কুরআন হাদিসের আলোকে সুস্থতা এক বড় নিয়ামত।

কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি


❏ আয়াত ১:


পবিত্র কুরআনের ইরশাদ-


وَ اِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَتَ اللهِ لَا تُحْصُوْهَا  اِنَّ الْاِنْسَانَ لَظَلُوْمٌ كَفَّارٌ.


তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা করে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয়ই মানুষ অকৃতজ্ঞ ও নাফরমান। 

[সূরা ইবরাহীম : ৩৪]


❏ আয়াত ২:


কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞান ও স্বাস্থ্যে সমৃদ্ধ করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৭)। 


❏ আয়াত ৩:


وَ اِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِهٖۤ اَوْ قَاعِدًا اَوْ قَآىِٕمًا  فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَاَنْ لَّمْ یَدْعُنَاۤ اِلٰی ضُرٍّ مَّسَّهٗ .


মানুষকে যখন বিপদ স্পর্শ করে তখন শুয়ে-বসে-দাঁড়ানো অবস্থায় আমাকে ডাকতে থাকে। আর যখন তাকে বিপদ মুক্ত করে দেই তখন এমনভাবে চলে যায় যেন সে বিপদে পড়ে আমাকে ডাকেইনি। 

[সূরা ইউনুস : ১২]


❏ হাদিস ১:


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা পাঁচটি অবস্থায় পতিত হওয়ার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে মূল্য দাও।

اغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ : شَبَابَكَ قَبْلَ هَرَمِكَ ، وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ ، وَغِنَاكَ قَبْلَ فَقْرِكَ ، وَفَرَاغَكَ قَبْلَ شُغْلِكَ ، وَحَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ " .

”তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিস আসার আগে গনিমতের অমূল্য সম্পদ মনে করো: 

১) জীবনকে মৃত্যু আসার আগে। 

২) সুস্থতাকে অসুস্থ হওয়ার আগে।

ও) অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে। 

৪) যৌবনকে বার্ধক্য আসার আগে এবং

৫) সচ্ছলতাকে দরিদ্রতা আসার আগে।” 

[মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম খণ্ড, ৮ম অধ্যায় ১২৭ পৃষ্ঠা, আলমুসতাদরাক হাকিম, হাদীস : ৭৯১৬]


❏ হাদিস ২:


হজরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (ﷺ) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘মা মণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন।’ (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)


❏ হাদিস ৩-৫ :

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, পেটের এক তৃতীয়াংশ খাদ্য দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৩৪৯, তিরমিজি, হাদিস : ১৩৮১)


রাসুল (ﷺ) খুব পরিমিত আহার করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫০৮১)


স্বাস্থ্যকর আহার গ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৩১)


❏ হাদিস ৬:

 

নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় শক্তিশালী মুমিন বেশি কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে বেশ প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ৬৯৪৫)


❏ হাদিস ৭:


হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, ‘আমি নবীজির চেয়ে দ্রুতগতিতে কাউকে হাঁটতে দেখিনি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৪৮)


❏ হাদিস ৮:


সাহাবিরা বলতেন, আমরা হুজুর (ﷺ)-এর চেয়ে হাসিখুশি আর কাউকে দেখিনি। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৪১)


❏ হাদিস ৯:


রাসুল (ﷺ) বলেছেন, মুমিন বান্দা সদালাপী হয়। ওই ব্যক্তির মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, যে মানুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয় না, আর অন্যরাও তার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা প্রদর্শন করে না। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২৮৪০)


❏ হাদিস ১০:


ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, 

« ﻧِﻌْﻤَﺘَﺎﻥِ ﻣَﻐْﺒُﻮﻥٌ ﻓِﻴﻬِﻤَﺎ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺍﻟﺼِّﺤَّﺔُ ﻭَﺍﻟْﻔَﺮَﺍﻍ ».

‘দুটি নিয়ামতের ব্যাপারে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। নিয়ামত দুটি হল, সুস্থতা ও অবকাশ।’ (সহিহ বুখারি: ৬৪১২, মুসনাদে আহমদ: ২৩৪০)


❏ হাদিস ১১:

 

নবী করিম (ﷺ) বলেন, অবশ্যই মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আর কিছু প্রদান করা হয়নি।’ (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২)। 


❏ হাদিস ১২:


মুত্তাকি ব্যক্তির জন্য সুস্থতা ধনসম্পদের চেয়েও উত্তম। আর মনের প্রফুল্লতা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নেয়ামত। (আহমদ)।


❏ হাদিস ১৩:


রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, পেটের এক তৃতীয়াংশ খাদ্য দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৩৪৯) 


রোগ থেকে বাঁচার জন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশঃ


❏ হাদিস ১৪:


রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তোমরা তিন অভিশপ্ত ব্যক্তি থেকে বেঁচে থাক, যে পানির ঘাটে, রাস্তার ওপর ও গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬) 


