা(রহ.)'র পরীক্ষিত দোয়া:</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">-----------------------------------</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">♦নিয়ম: যে ব্যক্তি পবিত্রাবস্থায় নিম্মোক্ত দোয়া নিয়মিত পড়বে বা কাগজে লিখে নিজের সাথে রাখবে অথবা ঘরের মধ্যে সংরক্ষন রাখবে মহান আল্লাহ্ তাআলা এর বরকতে তাকে এবং তার পরিবারবর্গ সকলকে মহামারির অনিষ্টতাএবং যাবতীয় কঠিন বিপদআপদ থেকে রক্ষা করবেন।</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">♦দোয়াখানা এই,</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">بسم الله الرحمن الرحيم اللهم إنى أسألك بعدد خلقك بعزة عرشك برضا نفسك بنور وجهك بمغلب علمك بغاية قدرتك ببسط رأفتك بحق حقيقة شكرك بمنتهى رحمتك بإدراك مشيئتك بكل صفاتك بتمام وصفك بنهاية اسمائك بمكنون سرك بجميل سترك بجزيل فضلك بكمال منك بفيض جودك بشديد غضبك بسابق رحمتك بأعداد كلماتك بتفريد فردانيتك بتوحيد وحدانيتك ببقاء بقائك بعزت ربوبيتك بعظمة كبريائك بجاهك بجلالك بكمالك بأفعالك بإنعامك بسيادتك بملكوتيتك بجباريتك بمنانيتك بعطفك بلطفك ببرك وبإحسانك بحقك وبحق حقك أن تجعل لنا فرجا ومخرجا وشفاء من الهموم والغموم والوباء والبلاء وجميع الآفات والعاهات فى الدنيا والآخرة وبحق كهيعص وبحق طه ويس وص وبحق حمعسق وبحق إنا فتحنا لك فتحا مبيناً يا أرحم الراحمين. </p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">আল্লাহুম্মা ইন্নি- আছআলুকা বিআদাদি খালক্বিকা বিইয্যাতি আরশিকা বিরাদ্বা নাফছিকা বিনু-রি ওয়াজহিকা বিমাগলাবি ইলমিকা বিগা-য়াতি ক্বুদরাতিকা বিবাছতি রা'ফাতিকা বিহাক্বি হাক্বী-ক্বাতি শুকরিকা বিমুনতাহা-  রাহমাতিকা বিইদরা-কি  মাশি-আতিকা বিকুল্লি ছিফা-তিকা বিতামা-মি  ওয়াছফিকা বিনিহা-য়াতি আছমা-য়িকা বিমাকনু-নি ছিররিকা বিজামি-লি ছাতারিকা বিজাযি-লি ফাদ্বলিকা বিকামা-লি মিনকা বিফায়দ্বি জু-দ্বিকা বিশাদী-দি গাদ্বাবিকা বিছা-বিক্বি রাহমাতিকা বিআ'দা-দি কালিমা-তিকা বিতাফরী-দি ফারদা-নিয়্যাতিকা বিতাওহী-দি ওয়াহদা-নিয়্যাতিকা বিবাক্বায়ি বাক্বায়িকা বিইয্যাতি রাবু-বিয়্যাতিকা বিআযমাতি কিবরিয়া-ইকা বিজা-হিকা বিজালা-লিকা বিকামা-লিকা বিআফআ-লিকা বিইনআা-মিকা বিছিয়া-দাতিকা বিমালাকু-তিকা বিজাব্বা-রিয়্যাতিকা বিমানা-নিয়্যাতিকা বিআতফিকা বিলুত্বফিকা বিবিররিকা ওয়াবিইহছা-নিকা বিহাক্বিকা ওয়াবিহাক্বি হাক্বিকা আন তাজআলা লানা ফারজা ওয়ামাখরাজা ওয়াশিফাআম্মিনাল হামু-মি ওয়ালগামু-মি ওয়ালওয়াবা-য়ি ওয়ালবালায়ি ওয়াজামিঈল আ-ফা-তি ওয়ালআ-হা-তি ফিদ্দুনয়া ওয়াল আ-খিরাতি ওয়াবিহাক্বি কা-ফ হা-আইন-ছোয়া-দ ওয়াবিহাক্বি ত্বা-হা- ওয়া ইয়া-ছী-ন ওয়া চোয়া-দ ওয়াবিহাক্বি হা-মী-ম আই-ন ছী-ন ক্বা-ফ  ওয়াবিহাক্বি ইন্না ফাতাহনা- লাকা ফাতহাম মুবি-না, </p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">ইয়া- আরহামার রা-হিমী-না।</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;"> ♣সুত্র- ছাআদাতুদ্দারাইন ফিচ্ছালাতি আলা ছায়্যিদিল কাওনাইন ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা,  পৃ-৬৭৩।</p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;">কৃত- আল্লামা ইউসুফ বিন ইসমাঈল আন্নিবহানি (রহ.)</p><p style="margin: 0px;"><br></p></div><div data-blogger-escaped-style="text-align: justify;" style="font-family: "Times New Roman"; font-size: medium;"><p style="margin: 0px;"><br></p></div></div><div style="text-align: justify;"><div>মহামারি থেকে বাচঁতে গাউসে পাক (রা.)'র সংকলিত দোয়া।</div><div>-----------------------------------</div><div>♣মহামারি থেকে বাচঁতে আলে রাসুল(صلى الله عليه وسلم ) আহমদ শাহ্ হুজুরের শেখানো দোয়াটি গাউসে পাক আব্দুল কাদের জিলানী(রা.)'র গুনিয়াতুত্বালিবীন গ্রন্থের ৬২নং পৃষ্ঠায় রয়েছে।</div><div>আসুন নিয়মিত ওষুধ হিসেবে তিলাওয়াত করি।</div><div>এমর্মে বর্ণিত হাদিসখানা নিম্মরুপ।</div><div>عَنْ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " مَنْ رَأَى صَاحِبَ بَلَاءٍ، فَقَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلًا، إِلَّا عُوفِيَ مِنْ ذَلِكَ الْبَلَاءِ كَائِنًا مَا كَانَ مَا عَاشَ ". حكم الحديث: حسن</div><div>* তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং-৩৪৩১,৩৪৩২, *ইবনে মাজাহ্ শরীফ, হাদিস নং -৩৮৯২</div><div>অর্থ-হযরত ওমর (রা.)হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্থ (মহামারি বা এ জাতীয় কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত) লোক দেখবে তাকে দেখে যেন বলে।</div><div>الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلًا</div><div><br></div><div>উচ্চারণ: "আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আ-ফা-নী- মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়াফাদ্বালানী- আলা- কাছীরিম্ মিম্মান খালাক্বা তাফদ্বী-লা-"।</div></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div>

মহামারী থেকে বাঁচার দোয়া

মহামারী থেকে বাঁচার দোয়া 🖋ইউসুফ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন শাহ্ মহামারী থেকে বাঁচতে নুরনবী (ﷺ) এর স্বপ্নে শিখিয়ে দেওয়া দোয়া ********************...

