নরপিশাচ

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAzx4KLHRF-4rm4PVM49jGvieiZXd_xL4cb1FCvUa62ysH7bJzu8a83kdRcjxPpzAJwJn5oQYSBDbC_lRwr1aEQ6_iJM33ZrsMDn06w_XYEj3jdHJgDbIC10VP5VoIJTPV82Q1AUuVQ0qD/s1600/FB_IMG_1582992895748.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="679" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAzx4KLHRF-4rm4PVM49jGvieiZXd_xL4cb1FCvUa62ysH7bJzu8a83kdRcjxPpzAJwJn5oQYSBDbC_lRwr1aEQ6_iJM33ZrsMDn06w_XYEj3jdHJgDbIC10VP5VoIJTPV82Q1AUuVQ0qD/s1600-rw/FB_IMG_1582992895748.jpg" width="226"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both;">নরপিশাচ</div><div class="separator" style="clear: both;">========</div><div class="separator" style="clear: both;">✍জাহাঙ্গীর গাজী</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ওরে ও নরপিশাচ !</div><div class="separator" style="clear: both;">বল আর কত রক্ত চাস ?</div><div class="separator" style="clear: both;">মায়ের কোল খালি করে,</div><div class="separator" style="clear: both;">বলতো কী লাভ পাস ?</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">কচি শিশুর বাপকে মেরে</div><div class="separator" style="clear: both;">তোরা নাকি বীরত্ব দেখাস ?</div><div class="separator" style="clear: both;">স্ত্রীর থেকে স্বামীকে কেড়ে,</div><div class="separator" style="clear: both;">গুনতে চাস আর কত লাশ ?</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ওরে ও নরপিশাচ !</div><div class="separator" style="clear: both;">কেন তোরা দাঙ্গা লাগাস ?</div><div class="separator" style="clear: both;">মানুষে মানুষে বিভেদ করাতে,</div><div class="separator" style="clear: both;">ধর্ম তোদের তুরুপের তাস।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">ওরে ও নরপিশাচ !</div><div class="separator" style="clear: both;">জানি তোদের বলা পরিহাস।</div><div class="separator" style="clear: both;">শান্তির পৃথিবী চাস না তোরা,</div><div class="separator" style="clear: both;">ক্ষমতা তোদের বড় অভিলাষ।</div></div>

নরপিশাচ

নরপিশাচ ======== ✍জাহাঙ্গীর গাজী ওরে ও নরপিশাচ ! বল আর কত রক্ত চাস ? মায়ের কোল খালি করে, বলতো কী লাভ পাস ? কচি শিশুর বাপকে মেরে তোরা নাকি বী...

Read more »

মুসলিম সংসারের বউ (২য় পর্ব)

২য় পর্ব<br /> মুসলিম সংসারের বউ<br /> লেখিকা-বিনতে আলম<br /> <br /> একটা সেল্ফি হবে?<br /> আমি তো পুরায় অবাক কি বলে এইসব??<br /> আয়শা-মানে??<br /> সাজ্জাদ-রেগে যাওয়ার কিছু নেই,,আর আমার সাথে না, এই যে একটু আগে মুরুব্বীটা কে আপেল দিছেন না উনার সাথে,,,<br /> কারণ আমার খুব শখ হলো বিষয়টা সবার মাঝে পৌঁছে দিতে যাতে সবাই আপনার মত উদার মন নিয়ে রাস্তায় বের হয় আর পথের এইসব নিরহ মানুষ গুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ায়,,তাতে তাদের কষ্ট একটু হলেও লাগব হবে!<br /> আয়শা-আপনার বলা শেষ?<br /> সাজ্জাদ - না মানে হা,,কিন্তু?<br /> আয়শা-আপনি কোন ধর্মের আমি জানিনা তবে আমি মুসলিম,,আমার ধর্মে মানবতা জিনিসটা আছে!<br /> এইবলে চলে গেলে!<br /> <br /> এইভাবেই কাটছে আয়শার দিন,,ছোট্ট মেয়েটা এখন অনেক কিছুই করতে পারে অনেক দায়িত্ব নিয়ে সে নিজের কাজ নিজে শেষ করে,,,<br /> এর মধ্যে অনেকের সাথে পরিচিত হলো,,তবে তার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে রুমা আপু নামের একটা মেয়েকে,,যে সব বিষয়ে সাহায্য করে...!<br /> <br /> একদিন আয়শা অফিসের কাজ করার সময় হঠাৎ মনে মনে ভাবতেছে ,,আচ্ছা আমি যে চাকরি করতেছি এটা কি ঠিক হচ্ছে? ভাইয়া জানলে খুবই কষ্ট পাবে<br /> কেননা ইসলাম,,নারীকে ঘরের ভিতরে নিরাপত্তা দেই আর নারীর উপার্জন কৃত টাকা হারাম যদি সে ঘরে উপার্জন কৃত কোনো পুরুষ মানুষ থাকে!<br /> এখন আমার তো ভাই আছে,,হা কষ্ট করে হলেও সংসার টা ধরে আছে!!<br /> কেমন জানি মনের ভিতর খারাফ লাগা শুরু হলো,,এইসব খুব কষ্ট দিচ্ছে!<br /> <br /> তাই সে রুমা আপুর কাছে গেল অস্বস্তি থেকে নিজেকে একটু হালকা করার,,,<br /> আয়শা- আসসালামু আলাইকুম রুমা আপু আসবো?<br /> রুমা- ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,,আরে আয়শা আপু যে আসেন??<br /> আমি তো আজ ধন্য আপনি আমার কাছে এসেছেন!<br /> আয়শা- কি যে বলেননা আপু?<br /> <br /> হঠাৎ কেউ একজন,<br /> রুমা কে রে এটা??  (রিয়াদ, রুমার কলিগ )<br /> নিউ কলিগ ২-১মাস হলো জয়েন করেছে,,খুব ভাল মেয়ে নামাজ-কালাম ঠিক মত আদায় করে আর যথা সম্ভব নিজেকে পর্দায় রাখার চেষ্টা করে।<br /> ওহ আচ্ছা(রিয়াদ)<br /> <br /> এহ তো মনে হয় মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে আসছে,,বোরকা, নিকাব, হিজাব??(শহীদ)<br /> এতই যখন অনেক গুণে গুণান্বিত তাহলে ঘরের বাইরে কেন??(রিয়াদ)<br /> কি শুরু করলেন আপনারা?(রুমা)<br /> রিয়াদ- তুমি যান না রুমা এইসব মেয়েরা উপরে যত লেবাস পড়ে থাকে মুখোশের আড়ালেই ততটাই নোংরা???<br /> যার একটা প্রমান,,নুসরাত জাহান রাফির হত্যা মামলার একজন আস্বামী কামরুন নাহার মনি...<br /> কত বড় বেঈমানী করলো!<br /> ইসলামী লেবাস পড়ে।<br /> <br /> আরে এরা ইয়াবা থেকে শুরু করে করেনা এমন কোনো জঘন্য কাজ নেই(শহীদ)<br /> <br /> ওদের কথা শুনে আয়শার চোখ ঝাফসা হতে লাগলো দুই বছর আগের সেই এক্সিডেন্টের কথা মনে পড়ে গেল,মনে মনে ভাবছে ওরা যা বলছে তা পুরাপুরি সত্য না হলেও কিছুটা হলেও সত্য!!<br /> যদিও বা কেউ যানেনা কাউকে দেখানো যায়না,,<br /> <br /> আপনারা এমন আমি জীবনেও ভাবিনি(রিয়াদ,শহীদ) কে ইঙ্গিত করে আয়শা যাওয়ার পর(রুমা আপু)<br /> <br /> ভালই বলেছে খোঁজ নিয়ে দেখ কত নোংরামী করে এসেছে(শহীদ)<br /> রুমা-চুপ একদম, না জেনে না শুনে কারো নামে এতটা জঘন্য ভাবে বলার রাইট কোথায় পান আপনারা?<br /> <br /> সাজ্জাদ- তোমরা কাজটা ঠিক করোনি(শহীদ,রিয়াদ)<br /> আসলে ভাইয়া এইসব মেয়েরা এইগুলোই করে বেড়ায়(রিয়াদ)<br /> তুমি এতটা শিউর হলে কিভাবে বোরকা পরা মেয়েরা শুধুই এইসব করে!!(সাজ্জাদ)<br /> <br /> মনের পর্দায় হলো বড় পর্দা,,এত কিছুর প্রয়োজন নেই!(বোরকা,হিজাব,নিকাব)(শহীদ)<br /> খবরদার আর একবার ঐকথা উচ্চারণ করলে,,,জীবন্ত কবর দিব ??(অনেক রাগ নিয়ে সাজ্জাদ)<br /> <br /> রুমা-থাক ভাইয়া বাদ দদেন,,মেয়েটা অনেক কষ্ট পাইছে,,আপনারা মানেন আর নাই মানেন ওই মেয়েটা ভাল না হলে আপনাদের সব কথার উত্তর দিত,,কিন্তু সেটার প্রয়োজন মনে করেনি কারণ সে জানে সে যা করে তার রবের সন্তুষ্টির জন্যই করে।<br /> <br /> সেদিনের পর থেকে আয়শা কারো সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না,,<br /> নিজের মতই থাকে,,পরিবারেও অনেকটা অভাব মুক্ত কারণ আয়শার ভাই জানে আয়শা টিউশনি করেই ওদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছে।<br /> সেক্ষেত্রে ভাইয়াও অনেকটা সস্তি পাই...!<br /> <br /> কিছুদিন যেতেই<br /> আমার আপনাকে খুব ভাল লাগে(সাজ্জাদ)<br /> আয়শার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে,,তার অনেকটা সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা যেখানেই যায় ফেতনায় পড়ে যায়,,যেটাকে সে খুব ভয় পাই।<br /> আবারও মহা সমস্যার সম্মুখীন(মনে মনে আয়শা)<br /> আপনি কি আমাকে বলছেন(আয়শা)<br /> হুম(সাজ্জাদ)<br /> ভেবে বলছেন(আয়শা)<br /> হ্যাঁ(সাজ্জাত)<br /> কিন্তু আপনি কি যানেন এটা শরীয়ত সম্মত না(আয়শা)<br /> কে বলেছে,,হাজার হাজার মানুষ করে আর আমাকে বলছেন শরীয়ত সম্মত না(সাজ্জাদ)<br /> কে কি করে তা আমার দেখার বিষয় না আমি কি করবো  সেটা শরীয়ত সম্মত কিনা? করলে কে খুশি হবে,না করলে কে নারাজ হবে এটা সম্পূর্ণ আমার নিজের একান্তের,তো আর কথা না বাড়ালেই খুশি হবো(আয়শা)<br /> <br /> <br /> 👉👉ফ্লাশ ব্যাক👈👈<br /> ওইদিন সবার সাথে বাড়াবাড়ি করে সাজ্জাদ আয়শার কাছে যায় সবার হয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য...!<br /> সাজ্জাদ- আসলে আমরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় নিজের ঐতিহ্য কে ভুলে গিয়ে নিজের ধর্মের সম্মাননেও আঘাত আনতে দ্বিধা করছিনা,,আমি বলছি ওরা যা করছে সবটা ভুল করছে,, না যেনে আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে প্লিজ ওদের ক্ষমা করে দিন আমি ওদের হয়ে হাতজোর করে ক্ষমা চাচ্ছি!<br /> এইটাতো ওই ছেলে যে সেল্ফি নিতে চাইছিলো এটা এইখনে কোথতেকে কোনোদিন তো দেখিনি(আয়শা মনে মনে)<br /> আয়শা-সমস্যা নেই(মুচকি হেসে)<br /> এটা মেয়ে নাকি রোবট একটু আগে কত কষ্ট মুলক কথা একটা মুচকি হাসি দিয়েই সমাপ্ত করে দিল(সাজ্জাদ মনে মনে)<br /> <br /> সাজ্জাদ- না মানে ক্ষমা করেছেন তো??<br /> আয়শা- ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই,,বললাম তো সমস্যা নেই!<br /> সাজ্জাদ- তারপরও ক্ষমা করেছেন বলেন!!<br /> আয়শা- আচ্ছা করেছি..<br /> মেয়েটা এত সর্টকার্ট করে কথা বলে কেন কি সুন্দর করে কথা বলে,,মন চাই সারাক্ষণ কথা বলি(মনে মনে সাজ্জাদ)<br /> <br /> সাজ্জাদ- আলহামদুলিল্লাহ! জাযাকাল্লাহু খায়রান,,<br /> আমি যায়?<br /> আয়শা- জ্বী শুকরিয়া!<br /> <br /> সেদিন থেকে সাজ্জাদ কিছুই ভাবতে পারেনা আয়শার কথা ছাড়া কেমন জানি বার বার ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু কোনো সুযোগ নেই।<br /> তাই সাহস করে বলেই দিল আপনাকে আমার ভাল লাগে...!<br /> <br /> এরপর,,<br /> দেখুন আমার দ্বারা এইসব হবেনা(আয়শা)<br /> সাজ্জাদ কিছু বলতে যাবে এমন সময় একজন এসে বললো,,<br /> ১০মিনিট পড়ে মিটিং ৫তলায় সবাইকে ম্যানেজারের রুমে গিয়ে উপস্থিত হতে বলেছে(রিমা)<br /> রুমা আপুরাও(আয়শা)<br /> হুম(রিমা)<br /> <br /> আয়শা সুযোগটা পেয়েই ওখানে দাড়িয়ে না থেকে রুমা আপুর কাছে গিয়ে বললো চলেন আমরা সিড়ি দিয়ে উটবো,,,<br /> রুমা- লিফ্ট আছে তো,,এত উপরে সিড়ি বেয়ে,,না চলেন লিফ্টে।<br /> আয়শা-আচ্ছা আপনি যান আমি সিড়ি দিয়ে যায়<br /> আয়শা চলে যাচ্ছে পিছন পিছন রুমাও গেল বাধ্য মেয়ের মত কি করার।<br /> ওরা সবার আগেই পৌঁছে গেল,,<br /> যারা লিফটের জন্য অপেক্ষা করেছে তাদের সবার লেট হয়ে গেল,,<br /> <br /> রিয়াদ,শহীদ,,সাজ্জাদ সহ আরো অনেকেই বোকাটা শুনলো শুধুই আয়শা আর রুমা ছাড়া,,<br /> রুমা মনে মনে আয়শাকে থ্যাংকস দিচ্ছিলো।<br /> <br /> ম্যানেজার স্যার- সবাই কেমন আছেন?<br /> সবাই-জ্বী স্যার ভাল,,শুধু আয়শা ছাড়া,,,<br /> শুনেন আগামীকাল,,আমাদের চেয়ারম্যান স্যার আসবেন উনি ২-৩দিন থাকবেন,সো সবাই যে যার মত কাজ ঘুছিয়ে সম্পূর্ণ করবেন,,যাতে কোন ভুলত্রুটি না থাকে,,বিশেষ করে ডিসিপ্লিন ও ঠিক রাখবেন,,,,,,,,,,<br /> এইভাবে কথা বলতে বলতে চোখ পড়ে আয়শার উপর,,,<br /> <br /> স্যার-আপনি ওইদিন এইভাবে আসবেননা তাহলে সমস্যা হতে পারে,,,<br /> আয়শা-স্যার আমি তো এইরকম ছাড়া থাকতে পারিনা,,,<br /> রিয়াদ-বাড়িতেইও কি এইভাবে থাকেন??<br /> স্যার-কিন্তুু দেখেন আমি আপনার বিষয় বুঝি কিন্তু আপনার চাকরিতে সমস্যা হতে পারে।<br /> সাজ্জাদ-তাহলে স্যার উনাকে ২-৩দিন ছুটি দিয়ে দেন?<br /> স্যার-আপনার সাহস কি করে হয় আমার মুখের উপর কথা বলার সাজ্জাদ??<br /> সাজ্জাদ-সরি স্যার!<br /> আয়শা-স্যার আসলে আমারও মনে হয় আমাকে ছুটি দিলে খুশি হতাম...!<br /> স্যার- গেট আউট আয়শা আপনি আসতে পারেন....<br /> আয়শা- স্যার....?<br /> স্যার- আপনি বের হোন আয়শা<br /> আয়শা- আচ্ছা...!<br /> সাজ্জাদ-এটা কি করলেন স্যার?<br /> স্যার- আপনিও বের হোন আমি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য মিটিং করতেছি ফাজলামি করার জন্য না....<br /> সাজ্জাদ- স্যার সরি,,<br /> স্যার- মেজাজ খারাফ করবেননা সাজ্জাদ...<br /> সাজ্জাদ- ওকে স্যার..<br /> এদিকে আয়শা সিড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছে এমন সময় সাজ্জাদের ডাক........<br /> আয়শা....আপনি????<br /> <br /> চলবে.....<br /> <br /> ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন.....