❏ হাদিস ১৫:


অন্য হাদিসে মহানবী সা. বলে, তোমরা বাড়ির আঙ্গিনা সবদিকে পরিস্কার রাখবে। এহুদিদের অনুকরণ করবে না। তারা তো বাড়িতে আবর্জনা জমা রাখে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৭৯৯) 


রোগ থেকে বাঁচার জন্য শিফাঃ


কালিজিরা, মধু পান করা এবং শিঙ্গা লাগানো। 


আল্লাহপাক বলেন, এতে (মধু) মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ (সুরা নাহাল: ৬৯) 


❏ হাদিস ১৬:

 

মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘কালিজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের উপশমক (উপকারী)। (সহিহ বুখারি: ৫৯২) 


❏ হাদিস ১৭:


নবী করিম (ﷺ) তোমরা যা কিছু দিয়ে চিকিৎসা করো তার মধ্যে উত্তম হল শিঙ্গা লাগানো।’ (সহিহ মুসলিম: ৪০০৭)


❏ হাদিস ১৮:


উবাইদুল্লাহ বিন মিহসান খাত্বমী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

مَنْ أَصْبَحَ مِنْكُمْ آمِنًا فِي سِرْبِهِ مُعَافًى فِي جَسَدِهِ عَندَهُ قُوتُ يَوْمِهِ فَكَأَنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا (بحذافيره

“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ঘরে (অথবা গোত্রের লোকদের মাঝে) নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে সকাল অতিবাহিত করেছে এবং তার কাছে সে দিনের খাবার আছে, তাকে যেন পার্থিব সমস্ত সম্পদ দান করা হয়েছে।” (তিরমিযী ২৩৪৬, ইবনে মাজাহ ৪১৪১নং, সহিহ)


 ❏ হাদিস ১৯:

 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সুস্থতার জন্য দুআ করেছেন এবং তার উম্মতকে দুআ শিক্ষা দিয়েছেন। এ মর্মে অনেকগুলো হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হল:

 اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي ، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي ، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي ، لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ

উচ্চারণ:

আল্ল-হুম্মা আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্ল-হুম্মা আ-ফিনী ফী সাম’ঈ, আল্ল-হুম্মা আ-ফিনী ফী বাসারী, লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা।

অর্থ:

“হে আল্লাহ, তুমি আমার শরীর সুস্থ ও নিরাপদ রাখো। 

হে আল্লাহ, তুমি আমার কান সুস্থ ও নিরাপদ রাখো। 

হে আল্লাহ, তুমি আমার চোখ সুস্থ ও নিরাপদ রাখো। তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নাই।”

(আল-আদাবুল মুফরাদ হাদিস নং ৭০৬, অধ্যায়ঃ দোয়া-দরুদ, সনদ হাসান)


❏ হাদিস ২০:


2465- قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ‏:‏ أَنْبَأَ أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ مَوْلَى الزَّرَقِيِّينَ، قَالَ‏:‏ دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ أَبِي فَاطِمَةَ، فَقَالَ‏:‏ يَا أَبَا عَقِيلٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، فَقَالَ‏:‏ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ، إِذْ قَالَ‏:‏ مَنْ مِنْكُمْ يُحِبُّ أَنْ لاَ يَسْقَمَ‏؟‏ فَابْتَدَرْنَاهُ، فَقُلْنَا‏:‏ نَحْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ‏:‏ أَتُحِبُّونَ أَنْ تَكُونُوا مِثْلَ الْحُمُرِ الضَّالَّةِ، وَتَغَيَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى رَأَيْنَا فِي وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ أَلاَ تُحِبُّونَ أَنْ تَكُونُوا أَصْحَابَ بَلاَءٍ وَكَفَّارَاتٍ‏؟‏ فقَالُوا‏:‏ بَلَى، يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ صلى الله عليه وسلم‏:‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَيُبْتَلَى بِالْبَلاَءِ، وَذَلِكَ مِنْ كَرَامَتِهِ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى، وَإِنَّهُ لَيُبْتَلَى بِالْبَلاَءِ حَتَّى يَنَالَ مِنْهُ مَنْزِلَةً عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى، لاَ يَنَالُهَا دُونَ أَنْ يُبْتَلَى بِذَلِكَ، فَيُبْلِغُهُ اللَّهُ تَعَالَى تِلْكَ الْمَنْزِلَةَ‏.‏


مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ ضَعِيفٌ‏.‏


2465- وقَالَ أَبُو بَكْرٍ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ‏:‏ حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ هُوَ ابْنُ أَبِي حُمَيْدٍ، بِهِ نَحْوَهُ‏.‏