Read more »

মহামারী বা করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসলের শরয়ী বিধান।

<div style="text-align: justify;">মহামারী বা করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসলের শরয়ী বিধান।</div><div style="text-align: justify;">🖋ইউসুফ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন শাহ্<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">★সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদেরকে গোসল বিহীন দাফন করা হচ্ছে এমনকি ফুঁড়িয়ে ফেলার মতো ইসলাম বিরুধী জঘন্য আচরণ করা হচ্ছে, তাই এমতাবস্থায় এবিষয়টি সর্ব-সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।</div><div style="text-align: justify;">★মহামারি কিংবা এজাতীয় কঠিন দূরারোগ্যে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসলের বিষয়ে হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য ফতোয়াগ্রন্থের উদ্ধৃতি নিম্মরুপ:</div><div style="text-align: justify;">أن من تعذر غسله بالماء أن كان بسبب إنعدام الماء فإنه ييمم بالتراب. </div><div style="text-align: justify;">كما نص على ذالك في العناية (٢٦١/١٦) فقال من تعذر غسله لعدم ما يغسل به فيمن بالصعيد.</div><div style="text-align: justify;">وأما إن كان تعذر غسله بسبب تعذر مسه فإنه يصب عليه الماء صبا كما قال ذالك في مراقي الفلاح (224)</div><div style="text-align: justify;">নিশ্চয় এমন (মুমুর্ষ) ব্যক্তি যাকে পানি দ্বারা গোসল দেওয়াটা দুষ্কর হয়ে পড়েছে তবে এমন ব্যক্তিকে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করিয়ে দেবে।</div><div style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে আল ইনায়া গ্রন্থের(১৬/২৬১)পৃষ্টায় উল্লেখ রয়েছে, গ্রন্থকার বলেন: বিশেষ কোন কারণবশত পানি দ্বারা গোসল দিতে অক্ষম ব্যক্তিকে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করিয়ে দেবে।</div><div style="text-align: justify;">★পক্ষান্তরে  যদি মৃত ব্যক্তির দেহে পানি দ্বারা ধৌত কিংবা মাছেহ করাতে অসুবিধে হয় তবে যেন তার উপর একবারমাত্র পানি ঢেলে দেওয়া হয়। </div><div style="text-align: justify;">যেমন মারাক্বিল ফালাহ্ গ্রন্থের (২২৪) নং পৃ. দ্র.  </div><div style="text-align: justify;">والمنتفخ الذي تعذر مسه يصب عليه الماء.</div><div style="text-align: justify;">মৃত ব্যক্তির দেহে মাসেহ করার দ্বারা শরীর উপড়ে যাওয়া তথা ক্ষত হওয়ার আশংকা হলে তার উপর শুধু পানি ঢেলে দেবে।</div><div style="text-align: justify;">★ বাহারে শরীয়ত গ্রন্থকারও অনুরুপ মন্তব্য করেছেন।  দেখুন (৪/৭৬)</div><div style="text-align: justify;">★ কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহাবিল আরবা গ্রন্থে রয়েছে</div><div style="text-align: justify;">ويقوم التيمم مقام غسل الميت عند فقد الماء أو تعذر الغسل، كأن مات حريقاً، ويخشى أن يتقطع بدنه إذا غسل بذلك أو بصب الماء عليه بدون دلك، أما إن كان لا يتقطع بصب الماء فلا ييمم، بل يغسل بصب الماء بدون دلك</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ-মুলত তায়াম্মুমের বিধান কার্যকর হবে যদি পানির সংকট কিংবা ধৌত করাতে বিশেষ সমস্যা হলে,যেমন আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির। এতে আশংকা হচ্ছে গোসলের দ্বারা শরীরের চামড়া উপড়ে পড়বে বা তার উপর পানি ঢেলে দেওয়ার দ্বারা।</div><div style="text-align: justify;">পক্ষান্তরে যদি পানি দ্বারা গোসল করালে মৃত ব্যক্তির চামড়া খসে নাপড়ে এ ক্ষেত্রে তায়াম্মুম বৈধ হবেনা বরং পানি ঢেলে দিয়ে গোসল সম্পন্ন করবে। (১ম খন্ড) </div><div style="text-align: justify;">★সুতরাং করোনাভাইরাস জনিত মৃতরোগীর গোসল/তায়াম্মুম বিহীন দাফন করা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।</div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহপাক বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন।</div>

মহামারী বা করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসলের শরয়ী বিধান।

মহামারী বা করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসলের শরয়ী বিধান। 🖋ইউসুফ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন শাহ্ ★সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে করোনা ...

Read more »

দরসে হাদিসঃ ১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ ১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর  আদেশ।<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত মুআয রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দশটি জিনিসের আদেশ দিয়েছেন। হুজুর ইরশাদ করেন-</div><div style="text-align: justify;">১. মহান রবের সাথে কাউকে শরিক করোনা, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় কিংবা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।</div><div style="text-align: justify;">২. স্বীয় মাতা-পিতার নাফরমানি করোনা, যদিও তারা তোমাকে ঘরবাড়ী ও সম্পদ থেকে বের হয়ে যাবার আদেশ দেন।</div><div style="text-align: justify;">৩. ফরয নামায ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো ছেড়ে দিও না, কেননা কেউ স্বেচ্ছায় ফরয নামায ছেড়ে দিলে তার উপর থেকে আল্লাহর করুণার দায়িত্ব চলে যায়।</div><div style="text-align: justify;">৪. কখনো মদ পান করোনা, কারণ সেটা সমস্ত অশ্লীলতার শির।</div><div style="text-align: justify;">৫. গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা  করো, কেননা গুনাহ'র কারণে আল্লাহর অসন্তুষ্টি অবতীর্ণ হয়।</div><div style="text-align: justify;">৬. জিহাদ থেকে পালানো থেকে বেঁচে থাকো, যদিও লোকেরা মারা যায়।</div><div style="text-align: justify;">৭. আর যখন মানুষকে মহামারির মৃত্যু স্পর্শ করে আর তুমি তাদের মধ্যে থাকো, তাহলে তুমি সেখানে অটল থাকো।</div><div style="text-align: justify;">৮. নিজের উপার্জন থেকে পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করো।</div><div style="text-align: justify;">৯. স্বীয় আদব শিক্ষাদানের লাঠি তাদের (পরিবার-পরিজন) উপর থেকে তুলে নিও না।</div><div style="text-align: justify;">১০. তাদেরকে আল্লাহর ভয় দেখাও।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- মুসনাদে আহমদ, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদিস নং-৫৫।</div>

দরসে হাদিসঃ ১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ

দরসে হাদিসঃ ১০টি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর  আদেশ। হযরত মুআয রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল...

Read more »

দরসে হাদিসঃ ৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না

<div>দরসে হাদিসঃ ৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না।</div><div><br></div><div>আট প্রকারের লোক থেকে কবরের হিসাব নেওয়া হয়না-</div><div>১. নবি</div><div>২. শহিদ</div><div>৩. জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণকারী</div><div>৪. মহামারি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ও মহামারিতে ধৈর্যধারণকারী</div><div>৫. শিশু সন্তান</div><div>৬. জুমআর দিনে বা রাতে মৃত্যুবরণকারী</div><div>৭. প্রতি রাতে সূরা মুলক তিলাওয়াতকারী</div><div>৮. মৃত্যুর রোগে সূরা ইখলাস তিলাওয়াতকারী।</div><div><br></div><div>সূত্র- ফাতওয়া-ই শামী, মিরআত শরহে মিশকাত,১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-১২১, অধ্যায়- ইসবাতি আযাবিল কবরি।</div>

দরসে হাদিসঃ ৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না

দরসে হাদিসঃ ৮ প্রকার লোকের হিসেব নেয়া হয় না। আট প্রকারের লোক থেকে কবরের হিসাব নেওয়া হয়না- ১. নবি ২. শহিদ ৩. জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণকারী ৪. ম...

Read more »

দরসে হাদিসঃ পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যেনো স্থির পানিতে, যা প্রবাহমান নয়, কখনো প্রস্রাব না করে, অতঃপর যেহেতু তাতে গোসল করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৪৩৬।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আ-সিম রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে বলা হলো, "আপনি আমাদের সামনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র ওযূ করুন।"  তখন তিনি পানির পাত্র তলব করলেন। তা থেকে হাতের উপর পানি নিয়ে তিনবার ধুলেন। অতঃপর আপন হাত পাত্রের মধ্যে প্রবেশ করালেন। তারপর বের করলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি দ্বারা কুল্লি করলেন এবং নাকের ভিতর পানি দিলেন। এটা তিনি তিনবার করলেন। তারপর আপন হাত পানিতে প্রবেশ করিয়ে বের করলেন এবং আপন মুখ তিনবার ধুলেন। তারপর আবার হাত পাত্রে প্রবেশ করিয়ে বের করলেন, তখন কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত দু'দুবার ধৌত করলেন (তিনবার ধৌত করার বর্ণনা অন্য হাদিসে এসেছে)। তারপর হাত প্রবেশ করিয়ে বের করলেন, তখন মাথা মাসেহ করলেন। আর (মাসেহ করার সময়) উভয় হাত মাথার সামনে-পিছনে নিয়ে গেলেন (কান ও গাড় মাসেহের বর্ণনা অন্য হাদিসে এসেছে)। তারপর গোড়ালি সমেত পা দু'টি ধুলেন। অতঃপর বললেন, "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র ওযূ এরূপই ছিলো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৩৬২।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩. হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ওযূ করে, তবে উত্তমরূপে (সুন্নাতসমূহ ও মুস্তাহাবসমূহ সহকারে) ওযূ করে, তার গুনাহসমূহ (সগীরাহ/ছোট গুনাহ) শরীর হতে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচ থেকেও বের হয়ে যায়। </div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২৬৪।</div>

দরসে হাদিসঃ পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব

দরসে হাদিসঃ পবিত্রতা, প্রশ্রাব ও পানির আদব ১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্ল...