মুসলিম সংসারের বউ (২য় পর্ব)

২য় পর্ব মুসলিম সংসারের বউ লেখিকা-বিনতে আলম একটা সেল্ফি হবে? আমি তো পুরায় অবাক কি বলে এইসব?? আয়শা-মানে?? সাজ্জাদ-রেগে যাওয়ার কিছু নেই,...

Read more »

হাদিসের গল্প

<h1 class="entry-title" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 30px; font-weight: 400; line-height: 34px; margin: 9px 0px; overflow-wrap: break-word;">হাদিসের গল্পঃ যমযম কূপ ও কাবা ঘর নির্মাণের ঘটনা</h1><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"><br /></div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,তিনি হযরত ইবনে আব্বাস  (রাঃ)  থেকে  বর্ণনা  করেন,একদা হযরত ইবরাহীম(আঃ)  শিশুপুত্র ইসমাঈল ও তাঁর মা হাযেরাকে নিয়ে বের হ’লেন  এমন অবস্থায় যে,হাযেরা তাকে দুধ পান করাতেন। অবশেষে যেখানে কা‘বাঘর অবস্থিত  ইবরাহীম (আঃ) তাঁদের উভয়কে সেখানে নিয়ে এসে মসজিদের উঁচু অংশে যমযম কূপের উপর অবস্থিত একটি বিরাট গাছের নীচে রাখলেন। সে সময় মক্কায় ছিল না কোন জন-মানব, ছিল না কোন পানির ব্যবস্থা। তিনি একটি থলিতে খেজুর ও একটি মশকে সামান্য পানিসহ তাদেরকে সেখানে রেখে ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আঃ)-এর মা পিছনে চলতে লাগলেন এবং বললেন,‘হে ইবরাহীম! এই উপত্যকায় আমাদের রেখে আপনি কোথায় যাচেছন?এখানে না আছে কোন মানুষ,না আছে পানাহারের ব্যবস্থা’। তিনি এ কথাটি তাঁকে বার বার বলতে থাকলেন। ইবরাহীম (আঃ) তাঁর কথায় কান না দিয়ে চলতেই থাকলেন। অতঃপর হযরত হাযেরা</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">জানতে চাইলেন,‘আল্লাহ কি আপনাকে এ কাজের নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন,হ্যা। তখন হাযেরা বললেন,‘তাহ’লে আল্লাহ আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না’।অতঃপর তিনি ফিরে আসলেন। আর ইবরাহীম (আঃ) সামনে চললেন।চলতে চলতে যখন তিনি গিরিপথের বাঁকে পৌঁছালেন,যেখান থেকে স্ত্রী-পুত্র তাকে দেখতে পাচেছ না। সে সময় তিনি কা‘বার দিকে মুখ করে দু’হাত তুলে এ দো‘আ করলেন, ‘<span style="box-sizing: border-box; color: maroon;"><span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">হে প্রভু আমি আমার স্ত্রী ও পুত্রকে চাষাবাদহীন  বিরান  ভূমিতে  তোমার  সম্মানিত  গৃহের  সন্নিকটে  রেখে গেলাম। যাতে তারা ছালাত আদায় করতে পারে। তুমি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দাও এবং তাদেরকে ফলাদি দারা রূযী দান কর, যাতে তারা তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারে।</span></span>’ [<span style="box-sizing: border-box; color: maroon;"><span style="box-sizing: border-box; color: green;">ইবরাহীম ৩৭</span></span>]</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> (এ দো‘আ করে  ইবরাহীম (আঃ) চলে গেলেন)। আর ইসমাঈল (আঃ)- এর মা  তাঁকে তার বুকের দুধ পান করাতেন আর নিজে সেই মশক থেকে পানি পান করতেন। অবশেষে মশকের পানি ফুরিয়ে গেলে তিনি পিপাসিত হ’লেন এবং তাঁর শিশুপুত্রটিও পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ল।  তিনি শিশুটির দিকে দেখতে লাগলেন। তৃষ্ণায় তার বুক ধড়ফড় করছে অথবা বর্ণনাকারী বলেন,সে মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। শিশুপুত্রের এ করুণ অবস্থার প্রতি তাকানো অসহনীয়   হওয়ায়  তিনি  সরে  গেলেন  আর  তাঁর অবস্থানের  নিকটবর্তী পর্বত ‘ছাফা’-কে একমাত্র তাঁর নিকটতম পর্বত হিসাবে পেলেন। অতঃপর তিনি উপরে উঠে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় কি-না তা দেখতে লাগলেন। কাউকে না পেয়ে ছাফা পর্বত থেকে নেমে পড়লেন। এমনকি যখন তিনি নীচু ময়দান পর্যন্ত পৌঁউছালে, তখন তিনি তাঁর কামিজের এক প্রান্ত তুলে ধরে একজন ক্লান্ত-শ্রান্ত   মানুষের মতো ছুটে চললেন। অবশেষে ময়দান অতিক্রম করে ‘মারওয়া’ পাহাড়ের নিকট এসে তাঁর উপর উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর এদিকে সেদিকে তাকালেন,কাউকে দেখতে পান কি-না? কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন না। এমনিভাবে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করলেন।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,নবী করীম (সা:) বলেছেন: ‘<span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">এজন্যই মানুষ হজ্জ ও ওমরাহ্‌ এর সময় উক্ত পাহাড়দ্বয়ের মধ্যে সাতবার সাঈ করে থাকে’। এরপর তিনি যখন ‘মারওয়া’ পাহাড়ে উঠলেন,তখন একটি শব্দ শুনতে পেলেন এবং তিনি নিজেকেই নিজে বললেন,একটু অপেক্ষা কর।তিনি একাগ্রচিত্তে মনোযোগ দিয়ে শুনে বললেন,‘তুমি তো তোমার শব্দ শুনিয়েছ। তোমার কাছে কোন সাহায্যকারী থাকলে আমাকে সাহায্য কর’। অতঃপর তিনি যমযমের নিকট একজন ফেরেশতা দেখতে পেলেন। যিনি নিজের পায়ের গোড়ালি বা ডানা দ্বারা মাটিতে আঘাত করলেন, আর অমনি মাটি ফেটে পানি বের হ’তে লাগল। তখন হাযেরা (আঃ) চারপাশে নিজ হাতে বাঁধ দিয়ে একে হাউযের ন্যায় করে দিলেন এবং কোষ দ্বারা মশকটি ভরে নিলেন। কিন্তু তখনও পানি উপচে উঠতে থাকল।</span>‘</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">হযরত  ইবনে  আব্বাস (রাঃ) বলেন,নবী  করীম (সা:)  বলেছেন: ‘<span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">ইসমাঈলের মাকে আল্লাহ রহম করুন! যদি তিনি বাঁধ না দিয়ে বা কোষে ভরে পানি মশকে জমা না করে যমযমকে ঐভাবে ছেড়ে দিতেন,তবে উহা একটি কূপ না হয়ে প্রবাহমান ঝর্ণায় পরিণত হ’ত’। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি পান করলেন এবং তার পুত্রকে দুধ পান করালেন।</span>‘</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> ফেরেশতা তাকে (হাযেরা) বললেন,‘আপনি ধ্বংসের ভয় করবেন না। কারণ এখানে রয়েছে  আল্লাহর ঘর। এ শিশুটি এবং তার পিতা দু’জনে মিলে এখানে ঘর নির্মাণ করবে এবং আল্লাহ তাঁর  আপনজনকে ধ্বংস করবেন না’। ঐ সময় আল্লাহর ঘরের স্থানটি যমীন থেকে টিলার মত উঁচু  ছিল। বন্যা আসার ফলে তার ডানে বামে ভেঙ্গে যাচিছল। এরপর হাযেরা এভাবেই এখানে দিন যাপন করতে থাকেন।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> অতঃপর এক সময় ‘জুরহুম’ গোত্রের একদল লোক তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল অথবা রাবী বলেন ‘জুরহুম’ পরিবারের কিছু লোক ‘কাদা’ নামক উঁচু ভূমির পথ ধরে এদিকে আসছিল। তারা মক্কার নীচু ভূমিতে অবতরণ করল এবং একঝাঁক পাখিকে চক্রাকারে উড়তে দেখতে পেল । তখন তারা বলল,নিশ্চয় এ পাখিগুলো পানির উপর উড়ছে। আমরা এ ময়দানের পথ হয়ে বহুবার অতিক্রম করেছি। কিন্তু এখানে কোন পানি ছিল না। তখন তারা একজন কি দু’জন লোক সেখানে পাঠালো। তারা সেখানে গিয়েই পানি দেখতে পেল। তারা সেখান থেকে ফিরে এসে সকলকে পানির সংবাদ দিল। সংবাদ শুনে সবাই সেদিকে অগ্রসর হ’ল। রাবী বলেন, ইসমাঈল (আঃ)-এর মা পানির নিকট ছিলেন। তারা তাঁকে বলল,আমরা আপনার  নিকটবর্তী স্থানে বসবাস  করতে  চাই।  আপনি  আমাদেরকে অনুমতি দিবেন কি? তিনি জবাব দিলেন,হ্যা। তবে,এ পানির উপর তোমাদের কোন অধিকার থাকবে না। তারা হ্যা বলে তাদের মত প্রকাশ করল।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,এ ঘটনা হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর মাকে মানুষের সাহচর্যে থাকার সুযোগ করে দিল। অতঃপর তারা সেখানে বসতি  স্থাপন  করল  এবং  তাদের  পরিবার-পরিজনের  নিকটও  সংবাদ পাঠাল। তারপর  তারাও  এসে  তাদের  সাথে  বসবাস  করতে  লাগল। অবশেষে সেখানে তাদেরও কয়েকটি পরিবারের বসতি স্থাপিত হ’ল। আর ইসমাঈল (আঃ)ও যৌবনে উপনীত হলেন এবং তাদের কাছ থেকে আরবী ভাষা শিখলেন। যৌবনে পদার্পণ   করে তিনি তাদের কাছে অধিক আকর্ষণীয় ও প্রিয়পাত্র হয়ে উঠলেন। অতঃপর যখন তিনি পূর্ণ যৌবন লাভ করলেন,তখন তারা তাদেরই একটি মেয়ের সাথে ইসমাঈল (আঃ)-এর বিবাহ দিলেন।ইতিমধ্যে হাযেরা মারা গেলেন।ইসমাঈলের বিবাহের পর ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পরিত্যক্ত পরিজনের অবস্থা দেখার জন্য এখানে আসলেন। কিন্তু তিনি ইসমাঈল (আঃ)-কে পেলেন না।তিনি ইসমাঈল(আঃ)-এর স্ত্রীর নিকট তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলেন। পুত্রবধূ বলল, ‘তিনি আমাদের জীবিকার খোঁজে বেরিয়ে গেছেন। অতঃপর তিনি তাদের জীবিকা ও অবস্থা জানতে চাইলেন। তখন ইসমাঈলের স্ত্রী দুর্দশার অভিযোগ করে বলল,আমরা অতি দূরবস্থায়, অতি টানাটানি ও খুব কষ্টে আছি’। এ কথা শুনে ইবরাহীম (আঃ) বললেন,‘তোমার স্বামী বাড়ী আসলে আমার সালাম দিয়ে তার ঘরের চৌকাঠ বদলিয়ে নিতে বলবে’।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> এরপর যখন হযরত ইসমাঈল(আঃ) বাড়ী আসলেন,তখন যেন তিনি কিছু আঁচ করতে পারলেন। তিনি বললেন, তোমার নিকট কোন ব্যক্তি এসেছিল কি?স্ত্রী বলল,হ্যা। আমাদের নিকট এরূপ একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন এবং আমাকে আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলেন। আমি তাকে আপনার খবর দেই। তিনি আমাদের জীবন-জীবিকা কিভাবে চলছে তা জিজ্ঞেস করেন। তখন আমি তাকে বলি,আমরা খুব কষ্টে ও অভাবে আছি। ইসমাঈল (আঃ) বললেন, তিনি কি তোমাকে কোন বিষয়ের অছিয়ত করেছেন? তিনি বললেন,হ্যা। তিনি তার সালাম আপনাকে দেয়ার নিদের্শ প্রদান করেছেন এবং বলেছেন,তোমার দরজার চৌকাঠ পরিবতর্ন করে নিও। ইসমাঈল  (আঃ)  বললেন,‘উনি  আমার  পিতা। তিনি  আমাকে তোমাকে      পৃথক   করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।তুমি তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও’। অতঃপর তিনি তাকে তালাক দিয়ে অপর একটি মেয়েকে বিবাহ করলেন।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) এদের থেকে আল্লাহ যতদিন চাইলেন ততদিন দূরে থাকলেন। অতঃপর তিনি আবার তাদের দেখতে আসলেন। এবারেও তিনি পুত্রকে দেখতে পেলেন না। পুত্রবধূকে তার পুত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তর দিলেন,তিনি আমাদের জীবিকার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। এরপর ইবরাহীম (আঃ) বললেন,তোমরা কেমন আছ? অতঃপর তিনি তাদের জীবন যাপন ও অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। তিনি বললেন,আমরা ভাল ও সচছল আছি এবং তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন। ইবরাহীম (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন,‘তোমাদের প্রধান খাদ্য কি? সে বলল,গোশত। তিনি আবার বললেন,‘তোমাদের পানীয় কি?সে বলল,পানি।ইবরাহীম (আঃ) দো‘আ করলেন,‘হে আল্লাহ্‌! তাদের গোশত ও পানিতে বরকত দিন। রাসূল (ছাঃ) বলেন,তাদের জন্য তখন শস্য ছিল না। যদি থাকত তাহলে তিনি তাতে বরকত দানের জন্য দো‘আ করতেন। রাবী বলেন,মক্কা ব্যতীত অন্য কোথাও কেউ শুধু পানি ও গোশত দ্বারা জীবন ধারণ করতে পারে না। কেননা শুধু গোশত ও পানি জীবন যাপনের অনুকলূ হ’তে পারে না।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">ইবরাহীম (আঃ) বললেন,‘তোমার স্বামী ঘরে ফিরে আসলে আমার সালাম দিয়ে তার ঘরের চৌকাঠ ঠিক রাখার কথা বলবে’। অতঃপর ইসমাঈল (আঃ) বাড়ী এসে বললেন, তোমাদের  নিকট কেউ এসেছিলেন কি?স্ত্রী বলল,হ্যা। একজন সুন্দর চেহারার বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন এবং সে তাঁর প্রশংসা করল,তিনি আমাকে আপনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাঁকে আপনার সংবাদ জানিয়েছি। অতঃপর তিনি আমার নিকট আমাদের জীবন যাপন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি তাঁ কে জানিয়েছি যে,আমরা ভাল আছি। ইসমাঈল (আঃ) বললেন, তিনি কি তোমাকে কোন বিষয়ের অছিয়ত করে গেছেন? সে বলল,হ্যা। তিনি আপনার প্রতি সালাম  জানিয়ে আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে,আপনি যেন আপনার ঘরের চৌকাঠ ঠিক রাখেন।  ইসমাঈল (আঃ) বললেন,ইনি আমার পিতা,আর তুমিআমার ঘরের চৌকাঠ। তিনি আমাকে  তোমাকে স্ত্রী হিসাবে বহাল রাখার নিদের্শ দিয়েছেন।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">আল্লাহর ইচ্ছায় হযরত ইবরাহীম (আঃ) বহুদিন পর এসে দেখেন তার পুত্র যমযম কূপের নিকটে  একটি বড় গাছের নীচে বসে তীর মেরামত করছেন। পিতাকে দেখে তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে গেলেন। অতঃপর পিতা ছেলের সাথে বা ছেলে পিতার সাথে সাক্ষাৎ হ’লে যেমন করে থাকে তাঁরা উভয়ে তাই করলেন। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) বললেন,‘হে ইসমাঈল! আল্লাহ আমাকে একটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল (আঃ) বললেন,আপনার প্রভু আপনাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করুন। তিনি বললেন, তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? ইসমাঈল বললেন,আমি আপনাকে  সাহায্য  করব।  ইবরাহীম  (আঃ)  বললেন,আল্লাহ  এখানে  আমাকে একটি ঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। একথা বলে তিনি উঁচু  টিলাটির দিকে ইঙ্গিত করলেন যে,  এর চারপাশে ঘেরাও দিয়ে। তখনি বাপ-বেটা কা‘বাঘরের দেয়াল তুলতে লেগে গেলেন। ইসমাঈল (আঃ) পাথর আনতেন,আর ইবরাহীম (আঃ) নির্মাণ করতেন। পরিশেষে যখন দেওয়াল উঁচু হয়ে গেল,তখন ইসমাঈল (আঃ) (মাকবামে ইবরাহীম নামক) পাথরটি আনলেন এবং যথাস্থানে রাখলেন। ইবরাহীম (আঃ) তার উপর দাঁড়িয়ে নির্মাণ কাজ করতে লাগলেন। আর ইসমাঈল (আঃ) তাকে পাথর যোগান দিতে থাকেন। তারা উভয়ে আল্লাহর কাছে দো‘আ করলেন যে: ‘<span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাত।</span>’ </div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">[<span style="box-sizing: border-box; color: green;">বাকবারাহ ১২৭</span>] </div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">তাঁরা উভয়ে আবার কা‘বাঘর তৈরি করতে থাকেন এবং কা‘বাঘরের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে এ দো‘আ করতে থাকেন,‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের পক্ষ থেকে কবলুকরুন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছু শুনেন ও জানেন’</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"> [বাকবারাহ ১২৭; ছহীহ বুখারী হা/৩৩৬৪ ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, অনুচেছদ-৯]।</div><h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"><span style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"> শিক্ষা:</span></span></h3><ul style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 26px; padding: 0px;"><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">আললাহর হুকুমকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তাঁর সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজনে স্ত্রী-পুত্রসহ সবকিছু ত্যাগ করতে হবে।</li><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে ও তাঁর উপর ভরসা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই ধৈর্যহারা হওয়া চলবে না।</li><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">পরিবার ও সন্তান সন্ততির জন্য দো‘আ করতে হবে।</li><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">একক নয়; বরং যৌথ উদ্যোগে সামাজিক কাজ সম্পাদন করতে হবে।</li><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">হাযেরার মতো সুদৃঢ় ঈমানের অধিকারীণী হওয়ার জন্য মা-বোনদের সচেষ্ট হ’তে হবে।</li><li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px; text-align: justify;">আল্লাহর আনুগত্য ও ধৈর্যের পরিণাম সর্বদা কল্যাণকরই হয়।</li></ul>

হাদিসের গল্প

হাদিসের গল্পঃ যমযম কূপ ও কাবা ঘর নির্মাণের ঘটনা হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,তিনি হযরত ইবনে আব্বাস  (রাঃ)  থেকে  বর্ণনা  করেন,একদ...

