বিবাহিত পুত্র: সাইকোঅ্যানালাইসিস-১
-----
বিয়ের আগে:
ছেলের ভুবনে মা ছাড়া আর কেউ ছিল না। জগতে সবচে ভালও তার মা, জগতে সবচে বেশি রাগও তার মায়ের প্রতি, দুনিয়ায় সবচে বেশি স্বাদ তার মায়ের হাতের খাবার, তার সমস্ত আবদারও তার বাবা ও মায়ের কাছে, সমস্ত দু:খ খুলে বলাও তার মায়ের কাছে, সবচে শান্তির সাথে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়াও বাবা ও মায়েরটাই।
বিয়ের পর:
আফসোস, বেশিরভাগ ছেলের বেলায় এই কঠোর কঠিন কথাগুলো খুবই সত্যি-
১. বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে সে টের পাওয়া শুরু করে যে, সে সত্যিকার একজন ‘পুরুষ মানুষ’। সুতরাং সে অপাত্রে পৌরুষ দেখানো শুরু করে। কথাটা নিষ্ঠুর হলেও মোটামুটি খাটন্ত। মূলত যেটা বলতে চাচ্ছি, বিয়ের পরপরই নববিবাহিত পুরুষ তার ব্যক্তিত্ব্য, মানসিক দৃঢ়তা, সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা, অনমনীয়তা- ইত্যাদি দেখানো শুরু করে সবার প্রতি। এক্ষেত্রে নিজের বাবা মা কেউ বাদ যায় না।
ব্যক্তিত্ব্য প্রকাশের পথ হিসাবে সে এগুলোকে বেছে নেয়-
১. সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে কারো সাথে আলোচনা না করা।
২. যথা সম্ভব কম কথা বলা।
৩. ‘ঝিনুকে মুক্তো হলে সেই ঝিনুক আর মুখ খোলে না’ সূত্র ধরে নববিবাহিত পাত্র ও পাত্রী দুজনেই নিজের মনের দরজা প্রায় সবার প্রতি বন্ধ করে দেয়। আগের মত তারা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের প্রতি ‘ওপেন ফর অল’ থাকে না এবং নিজের মনের অনুভূতিগুলো কাউকে জানাতে রীতিমত ঘৃণা করে। কিন্তু এই মনোভাবটাই মারাত্মক সর্বনাশ করে আগুন ধরিয়ে দেয় সংসারে যা আমরা আস্তে আস্তে আলোচনা করব।