Read more »

দরসে হাদিসঃ ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা, আজান ও সালাতের গুরুত্ব

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা, আজান ও সালাতের গুরুত্ব</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমায়, তখন শয়তান তার মাথার পশ্চাৎভাগে তিনটা গিরা লাগিয়ে দেয় এবং প্রতিটি গিরায় এ কথা বলে, 'এখনও রাত অনেক।ঘুমিয়ে থাকো।' অতঃপর বান্দা যদি সজাগ হয় ও আল্লাহর যিকর করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। তারপর যদি ওযূ করে নেয় তখন দ্বিতীয় গিরা খুলে যায়। তারপর যদি নামায পড়ে নেয়, তখন তৃতীয় গিরাও খুলে যায়। আর সে প্রফুল্ল মন  ও পবিত্র অন্তর নিয়ে ভোর করে। অন্যথায় কলুষিত অন্তর ও অলস মন নিয়ে সকাল করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১১৪৯।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>২. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাযের তাকবীর বলা হলো, তখন  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে স্বীয় চেহারা মুবারক ফেরালেন এবং বললেন, "তোমরা নিজেদের কাতারগুলো সোজা করো এবং পরস্পর মিলিত হয়ে দাঁড়াও। আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিকে দেখতে পাই।"  (বোখারি শরিফ)</div><div> আর বোখারি ও মুসলিম উভয় কিতাবে আছে, হুজুর ইরশাদ করেছেন- তোমরা কাতারগুলো পূর্ণ করো; কেননা, আমি তোমাদেরকে আমার পৃষ্ঠ পিছনেও দেখতে পাই।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১০১৯।</div><div><br></div><div><div>৩. হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, তোমাদের মধ্যে কেউ  যেনো সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় নামায পড়ার ইচ্ছা না করে।</div><div>অপর এক বর্ণনায় আছে যে, হুজুর ইরশাদ করেছেন, যখন সূর্যের কিনারা উজ্জল হয়, তখন নামায ছেড়ে দাও যতক্ষণ না উঁচু হয়ে যায়। অতঃপর যখন সূর্যের কিনারা ডুবে যাবে তখনও নামায ছেড়ে দাও, যতক্ষণ না পরিপূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। আর আপন নামাযের জন্য সূর্যের উদয় ও অস্তের সময়কে নির্দিষ্ট করো না।কেননা সেটা শয়তানের দু'শিং এর মধ্য দিয়ে উদিত হয়।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৯৭৩।</div></div><div><br></div><div>৪. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, মুআযযিনের আওয়াজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যে কোন জিন,মানব এবং অন্যান্য জিনিসই শুনতে পাবে, (প্রত্যেকে) ক্বিয়ামত দিবসে তার (মুআযযিন) পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৬০৬।</div><div><br></div><div><div>৫. হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, যার আসরের নামায চলে গেলো তার যেনো ঘর-বাড়ি ও মাল-সামগ্রী লুন্ঠিত হয়ে গেলো।</div><div><br></div><div>৬. হযরত বুরায়দাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি আসরের নামায ছেড়ে দেয়, তার আমল বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৫৪৭ ও ৫৪৮</div></div><div><br></div><div>৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে 'আমর ইবনুল 'আস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদিন নামাযের কথা উল্লেখ করেন। তখন ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি সেটা নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করবে, নামায তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আলো,  প্রমাণ ও নাজাত হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তা নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করবে না, তার জন্য তা *না নূর হবে, না প্রমাণ, না নাজাত।* আর সে ক্বিয়ামত দিবসে ক্বারূন, ফিরআঊন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে।</div><div><br></div><div>সূত্র- মুসনাদে আহমদ, দারেমি, বায়হাক্বী-শুআবিল ঈমান, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৫৩২।</div></div>

দরসে হাদিসঃ ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা, আজান ও সালাতের গুরুত্ব

দরসে হাদিসঃ ফজর ও শয়তানের ধোঁকা, কাতার সোজা রাখা, আজান ও সালাতের গুরুত্ব ১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তি...

Read more »

দরসে হাদিসঃ জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নামায পড়ছিলাম। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হযরত আবু বকর এবং হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমাও তাঁর সাথে ছিলেন। যখন আমি বসলাম তখন আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা আরম্ভ করলাম, অতঃপর নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র উপর দরুদ শরিফ পড়লাম। তারপর আমার নিজের জন্য দোআ করলাম। তখন নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, তুমি চাও তোমাকে তা দেওয়া হবে। তুমি চাও তোমাকে তা দেওয়া হবে।</div><div><br></div><div>২. হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কৃপণ ঐ ব্যক্তি, যার সম্মুখে আমার আলোচনা হলো, অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পড়লো না।</div><div><br></div><div>সূত্র- তিরমিযী শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৮৭১ ও ৮৭৩।</div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩. হযরত আউস ইবনে আউস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমু'আর দিন। তাতে হযরত আদম আলায়হিস সালাম পয়দা হন, তাতেই তাকে ওফাত দেওয়া হয়, তাতেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে এবং তাতেই অচেতনতা রয়েছে। সুতরাং এই দিনে আমার উপর বেশি পরিমানে দরুদ পড়ো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়। লোকেরা আরজ করলেন, "হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের দরুদ আপনার সামনে কীভাবে পেশ করা হবে, আপনি হয়তো 'রামীম' (গলিত হাড়) হয়ে যাবেন? (এ প্রশ্ন অস্বীকার করার জন্য নয়; বরং অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্যই, মিরক্বাত শরহে মিশকাত)। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, "আল্লাহ যমিনের উপর নবিগণের দেহ হারাম করে দিয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- আবূ দাউদ,নাসাঈ,ইবনে মাজাহ,দারেমী, বায়হাক্বী-দাওয়াত-ই কবির এবং মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮০।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪. হযরত আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার উপর জুমু'আর দিন বেশি পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়ো। কেননা এটা উপস্থিতির দিন, যাতে ফিরিশতারা হাযির হয়। আমার উপর কেউ দরুদ পড়লেই তা আমার নিকট পেশ করা হয়- যে পর্যন্ত না তা সমাপ্ত করে নেয়। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, আপনার ওফাতের পরেও কি? হুজুর ইরশাদ করলেন, "আল্লাহ তা'আলা যমিনের উপর নবিগণের শরিরকে হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর নবি জীবিত। তাঁকে রিজিক দেওয়া হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- ইবনে মাজাহ শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮৫।</div>

দরসে হাদিসঃ জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত

দরসে হাদিসঃ জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত ১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নামায পড়ছি...