Read more »

মুসলিম সংসারের বউ (১ম পর্ব)

অবশেষে আপুর বিয়েটা হয়েই গেল,,,<br /> ভাইয়ার অনেক কষ্ট হয়েছে সবকিছু সামাল দিয়াতে,,হবেও বা না কেন বাবা ছাড়া বড় ছেলের যে পরিমাণ দায়িত্ব,কর্তব্য,কত টেনশনে থাকতে হয় তা শুধু বড় ছেলেরাই ভাল যানে!<br /> নিজের,ছোট ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানো,,সংসারের হাল ধরে থাকা সত্যিই অসম্ভব কষ্টের।<br /> <br /> ইন্টার তো পাশ করেছি,,ভাবলাম ভাইয়া কে একটু সাহায্য করলে কেমন হয়,কতইনা কষ্ট করে।<br /> যেই ভাবা সেই কাজ,,বন্ধুদের মধ্যে অনেকজন কে বললাম যদি একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে ভালই হয়,,<br /> <br /> আলহামদুলিল্লাহ!<br /> খবর একটা পাওয়া গেল,,আগামীকাল ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে.<br /> আমি জানতাম কেউ রাজি হবেনা তাই কাউকে কিছু না বলেই সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ি,,আলহামদুলিল্লাহ ইন্টারভিউ তে টিকে গেলাম!<br /> ভাবতেই ও পারছি আমি চাকরি পেলাম,,,আনন্দের সীমা নেই এইভেবে যে,,আমিও দায়িত্ব নিতে পারি ভাইয়া কে সাহায্য করতে পারবো এর চেয়ে বড় কিছু স্বপ্নেও ছিলনা,,<br /> <br /> যাই হোক,,অনেক কষ্টে আম্মু কে ম্যানেজ করলাম,,তবে একটা শর্ত ভাইয়া যেন না জানে,,,জানলে খুব কষ্ট পাবে আর খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছে।<br /> <br /> আজ অফিসের প্রথম দিন,,,খুব অস্বস্তি লাগছে!<br /> এত মানুষ কোন জাতের তা মিল পাওয়া যাচ্ছেনা!<br /> তবুও অনেক সাহস করে ভিতরে প্রবেশ করলাম,,<br /> মাশাআল্লাহ অফিসের ভিতরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর,<br /> যে যার মত কাজ করছে,,<br /> কিন্তু কয়েকজন আমাকে দেখে তো হা হয়ে গেছে মনে হয় জীবনে ও কোনো মেয়ে মানুষ দেখেনি,,ওই দিকে না থাকিয়ে নিজের কাজের জায়গাতে গেলাম,,<br /> একজন এসে আমায় কাজ বুঝিয়ে দিল ভালই লাগছে,,<br /> নিজেকে অনেক বড় মনে হচ্ছে,,কত দায়িত্ব আজ আমার!<br /> <br /> এইভাবেই শুরু হলো আমার ব্যস্ত জীবন,,,<br /> এক্সিডেন্টে টা হওয়ার পর নিজেকে নিয়ে আর ভাবা হয়নি এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষগুলোর মধ্যে আমি একজন!!<br /> অন্তত পরিবারের জন্য কিছু করতে পারবো এটা ভেবেই খুব আনন্দিত,<br /> <br /> কাজ,,অফিস,বাসা,,এই নিয়েই খুব ভালোই কাটছে দিন..<br /> জীবনের সেকেন্ড পার্ট শুরু হয় একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে,, শুরু করা যাক সেটা,,<br /> <br /> @একদিন অফিস যাওয়ার পথে একজন মুরব্বি কে দেখলাম মানুষের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন,,কিন্তু আমার কাছে উনাকে দিয়ার মতই কিছু ছিলনা,,ছিল একটা আপেল যেটা টিফিনের জন্য এনেছিলাম,,আমি উনাকে আপেলটা দিলাম যাতে কেউ না দেখে,,<br /> হঠাৎ দেখলাম পিছনে একজন ডাক দিল আমি শুনেও না শুনার ভান করে চলে আসবো তখনি একজন হাপাঁতে হাপাঁতে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলছে প্লিজ একটা সেল্ফি হবে...!!???<br /> আমি তো পুরায় অবাক কি বলে এইসব!<br /> <br /> গল্পের নায়ক হচ্ছেন,,মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবা ছাড়া দুই বোনের এক ভাই,,ওহাবী আকিদার অনেক স্মার্ট,,বিলাস বহুল জীবনের পথযাত্রী সাজ্জাদ হোসেন,,আর নায়িকা হচ্ছেন সুন্নী মতাদর্শের পাক্কা অনুসারী,,আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়ের আদরের মেয়ে দুই ভাইয়ের কলিজা বোনের প্রিয় সঙ্গী,,নাম আয়শা<br /> ভাইকে সাহায্য করতে গিয়েই শুরু হয় জীবনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!<br /> দেখা যাক শেষে গিয়ে কি হয়<br /> <br /> #গল্প-মুসলিম সংসারের বউ<br /> ১ম পর্ব<br /> (নায়ক-নায়িকা ছাড়া তো গল্প হয়না,,তাই একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হবে।)

মুসলিম সংসারের বউ (১ম পর্ব)

অবশেষে আপুর বিয়েটা হয়েই গেল,,, ভাইয়ার অনেক কষ্ট হয়েছে সবকিছু সামাল দিয়াতে,,হবেও বা না কেন বাবা ছাড়া বড় ছেলের যে পরিমাণ দায়িত্ব,কর্তব্য,কত ট...

Read more »

ভারতে ফের মসজিদে হামলা আগুন, মিনারে টাঙালো হনুমানের পতাকা

<div class="padding15 box-white" style="box-sizing: border-box; padding: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); color: rgb(51, 51, 51); font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important;"><blockquote class="no-margin no-padding" style="box-sizing: border-box; padding: 0px; font-size: 17.5px; border-left-width: 5px; border-left-color: rgb(238, 238, 238); margin: 0px !important;"><div class="row" style="box-sizing: border-box; margin-right: -10px; margin-left: -10px;"><div class="col-sm-4 text-right" style="box-sizing: border-box; text-align: right; position: relative; min-height: 1px; padding-right: 10px !important; padding-left: 10px !important;"><div class="hidden-print" style="box-sizing: border-box;"><div class="custom-social-share" style="box-sizing: border-box;"><div class="sharethis-inline-share-buttons st-center st-inline-share-buttons st-animated" id="st-1" style="box-sizing: border-box; font-family: "Helvetica Neue", Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; direction: ltr; opacity: 1; text-align: center; z-index: 94034; transition: o 0.2s ease-in 0s, p 0.2s ease-in 0s, a 0.2s ease-in 0s, c 0.2s ease-in 0s, i 0.2s ease-in 0s, t 0.2s ease-in 0s, y 0.2s ease-in 0s;"></div></div></div></div></div></blockquote></div><div class="content-details text-justify" style="box-sizing: border-box; text-align: justify; padding: 15px 15px 0px;"><div style="color: rgb(51, 51, 51); font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px;"><div>ভারতে ফের মসজিদে হামলা আগুন, মিনারে টাঙালো হনুমানের পতাকা</div><div>ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৮ এএম</div><div>ফোর রণক্ষেত ভারতের রাজধানী দিল্লি। শহরের বিভিন্ন স্থানে সিএএর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এখনও থামেনি। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই দিল্লির একটি মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।</div><div>মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো ভারতে দু'দিনের সফর করেছেন। এই সফরে তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ট্রাম্প দিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।</div><div>বিক্ষোভ-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার একদল উন্মত্ত জনতা জয় শ্রী রাম বলতে বলতে অশক নগর এলাকার একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়।</div><div>ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, একদল লোক একটি মসজিদের মিনারে উঠছে এবং সেখানে একটি পতাকা স্থাপনের চেষ্টা করছে। তারা মসজিদের মিনারে উঠে মাইক ভেঙে ফেলে দেয় এবং সেখানে হনুমানের ছবি সম্বলিত একটি পতাকা উত্তোলন করে।</div><div>কিছুক্ষণ পরেই আরও এক ব্যক্তি একটি ভারতীয় পতাকা নিয়ে আসে এবং সেটাও উত্তোলন করা হয়। ওই এলাকার দোকানগুলোতেও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।</div><div>স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা রাজেশ কালরা এএফপিকে বলেন, মঙ্গলবার ৩১ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনিল মিত্তল নামে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সহিংসতায় ১৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন।</div><div>রোববার উত্তর দিল্লির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্তত তিনটি স্থানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। টেলিভিশনে প্রচারিত কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সংঘর্ষস্থলের আশপাশের ভবনে আগুন জ্বলছে।</div><div>সোমবার একটি টায়ার মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একটি ভিডিও ফুটেজে একদল লোককে জয় শ্রী রাম বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরে কার্ফু জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।</div><div>পুরো উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। গাজিয়াবাদ-দিল্লিতে চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।</div><div><br></div></div></div>

ভারতে ফের মসজিদে হামলা আগুন, মিনারে টাঙালো হনুমানের পতাকা

ভারতে ফের মসজিদে হামলা আগুন, মিনারে টাঙালো হনুমানের পতাকা ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩৮ এএম ফোর রণক্ষেত ভারতের...

Read more »

সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আঃ

<div style="text-align: justify;">সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আঃ<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।</div><div style="text-align: justify;">اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ-</div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।]</div>

সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আঃ

সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ ক...

Read more »

༄ ❝ অপেক্ষার প্রহর ❞ ༄

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-a37df27b-7fff-859b-ca29-f9bd85ef0d7e" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">✍ মাসুম বিল্লাহ সানি<br></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">━━━━━━━━━━━━━━━━━</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ক্বলব আমার করেছ চৌচির, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফেঁপে উঠেছে কঠিন প্রাচির।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বাঁধ কে দিবে বলো না এবার-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পাব তোমায় ভাঙলে কতবার?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কতবার গিয়েছি ভিড়ে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কত অশ্রু ঝরে-তোমারই তীরে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাজ মহারাজ তোমারই কদমে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি ভিক্ষুক দূর রয়ে থাকি,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সরল আর্জিতে, তোমায় ডাকি-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তোমাতেই বাঁচি, স্বপ্ন দেখি!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমারও তো হৃদয় আছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সেথায় কেবল আঁচড় কাটে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে ভাষাতেই ডাকি না কেন?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি সাক্ষী-তুমি তা জান!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তুমি না কাউকে কর না মানা?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাকেও কিঞ্চিৎ ঠাঁই দাও না!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হোক না হয় একবিন্দু-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিন্দুর মাঝেই তোমাকে আমি,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সিন্ধু ভরে খুঁজে যাব!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-ওগো প্রেমাষ্পদ!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি জানি-তুমি সাক্ষী!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর আছি-অপেক্ষায় বাঁচি,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব্যর্থ জীবনের প্রহর গুণি!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কবে আমায় অস্তিত্ব দিবে?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কবে জীবনের মূল্য হবে?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুচোখ যখন বন্ধ হবে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তখন কি তুমি আমার হবে?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেবল এবার বন্ধের পালা-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বন্ধ চোখে গাঁথব মালা!</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তখন না হয়-ডেকে নিও, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি যাযাবর তোমারই পিছু!</span></div> </div>

༄ ❝ অপেক্ষার প্রহর ❞ ༄

✍ মাসুম বিল্লাহ সানি ━━━━━━━━━━━━━━━━━ ক্বলব আমার করেছ চৌচির,  ফেঁপে উঠেছে কঠিন প্রাচির। বাঁধ কে দিবে বলো না এবার- পাব তোমায় ভাঙল...

Read more »

