কিতাবঃ মানাকিবে আহলে বাইত
লেখক, অনুবাদক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পােষণকারী জাহান্নামীঃ
❏ হাদীস ১:
হযরত আবু সাইদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
أخرج ابن عدي في الإكليل عن أبي سعيد الخدری رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ: من أبغضنا أهل البيت، فهو منافق ؛
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যারা আহলে বায়আতের সাথে বিদ্বেষ রাখে তারা মুনাফিক।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ফাযায়িলুস সাহাবা : ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল , ২য় খন্ড:৬৬১, হাদিস-১১২৬ ।
২. মুহিব্বে তাবারী : যখায়েরুল উকবা , পৃষ্টা-৫১।
৩. তাফসীরে আদ-দুররুল মুনসুর: আল্লামা সুয়ুতী , ৭ম:৩৪৯ ।
৪. শেত্ব মুক্তা নবী তনয়া ফাতেমাতুয যোহরা : শায়েখুল ইসলাম ড: তাহের আল কাদেরী, পাকিস্তান, পৃষ্টা-৪৪
৫. ‘জাওয়াহেরুল ইকদিয়্যীন- ইমাম সামহুদি-২:২৫।
৬. আহমদ মুসনাদ এ ইমাম দায়লামী কর্তৃক বর্ণিত হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর এই হাদীসটির পক্ষেও স্বাক্ষ্য দেন।
ما کنا نعرفُه المنافقین الاببغضهم علیا رضی الله عنه
অর্থ: আমরা এমন কোন মুনাফিক দেখিনি যে আলী (رضي الله عنه) কে ঘৃণা করতনা।
৭. হাদীসটি ইমাম আহমদ ও তিরমীজি বর্ণনা করেছেন। তবে শব্দগত বর্ণনা ইমাম আহমদের।
৮. ইবনে আদি ‘আল ইক্বলীল' গ্রন্থে বর্ণনা করেন।
৯. আল-ইসতিয়াব, ইবনে আবদ আল-বার, খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা ৪৭
১০. আল-ইস্তেদকর, ইবনে আবদুল বারের, খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৪৪৬ (জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত)
১১. মুওয়াদেহে আহহাম আল-জামে ওয়া আল- তাফরিক, আল-খতিব আল-বাগদাদী, খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৪১
১২. আল-মানাকিব, আল-খাওয়ারিজমি পৃষ্ঠা ২৩২
১৩. দাখের আল-উকবা, আল-তাবারি পৃষ্ঠা ৯১
১৪. তারিখ আল-খুলাফা, ইমাম-সুয়ুতি পৃষ্ঠা ৬৬
১৫. সহীহ ইবনে হিব্বান (আল ইহসান) ১৫:৪৩৫ (৬৯৭৮)।
১৬. আল মুসতাদরিক-৩:১৬২ (৪৭১৭) এবং তিনি বলেন, এই হাদিসটি ইমাম মুসলিমের শর্ত মতে সহীহ বা বিশুদ্ধ।
তাফসীরে কাশাফে আছে,
ألا ومن مات على حب آل محمد مات مؤمناً مستكمل الإيمان۔۔۔ألا ومن مات على بغض آل محمد مات كافراً
“যে ব্যক্তি মুহাম্মদ (ﷺ) এর বংশধরের (আহলে বাইতের) প্রতি ভালবাসা নিয়ে মারা যায় সে পূর্ণ ইমানের উপর মৃত্যুবরণ করে, আর যে ব্যক্তি মুহাম্মদ (ﷺ) এর বংশধরের প্রতি ঘৃণা নিয়ে মারা যায় সে কাফির হয়ে মারা যায়।"
তথ্যসূত্রঃ
১. তাফসির কাবীর, মিশরে প্রকাশিত (১৩৫৭/১৯৩৮), খন্ড ২৭, পৃষ্ঠা ১৬৫-১৬৬।
২. তাফসীর ইবনে আরবী, ২ য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৯
৩. তাফসীর আল-সালাবী, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৩১৪
৪. ইয়ানাবি আল-মুওয়াদা খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৩৩
৫. তাফসীর আল-কুরতুবী, খণ্ড ১৬ পৃষ্ঠা ২৩
৬. তাজহিজ আল-জাইশ, আল্লামাহ হাসান, আল-দেহলাওয়ী রচিত, পৃষ্ঠা ১৩
৮. আল-শারাফ আল-মুবাদ, আল্লামা আল-নাবহানী, পৃষ্ঠা .৪
৯. আরজাহ আল-মাতালিব লিখেছেন আল্লামাহ অমৃতসরী পৃষ্ঠা ৩২০
১০. নুজহাত আল-মাজালিস, আল্লামা শায়খ আব্দুর রহমান আল-সাফুরী, খণ্ড ২ পৃষ্ঠা ২২২
❏ হাদিস ২ :
হাম্বলী মাযহাবের ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (মৃত্যুকাল ২৪১ হিজরী) নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেছেন যে,
« ﻧﻈﺮ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭ ( ﺁﻟﻪ ) ﻭ ﺳﻠﻢ ﺍﻟﻰ ﻋﻠﯽ ﻭ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭ ﺍﻟﺤﺴﯿﻦ ﻭ ﻓﺎﻃﻤﺔ ﻓﻘﺎﻝ : « ﺍﻧﺎ ﺣﺮﺏ ﻟﻤﻦ ﺣﺎﺭﺑﮑﻢ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻟﻤﻦ ﺳﺎﻟﻤﮑﻢ ».