Read more »

দরসে হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রার্থনার ফলে উম্মতের গুনাহ মার্জনা

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রার্থনার ফলে উম্মতের গুনাহ মার্জনা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কক্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র সাথে মক্কা মু'আযযামাহ থেকে বের হলাম। মদিনা মুনাওয়ারাহর ইচ্ছা করছিলাম। যখন আমরা 'আযওয়াযার' নিকটে পৌঁছুলাম, তখন হুজুর নামলেন। অতঃপর আপন বরকতময় দু'হাত উঠালেন। কিছুক্ষণ যাবৎ দো'আ করলেন। তারপর সাজদায় গেলেন। তাতে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ রইলেন। অতঃপর উঠলেন। তারপর কিছুক্ষণ যাবৎ আপন দু'হাত মুবারক তুলে রইলেন। তারপর সাজদায় গেলেন। ওখানে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ রইলেন। তারপর উঠলেন। কিছুক্ষণ যাবৎ আপন দু'হাত মুবারক তুলে রাখলেন। তারপর সাজদায় গেলেন। বললেন, আমি আমার মহান রবের দরবারে আমার উম্মতের জন্য প্রার্থনা (ক্ষমা) করেছি এবং সুপারিশ করেছি। তখন মহান রব আমাকে এক-তৃতীয়াংশ উম্মত (ক্ষমা করে) দিলেন। আমি মহান রবের শোকর করে সাজদাবনত হলাম। অতঃপর আমি আমার শির উঠালাম। আমার রবের দরবারে আমার উম্মতের জন্য প্রার্থনা করলাম। আমাকে এক-তৃতীয়াংশ উম্মত দিয়ে দিলেন। আমি মহান রবের দরবারে শোকর করে সাজদাবনত হয়ে গেলাম। তারপর আমি আমার শির উঠালাম। আমার রবের দরবারে আমার উম্মতের জন্য প্রার্থনা করলাম। তিনি আমাকে শেষ-তৃতীয়াংশও দিয়ে দিলেন। তখন আমি মহান রবের শোকর করে সাজদায় পড়লাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- আহমদ, আবূ দাউদ শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৪০৮।</div>

দরসে হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রার্থনার ফলে উম্মতের গুনাহ মার্জনা

দরসে হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রার্থনার ফলে উম্মতের গুনাহ মার্জনা। হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কক্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে...

Read more »

দরসে হাদিসঃ দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সময় উসীলা তালাশ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সময় উসীলা তালাশ</div><div style="text-align: justify;"><div><br /></div><div>১. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, যখন লোকেরা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হতেন, তখন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা  আনহুর ওসীলা নিয়ে বৃষ্টির জন্য দো'আ করতেন। আর আরয করতেন, "হে আল্লাহ! আমরা তোমার মহান দরবারে আপন নবির ওসীলা অবলম্বন করতাম, তখন তুমি বৃষ্টি বর্ষণ করতে। আর এখন আমরা তোমার নবির চাচার ওসীলা ধরছি, আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করো। তখন লোকজন বৃষ্টিসিক্ত হতেন।</div><div><br /></div><div>সূত্র- বোখারি শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৪২১।</div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্লেগ/মহামারি (ত্বা-ঊন) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন হুজুর আমাকে বললেন, "তা একটি আযাব।" আল্লাহ যার উপর ইচ্ছা তা প্রেরণ করেন। নিশ্চয়ই মহান রব সেটাকে মুসলমানদের জন্য রহমত করে দিয়েছেন। এমন কেউ নেই, যার শহরে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে, সে যেন ওখানে ধৈর্যধারণ করে, প্রতিদান পাবার জন্য অবস্থান করে, এটা জেনে যে, তাকে তা-ই স্পর্শ করবে, যা আল্লাহ তার জন্য লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু তার জন্য শহীদের মতো সাওয়াব রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি  শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৪৫৯।</div></div>

দরসে হাদিসঃ দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সময় উসীলা তালাশ

দরসে হাদিসঃ দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সময় উসীলা তালাশ ১. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, যখন লোকেরা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হতে...

Read more »

দরসে হাদিসঃ জানাযা ও কবরের আদব

<div>দরসে হাদিসঃ জানাযা ও কবরের আদব</div><div><div><br></div><div>১. হযরত  আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর ইরশাদ করেন, যে কোন মুসলমানের মৃতের উপর মুসলমানদের এমন এক জামা'আত (জানাযার)  নামায পড়ে, যাদের সংখ্যা একশ'তে পৌঁছে, যাদের সবাই তার পক্ষে সুপারিশ করে, তার অনুকুলে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল হয়। <br></div><div><br></div><div>সূত্র- মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৫৭০।</div></div><div><br></div><div>২. হযরত মারসাদ গানাভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ক্ববরগুলোর উপর বসো না এবং সেগুলোর দিকে নামাযও পড়ো না।</div><div><br></div><div>৩.হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে কারো জলন্ত আগুনের কয়লার উপর বসা, যা কাপড়কে জ্বালিয়ে তার চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায়- ক্ববরের উপর বসা অপেক্ষা উত্তম (সহজতর)। </div><div><br></div><div>সূত্র- মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৬০৫ ও ১৬০৬।</div>

দরসে হাদিসঃ জানাযা ও কবরের আদব

দরসে হাদিসঃ জানাযা ও কবরের আদব ১. হযরত  আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল...

Read more »

দরসে হাদিসঃ সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কুফল

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কুফল </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্য ভিক্ষা করে, সে অঙ্গার (জ্বলন্ত আগুন) ভিক্ষা করে। এখন চাই সে কম করুক কিংবা বেশি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৭৪২।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২.হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- লোকজনের নিকট মানুষ ভিক্ষা (পেশাদার) করতে থাকে, শেষ পর্যন্ত সে ক্বিয়ামতের দিন এমনিভাবে আসবে যে, তার চেহেরায় গোশতের টুকরা থাকবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি  ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৭৪৩।</div>

দরসে হাদিসঃ সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কুফল

দরসে হাদিসঃ সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কুফল  ১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ...

Read more »

দরসে হাদিসঃ দান-সদক্বাহ ও যাকাতের হুকুম ও ফজিলত

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ দান-সদক্বাহ-যাকাত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার দু'জন প্রতিবেশী আছে। তাদের মধ্য থেকে কাকে হাদিয়া দেবো? হুজুর  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন- যার দরজা তোমার বেশী নিকটে তাকে দাও।  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৩৮।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব   রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন কাউকে আল্লাহর পথে ঘোড়া দিয়েছি, যার নিকট ওই ঘোড়া ছিলো। সে সেটা বিনষ্ট করে (অকেজো) করে ফেললো। আমি চাইলাম ঘোড়া ক্রয় করবো। আমার ধারণা ছিলো যে, সে সস্তা দামে বিক্রি করবে। আমি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। হুজুর  ইরশাদ করলেন- সেটা ক্রয় করো না এবং নিজের সাদক্বাহ ফেরত নিও না। যদিও সে তোমাকে এক দিরহামের বিনিময়ে দেয়। কেননা, নিজের কৃত সাদক্বাহ যে ফেরত নেয় সে ওই কুকুরের মতো, যে বমি করে তা লেহন করে খেয়ে ফেলে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্য এক বর্ণনায় আছে- সাদক্বাহ ফেরত নিও না! কেননা, নিজের সাদক্বাহ যে ফেরত নেয় সে তেমনি, যেমন নিজের বমি নিজেই পুনরায় খেয়ে নেয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৫৬।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>৩. হযরত আবূ সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- "যে মুসলমান কোন বিবস্ত্র মুসলমানকে কাপড় পরিধান করায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ কাপড় জোড়া পরাবেন। যে মুসলমান কোন ক্ষুধার্ত মুসলমানকে আহার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে ফলমূল আহার করাবেন। আর যে মুসলমান কোন পিপাসার্ত মুসলমানকে পান করাবে, আল্লাহ তা'আলা তাকে শীল-মোহরকৃত পাক-সাফ পানীয় পান করাবেন।" </div><div><br></div><div>সূত্র- আবূ দাউদ, তিরমিযী শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮১৬।</div><div><br></div><div><div>৪. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- এমন কোন দিন নেই, যে দিন বান্দা ভোরবেলা জেগে উঠে, কিন্তু দু'জন ফিরিশতা অবতরণ করেন, যাদের একজন বলে থাকে, " হে আল্লাহ! প্রত্যেক দানশীলকে  উত্তম প্রতিদান দিন।" আর অন্যজন বলেন, "হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন। <br></div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৭৬৪।</div><div><br></div><div>৫.হযরত আবূ উমামাহ  রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- "মহান আল্লাহ ইরশাদ ফরমান, হে মানব জাতি! যদি তুমি উদ্বৃত্ত সম্পদ ব্যয় করো, তবে তোমার জন্য মঙ্গল। যদি তুমি তা রেখে দাও, তবে তোমার জন্য অনিষ্ট এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণের উপর তিরষ্কার নেই। আর নিজে পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করো।</div><div><br></div><div>সূত্র- মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৭৬৮।</div></div><div><br></div><div>৬. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যাকে আল্লাহ সম্পদ দেন, অতঃপর সে এর যাকাত পরিশোধ করে না, তবে তার সম্পদ ক্বিয়ামত দিবসে তার সামনে ন্যাড়া মাথা বিশিষ্ট সাপের আকারে করা হবে, যার দুটি বাবরি  (বয়স বেশী হওয়ার কারণে মাথার উপড় থেকে কেশ চলে যাই ও দুটি শিং থাকে, যার ছোবলের বিষ খুব বেশি) থাকবে, ক্বিয়ামতে তার গলায় বেড়ী হবে। অতঃপর তার উভয় চোয়াল ধরবে, আর বলবে- "আমি তোমার সম্পদ,  আমি তোমার ধনভান্ডার।" তারপর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত শরিফ তেলাওয়াত করেন- "ولا يحسبن الذين يبخلون অর্থ- আর যারা কার্পণ্য করে" আয়াতের শেষ পর্যন্ত।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি  শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৬৮০।</div><div><br></div><div>৭. হযরত আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনাকারী, হুজুর ইরশাদ করেছেন- এমন কোন লোক নেই, যার নিকট উট, গাভী কিংবা ছাগল থাকে। আর সেগুলোর হক্ব সে আদায় (যাকাত) করে না। কিনন্তু ঐ পশু ক্বিয়ামত দিবসে যত বড় ও মোটা হতে পারে তা করে উপস্থিত করা হবে। ঐগুলো আপন খুর দ্বারা তাকে দলিত করবে এবং আপন আপন শিং দিয়ে গুঁতোবে। যখনই সর্বশেষটি অতিক্রম করবে তখনই সর্বপ্রথমটাকে ফিরিয়ে আনা হবে, যে পর্যন্ত না লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করে দেওয়া হবে।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি  ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৬৮১।</div></div>