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?<br> <br> ♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন,<br> <br> “বোখারী শরীফের বাইরে আমার এক লক্ষ সহীহ হাদীস মুখস্ত রয়েছে।”<br> <br> ★ ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) হাদয়ুস সারী পৃ: ৭<br> ★ ইমাম যাহাবী সিয়ারু আলামিন নুবালা পৃ ১২/৪০২<br> ★ তবকাতুস- সুবকী ২/৭<br> ★ তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত ১/৭৪<br> ★আল-কামিল, ইবনে আদী ১/১২৬,<br> ★তারীখে বাগদাদ, খতীবে বাগদাদীর প্রনীত ২/৮-৯,<br> ★শুরুতি আইম্মাতিল খামসা, হাযেমী ১৬০,১৮৫<br> <br> সকল সালাফী আহলে হাদিস ও কতিপয় ওহাবী এটা প্রচার করে থাকে যে বুখারী ও মুসলিম পড়বে কারন এর বেশির ভাগ হাদিস সহীহ। সাথে আরো বলে থাকে যে দ্বয়ীফ হাদিস আমরা মানি নি অনুসরন করব না।<br> <br> সেই সব ওহাবী সালাফীদের কে বলছি যারা দ্বয়ীফ ফতোয়া মেরে লক্ষ লক্ষ হাদিস থেকে মানুষকে বিমুখ করে দিচ্ছে- -<br> <br> ★ বুখারী , মুসলিম,তিরমিযি, আবু দাউদ,  নাসাঈ, মুসনদে আহমদদ এগুলো সিহাহ সিত্তাহ বলা হয় কারন এগুলোতে সহীহ হাদিস বেশি রয়েছে (দেখুন - বেশি রয়েছে বলা হয় কিন্তু Challenge করে বলছি সব হাদিস সহিহ এ কথা কেউ বলতে পারবে না) তাহলে কি তাদের ফতোয়া অনুসারে হাদিসের ইমামগন কি জানতেন না যে দ্বয়ীফ হাদিস আমল করা ঠিক না পাপ আর পথভ্রষ্টতা?<br> <br> ★ আসলে হাদিসের সমস্ত ইমামগন জানতেন সেটা যে,<br>  সহিহ ও দ্বয়ীফ হাদিস ২টাই আমল করা যায় এবং আমল করা উচিত (কারন এটা স্বয়ং রাসুল (সা) এর পবিত্র বানী বা সমর্থন সনদের ত্রুটির কারনে একটু দুর্বল হতে পারে কিন্তু এর সম্মান ঠিকই এর গুরুত্ব ঠিকই রয়েছে) কিন্তু জাল হাদিস আসলে কোন হাদিসই নয় তাই কোন ইমাম কোনদিন কাউকে কোন জাল হাদিস আমল করতেও বলে নি তাদের কিতাবে বর্ননাও করে না যদি বর্ননা করে থাকেন তবে তা মানুষকে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়ার জন্য সেক্ষেত্রে এগুলো তাদের কোন সহিহ কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন নি।<br> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjt9j1as7gaVsn3fTpRgAJ8t1ijIurKuppbSdyRivCfTXJHbh1-P5gECI3c8xor3VjGmL_1tGIjy4ZXLjWKfjQOtlKWyeeygWEbyZxT-IxCGHYAag2CczVe8GtlqzpSZZ6G-8g4stLTOdJ9/s1600/FB_IMG_1582635887270.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="712" data-original-width="720" height="316" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjt9j1as7gaVsn3fTpRgAJ8t1ijIurKuppbSdyRivCfTXJHbh1-P5gECI3c8xor3VjGmL_1tGIjy4ZXLjWKfjQOtlKWyeeygWEbyZxT-IxCGHYAag2CczVe8GtlqzpSZZ6G-8g4stLTOdJ9/s320-rw/FB_IMG_1582635887270.jpg" width="320"></a></div> <br> <br> ★ অপর দিকে বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে দেখা যায় দ্বয়ীফ হাদিসের সংখ্যা উক্ত কিতাবের সহিহ হাদিসেরও বেশি, কখনো সমান আর কখনো অর্ধেক সংখ্যক দ্বয়ীফ হাদিস আছে। বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য সিহাহ সিত্তার<br> কিতাবেই এর উতকৃষ্ট প্রমান বিদ্যমান।<br> <br> ★ দ্বয়ীফ আর জাল হাদিস যদি একই ক্যাটাগরির হাদিস হতো আর এগুলো আমল করলে যদি পাপই হত পথভ্রষ্টতাই হত তাহলে মুহাদ্দিসগন (হাদিস বিশারদগন) লক্ষ লক্ষ হাদিস ঘেটে ঘেটে এই সব হাদিস লিপিবদ্ধ করতেন না তারা নিশ্চই কোন মুসলমানকে পাপের দিকে ঠেলে দিবে না !!<br> <br> ★ সালাফি, ওহাবীদের কথা অনুযায়ী জাল আর দ্বয়ীফ যদি same হত তাহলে দুনিয়াতে কোন হাফিজুল হাদিস (১ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) ও কোন হুজ্জাতুল ইসলাম (৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) পাওয়াই যেত না।<br> <br> ★ খুব সহজ বুখারী ও মুসলিম শরীফের ৯/১০ হাজার মুখস্ত করা কিন্তু ১ লক্ষ বা ৩ লক্ষ হাদিস মুখস্ত করা সাধারন কথা নয়। তাও যদি আবার সেটা মুল্যহীনই ( valueless ) হত তাহলে ওনাদের এত কষ্ট করে কিতাবই লিখার কি দরকার ছিল আর এত লক্ষ হাদিস মুখস্ত করারই কি দরকার ছিল? কি হাস্যকর ওহাবী আহলে-হাদিস দের জাল-দ্বয়ীফ ফতোয়া মারার ব্যাপারটা তাই না?<br> <br> মূলতঃ সিয়া ছিত্তার বাইরেও অসংখ্য সহীহ হাদীসের কিতাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইবনুস সালাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ বিখ্যাত হাদীস শরীফ বিশারদগন বলেন, সিয়া ছিত্তা ছাড়াও আরো ৫০ এরও বেশি সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব আছে।<br> নিম্নে এর কতিপয় কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো-<br> <br> (১) মুসনাদুল ইমাম আবু হানীফা।<br> বিলাদাত- ৮০ হিজরী, ওফাত- ১৫০ হিজরী।<br> --হানাফী মাযহাবের প্রধান ইমাম এবং তাবেয়ী যুগের বিশিষ্ট ইমাম<br> --ইমাম বুখারীর পিতার উস্তাদের উস্তাদ।<br> <br> (২) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মালেক।<br> জন্ম- ৯৫ হিজরী, ওফাত- ১৭৯ হিজরী।<br> --ইমাম মালেক (রহ) এর মুয়াত্তা কোন কোন মুহাদ্দিসগন বুখারী শরীফের উপরে স্থান দিয়েছেন।<br> <br> (৩) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মুহম্মদ ।<br> জন্ম- ১৩৫ হিজরী, ওফাত- ১৮৯ হিজরী।<br> <br> (৪) আল মুছান্নাফ লি আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম ।<br> জন্ম- ১২০/১২৬ হিজরী, ওফাত- ২১১ হিজরী।<br> --ইমাম বুখারী (রহ)' র দাদা ও উস্তাদ<br> --ইমাম হাম্বল (রহ) উস্তাদ<br> <br> (৫) মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল।<br> জন্ম- ১৬৪ হিজরী, ওফাত- ২৪১ হিজরী।<br> <br> (৬) মুসনাদুত তায়লাসী।<br> জন্ম-___, ওফাত- ২০৪ হিজরী।<br> <br> (৭) কিতাবুল আছার লি ইমাম আবু ইউছুফ।<br> জন্ম- ১১৩ হিজরী, ওফাত- ১৮২ হিজরী।<br> <br> (৮) মুসনাদুল হুমায়দী।<br> জন্ম-____ , ওফাত- ২১৯ হিজরী।<br> <br> (৯) মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ।<br> জন্ম- ১৫৯ হিজরী, ওফাত- ২৩৫ হিজরী।<br> <br> (১০) বুখারী শরীফ (আল জামিউল মুসনাদুছ ছহীহুল মুখতাছারু মিন উমুরি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী )<br> জন্ম- ১৯৪ হিজরী, ওফাত- ২৫৬ হিজরী।<br> <br> (১১) আছ ছহীহুল মুসলিম ।<br> জন্ম- ২০৪ হিজরী, ওফাত- ২৬১ হিজরী।<br> <br> (১২) সুনানু আবু দাউদ।<br> জন্ম- ২০২ হিজরী, ওফাত- ২৭৫ হিজরী।<br> <br> (১৩) আল জামিউ ওয়াস সুনানুত তিরমিযী।<br> জন্ম- ২১০ হিজরী, ওফাত ২৭৯ হিজরী।<br> <br> (১৪) সুনানুন নাসায়ী।<br> জন্ম- ২১৫ হিজরী, ওফাত- ৩০৩ হিজরী।<br> <br> (১৫) সুনানু ইবনে মাজাহ।<br> জন্ম- ২০৯ হিজরী, ওফাত- ২৭৩ হিজরী।<br> <br> (১৬) সুনানুদ দারিমী।<br> জন্ম- ১৮১ হিজরী, ওফাত- ২৫৫ হিজরী।<br> <br> (১৭) মুসনাদুল বাযযার।<br> জন্ম-_____ , ওফাত- ২৯২ হিজরী।<br> <br> (১৮) শরহু মা’আনিল আছার (ত্বাহাবী শরীফ)<br> জন্ম- ২২৯ হিজরী, ওফাত- ৩২১ হিজরী।<br> <br> (১৯) ছহীহ ইবনে হিব্বান।<br> জন্ম- ৩৫৪ হিজরী, ওফাত- ৪৬৫ হিজরী।<br> <br> (২০) মাছাবিহুস সুন্নাহ ও মিশকাত।<br> জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br> <br> (২১) আল মু’জামুছ ছগীর লিত তাবরানী।<br> জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br> <br> (২২) আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী।<br> জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br> <br> (২৩) আল মু’জামুল কবীর লিত তাবরানী।<br> জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br> <br> (২৪) আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন।<br> জন্ম- ৩২১ হিজরী, ওফাত- ৪৫০ হিজরী।<br> <br> (২৫) ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ।<br> জন্ম- ২২৩ হিজরী, ওফাত- ৩১১ হিজরী।<br> <br> (২৬) আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী।<br> জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br> <br> (২৭) আস সুনানুছ ছগীর লিল বাইহাক্বী।<br> জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br> <br> (২৮) শুয়াইবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী।<br> জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br> <br> (২৯) মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী।<br> জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৩৫৮ হিজরী।<br> <br> (৩০) শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী।<br> জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br> <br> (৩১) মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নুয়াইম।<br> জন্ম- ৩৩৬ হিজরী, ৪৩০ হিজরী।<br> <br> (৩২) জামিউল আহাদীস লিছ সূয়ুতি।<br> জন্ম- ৮৪৯ হিজরী, ওফাত- ৯১১ হিজরী।<br> <br> (৩৩) গায়াতুল মাক্বছাদ ফী যাওয়ায়িদিল মুসনাদ।<br> জন্ম- ৭৩৫, ওফাত- ৮০৭ হিজরী।<br> <br> (৩৪) কানযুল উম্মাল।<br> জন্ম-_____ , ওফাত- ৯৭৫ হিজরী।<br> <br> (৩৫) আখবারু মক্কতা লি আযরাক্বী।<br> <br> (৩৬) ছহীহ ইবনে ওয়ায়না।<br> <br> (৩৭) সহীহ ইবনুস সাকান।<br> <br> (৩৮) সহীহ মোন্তাকা।<br> <br> (৩৯) মুখতাসা রেজিয়াহ।<br> <br> (৪০) সহীহ যুরকানী।<br> <br> (৪১) সহীহ ইসফেহানী।<br> <br> (৪২) সহীহ ইসমাঈলী।<br> <br> (৪৩) কিতাবুল খেরাজ।<br> <br> (৪৪) কিতাবুল হেজাজ।<br> <br> (৪৫) কিতাবুল আ’মলী।<br> <br> (৪৬) মুসনাদে শাফেয়ী।<br> <br> (৪৭) মুসনাদে আবু ইয়ালা।<br> <br> (৪৮) মুসনাদে দারে কুতনী।<br> <br> (৪৯) কিতাবুল ই’তিকাদ।<br> <br> (৫০) কিতাবুদ দোয়া।<br> <br> (৫১) মুসনাদে হারেস ইবনে উমামা।<br> <br> (৫২) মুসনাদে বাজ্জার।<br> <br> (৫৩) সুনানে সাঈদ ইবনে মনছুর।<br> <br> (৫৪) সুনানে আবী মুসলিম।<br> <br> (৫৫) শিফা শরীফ।<br> <br> (৫৬) আল হুলইয়া।<br> <br> (৫৭) তাহযীবুল আছার।<br> <br> (৫৮) আল মুখতারা।<br> <br> (আল্লাহ ওনাদের ঊপর রহমত নাজিল করুন)<br> <br> এছাড়াও আরো অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!<br> <br> মুলত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক হতে শুরু করে বিছাল শরীফ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬৩ বছর পর্যন্ত যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রকাশ করেছেন সবই পবিত্র হাদীস শরীফের অন্তর্গত।<br> কিন্তু উছুল অনুযায়ী যদি ৪০ বছর মুবারক থেকে ৬৩ বছর মুবারক পর্যন্ত ২৩ বছরও যদি ধরি, এই ২৩ বছরে যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রদান করেছেন সবই হাদীস শরীফ।<br> অংক করে দেখুন,<br> ২৩×৩৬৫= ৮৩৯৫ দিন।<br> আবার, ৮৩৯৫×২৪= ২০১৪৮০ ঘন্টা।<br> আবার, ২০১৪৮০×৬০= ১২০৮৮৮০০ মিনিট।<br> <br> তার মধ্যে রাসুল (সা) এর ঘুম, চলা-ফেরা, কাজ-কর্ম, উঠা-বসা, মনোসম্মতি, সাহাবায়ে কেরাম এর বর্নিত হাদিস নিয়ে কত লক্ষ হাদিস ছিল বলা বাহুল্য তা আল্লাহই ভাল জানেন।<br> <br> পরিশেষে, ওহাবী সালাফী ভ্রান্ত- মুর্খদের মতবাদের হাত থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।</div>

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি? ♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন, “বোখারী শরীফের বাই...

Read more »