অনুবাদ : “নবী করিম (ﷺ) আলী, হাসান, হুসাইন ও ফাতেমার (তাদের উপর আল্লাহর দরুদ বর্ষিত হোক) দিকে তাকিয়ে বললেন: যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে সে আমার সাথেও যুদ্ধে লিপ্ত, আর যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে সন্ধী ও শান্তি স্থাপন করবে আমিও তাদের সাথে সন্ধী ও শান্তি স্থাপন করবো”। [মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল]
❏ হাদিস ৩ :
(حديث مرفوع) وَسألت أبي عَنْ حديثرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، وَغَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَّهُ قَالَ : ” يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ، إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ لَكُمْ ثَلاثًا : أَنْ يُثَبِّتَ قَائِمَكُمْ ، وَأَنْ يَهْدِيَ ضَالَّكُمْ ، وَأَنْ يُعَلِّمَ جَاهِلَكُمْ ، وَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَكُمْ جُودًا نُجُدًا رُحَمَاءَ ، وَلَوْ أَنَّ رَجُلا صَفَنَ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ فَصَلَّى وَصَامَ ثُمَّ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ مُبْغِضٌ لأَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ دَخَلَ النَّارَ ” . قَالَ أَبِي : هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ .
عن حضرت ابن عباس رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو أن رجلا صف بين الركن والمقام فصلى وصام ثم لقى الله مبغضا لاهل بيت محمد صلى الله عليه وسلم دخل النار.
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যদি সম্মানিত রুকন এবং সম্মানিত মাক্বামের মধ্যবর্তী স্থানে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতঃপর নামায পড়ে এবং রোযা রাখে, কিন্তু এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় যে, সে আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। তাহলে সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (মুস্তাদরাকে হাকীমঃ ৪৭৬৬, যাখাইরুল উক্ববা লি-মুহিব্বে ত্ববারী ১/১৮, হাদিসের মান সহীহ)
❏ হাদিস ৪ :
নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এই উম্মতের যারা আমার আহলে বাইতকে ভালোবাসবে ( অনুসরণ করবে ) তারাই নাজাত পাবে ও যারা অনুসরণ করবে না, তারা ধ্বংস হবে। [মেশকাত, খন্ড-১১, হাদিস-৫৯২৩]
❏ হাদীস ৫ :
أخرج الطبرانی والحاكم عن ابن عباس رضی الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يابنی عبد المطلب، انی سألت الله فيكم ثلاثا: أن يثبت قلوبكم، وأن يعلم جاهلكم، ويهدی ضالكم، وسألته أن يجعلکم جوداء، نجداء، رحماء. فلو أن رجلا صفن بين الركن والمقام فصلى وصام، ثم مات وهو مبغض لأهل بيت محمد، دخل النار؛
ইমাম তাবরানী ও হাকেম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি রুকন ও মক্কামে ইব্রাহীমের মাঝখানে অবস্থান করে, অতঃপর (তাতে) নামাজ আদায় করে এবং রােজা রাখে, অতঃপর (এমতাবস্থায়) মারা গেল যে, সে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরিবার বর্গের (আহলে বায়ত) সাথে হিংসা পােষণকারী, (তাহলে) সে জাহান্নামে প্রবেশ করল।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল মু'জামুল কাবীর-১১: ১৪২ (১১৪১২)।