দরসে হাদিসঃ দান-সদক্বাহ ও যাকাতের হুকুম ও ফজিলত

দরসে হাদিসঃ দান-সদক্বাহ-যাকাত ১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার দু...

Read more »

দরসে হাদিসঃ রোজার আদব ও ফজিলত

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ রোজার আদব ও ফজিলত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-  যে ব্যক্তি (রোজা অবস্থায়) মিথ্যা কথা ও মন্দকর্ম পরিহার করেনা, আল্লাহ তা'আলার নিকট তার পানাহার পরিহার (রোজার) করার কোন গুরুত্ব নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯০০।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২.  হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি রমযান মাসে শরীয়তের অনুমতি ছাড়া এবং রোগের কারণ ছাড়া একদিন রোজা রাখেনা, সে যদিও গোটা জীবন রোজা রাখে, তবু সে সেটার ক্বাযা করলো না (রমজানের রোজার বরাবর হবে না)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- আহমদ, তিরমিযী, আকূ দাউদ, ইবনে মাযাহ, দারেমী। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯১৪।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>৩. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-  যে ব্যক্তি ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রমযানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি রমযানে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রাতগুলোতে ইবাদত (তারাবীহ, তাহাজ্জুদ) করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।  </div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৬০।</div><div><br></div><div>৪.  হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- মানুষের সমস্ত নেক কাজের সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। মহান রব ইরশাদ ফরমাচ্ছেন- রোজা ব্যতীত ; কারণ রোজা তো আমার জন্য এবং আমিই সেটার সাওয়াব দেবো। সে আমার জন্য তার কুপ্রবৃত্তি ও নিজের আহার ত্যাগ করে। রোজাদারের জন্য দু'টি খুশী- একটি খুশী ইফতারের সময়, আর দ্বিতীয়টি আপন রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের চেয়েও উত্তম। আর রোজা হচ্ছে ঢাল এবং যখন তোমাদের মধ্যে কারো রোজার দিন হয়, তবে সে না মন্দকথা বলবে, না শোর-চিৎকার করবে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা লড়াই করতে আসে, তবে তাকে বলে দেবে- আমি রোজাদার।</div><div><br></div><div>সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৬১।</div></div>

দরসে হাদিসঃ রোজার আদব ও ফজিলত

দরসে হাদিসঃ রোজার আদব ও ফজিলত ১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়...

Read more »

দরসে হাদিসঃ- সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ- সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী ও নাসাঈ শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯৫৫।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-  আমলগুলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়। সুতরাং আমি চাচ্ছি যেন আমার আমলগুলো এমতাবস্থায় পেশ করারহোক যে, আমি রোজারত থাকি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯৫৬।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩.  হযরত আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- হে আবূ যার! তুমি যখন প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখবে, তখন (চন্দ্র মাসে) ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রাখো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী ও নাসাঈ শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯৫৭।</div>

দরসে হাদিসঃ- সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা

দরসে হাদিসঃ- সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা ১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লা...

Read more »

কিতাবঃ আহলে বায়ত ও আসহাবে বদর.pdf

<p dir="ltr"><b>📚 </b><a href="https://drive.google.com/file/d/1l4A-wbWSrtegUL8Fg7ALG_z7YC-Il-u-/view"><b>কিতাবঃ আহলে বায়ত ও আসহাবে বদর.pdf</b></a><br><b>লেখকঃ মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন</b></p>

কিতাবঃ আহলে বায়ত ও আসহাবে বদর.pdf

&#128218; কিতাবঃ আহলে বায়ত ও আসহাবে বদর.pdf লেখকঃ মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন

Read more »

দরসে হাদিসঃ নামাজে কুরআন শরীফ দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধানঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;">নামাজে কুরআন দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধানঃ</div><div style="text-align: justify;"></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, " আমিরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. আমদেরকে কুরআন দেখে দেখে ইমামতি করতে নিষেধ করেছেন এবং আরো নিষেধ করেছেন যেন, বালেগ না হয়ে ইমামতি না করে।" ( কিতাবুল মাসাহিফ- ১৮৯ পৃষ্ঠা )</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">২. ইমাম ক্বাতাদা রাহ. সাঈদ ইবনুল মুসায়িব রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি তাহাজ্জুদ নামাযে পড়ার জন্যে কারো স্মরণে সামান্যতম আয়াত মুখস্ত থাকে তবে তাই বারংবার পড়বে। তবুও নামাযে কুর'আন দেখে দেখে পড়বে না। ( কিতাবুল মাসাহিফ- ১৮৯ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৩. ইমাম লাইস রহ. হযরত মুজাহিদ রাহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কুর'আন দেখে দেখে নামায পড়াকে মাকরুহ বলেছেন। কারণ এতে আহলে কিতাবের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়। এরূপ আরও বর্ণনা পাওয়া যায় ইমাম ইবরাহীম নাখাঈ রাহ. থেকে।</div><div style="text-align: justify;">( বিস্তারিত দেখুন, কিতাবুল মাসাহিফ লিল ইমাম আবি দাউদ, ১৮৯, ১৯০, ১৯১ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৪.খতীবে বাগদাদী রাহ. তার ইতিহাস গ্রন্থে হযরত আম্মার ইবন ইয়াসার রাজি. এর আছর বর্ণনা করেন যে, তিনি এই বিষয়টা অপছন্দ করতেন যে, কোন ব্যক্তি রমজান মাসে তারাবীহ পড়াবে আর কুর'আন দেখে দেখে পড়বে। কেননা এটি আহলে কিতাবের আমল। দেখুনঃ তারীখে বাগদাদ ৯/১২০</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৫.সাইয়েদুনা সুয়াইদ ইবনে হানজালা রাজি. এক গোত্রের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। যাদেরকে এক লোক কুর'আন শরীফ দেখে দেখে নামায পড়াচ্ছিলেন। এটা তিনি অপছন্দ করলেন এবং মাসহাফকে দূরে সরিয়ে দিলেন। এটা রমজান মাসের ঘটনা ছিল। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, ২/১২৪, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ২/৪১৯)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">মাওলানা সৈয়দ এরশাদ উল্লাহ হামিদি,</div><div style="text-align: justify;">আরবি প্রভাষক, আল-আমিন বারীয়া কামিল মডেল মাদরাসা।</div></div>

দরসে হাদিসঃ নামাজে কুরআন শরীফ দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধানঃ

নামাজে কুরআন দেখে ক্বেরাত পড়ার বিধানঃ ১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, " আমিরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. আমদেরকে কুরআন দেখ...

