জামাআতের বর্ণনা
সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন বিবেকবান, প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন ও সক্ষম ব্যক্তির উপর মসজিদের প্রথম জামাআত ওয়াজীব। বিনা কারণে একবার বর্জনকারী গুনাহগার ও শাস্তির উপযুক্ত হবে আর কয়েকবার বর্জনকারী ফাসিক, সাক্ষীর অনুপযুক্ত (অর্থাৎ তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়) আর তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে। যদি প্রতিবেশী (ইসলামী ভাই) তার জামাআত বর্জনের ব্যাপারে নিরব থাকে তবে সেও গুনাহগার হবে। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৮৭ পৃষ্ঠা) কতিপয় সম্মানিত ফকীহগণ رَحِمَہُمُ اللہُ تَعَالٰی বলেন: “যে ব্যক্তি আযান শুনে ঘরে ইকামাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সে গুনাহগার হবে এবং তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।” (আল বাহরুর রাইক্ব, ১ম খন্ড, ৪৫১, ৬০৪ পৃষ্ঠা)
জামাআত বর্জন করার ২০টি উপযুক্ত কারণ
(১) রোগাক্রান্ত ব্যক্তি, (যার মসজিদে যেতে খুব বেশি কষ্ট হয়) (২) বিকলাঙ্গ হলে, (৩) যার পা কেটে গেছে, (৪) অর্ধাঙ্গ রোগে আক্রান্ত হলে, (৫) বার্ধক্যের কারণে মসজিদ পর্যন্ত যেতে অক্ষম হলে, (৬) অন্ধ হলে, যদিও তার জন্য হাত ধরে মসজিদ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়ার লোক থাকে (৭) খুব বেশি বৃষ্টিপাত হলে, (৮) চলাচলের রাস্তায় অতিরিক্ত কাদা হলে, (৯) তীব্র শীত পড়লে, (১০) খুব বেশি অন্ধকার হলে, (১১) প্রবল ঝড় তুফান হলে, (১২) সম্পদ বা খাদ্য বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, (১৩) পথে কর্জদাতা পাকড়াও করার আশঙ্কা হলে, যদি সে অভাবগ্রস্থ হয়। (১৪) অত্যাচারীর ভয় থাকলে, (১৫) পায়খানা, (১৬) প্রস্রাব বা (১৭) বায়ু নির্গত হওয়ার প্রবল বেগ হলে, (১৮) খাবার উপস্থিত আর অন্তরের আকর্ষণও সেদিকে থাকলে, (১৯) কাফেলা চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলে, (২০) রোগীর সেবা শুশ্রুষায় নিয়োজিত ব্যক্তি, যে জামাআতের জন্য গেলে রোগীর কষ্ট হবে ও ভয় পাবে। এসবগুলোই জামাআত বর্জন করার উপযুক্ত কারণ। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২৯২-২৯৩ পৃষ্ঠা)