২. আল মুসতাদরেক -৩:১৬১ (৪৭১২) এবং তিনি এ হাদীসকে ইমাম মুসলিমের শর্তমতে সহীহ বলেছেন।
❏ হাদীস ৬ :
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) ইরশাদ করেন, “যদি কোন ব্যক্তি পবিত্র কা’বার পাশে রুকন ইয়ামানি ও মাকাম ইব্রাহিমের মধ্যবর্তী স্থানে দন্ডায়মান হয়ে নামাজ আদায় করে এবং রোযাও রাখে, অতঃপর এমতাবস্থায় আহলে বাইতের সাথে বিদ্বেষ রেখে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে জাহান্নামে যাবে”।
[সূত্রঃ তাবরানী, আল মু’জাম আল আওসাত,খঃ- ৪, পৃঃ-২১২, হাঃ-৪০০২; হায়সামী, মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, খঃ-৯, পৃঃ-১৭২; জুরজানী, তারিখ জুরজান, পৃঃ-৩৬৯; হাকেম আল মুস্তাদরাক, খঃ-৩, পৃঃ-১৬২, হাঃ-৪৭১৭; হায়সামী সাওয়াইক আল-মুহরিকা, পৃঃ-৯০; আল্লামা সূয়ুতী, এহইয়াউল মাইয়্যাত, পৃঃ-২০; ইবনে হিব্বান, আস সহীহ, খঃ-১৫, পৃঃ-৪৩৫, হাঃ-৬৯৭৮; যাহাবী সি’আরু আলামিন নুবালা, খঃ-২, পৃঃ-১২৩; (হাকেমের মত এই হাদীসটি ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্); মুহিবের তাবারী, যাখায়েরুল উকবা, পৃঃ-৫১; ফাসবী, আল ‘মা’রিফাতু ওয়াত তারিখ, খঃ- ১, পৃঃ-৫০৫; আল্লামা আলী হামদানি শাফায়ী, মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-১০৯; ওবাইদুল্লাহ অমৃতসারি-আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-৫৬৭; কাওকাবে দুরির ফি ফাযায়েলে আলী, পৃঃ-২০৯, সৈয়দ মোঃ সালে কাশাফী সুন্নি হানাফী আরিফ বিল্লাহ; আল্লামা শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী-মাদারিজুন নবুওয়াত, খঃ-২, পৃঃ-৯০, (ইঃ, ফাঃ)]।
❏ হাদিস ৭ :
عن حضرت جابر بن عبد الله الانصاري رضى الله تعالى عنه قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه و سلم فسمعته وهو يقول يا أيها الناس من أبغضنا اهل البيت حشره الله يوم القيامة يهوديا فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وان صام وصلى قال وان صام وصلى وزعم انه مسلم.
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন এবং বলতে থাকলেন যে, হে লোক সকল! যারা আমার আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করলো, তাঁদের বিরোধিতা করলো, তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী হিসেবে। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! যদিও তারা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে? উত্তরে তিনি ইরশাদ করলেন, হ্যাঁ! যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে, তারা মুসলমান।”
তথ্যসূত্রঃ
১.তাবারানীঃ আল মু'জামুল আওসাত- ৫:১৪ (৪০১১)
২.সুয়ূতীঃ জামিউল আহাদীছ ১০/৪৭৫,
৩.সুয়ূতীঃ জামউল জাওয়ামি‘,
৪.হায়সামীঃ মাজমাউয যাওয়াইদ লিল হাইছামী ৯/৭১২
❏ হাদীস ৮ :
أخرج الديلمي عن أبی سعید رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ اشتد غضب الله على من آذانی فی عترتی۔
ইমাম দায়লামী হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)'র ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দেয় আল্লাহ তা'আলা তার ওপরে ভীষণ রাগান্বিত হন।
তথ্যসূত্রঃ
১. কানযুল উম্মাল, আল মুত্তাকীউল হিন্দ, ১২:৭১৩ (৩৪১৪৩)।
২. যাখাইরুল উক্ববা, তাবারী, পৃ. ৮৩
❏ হাদীস ৯ :