Read more »

দরসে হাদিস-কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (৩)

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিস-কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রাতে যখন আপন বিছানায় তাশরীফ নিয়ে যেতেন, তখন আপন দু'হাত একত্রিত করে তাতে ফুঁক দিতেন। যেগুলোতে 'ক্বুল হুয়াল্লা-হু আহাদ', 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিল ফালাক্ব' এবং 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিন না-স' পড়তেন। তারপর শরীর মোবারকের যতটুকু অংশ পর্যন্ত সম্ভব হতো ওই হাত দু'টি বুলাতেন। আপন শির মোবারক ও পবিত্র চেহারার সম্মুখস্ত অংশ থেকে (মাসেহ) আরম্ভ করতেন। এটা তিনবার করতেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০২৭।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেছেন- ক্বিয়ামতের দিন তিনটি জিনিষ আরশের নিচে থাকবেঃ (১) কোরআনে করিম যা বান্দাদের পক্ষে বাদানুবাদ করবে, কোরআনের একটি প্রকাশ্য দিক আছে, আরেকটি অপ্রকাশ্য দিক রয়েছে।  (২) আমানত এবং (৩) রক্তের বন্ধন, যা ডেকে ডেকে বলবে, যে ব্যক্তি আমাকে জুড়েছে, আল্লাহ তাকে নিজের সাথে মিলিয়ে নেবেন, আর যে ব্যক্তি আমাকে ছিন্ন করেছে, আল্লাহ তাকে নিজের নিকট থেকে দূরে ছুড়ে মারবেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- শরহে সুন্নাহ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০২৮।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩.  হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যার বক্ষে ক্বোরআন নেই, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরের মতো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী ও দারেমী  শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ২০৩০।</div>

দরসে হাদিস-কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (৩)

দরসে হাদিস-কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্য...

Read more »

দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (২) অজিফা-তসবিহ

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ ফজিলতপূর্ণ অজিফা-তসবিহ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনাকারী, হুজুর ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ভোর বেলায় তিনবার এটা বলে নেবে, "আ'ঊযু বিল্লা-হিস্ সামি-উল 'আলী-মি মিনাশ শায়তানির রাজীম"। তারপর সূরা হাশর'র শেষ তিন আয়াত পড়ে নেয়, আল্লাহ তার উপর সত্তর হাজার ফিরিশতা নিয়োজিত করবেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দো'আ করবে এবং যদি সে ওইদিন মারা যায়, তবে শহীদ হিসেবে মারা যাবে। আর যে ব্যক্তি এগুলো সন্ধ্যায় পড়ে নেয়, তবে সেও ওই মর্যাদায় থাকবে (সকাল পর্যন্ত সে বর্নিত সাওয়াবগুলো পাবে)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী ও দারেমী  শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৫১।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনাকারী, হুজুর এরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি আপন বিছানার উপর শু'তে চায়, সে যেনো ডান করটের উপর শয়ন করে। তারপর ১০০ বার 'ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ' পড়ে নেয়, (ফলশ্রুতিতে) যখন ক্বিয়ামতের দিন হবে, তখন মহান রব ইরশাদ করবেন, "হে আমার বান্দা! তুমি তোমার ডান দিক দিয়ে জান্নাতে যাও। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৫৩।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩.  হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খোবায়ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বৃষ্টি ও ঘন অন্ধকারময়ী রাতে রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তালাশ করার জন্য বের হলাম। অতঃপর আমরা হুজুরকে পেয়ে গেলাম। হুজুর  ইরশাদ করলেন- "বলো!" আমি আরজ করলাম, কি বলবো? হুজুর ইরশাদ করলেন- "সকাল ও সন্ধ্যার সময় 'ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ', 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিল ফালাক্ব' ও 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিন না-স' তিনবার করে পড়ে নাও। এটা তোমার প্রতিটি বিষয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী ও আবূ দাউদ ও নাসাঈ শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ২০৫৭।</div>

দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (২) অজিফা-তসবিহ

দরসে হাদিসঃ ফজিলতপূর্ণ অজিফা-তসবিহ ১. হযরত মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম  সাল্লাল্লাহু...

Read more »

দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (১)

<div style="text-align: justify;">দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১. হযরত বারা ইবনে আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুজুর ইরশাদ করেছেন- "কুরআন করিমকে নিজেদের আওয়াজ দ্বারা সুন্দর (সুন্দর কন্ঠে, তাজভীদ দ্বারা) করো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- আহমদ, আবূ দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমী  শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৯৩।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. হযরত সা'দ ইবনে ওবাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- যে কেউই কুরআন পড়ে ভুলে যায়, সে অবশ্যই ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলার সাথে কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত হয়ে সাক্ষাত করবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- আবূ দাউদ ও দারেমী  শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০৯৪।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩.  হযরত ওক্ববাহ ইবনে আমির রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- প্রকাশ্য কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াতকারী প্রকাশ্যভাবে সাদক্বাহ দাতার মতো। আর নিরবে কুরআন তিলাওয়াতকারী গোপনভাবে সাদক্বাহ দাতার মতোই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূত্র- তিরমিযী, আবূ দাউদ ও নাসাঈ শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ২০৯৬।</div>

দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব (১)

দরসে হাদিসঃ কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব ১. হযরত বারা ইবনে আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু...

Read more »

গাউসে জমান আল্লামা তৈয়্যব শাহ (র.)'র শান

<p dir="ltr">গাউসে জমান আল্লামা তৈয়্যব শাহ (র.)'র শিক্ষক মহোদয়কে স্বপ্নযোগে নবীর বংশ তৈয়্যব শাহ'র যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দিলেন হুজুর পাক ﷺ!</p><p dir="ltr">শিশু তৈয়্যব শাহ যখন পবিত্র কোরআন মজিদ হিফজ করছিলেন তখনকার একটি ঘটনা। একদিন গাউসে জমান, আল্লামা, হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রঃ)'র সম্মানিত শিক্ষক মহোদয় স্বপ্নযোগে রাসুলে আকরাম ﷺ'র দিদারে ধন্য হন। ঐ সময় প্রিয় নবী ﷺ উক্ত শিক্ষককে খবর দেন যে, ছাত্রদের মধ্যে তাঁর একজন বংশধর আছেন, যেন তাঁর যত্ন নেওয়া হয়। অতঃপর শিক্ষকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন, কে সেই? তাই দেরী না করে সকল ছাত্রদের ডেকে এক অভিনব কৌশলে পরিক্ষা করলেন- তিনি প্রত্যেক ছাত্রদের একটি করে কমলা দিয়ে বললেন, যাও! তোমাদের হাতের কমলা এমনভাবে খাও যাতে আল্লাহ তা'আলা না দেখেন। শিক্ষকের নির্দেশ পেয়ে প্রত্যক শিশু নিজ নিজ মত করে খেয়ে আসল; কিন্তু শিশু তৈয়্যব শাহ কমলাটি ওস্তাদজিকে ফেরত দিয়ে বললেন- "আল্লাহ হার জাগা মে হ্যায়" অর্থাৎ, আল্লাহ সব জায়গায় আছেন। সুবহানআল্লাহ! ৯-১০ বছরের চেয়েও কম একজন শিশুর মুখে এমন জবাব শুনে শিক্ষক বুঝে গেলেন, এই শিশু তৈয়্যব শাহ সেই আওলাদে পাক যাঁর সম্পর্কে হুজুর পাক ﷺ স্বপ্নে অবহিত করেছেন। গাউসে জমান তৈয়্যব শাহ (র.) হলেন, মাতৃগর্ভের অলী। তাঁর জন্মের পুর্বেও এমন অনেক অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়। </p><p dir="ltr">#সূত্রঃ মাসিক তরজুমান, মাহে জিলহজ্ব-১৪৩৩ হিজরি, পৃঃ৩১</p>

গাউসে জমান আল্লামা তৈয়্যব শাহ (র.)'র শান

গাউসে জমান আল্লামা তৈয়্যব শাহ (র.)'র শিক্ষক মহোদয়কে স্বপ্নযোগে নবীর বংশ তৈয়্যব শাহ'র যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দিলেন হুজুর পাক ﷺ! শিশু তৈয়...