2466- وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ رَبِيعَةَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَتْ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِنْتٌ لِي كَذَا وَكَذَا، فَذَكَرَتْ مِنْ حُسْنِهَا، وَجَمَالِهَا، فَأُوثِرُكَ بِهَا، قَالَ‏:‏ قَدْ قَبِلْتُهَا، فَلَمْ تَزَلْ تَمْدَحُهَا حَتَّى ذَكَرَتْ أَنَّهَا لَمْ تُصَدَّعْ، وَلَمْ تَشْتَكِ شَيْئًا قَطُّ، قَالَ‏:‏ لاَ حَاجَةَ لِي فِي ابْنَتِكِ‏.‏

الراوي:أنس بن مالك المحدث:شعيب الأرناؤوط المصدر:تخريج المسند الجزء أو الصفحة:12580 حكم المحدث:إسناده ضعيف

2466- وَقَالَ أَبُو يَعْلَى‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ‏.‏


2467- وَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي أُسَامَةَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ‏:‏ دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَعْرَابِيٌّ جَسِيمٌ، ذُو جُثْمَانٍ عَظِيمٍ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَتَى عَهْدُكَ بِالْحُمَّى‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ أَعْرِفُهَا، قَالَ‏:‏ فَالصُّدَاعُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ فَأُصِبْتَ فِي مَالِكَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ، قَالَ‏:‏ فَرُزِئْتَ بِوَلَدِكَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ الْعِفْرِيتَ، النِّفْرِيتَ، الَّذِي لاَ يُرْزَأُ فِي وَلَدِهِ، وَلاَ يُصَابُ فِي مَالِهِ‏.‏

الراوي:عبدالرحمن بن مل النهدي أبو عثمان المحدث:الألباني المصدر:السلسلة الضعيفة الجزء أو الصفحة:5821 حكم المحدث:موضوع


♻ আরেকটি বিভ্রান্তি নিরসন: বিশেষ একটি রোগ থেকে মুক্ত থাকার কারণে রাসুল (ﷺ) কি কাউকে জাহান্নামী বলেছেেন?

হাদিস:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ أَخَذَتْكَ أُمُّ مِلْدَمٍ؟» قَالَ: وَمَا أُمُّ مِلْدَمٍ؟ قَالَ: «حَرٌّ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: «فَهَلْ صُدِعْتَ؟» قَالَ: وَمَا الصُّدَاعُ؟ قَالَ: «رِيحٌ تَعْتَرِضُ فِي الرَّأْسِ، تَضْرِبُ الْعُرُوقَ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: فَلَمَّا قَامَ قَالَ: «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ» أَيْ: فَلْيَنْظُرْهُ


আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ এক বেদুইন নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে বলেনঃ তোমাকে কি উম্মু মিলদাম স্পর্শ করেছে? 

সে বললো, উম্মু মিলদাম কি?

তিনি বলেনঃ দেহের চামড়া ও গোশতের মধ্যবর্তী স্থানের উত্তাপ (জ্বর)। 

সে বললো, না। 

তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি কি সুদা আক্রান্ত হয়েছো? 

সে বললো, সুদা কি? তিনি বলেনঃ একটি বায়ু যা মাথায় অনুভূত হয় এবং তা শিরাসমূহে আঘাত করে। 

সে বললো, না। 

অতঃপর সে ব্যক্তি উঠে চলে গেলে- তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি কোন দোযখীকে দেখতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয়।” (হাকিম, ইবনে হিব্বান-আল আদাবুল মুফরা প্রমূখ। সনদ হাসান সহিহ)


ব্যাখ্যা:

মুহাদ্দিসগণ বলেন, এ হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যক্তিকে উপরোক্ত রোগ না থাকার কারণে দোযখী/জাহান্নামী হিসেবে আখ্যায়িত করেন নি। বরং তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহীর মাধ্যমে জনেছেন যে, তার মধ্য এমন গুনাহ রয়েছে যা তার জন্য জাহান্নাম আবশ্যক করে। তাই তিনি তার ব্যাপারে বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন দোযখীকে দেখতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয়।” 


❏ হাদিস ২১:

 

হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে গনীমত মনে কর। (মুসতাদরাকে হাকেম,হাদিস:৭৯১৬)


❏ হাদিস ২২ :


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (رضي الله عنه) বলেন, নবী কারিম (ﷺ)এর  কাছে যখন আমার সম্পর্কে এই সংবাদ পৌঁছল যে, আমি লাগাতার রোজা রাখি, রাতে নামাজ পড়ি, (অন্য বর্ণনায় আছে, সারারাত কুরআন পড়ি) তখন নবীজী (ﷺ) বললেন, তুমি এরকম করো না। নিশ্চয় তোমার চোখের হক রয়েছে, তোমার শরীরের হক রয়েছে। (বুখারী শরীফ ১৮২;মুসলিম শরীফ ১৮৪)


❏ হাদিস ২৩:


বিশ্বনবী (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমরা অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে গনিমত মনে কর।’ 


Top