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?<br><br /><br><br />♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন,<br><br /><br><br />“বোখারী শরীফের বাইরে আমার এক লক্ষ সহীহ হাদীস মুখস্ত রয়েছে।”<br><br /><br><br />★ ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) হাদয়ুস সারী পৃ: ৭<br><br />★ ইমাম যাহাবী সিয়ারু আলামিন নুবালা পৃ ১২/৪০২<br><br />★ তবকাতুস- সুবকী ২/৭<br><br />★ তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত ১/৭৪<br><br />★আল-কামিল, ইবনে আদী ১/১২৬,<br><br />★তারীখে বাগদাদ, খতীবে বাগদাদীর প্রনীত ২/৮-৯,<br><br />★শুরুতি আইম্মাতিল খামসা, হাযেমী ১৬০,১৮৫<br><br /><br><br />সকল সালাফী আহলে হাদিস ও কতিপয় ওহাবী এটা প্রচার করে থাকে যে বুখারী ও মুসলিম পড়বে কারন এর বেশির ভাগ হাদিস সহীহ। সাথে আরো বলে থাকে যে দ্বয়ীফ হাদিস আমরা মানি নি অনুসরন করব না।<br><br /><br><br />সেই সব ওহাবী সালাফীদের কে বলছি যারা দ্বয়ীফ ফতোয়া মেরে লক্ষ লক্ষ হাদিস থেকে মানুষকে বিমুখ করে দিচ্ছে- -<br><br /><br><br />★ বুখারী , মুসলিম,তিরমিযি, আবু দাউদ,  নাসাঈ, মুসনদে আহমদদ এগুলো সিহাহ সিত্তাহ বলা হয় কারন এগুলোতে সহীহ হাদিস বেশি রয়েছে (দেখুন - বেশি রয়েছে বলা হয় কিন্তু Challenge করে বলছি সব হাদিস সহিহ এ কথা কেউ বলতে পারবে না) তাহলে কি তাদের ফতোয়া অনুসারে হাদিসের ইমামগন কি জানতেন না যে দ্বয়ীফ হাদিস আমল করা ঠিক না পাপ আর পথভ্রষ্টতা?<br><br /><br><br />★ আসলে হাদিসের সমস্ত ইমামগন জানতেন সেটা যে,<br><br /> সহিহ ও দ্বয়ীফ হাদিস ২টাই আমল করা যায় এবং আমল করা উচিত (কারন এটা স্বয়ং রাসুল (সা) এর পবিত্র বানী বা সমর্থন সনদের ত্রুটির কারনে একটু দুর্বল হতে পারে কিন্তু এর সম্মান ঠিকই এর গুরুত্ব ঠিকই রয়েছে) কিন্তু জাল হাদিস আসলে কোন হাদিসই নয় তাই কোন ইমাম কোনদিন কাউকে কোন জাল হাদিস আমল করতেও বলে নি তাদের কিতাবে বর্ননাও করে না যদি বর্ননা করে থাকেন তবে তা মানুষকে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়ার জন্য সেক্ষেত্রে এগুলো তাদের কোন সহিহ কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন নি।<br><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiL_WdDpM5UwnedSsXZL4ab4NlKUQG5xCM88Jw_lMXBdZVZnXPnCi2ZTSy8GfNGRQZce9UELf2XmeQzVAC9q3yaBkajgvqN9ClfuShNI7PMBEaf3ErvnZo-_QFZUl11L-UK5gTzUA3GHIuM/s1600/FB_IMG_1582635887270.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="712" data-original-width="720" height="316" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiL_WdDpM5UwnedSsXZL4ab4NlKUQG5xCM88Jw_lMXBdZVZnXPnCi2ZTSy8GfNGRQZce9UELf2XmeQzVAC9q3yaBkajgvqN9ClfuShNI7PMBEaf3ErvnZo-_QFZUl11L-UK5gTzUA3GHIuM/s320-rw/FB_IMG_1582635887270.jpg" width="320"></a></div><br /><br><br /><br><br />★ অপর দিকে বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে দেখা যায় দ্বয়ীফ হাদিসের সংখ্যা উক্ত কিতাবের সহিহ হাদিসেরও বেশি, কখনো সমান আর কখনো অর্ধেক সংখ্যক দ্বয়ীফ হাদিস আছে। বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য সিহাহ সিত্তার<br><br />কিতাবেই এর উতকৃষ্ট প্রমান বিদ্যমান।<br><br /><br><br />★ দ্বয়ীফ আর জাল হাদিস যদি একই ক্যাটাগরির হাদিস হতো আর এগুলো আমল করলে যদি পাপই হত পথভ্রষ্টতাই হত তাহলে মুহাদ্দিসগন (হাদিস বিশারদগন) লক্ষ লক্ষ হাদিস ঘেটে ঘেটে এই সব হাদিস লিপিবদ্ধ করতেন না তারা নিশ্চই কোন মুসলমানকে পাপের দিকে ঠেলে দিবে না !!<br><br /><br><br />★ সালাফি, ওহাবীদের কথা অনুযায়ী জাল আর দ্বয়ীফ যদি same হত তাহলে দুনিয়াতে কোন হাফিজুল হাদিস (১ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) ও কোন হুজ্জাতুল ইসলাম (৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) পাওয়াই যেত না।<br><br /><br><br />★ খুব সহজ বুখারী ও মুসলিম শরীফের ৯/১০ হাজার মুখস্ত করা কিন্তু ১ লক্ষ বা ৩ লক্ষ হাদিস মুখস্ত করা সাধারন কথা নয়। তাও যদি আবার সেটা মুল্যহীনই ( valueless ) হত তাহলে ওনাদের এত কষ্ট করে কিতাবই লিখার কি দরকার ছিল আর এত লক্ষ হাদিস মুখস্ত করারই কি দরকার ছিল? কি হাস্যকর ওহাবী আহলে-হাদিস দের জাল-দ্বয়ীফ ফতোয়া মারার ব্যাপারটা তাই না?<br><br /><br><br />মূলতঃ সিয়া ছিত্তার বাইরেও অসংখ্য সহীহ হাদীসের কিতাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইবনুস সালাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ বিখ্যাত হাদীস শরীফ বিশারদগন বলেন, সিয়া ছিত্তা ছাড়াও আরো ৫০ এরও বেশি সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব আছে।<br><br />নিম্নে এর কতিপয় কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো-<br><br /><br><br />(১) মুসনাদুল ইমাম আবু হানীফা।<br><br />বিলাদাত- ৮০ হিজরী, ওফাত- ১৫০ হিজরী।<br><br />--হানাফী মাযহাবের প্রধান ইমাম এবং তাবেয়ী যুগের বিশিষ্ট ইমাম<br><br />--ইমাম বুখারীর পিতার উস্তাদের উস্তাদ।<br><br /><br><br />(২) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মালেক।<br><br />জন্ম- ৯৫ হিজরী, ওফাত- ১৭৯ হিজরী।<br><br />--ইমাম মালেক (রহ) এর মুয়াত্তা কোন কোন মুহাদ্দিসগন বুখারী শরীফের উপরে স্থান দিয়েছেন।<br><br /><br><br />(৩) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মুহম্মদ ।<br><br />জন্ম- ১৩৫ হিজরী, ওফাত- ১৮৯ হিজরী।<br><br /><br><br />(৪) আল মুছান্নাফ লি আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম ।<br><br />জন্ম- ১২০/১২৬ হিজরী, ওফাত- ২১১ হিজরী।<br><br />--ইমাম বুখারী (রহ)' র দাদা ও উস্তাদ<br><br />--ইমাম হাম্বল (রহ) উস্তাদ<br><br /><br><br />(৫) মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল।<br><br />জন্ম- ১৬৪ হিজরী, ওফাত- ২৪১ হিজরী।<br><br /><br><br />(৬) মুসনাদুত তায়লাসী।<br><br />জন্ম-___, ওফাত- ২০৪ হিজরী।<br><br /><br><br />(৭) কিতাবুল আছার লি ইমাম আবু ইউছুফ।<br><br />জন্ম- ১১৩ হিজরী, ওফাত- ১৮২ হিজরী।<br><br /><br><br />(৮) মুসনাদুল হুমায়দী।<br><br />জন্ম-____ , ওফাত- ২১৯ হিজরী।<br><br /><br><br />(৯) মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ।<br><br />জন্ম- ১৫৯ হিজরী, ওফাত- ২৩৫ হিজরী।<br><br /><br><br />(১০) বুখারী শরীফ (আল জামিউল মুসনাদুছ ছহীহুল মুখতাছারু মিন উমুরি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী )<br><br />জন্ম- ১৯৪ হিজরী, ওফাত- ২৫৬ হিজরী।<br><br /><br><br />(১১) আছ ছহীহুল মুসলিম ।<br><br />জন্ম- ২০৪ হিজরী, ওফাত- ২৬১ হিজরী।<br><br /><br><br />(১২) সুনানু আবু দাউদ।<br><br />জন্ম- ২০২ হিজরী, ওফাত- ২৭৫ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৩) আল জামিউ ওয়াস সুনানুত তিরমিযী।<br><br />জন্ম- ২১০ হিজরী, ওফাত ২৭৯ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৪) সুনানুন নাসায়ী।<br><br />জন্ম- ২১৫ হিজরী, ওফাত- ৩০৩ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৫) সুনানু ইবনে মাজাহ।<br><br />জন্ম- ২০৯ হিজরী, ওফাত- ২৭৩ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৬) সুনানুদ দারিমী।<br><br />জন্ম- ১৮১ হিজরী, ওফাত- ২৫৫ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৭) মুসনাদুল বাযযার।<br><br />জন্ম-_____ , ওফাত- ২৯২ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৮) শরহু মা’আনিল আছার (ত্বাহাবী শরীফ)<br><br />জন্ম- ২২৯ হিজরী, ওফাত- ৩২১ হিজরী।<br><br /><br><br />(১৯) ছহীহ ইবনে হিব্বান।<br><br />জন্ম- ৩৫৪ হিজরী, ওফাত- ৪৬৫ হিজরী।<br><br /><br><br />(২০) মাছাবিহুস সুন্নাহ ও মিশকাত।<br><br />জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br><br /><br><br />(২১) আল মু’জামুছ ছগীর লিত তাবরানী।<br><br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br><br /><br><br />(২২) আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী।<br><br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৩) আল মু’জামুল কবীর লিত তাবরানী।<br><br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৪) আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন।<br><br />জন্ম- ৩২১ হিজরী, ওফাত- ৪৫০ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৫) ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ।<br><br />জন্ম- ২২৩ হিজরী, ওফাত- ৩১১ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৬) আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী।<br><br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৭) আস সুনানুছ ছগীর লিল বাইহাক্বী।<br><br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৮) শুয়াইবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী।<br><br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br><br /><br><br />(২৯) মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী।<br><br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৩৫৮ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩০) শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী।<br><br />জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩১) মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নুয়াইম।<br><br />জন্ম- ৩৩৬ হিজরী, ৪৩০ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩২) জামিউল আহাদীস লিছ সূয়ুতি।<br><br />জন্ম- ৮৪৯ হিজরী, ওফাত- ৯১১ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩৩) গায়াতুল মাক্বছাদ ফী যাওয়ায়িদিল মুসনাদ।<br><br />জন্ম- ৭৩৫, ওফাত- ৮০৭ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩৪) কানযুল উম্মাল।<br><br />জন্ম-_____ , ওফাত- ৯৭৫ হিজরী।<br><br /><br><br />(৩৫) আখবারু মক্কতা লি আযরাক্বী।<br><br /><br><br />(৩৬) ছহীহ ইবনে ওয়ায়না।<br><br /><br><br />(৩৭) সহীহ ইবনুস সাকান।<br><br /><br><br />(৩৮) সহীহ মোন্তাকা।<br><br /><br><br />(৩৯) মুখতাসা রেজিয়াহ।<br><br /><br><br />(৪০) সহীহ যুরকানী।<br><br /><br><br />(৪১) সহীহ ইসফেহানী।<br><br /><br><br />(৪২) সহীহ ইসমাঈলী।<br><br /><br><br />(৪৩) কিতাবুল খেরাজ।<br><br /><br><br />(৪৪) কিতাবুল হেজাজ।<br><br /><br><br />(৪৫) কিতাবুল আ’মলী।<br><br /><br><br />(৪৬) মুসনাদে শাফেয়ী।<br><br /><br><br />(৪৭) মুসনাদে আবু ইয়ালা।<br><br /><br><br />(৪৮) মুসনাদে দারে কুতনী।<br><br /><br><br />(৪৯) কিতাবুল ই’তিকাদ।<br><br /><br><br />(৫০) কিতাবুদ দোয়া।<br><br /><br><br />(৫১) মুসনাদে হারেস ইবনে উমামা।<br><br /><br><br />(৫২) মুসনাদে বাজ্জার।<br><br /><br><br />(৫৩) সুনানে সাঈদ ইবনে মনছুর।<br><br /><br><br />(৫৪) সুনানে আবী মুসলিম।<br><br /><br><br />(৫৫) শিফা শরীফ।<br><br /><br><br />(৫৬) আল হুলইয়া।<br><br /><br><br />(৫৭) তাহযীবুল আছার।<br><br /><br><br />(৫৮) আল মুখতারা।<br><br /><br><br />(আল্লাহ ওনাদের ঊপর রহমত নাজিল করুন)<br><br /><br><br />এছাড়াও আরো অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!<br><br /><br><br />মুলত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক হতে শুরু করে বিছাল শরীফ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬৩ বছর পর্যন্ত যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রকাশ করেছেন সবই পবিত্র হাদীস শরীফের অন্তর্গত।<br><br />কিন্তু উছুল অনুযায়ী যদি ৪০ বছর মুবারক থেকে ৬৩ বছর মুবারক পর্যন্ত ২৩ বছরও যদি ধরি, এই ২৩ বছরে যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রদান করেছেন সবই হাদীস শরীফ।<br><br />অংক করে দেখুন,<br><br />২৩×৩৬৫= ৮৩৯৫ দিন।<br><br />আবার, ৮৩৯৫×২৪= ২০১৪৮০ ঘন্টা।<br><br />আবার, ২০১৪৮০×৬০= ১২০৮৮৮০০ মিনিট।<br><br /><br><br />তার মধ্যে রাসুল (সা) এর ঘুম, চলা-ফেরা, কাজ-কর্ম, উঠা-বসা, মনোসম্মতি, সাহাবায়ে কেরাম এর বর্নিত হাদিস নিয়ে কত লক্ষ হাদিস ছিল বলা বাহুল্য তা আল্লাহই ভাল জানেন।<br><br /><br><br />পরিশেষে, ওহাবী সালাফী ভ্রান্ত- মুর্খদের মতবাদের হাত থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।</div><br />

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি? ♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন, “বোখারী শরীফের বাইরে আম...

Read more »

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?<br /><br />♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন,<br /><br />“বোখারী শরীফের বাইরে আমার এক লক্ষ সহীহ হাদীস মুখস্ত রয়েছে।”<br /><br />★ ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) হাদয়ুস সারী পৃ: ৭<br />★ ইমাম যাহাবী সিয়ারু আলামিন নুবালা পৃ ১২/৪০২<br />★ তবকাতুস- সুবকী ২/৭<br />★ তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত ১/৭৪<br />★আল-কামিল, ইবনে আদী ১/১২৬,<br />★তারীখে বাগদাদ, খতীবে বাগদাদীর প্রনীত ২/৮-৯,<br />★শুরুতি আইম্মাতিল খামসা, হাযেমী ১৬০,১৮৫<br /><br />সকল সালাফী আহলে হাদিস ও কতিপয় ওহাবী এটা প্রচার করে থাকে যে বুখারী ও মুসলিম পড়বে কারন এর বেশির ভাগ হাদিস সহীহ। সাথে আরো বলে থাকে যে দ্বয়ীফ হাদিস আমরা মানি নি অনুসরন করব না।<br /><br />সেই সব ওহাবী সালাফীদের কে বলছি যারা দ্বয়ীফ ফতোয়া মেরে লক্ষ লক্ষ হাদিস থেকে মানুষকে বিমুখ করে দিচ্ছে- -<br /><br />★ বুখারী , মুসলিম,তিরমিযি, আবু দাউদ,  নাসাঈ, মুসনদে আহমদদ এগুলো সিহাহ সিত্তাহ বলা হয় কারন এগুলোতে সহীহ হাদিস বেশি রয়েছে (দেখুন - বেশি রয়েছে বলা হয় কিন্তু Challenge করে বলছি সব হাদিস সহিহ এ কথা কেউ বলতে পারবে না) তাহলে কি তাদের ফতোয়া অনুসারে হাদিসের ইমামগন কি জানতেন না যে দ্বয়ীফ হাদিস আমল করা ঠিক না পাপ আর পথভ্রষ্টতা?<br /><br />★ আসলে হাদিসের সমস্ত ইমামগন জানতেন সেটা যে,<br /> সহিহ ও দ্বয়ীফ হাদিস ২টাই আমল করা যায় এবং আমল করা উচিত (কারন এটা স্বয়ং রাসুল (সা) এর পবিত্র বানী বা সমর্থন সনদের ত্রুটির কারনে একটু দুর্বল হতে পারে কিন্তু এর সম্মান ঠিকই এর গুরুত্ব ঠিকই রয়েছে) কিন্তু জাল হাদিস আসলে কোন হাদিসই নয় তাই কোন ইমাম কোনদিন কাউকে কোন জাল হাদিস আমল করতেও বলে নি তাদের কিতাবে বর্ননাও করে না যদি বর্ননা করে থাকেন তবে তা মানুষকে সতর্ক করে জানিয়ে দেয়ার জন্য সেক্ষেত্রে এগুলো তাদের কোন সহিহ কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন নি।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiL_WdDpM5UwnedSsXZL4ab4NlKUQG5xCM88Jw_lMXBdZVZnXPnCi2ZTSy8GfNGRQZce9UELf2XmeQzVAC9q3yaBkajgvqN9ClfuShNI7PMBEaf3ErvnZo-_QFZUl11L-UK5gTzUA3GHIuM/s1600/FB_IMG_1582635887270.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="712" data-original-width="720" height="316" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiL_WdDpM5UwnedSsXZL4ab4NlKUQG5xCM88Jw_lMXBdZVZnXPnCi2ZTSy8GfNGRQZce9UELf2XmeQzVAC9q3yaBkajgvqN9ClfuShNI7PMBEaf3ErvnZo-_QFZUl11L-UK5gTzUA3GHIuM/s320-rw/FB_IMG_1582635887270.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />★ অপর দিকে বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে দেখা যায় দ্বয়ীফ হাদিসের সংখ্যা উক্ত কিতাবের সহিহ হাদিসেরও বেশি, কখনো সমান আর কখনো অর্ধেক সংখ্যক দ্বয়ীফ হাদিস আছে। বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য সিহাহ সিত্তার<br />কিতাবেই এর উতকৃষ্ট প্রমান বিদ্যমান।<br /><br />★ দ্বয়ীফ আর জাল হাদিস যদি একই ক্যাটাগরির হাদিস হতো আর এগুলো আমল করলে যদি পাপই হত পথভ্রষ্টতাই হত তাহলে মুহাদ্দিসগন (হাদিস বিশারদগন) লক্ষ লক্ষ হাদিস ঘেটে ঘেটে এই সব হাদিস লিপিবদ্ধ করতেন না তারা নিশ্চই কোন মুসলমানকে পাপের দিকে ঠেলে দিবে না !!<br /><br />★ সালাফি, ওহাবীদের কথা অনুযায়ী জাল আর দ্বয়ীফ যদি same হত তাহলে দুনিয়াতে কোন হাফিজুল হাদিস (১ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) ও কোন হুজ্জাতুল ইসলাম (৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) পাওয়াই যেত না।<br /><br />★ খুব সহজ বুখারী ও মুসলিম শরীফের ৯/১০ হাজার মুখস্ত করা কিন্তু ১ লক্ষ বা ৩ লক্ষ হাদিস মুখস্ত করা সাধারন কথা নয়। তাও যদি আবার সেটা মুল্যহীনই ( valueless ) হত তাহলে ওনাদের এত কষ্ট করে কিতাবই লিখার কি দরকার ছিল আর এত লক্ষ হাদিস মুখস্ত করারই কি দরকার ছিল? কি হাস্যকর ওহাবী আহলে-হাদিস দের জাল-দ্বয়ীফ ফতোয়া মারার ব্যাপারটা তাই না?<br /><br />মূলতঃ সিয়া ছিত্তার বাইরেও অসংখ্য সহীহ হাদীসের কিতাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইবনুস সালাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ বিখ্যাত হাদীস শরীফ বিশারদগন বলেন, সিয়া ছিত্তা ছাড়াও আরো ৫০ এরও বেশি সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব আছে।<br />নিম্নে এর কতিপয় কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো-<br /><br />(১) মুসনাদুল ইমাম আবু হানীফা।<br />বিলাদাত- ৮০ হিজরী, ওফাত- ১৫০ হিজরী।<br />--হানাফী মাযহাবের প্রধান ইমাম এবং তাবেয়ী যুগের বিশিষ্ট ইমাম<br />--ইমাম বুখারীর পিতার উস্তাদের উস্তাদ।<br /><br />(২) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মালেক।<br />জন্ম- ৯৫ হিজরী, ওফাত- ১৭৯ হিজরী।<br />--ইমাম মালেক (রহ) এর মুয়াত্তা কোন কোন মুহাদ্দিসগন বুখারী শরীফের উপরে স্থান দিয়েছেন।<br /><br />(৩) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মুহম্মদ ।<br />জন্ম- ১৩৫ হিজরী, ওফাত- ১৮৯ হিজরী।<br /><br />(৪) আল মুছান্নাফ লি আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম ।<br />জন্ম- ১২০/১২৬ হিজরী, ওফাত- ২১১ হিজরী।<br />--ইমাম বুখারী (রহ)' র দাদা ও উস্তাদ<br />--ইমাম হাম্বল (রহ) উস্তাদ<br /><br />(৫) মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল।<br />জন্ম- ১৬৪ হিজরী, ওফাত- ২৪১ হিজরী।<br /><br />(৬) মুসনাদুত তায়লাসী।<br />জন্ম-___, ওফাত- ২০৪ হিজরী।<br /><br />(৭) কিতাবুল আছার লি ইমাম আবু ইউছুফ।<br />জন্ম- ১১৩ হিজরী, ওফাত- ১৮২ হিজরী।<br /><br />(৮) মুসনাদুল হুমায়দী।<br />জন্ম-____ , ওফাত- ২১৯ হিজরী।<br /><br />(৯) মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ।<br />জন্ম- ১৫৯ হিজরী, ওফাত- ২৩৫ হিজরী।<br /><br />(১০) বুখারী শরীফ (আল জামিউল মুসনাদুছ ছহীহুল মুখতাছারু মিন উমুরি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী )<br />জন্ম- ১৯৪ হিজরী, ওফাত- ২৫৬ হিজরী।<br /><br />(১১) আছ ছহীহুল মুসলিম ।<br />জন্ম- ২০৪ হিজরী, ওফাত- ২৬১ হিজরী।<br /><br />(১২) সুনানু আবু দাউদ।<br />জন্ম- ২০২ হিজরী, ওফাত- ২৭৫ হিজরী।<br /><br />(১৩) আল জামিউ ওয়াস সুনানুত তিরমিযী।<br />জন্ম- ২১০ হিজরী, ওফাত ২৭৯ হিজরী।<br /><br />(১৪) সুনানুন নাসায়ী।<br />জন্ম- ২১৫ হিজরী, ওফাত- ৩০৩ হিজরী।<br /><br />(১৫) সুনানু ইবনে মাজাহ।<br />জন্ম- ২০৯ হিজরী, ওফাত- ২৭৩ হিজরী।<br /><br />(১৬) সুনানুদ দারিমী।<br />জন্ম- ১৮১ হিজরী, ওফাত- ২৫৫ হিজরী।<br /><br />(১৭) মুসনাদুল বাযযার।<br />জন্ম-_____ , ওফাত- ২৯২ হিজরী।<br /><br />(১৮) শরহু মা’আনিল আছার (ত্বাহাবী শরীফ)<br />জন্ম- ২২৯ হিজরী, ওফাত- ৩২১ হিজরী।<br /><br />(১৯) ছহীহ ইবনে হিব্বান।<br />জন্ম- ৩৫৪ হিজরী, ওফাত- ৪৬৫ হিজরী।<br /><br />(২০) মাছাবিহুস সুন্নাহ ও মিশকাত।<br />জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br /><br />(২১) আল মু’জামুছ ছগীর লিত তাবরানী।<br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br /><br />(২২) আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী।<br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br /><br />(২৩) আল মু’জামুল কবীর লিত তাবরানী।<br />জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।<br /><br />(২৪) আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন।<br />জন্ম- ৩২১ হিজরী, ওফাত- ৪৫০ হিজরী।<br /><br />(২৫) ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ।<br />জন্ম- ২২৩ হিজরী, ওফাত- ৩১১ হিজরী।<br /><br />(২৬) আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী।<br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br /><br />(২৭) আস সুনানুছ ছগীর লিল বাইহাক্বী।<br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br /><br />(২৮) শুয়াইবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী।<br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।<br /><br />(২৯) মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী।<br />জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৩৫৮ হিজরী।<br /><br />(৩০) শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী।<br />জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।<br /><br />(৩১) মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নুয়াইম।<br />জন্ম- ৩৩৬ হিজরী, ৪৩০ হিজরী।<br /><br />(৩২) জামিউল আহাদীস লিছ সূয়ুতি।<br />জন্ম- ৮৪৯ হিজরী, ওফাত- ৯১১ হিজরী।<br /><br />(৩৩) গায়াতুল মাক্বছাদ ফী যাওয়ায়িদিল মুসনাদ।<br />জন্ম- ৭৩৫, ওফাত- ৮০৭ হিজরী।<br /><br />(৩৪) কানযুল উম্মাল।<br />জন্ম-_____ , ওফাত- ৯৭৫ হিজরী।<br /><br />(৩৫) আখবারু মক্কতা লি আযরাক্বী।<br /><br />(৩৬) ছহীহ ইবনে ওয়ায়না।<br /><br />(৩৭) সহীহ ইবনুস সাকান।<br /><br />(৩৮) সহীহ মোন্তাকা।<br /><br />(৩৯) মুখতাসা রেজিয়াহ।<br /><br />(৪০) সহীহ যুরকানী।<br /><br />(৪১) সহীহ ইসফেহানী।<br /><br />(৪২) সহীহ ইসমাঈলী।<br /><br />(৪৩) কিতাবুল খেরাজ।<br /><br />(৪৪) কিতাবুল হেজাজ।<br /><br />(৪৫) কিতাবুল আ’মলী।<br /><br />(৪৬) মুসনাদে শাফেয়ী।<br /><br />(৪৭) মুসনাদে আবু ইয়ালা।<br /><br />(৪৮) মুসনাদে দারে কুতনী।<br /><br />(৪৯) কিতাবুল ই’তিকাদ।<br /><br />(৫০) কিতাবুদ দোয়া।<br /><br />(৫১) মুসনাদে হারেস ইবনে উমামা।<br /><br />(৫২) মুসনাদে বাজ্জার।<br /><br />(৫৩) সুনানে সাঈদ ইবনে মনছুর।<br /><br />(৫৪) সুনানে আবী মুসলিম।<br /><br />(৫৫) শিফা শরীফ।<br /><br />(৫৬) আল হুলইয়া।<br /><br />(৫৭) তাহযীবুল আছার।<br /><br />(৫৮) আল মুখতারা।<br /><br />(আল্লাহ ওনাদের ঊপর রহমত নাজিল করুন)<br /><br />এছাড়াও আরো অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!<br /><br />মুলত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক হতে শুরু করে বিছাল শরীফ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬৩ বছর পর্যন্ত যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রকাশ করেছেন সবই পবিত্র হাদীস শরীফের অন্তর্গত।<br />কিন্তু উছুল অনুযায়ী যদি ৪০ বছর মুবারক থেকে ৬৩ বছর মুবারক পর্যন্ত ২৩ বছরও যদি ধরি, এই ২৩ বছরে যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রদান করেছেন সবই হাদীস শরীফ।<br />অংক করে দেখুন,<br />২৩×৩৬৫= ৮৩৯৫ দিন।<br />আবার, ৮৩৯৫×২৪= ২০১৪৮০ ঘন্টা।<br />আবার, ২০১৪৮০×৬০= ১২০৮৮৮০০ মিনিট।<br /><br />তার মধ্যে রাসুল (সা) এর ঘুম, চলা-ফেরা, কাজ-কর্ম, উঠা-বসা, মনোসম্মতি, সাহাবায়ে কেরাম এর বর্নিত হাদিস নিয়ে কত লক্ষ হাদিস ছিল বলা বাহুল্য তা আল্লাহই ভাল জানেন।<br /><br />পরিশেষে, ওহাবী সালাফী ভ্রান্ত- মুর্খদের মতবাদের হাত থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।</div>