Read more »

শানে আহলে বাইত (আলাইহিমুস সালাম)

<p dir="ltr">আর আমি আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি...( ফরমানে মুস্তফা ﷺ) <br> --------------------------------------------<br> আজ ৩রা রমজান। নবী তনয়া, জান্নাতী নারীদের সর্দারণী মা ফাতেমাতুয যাহরা (রা.) এঁর ওফাত দিবস।</p> <p dir="ltr">🌹রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,আমি তোমাদের নিকট ভারী দু’টো জিনিস রেখে যাচ্ছি। এর প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব। এতে হিদায়াত এবং আলোকবর্তিকা আছে। অতএব তোমরা আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করো, একে শক্ত করে আঁকড়ে রাখো। তারপর তিনি কুরআনের প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিলেন। এরপর বলেন, আর দ্বিতীয়টি হলো আমার আহলে বাইত। আর আমি আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি, আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।<br> (এভাবে তিনবার বললেন) (সহিহ মুসলিম ৬১১৯)</p> <p dir="ltr">🌹রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আমার কন্যা আমারই একটা অংশ। যা তাকে সম্মানহানি করে তা আমাকেও সম্মানহানি করে, তাকে যা কষ্ট দেয়, আমাকেও তা কষ্ট দেয়। (সহিহ মুসলিম ৬২০১)</p> <p dir="ltr">🌷আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান রা. ও হুসাইন রা. এঁর হাত ধরে বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে এবং এ দু’জন ও তাঁদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসে, সে কিয়ামাতের দিন আমার সাথেই থাকবে। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৩৩)</p> <p dir="ltr">🌷আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পূর্ণ মাপে বেশি বেশি সাওয়াব লাভে আনন্দিত হতে চায় সে যেন আমার ওপর দরূদ পাঠ করে, আহলে বায়তের ওপরও যেন দরূদ পাঠ করে। বলে,</p> <p dir="ltr">اللّهُمَّ صَلِّ عَلـى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَأَزْوَاجِه أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَذُرِّيَّتِه وَأَهْلِ بَيْتِه كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيدٌ.</p> <p dir="ltr">আল্লা-হুম্মা সল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদীন্ নাবীয়্যিল উমমিয়্যি, ওয়া আয্ওয়া-জিহী, ওয়া উম্মাহা-তিল মু’মিনীনা, ওয়া যুররিইয়্যাতিহী ওয়া আহলে বায়তিহী, কামা- সল্লায়তা ‘আলা- আ-লি ইব্র-হীমা, ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ’’।</p> <p dir="ltr">অর্থাৎ- হে আল্লাহ! নবী মুহাম্মাদﷺ, তাঁর স্ত্রীগণ, মু’মিনদের মা, তাঁর বংশধর ও পরিবার-পরিজনের ওপর রহমাত অবতীর্ণ কর। যেভাবে তুমি রহমাত অবতীর্ণ করেছো ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর।</p> <p dir="ltr">★মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ৯৩২<br> ★আবূ দাঊদ ৯৮২</p> <p dir="ltr">আল্লাহ আমাদের সবাইকে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন করে জীবন অতিবাহিত করার সুযোগ দান করুক। তাঁদের উসিলায় আমাদের ক্ষমা করুক।</p>

শানে আহলে বাইত (আলাইহিমুস সালাম)

আর আমি আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি...( ফরমানে মুস্তফা ﷺ) -------------------------------------------- আজ ৩রা রম...

Read more »

শহীদে কারবালা সম্পর্কে রাসূল (দুরুদ) এর ভবিষ্যৎবাণী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <b>শহীদে কারবালা সম্পর্কে রাসূল (দুরুদ) এর ভবিষ্যৎবাণী</b><br /> <a href="https://www.mediafire.com/download/r21d4d9m619snfp">https://www.mediafire.com/download/r21d4d9m619snfp</a></div> </div>

শহীদে কারবালা সম্পর্কে রাসূল (দুরুদ) এর ভবিষ্যৎবাণী

শহীদে কারবালা সম্পর্কে রাসূল (দুরুদ) এর ভবিষ্যৎবাণী https://www.mediafire.com/download/r21d4d9m619snfp

Read more »

