কুরআন: বাবা-মা বিষয়ক অনেক আয়াত থেকে মাত্র তিনটা
-----
১.
“আল্লাহ্’র ইবাদাত করো এবং কাউকে শরিক করো না এবং বাবা-মায়ের সাথে ভালটাই করো।”
দেখুন, পরমপ্রভু হিসাবে আল্লাহ্’র অধীনতা নেয়া প্রথম নির্দেশ, দ্বিতীয় নির্দেশ, এই পরমপ্রভুত্বে আর কাউকে যুক্ত না করা এবং তারপরই বান্দার প্রতি আল্লাহ্’র আদেশ বাবা মার সাথে স্রেফ ভালটা করার।
গুরুত্বের ধাপগুলো আমাদের শিউরে দেয়।

২.
“তোমাদের রব তোমাদের প্রতি আদেশ জারি করেছেন যে তাকে ছাড়া আর কারো ইবাদাত করবে না আর বাবা-মায়ের প্রতি কোমল, মায়াময় থাকবে। তোমার জীবদ্দশায় তাঁরা বৃদ্ধ হোন বা না হোন, তাদেরকে অবহেলা করে একটা শব্দও বলবে না (উফ্ টা পর্যন্ত বলবে না), তাদেরকে (মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে) দূরে সরাবে না, আর তাদের শুধু সম্মানজনক কথায় সম্বোধন করবে।”
আবারো লক্ষ্যণীয়,
আল্লাহ্’র ইবাদাতে বিনা শরীকে লীন হওয়ার আদেশের পরই বাবা-মায়ের বিষয়ে গাইডেন্স:
সন্তান তার জীবনেও-
অবহেলামূলক কোন ধরনের শব্দ বলবে না। এমনকি ‘উফ্’ ও না।
মন থেকে বা চোখের সামনে থেকে দূরে সরাবে না।
এমনকি শব্দটা চয়ন করার বেলায়ও সতর্ক থেকে ভেবে শব্দ বের করবে!

৩.
“আর আমি মানবজাতিকে বাবা মায়ের বিষয়ে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। মা দুর্বলতা আর কঠিন সময়ের উপর আরো দুর্বলতা ও আরো কঠিন সময়ে তাকে আগলে রেখেছেন... সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাও আমাকে আর তোমার বাবা-মা কে...”
আচ্ছা, আমরা মস্ত পালোয়ান মহা ধার্মিকরা কে কবে বাবা-মায়ের প্রতি সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাই?

আমার কেঁপে ওঠার জায়গা ছিল ওই ‘উফ্’ শব্দটা।
যতদিন জীবিত আছি, বাবা-মা কে কখনো ‘উফ্’ বলা যাবে না। মন থেকে সরানো যাবে না। হায়রে মনের পাপ, বড় পাপ। কথা বলার আগে মেপে মেপে, বেছে বেছে কোমল, মায়াময়, দয়ার্দ্র্য শব্দই কেবল বলতে হবে। অন্য কিছু না।
যতদিন জীবন আছে, কখনো না।
Top