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি?

বুখারী ও মুসলিম ব্যতীত আর কোন সহীহ হাদিসের কিতাব আছে কি? ♦হাফিজুল হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন, “বোখারী শরীফের বাইরে আম...

Read more »

মৃত্যুর পূর্বে এক বাবা তার সন্তানকে দেয়া শিক্ষাঃ (সুন্দর ঘটনা)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলেটা বললো, 'কি কাজ?'</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - 'এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?'</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলেটা বললো, 'একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাবা বললেন, 'এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, 'কি বললো ওরা?'</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - 'ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?'</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাবা হাসলেন। বললেন, 'এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই'শতো বছর আগের'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, 'কি বললো ওরা?'</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - 'ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায় ! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে'।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, 'আমার সন্তান! আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুমি তাদের কাছেই যাবে যারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে...'।</div> <div style="text-align: justify;"> সবার সাথে শেয়ার করুন। #সংগ্রহীত</div> </div>

মৃত্যুর পূর্বে এক বাবা তার সন্তানকে দেয়া শিক্ষাঃ (সুন্দর ঘটনা)

মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, 'এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত ব...

Read more »

আল্লাহর সীমাহীন দয়া, তিল পরিমাণ ইমানদারের জন্য মুক্তি, অলীগণের সুপারিশ

<div style="text-align: justify;">প্রকৃত মুমিন বা উলামায়ে রাব্বানী বা সাদেকীন বা সালেহীন বা আল্লাহর অলিদের সাথে সম্পর্ক রাখা কেন জরুরী?</div><div style="text-align: justify;">-শায়খ সাইফুল আজম আল আজহারি</div><div style="text-align: justify;">------------------------------------------------------</div><div style="text-align: justify;">হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ ইহকালীন কোন হকের ব্যপারে তোমাদের কারো বিতর্ক এত কঠিন ও দৃঢ়তর হবেনা, যতটা কঠিন ও দৃঢ় প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির বিতর্ক তাদের রবের দরবারে তাদের ঐ সমস্ত গুনাহগার ভাইদের ব্যপারে হবে যাদের ইতোমধ্যে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয়েছে। তারা বলবেনঃ হে আমাদের রব! আমাদের এই ভাইয়েরা আমাদের সাথে নামাজ আদায় করতো, আমাদের সাথে রোজা রাখতো, আমাদের সাথে হজ্ব করতো। আপনি তাদেরকে জাহান্নামে দিয়ে দিয়েছেন। এটা শুনে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলবেনঃ আচ্ছা, তোমরা যাকে চেন তাকে নিজেরা গিয়ে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসো। বর্ণনাকারী বলেন: তারা তাদের কাছে আসবেন এবং তাদের চেহারা দেখে চিনতে পারবেন। তাদের মধ্যে কারো পায়ের তালুর অর্ধেক আর কারো পায়ের গ্রন্হি পর্যন্ত আগুনে পুড়ে গেছে। তারা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে আরজ করবেন: হে আমাদের রব! আপনি যাদেরকে বের করতে বলেছেন আমরা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করেছি। পরক্ষণেই আল্লাহ্ তায়ালা বলবেন: যাও, তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ঈমান আছে। অতঃপর বলবেনঃ তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ঈমান আছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত বলবেন: যাও, তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে তীল পরিমাণ ঈমান আছে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ এখন যদি কারো বিশ্বাস না হয়, তবে সে যেনো পবিত্র কোরানের এই আয়াতটা পড়ে নেয়ঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা শিরক ক্ষমা করেননা। শিরক ব্যতিত যে গুনাই হোকনা কেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।" (নিসা ৪:৪৮) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">⚛ তথ্যসূত্রঃ</div><div style="text-align: justify;">১.সহীহ্ বুখারী শরীফ, তাওহীদ অধ্যায়, নং ৭৪৩৯</div><div style="text-align: justify;">২.সুনান নাসাঈ, ঈমান অধ্যায়, নং৫০১০</div><div style="text-align: justify;">৩.ইবনে মাজাহ, মুকাদ্দামা, ঈমান অধ্যায়, নং ৬০ </div><div style="text-align: justify;">৪.ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলঃ মুসনাদে আহমদ</div><div style="text-align: justify;">৫.ইমাম হাকেমঃ আল মুস্তাদরাক<br></div>

আল্লাহর সীমাহীন দয়া, তিল পরিমাণ ইমানদারের জন্য মুক্তি, অলীগণের সুপারিশ

প্রকৃত মুমিন বা উলামায়ে রাব্বানী বা সাদেকীন বা সালেহীন বা আল্লাহর অলিদের সাথে সম্পর্ক রাখা কেন জরুরী? -শায়খ সাইফুল আজম আল আজহারি -----------...

Read more »

হাদিসের গল্প

<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"><br /><h1 class="entry-title" style="box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 30px; line-height: 34px; margin: 9px 0px; overflow-wrap: break-word; text-align: start;">হাদিসের গল্পঃ উয়াইস কারনীর মর্যাদা</h1><br />উসাইর ইবনু জাবির (রা:) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রা:)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করতেন, ‘তোমাদের মাঝে কি উয়াইস ইবনু আমির আছে’? অবশেষে (একদিন) উয়াইস (রহঃ) এসে গেলেন। তাকে ওমর প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি উয়াইস ইবনু আমির’? সে বলল, হ্যাঁ। ওমর (রা:) আবার বললেন, ‘মুরাদ’ সম্প্রদায়ের উপগোত্র ‘কারনের’লোক? তিনি বললেন, হ্যাঁ । তিনি বললেন, ‘আপনার কি কুষ্ঠরোগ হয়েছিল, আপনি তা হতে সুস্থ হয়েছেন এবং মাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান বাকী আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার মা জীবিত আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">ওমর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘ইয়ামানের সহযোগী দলের সাথে উয়াইস ইবনু আমির নামক এক লোক তোমাদের নিকট আসবে। সে ‘মুরাদ’জাতির উপজাতি ‘কারনের’লোক। তার কুষ্ঠরোগ হবে এবং তা হ’তে সে মুক্তি পাবে, শুধুমাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তার মা বেঁচে আছে, সে তার মায়ের খুবই অনুগত। সে (আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে) কোন কিছুর শপথ করলে তা আল্লাহ্‌ তা’আলা পূরণ করে দেন। তুমি যদি তাকে দিয়ে তোমার গুনাহ মাফের জন্য দোআ করাবার সুযোগ পাও, তাহলে তাই করবে।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">ওমর (রা:) বলেন, ‘কাজেই আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য আপনি দোআ করুন। তখন তিনি (উয়াইস) ওমরের অপরাধের ক্ষমা চেয়ে দোআ করলেন। ওমর (রা:) তাকে বললেন, ‘আপনি কোথায় যেতে চান? তিনি বললেন, ‘কূফায়। তিনি (ওমর) বলেন, ‘আমি সেখানকার গভর্নরকে আপনার (সাহায্যের) জন্য লিখে দেই? তিনি বললেন, ‘আমার নিকট গরীব-মিসকিনদের মাঝে বসবাস করাই বেশী পছন্দনীয়। পরের বছর কূফার এক নেতৃস্থানীয় লোক হজ্জে এলো। তার সাথে ওমরের দেখা হলে তিনি উয়াইস সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করলেন। সে বলল, ‘আমি তাকে এরকম অবস্থায় দেখে এসেছি যে, তার ঘরটা অত্যন্ত জীর্ণ অবস্থায় আছে এবং তার জীবন-যাপনের উপকরণসমূহ খুবই নগণ্য।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">ওমর (রা:) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, ‘উয়াইস ইবনু আমির নামক এক লোক ইয়ামানের সাহায্যকারী দলের সাথে তোমাদের নিকট আসবে। সে ‘মুরাদ’জাতির উপজাতি ‘কারন’বংশীয় লোক। তার কুষ্ঠ রোগ হবে এবং তা থেকে সে মুক্তি পাবে, শুধুমাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তার মা বেঁচে আছে এবং সে তার মায়ের খুবই অনুগত। সে (আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে) কোন কিছুর শপথ করলে তা আল্লাহ্‌ পূরণ করে দেন। তুমি যদি তোমার গুনাহ মাফের জন্য তাকে দিয়ে দোআ করানোর সুযোগ পাও, তাহলে  তাই  করবে।  লোকটি  ফিরে  এসে উয়াইসের নিকট গিয়ে বলল, ‘আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য আপনি দোআ করুন।</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;">তিনি (উয়াইস) বললেন, ‘এইমাত্র আপনি মঙ্গলময় সফর (হজ্জ) থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন; বরং আপনিই আমার অপরাধ ক্ষমার জন্য দোআ করুন।  তিনি  বললেন,  ‘আপনি  কি  ওমরের  সাথে  সাক্ষাৎ করেছেন। সে বলল, হ্যাঁ। তার জন্য উয়াইস দোআ করলেন। উয়াইসের মর্যাদা সম্পর্কে লোকেরা সচেতন হলে সেখান থেকে উয়াইস অন্য স্থানে চলে গেলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ওমর (রা:)-এর নিকট কূফার অধিবাসীরা একটি সাহায্যকারী দল পাঠায়। দলের এক লোক উয়াইসকে বিদ্রূপ করত। ওমর (রা:) বললেন, ‘এখানে ‘কারন’বংশীয় কেউ আছে কি? ঐ ব্যক্তিটি উঠে আসলে ওমর (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘ইয়ামান থেকে উয়াইস নামে এক লোক তোমার নিকট আসবে। সে তার মাকে ইয়ামানে একা রেখে আসবে। তার কুষ্ঠরোগ হবে। সে আল্লাহ্‌র নিকট দোআ করবে, আল্লাহ্‌ তার রোগমুক্তি দান করবেন, শুধুমাত্র এক দীনার অথবা এক দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া। তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার দেখা পাবে, তাকে দিয়ে সে যেন তার গুনাহ মাফের জন্য দোআ করায়। ওমর (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘পরবর্তীদের (তাবেঈ) মধ্যে উয়াইস নামে এক সৎ লোক হবে। তার মা বেঁচে আছে। তার শরীরে কুষ্ঠের চিহ্ন থাকবে। তার নিকট গিয়ে নিজের গুনাহ মাফের জন্য তাকে দিয়ে প্রার্থনা করাও।<br />[<span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">মুসলিম হা/২৫৪২, ‘ছাহাবীগণের মর্যাদা’অধ্যায়, অনুচেছদ-৫৫</span>]</div><div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; text-align: justify;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">শিক্ষা: </span></span>পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে মর্যাদাবান হবেন।</div>

হাদিসের গল্প

হাদিসের গল্পঃ উয়াইস কারনীর মর্যাদা উসাইর ইবনু জাবির (রা:) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রা:)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তা...