أخرج الديلمي عن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ إن الله يبغض الأكل فوق شبعه، والغافل عن طاعة ربه، والتارك لسنة نبيه، والمخفر ذمته، والمبغض عترة نبيه، والمؤذي جيرانه -
ইমাম দায়লামী হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه)'র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, 'আল্লাহ তা'আলা নিন্মােক্তদের ওপর রাগান্বিত হন,
১. তৃপ্ত হওয়ার পরও খাদ্য গ্রহণকারী,
২. আপন প্রতিপালকের অনুসরণ থেকে অমনােযােগী,
৩. তাঁর নবী (ﷺ)'র সুন্নাতকে পরিত্যাগকারী,
৪. নিজ দায়িত্বে অবহেলাকারী,
৫. নবী করীম (ﷺ)'র বংশধর (আহলে বাইত)'র প্রতি হিংসা পােষণকারী,
৬. নিজ প্রতিবেশীকে কষ্টদানকারী।
তথ্যসূত্রঃ
কানযুল উম্মাল, আল মুত্তাকিউল হিন্দ, ১৬:৮৭ (৪৪০২৯)।
❏ হাদিস ১০ :
রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেছেন, সাবধান! “যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, কিয়ামতের দিন তার কপালে লেখা থাকবে, সে আল্লাহপাকের রহমত হতে বঞ্চিত। যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে কাফের হয়ে মারা যায়। যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে বেহেশতের সুগন্ধও পাবে না।”
[সূত্রঃ তাফসীরে আল কাশশাফ ওয়াল বায়ান, খঃ-৩, পৃঃ-৬৭,(মিশর);তাফসীরে কাবির, খঃ-২৭, পৃঃ-১৬৫, (মিশর); তাফসীরে কুরতুবি, খঃ-১৬, পৃঃ-২২, (মিশর); এহইয়াউল মাইয়াত, পৃঃ-৬; আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-৪১৮; সাওয়ায়েক মোহরিকা, পৃঃ-১০৪; ইয়া-নাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৫৫, ৫৯৯]।
❏ হাদিস ১১ :
রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেন, “যে ব্যক্তি এজন্য আনন্দিত যে,সে চায় আমার মত জীবন যাপন করতে, আমার মত মৃত্যুবরণ করতে ও আমার প্রতিপালকের চিরস্থায়ী বেহেশতে বাস করতে সে যেন আমার পর, আমার আহলে বাইতকে অনুসরণ করে। কারণ তাঁরা আমার সর্বাধিক আপন এবং তাঁরা আমার অস্তিত্ব হতে অস্তিত্ব লাভ করেছে। আমার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকেই তারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ করেছে। ধ্বংস আমার সেই উম্মতের জন্য যারা আমার আহলে বাইতের শ্রষ্ঠত্বকে মিথ্যা মনে করে এবং আমার ও তাদের (আহলে বাইত (عليه السلام)-এর) মধ্যেকার সম্পর্ক ছিন্ন করে। আল্লাহ আমার শাফায়াতকে তাদের জন্য হারাম করেছেন”।
[সূত্রঃ মুস্তাদরাকে হাকেম, খঃ -৩, পৃঃ-১২৮; মুসনাদে আহম্মদ, খঃ -৫, পৃঃ-৯৪; কানজুল উম্মাল, খঃ-৬, পৃঃ-২১৭, হাঃ-৩৭১৯; হুলিয়াতুল আউলিয়া,পৃঃ-৪৪৯]।
❏ হাদীস ১২ :
أخرج الطبراني عن الحسن ابن علی رضی الله عنهما، أنه قال لمعاوية بن حديج: يا معاوية بن حديج، إياك وبغضنا، فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا يبغضنا أحد، لا يحسدنا أحد، إلا ذيد يوم القيامة عن الحوض بسياط من نار؛
ইমাম তাবরানী হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি মুয়াবিয়া ইবনে হুদাইজকে বলেন, হে মুয়াবিয়া ইবনে হুদাইজ! তুমি আমাদেরকে ঘৃণা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কেউ যেন আমাদেরকে ঘৃণা না করে, কেউ যেন আমাদেরকে হিংসা না করে। যদি করে তাহলে তাকে কিয়ামতের দিন হাউজে কাউছার থেকে আগুনের চাবুক মারতে মারতে তাড়িয়ে দেয়া হবে।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল মু'জামুল কবীর- ৩:৮১ (২৭২৬)।
২. আল মু'জামুল আওসত- ৩:২০৩ (২৪২৬)।