রোজার মাসে নিজেকে নিয়ে চিন্তাভাবনা

<div class="separator" style="text-align: center; clear: both;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-jWQn4G6ApbiyUWYSlsSKLjrPluTQqnzZFDjcsG0PqtrGdcWRPCIveeysMMVLLCwbNyHcJlklxmxjgkMoV8NHn_2y8QTd0oajY0ihJjGTqhTWUoADkHYvQBFfdR6gbPYcjG2COwdJ44w/s1600/8-ways-to-ward-off-loneliness-at-the-top.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" class=" imageResizeTarget" data-original-height="239" data-original-width="319" height="299" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-jWQn4G6ApbiyUWYSlsSKLjrPluTQqnzZFDjcsG0PqtrGdcWRPCIveeysMMVLLCwbNyHcJlklxmxjgkMoV8NHn_2y8QTd0oajY0ihJjGTqhTWUoADkHYvQBFfdR6gbPYcjG2COwdJ44w/s400-rw/8-ways-to-ward-off-loneliness-at-the-top.jpg" width="400"></a></div> <div style="text-align: justify;"><br></div> <div style="text-align: justify;"><br></div> <div style="text-align: justify;"><br></div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> রোজার মাস আসলেই পত্রিকায় রোজার ফযিলত নিয়ে যে কথাটা আসে, এ মাসটি বরকতময়, এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, কুরআন আমাদের সমস্ত জীবনবিধান, সুতরাং এ মাসের শুকরিয়া আদায় কর অধিক কুরআন পাঠ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে। কথাটা ঠিকই আছে, কিন্তু মাসটার মাহাত্ম্য কিন্তু এর মাঝেই সীমাবদ্ধ না। তারাবী নামায ও কুরআন খতম দেয়ার পাশাপাশি আমাদের এই খেয়ালটুকুও রাখতে হবে, এর সাথে আত্মার যোগাযোগ যেন থাকে, এগুলো কেবলই যেন বাৎসরিক অভ্যাসে পরিণত না হয়। রমজান মাসের সুফল বলতে গেলে ঘুরেফিরে বারবারই পরকালের মুক্তির কথা আসে। কিন্তু আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এর প্রতিফলন কই?</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box;" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""><div style="text-align: justify; color: rgb(34, 34, 34);">রমজান মাসকে বলা হয় আত্মশুদ্ধির মাস। আত্মশুদ্ধি – এ কথাটার মানে কী? মানে আমাদের যেসব খারাপ দিক আছে সেগুলো ঝেড়ে মুছে ফেলব এই মাসে, তাই ত? কিন্তু কীভাবে?</div><span id="more-920" style="box-sizing: border-box;"><div style="text-align: justify;"><font color="#222222"><br></font></div></span><font color="#222222"><div style="text-align: justify;">খারাপ দিক ঝেড়ে ফেলার ব্যাপারে বলতে হলে আগে বলতে হবে খারাপ বৈশিষ্ট্য আমাদের মাঝে কোথা থেকে আসে। কুরআনে আদম সৃষ্টির ঘটনাটা যদি কারো মনে থাকে, তবে মনে পড়বে, শয়তান আল্লাহর কাছে শপথ করে বলেছিল, আমি আদম সন্তানদের চারিদিক থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করব। সুতরাং বিভ্রান্তি, বা আল্লাহর পছন্দ না, এমন স্বভাবগুলোর একটা মূল কারণ শয়তান। কিন্তু শয়তানের কোন ক্ষমতা নেই আমাদের মধ্যে কিছু সৃষ্টি করার। আমাদের ভেতরেই খারাপ চিন্তাগুলোর বীজ আছে, শয়তান সেগুলোকে উস্কে দেয় কেবল। ভালবাসার তীব্রতাকে শয়তান ঈর্ষা, সন্দেহপরায়নতায় বদলে দিতে পারে, আবার জ্ঞানপিপাসাকে একটু ঘুরিয়ে বদলে দিতে পারে সন্দেহবাতিকতা ও উন্নাসিকতায়। খারাপ চিন্তার উৎসটা আমাদের ভেতরেই। মোটা দাগে একে নফস বলা যেতে পারে। সারা বছর শয়তান আমাদের বুকের ভেতরে বসে নফসকে খুঁচিয়ে যেতে থাকে, আর নফস ও খেয়ালে বেখেয়ালে তাতে সাড়া দিয়ে বসে।</div></font></div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> আত্মশুদ্ধির এই মাসটাতে আল্লাহ আমাদের প্রতি বিরাট এক রহম করেন, তিনি শয়তানকে দোজখে বেঁধে রাখেন পুরোটা মাস। তার মানে নফস কে জ্বালাতন করার এখন আর কেউ নেই! তার মানে, আমি যদি চাই, আত্মসমালোচনা করার এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। কারণ আমি জানি, যা কিছু খারাপ আসছে, তা পুরোপুরিভাবে আমার থেকেই আসছে, সুতরাং নিজেকে বদলাতে হলে আমার নফস এর সাথে আমার বোঝাপড়া করতে হবে।</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> নফস এর সাথে বোঝাপড়া – সেও কিন্তু রমজান মাসে আল্লাহ অনেক সহজ করে দিয়েছেন। নফস বলতে মোটা দাগে আমাদের শারীরিক মানসিক প্রয়োজনগুলিকে বোঝানো যেতে পারে। শারীরিক প্রয়োজনগুলি অতিমাত্রায় চর্চায় খারাপ অভ্যাসে রূপ নিতে পারে। যেমন, প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অত্যধিক ব্যবহারে সেটা হয় আলস্য, ক্ষুধানিবৃত্তির প্রয়োজন নিয়ে বাড়াবাড়ি গিয়ে ঠেকে টেবিলভর্তি ইফতারে। তেমনি মানসিক প্রয়োজন, যেমন আবেগ ভালবাসার অনিয়ন্ত্রিত রূপ কতটা কদর্য হতে পারে, সে ত আমরা সবাই জানি।</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> রোজার মাসে শরীরের মনের এই সবগুলো প্রয়োজনকেই খুব নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখতে হয়। এত সংযম করেও আমরা যখন মারা পড়িনা, দিব্যি হেলেদুলে বেড়াই, তখনই বোঝা যায়, আমাদের মানুষের সত্যিকারের প্রয়োজনটা আসলে কত কম!</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> তা হলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে? শয়তান নেই, প্রবৃত্তির বাড়াবাড়ি নেই – বাকিটুকু যেটুক থাকে, তা কেবলই ‘আমি’, মানে আমার ভাল অংশটুকু। একে নিয়ে যত চিন্তাভাবনা করব, ততই একে চিনতে পারব। তখন রোজার মাস শেষ হয়ে গেলেও শয়তান একে আড়াল করে ফেলতে পারবে না।</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> <strong style="box-sizing: border-box;">একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি –</strong></div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> আমি লেখালেখির সুবাদে সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোতে অনেকটা সময় কাটাই। উদ্দেশ্যটা ভাল, লেখার মাধ্যমে ভাল চিন্তার প্রসার ঘটাব – কিন্তু আমার সুযোগসন্ধানী নফস করে কি, একে সব রকমের কঠিন কাজ থেকে পালিয়ে বেড়ানোর উপলক্ষ বানিয়ে ফেলে। যেমন গবেষণার কাজের জন্য একটা আর্টিকেল পড়তে হবে, একটু কঠিন লাগলেই ফেলে দিয়ে ব্লগিং এ ঢুকে পড়ি। এখানে উদ্দেশ্যটা ভাল হলেও আমার যথেচ্ছ ব্যবহার এর ভাল দিকটা নষ্ট করে দিচ্ছে। তারপর ফাঁকি দিচ্ছি – এই বোধটা আসামাত্রই শয়তান যুক্তি দিতে থাকে, ‘না! এটা ত ভাল কাজ, পড়াশুনা ত পরেও করতে পারবে, এই মুহুর্তে এই লেখাটা না লিখলে পরে আর লেখা হবেনা…’</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> রোজার সময় আমি যেটা করার চেষ্টা করব, তা হচ্ছে, যতবারই কাজ ফেলে ব্লগিং এ মাথা গুঁজতে ইচ্ছা করবে, একটা খাতায় লিখে ফেলব, কেন এখনই ব্লগে যেতে হবে। পাশে সময়টাও লিখে রাখব, আর সে সময় কী কাজে ব্যস্ত ছিলাম, ওটাও! আশা করা যায় আমার নফস, যে কিনা সব রকমের নিয়ম কানুনের বিরূদ্ধে সদা বিদ্রোহী, সে রোজার সময় অনেক সংযত থাকবে, তালিকা বানানো নিয়ে বিদ্রোহ শুরু করে দেবে না। এবার দিন শেষে তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করব, এর মধ্যে সবগুলোই কি দরকারি, না কাজে ফাঁকি দেয়ার ছুতোও আছে? ভাগ্য ভাল, শয়তান নেই, থাকলে আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়ত, যে এর চেয়ে জরুরি কিছু পৃথিবীতে হতেই পারেনা। শয়তানের যুক্তি বোধ ত আমার চেয়ে ভাল হবেই, তার কত যুগের অভিজ্ঞতা!</div> <div style="text-align: justify; background-color: white; box-sizing: border-box; color: rgb(34, 34, 34);" .sfnstext-regular",="" "san="" francisco",="" roboto,="" "segoe="" ui",="" "helvetica="" neue",="" "lucida="" grande",="" sans-serif;="" font-size:="" 15px;="" line-height:="" 26px;="" margin-bottom:="" 26px;"=""> এভাবে করে আমরা প্রত্যেকেই যার যার বদভ্যাসগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারি। নামাযে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু’আ করতে পারি, “<strong style="box-sizing: border-box;">আল্লাহ, এ মাসে নিজেকে বদলানো সবচেয়ে সহজ, তুমি আমার জন্য আরো সহজ করে দাও!</strong>” তারপর আল্লাহ রোজা রাখার মত সুস্থ শরীর আর মন দিয়েছেন, এই কৃতজ্ঞতায় দিনের বেলাটা যে যেই কাজই করিনা কেন, চাকুরি, পড়াশুনা, ঘরের কাজ – সেটা আরো যত্ন করে করতে পারি। এতে করে আমাদের প্রাত্যহিক কাজগুলিও ইবাদতের মর্যাদা পাবে। আল্লাহ খুশি হবেন, আমার বান্দা রোজাও রাখছে, কুরআন ও পড়ছে, শরীরের সদকাও করছে, আবার পৃথিবীর দায়িত্বগুলো ভুলে যায়নি, সেটাও করছে সুন্দর করে। আল্লাহ তা’আলা এমনিতেই রহমত আর মাগফিরাত দিয়ে পূর্ণ, এরকম একটা মাসে বান্দাদের এত সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ ইবাদত দেখলে তিনি কতটা খুশি হবেন, ফেরেশতাদের কত কতবার করে বলবেন… কল্পনা করতেই খুব ভাল লাগে!</div>

রোজার মাসে নিজেকে নিয়ে চিন্তাভাবনা

রোজার মাস আসলেই পত্রিকায় রোজার ফযিলত নিয়ে যে কথাটা আসে, এ মাসটি বরকতময়, এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, কুরআন আমাদের সমস্ত জীবনবিধান, সু...

Read more »