Read more »

হক্কানী আলেম ও আল্লাহর অলীগণের শানঃ

<div>হক্কানী আলেম ও আল্লাহর অলীগণের শানঃ</div><div><br></div><div>▪ "এক যামানা সোহবতে বা আউলিয়া,</div><div>বেহ্তের আযসাদ সালাহ তায়াতে বেরীয়া। </div><div>✍ [মাওলানা রূমী রহঃ]</div><div><br></div><div>▪ আল্লাহর অলীদের কিভাবে চেনা যায়?</div><div>"প্রশ্নোত্তরে রসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,</div><div>"যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরনে এসে যায় তারাই আল্লাহর অলী (মুমিন বান্দা)।"📌[1]</div><div><br></div><div>▪ কোন এক বুজুর্গ ব্যক্তি ব্যক্তি বলেছিলেন,</div><div>[আমি আল্লাহর দরবারে তাঁর নারাজীতে নিকৃষ্ট হয়ে যাওয়া ও লোকারণ্যে বড় মনে করা থেকে পানাহ চাই]</div><div><br></div><div>▪ কারণ, রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ভবিষ্যৎবাণী চিরসত্যঃ</div><div>আমার পরে তোমরা শিরকে লিপ্ত হবে আমি এ আশংকা করি না। তবে তোমাদের ব্যপারে আমার আশংকা এটা যে, তোমরা দুনিয়ার ধন-সম্পদের (লালসায়) আকৃষ্ট হয়ে পড়বে।</div><div>📌[2]</div><div><br></div><div>▪ পরিশেষে বলতে চাই,</div><div>"যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য আছে, সে ইমানের স্বাদ পাবে, আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যই কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।”📌[3]</div><div><br></div><div>এজন্যই আমি তাঁকে ভালবাসি। একদিকে,</div><div> ▪"হক্কানী আলিমগণ নবীগণের উত্তরাধিকারী।”📌[4]</div><div>▪ আর অপরদিকে, "পথভ্রষ্ট আলিমগণ দাজ্জাল অপেক্ষা ভয়ংকর।"📌[5]</div><div>▪"তারা ইলম ছাড়া ফাতওয়া দিয়ে নিজেও পথভ্রষ্ট হবে, অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করবে।"📌[6]</div><div>আল্লাহ পাক এমন রত্ন বাংলার ঘরে ঘরে দান করুন।</div><div><br></div><div>⛔ তথ্যসূত্রঃ</div><div>➖➖➖➖</div><div><br></div><div>📌[1]</div><div>হাদিসটি ভিন্ন সনদে ভিন্ন ভিন্ন মতনে বর্ণিত রয়েছে।</div><div>a.হযরত সাঈদ (রাঃ) হতে।</div><div>b.হযরত আবু দোহা (রাঃ) হতে।</div><div>c.হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে।</div><div>d.হযরত আবু মালিক আশআরী (রাঃ) হতে।</div><div>e.হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। </div><div><br></div><div>হযরত সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত সূত্রের রেফারেন্সঃ</div><div>১. মাজুমুল কাবীর, হাদীস নং ১২৩২৫</div><div>২. মাজমাউজ যাওয়াইদ, হাদীস নং-১৬৭৭৯</div><div>৩. মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং ৫০৫০,হজরতে আবু দোহা (রাঃ) হতে বর্নিত।</div><div>৪. তাফসীর  ইবনে কাসীর, পৃষ্ঠা-২৭৮,ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্নিত।</div><div>৫. তাফসীরে কুরতুবী, পৃষ্ঠা-২৬৭</div><div>৬. তাফসীরে তাবরী, হাদীস নং -১৭৭০৩</div><div>৭. তাফসীরে বাগভী, আবু মালিক আশআরী (রাঃ) হতে বর্নিত,  সুরা ইউনুসের আয়াত -৬২ তাফসীরে </div><div>৮. তাফসীরে কাবীর, সুরা -ইউনুস,  আয়াত-৬২</div><div>৯. তাফসীরে দুররে মান্সুর,পৃষ্ঠা-৬৭৪, সুরা-ইউনুস,আয়াত-৬২</div><div>১০. তাফসীরে ইবনে হাতিম,হাদীস নং-১০৪৫৪, হজরতে ইবনে আব্বাস (রাঃ)  হতে বর্নিত।</div><div><br></div><div>📌[2]</div><div>হযরত ওকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)</div><div>১. সহিহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা, হাদিস নম্বরঃ ১২৬৩</div><div>২. সহিহ বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মাগাযী,  ১৭, হাঃ ৪০৪২; </div><div>৩. সহিহ বুখারী, অনুচ্ছেদঃ মানাকিব, অধ্যায়: ইসলামে নবুয়্যতের আলামত, ৩/১৩১ হাঃ ৩৪০১ </div><div>৪. সহিহ বুখারী, অধ্যায়ঃ “কিতাবুল জানায়েজ” পরিচ্ছদঃ “আসসালাতু আলা শহীদে”, হাদিস নং-১২৭৯, </div><div>৫. ইমাম বুখারী (রহঃ) ও ইমাম মুসলিম (রহঃ) : আল-লুলু ওয়াল মারজান, অধ্যায়ঃ ফাযায়েল,পরিচ্ছদঃ নবীজী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য। হাদিসঃ ১৪৮০, </div><div>৬. সহিহ মুসলিম, অনুচ্ছেদঃ ফাযায়েল, অধ্যায়ঃ নবী এর হাউজের প্রমাণ ও বৈশিষ্ট্য, ৪/১৭৯৫ হাঃ ২২৯৬</div><div>৭. মিশকাত শরীফ ১১ খন্ড, হাদীস নং- ৫৫৮০</div><div>৮. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানীঃ ফতহুল বারী শরহে বুখারীঃ ৩/২১১</div><div><br></div><div>📌[3] </div><div>হাদিসের মানঃ হাসান</div><div>জারির ইবন আব্দুল হামিদ এর সনদে। </div><div>১.ইমাম বাইহাকীঃ শুয়াবুল ঈমানঃ হাদিস নং ১৪</div><div>অন্যান্য সূত্রেঃ</div><div>২.আবু দাউদ, হাদিস: ৪৫৯৯</div><div>৩.তিরমিযি, হাদিস: ২৫২১ </div><div><br></div><div>📌[4]</div><div>১.সুনানে আবী দাউদ, হা: নং ৩৬৪১।</div><div>২.তিরমিজি শরিফ, ২৬৮২ নং হা।</div><div>৩.সুনানে ইবনে মাজাহ, হা: নং ২২৩।</div><div>৪.মুসনাদে আহমদ, ৫ম খন্ড, ১৯৬ পৃ:।</div><div>৫.ইমাম তাহাবী: শরহে মুশকিলুল আছার, হাদিস নং ৯৮২।</div><div>৬.মুজামে ইবনে আরাবী, হাদিস নং ১৬০৯।</div><div>৭.ছহীহ্ ইবনে হিব্বান, ১ম খন্ড, ২৮৯ পৃ:।</div><div>৮.ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১২৩১।</div><div>৯.মুসনাদে শিহাব, হাদিস নং ৯৭৫।</div><div>১০.ইমাম বায়হাক্বী: আল আদাব, হাদিস নং ৮৬২।</div><div>১১.ইমাম বায়হাকী: মাদখাল, হাদিস নং ৩৪৭।</div><div>১২.তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৬ তম খন্ড, ৬২৭ পৃ:।</div><div>১৩.তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৫৮৫ পৃ।</div><div>১৪.ইমাম গাজ্জালী: মুকাশাফাতুর কুলুব, ১ম খন্ড।</div><div><br></div><div>📌[5]</div><div>আবূ যর (রাঃ) সূত্রে, রাসূল (ﷺ) থেকে।</div><div>[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩৩৫]</div><div><br></div><div>📌[6]</div><div>১.সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৪৫৭১, </div><div>২.বুখারী শরীফ, হাদিস নং-১০০, </div><div>৩.সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৯৭১, </div><div>৪.মুসনাদুস শিহাব, হাদিস নং-৫৮১</div>

হক্কানী আলেম ও আল্লাহর অলীগণের শানঃ

হক্কানী আলেম ও আল্লাহর অলীগণের শানঃ ▪ "এক যামানা সোহবতে বা আউলিয়া, বেহ্তের আযসাদ সালাহ তায়াতে বেরীয়া।  ✍ [মাওলানা রূমী রহঃ] ▪ আল্লাহর অ...

Read more »

দরসে তাসাউফ

<div style="text-align: justify;"><b><i>বললা ‘খাজা!’ চিনলা না :)</i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i>🖋গোলাম দস্তগীর লিসানী</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খাজা বাবা রা.’ র দিবস যখন আসবে, তখন হয়তো লিখব না, তাই আজকে, এখনি, খাজা বাবা রা.’র শানমান নয়, বরং মাওলার জবান:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“শুধু তুমিই এগিয়ে এসো, </div><div style="text-align: justify;">হাজার হাজার সৈন্যের মাঝে- </div><div style="text-align: justify;">একজন বাদশাহ্ ই যথেষ্ট।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই ‘তুমি’ টা আসলে কে? কোনও অলৌকিক সাধক? কোনও মহান সূফি? কোনও দুনিয়াদার বাদশা? কোনও জঙ্গি নেতা? সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি? আরে নাহ্! এই কারণেই তো আমরা নামে খাজা বাবা রা.’র হলেও কাজে লবডঙ্কা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই তুমি হলেন প্রত্যেক ব্যক্তি। প্রত্যেক বান্দার ভিতরে লুকিয়ে থাকা আল্লাহ্’র ফুঁক। এই ‘তুমি’ টা হল আত্মপরিচয়। যখন নিজের পরিচয় নিজে মানুষ জেনে যায়, শুধু তখনি হাজার হাজার সৈন্যের মাঝে একজন বাদশাহ্ ই যথেষ্ট।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখন,</div><div style="text-align: justify;">সেই ‘তুমি’ টা এগিয়ে আসবে কোথা থেকে এবং কোনদিকে?</div><div style="text-align: justify;">যে কোন জায়গা থেকে খাজা বাবা’র রওজার দিকে? আজমিরের দিকে? নারে ভাই। আমরা তো তাসাউফের কিছুই বুঝি না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সেই তুমিটা এগিয়ে আসবে নিজের দিক থেকে। নিজেকে ছেড়ে। নিজের নাফসানিয়াত, নিজের দাবি, নিজের হাওয়া, নিজের জৈবিকতা-জড়তা-জান্তবতা-পৈশাচিকতা থেকে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নিজেকে ছেড়ে খালি একটা পা সামনে বাড়ান, দেখবেন কুল কায়েনাত সর্ষেদানার মতন হাতের তালুর ভিতরে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সেই সামনে টা কোনদিকে? যে কোন দিকে। </div><div style="text-align: justify;">কোন সময়ে? যে কোন সময়ে।</div><div style="text-align: justify;">কোন আলোকে? যে কোন আলোয়।</div><div style="text-align: justify;">যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ্। আল্লাহ্ সবকিছু ঘিরে রেখেছেন। আল্লাহ্ ই সময়। তাঁর কুরসি আসমানজমিনব্যাপী। আল্লাহ্ ই আসমান ও জমিনসমূহের আলো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসালু লি নূরিহি কা মিশকাতুন ফি হা মিসবাহ।</div><div style="text-align: justify;">হায়, ইয়া রাসূলআল্লাহ্!</div><div style="text-align: justify;">আল মিসবাহু ফি যুজাজা!</div><div style="text-align: justify;">ইয়া হাবিবআল্লাহ্!</div><div style="text-align: justify;">আয যুজাজাতু কাআন্নাহা কাউকাবুন দুররিয়্যুন-</div><div style="text-align: justify;">ইয়া আলী! আলী! আলী! আলী!</div><div style="text-align: justify;">হারসু সাদায়ে হায়দারি! ইয়া আলী, আলী, আলী!</div><div style="text-align: justify;">ইউকাদু মিন শাজারাতিম্ মুবারাকা-</div><div style="text-align: justify;">ইয়া আহলাল বাইতি রাসূলিল্লাহি তাআলা!</div><div style="text-align: justify;">যাইতুনাতিন লা সারকিয়াতিন ওয়া লা গারবিয়া-</div><div style="text-align: justify;">ইয়া আইয়ুহাল মু’মিনিন!</div><div style="text-align: justify;">সুম্মার রিদ্বা আন্ আবিবাক্বরিও ওয়া আন্ উমারা</div><div style="text-align: justify;">ওয়া আন আলিউও ওয়া আন উসমানা যুল কারামি!</div><div style="text-align: justify;">ইয়াকাদু যাইতুহা ইউদিয়ু ওয়া লাও লাম তামসাসহু নার-</div><div style="text-align: justify;">নূরুন আ’লা নূর!</div><div style="text-align: justify;">ইয়া মুরশিদ!</div><div style="text-align: justify;">ইয়াহদিল্লাহু লি নূরিহি মাইয়াশা-</div><div style="text-align: justify;">ইয়া রাব্বাল আ’লামিন!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাব্বে জারবে হায়দার ও হামযা ভি তু, </div><div style="text-align: justify;">রাব্বে আসায়ে মূসা ভি তু, </div><div style="text-align: justify;">তু রুবারু হ্যায় আউর হ্যায় হুবহু। </div><div style="text-align: justify;">তু রাব্বে ঈসা! আল্লাহু আকবার! </div><div style="text-align: justify;">তু রাব্বে মারইয়াম! আল্লাহু আকবার!</div>

দরসে তাসাউফ

বললা ‘খাজা!’ চিনলা না :) 🖋গোলাম দস্তগীর লিসানী খাজা বাবা রা.’ র দিবস যখন আসবে, তখন হয়তো লিখব না, তাই আজকে, এখনি, খাজা বাবা রা.’র শানমান নয়,...

Read more »

নবীগণ ও আল্লাহর অলীগণ যে জীবিত তার বাস্তব প্রমাণ দেখুন

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVJ6XMiefODs0ImjjY-EI1_DkDXp9Q0ULb7QEX157bL-xJR1c4s-3N2PLsCGTL5X-v34I5zG09hBaVNMziF-8ejjNxvUz4jVXyRNmGxbtdgsGuWAfAlcgHCueiM1eIzV9qYRbA07_z5BLH/s1600/FB_IMG_1582460649737.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="218" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVJ6XMiefODs0ImjjY-EI1_DkDXp9Q0ULb7QEX157bL-xJR1c4s-3N2PLsCGTL5X-v34I5zG09hBaVNMziF-8ejjNxvUz4jVXyRNmGxbtdgsGuWAfAlcgHCueiM1eIzV9qYRbA07_z5BLH/s1600-rw/FB_IMG_1582460649737.jpg" width="174"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">বিখ্যাত সাহাবী হযরত হাযর বিন আদি (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) ইয়েমেনের কিছু ওহাবীপন্থি লোক মাজারে যাওয়া হারাম বলে ২মে ২০১৩ সালে উনার রওজা ভেঙে ফেলে।</div><div style="text-align: justify;">ভাঙার পর স্বিদ্ধান্ত নিল ওনার হাড্ডি তুলে</div><div style="text-align: justify;">নদীতে ফেলে দিবে। এজন্য ওনার কবর খনন করা হল। যেই মাত্র খনন শেষ হল ওনার লাশ তাজা বেরিয়ে এল। ঠিক ঐভাবে তাজা বের হল যেইভাবে নতুন মানুষ কবর দিলে লাশ তাজা থাকে। যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন ইনি কোন সাধারন মানুষ নন। তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর সম্মানিত সেই সাহাবী ছিলেন। শয়তান ওহাবীর দল ওনার মাযার ভেংগে দেয়ার পর হাজার হাজার বছর ধরে শায়িত থাকা সেই সাহাবীর লাশ মোবারকের দেখা মিলা। </div><div style="text-align: justify;">তাহলে বলুন নবীগণ, শহীদগণ ও আল্লাহর অলীগণ জীবিত মর্মে আহলুস সুন্নাহর আকিদার বাস্তবতা প্রমাণ পেল কিনা?</div>

নবীগণ ও আল্লাহর অলীগণ যে জীবিত তার বাস্তব প্রমাণ দেখুন

বিখ্যাত সাহাবী হযরত হাযর বিন আদি (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) ইয়েমেনের কিছু ওহাবীপন্থি লোক মাজারে যাওয়া হারাম বলে ২মে ২০১৩ সালে উনার রওজা ভেঙে...

Read more »

ভিক্ষাবৃত্তি

ভিক্ষাবৃত্তি: কত টাকা ‘আয়’ করেন ভিক্ষুকরা?<br />মূল বিষয়টা কী?<br />-----<br /><br />আজ প্রায় ৮/১০ বছর যাবৎ আমি পথে ভিখিরি-ব্যবসায়ীদের কিছু দিই না।<br />তার আগে আসুন গল্পটায়:<br /><br />এক মাদ্রাসা সুপারের সাথে কথা হচ্ছিল। তাঁর এক ছাত্রের নানা হলেন অভিভাবক। ঘটনাক্রমে সেই নানা-নানী হচ্ছেন ভিক্ষুক। মাদ্রাসা সুপারের বাড়ি যে থানায়, সেই থানা শহরে ওই ভিক্ষুক থাকেন। ছাত্রের খোঁজ দেয়ানেয়ার জন্য শিক্ষক গেলেন অভিভাবকের বাসায়।<br /><br />দেখে তাঁর ভাল লাগলো। পাঁচতলা ভবনে তিন তলায় থাকেন ওই ভিক্ষুক নানা। ছোটই বাসা। ২/৩ রুমের হবে।<br /><br />শিক্ষক বেরিয়ে চায়ের দোকানে কিছু কিনছিলেন, কথায় কথায় বললেন, আমার ছাত্রের নানা এই বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকে। ভিক্ষা করে তো ভালই আয় করে দেখছি।<br /><br />দোকানদার হাসলো, কী বলেন, ভিক্ষা করে ওই বিল্ডিংয়ের একটা ফ্যামিলিই। তারা ওই বিল্ডিংয়ের মালিক।<br /><br />এরপর একদিন ওই অভিভাবক নানা মাদ্রাসায় এলে সুপার জিগ্যেস করেন, কত টাকা দিনে আয় হয়?<br />ভিক্ষুক বললেন, বেশি না, দুই হাজারের উপরনিচে হয়।<br />আর ওর নানী ভিক্ষা করে কত পান?<br />নানা তখন অত্যন্ত অশ্লীল একটা গালি দিয়ে বললেন, বলেন না হুজুর, ... টা ঠিকমতন টাকাও কামাইতে জানে না। দিনে ১২/১৩ শ ই হয়। আজ পর্যন্ত শিখল না!<br /><br />এই ঘটনা হল একটা মফ:স্বল থানা শহরের ভিক্ষুকের।<br />তাহলে জেলা শহরের ভিক্ষুকরা প্রতিদিন কত ‘আয়’ করে?<br />বিভাগীয় শহর বা বড় শহরগুলোতে?<br />রাজধানীতে?<br /><br />এখন প্রশ্ন হল, এই টাকাটা যে দিচ্ছে, সে কি মাসে লাখ টাকা পাওয়া মানুষের জন্য দিচ্ছে, নাকি অন্ন নাই, বস্ত্র নাই, চিকিৎসা নাই, অসহায় মানুষের জন্য দিচ্ছে? এই ভিক্ষুকরা কি অন্ন নাই বস্ত্র নাই চিকিৎসা নাই ক্যাটাগরির?<br /><br />টাকাটা নেয়া কি তাদের জন্য হারাম নয়? কুল্লে কুল্লে হারাম।<br />ভিক্ষুকরা যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তারা মাসে আয় করে ১০-৫০ হাজার টাকা, আর সেই ভিক্ষুক ‘আয়’ করে মাসে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা।<br />এটা যদি প্রতারণা না হয়, প্রতারণা কী? ওই ভিক্ষুকের তো টাকা দেয়ার কথা তাকে, যার কাছ থেকে নিচ্ছে!<br /><br />ভিক্ষুকরা কিছুতেই ভিক্ষা ছাড়বে না। কোন কাজ তাকে মাসে ২/১ লাখ টাকা দিবে? কোন কাজ করে সে ১০০ বিঘা জমি কিনবে? হ্যা, ডজন ডজন বিঘা জমি কিনেছে এমন ভিক্ষুক অসংখ্য। তিন-চার-পাঁচটা পাঁচতলা বিল্ডিং আছে এমন ভিক্ষুক অসংখ্য।<br /><br />আমি একজনকে চিনি, সে এক্কেবারে জোয়ানমর্দ মানুষ। টগবগে। ৩০-৩৫ বছরের সুঠাম দেহ। একটা পা ভাঙা। সে পায়ের চিকিৎসা করার কথা বলে মানুষনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসম্ভব বিরক্ত করে। অথচ সে ব্যক্তিগত বলয়ে বলে, আল্লাহ্’র রহমত হইসে আমার পাওটা ভাইঙা। এই পায়ের জন্য যত টাকা আমি পাই, যত সহজে পাই, পা থাকলে এই টাকা আমি কামাই করতে পারতাম না।<br /><br />মানুষজন এমনকি অজপাড়াগাঁর ভিক্ষুকদেরকে চাকরি দিতে চাইলে তারা বলে ফেলে, ৫ হাজার টাকায় তো আমার এক সপ্তাহের হাতখরচও হবে না।<br /><br />ভিক্ষুকরে জিগ্যেস করেন, এই কাজ তো আপনার জন্য হারাম। এত টাকা ‘আয়’ করা তো হারাম। সে বলবে,<br /><br />হারাম না। হারাম কেন হবে? মানুষ মায়া করে দেয়। মানুষের ভালবাসা কি হারাম নাকি? মানুষ আল্লাহ্’র কথা ভেবে দেয়, আল্লাহ্’র কথা ভেবে দেয়া কি হারাম নাকি? আর আমি তো সব সময় আল্লাহ্-নবিজি দ.’র কথা বলে ভিক্ষা করি। আল্লাহ্-নবিজির কথা বলা কাজ না? এইটারে কাজ মনে করেন না কেন? এই কাজে কি কম কষ্ট? যারা টাকা দেয়, তাদের কত গুনাহ আছে। আল্লাহ্ তাদের মনটা দেখবে। তারা যে মায়া করে টাকা দিচ্ছে, সেটা দেখে গুনাহ মাফ করে দিবে। রোগশোক শেফা করে দিবে।<br /><br />বুঝলেন বিষয়টা?<br />বিষয়টা হল চোরের উপর বাটপারি।<br />আরো ভেঙে বলি:<br /><br />দেখুন,<br />ভিক্ষুকরা টিঁকে আছে কয়েকটা কারণে:<br /><br />১. বাংলাদেশের মানুষ মায়াময়।<br />২. বাংলাদেশে মানুষ অত্যন্ত বেশি।<br />৩. মানুষ দৃঢ় নয়। মুখের উপর ‘না’ না বলে ৫/১০ টাকা দিয়ে ঝামেলা বিদায় করে।<br />৪. বাংলাদেশে নৈতিকতার কোন চর্চা নাই। সবাই পাপে ডুবে আছে। গান্ডুরা পাপ কাটায় বৃদ্ধ/বৃদ্ধা ভিখিরিকে ৫/১০ টাকা দিয়ে। ভিক্ষুকেরও কোন নৈতিকতা নাই। সে তারচে ১০ গুণ গরিবের কাছ থেকেই সব সময় টাকা নেয়। ১০০ গুণ গরিবের কাছ থেকে টাকা নেয়।<br />৫. আমরা ধর্মকেই ভুল বুঝি। রাসূল দ. সাসটেইনেবল কল্যাণ নিয়ে এসেছেন, ৫ টাকার কল্যাণ নিয়ে আসেননাই। এখন কোনটা সাসটেইনেবল আর কোনটা ৫ টাকার দায়মুক্তি- এইটা বোঝার মতন ঘিলু আমাদের দেশের মানুষের মাথায় থাকলেও তারা কখনো বিষয়গুলোর মুখোমুখি হননি। বাংলাদেশের মানুষ সবচে বেশি ভুল বোঝে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ. কে। তারা সবচে বেশি ভুল বোঝে ইসলাম আসার কারণ এবং ইসলামের কাজের ধরণকে।<br /><br />কারণ মাত্র একটা। এই দেশে কেউ নৈতিকতার চর্চা করে না।<br />হোলিস্টিক নৈতিকতা, টোটালিটারিয়ান নৈতিকতার চর্চা না ডাক্তার করে, না মোক্তার, না আমলা, না শামলা। কেউ সমাজে ব্যবহারিক সর্বব্যাপী নৈতিকতার চর্চা দেখেই নাই। সরলভাবে যদি বলি, কেউ মনে করে আমার মুখে দাঁড়ি আছে দুয়েকটা মিথ্যা কথা বললে কী? কেউ মনে করে, মিথ্যা কথা তো বলি না, মুখে দাঁড়ি না থাকলে কী? অর্থাৎ আমরা পাপকে জায়েজ করি কোন পূণ্য দিয়ে। দায়বোধ নাই।<br /><br />দেখবেন, যে ডাক্তার সবচে বেশি অ্যাবোরশন করে, সে সবচে বেশি নামাজ পড়ে। বাবা, তোমার নামাজ তো অ্যাবোরশনের কাফফারা না। আল্লাহ্ ইসলাম তো অ্যাবোরশন করিয়ে তারপর নামাজ পড়ার জন্য পাঠান নাই।<br /><br />দেখবেন, চোর-ছিনতাকইকারী-মাদকব্যবসায়ীর আচরণ খুবই ভদ্র হয়। বিশেষ করে মাদকাসক্ত মাদকব্যবসায়ী সামাজিকভাবে খুবই আন্তরিক। ভ্রাতা, তুমি মাদক বিক্রি করে গরিবরে টাকা দিবা, এইজন্য রাসূল দ. ইসলাম আনেন নাই।<br /><br />সব মাস্তান/লোকাল সন্ত্রাসী দেখবেন খুব খুব মাতৃভক্ত। তোমার মায়ের পায়ের তলায় বেহেস্ত কথা সত্য, কিন্তু মানুষের পেটে ক্ষুর চালানোর জন্য তো আল্লাহ্ মায়ের পায়ের তলায় বেহেস্ত দেননাই। <br /><br />নাহলে খাবারে ভেজাল দেয়া, মওজুদদার লোক কী করে মনে করে যে পরের ওয়াক্তে নামাজ পড়লেই সব মাফ? নাহলে ওজনে কম দেয়া লোক কী করে ৫ টাকা দিয়ে নিজেকে ব্যালান্স করে? নাহলে কাজের মেয়ের সাথে অত্যাচার করা মানুষ কী করে আল্লাহ্’র কাছে মাফ চায়?<br /><br />এইগুলা হইল নৈতিকতার প্যারাডক্স।<br />এইগুলা সরল বিষয়, কিন্তু প্র্যাক্টিসিং সূফিরা ছাড়া অন্যরা এইগুলা কমই বোঝে।<br /><br />এই থেকে আমাদের মুক্তি নাই, আমরা যদি নৈতিকতার সূর্যোদয় ঘটাতে পারি, আমরা যদি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ. কী চান, কীভাবে চান, কীভাবে করিয়েছেন সেটা ধরতে পারি- সকল অন্ধকার দূর হবে। তার আগ পর্যন্ত না।

ভিক্ষাবৃত্তি

ভিক্ষাবৃত্তি: কত টাকা ‘আয়’ করেন ভিক্ষুকরা? মূল বিষয়টা কী? ----- আজ প্রায় ৮/১০ বছর যাবৎ আমি পথে ভিখিরি-ব্যবসায়ীদের কিছু দিই না। তার আগে আসুন ...

Read more »

‘ওলিআল্লাহ্’ ও ‘হিন্দু’

‘ওলিআল্লাহ্’ ও ‘হিন্দু’<br />-----<br />এই পনের বিশ মিনিট আগে। ছেলেকে স্কুল থেকে আনার সময় একটা মাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ছেলে বলল, আব্বু, আমি দেখেছি কী জান? একটা হিন্দু লোক এই মাজারের দেয়াল ধরে সালাম করে গেছে।<br /><br />-এইটাই স্বাভাবিক, বাবা। আশেপাশের এলাকার অনেক অনেক হিন্দু ধর্মের মানুষ যেতে নিলেই সালাম করে।<br />-কেন?<br />-কারণ, তাঁরা মনে করেন, যিঁনি ঈশ্বর তিনিই আল্লাহ্। তাঁরা মনে করেন, এই মাজারে যে আল্লাহ্’র ওয়ালি শুয়ে আছেন, তিঁনি ঈশ্বরের একজন প্রিয়জন। এইজন্য সালাম করে। তারা জানে, তিনি মুসলমান। তারা জানে, তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন, কিন্তু তবু তাঁকে তারা সত্য জানে।<br /> <br />ছেলে যদি আরো প্রশ্ন করতো, তবে আলাপটা এদিকে যেতো-<br /><br />-তাহলে তারা মুসলমান হয়নি কেন?<br />-বাবা, তারা কেউ মুসলমান হয়নি এমনতো না। আমরা কারা? আমরা তো এই ওলিউল্লাহ্’র যুগের যে হিন্দুরা ছিলেন, তাদেরই বংশধর। এই ওলিউল্লাহ্’র যুগে অনেক অনেক মানুষ মুসলমান হয়ে গিয়েছিল বলেই তো আমরা আজকে মুসলমান। কেউ কেউ হয়নি। যারা হয়নি তাদের মধ্যে খুব কম মানুষ এই সূফি সাহেবকে ঘৃণা করেছে। কিন্তু বেশিরভাগই শ্রদ্ধা করেছে। ভাল বেসেছে। তবু অনেকে হয়নি আরকী। মানুষের পক্ষে কি সব ভাল কাজ করা হয়ে যায়, বল? সব মানুষ কি সাহস করে উঠতে পারে? আর সূফিরা অন্যরকম। তারা তো হিন্দু মুসলমান দেখে ভালবাসা দেননি। তারা তো হিন্দু মুসলমান দেখে মায়া করেননি। তারা মানুষ দেখেছেন আর মায়া করেছেন। আহা, মানুষ, কত্ত দামি! কত্ত দামি! অন্তর থেকে এমনভাবে মায়া করেছেন, যে, সেই মায়া মানুষ ১০০ বছর পরও ভুলতে পারে না, ৫০০ বছর পরও ভুলতে পারে না, ১ হাজার বছর পরও ভুলতে পারে না।<br /><br />আর এরা তো দেখেছে, এই সূফি সাহেবের দেয়াল ধরে কিছু চাইলে তাদের ‘ঈশ্বর’ সেটা ঠিকই কবুল করেন। বারবার দেখেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখেছে।<br /><br />তুমি আমার ছেলে, তোমাকে যদি কেউ মায়া করে যত্ন করে, আমি কি তার ভাল চাইব না? আমি কি তার ভাল করব না? আল্লাহ্ তো সারা পৃথিবীর মানুষকে এম্নিতেও শিফা দেন। আল্লাহ্ তো সারা পৃথিবীর মানুষকে এম্নিতেও ধন সম্পদ সুখ শান্তি দেন। এম্নিতেই যা দেন, তার প্রিয়জনের প্রতি যদি কেউ মায়া রাখে, তিনি কি বেশি দিতে পারেন না?<br /><br />এগুলো খুব সহজ কথা বাবা। আর তারা তো শুধু মায়াই দিয়ে গেছেন। শুধু আদরই করে গেছেন। তাদের দেখলে রোগ ভাল হয়ে যেত হিন্দু মুসলিমের। তাদের কাছে দুটা কথা শুনলে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যেত। তাদের কাছে এসে কাঁদলে সব দু:খ চলে যেতো।<br /><br />মানুষকে তুমি ঘৃণা দাও, ১ হাজার বছর পরও মানুষ সেটা মনে রাখবে।মানুষকে ভালবাসা দাও, ১ হাজার বছর পরও সেটা মানুষ মনে রাখবে।<br /><br />এইটাই সিস্টেম বাবা, এইটাই সিস্টেম। মনে মতলব রেখে ভালবাসা দিলে হবে না। বে-মতলব ভালবাসা দিতে হবে। আনকন্ডিশনাল লাভ। আনকন্ডিশনাল সারভিস।<br /><br />এটা সূফিরা কেন দেয়, সূফিরা জানে। কিন্তু সবাইকে বলে বুঝিয়ে শেষ করতে পারে না। বলে বোঝানোর বিষয় এটা না। মুখের শব্দ দিয়ে সব যদি প্রকাশ করাই যেত, অন্তরের অনুভূতি আর মনের ভাবনা বলে কিছু থাকতো না। শুধু মুখের শব্দই থাকতো।

‘ওলিআল্লাহ্’ ও ‘হিন্দু’

‘ওলিআল্লাহ্’ ও ‘হিন্দু’ ----- এই পনের বিশ মিনিট আগে। ছেলেকে স্কুল থেকে আনার সময় একটা মাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ছেলে বলল, আব্বু, আমি দেখেছি...

Read more »